× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
নয় দিন পর সংশোধনে লেনদেনে জোয়ার
google_news print-icon

নয় দিন পর সংশোধনে লেনদেনে জোয়ার

নয়-দিন-পর-সংশোধনে-লেনদেনে-জোয়ার
পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে গতকালের চেয়ে আরও বেশি। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
ঈদের ছুটি শেষে রোববার বাজারে লেনদেন হয় এক হাজার ৪১৯ কোটি টাকা। পরদিন তা আরও বেড়ে হয় এক হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা। আর তার পরদিন লেনদেন হলো এক হাজার ৭১৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এটি গত চার মাসে সর্বোচ্চ লেনদেন। গত ১৭ জানুয়ারি লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা।

টানা নয় কার্যদিবস উত্থানের পর পুঁজিবাজারে সামান্য দরপতন হলো। তবে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনায় ব্যাপক আগ্রহের কারণে লেনদেন আরও বেড়েছে।

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক কমে ১০ পয়েন্ট। গত ৩ মের পর এই প্রথম সূচক কমল।

তবে সূচক কমলেও লেনদেন আগের দিনের চেয়ে আরও বেড়ে পৌনে দুইশ কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই হয়ে গেছে।

ঈদের ছুটি শেষে পুঁজিবাজারে গত ১০ বছরেও এত বেশি লেনদেন হয়নি বলে জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কমিশনার শেখ সামছুদ্দিন আহমেদ।

ঈদের ছুটি শেষে রোববার বাজারে লেনদেন হয় এক হাজার ৪১৯ কোটি টাকা। পরদিন তা আরও বেড়ে হয় এক হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা।

আর তার পরদিন লেনদেন হলো এক হাজার ৭১৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

এটি গত চার মাসে সর্বোচ্চ লেনদেন। গত ১৭ জানুয়ারি লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা।

তবে সে সময়ের তুলনায় লকডাউন পরিস্থিতিতে এখন লেনদেন কম হচ্ছে এক ঘণ্টা।

গত বছরের জুলাই থেকে পুঁজিবাজারে যে টানা উত্থান দেখা যায়, সেটি চালু থাকে জানুয়ারির শুরু পর্যন্ত। ডিসেম্বরের শেষে ও জানুয়ারির শুরুতে পুঁজিবাজারে টানা ১০ দিন গড়ে দুই হাজার কোটি টাকার আশেপাশে লেনদেন হয়।

তবে ১৪ জানুয়ারি থেকে আড়াই মাসেরও বেশি সময়ে বাজার সংশোধনে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ৮২১ পয়েন্ট সূচক পতনে লেনদেনও নেমে আসে তলানিতে। এক পর্যায়ে একদিন তা ৩০০ কোটি টাকার নিচেও নেমে আসে।

তবে ৫ এপ্রিল থেকে পুঁজিবাজারে আবার দেখা দেয় সুবাতাস। এরপর ২৯ কার্যদিবসে সূচক বাড়ে ৭৪১ পয়েন্ট। সূচক বাড়ার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের বাধাগুলা দূর করার উদ্যোগ নিতে থাকে বিএসইসি।

এসব চেষ্টায় দীর্ঘদিন পর গত ২০ এপ্রিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন এক হাজার কোটি টাকা ছাড়ায়। এরপর সব মিলিয়ে আরও চার দিন এক হাজার কোটি টাকার নিচে থাকে লেনদেন।

তবে রোজায় দেখা দেয় এক ব্যতিক্রম প্রবণতা। ঈদের আগে আগে সাধারণত বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নেন। তবে এবার দেখা দেয় উল্টো প্রবণতা। বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনায় মন দেন। গত ২৯ এপ্রিলের পর ১২ কার্যদিবসে লেনদেন একবারও এক হাজার কোটি টাকার নিচে নামেনি।

উত্থান ধরে রেখেছে বিমা খাত

মঙ্গলবার ডিএসইর লেনদেনে শেয়ার দরের উত্থান ধরে রেখেছে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানিগুলো। এদিন লেনদেন বিমা খাতের ৫০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩৫টির। কমেছে ১২টির; দর পাল্টায়নি তিনটির।

পুঁজিবাজার ঈদের ছুটিতে যাওয়ার আগের তিন কার্যদিবস ধারাবাহিকভাবে কমেছিল এ খাতের শেয়ার দর। দর পতনের এই ধারা অব্যাহত ছিল রোববার পর্যন্ত। কিন্ত ঈদের ছুটির পর দ্বিতীয় লেনদেন থেকে আবার সক্রিয় হয়ে উঠে এ খাতের শেয়ার দর। যা গত দুই কার্যদিবস ধরে অব্যাহত আছে।

মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া দশ কোম্পানির মধ্যে পাঁচটিই ছিল বিমা খাতের।

সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের। শেয়ার দর ৪৮ টাকা থেকে হয়েছে ৫২ টাকা ৮০ পয়সা।

এরপর আছে সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ার দর ৪০ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪৪ টাকা ১০ পয়সা।

মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সে শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪৭ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫১ টাকা ৭০ পয়সা।

জনতা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। শেয়ার প্রতি দর ৩৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৩ টাকা ৩০ পয়সা।

ফনিক্স ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দরও বেড়েছে ৭ দশমিক ১৯ শতাংশ। এ তালিকায় আছে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স।

টেকেনি বস্ত্র খাতের উত্থান

পুঁজিবাজার ঈদের ছুটিতে যাওয়ার আগে হঠাৎ করে উত্থানে আসে তালিকাভুক্ত বস্ত্রখাতের কোম্পানিগুলো। এ খাতের প্রায় সবগুলো কোম্পানির অর্থবছর শেষ হচ্ছে জুনে। ফলে আগামী তিন মাসের ব্যবধানে কোম্পানিগুলোর চূড়ান্ত মুনাফার বিপরীতে লভ্যাংশ ঘোষণার প্রস্তাব আসবে।

এমন আলোচনায় এ খাতের উত্থান হলেও ঈদের ছুটির পর এক কার্যদিবস শেয়ার দর বাড়লেও এখন আবার কমছে।

মঙ্গলবার এ খাতের ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ২০টির, কমেছে ৩২টির; দর পাল্টায়নি চারটির।

সোমবার লেনদেন শেষে এ ধারাতেই পতন হয়েছিল বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর।

এদিন অনালিমা ইয়ার্ডের শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৯০ পয়সা বা ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। দেশ গার্মেন্টসের শেয়ার প্রতি দর কমেছে ১ টাকা ২০ পয়সা বা দশমিক ৯৪ শতাংশ।

শাশা ডেনিমের শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৪০ পয়সা বা ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

স্টাইল ক্রাফটের শেয়ার প্রতি দর কমেছে ১ টাকা ১০ পয়সা বা দশমিক ৭৪ শতাংশ।

ঢালাও কমেছে নন ব্যাংক ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের

ব্যাংক প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ নতুন মাত্রা দিয়েছে পুঁজিবাজারে। এ খাতের সিংহভাগ কোম্পানির এরই মধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, যা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অন্যান্য খাতের তুলনায় ছিল অনেক ভালো।

পাশাপাশি নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর ক্ষেত্রেও একইভাবে উত্থান ছিল পুঁজিবাজারে। তবে ঈদের ছুটির পর একদিন ব্যাংক খাতের উত্থান দেখা গেলেও পর পর দুদিন পতনের মুখে এ খাত।

মঙ্গলবার ব্যাংকখাতে তালিকাভুক্ত ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ছয়টির, কমেছে ২৪টির; দর পাল্টায়নি একটির।

একই ভাবে মিউচ্যুাল ফান্ড খাতের ৩৭টির মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র একটি ফান্ডের, কমেছে ২৮টির; দর পাল্টায়নি আটটির।

আর নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ২৩টির মধ্যে একটির দর পাল্টায়নি, একটি লেনদেন হয়নি; বাকি ২১টির দর কমেছে।

ফলে দর পতন হওয়ার শীর্ষ কোম্পানিগুলোর তালিকার শীর্ষে ছিল নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স কোম্পানির শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স লিমিটেডের শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ।

ফার ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৫ দশমিক ০৮ শতাংশ। ফারইস্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৫ শতাংশ।

সূচক ও লেনদেন

মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১০ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮২৯ পয়েন্টে।

শরিয়াহ ভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৮১ পয়েন্টে।

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৪ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৯৪ পয়েন্টে।

এদিন মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকা।

একদিনের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ১৮৫ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৮ দশমিক ৪২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৮৯৪ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে মোট ৬০ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:
চাঙা পুঁজিবাজারে উড়ছেই ব্যাংক, ঘুরল বিমাও

মন্তব্য

আরও পড়ুন

টঙ্গীবাড়ীতে নদীভাঙন রোধে মানববন্ধন

টঙ্গীবাড়ীতে নদীভাঙন রোধে মানববন্ধন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, ‘নদীভাঙন রোধে জায়গায় জায়গায় কিছু বালুর বস্তা ও ব্লক ফেলা হয়। কিন্তু এতে কোনো কার্যকর ফল পাওয়া যায় না। এখানে অনিয়ম-দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। ফলে ভাঙন রোধের বদলে মানুষ আরও বিপদে পড়ে।’

তিনি অভিযোগ করেন, টঙ্গীবাড়ী, লৌহজং ও মুন্সীগঞ্জের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে নদীভাঙনের শঙ্কায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। অথচ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বুধবার মুন্সীগঞ্জের দিঘিরপাড় বাজারে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. রিপন বলেন, পদ্মা-মেঘনায় অবৈধ ও অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনের কারণে ভাঙন আরও তীব্র আকার ধারণ করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে টেকসই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে তিনি পদ্মার তীরে মেরিন ড্রাইভ নির্মাণকে বিএনপির ভবিষ্যৎ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত করার আশ্বাস দেন।

তিনি বলেন, নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো যারা বসতবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান হারিয়েছে, তাদের সরকারি জমিতে পুনর্বাসন করা উচিত। এছাড়া বাঁধ নির্মাণ কাজের ধীরগতি, অবৈধ বালু উত্তোলন, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপের দাবি জানান তিনি।

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ড. রিপন বলেন, দেশে এক বছর ধরে কোনো নির্বাচিত সরকার নেই। ফলে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি অভিযোগ করেন, পানিসম্পদ উপদেষ্টা এখনো ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসেননি, অথচ এটি তার দায়িত্ব ছিল। আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস বাকি। এই কয়েক মাস থাকতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু হবে। কুচক্রী মহল চায় দেশে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত না হোক। তবে বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে এবং ইউনূস সরকারের রোডম্যাপ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে। মানববন্ধনে সর্বস্তরের জনগণ ছাড়াও স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

মন্তব্য

কাপাসিয়ায় শহীদ ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠান

কাপাসিয়ায় শহীদ ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠান

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের উদ্যোগে শহীদ ও মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত এবং অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ দোয়া অনুষ্ঠান হয়।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুদ্দীন খানের সভাপতিত্বে দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহিদুল হক। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সদস্য সচিব মো. মফিজ উদ্দিনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন আহমেদ নান্নু, কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা। এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন মণ্ডল, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রবিউল ইসলাম, সিরাজ উদ্দিন মাস্টার, মোজাম্মেল হক, রফিকুল আলম খান, সিরাজ উদ্দিন, কাপাসিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক আফজাল হোসাইন, সদস্য সচিব সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম শাহীন, কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন প্রমুখ। দোয়া অনুষ্ঠানে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের শতাধিক সদস্য অংশগ্রহণ করেন। দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কাপাসিয়া উপজেলা মডেল মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান।

দোয়া অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিগত দিনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৯৯১ সালে বিএনপির শাসনামলে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তাদের অবদান অনস্বীকার্য। তৎকালীন কাপাসিয়ার কৃতিসন্তান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত নেতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ্ মুক্তিযোদ্ধাদের ভবন নির্মাণের জন্য ইট এবং টাকার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু তখন দায়িত্বশীলরা তা লুটপাট করে খেয়েছে। তারপর থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের আর তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। দীর্ঘদিন পর একটি সুষ্ঠু পরিবেশে মুক্তিযোদ্ধারা একত্র হতে পেরে তারা অত্যন্ত খুশি। দীর্ঘ ৭ বছর যাবত নতুন ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। নতুন আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্বে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও সংস্কার করে ভবনটি উপজেলা ডায়াবেটিস সেন্টারকে ভাড়ার ভিত্তিতে দেওয়ার সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ১০ আগস্ট গাজীপুর জেলা কমান্ড ৭ সদস্যবিশিষ্ট কাপাসিয়া উপজেলা কমান্ড আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Astan Mollah is memorable of Naogaon

নওগাঁবাসীর স্মরণীয় হয়ে আছেন আস্তান মোল্লা

নওগাঁবাসীর স্মরণীয় হয়ে আছেন আস্তান মোল্লা

কখনো কি শুনেছেন, প্রজার ভয়ে রাজা নিরুদ্দেশ? শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, এমন ঘটনাই ঘটেছিল নওগাঁয়।

সদর উপজেলার দুবলহাটির জমিদার রাজা হরনাথ রায় চৌধুরীর নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগঠিত হয়ে সাধারণ কৃষকদের পক্ষ নিয়ে এক সাহসী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন আস্তান মোল্লা। তিনিই আজ নওগাঁবাসীর কাছে কৃষক বিদ্রোহের কিংবদন্তি। জমিদারের অত্যাচার ছিল সীমাহীন। অতিরিক্ত খাজনা, জোরপূর্বক ফসল ও গৃহপালিত পশু ছিনিয়ে নেওয়া, এমনকি সুন্দরী মেয়েদের অপহরণ-প্রজাদের ওপর একের পর এক নিপীড়ন চলতো। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রজারা এসব নিপীড়নের শিকার হতো। এমন এক সময়, সমাজে আবির্ভাব ঘটে আস্তান মোল্লার-যিনি প্রজাদের আশা-ভরসার প্রতীক হয়ে ওঠেন।

প্রচলিত আছে, ১৮৯৩ সালে রাজা হরনাথ রায় চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রায় ৫০-৬০ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার কৃষককে সংগঠিত করে বিদ্রোহ গড়ে তোলেন আস্তান মোল্লা। তার নেতৃত্বে সাত বছরব্যাপী চলা এই আন্দোলনের ফলে জমিদারকে খাজনা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হয়। ১৯৩২ সালে তিনি শান্তিপূর্ণভাবে ন্যায্যতার দাবি নিয়ে নওগাঁ আদালতে ‘শান্তি মামলা’ করেন, যার রায় যায় কৃষকদের পক্ষে। তদন্তের জন্য সেটেলমেন্ট অফিস থেকে পাঠানো হয় কাজী মাহিউদ্দিন নামে একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, যিনি কৃষকদের দাবি বৈধ বলে রায় দেন। ফলে জমিদারের অবস্থান আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। পরাজয়ের শঙ্কায় রাজা একপর্যায়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান, কখনো কলকাতা, কখনো অন্য প্রদেশে। শেষ পর্যন্ত তিনি নিরুদ্দেশ হয়ে পড়েন।

জানা যায়, আস্তান মোল্লার জন্ম ১৮৫০ সালে নওগাঁ সদর উপজেলার হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়নের হাঁসাইগাড়ী গ্রামে এক কৃষক পরিবারে। তিনি ছিলেন চার ভাইয়ের মধ্যে বড়। পিতার নাম ছিল আসফদি মোল্লা। ১৯৪০ সালে ৯০ বছর বয়সে নওগাঁ সদর হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার বসতভিটা এখনো গ্রামে রয়েছে, তবে জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত অবস্থায়।

ইতিহাস বলছে, রাজা মুসলিম প্রজাদের কোরবানি, গাভী দিয়ে হালচাষ এবং ধর্মীয় অধিকারেও হস্তক্ষেপ করতেন। একবার জমিদারের আত্মীয় শশীভূষণ মাদী ঘোড়ার গাড়িতে চড়লে, আস্তান মোল্লা প্রশ্ন করেছিলেন—"প্রজাদের মাদী গরু দিয়ে হালচাষ নিষিদ্ধ, অথচ আপনি মাদী ঘোড়ার গাড়িতে ঘুরে বেড়ান কিভাবে?"—প্রশ্ন শুনে শশীভূষণ সটকে পড়েন।

১৯৩১ সালে ভয়াবহ বন্যায় জমি ডুবে গেলে কচুরিপানা ও পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি নদীর বাঁধ কেটে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। জমিদারের বাধার কারণে কেউ সাহস পাচ্ছিল না। তখন আস্তান মোল্লা নিজেই মহকুমা প্রশাসক অন্নদাশংকর রায়কে সঙ্গে নিয়ে প্রজাদের নিয়ে বাঁধ কেটে দেন। পরে সেই বাঁধ নবনির্মাণের সময় উদ্বোধন করেন প্রশাসক নিজেই। এটি ছিল একটি অনন্য উদাহরণ প্রশাসন ও কৃষকের সম্মিলিত প্রয়াসের।

চিরস্মরণীয় বীর:

১৯৯২ সালে তার নামে প্রতিষ্ঠিত হয় “আস্তান মোল্লা কলেজ”। এখানে বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত, রয়েছে বাংলা, ইংরেজি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতিতে অনার্স কোর্স। শিক্ষক ও কর্মচারী রয়েছেন ৫৬ জন।

নওগাঁ চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “তিনি ছিলেন প্রজাদের প্রকৃত বন্ধু, ৭ বছরব্যাপী আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি জমিদারের দুঃশাসনের অবসান ঘটান।”

প্রবীণ লেখক আতাউল হক সিদ্দিকী বলেন, “আস্তান মোল্লা ছিলেন সাধারণ কৃষকের প্রতিনিধি। গায়ে ফতুয়া, পরনে লুঙ্গি, মাথায় টুপি, মুখে হালকা দাঁড়ি এভাবেই খালি পায়ে চলাফেরা করতেন। তার সাহসিকতা ও নেতৃত্ব ছিল অবিস্মরণীয়।

স্মৃতিচারণ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:

স্থানীয় সংগঠন একুশে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এম.এম রাসেল জানান, “দুবলহাটির গোয়ালী থেকে কাঠখৈইর পর্যন্ত সড়কটিতে আস্তান মোল্লার জীবনী সংবলিত স্মৃতিফলক স্থাপন করা দরকার, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তার অবদানের কথা জানতে পারে।

পরিশেষে বলতে হয়, আজ থেকে প্রায় শত বছর আগে নওগাঁয় এক কৃষক এসেছিলেন মানুষের মুক্তির বার্তা নিয়ে। রাজা পালিয়েছেন, জমিদার শাসন ভেঙেছে, কিন্তু আস্তান মোল্লা থেকে গেছেন মানুষের হৃদয়ে—একটি কৃষক বিদ্রোহের প্রতীক হিসেবে। তার সাহস, নেতৃত্ব, আইনগত লড়াই এবং মানবিক চিন্তার জন্য আজও তিনি নওগাঁবাসীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণীয় হয়ে আছেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Chandraghona Ferry movement on the Raikhali naval route

চন্দ্রঘোনা- রাইখালী নৌ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

চন্দ্রঘোনা- রাইখালী নৌ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ

রাঙামাটির কাপ্তাই লেক হতে কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬ টি জলকপাট দিয়ে ৩ ফুট করে পানি ছাড়ার ফলে কর্ণফুলী নদীতে প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারনে বুধবার দিবাগত রাত ৩ টা হতে চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে নদীর দুই পাশে যাত্রী সাধারণ চরম দূর্ভোগে পড়ে।

রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী( যান্ত্রিক) রনেল চাকমা বলেন, কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পীল ওয়ের ১৬ টি গেইট ছাড়ার ফলে কর্ণফুলী নদীতে প্রবল স্রোতের ফেরি চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে।

এদিকে দেখা যায়, নদীর দুই পাশে কিছু যানবাহন অপেক্ষা করছে পারাপারের জন্য। চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বাবু বলেন, এই নৌ - রুটে প্রাকৃতিক কারনে প্রায়শ ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। যার ফলে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। সেতু নির্মান হলে জনদূর্ভোগ কমবে।

মোটরসাইকেল আরোহী শহীদুল ইসলাম, সরফুল আলম এবং সুকুমার বড়ুয়া বলেন, ওপারে যাবার জন্য এসে দেখি ফেরি চলাচল বন্ধ। আমাদের কষ্টের শেষ নেই। এখানে সেতু হলে আমাদের দু:খ লাগব হবে।

বাস চালক শুক্কুর, রাজস্থলীর বাঙ্গালহালিয়া হতে আসা ব্যবসায়ী পুলক চৌধুরী, সিএনজি চালক আরিফ, বিপণন কর্মী নুরনবী এবং যাত্রী ওমর ফারুকসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, সকালে এসে দেখি ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের স্পীল ওয়ে ছাড়ার ফলে কর্ণফুলী নদীতে প্রচুর জোয়ার থাকায় ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এদিকে ফেরির ইনচার্জ মো: শাহজাহান এবং ফেরির চালক মো: সিরাজ এর সাথে। তাঁরা বলেন, কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হতে পানি ছাড়ার ফলে নদীতে অনেক স্রোত। তাই বুধবার দিবাগত রাত ৩ টা হতে আপাতত ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে স্রোত কমলে আমরা ফেরির চালার চেষ্টা করবো।

মন্তব্য

আদিবাসী শব্দ বাদ দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

আদিবাসী শব্দ বাদ দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

রাঙামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণে সচেতন ছাত্র- জনতা রাঙামাটি পার্বত্য জেলার উদ্যাগে বর্তমান সরকারের গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশে ১৯৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে ১১৩, ১৪৬,১৪৭,১৪৮ পৃষ্ঠায় বিতর্কিত আদিবাসী শব্দের ব্যবহারের প্রতিবাদে ও উক্ত প্রতিবেদন থেকে আদিবাসী শব্দ বাদ দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলার সভাপতি তাজুল ইসলাম তাজ এর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ মোশাররফ হোসেন এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিএনপি'র কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সম-অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিএনপি'র রাঙামাটি জেলা সভাপতি মোহাম্মদ সোলায়মান। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, পিসিএনপি'র রাঙামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহিম, পিসিএনপি'র সহ-সভাপতি কাজী জালোয়া, পিসিসিপি'র কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আসিফ ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ, যুগ্ন সম্পাদক হাবীব আল মাহমুদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন, রাঙামাটি জেলা সাধারণ সম্পাদক মো: আলমগীর হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ইসমাঈল গাজী প্রমুখ।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত (৫ আগষ্ট ২০২৪) হাজার প্রাণের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার পথে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। এরপর আমরা আশা করেছিলাম দেশের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র বন্ধ হবে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু উপজাতীয় কুচক্রী মহল ও সমতলের বাম সংগঠনের সুশীল নামধারী ষড়যন্ত্রকারীরা দীর্ঘদিন ধরে আদিবাসী ইস্যু নিয়ে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। মূলত গণমাধ্যমে আদিবাসী শব্দের ব্যবহার এরপরে সাংবিধানিক স্বীকৃতি আদায় এরপরে বাংলাদেশ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করার এমনি ভয়ংকর পরিকল্পনা থেকে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনে সুপারিশ কৃত প্রতিবেদনে আদিবাসী শব্দের ব্যবহার করেছে যা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। পাহাড়ের শান্তিপ্রিয় দেশ প্রেমিক সচেতন ছাত্র-জনতারা আশা করেন দেশের অখন্ডতা রক্ষায় গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনে সুপারিশকৃত প্রতিবেদন থেকে প্রধান উপদেষ্টা আদিবাসী শব্দ বাদ দিবেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Naogaon journalist in jail for terrorist attacks

নওগাঁয় সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার দায়ে জেল হাজতে

নওগাঁয় সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার দায়ে জেল হাজতে

নওগাঁয় সাংবাদিক এ কে সাজুর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি কনক এবং ৮ নম্বর আসামি মোকাব্বের হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার দুপুরে নওগাঁর মহাদেবপুর আমলী আদালতের বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারেক আজিজ এই আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার প্রধান আসামি কনক ও অপর আসামি মোকাব্বের হোসেন এ দিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিচারক তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে এই মামলায় আরও দুইজন আসামির জামিনও নামঞ্জুর করে আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক হাদিউল ইসলাম জানান, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মোট ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অভিযুক্তদের মধ্যে চারজন ইতোমধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে এবং সবাইকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট বিকেল ৫টার দিকে ডিবিসি নিউজের নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি এ কে সাজু মহাদেবপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে একদল সন্ত্রাসী তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক সাজু নিজেই বাদী হয়ে মহাদেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

সাংবাদিকের ওপর এমন ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক মহলসহ সচেতন মহলে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Bagerhat on the first day of the 4 hour strike

৪৮ ঘন্টার হরতালের প্রথম দিনেই অচল বাগেরহাট

৪৮ ঘন্টার হরতালের প্রথম দিনেই অচল বাগেরহাট

‎চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে বুধবার ভোর থেকে শুরু হওয়া ৪৮ঘন্টা সর্বাত্মক হরতাল, সড়ক-মহাসড়ক অবরোধের প্রথম দিনেই অচল হয়ে পড়ে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দর মোংলাসহ পুরো বাগেরহাট জেলা। বিএনপি জামায়াতসহ সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা ৪৮ঘন্টার একটানা হরতাল ও সড়ক-মহাসড়ক অবরোধের প্রথম দিন ভোর থেকে বাগেরহাট থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, রংপুরসহ ৪৮টি দূরপাল্লার ও আন্তজেলার সব রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

মোংলা বন্দরের আমদানী-রপ্তানী পন্য সড়ক পথে পরিবহনও বন্ধ রয়েছে। হরতালকারিরা সকালে জেলা, উপজেলার নির্বাচন অফিস ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়ায় কর্মকর্তা কর্মচারিরা অফিসে ঢুকতে পারেনি। জেলার সব উপজেলা ও পৌর শহরগুলোতে সর্বাত্বক হরতাল পালিত হচ্ছে। হরতালের প্রথম দিনে শহরের দোকানপাট, ব্যবসা, ব্যাংক, বীমা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি অফিসের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। হরতাল ও সড়ক অবরোধে জেলার মোরেলগঞ্জে পানগুছি ও মোংলা নদীতে সড়ক বিভাগের ফেরীসহ খেয়া চলাচলও বন্ধ রয়েছে। জেলার সড়ক-মহাসড়কের অন্তত ৩০টি পয়েন্টে পিকেটাররা টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছ ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় মোংলা বন্দরসহ পুরো বাগেরহাট সারাদেশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাগেরহাট বিসিক শিল্প নগরী, মোংলা ইপিজেডসহ শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক না আসতে পারায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। মোংলা বন্দরের পন্য সড়ক পথে আনা নেয়ার কাজও বন্ধ রয়েছে। সব শ্রেনী-পেশার মানুষের অংশ গ্রহনে মোংলা বন্দরসহ বাগেরহাট জেলাজুড়ে ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ড কার্যত থমকে দাড়িয়েছে।‎প্রথম দিনের হরতাল চলাকালে এখন পর্যন্ত কোন অপ্রতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে, কোন অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুল সংখক পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে