× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
মহামারির দ্বিতীয় বছরেও ব্যাংকের আয়ে জোয়ার
google_news print-icon

মহামারির দ্বিতীয় বছরেও ব্যাংকের আয়ে জোয়ার

মহামারির-দ্বিতীয়-বছরেও-ব্যাংকের-আয়ে-জোয়ার
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও দেশের ব্যাংকগুলোর আয় বেড়েছে। ফাইল ছবি
তালিকাভুক্ত ৩১ ব্যাংকের মধ্যে ২০টি তাদের প্রথম প্রান্তিকের আয় প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ১৫টির আয় গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। একটি ব্যাংকের আয় প্রায় তিন গুণ হয়েছে, একটির হয়েছে দ্বিগুণ। এ ছাড়া দেড় গুণ হয়েছে আরও বেশ কিছু ব্যাংকের শেয়ারদর।

মহামারির প্রথম বছরে আগের বছরের চেয়ে বেশি আয় করে বেশি লভ্যাংশ দেয়া ব্যাংকিং খাত এবারও আয়ের প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। বছরের প্রথম প্রান্তিকে বেশির ভাগ ব্যাংকই আগের বছরের চেয়ে বেশি আয় করেছে। এতে বিনিয়োগকারীরা এই খাতটি নিয়ে আবার আশাবাদী হয়ে উঠছেন।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে বছর শেষে চূড়ান্ত আয় জানিয়ে লভ্যাংশ ঘোষণার পাশাপাশি বছরের আরও তিনবার তিন মাস করে আয়ের হিসাব বিবরণী প্রকাশ করতে হয়।

ব্যাংকের অর্থবছর শেষ হয় ডিসেম্বরে। ফলে তাদের প্রথম প্রান্তিক জানুয়ারি থেকে মার্চ, দ্বিতীয় প্রান্তিক এপ্রিল থেকে জুন, তৃতীয় প্রান্তিক জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রান্তিক ঘোষণা করতে হয়।

প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ করতে কোম্পানিকে ৪৫ দিন সময় দেয়া হয়। তবে করোনার কারণে আরও এক মাস সময় বাড়ানো হয়েছে এবার।

তালিকাভুক্ত ৩১ ব্যাংকের মধ্যে ২০টি তাদের প্রথম প্রান্তিকের আয় প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ১৫টির আয় গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। একটি ব্যাংকের আয় প্রায় তিন গুণ হয়েছে, একটির হয়েছে দ্বিগুণ। এ ছাড়া দেড় গুণ হয়েছে আরও বেশ কিছু ব্যাংকের শেয়ারদর।

মহামারির বছরে ব্যাংকে আয় ও লভ্যাংশ কমে যাবে-এমন আশঙ্কার কারণে পুঁজিবাজারে এই খাতটি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের নেতিবাচক মনোভাব দেখা গেছে গত বছরের শেষ সময় থেকে।

এর মধ্যে ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফার যে খবর গণমাধ্যমে আসে, তাতে দেখা যায়, সিংহভাগ ব্যাংকের আয় অনেক কমে গেছে।

তবে চূড়ান্ত মুনাফার ক্ষেত্রে দেখা যায় উল্টো চিত্র। গত বছরের চেয়ে বেশি আয় করে বিনিয়োগকারীদের বেশি লভ্যাংশ দিয়ে চমকে দিয়েছে কোম্পানিগুলো। এবার লভ্যাংশের ক্ষেত্রে নগদে গুরুত্ব দেয়ায় বাজারে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা যোগ হতে যাচ্ছে।

২০২০ সালের মার্চে দেখা দেয়া করোনা মহামারি শেষ হওয়ার লক্ষণই নেই। তবে গত ডিসেম্বরের মুনাফা দেশে এবার ব্যাংক নিয়ে আতঙ্ক যে কমেছে, সেটি গত কয়েক দিনের শেয়ার লেনদেনের তথ্যই বলছে। দীর্ঘদিন পর আবার ব্যাংকের শেয়ারে আগ্রহী হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। বাড়ছে দাম।

চলতি বছরও এখন পর্যন্ত ব্যাংকের মুনাফার যে চিত্র, তা বিনিয়োগকারীদের আশান্বিত করতেই পারে।

কঠিন পরিস্থিতিতেও ব্যাংকিং খাত কীভাবে ভালো করছে তার কারণ জানিয়েছেন ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ নেই, ঋণ বিতরণ কমে গেছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণগ্রহীতাদের ঋণ পরিশোধে জুন পর্যন্ত ছাড় দেয়া হয়েছে। এর ফলে প্রভিশনিংয়ে ব্যাংকগুলো কিছুটা ছাড় পেয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ব্যাংকের আয়ে।’

ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টের সাবেক গবেষণাপ্রধান দেবব্রত কুমার সরকার বলেন, ‘ব্যাংকগুলো এখন কম সুদে আমানত পাচ্ছে। ঋণের সুদহারের সঙ্গে আমানতের সুদহারের পার্থক্য অন্তত ৫০ শতাংশ। এ কারণে তাদের মুনাফা বাড়ছে। এ ছাড়া মহামারির কারণে ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশ ছাড় দিয়েছে। এটাও আরেক কারণ।

মহামারির দ্বিতীয় বছরেও ব্যাংকের আয়ে জোয়ার
মহামারির বছরে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সঞ্চিতি সংরক্ষণে ছাড় দেয়ার কারণে মুনাফা বেশি হচ্ছে। লভ্যাংশও বেশি পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা

ডাচবাংলা ব্যাংকের একজন মহাব্যবস্থাপক (জিএম) নিউজবাংলাকে জানান, অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় ২০২০ সালে ঋণ পরিশোধ না করেও খেলাপিমুক্ত থাকার সুযোগ পেয়েছেন ঋণগ্রহীতারা। আর এ কারণে খেলাপি ঋণের বিপরীতে তাদেরকে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হয়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী খেলাপি ঋণের মানভেদে নিরাপত্তা সঞ্চিতির হার ৫ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত। যেহেতু খেলাপি ঘোষণা করা যায়নি, তাই এই সঞ্চিতি সংরক্ষণের দরকার পড়েনি। ফলে ব্যাংকের ব্যালান্স শিট মহামারিকালে আগের বছরের চেয়ে ভালো দেখাচ্ছে।

গত বছরের মার্চ মাসে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত কেউ কিস্তি না দিলেও খেলাপি করা যাবে না। পরে তিন দফায় এই নির্দেশনার কার্যকারিতা বাড়িয়ে আগামী জুন পর্যন্ত করা হয়।

ব্যাংকের মুনাফা বৃদ্ধি পুঁজিবাজারের জন্য ভালো খবর হিসেবে মনে করেন দেবব্রত কুমার। তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারের মূল্য আয় অনুপাত ১৫-এর বেশি। কিন্তু ব্যাংক খাতে এটি ১০-এর চেয়ে অনেক কম। তারা যে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার পর এবার যে হারে আয় করছে, সেটি কেবল ব্যাংকিং খাত নয়, পুরো বাজারের জন্যই ভালো হবে। কারণ, ব্যাংকই পুঁজিবাজারের প্রাণ। বিনিয়োগকারীরা এই খাতে আকৃষ্ট হলে সেটি বাজারে আরও গতি আনবে।’

আয় বেড়েছে যেসব ব্যাংকের

প্রাইম ব্যাংকের আয় প্রায় তিন গুণ বেড়েছে বছরের প্রথম প্রান্তিকে। আগের বছর যেখানে আয় ছিল ৪৬ পয়সা, সেখানে এবার আয় বেড়ে হয়েছে ১ টাকা ৩৪ পয়সা।

মহামারির দ্বিতীয় বছরেও ব্যাংকের আয়ে জোয়ার
চলতি বছর প্রথম প্রান্তিকে মুনাফায় সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রাইম ব্যাংকের

এই আয় ২০২০ সালে ব্যাংকটির পুরো বছরের আয়ের প্রায় কাছাকাছি। ওই বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৫৯ পয়সা।

টাকার অঙ্কে মুনাফা খুব বেশি না বাড়লেও শতকরা হিসেবে দ্বিগুণ হয়েছে চাপে থাকা এবি ব্যাংকের। বছরের প্রথম তিন মাসে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৬ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮ পয়সা। শতকরা হিসেবে ইপিএস বেড়েছে ১০০ শতাংশ।

গত বছর মুনাফা কমে যাওয়া ব্র্যাক ব্যাংক চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে আগের বছরের তুলনায় প্রায় দেড় গুণ আয় করেছে। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৯৩ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৬৬ পয়সা।

মহামারির দ্বিতীয় বছরেও ব্যাংকের আয়ে জোয়ার
বছরের প্রথম প্রান্তিকে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দেড়গুণ আয় করেছে ব্র্যাক ব্যাংক

সাউথ ইস্ট ব্যাংকেরও প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে। এই সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ২২ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯৬ পয়সা। ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ২৬ পয়সা।

ইস্টার্ন ব্যাংক জানুয়ারি থেকে মার্চ সময় পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে আয় করেছে ১ টাকা ২৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ০৩ পয়সা। ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ২৫ পয়সা।

সিটি ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় প্রথম প্রান্তিকে বেড়েছে ২৩ পয়সা। জানুয়ারি থেকে মার্চ সময়ে ব্যাংকটির ইপিএস প্রকাশ করা হয়েছে ৯৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭৫ পয়সা।

বছরের প্রথম প্রান্তিকে যমুনা ব্যাংকের আয় হয়েছে ১ টাকা ৬০ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৪২ পয়সা। ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ১৮ পয়সা।

প্রথম প্রান্তিকে পূবালী ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৯৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮৬ পয়সা। ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ১২ পয়সা।

২০২০ সালে আগের বছরের চেয়ে আয় কমে যাওয়া মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকও চলতি বছর শুভ সূচনা করেছে। বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৮১ টাকা। গত বছর যা ছিল ৭২ পয়সা। অর্থাৎ আয় বেড়েছে ৯ পয়সা।

মহামারির দ্বিতীয় বছরেও ব্যাংকের আয়ে জোয়ার
গত পাঁচ বছরে নগদে সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ দেয়া যমুনা ব্যাংকও চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে শুভ সূচনা করেছে

প্রথম প্রান্তিকে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের আগের বছরের তুলনায় শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৯ পয়সা। জানুয়ারি থেকে মার্চ সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৬৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ছিল দশমিক ৫৫ পয়সা।

এই সময়ে ওয়ান ব্যাংকের ইপিএস হয়েছে ৮৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৭৯ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে সাড়ে ৫ পয়সা।

প্রিমিয়ার ব্যাংকেরও শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৬০ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫৫ পয়সা। এ সময়ে ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ৫ পয়সা।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৬৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬১ পয়সা। এই ব্যাংকটিরও বেড়েছে ৪ পয়সা।

প্রথম প্রান্তিকে আইএফআইসি ব্যাংক আয় করেছে ৪৬ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৪ পয়সা।

মহামারির দ্বিতীয় বছরেও ব্যাংকের আয়ে জোয়ার
২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর আকর্ষণীয় মুনাফা করে বেশ ভালো লভ্যাংশ দিয়ে আসছে মার্কেন্টাইল ব্যাংক

ইসলামী ব্যাংক চলতি বছর প্রথম প্রান্তিকে আয় করেছে ৪৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ৪৩ পয়সা।

যাদের আয় কমেছে

২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি প্রায় ৩ টাকা আয় কমে চমকে দেয়া ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বছরের প্রথম প্রান্তিকে আয় অর্ধেকেরও বেশি কমে গেছে। গত বছর এই সময়ে যেখানে ৬৬ পয়সা আয় করলেও এবার তা কমে ৩২ পয়সা হয়েছে।

একই পরিস্থিতি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের। জানুয়ারি থেকে মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৭ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৩৬ পয়সা।

মহামারির দ্বিতীয় বছরেও ব্যাংকের আয়ে জোয়ার
ব্যাংক এশিয়া চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি এক টাকার বেশি আয় করলেও সেটি গত বছরের একই সময়ের চেয়ে কম

উত্তরা ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৮৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৩৪ পয়সা। অর্থাৎ আয় কমেছে ৫০ পয়সা।

এনসিসি ব্যাংক চলতি বছর প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় করেছে ৫৫ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ছিল ৮২ পয়সা।

ব্যাংক এশিয়ার প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ১৬ পয়সা। ব্যাংকটির ইপিএস কমেছে ১১ পয়সা।

আরও পড়ুন:
ব্যাংকে গ্রাহকের চাপ কম
মেয়াদ শেষে একই ব্যাংকের উচ্চপদে আপাতত ‘না’
পোশাক শিল্প এলাকায় বৃহস্পতিবার খোলা ব্যাংক
তালিকাভুক্তির দেড় মাস পর এনআরবিসির পালে হাওয়া
৯ টাকার ব্যাংকে ইপিএস ৩ টাকা, লভ্যাংশ ১০ শতাংশ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
22000 foreign arrests in Saudi Arabia

সৌদি আরবে অভিযান চালিয়ে ২২ হাজার বিদেশি গ্রেপ্তার

সৌদি আরবে অভিযান চালিয়ে ২২ হাজার বিদেশি গ্রেপ্তার

সৌদি আরব এক সপ্তাহব্যাপী অভিযান চালিয়ে ২২ হাজার বিদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আবাসিক, সীমান্ত ও শ্রম আইন লঙ্ঘন করায় ২১ হাজার ৯৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। গালফ নিউজ জানিয়েছে, যৌথ অভিযানের লক্ষ্য ছিল অবৈধ বাসিন্দা এবং তাদের সহায়তাকারীদের ধরা।

সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ১৩ হাজার ৪৩৪ জন আবাসিক আইন লঙ্ঘন করেছেন, ৪ হাজার ৬৯৭ জন সীমান্ত নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘন করেছেন এবং ৩ হাজার ৮৬৬ জন শ্রম আইন ভঙ্গ করেছেন। সেই সঙ্গে অবৈধভাবে দেশে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় ১ হাজার ৭৮৭ জনকে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, তাদের মধ্যে ৩৫ শতাংশ ইয়েমেনি, ৬৪ শতাংশ ইথিওপিয়ান এবং ১ শতাংশ অন্যান্য দেশের নাগরিক। অবৈধভাবে সৌদি আরব ত্যাগ করার চেষ্টা করার সময় আরও ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারের পাশাপাশি অন্তত ১৮ হাজার ১৪৯ জন আইন লঙ্ঘনকারীকে ভ্রমণ নথিপত্র সংগ্রহের জন্য তাদের কূটনৈতিক মিশনে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৮৬১ জনকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অবৈধ বাসিন্দাদের পরিবহন, আশ্রয়দান বা নিয়োগের অভিযোগে আরও ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

সৌদি কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে ২৫ হাজার ৪৩৯ জন প্রবাসী - যার মধ্যে ২২ হাজার ৮৩৭ জন পুরুষ এবং ২ হাজার ৬০২ জন নারী রয়েছেন, তাদের বহিষ্কার বা নিয়মিতকরণের জন্য আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক করে দিয়েছে, অবৈধ প্রবেশে সহায়তা, পরিবহন, আবাসন বা অন্যান্য সহায়তা প্রদানকারী যে কোনো আইন লঙ্ঘনকারীর ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ রিয়াল জরিমানা হতে পারে। এই ধরনের কার্যকলাপে ব্যবহৃত যানবাহন এবং সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Appointment of Private Teacher Registration is not a recruitment test

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ: নিবন্ধন নয়, নিয়োগ পরীক্ষা হোক

মো. রহমত উল্লাহ্
বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ: নিবন্ধন নয়, নিয়োগ পরীক্ষা হোক

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্যপদ ছিল ১ লাখ ৮২২টি। এর বিপরীতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন জমা পড়েছে ৫৭ হাজারের কিছু বেশি। অর্থাৎ প্রায় ৪৩ হাজার পথ শূন্য থাকবে। চাহিদা দিয়েও শিক্ষক পাবে না অনেক প্রতিষ্ঠান। ক্লাস থেকে বঞ্চিত হবে শিক্ষার্থীরা! এ ব্যাপারে কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছেন যে, আবেদনকালে প্রার্থীদের বয়স ৩৫ এর বেশি এবং নিবন্ধন সনদের মেয়াদ ৩ বছরের বেশি গ্রহণ না করার কারণে আবেদন কম পড়েছে। অর্থাৎ আরো কিছু ছাড় দেওয়া হলে আরো কিছু বেশি প্রার্থী আবেদন করতে পারত। বয়সে ও যোগ্যতায় বারবার ছাড় দিয়ে আবেদনের সুযোগ দিয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ করা কোনো উত্তম সমাধান নয়। ছাড় দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ করা মানেই দীর্ঘ মেয়াদে দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি করা। একজন কম যোগ্য শিক্ষক তার শিক্ষকতা জীবনে তৈরি করেন অগণিত কম যোগ্য নাগরিক-কর্মী। তুলনামূলক কম যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে অধিক যোগ্য নাগরিক-কর্মী তৈরির প্রত্যাশা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, অবাস্তব!

শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের তৃতীয় বিভাগ বা শ্রেণি এখন আর গ্রহণযোগ্য থাকা উচিত নয়। সরকারি এমনকি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রেও এখন আর তৃতীয় বিভাগ বা শ্রেণিধারী প্রার্থীদের আবেদন করার সুযোগ থাকে না। নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স সীমা ও বাছাই প্রক্রিয়া অন্যদের তুলনায় বেসরকারি শিক্ষকদের শিথিল করা হলে এর অর্থ এমন দাঁড়ায় না যে বেসরকারি শিক্ষক তুলনামূলক কম যোগ্য হলেও চলে? এতে কি তাদের মান ও মর্যাদা হ্রাস পায় না? দেশের ৯৫ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থীদের পাঠদানকারী বেসরকারি শিক্ষকদের অধিক যোগ্য হওয়া কি অধিক গুরুত্বপূর্ণ নয়? তারা তো আমাদের সন্তানদেরই শিক্ষক হন। তারা অধিক যোগ্য হলেই তো আমাদের সন্তানরা অধিক যোগ্য হবার সম্ভাবনা অধিক থাকে। অর্থাৎ বয়সে, যোগ্যতায়, পরীক্ষায় ছাড় দিয়ে তুলনামূলক কম যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে নয়; বরং দ্রুত আর্থিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে অধিক যোগ্যদের আকৃষ্ট করে শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়াই অধিক মঙ্গলজনক।

সার্বিক বিবেচনায় বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থাটিকে অতীতের ধারাবাহিকতায় আরও উন্নত করা আবশ্যক। সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা থাকলে তা সহজেই সম্ভব। সে লক্ষ্যে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগের অনুরূপ শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স সীমা ও বাছাই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বেসরকারি শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া উচিত। অর্থাৎ শূন্য পদের বিপরীতে সরাসরি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে উত্তম বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উত্তম প্রার্থী বাছাই করে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। নিবন্ধনধারী সবাইকেই যদি নিয়োগ দিতে হয় তাহলে এটিকে নিবন্ধন পরীক্ষা না বলে নিয়োগ পরীক্ষা বলা ও কার্যকর করা অধিক যুক্তিযুক্ত নয় কি? তুলনামূলক কম নম্বর প্রাপ্ত নিবন্ধন ধারীরাও নিয়োগের দাবিদার হয়, নিয়োগের জন্য সোচ্চার হয়, বয়সের শিথিলতা দাবি করে, অশান্তি তৈরি করে। এমনকি অকৃতকার্যরাও আন্দোলন করে! অথচ সরাসরি নিয়োগ পরীক্ষায়/ প্রক্রিয়ায় কম নম্বর পেয়ে বাদ পড়ে যাওয়ারা আর নিয়োগের দাবিদার হতে পারে না, বয়সের শিথিলতা দাবি করতে পারে না, অশান্তি তৈরি করতে পারে না। অপরদিকে একবার নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া, আবেদন নেওয়া, পরীক্ষা নেওয়া, তালিকা করা, সনদ দেওয়া এবং পরবর্তীতে আবার নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া, বাছাই করা, তালিকা করা, নিয়োগ করা ইত্যাদি নিয়োগ কর্তৃপক্ষ ও নিয়োগ প্রার্থী উভয়ের জন্যই দ্বিগুণ কষ্টসাধ্য ও সময় সাপেক্ষ। তদুপরি নিয়োগ প্রার্থীর জন্য দ্বিগুণ ব্যয় সাপেক্ষ। অধিক সংখ্যক শূন্য পদে নিয়োগ প্রার্থীদের বাছাই কেন্দ্রীয়ভাবে দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব না হলে জেলা প্রশাসকগণের দায়িত্বে ঐ জেলার সরকারি স্কুল-কলেজের সুযোগ্য শিক্ষকগণের সহযোগিতা নিয়ে সারাদেশে একই প্রশ্নে ও প্রক্রিয়ায় বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের বাছাই দ্রুত সম্পাদন করা সম্ভব হয় কিনা তা ভেবে দেখা যেতে পারে। যেমন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর করে থেকে।

অন্যান্য চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে নির্ধারিত বয়স ও যোগ্যতার চেয়ে অধিক বয়স্কদের ও কম যোগ্যদের শিক্ষকতায় প্রবেশের সুযোগ দেওয়া মোটেও উচিত নয়। কিছুদিন পরপর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ করতে চাইলে বারবার অধিকতর যোগ্য ফ্রেশ ক্যান্ডিডেট পাওয়া যাবে। একজন ইয়ং এনার্জিটিক মেধাবী শিক্ষক প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেকে তৈরি করতে ও পূর্ণ উদ্যমে দীর্ঘদিন পাঠদান করতে যতটা সক্ষম একজন বয়স্ক লোক ততটা সক্ষম না হওয়াই স্বাভাবিক। ব্যতিক্রম নগণ্য। একজন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকের প্রকৃত সফল শিক্ষক হয়ে উঠতে অনেক সময়, শ্রম, মেধা, চর্চা, উদ্যম, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা লাগে। কেউ শিক্ষক হয়ে উঠতেই যদি বৃদ্ধ হয়ে পড়েন তো সফল পাঠদানে নিরলস থাকবেন কীভাবে, কতদিন?

আলোচিত বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে অধিক যুক্তিযুক্ত উন্নত নীতিমালা প্রণয়ন করে ঢেলে সাজানো উচিত সকল শিক্ষক নিয়োগের বাছাই প্রক্রিয়া। মূল্যায়নে বিবেচনা করা উচিত প্রার্থীর শিক্ষা জীবনের কর্মকাণ্ড ও ডেমো ক্লাসের মান। দ্রুত দূর করা উচিত একই দায়িত্ব-কর্তব্যে নিয়োজিত সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স সীমা, বাছাই প্রক্রিয়া এবং আর্থিক সুযোগ-সুবিধা সংক্রান্ত সকল বৈষম্য। অর্থাৎ বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের জন্য আর নিবন্ধন পরীক্ষা নয়, নিতে হবে সরাসরি নিয়োগ পরীক্ষা। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি করতে হবে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা। শিক্ষকতায় আকৃষ্ট করতে হবে সর্বাধিক যোগ্যদের।

লেখক: অধ্যক্ষ, শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Demonstrations and demonstrations demanding to reduce the waterlogging and waterlogging in the palace

রাজবাড়ীতে অচল খাল সচল ও জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে বিক্ষোভ ও স্বারকলিপি

রাজবাড়ীতে অচল খাল সচল ও জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে বিক্ষোভ ও স্বারকলিপি

কৃষি ও কৃষকের ভাগ্যোন্নয়নে অচল খাল সচল এবং জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে রাজবাড়ীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি। রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্বারকলিপিও প্রদান করা হয়।

এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন কৃষক সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন তালুকদার। বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট মানিক মজুমদার, আব্দুস সামাদ মিঞা, নূর আব্দুল্লাহ সাইদ, জাহানারা বেগম ও মঞ্জুয়ারা বেগম।

বক্তারা অভিযোগ করেন, সুলতানপুর ইউনিয়নের খলিশা রামকান্তপুর এলাকায় প্রভাবশালীরা খালের মুখ বন্ধ করে দেওয়ায় প্রায় ১০০ একর জমি জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত রয়েছে। এতে ধান রোপণ ও ফসল উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত খাল সচল করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানান তারা।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Arafat Rahman Koko Memorial Football Tournament in Faridpur

ফরিদপুরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

ফরিদপুরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

ফরিদপুর সদর উপজেলার চর মাধবদিয়া ইউনিয়নের মমিন খারঁ হাট বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ-সম্পাদক ও ফরিদপুর জেলা জাতীয়তাবাদী প্রবাসী দলের সভাপতি মির্জা প্রিন্স আলির আয়োজনে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বিকাল ৪টায় মমিন খারঁ হাট মাধবদিয়া ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে উদ্বোধনী খেলায় সাবেক ইউপি ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মির্জা সাইফুল ইসলাম আজমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলাদলের আহবায়ক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ।

এ সময় ফরিদপুর কোতয়ালী থানা বিএনপির সেক্রেটারি চৌধুরী নাজমুল হাসান রঞ্জন, ফরিদপুর কোতয়ালী থানা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, ফরিদপুর সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবদল নেতা বেনজির আহমেদ তাবরিজ, ফরিদপুর জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন পিয়াল, ডিগ্রীরচর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ মজিবর রহমান মাতুব্বর, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুর রাজ্জাক শেখ, আমেরিকা প্রবাসী ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ আক্তারুজ্জামান খান, মমিন খাঁর হাট বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম বেপারী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রেজাউল করিম মোল্লা, মোহন মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সায়েম মোল্লা, ঢাকা জর্জ কোর্টের অ্যাডভোকেট মোঃ বশির আহমেদ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে খেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। উদ্বোধনী খেলায় অংশগ্রহণ করে আশিক স্মৃতি স্পোর্টিং ক্লাব- অম্বিকাপুর বনাম লালখান বাজার ফুটবল একাদশ। টুর্নামেন্টের আয়োজক মমিন খারঁ হাট বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ-সম্পাদক ও ফরিদপুর জেলা জাতীয়তাবাদী প্রবাসী দলের সভাপতি মির্জা প্রিন্স আলির আমন্ত্রণে মাঠে হাজার হাজার ফুটবল প্রিয় দর্শকের আগমন ঘটে, যা ছিল চোখে পড়ার মতো। খেলা পরিচালনার অন্যতম দায়িত্ব পালন করেন ক্রীড়া অনুরাগী জনি মির্জা ও অন্যান্যরা। খেলায় ২-১ গোলের ব্যবধানে আশিক স্মৃতি স্পোটিং ক্লাব অম্বিকাপুর, লালখান বাজার ফুটবল একাদশকে পরাজিত করে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Tisha Transport Supervisor killed in Asia buses in Comilla

কুমিল্লায় এশিয়া বাসচাপায় তিশা ট্রান্সপোর্টের সুপারভাইজার নিহত

কুমিল্লায় এশিয়া বাসচাপায় তিশা ট্রান্সপোর্টের সুপারভাইজার নিহত

কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড চৌরাস্তায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিশা ট্রান্সপোর্টের এক সুপারভাইজার গাড়ি চাপায় নিহত হয়েছেন। রবিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ৬টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিষয়টা নিশ্চিত করেছেন ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা ইকবাল বাহার।

নিহত সোহেল রানা (৪৫) কুমিল্লা বাঙ্গরাবাজার খামারগ্রামের মৃত কবির আহম্মেদের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ডান পাশে তিশা প্লাস পরিবহন দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় বাম দিক থেকে এশিয়া ট্রান্সপোর্ট বেপরোয়া গতিতে কাউন্টার ত্যাগ করার সময় তিশা ট্রান্সপোর্টের সুপারভাইজার অসাবধানতাবশত চাকার নিচে পড়ে যান। মুহূর্তের মধ্যেই তিনি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।

কুমিল্লা ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা ইকবাল বাহার বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

স্থানীয়রা জানান, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড চৌরাস্তায় প্রতিদিনই বাস ও ট্রান্সপোর্ট কাউন্টারের বেপরোয়া গাড়ি চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় এ ধরনের প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The municipal administrator assures the municipality to resolve the street immediately on the streets demanding water

পানির দাবীতে রাস্তায় নেমেছে পৌরবাসী, শিঘ্রই সমাধানের আশ্বাস পৌর প্রশাসকের

পানির দাবীতে রাস্তায় নেমেছে পৌরবাসী, শিঘ্রই সমাধানের আশ্বাস পৌর প্রশাসকের

ঝালকাঠি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কলাবাগান এলাকায় পৌর পানি সরবরাহের সমস্যা গত দু'বছর ধরে। সাবেক মেয়র, বর্তমান প্রশাসক সবার কাছে বহুবার ধন্না ধরেও কোনো লাভ হয়নি। ঐ এলাকার বিকল পাম্প গুলো মেরামতের নেই কোনো উদ্দোগ। এসব কথা জানিয়েছেন সেখানকান (কলাবাগান) বাসিন্দারা।

রোববার ১৭ আগষ্ট সকালে পানির দাবীতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে ৯নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের মানুষ। মিছিল ও মানববন্ধন করেছে তারা। বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে। স্মারক লিপিও দিয়েছে জেলা প্রশাসক বরাবরে।

আন্দোলনরতো ঝালকাঠি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কলাবাগানবাসী ডিসি বরাবর লিখিত পত্রে উল্লেখ করেছেন, "দীর্ঘ ২ বছর যাবৎ কলাবাগান এলাকায় পানি সরবরাহের তীব্র সমস্যা থাকায় উক্ত এলাকার

জনগন সংশ্লিষ্ট পৌর কর্তৃপক্ষকে বার বার অবহিত করলেও ইহাতে তারা কোন কর্নপাত করেনাই। বর্তমানে পানির সমস্যার কারনে এলাকাবাসী নিরুপায় হয়ে নদীর পানি ব্যবহার করার কারনে বিভিন্ন ধরনের পানিবাহীত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।"

এলাকাসীর এই আন্দোলনের মুখপাত্র ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুরাদ হোসেন বলেন, 'নিয়মিত পৌর পানির বিল পরিশোধ করলেও কি কারনে বছরের পর বছর পানির পাম্প অকার্যকর থাকে সে বিষয়ে আমরা বোধগম্য নই। দ্রুত সময়ের মধ্যে পানির সমস্যা সামাধান করা এখন বাসিন্দাদের দাবী।'

এ সমস্যা কেনো এবং সমাধান কি? এ প্রশ্নের জবাবে পৌর প্রশাসক কাওছার হোসেন মুঠো ফোনে দৈনিক বাংলাকে জানান, 'পৌসভার ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে ৪টি পাম্প থেকে পানি সরবরাহ করা হতো। কিন্তু পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ায় ২টি পাম্পে পানি উঠছেনা এবং ১ টি পাম্প থেকে লবনাক্ত পানি ওঠে তাই এই তিনটি পাম্প বন্ধ রয়েছে। ফলে ৯ নং ওয়ার্ডে পানির সংকট বিরাজ করছে। ঝালকাঠি পৌরসভা ৭ জেলা পানি সরবরাহ প্রকল্প ও ২৫ জেলা পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পে ঐ বিষয়ে প্রকল্প প্রেরণ করা হ‌য়ে‌ছে। শীঘ্রই এ প্রকল্প শুরু হলে ঝালকাঠি বাসী এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে ব‌লে আশা কর‌ছি।'

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The head teacher has been accused of seizing half of the money in the name of appointment in Charghat educational institutions

চারঘাটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়ার নামে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

চারঘাটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়ার নামে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়ার নামে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছী এলাকার জোতকার্তিক বি এন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে নিয়োগ বোর্ড না করেই টাকার বিনিময়ে চারটি পদে নিয়োগ দিয়ে এমপিও’র আবেদন করেছে ঐ শিক্ষক। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ঘনিষ্ঠ প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন’র সীমাহীন দুর্নীতির বিচার এবং এমপিও আবেদন বাতিলের বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক বরাবর আবেদন করেছে সাবেক ইউপি সদস্য মো. মকবুল হোসেন। তিনি নন্দনগাছীর কালাবীপাড়া এলাকার মৃত ছবির উদ্দিনের ছেলে।

আবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, প্রধান শিক্ষক মারফত জানতে পারেন যে, আইসিটি ল্যাব সহকারী পদে একজন লোক নিয়োগ করা হবে। তার কথা শুনে আমার ছেলের বৌকে নিয়োগ দেয়ার কথা বললে প্রধান শিক্ষক ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে। তিনি তার কথায় রাজি হয়ে ২০১৯ সাল থেকে ২০ সালের বিভিন্ন সময় মোট ৯ লক্ষ টাকা তার নিজ বাসায় নিজ হাতে গ্রহণ করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার ছেলের বৌকে উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ না দিয়ে নানা রকম তালবাহানা করছে। মকবুল হোসেন আবেদনে আরো উল্লেখ করেন, বর্তমানে একান্ত সূত্রে জানতে পারেন, আইসিটি পদসহ মোট ৪টি পদে প্রায় অর্ধ কোটি নিয়োগ বাণিজ্য করে ব্যাক ডেটে বাস্তবে নিয়োগ বোর্ড না করেই অবৈধ ভাবে নিয়োগ দিয়েছে। এই আবেদন বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে অভিযোগকারী সাবেক ইউপি সদস্য মকবুল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন আমার ছেলের বৌকে তার প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার কথা বলে ৯ লক্ষ টাকা নিয়েছে। কিন্তু তাকে চাকরি না দিয়ে বেশী টাকার বিনিময়ে অন্যজনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছে এবং স্কুলটি এমপিও’র জন্য আবেদন করেছে। আমি এই এমপিও আবেদন বাতিলের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক বরাবর আবেদন করেছি।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন। মন্ত্রীর পরিচয়ে নানাভাবে প্রভাব খাটিয়ে সীমাহীন দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা করেছেন এই শিক্ষক। অভিযোগ বিষয়ে কথা বলতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহা. আবদুর রশিদ জানান, এ ধরনের অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। একজন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করানো হবে। টাকা লেনদেনের বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে ক্ষতিয়ে দেখা হবে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন তিনি।

মন্তব্য

p
উপরে