মহামারির প্রথম বছরে আগের বছরের চেয়ে বেশি আয় করে বেশি লভ্যাংশ দেয়া ব্যাংকিং খাত এবারও আয়ের প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। বছরের প্রথম প্রান্তিকে বেশির ভাগ ব্যাংকই আগের বছরের চেয়ে বেশি আয় করেছে। এতে বিনিয়োগকারীরা এই খাতটি নিয়ে আবার আশাবাদী হয়ে উঠছেন।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে বছর শেষে চূড়ান্ত আয় জানিয়ে লভ্যাংশ ঘোষণার পাশাপাশি বছরের আরও তিনবার তিন মাস করে আয়ের হিসাব বিবরণী প্রকাশ করতে হয়।
ব্যাংকের অর্থবছর শেষ হয় ডিসেম্বরে। ফলে তাদের প্রথম প্রান্তিক জানুয়ারি থেকে মার্চ, দ্বিতীয় প্রান্তিক এপ্রিল থেকে জুন, তৃতীয় প্রান্তিক জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রান্তিক ঘোষণা করতে হয়।
প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ করতে কোম্পানিকে ৪৫ দিন সময় দেয়া হয়। তবে করোনার কারণে আরও এক মাস সময় বাড়ানো হয়েছে এবার।
তালিকাভুক্ত ৩১ ব্যাংকের মধ্যে ২০টি তাদের প্রথম প্রান্তিকের আয় প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ১৫টির আয় গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। একটি ব্যাংকের আয় প্রায় তিন গুণ হয়েছে, একটির হয়েছে দ্বিগুণ। এ ছাড়া দেড় গুণ হয়েছে আরও বেশ কিছু ব্যাংকের শেয়ারদর।
মহামারির বছরে ব্যাংকে আয় ও লভ্যাংশ কমে যাবে-এমন আশঙ্কার কারণে পুঁজিবাজারে এই খাতটি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের নেতিবাচক মনোভাব দেখা গেছে গত বছরের শেষ সময় থেকে।
এর মধ্যে ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফার যে খবর গণমাধ্যমে আসে, তাতে দেখা যায়, সিংহভাগ ব্যাংকের আয় অনেক কমে গেছে।
তবে চূড়ান্ত মুনাফার ক্ষেত্রে দেখা যায় উল্টো চিত্র। গত বছরের চেয়ে বেশি আয় করে বিনিয়োগকারীদের বেশি লভ্যাংশ দিয়ে চমকে দিয়েছে কোম্পানিগুলো। এবার লভ্যাংশের ক্ষেত্রে নগদে গুরুত্ব দেয়ায় বাজারে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা যোগ হতে যাচ্ছে।
২০২০ সালের মার্চে দেখা দেয়া করোনা মহামারি শেষ হওয়ার লক্ষণই নেই। তবে গত ডিসেম্বরের মুনাফা দেশে এবার ব্যাংক নিয়ে আতঙ্ক যে কমেছে, সেটি গত কয়েক দিনের শেয়ার লেনদেনের তথ্যই বলছে। দীর্ঘদিন পর আবার ব্যাংকের শেয়ারে আগ্রহী হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। বাড়ছে দাম।
চলতি বছরও এখন পর্যন্ত ব্যাংকের মুনাফার যে চিত্র, তা বিনিয়োগকারীদের আশান্বিত করতেই পারে।
কঠিন পরিস্থিতিতেও ব্যাংকিং খাত কীভাবে ভালো করছে তার কারণ জানিয়েছেন ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ নেই, ঋণ বিতরণ কমে গেছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণগ্রহীতাদের ঋণ পরিশোধে জুন পর্যন্ত ছাড় দেয়া হয়েছে। এর ফলে প্রভিশনিংয়ে ব্যাংকগুলো কিছুটা ছাড় পেয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ব্যাংকের আয়ে।’
ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টের সাবেক গবেষণাপ্রধান দেবব্রত কুমার সরকার বলেন, ‘ব্যাংকগুলো এখন কম সুদে আমানত পাচ্ছে। ঋণের সুদহারের সঙ্গে আমানতের সুদহারের পার্থক্য অন্তত ৫০ শতাংশ। এ কারণে তাদের মুনাফা বাড়ছে। এ ছাড়া মহামারির কারণে ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশ ছাড় দিয়েছে। এটাও আরেক কারণ।
ডাচবাংলা ব্যাংকের একজন মহাব্যবস্থাপক (জিএম) নিউজবাংলাকে জানান, অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় ২০২০ সালে ঋণ পরিশোধ না করেও খেলাপিমুক্ত থাকার সুযোগ পেয়েছেন ঋণগ্রহীতারা। আর এ কারণে খেলাপি ঋণের বিপরীতে তাদেরকে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী খেলাপি ঋণের মানভেদে নিরাপত্তা সঞ্চিতির হার ৫ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত। যেহেতু খেলাপি ঘোষণা করা যায়নি, তাই এই সঞ্চিতি সংরক্ষণের দরকার পড়েনি। ফলে ব্যাংকের ব্যালান্স শিট মহামারিকালে আগের বছরের চেয়ে ভালো দেখাচ্ছে।
গত বছরের মার্চ মাসে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত কেউ কিস্তি না দিলেও খেলাপি করা যাবে না। পরে তিন দফায় এই নির্দেশনার কার্যকারিতা বাড়িয়ে আগামী জুন পর্যন্ত করা হয়।
ব্যাংকের মুনাফা বৃদ্ধি পুঁজিবাজারের জন্য ভালো খবর হিসেবে মনে করেন দেবব্রত কুমার। তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারের মূল্য আয় অনুপাত ১৫-এর বেশি। কিন্তু ব্যাংক খাতে এটি ১০-এর চেয়ে অনেক কম। তারা যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার পর এবার যে হারে আয় করছে, সেটি কেবল ব্যাংকিং খাত নয়, পুরো বাজারের জন্যই ভালো হবে। কারণ, ব্যাংকই পুঁজিবাজারের প্রাণ। বিনিয়োগকারীরা এই খাতে আকৃষ্ট হলে সেটি বাজারে আরও গতি আনবে।’
আয় বেড়েছে যেসব ব্যাংকের
প্রাইম ব্যাংকের আয় প্রায় তিন গুণ বেড়েছে বছরের প্রথম প্রান্তিকে। আগের বছর যেখানে আয় ছিল ৪৬ পয়সা, সেখানে এবার আয় বেড়ে হয়েছে ১ টাকা ৩৪ পয়সা।
এই আয় ২০২০ সালে ব্যাংকটির পুরো বছরের আয়ের প্রায় কাছাকাছি। ওই বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৫৯ পয়সা।
টাকার অঙ্কে মুনাফা খুব বেশি না বাড়লেও শতকরা হিসেবে দ্বিগুণ হয়েছে চাপে থাকা এবি ব্যাংকের। বছরের প্রথম তিন মাসে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৬ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮ পয়সা। শতকরা হিসেবে ইপিএস বেড়েছে ১০০ শতাংশ।
গত বছর মুনাফা কমে যাওয়া ব্র্যাক ব্যাংক চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে আগের বছরের তুলনায় প্রায় দেড় গুণ আয় করেছে। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৯৩ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৬৬ পয়সা।
সাউথ ইস্ট ব্যাংকেরও প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে। এই সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ২২ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯৬ পয়সা। ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ২৬ পয়সা।
ইস্টার্ন ব্যাংক জানুয়ারি থেকে মার্চ সময় পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে আয় করেছে ১ টাকা ২৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ০৩ পয়সা। ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ২৫ পয়সা।
সিটি ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় প্রথম প্রান্তিকে বেড়েছে ২৩ পয়সা। জানুয়ারি থেকে মার্চ সময়ে ব্যাংকটির ইপিএস প্রকাশ করা হয়েছে ৯৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭৫ পয়সা।
বছরের প্রথম প্রান্তিকে যমুনা ব্যাংকের আয় হয়েছে ১ টাকা ৬০ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৪২ পয়সা। ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ১৮ পয়সা।
প্রথম প্রান্তিকে পূবালী ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৯৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮৬ পয়সা। ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ১২ পয়সা।
২০২০ সালে আগের বছরের চেয়ে আয় কমে যাওয়া মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকও চলতি বছর শুভ সূচনা করেছে। বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৮১ টাকা। গত বছর যা ছিল ৭২ পয়সা। অর্থাৎ আয় বেড়েছে ৯ পয়সা।
প্রথম প্রান্তিকে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৯ পয়সা। জানুয়ারি থেকে মার্চ সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৬৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ছিল দশমিক ৫৫ পয়সা।
এই সময়ে ওয়ান ব্যাংকের ইপিএস হয়েছে ৮৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৭৯ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে সাড়ে ৫ পয়সা।
প্রিমিয়ার ব্যাংকেরও শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৬০ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৫ পয়সা। এ সময়ে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৫ পয়সা।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৬৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬১ পয়সা। এই ব্যাংকটিরও বেড়েছে ৪ পয়সা।
প্রথম প্রান্তিকে আইএফআইসি ব্যাংক আয় করেছে ৪৬ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৪ পয়সা।
ইসলামী ব্যাংক চলতি বছর প্রথম প্রান্তিকে আয় করেছে ৪৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ৪৩ পয়সা।
যাদের আয় কমেছে
২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি প্রায় ৩ টাকা আয় কমে চমকে দেয়া ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বছরের প্রথম প্রান্তিকে আয় অর্ধেকেরও বেশি কমে গেছে। গত বছর এই সময়ে যেখানে ৬৬ পয়সা আয় করলেও এবার তা কমে ৩২ পয়সা হয়েছে।
একই পরিস্থিতি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের। জানুয়ারি থেকে মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৭ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৩৬ পয়সা।
উত্তরা ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৮৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৩৪ পয়সা। অর্থাৎ আয় কমেছে ৫০ পয়সা।
এনসিসি ব্যাংক চলতি বছর প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৫৫ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ছিল ৮২ পয়সা।
ব্যাংক এশিয়ার প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ১৬ পয়সা। ব্যাংকটির ইপিএস কমেছে ১১ পয়সা।
আরও পড়ুন:জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে একটি পুকুরে মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর মরা মুরগির বাচ্চা ও পঁচা ডিম। পুকুরের মাছকে সস্তা খাবার দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে এসব উপায়। এতে দুর্গন্ধে দূষিত হচ্ছে আশপাশের পরিবেশ। দিনের পর দিন ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে, মানবদেহের স্বাস্থ্যের জন্য যা মারাত্মক হুমকি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রামের এমদাদুল হক তার পুকুরে বিভিন্ন জাতের মাছের চাষ করেছেন। সেই পুকুরটি পরিচালনা করেন তার ছেলে আবু সালেক। সেই পুকুরের মাছকে সাধারণ খাবারের বদলে খাওয়ানো হচ্ছে জীবন্ত, মরা মুরগির বাচ্চা ও নষ্ট-পঁচা ডিম। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব সংগ্রহ করে পুকুর পাড়ে নিয়ে এসে রাখা হয়। এরপর সেগুলো একটি ব্রেন্ডার মেশিনে সেদ্ধ করে পুকুরে মাছকে খাবার হিসেবে দেওয়া হয়। এতে পুকুরের আশেপাশে ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এই দৃশ্য যেন এখন নিত্যদিনের সঙ্গী এই এলাকার মানুষ।
তাদের অভিযোগ, এ বিষয়ে পুকুরের মালিককে বারবার বলেও কোন লাভ হয়নি। উল্টো ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হয় তাদের। এদিকে পঁচা ডিম ও মুরগির বাচ্চার অভিযোগ পুকুরের কর্মচারিরা স্বীকার করলেও অস্বীকার করছেন পুকুর মালিক।
পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রামের মোহন কুমার বলেন, হ্যাচারী থেকে নষ্ট ও পঁচা ডিম নিয়ে এসে মাছকে খাওয়ায়। এতে করে পুকুরের পানি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। গোসল করা যায়না। প্রচুর দুর্গন্ধ হয়। নিষেধ করলে উল্টো হুমকি দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আরিফ হোসেন বলেন, পঁচা ডিম ও মুরগির বাচ্চা নিয়ে এসে পুকুরের পাড়ে রাখা হয়। তখন দুর্গন্ধ ছড়ায়। এছাড়া এরপর যখন আগুনে জ্বাল দেওয়া হয় তখন প্রচুর দুর্গন্ধ ছড়ায়। বাড়িতে থাকায় মুশকিল হয়ে পড়ে। আমরা অনেক বার নিষেধ করেছি, কিন্তু আমাদের কথা শোনেনা।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা রিফাত ইসলাম বলেন, দিনের পর দিন আমরা এই দুর্গন্ধে ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। এই পঁচা ডিম আমাদের এখানকার পরিবেশ দূষণ করছে। এর থেকে আমরা মুক্তি চাই। এজন্য কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
পুকুরের কর্মচারী বিশ্বনাথ চন্দ্র বলেন, আমরা জামালগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার হ্যাচারী থেকে পঁচা ডিম নিয়ে আসি। সেই ডিমের সাথে কিছু বাচ্চাও থাকে। তারপর সেগুলো ব্রেন্ডারে সেদ্ধ করে মাছকে খাওয়াই।
পুকুরের মালিক আবু সালেক বলেন, এই পুকুরটি আমি পরিচালনা করি। এখানে রুই, কাতলা, পাঙাসসহ বিভিন্ন মাছ চাষ করেছি। গ্রামবাসীরা যে মরা মুরগি বা পঁচা ডিমের অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
জয়পুরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. আল মামুন বলেন, আমাদের পুষ্টির বিশাল একটা অংশ পূরণ করে মাছ। যদি মাছকে অস্বাস্থ্যকর কোন খাবার দেওয়া হয় তাহলে সেই মাছ খেলে মানবদেহে জীবাণু ও বিষাক্ত উপাদান প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে। এটা মানবদেহের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। এছাড়া দুর্গন্ধে মানুষের বিভিন্ন রোগের উৎপত্তি হতে পারে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, কোথাও পরিবেশ দূষণ সংস্ক্রান্ত অভিযোগ প্রমাণিত হলে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জয়পুরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, মাছ চাষের ক্ষেত্রে কোন চাষী যদি সরকারি বিধি বিধান অনুসরণ না করে বা অপদ্রব্য ব্যবহার করে, সেক্ষেত্রে অভিযুক্তের সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদন্ড অথবা ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারেন। কোন মাছ চাষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) নির্বাচন পদ্ধতির মতো বড় পরিবর্তন জনগণের মতামত নিয়ে সংসদের মাধ্যমে পাশ করতে হবে। সংসদ ছাড়া এই পরিবর্তন কেউ করতে পারবে না।
বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, ‘সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন পরিবর্তনের কথা কথা বলা হচ্ছে, তবে এটা আগামী সংসদ ছাড়া কেউ করতে পারবে না। আমরা যখন প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতি থেকে সংসদীয় পদ্ধতিতে আসি, তখন সব দলগুলো ঐকমত্য হয়ে, সংসদে সেটা পাস করতে হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই পদ্ধতির বিষয়ে কোন দলের ইচ্ছা থাকলে তাদের মতামতের উপর শ্রদ্ধা রেখেই বলছি জনগণের কাছ থেকে তারা যেন সেই ম্যান্ডেড নিয়ে সংসদে আসে। যে কোন বিষয়ে মৌলিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে জনগণের কাছে যেতে হবে। আগামী নির্বাচনে সেটা সংসদে নিয়ে, সংসদের মাধ্যমে পাশ করতে হবে। এই পর্যায়ে এটা কোন আলোচনার বিষয় হতে পারে না।’
সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি কোথায় কোথায় ঐকমত্য হয়েছে, ইতিমধ্যে সবকিছু বলা হয়েছে। অনেকগুলো তো বিএনপি প্রস্তাব, সংসদ দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট, দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকবে না এসব বিএনপি'রই প্রস্তাব। সুতরাং ঐকমত্য হওয়া নয় কোথায়? তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে সব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না। ’
তিনি বলেন, ‘আমরা এটা বাকশাল করতে চাচ্ছি না। এটা বাকশাল না। সব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না। যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হবে, সেগুলো এখন ঐক্যমত্যের মাধ্যমে, এর বাইরে যেগুলো থাকবে প্রত্যেকটি দলকে জনগণের কাছে গিয়ে তাদের মতামতের মাধ্যমে করতে হবে।’
লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক সম্পর্কে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জুলাই আগস্ট এর আন্দোলন তো দেড় দুই মাস ছিল, তার আগে থেকে বছরের পর বছর যারা রাস্তায় ছিল শেখ হাসিনা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, তাদের সঙ্গে আমরা কথাবার্তা বলছি। কারণ এই ঐক্যটা আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা শুধু নির্বাচন বলে কোন কথা নয়, আমাদের ৩১ দফার উপরে যে ঐকমত্য সংস্কারের বিষয়ে যে ঐকমত্য, এগুলো আমরা কীভাবে আগামী দিনে বাস্তবায়ন করব নির্বাচনের পরে জনগণ যদি আমাদেরকে রায় দেয়, সবাই মিলে এটা বাস্তবায়ন করতে হবে। ’
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নির্বাচনের কর্মকাণ্ড শুরু হয়ে গেছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে যে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
ফরিদপুরের সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের আছিরউদ্দিন মুন্সির ডাঙ্গী গ্রামে পরকীয়ার জের ধরে প্রবাসী স্বামী আলমাস খান কে (৪০) হত্যা করার অভিয়োগ উঠেছে খোদ স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৩৩) এর বিরুদ্ধে। গত শনিবার দিবাগত রাতে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ । ঘটনার পর থেকে আরেক আসামী পরকীয়া প্রেমিক আলী শেখ (৫৫) রয়েছে আত্ম গোপনে ।এ নিয়ে নিহতের পিতা হাতেম খান বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে হত্যার সঙ্গে জড়ীত পরকীয়া প্রেমিক আলী শেখকে আটকসহ তাদের ফাঁসির দাবিতে বুধবার (০২ জুলাই) মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
এ সময় নিহতের পিতা হাতেম খান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রবাসীদল ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি মির্জা প্রিন্স আলী সহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন ।
তারা বলেন, পুলিশ ঘটনার সাথে জড়ীত থাকার সন্দেহে স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম কেআটক করলেও কথিত পরকীয়া প্রেমিক আলী শেখকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। অতি দ্রত আলী শেখকে গ্রেফতার করে তাদের ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবি জানান মানববন্ধন থেকে।
পরে এলাকার কয়েকশত নারীপুরুষ বিচারের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ আসাদুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই মামলার প্রধান আসামি হোসনেয়ারা বেগমকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও অন্য আসামি আলী শেখকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। হোসনেয়ারা বেগমের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে । এই ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার তারানগর ইউনিয়নের কাঠালতলী গ্রামে একটি ডুপ্লেক্স বাড়িতে সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (০২ জুলাই) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, আব্দুল আজিজের মালিকানাধীন ডুপ্লেক্স বাড়িতে ছাদের মাধ্যমে ৬-৮ জনের একটি ডাকাতদল প্রবেশ করে। তারা ঘরের সদস্যদের হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। এসময় আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তারা বাড়ির চাবি আদায় করে এবং ঘরের ভেতরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ লুট করে নেয়।
ডাকাত দল প্রায় ৬.৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৫ টাকা নগদ অর্থ এবং একটি সনি ব্র্যান্ডের ক্যামেরা নিয়ে যায়। তবে সৌভাগ্যবশত এই ঘটনায় বাড়ির কোনো সদস্য শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
ভুক্তভোগী ও বাড়ির মালিক আব্দুল আজিজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাত আনুমানিক ৩টা ২০ মিনিটের দিকে ছাদের দিক থেকে কয়েকজন লোক ঘরে ঢুকে পড়ে। মুহূর্তেই আমাদের সবাইকে হাত-পা বেঁধে ফেল পরে আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ঘরের চাবি নিয়ে যায়। তারা ঘর তছনছ করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ নিয়ে যায়। আল্লাহর রহমতে তারা আমাদের কোনো শারীরিক ক্ষতি করেনি। তবে পরিবারের সবাই এখন আতঙ্কে আছে।
ঘটনার খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কেরাণীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল হক ডাবলু, সিআইডি এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা। তারা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছেন।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল হক ডাবলু জানান, অপরাধীদের শনাক্ত করতে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অনুসন্ধান চলছে। খুব শিগগিরই ডাকাত চক্রকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
ময়মনসিংহের পাগলায় ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাডুবির ২২ ঘন্টা পর নিখোঁজ দুই শিশু মরদেহ উদ্ধার করেছে নিহতের স্বজনেরা। বুধবার (০২ জুলাই) পাগলা থানার টাংগাব ইউনিয়নের বাঁশিয়া এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে তাদের মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশুরা হলো, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরআলগী এলাকার বাসিন্দা হাবিব মিয়ার ছেলে আবির (৬) এবং মুমতাজ উদ্দিনের ছেলে জুবায়েদ (৬)। তারা দুজনই বিরুই নদীর পাড় দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (০১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯ টার কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরআলগী এলাকা থেকে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে মাদ্রাসায় যেতে ছোট একটি নৌকায় উঠেন ৯ শিক্ষার্থী। ময়মনসিংহের পাগলা থানার দত্তের বাজার সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছানোর পূর্বেই ডুবে যায় নৌকাটি। এর মধ্যে ৬ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ডুবে যায় তিন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে শাপলা আক্তারের (১৫) মরদেহটি ঘটনাস্থলের খানিকটা দুর থেকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভোরে নিহতের স্বজনরা নৌকা নিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজ আবির ও জুবায়েদকে খোঁজতে বের হয়। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে টাংগাব ইউনিয়নের বাঁশিয়া এলাকায় ব্রক্ষ্মপুত্র নদে দুজনের মরদেহ ভাসতে দেখে। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকে তাদের মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয় বলেও জানান এই জনপ্রতিনিধি।
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার (০২ জুলাই) দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলার ঝাঁঝাডাঙ্গা সীমান্তে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত ইব্রাহিম বাবু (৩২) ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। ওই ঘটনায় পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে বিজিবি।
নিহতের পিতা নুর ইসলাম জানান, দুপুরে আমার ছেলেসহ ৪-৫ জন গরুর ঘাস কাটার জন্য সীমান্তের গালার মাঠে যায়। এ সময় অসাবধনতাবশত সীমান্তের ৭৯ নম্বর মেন পিলার পার হয়ে ভারতে ঢুকে পড়লে সেখানকার ৩২ বিএসএফ হালদারপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা ২ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় বাবু।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান গুলিবর্ষণের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কয়েকজন স্বর্ণ চোরাকারবারির ওপর বিএসএফ গুলিবর্ষণ করেছে বলে জানা গেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (০১ জুলাই) বিকালে শ্রীঘর বাজারের নজরুল ইসলামের দোকানের সন্মুখ থেকে ১৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। এ সময় আক্কাছ মিয়া (৩২) ও ছিদ্দিকুর রহমান (২১) নামের দুই মাদক ব্যবসায়িকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা যায়- সলিমগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ শ্রীঘর বাজারের চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন কালে সন্দেহ জনক একটি সিএনজিকে থামিয়ে তল্লাশি করে। আক্কাছ মিয়া কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বাঙ্গরা বাজার এলাকার মৃত শহীদ মিয়ার ছেলে। ছিদ্দিকুর রহমান নবীনগর উপজেলার বড়াইল গ্রামের আতিকুর রহমানের ছেলে।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর ইসলাম জানান- এ ঘটনায় নবীনগর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য