টানা নয় কার্যদিবস উত্থানের পর পুঁজিবাজারে সামান্য দরপতন হলো। তবে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনায় ব্যাপক আগ্রহের কারণে লেনদেন আরও বেড়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক কমে ১০ পয়েন্ট। গত ৩ মের পর এই প্রথম সূচক কমল।
তবে সূচক কমলেও লেনদেন আগের দিনের চেয়ে আরও বেড়ে পৌনে দুইশ কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই হয়ে গেছে।
ঈদের ছুটি শেষে পুঁজিবাজারে গত ১০ বছরেও এত বেশি লেনদেন হয়নি বলে জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কমিশনার শেখ সামছুদ্দিন আহমেদ।
ঈদের ছুটি শেষে রোববার বাজারে লেনদেন হয় এক হাজার ৪১৯ কোটি টাকা। পরদিন তা আরও বেড়ে হয় এক হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা।
আর তার পরদিন লেনদেন হলো এক হাজার ৭১৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
এটি গত চার মাসে সর্বোচ্চ লেনদেন। গত ১৭ জানুয়ারি লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ৩৮৪ কোটি টাকা।
তবে সে সময়ের তুলনায় লকডাউন পরিস্থিতিতে এখন লেনদেন কম হচ্ছে এক ঘণ্টা।
গত বছরের জুলাই থেকে পুঁজিবাজারে যে টানা উত্থান দেখা যায়, সেটি চালু থাকে জানুয়ারির শুরু পর্যন্ত। ডিসেম্বরের শেষে ও জানুয়ারির শুরুতে পুঁজিবাজারে টানা ১০ দিন গড়ে দুই হাজার কোটি টাকার আশেপাশে লেনদেন হয়।
তবে ১৪ জানুয়ারি থেকে আড়াই মাসেরও বেশি সময়ে বাজার সংশোধনে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ৮২১ পয়েন্ট সূচক পতনে লেনদেনও নেমে আসে তলানিতে। এক পর্যায়ে একদিন তা ৩০০ কোটি টাকার নিচেও নেমে আসে।
তবে ৫ এপ্রিল থেকে পুঁজিবাজারে আবার দেখা দেয় সুবাতাস। এরপর ২৯ কার্যদিবসে সূচক বাড়ে ৭৪১ পয়েন্ট। সূচক বাড়ার পাশাপাশি বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের বাধাগুলা দূর করার উদ্যোগ নিতে থাকে বিএসইসি।
এসব চেষ্টায় দীর্ঘদিন পর গত ২০ এপ্রিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন এক হাজার কোটি টাকা ছাড়ায়। এরপর সব মিলিয়ে আরও চার দিন এক হাজার কোটি টাকার নিচে থাকে লেনদেন।
তবে রোজায় দেখা দেয় এক ব্যতিক্রম প্রবণতা। ঈদের আগে আগে সাধারণত বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নেন। তবে এবার দেখা দেয় উল্টো প্রবণতা। বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনায় মন দেন। গত ২৯ এপ্রিলের পর ১২ কার্যদিবসে লেনদেন একবারও এক হাজার কোটি টাকার নিচে নামেনি।
উত্থান ধরে রেখেছে বিমা খাত
মঙ্গলবার ডিএসইর লেনদেনে শেয়ার দরের উত্থান ধরে রেখেছে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানিগুলো। এদিন লেনদেন বিমা খাতের ৫০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩৫টির। কমেছে ১২টির; দর পাল্টায়নি তিনটির।
পুঁজিবাজার ঈদের ছুটিতে যাওয়ার আগের তিন কার্যদিবস ধারাবাহিকভাবে কমেছিল এ খাতের শেয়ার দর। দর পতনের এই ধারা অব্যাহত ছিল রোববার পর্যন্ত। কিন্ত ঈদের ছুটির পর দ্বিতীয় লেনদেন থেকে আবার সক্রিয় হয়ে উঠে এ খাতের শেয়ার দর। যা গত দুই কার্যদিবস ধরে অব্যাহত আছে।
মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া দশ কোম্পানির মধ্যে পাঁচটিই ছিল বিমা খাতের।
সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের। শেয়ার দর ৪৮ টাকা থেকে হয়েছে ৫২ টাকা ৮০ পয়সা।
এরপর আছে সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ার দর ৪০ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪৪ টাকা ১০ পয়সা।
মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সে শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪৭ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫১ টাকা ৭০ পয়সা।
জনতা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। শেয়ার প্রতি দর ৩৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৩ টাকা ৩০ পয়সা।
ফনিক্স ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দরও বেড়েছে ৭ দশমিক ১৯ শতাংশ। এ তালিকায় আছে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স।
টেকেনি বস্ত্র খাতের উত্থান
পুঁজিবাজার ঈদের ছুটিতে যাওয়ার আগে হঠাৎ করে উত্থানে আসে তালিকাভুক্ত বস্ত্রখাতের কোম্পানিগুলো। এ খাতের প্রায় সবগুলো কোম্পানির অর্থবছর শেষ হচ্ছে জুনে। ফলে আগামী তিন মাসের ব্যবধানে কোম্পানিগুলোর চূড়ান্ত মুনাফার বিপরীতে লভ্যাংশ ঘোষণার প্রস্তাব আসবে।
এমন আলোচনায় এ খাতের উত্থান হলেও ঈদের ছুটির পর এক কার্যদিবস শেয়ার দর বাড়লেও এখন আবার কমছে।
মঙ্গলবার এ খাতের ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ২০টির, কমেছে ৩২টির; দর পাল্টায়নি চারটির।
সোমবার লেনদেন শেষে এ ধারাতেই পতন হয়েছিল বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর।
এদিন অনালিমা ইয়ার্ডের শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৯০ পয়সা বা ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। দেশ গার্মেন্টসের শেয়ার প্রতি দর কমেছে ১ টাকা ২০ পয়সা বা দশমিক ৯৪ শতাংশ।
শাশা ডেনিমের শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৪০ পয়সা বা ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
স্টাইল ক্রাফটের শেয়ার প্রতি দর কমেছে ১ টাকা ১০ পয়সা বা দশমিক ৭৪ শতাংশ।
ঢালাও কমেছে নন ব্যাংক ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের
ব্যাংক প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ নতুন মাত্রা দিয়েছে পুঁজিবাজারে। এ খাতের সিংহভাগ কোম্পানির এরই মধ্যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, যা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অন্যান্য খাতের তুলনায় ছিল অনেক ভালো।
পাশাপাশি নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর ক্ষেত্রেও একইভাবে উত্থান ছিল পুঁজিবাজারে। তবে ঈদের ছুটির পর একদিন ব্যাংক খাতের উত্থান দেখা গেলেও পর পর দুদিন পতনের মুখে এ খাত।
মঙ্গলবার ব্যাংকখাতে তালিকাভুক্ত ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ছয়টির, কমেছে ২৪টির; দর পাল্টায়নি একটির।
একই ভাবে মিউচ্যুাল ফান্ড খাতের ৩৭টির মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র একটি ফান্ডের, কমেছে ২৮টির; দর পাল্টায়নি আটটির।
আর নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ২৩টির মধ্যে একটির দর পাল্টায়নি, একটি লেনদেন হয়নি; বাকি ২১টির দর কমেছে।
ফলে দর পতন হওয়ার শীর্ষ কোম্পানিগুলোর তালিকার শীর্ষে ছিল নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স কোম্পানির শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স লিমিটেডের শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ।
ফার ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৫ দশমিক ০৮ শতাংশ। ফারইস্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৫ শতাংশ।
সূচক ও লেনদেন
মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১০ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮২৯ পয়েন্টে।
শরিয়াহ ভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৮১ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৪ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৯৪ পয়েন্টে।
এদিন মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকা।
একদিনের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ১৮৫ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৮ দশমিক ৪২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৮৯৪ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে মোট ৬০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে মোট ৪২ হাজার ৬১৮টি ভোটকেন্দ্র স্থাপনের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে ব্রিফিংকালে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, 'আমাদের রোডম্যাপের আওতায় আজ ভোটকেন্দ্রের সংখ্যাগত একটি হিসাব প্রকাশ করছি। বর্তমানে ১০টি অঞ্চলের আওতায় ৬৪ জেলায় ৩০০ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৬১ লাখ ৬১ হাজার ২০১ জন। এবার গড়ে প্রতি ৩ হাজার ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র করার ভিত্তিতে মোট ৪২ হাজার ৬১৮টি ভোটকেন্দ্র প্রস্তাব করা হয়েছে।'
ইসি সচিব আরও জানান, ভোটকেন্দ্রে পুরুষ ও মহিলা ভোটকক্ষের পৃথক হিসাব করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে গড়ে ৬০০ পুরুষ ভোটারের জন্য একটি এবং ৫০০ মহিলা ভোটারের জন্য একটি করে ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ হিসাবে পুরুষ ভোটকক্ষ হবে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৯টি এবং মহিলা ভোটকক্ষ হবে ১ লাখ ২৯ হাজার ১০৭টি। সব মিলিয়ে মোট ভোটকক্ষ দাঁড়াবে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬টি।
তিনি বলেন, গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ৪২ হাজার ১৫০টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ৪৭২টি। এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে, তবে ভোটকক্ষের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কমেছে।
সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, আজ প্রকাশিত খসড়া তালিকার ওপর দাবী-আপত্তি ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গ্রহণ করা হবে। দাবী-আপত্তি নিষ্পত্তি হবে ১২ অক্টোবর। এরপর ২০ অক্টোবর চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
যশোরের কেশবপুর উপজেলার বিল খুকশিয়া এলাকায় মাছের ঘেরের ভেড়িতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন চাষিরা। এ আবাদে ভালো ফলন পেয়ে বেশ লাভবান হচ্ছেন তারা। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে যাচ্ছে গ্রীষ্মকালীন এ তরমুজ। তরমুজ চাষে লাভবান হওয়ায় অনেক কৃষক নতুন করে এ আবাদে ঝুঁকছেন। কৃষি বিভাগসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা তরমুজ আবাদ পরিদর্শন করে চাষিদের এ আবাদে উদ্বুদ্ধ করছেন।
কেশবপুর উপজেলা সদর থেকে ১৮ প্রায় কিলোমিটার দূরে শ্রীহরি নদীর তীরে অবস্থিত বিল খুকশিয়া। এ বিলের ৬ হাজার ৩৭৫ বিঘা ফসলি জমি দীর্ঘ ২০ থেকে ২২ বছর যাবৎ জলাবদ্ধতা থাকায় কৃষকেরা ফসল ফলাতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েন। বিলের জলাবদ্ধতা নিরসন করে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে ২০০৫ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড শ্রীহরি নদীতে নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে এবং বিল খুকশিয়ার তলদেশ উঁচু করার জন্য জোয়ার আঁধার (টিআরএম) প্রকল্প গ্রহণ করলেও সফলতা মেলেনি। প্রকল্প শেষে জমির মালিক কৃষকরা বিলটিতে মাছের ঘের তৈরি করেন এবং মাছের ঘেরের ভেড়িতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেন। তরমুজ চাষ করে কৃষকরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন।
সরেজমিন বিল খুকশিয়ায় গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ ঘেরের বেড়িতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। কৃষক ইকবাল হোসেন দৈনিক বাংলা পত্রিকার প্রতিনিধি হারুনার রশীদ বুলবুল কে বলেন, তিনি ১৩ বিঘা মাছের ঘেরের ভেড়িতে ১ হাজার ৪০০টি তরমুজের মাদা তৈরি করে ফলন পেয়েছেন ২৭৫ মণ। প্রতি মণ তরমুজ ১ হাজার ২০০ টাকা করে বিক্রি করছেন। তিনি সর্বোচ্চ ১৪ কেজি ওজনের তরমুজ পেয়েছেন। একইভাবে আবদুল হালিম খান মাছের ঘেরের ভেড়িতে ১২০টি মাদা তৈরি করে ৩০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। কৃষক আবদুল কুদ্দুস ৭ বিঘা মাছের ঘেরের ভেড়িতে তরমুজ চাষ করেছেন। তার উৎপাদিত তরমুজ আকারেও বেশ বড়। সুফলাকাটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম দৈনিক বাংলার প্রতিনিধি কে বলেন , দীর্ঘ ২০ থেকে ২২ বছর বিল খুকশিয়া জলাবদ্ধতা হয়ে থাকায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। ২০০৫ সালে ওই বিলে টিআরএম প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্প শেষে বিলটিতে কৃষকরা মাছের ঘের তৈরি করেন। ওইসব ঘেরের ভেড়িতে এ বছর কৃষকরা তরমুজ চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। ধান, মাছ চাষের পাশাপাশি তরমুজ চাষে কৃষকের মুখে হাসি ফিরেছে। এদিকে কেশবপুর উপজেলায় অনেক শিক্ষিত যুবক গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করায় ব্যাপক সাড়া দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিল খুকশিয়ায় মাছের ঘেরের ভেড়িতে তরমুজ চাষ ওই এলাকার কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করছে। এশিয়ান-১, পাকিজা সুপার, ব্লাক কিং, ব্লাক কুইন জাতের তরমুজ এখানে বেশি আবাদ করা হয়েছে। এ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ব করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন দৈনিক বাংলা কে বলেন, মাছের ঘেরের ভেড়িতে তরমুজ চাষের পাশাপাশি বিভিন্ন সবজি চাষ করে এলাকার কৃষকরা অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের তরমুজ চাষে উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে। পাশাপাশি আমার পক্ষ থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করবো।
মিথ্যা তথ্য দিয়ে ১০ কাঠার প্লট নেওয়ার ঘটনায় দুদকের করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার দেখিয়েছেন আদালত। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া তাকে গ্রেপ্তার দেখান। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন।
এদিন খায়রুল হককে আদালতে হাজির করা হয়।
এরপর তার উপস্থিতিতে শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে আদালত তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এসময় আসামিপক্ষে আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহিন জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ৬ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে খায়রুল হকসহ আটজনকে আসামি করা হয়।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, সদস্য (অর্থ ও এস্টেট) আ.ই.ম গোলাম কিবরিয়া, সদস্য মো. আবু বক্কার সিকদার, সদস্য (পরিকল্পনা) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার, সদস্য (এস্টেট) আখতার হোসেন ভুইয়া, সাবেক যুগ্ম সচিব ও সদস্য (উন্নয়ন) এম মাহবুবুল আলম এবং সদস্য (প্রশাসন ও ভূমি) নাজমুল হাই।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর ২ নম্বর শিক্ষা সম্প্রসারণ সড়কে (নায়েম রোড) পৌনে ১৮ কাঠা জমির ওপর ৬ তলা পৈতৃক বাড়ি রয়েছে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের। কিন্তু তিনি দেশের প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে দ্য ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (অ্যালটমেন্ট অব ল্যান্ডস) রুলস, ১৯৬৯ এর বিধি ১৩ লঙ্ঘনের মাধ্যমে হলফনামা দাখিল করে রাজউকের ১০ কাঠা প্লট বাগিয়ে নেন। খায়রুল হক প্লট বরাদ্দের শর্ত ভঙ্গ করে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। রাজউকের কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় সুদ মওকুফের কোনো বিধান না থাকা সত্ত্বেও প্লট বরাদ্দের জন্য সাময়িক বরাদ্দপত্রে শর্ত ভঙ্গ করেন। তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুদসহ কিস্তির টাকা জমা না দিয়ে অবসরের পর অর্থাৎ বরাদ্দের ৫ বছর পর সুদবিহীনভাবে টাকা জমা দেন।
এ ক্ষেত্রে রাজউকের প্রচলিত নীতিমালা ভঙ্গ করে বিশেষ সুবিধা গ্রহণ করে সুদবাবদ চার লাখ ৭৪ হাজার ২৪০ টাকা পরিশোধ না করে সরকারের ক্ষতিসাধন ও আত্মসাৎ করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
গত ২৪ জুলাই সকালে ধানমণ্ডির বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় ওইদিন রাতে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২৯ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে বেআইনি রায় দেওয়া ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় করা মামলায় তাকে ভার্চুয়ালি গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত ৩০ জুলাই বিচারক হিসেবে দুর্নীতি ও বিদ্বেষমূলকভাবে বেআইনি রায় প্রদানসহ জাল রায় তৈরির অভিযোগে শাহবাগ থানার মামলায় তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে গত ৭ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ঝিনাইদহের মহেশপুরে মাত্র ৩ টাকায় পাওয়া যায় সুস্বাদু রসগোল্লা। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও বাস্তবে এ মিষ্টির স্বাদ এমন যে, একবার খেলে আবারও কিনতে ইচ্ছে হয়। আকারে ছোট হলেও স্বাদে বড় বড় দোকানের মিষ্টিকেও হার মানিয়েছে এই রসগোল্লা। খাঁটি ছানার তৈরি হওয়ায় মুখে দিলেই গলে যায়। এতে নেই কোনো ভেজাল, কৃত্রিম রং বা অতিরিক্ত ঘ্রাণ; কেবল খাঁটি দুধের স্বাদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহেশপুর উপজেলার শিবানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা সুমাল ঘোষ তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে নিজ হাতে তৈরি মিষ্টি বিক্রি করছেন। প্রতিদিন সকালে বাইসাইকেল নিয়ে বের হন তিনি এবং মহেশপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে রসগোল্লা বিক্রি করেন। আগে প্রতিটি রসগোল্লা বিক্রি হতো ২ টাকায়, বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩ টাকায়। দাম সামান্য বাড়লেও ক্রেতার চাহিদা কমেনি, বরং বেড়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় এক হাজার পিস রসগোল্লা বিক্রি করেন তিনি। সেই আয়ে চলে তার সংসার।
স্থানীয় ক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘৩ টাকায় এত সুস্বাদু রসগোল্লা পাওয়া সত্যিই অবিশ্বাস্য। আমরা প্রতিদিনই তার কাছ থেকে কিনি। দাম কম, স্বাদ অসাধারণ।’
আরেক ক্রেতা স্কুলশিক্ষক মাহবুব হোসেন বলেন, ‘বড় দোকানের রসগোল্লার চেয়ে সুমাল ঘোষের বানানো রসগোল্লা অনেক বেশি খাঁটি ও সুস্বাদু। তাই বাজারে যত মিষ্টির দোকানই থাকুক, মানুষ ওনার কাছেই ভিড় জমায়।’
মহেশপুরের বাসিন্দা রাসেল হোসেন বলেন, ‘সুমাল ঘোষের রসগোল্লা এখন এলাকার একটি জনপ্রিয় নাম। কম দামে মানসম্মত মিষ্টি পাওয়ায় প্রতিদিনই তার ক্রেতা বাড়ছে।’
এ বিষয়ে সুমাল ঘোষ বলেন, ‘কম লাভ, বেশি বিক্রিই আমার ব্যবসার নীতি। দিনে এক হাজার পিস বিক্রি করতে পারলেই সংসার চলে যায়। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় মানুষ আমার মিষ্টির স্বাদ পছন্দ করছে, এটিই আমার বড় প্রাপ্তি।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন আগামীকাল বৃহস্পতিবার। ৩৩ বছর পর হচ্ছে এই নির্বাচন। কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫ পদে লড়ছেন ১৭৭ জন। হল সংসদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৪৫ জন। কেন্দ্রীয় সংসদে ভিপি পদে ৯ ও জিএস পদে লড়ছেন আটজন। শেষ মুহূর্তে জিএস পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দা অনন্যা ফারিয়া। অন্যদিকে হাইকোর্টের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর চেম্বার আদালতে এ রায় স্থগিত হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী অমর্ত্য রায়।
নির্বাচনে ভোটার ১১ হাজার ৯১৯ জন। ভোটারের ৪৮ দশমিক ৮ শতাংশ ছাত্রী। প্রচার শেষ হয়েছে গতকাল রাত ১২টায়। এদিন সকাল থেকে প্রচারে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন বিভিন্ন প্যানেলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবন এলাকায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম প্যানেলের প্রার্থীদের প্রচার চালাতে দেখা যায়। ভোটারদের সবার কাছে পৌঁছাতে না পারলেও প্রার্থীরা বলছেন, আদর্শ, যোগ্যতা, নৈতিকতা ও শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ বিবেচনায় শিক্ষার্থীরা প্রার্থী বেছে নিবেন।
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন প্যানেলের জিএস প্রার্থী শাকিল আলী বলেন, ‘সব হলের শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো কঠিন। গণঅভ্যুত্থানের আগে ও পরে যারা শিক্ষার্থীদের পক্ষে থেকে কাজ করেছেন, তাদের যেন শিক্ষার্থীরা বেছে নেন।’
ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের জিএস প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যোগ্য, নৈতিকভাবে সৎ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করবেন– এমন প্রার্থীদের বেছে নিবেন বলে প্রত্যাশা করি।’
বুথ ২২৪টি, নিরাপত্তায় পুলিশ-আনসার
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জাকসু নির্বাচনে বিভিন্ন হলে ২২৪টি বুথ বসানো হবে। ব্যালট পেপারে টিক চিহ্নের মাধ্যমে ভোট দিতে হবে। প্রতি ২০০ ব্যালট পেপারের জন্য একটি বাক্স থাকবে। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদের ব্যালট বাক্স আলাদা করে চিহ্নিত থাকবে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ৬৭ জন পোলিং এজেন্ট এবং ৬৭ জন সহকারী অফিসার কেন্দ্রগুলোতে উপস্থিত থাকবেন, যারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি গেটে এক হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন। ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তার জন্য আনসার মোতায়েন করা হবে।
দুই হলে হবে না হল সংসদের ভোট
হল সংসদ নির্বাচনে বেগম সুফিয়া কামাল হল ও নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলে সব প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। এই দুই হলে শুধু কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। বেগম সুফিয়া কামাল হলে ১৫ পদের ১০টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন, বাকি পাঁচ পদ শূন্য রয়েছে। নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলে ১৫ পদের ছয়টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন প্রার্থীরা, বাকি ৯টি পদ শূন্য রয়েছে।
প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক
গতকাল সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট করা হয়। কেন্দ্রীয় সংসদের ১৬৩ জন ও হল সংসদের ৪০৩ জন পরীক্ষার নমুনা দিয়েছেন। বাধ্যতামূলক করা হলেও ৫৬ প্রার্থী নমুনা দেননি।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের বাগোয়ান কান্দিরপাড়া গ্রামে মন্ডল গ্রুপ ও সর্দার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে সর্দার গ্রুপের দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন।
নিহতরা হলেন ওই গ্রামের মৃত হামের সর্দারের ছেলে সারফান সর্দার (৫০) এবং তাঁর ভাগনে মৃত বিছার সর্দারের ছেলে বাইজিদ সর্দার (৩৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাগোয়ান কান্দিপাড়া বাজার এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সারফান সর্দার। গুরুতর আহত অবস্থায় বাইজিদ সর্দারকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। আহত আরও চারজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নিহত সারফান সর্দারের মেয়ে মিম খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ‘রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পাশের একটি বাগানে আমার বাবাকে পা কেটে ও গলা কেটে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।’
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে সর্দার গ্রুপের দুজন নিহত হয়েছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে পাশাপাশি সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে। এ ঘটনায় রাতেই তিন থেকে চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগমের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন।
আজ সকালে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান সাংবাদিকদের জানান, রাহাত আরা বেগমের চিকিৎসকের শিডিউল আগে থেকেই নেওয়া ছিল। সেই অনুযায়ী আজ তারা সিঙ্গাপুর গেছেন।
তিনি জানান, সকাল ৮টা ১০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তারা রওনা হন। তবে, চিকিৎসার জন্য তারা কতদিন সিঙ্গাপুরে থাকবেন, তা জানাননি শায়রুল।
মন্তব্য