পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি মানেই যেন পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটে চলা। প্রথম দুই দিন ৫০ শতাংশ করে বেড়ে ১০ টাকার শেয়ার ২২ টাকা ৫০ পয়সা হতে সময় লাগে মাত্র দুই কার্যদিবস। এরপর কোনো শেয়ার ৪০ টাকা, কোনোটা ৫০ টাকা, কোনোটা ৭০ টাকা পার করেছে এক মাসের মধ্যে।
গত এক বছর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত শেয়ারের প্রায় সবগুলোর ক্ষেত্রেই এই চিত্র দেখা গেছে। যেগুলো প্রিমিয়ামসহ বা বুকবিল্ডিংয়ের মাধ্যমে অতিরিক্ত অভিহিত মূল্যে তালিকাভুক্ত হয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রেও প্রথম দিন ৫০ শতাংশ বাড়তে দেখা গেছে। একটির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় কার্যদিবসে ৫০ শতাংশের কম বাড়লেও অন্য একটির ক্ষেত্রে টানা আট থেকে ৯ দিন সর্বোচ্চ পরিমাণ দর বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে।
তবে ব্যতিক্রম কেবল এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক। ১০ টাকায় তালিকাভুক্তির পর প্রথম দিন ২২ মার্চ ৫০ শতাংশ বেড়ে দাম ১৫ টাকা উঠেছিল বটে, তবে ধরে রাখতে পারেনি শেষ পর্যন্ত। দ্বিতীয় দিন থেকেই দরপতন শুরু। একপর্যায়ে দাম নেমে আসে ১১ টাকায়।
তবে দেড় মাস পর এসে এক সপ্তাহ ধরে এই ব্যাংকের শেয়ারদর বাড়তে বাড়তে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এর মধ্যে ব্যাংকটি গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। শেয়ারপ্রতি ৭৫ পয়সা নগদ আর ৫ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি ১০০ শেয়ারে ৫টি বোনাস শেয়ার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ব্যাংকটি। এর পর থেকেই বাড়তে শুরু করে দাম।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো লভ্যাংশের দিক দিয়ে এগিয়ে থাকলেও এগুলোর দাম একেবারেই কম। টানা ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়ে আসা ব্যাংকের দামও আছে এখন অভিহিত মূল্য ১০ টাকার নিচে। সম্পদ মূল্য যত, তার অর্ধেক দরে শেয়ার বিক্রি হয় এসব ব্যাংকের।
এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক বা এনআরবিসি তালিকাভুক্তির পরেই আলোচনা ছিল, যেখানে বছরের পর বছর থেকে ১০ থেকে ২২ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়ে আসা ব্যাংকের শেয়ারদর ১১ থেকে ১৫ টাকার মধ্যে, সেখানে নতুন তালিকাভুক্ত ব্যাংক কতটা আগ্রহী করতে পারবে বিনিয়োগকারীদের।
তবে প্রথম কার্যদিবসে ৩২ শতাংশ বাড়ার পর দ্বিতীয় কার্যদিবসে ৬ দশমিক ৬০ শতাংশ দর হারানোর পর এটা স্পষ্ট হয় যে, নতুন ব্যাংকেও আগ্রহ নেই বিনিয়োগকারীদের।
লেনদেন শুরুর ৯ কার্যদিবসে ব্যাংকটির শেয়ার ১১ টাকায় নেমে আসার পর হতাশ হন শেয়ারধারীরা।
তবে ২ মে থেকে দিন পরিবর্তনের শুরু এনআরবিসির শেয়ারধারীদের। সেদিন শেয়ারদর ছিল ১২ টাকা ৪০ পয়সা। প্রথম দুই কার্যদিবস ২০ পয়সা করে বাড়ার সময় অবশ্য বোঝা যায়নি, কী পরিমাণ লাফ দিতে যাচ্ছে ব্যাংকটির শেয়ারদর।
৪ মে থেকে ব্যাংকটির শেয়ারদর টানা প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে এক দিনে সর্বোচ্চ দাম বৃদ্ধির প্রান্তসীমা ছুঁয়ে যায়। আর বেশির ভাগ দিনেই এই সর্বোচ্চ দামেও বিক্রেতা দেখা যায়নি।
৫ মে ১৩ টাকা ৬০ পয়সা, ৬ মে ১৪ টাকা ৯০ পয়সা, দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি শেষে ৯ মে ১৬ টাকা ৩০ পয়সা, ১১ মে আবার প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে দাম দাঁড়ায় ১৭ টাকা ৯০ পয়সা আর ১২ মে দাম হয় ১৯ টাকা ৬০ পয়সা। অর্থাৎ পাঁচ কার্যদিবসেই দাম বেড়েছে ৫৮ শতাংশ।
প্রায় ৫০ শতাংশ দাম বাড়ার পরেও আয়ের তুলনায় ব্যাংকটির আয় মূল্য অনুপাত আকর্ষণীয় পর্যায়েই আছে। সব শেষ দাম অনুযায়ী এর আয় মূল্য অনুপাত বা পি রেশিও ৭ দশমিক ৫৫। অর্থাৎ বর্তমান হারে আয় করলে বিনিয়োগের টাকা উঠে আসবে এই কয় বছরেই।
পুঁজিবাজারে ১০ পি রেশিওকে আকর্ষণীয় হিসেবে ধরা যায়। তবে বেশ কিছু ব্যাংকের পি রেশিও চারের ঘরে আছে। মিউচ্যুয়াল ফান্ডে এই পি রেশিও আরও কম আছে কোনো কোনোটির।
আর বাজারে শেয়ারমূল্য একমাত্র পি রেশিওর ওপরই নির্ভর করে না। এমন কোম্পানিও আছে যার পি রেশিও ১ হাজারের বেশি। তবু উচ্চমূল্যে লেনদেন হচ্ছে শেয়ার।
আয় কত
গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটির মুনাফা হয়েছে শেয়ার প্রতি ২ টাকা ৩৭ পয়সা। মহামারির বছরে আগের বছরের তুলনায় মুনাফা বেড়েছে ৩৯ পয়সা বা ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ।
আগের বছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৯৮ পয়সা।
তবে শেয়ারসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় আনলে শতকরা হিসেবে গত বছরের চেয়ে মহামারির বছরে আয় আরও বেশি বেড়েছে।
ব্যাংকটি মোট ১২ কোটি শেয়ার বিক্রি করে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব-আইপিওর মাধ্যমে ১২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে।
ব্যাংকের পুঁজির গুণগত মানের আন্তর্জাতিক চর্চা ব্যাসেল-৩-এর শর্ত পরিপালনে, উত্তোলিত টাকার ১১০ কোটিই বিনিয়োগ করা হবে সরকারি সিকিউরিটিজে। আর সাড়ে ৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে শেয়ারবাজারে।
বর্তমানে এনআরবিসির পরিশোধিত মূলধন ৫৮২ কোটি টাকা। নতুন করে উত্তোলিত টাকা যোগ হয়ে তা হয় ৭০২ কোটি টাকা।
সম্প্রতি বিএসইসি সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংককে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে জনসাধারণের মাঝে শেয়ার ছেড়ে ১০০ কোটি টাকা তোলার অনুমোদন দিয়েছে। ইউনিয়ন ব্যাংকও পুঁজিবাজারে আসার জন্য কার্যক্রম শুরু করেছে।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সেপা) হলে দুদেশের বিদ্যমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ বাড়বে বলে মনে করছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির পার্ক ইয়ং সিক।
রোববার রাজধানীর একটি হোটেল এক সেমিনারে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন রাষ্ট্রদূত।
‘কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদের সিএসআর কার্যক্রম এবং একসঙ্গে ভবিষ্যৎ’- শীর্ষক এ সেমিনারে আয়োজন করে ঢাকার কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের দূতাবাস।
কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত বলেন, একটি দ্বি-পাক্ষিক সেপা কোরিয়ার বাজারে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধি করতে প্রেরণা জোগাতে পারে, বিশেষ করে তৈরি পোশাক পণ্যের ক্ষেত্রে। সেপা চুক্তি হলে দুই দেশের বিদ্যমান ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ বাড়বে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, উভয় দেশ কীভাবে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে আরও এগিয়ে নিতে পারে, সে বিষয়ে আমি বলতে চাই দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি, কৌশলগত অবস্থান এবং প্রচুর শ্রমশক্তির কারণে বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি আশাব্যঞ্জক গন্তব্যস্থল হিসেবে অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি বাস্তবায়নের জন্য সময়মত ভিসা প্রদান এবং নবায়ন, নিরবচ্ছিন্ন শুল্ক ছাড়, কাঁচামাল এবং মধ্যবর্তী পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক হ্রাস, প্রকল্প সমাপ্তির পরে ডলারে অতিরিক্ত অর্থ প্রদানের সমস্যা সমাধান এবং নিজ দেশে মুনাফা পাঠানোর সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করতে হবে।
কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, কোরিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি প্রতি বছর ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে সীমিত পরিসরে রপ্তানির কারণে এর পরিমাণ সন্তোষজনক নয়। পাদুকা, আইসিটি পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, হালকা শিল্প পণ্য এবং ওষুধের মতো পণ্য কোরিয়ায় আরও রপ্তানি করা যেতে পারে।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক কল্যাণ এবং দায়িত্বশীল বিনিয়োগের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে সিএসআরের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে অবদান রাখার জন্য সহযোগিতামূলক সিএসআর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য কোরিয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
সেমিনারে বাংলাদেশে কর্মরত শীর্ষস্থানীয় কোরিয়ান কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা সিএসআর কার্যক্রম উপস্থাপনা করেন। এসব কোম্পানির মধ্যে রয়েছে এলজি ইলেকট্রনিক্স, স্যামসাং আরএন্ডডি ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ, উরি ব্যাংক, দোহওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইয়ংওয়ান। তারা শিক্ষা, কমিউনিটি স্বাস্থ্য, পরিবেশ এবং দক্ষতা উন্নয়নে তাদের বিভিন্ন সিএসআর উদ্যোগ তুলে ধরেন।
সেমিনারে প্রধান কোরিয়ান এনজিও সেভ দ্য চিলড্রেন কোরিয়া, অক্সফাম কোরিয়া, হ্যাবিট্যাট কোরিয়া, গুড নেইবারস, এডিআরএ কোরিয়া এবং গ্লোবাল কেয়ারের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। প্রতিনিধিরা বাংলাদেশজুড়ে স্থানীয় সম্প্রদায়ের জীবিকা উন্নত করতে এবং সামাজিক কল্যাণ বৃদ্ধির জন্য তাদের চলমান প্রকল্পগুলো তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে সিএসআর সেন্টারের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান ‘গঠনমূলক ব্যবসায়িক সম্পর্ক তৈরিতে সিএসআরের গুরুত্ব’ বিষয়ে বক্তৃতা দেন, যেখানে তিনি দুই দেশের মধ্যে দায়িত্বশীল করপোরেট সম্পৃক্ততা কীভাবে আস্থা, সহযোগিতা এবং দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বকে উৎসাহিত করে তা তুলে ধরেন।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন কোরিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (কেবিসিসিআই) সভাপতি শাহাব উদ্দিন খান ও কোইকার কান্ট্রি ডিরেক্টর জিহুন কিম।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিবিএ) কার্যনির্বাহী কমিটির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এটি আগামী বছরের ১০ অথবা ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে পারে।
গত শনিবার উত্তরার বিজিবিএ কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনের এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় উপস্থিত সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে কমিশন জানায়, ভোটগ্রহণ ঢাকা বোট ক্লাব বা উত্তরা ক্লাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
সভায় নির্বাচনি তথ্য, আচরণবিধি ও ভোট আয়োজনের প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। নির্বাচনের তফশিল দু-একদিনের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন নির্বাচনি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের সদস্য আনিসুর রহমান ও সদরুজ্জামান রাসেল, আপিল বোর্ডের সদস্য আনোয়ারুল বশির খান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিজিবিএ’র বর্তমান কমিটির প্রেসিডেন্ট মোফাজ্জল হোসেন পাভেল, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ পিন্টুসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, আগামী ২০২৬-২৮ মেয়াদের বিজিবিএ কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের জন্য গত ১২ অক্টোবর মো. নজরুল ইসলাম, মো. সদরুজ্জামান রাসেল ও মো. আনিসুর রহমানের সমন্বয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচনী বোর্ড এবং তিন সদস্যবিশিষ্ট আপিল বোর্ড গঠন করা হয়।
বাংলাদেশের জ্বালানি ও খনিজসম্পদ খাতে গবেষণা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নে সহযোগিতার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউট (বিপিআই) পাঁচটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।
গত শনিবার বিপিআই সদর দপ্তরে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। খাতটির উন্নয়নে এ চুক্তি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বহুমাত্রিক সহযোগিতার ভিত্তিতে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় মানবসম্পদ ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান মো. আমিন উল আহসান। বিপিআইর মহাপরিচালক খেনচান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান, বুয়েটের পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মিনারেল রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমআরই) বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এবং পেট্রোবাংলার সচিব ও সিনিয়র জি এম মো. আমজাদ হোসেন তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।
স্বাক্ষরকারীরা আশা প্রকাশ করেন, এই যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ খাতে গবেষণা ও প্রশিক্ষণের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গবেষণা সংস্থা ও শিল্প সংস্থার এই মেলবন্ধন দেশের হাই-ড্রোকার্বন ও খনিজসম্পদের আবিষ্কার, উত্তোলন এবং দক্ষ জনবল তৈরিতে দীর্ঘমেয়াদি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
উল্লেখ্য, বিপিআই জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের অধীন একটি জাতীয় প্রশিক্ষণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ঢালাও দরপতনের সঙ্গে লেনদেন হ্রাস পেয়েছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ফলে সবকটি মূল্য সূচকের বড় পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রায় চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম লেনদেন হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মোট ৩৯৬টি কোম্পানির ১৪ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৭৯৯টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। দিনের শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৪২ কোটি ৪০ লাখ ৪৪ হাজার ৭৮৫ টাকা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই ব্রড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স) আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৭৫.০৮ পয়েন্ট কমে ৫০৪৪.৩৪ পয়েন্টে নেমে আসে। ডিএসই-৩০ সূচক ২৯.৭৪ পয়েন্ট কমে ১৯৩৮.১৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই শরিয়াহ সূচক (ডিএসইএস) ২৩.৯৬ পয়েন্ট কমে ১০৬২.৩৩ পয়েন্টে অবস্থান নেয়।
লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৪টির, কমেছে ৩১৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টি কোম্পানির শেয়ারদর।
টাকার ভিত্তিতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো: সামিট এলায়েন্স পোর্ট, ওরিয়ন ইনফিউশন, বিএসআরএম স্টিল, ডমিনজ স্টিল, এপেক্স ফুটওয়্যার, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, রবি আজিয়াটা, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, সিভিও পেট্রোলিয়াম ও সোনালি পেপার।
দরবৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো: ন্যাশনাল হাউসিং, বিএসআরএম স্টিল, একমি ফার্মা, বিএসআরএম লিমিটেড, ডরিন পাওয়ার, ড্যাফোডিল কম্পিউটার, সিম টেক্স, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স মিউচুয়াল ফান্ড, এক্সিম ব্যাংক প্রথম মিউচুয়াল ফান্ড ও মিডল্যান্ড ব্যাংক।
দরপতনের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো: মুন্নু অ্যাগ্রো, খান ব্রাদার্স পিপি, প্রগতি ইন্স্যুরেন্স, এইচআর টেক্স, নিউ লাইন, জেমিনি সী ফুডস, সামিট এলায়েন্স পোর্ট, ন্যাশনাল ফিডস, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স ও সোনা ইন্স্যুরেন্স পিএলসি। দিন শেষে ডিএসইর মোট বাজারমূলধন দাঁড়িয়েছে ৬৮৬ কোটি ৯৪ লাখ ৯৮ হাজার ৩৯২ টাকা।
চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশের ক্ষেত্রে যানবাহনের বর্ধিত গেটপাস ফি (বাড়তি মাশুল) স্থগিত করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে বন্দরে সৃষ্ট অচলাবস্থার সাময়িক অবসান হয়েছে।
পণ্যবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে বর্ধিত ফি স্থগিত থাকবে বলে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান আশ্বাস দিয়েছেন। তবে দুদিনের কর্মবিরতির কারণে ছয়টি জাহাজ রপ্তানি পণ্য ছাড়াই বন্দর ত্যাগ করেছে।
রোববার বিকেলে পরিবহন শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষের বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান, বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরি, ট্রেইলার গত শনিবার থেকে বন্ধ রয়েছে। ফলে আমদানি পণ্যের ডেলিভারি বন্ধ ছিল। বিষয়টি দেশের আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। তাই বন্দর চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে শ্রমিক ও মালিকদের সঙ্গে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে আলোচনা হয়েছে। সরকারি অনুমোদনক্রমে জারি করা গেজেট তাৎক্ষণিকভাবে সংশোধন বা স্থগিত করা সম্ভব নয়। তবে পরিবহন শ্রমিকদের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শুধু পরিবহনের ক্ষেত্রে বর্ধিত গেটপাস ফি পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।’
বন্দর সচিব আরও বলেন, ‘আমরা বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুপারিশসহ প্রস্তাব বোর্ডে পাঠাব এবং পরে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। প্রস্তাব অনুমোদিত হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে। আপাতত ফি স্থগিত থাকবে।
শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধিরা আশ্বস্ত করেছেন, তারা কাজে ফিরে যাবেন। বর্তমানে বাইরে প্রায় ছয় হাজার ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে, যা এখন ডেলিভারি ও রপ্তানি কাজে নিয়োজিত হবে।’
বিভাগীয় পণ্য পরিবহন ফেডারেশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মো. শামসুজ্জামান সুমন বলেন, বন্দর চেয়ারম্যান আমাদের সঙ্গে বৈঠকে পণ্যবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে নতুন ট্যারিফ শিডিউলের বর্ধিত ফি স্থগিত করেন। চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, আপাতত ট্রাক, কাভার্ডভ্যান বন্দরে প্রবেশের ক্ষেত্রে আমাদের ২৩০ টাকা দিতে হবে না। আগের মতো ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা ফিতে পাস নিতে পারব আমরা। যদি আমরা ৫৭ টাকা ৫০ পয়সায় পণ্যবাহী গাড়ির পাস পাই তাহলে আমাদের গাড়ি বন্দরের পণ্য পরিবহন করবে। প্রতিদিন আমাদের ৮-৯ হাজার গাড়ি বন্দরে পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ডভ্যান চলাচল করে।
চট্টগ্রাম জেলা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন ফারুক বলেন, দীর্ঘ সময় আলোচনার পর বন্দর চেয়ারম্যান পণ্যবাহী গাড়ির গেট পাসের বর্ধিত ফি স্থগিতের কথা জানিয়েছেন। স্থগিত করার লিখিত কাগজ পেলে আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করব। যেহেতু এটা কার্যকরের বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন, তাই স্থগিতের বিষয়টিও লিখিতভাবে জানালে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
এদিকে কর্মবিরতির কারণে গত শনিবার ও রোববার এক হাজার একক কনটেইনার রপ্তানি পণ্য ছাড়াই ছয়টি জাহাজ বন্দর ত্যাগ করেছে। কনটেইনারবাহী যান চলাচল বন্ধ থাকায় বন্দরে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। দাবি আদায়ে পোর্ট ইউজার্স ফোরাম সরকারকে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দরে ভারী যানবাহনের প্রবেশ ফি ৫৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৩০ টাকা করা হয়। এর প্রতিবাদে মালিক-শ্রমিকরা গত শনিবার থেকে ট্রেইলার, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ রাখেন।
চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যবাহী গাড়ি প্রবেশে বর্ধিত মাশুল স্থগিত
*অচলাবস্থার অবসান
চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশের ক্ষেত্রে যানবাহনের বর্ধিত গেটপাস ফি (বাড়তি মাশুল) স্থগিত করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে বন্দরে সৃষ্ট অচলাবস্থার সাময়িক অবসান হয়েছে।
পণ্যবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে বর্ধিত ফি স্থগিত থাকবে বলে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান আশ্বাস দিয়েছেন। তবে দুদিনের কর্মবিরতির কারণে ছয়টি জাহাজ রপ্তানি পণ্য ছাড়াই বন্দর ত্যাগ করেছে।
রোববার বিকেলে পরিবহন শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বন্দর কর্তৃপক্ষের বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান, বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরি, ট্রেইলার গত শনিবার থেকে বন্ধ রয়েছে। ফলে আমদানি পণ্যের ডেলিভারি বন্ধ ছিল। বিষয়টি দেশের আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। তাই বন্দর চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে শ্রমিক ও মালিকদের সঙ্গে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে আলোচনা হয়েছে। সরকারি অনুমোদনক্রমে জারি করা গেজেট তাৎক্ষণিকভাবে সংশোধন বা স্থগিত করা সম্ভব নয়। তবে পরিবহন শ্রমিকদের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শুধু পরিবহনের ক্ষেত্রে বর্ধিত গেটপাস ফি পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।’
বন্দর সচিব আরও বলেন, ‘আমরা বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুপারিশসহ প্রস্তাব বোর্ডে পাঠাব এবং পরে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। প্রস্তাব অনুমোদিত হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে। আপাতত ফি স্থগিত থাকবে।
শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধিরা আশ্বস্ত করেছেন, তারা কাজে ফিরে যাবেন। বর্তমানে বাইরে প্রায় ছয় হাজার ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে, যা এখন ডেলিভারি ও রপ্তানি কাজে নিয়োজিত হবে।’
বিভাগীয় পণ্য পরিবহন ফেডারেশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মো. শামসুজ্জামান সুমন বলেন, বন্দর চেয়ারম্যান আমাদের সঙ্গে বৈঠকে পণ্যবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে নতুন ট্যারিফ শিডিউলের বর্ধিত ফি স্থগিত করেন। চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, আপাতত ট্রাক, কাভার্ডভ্যান বন্দরে প্রবেশের ক্ষেত্রে আমাদের ২৩০ টাকা দিতে হবে না। আগের মতো ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা ফিতে পাস নিতে পারব আমরা। যদি আমরা ৫৭ টাকা ৫০ পয়সায় পণ্যবাহী গাড়ির পাস পাই তাহলে আমাদের গাড়ি বন্দরের পণ্য পরিবহন করবে। প্রতিদিন আমাদের ৮-৯ হাজার গাড়ি বন্দরে পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ডভ্যান চলাচল করে।
চট্টগ্রাম জেলা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন ফারুক বলেন, দীর্ঘ সময় আলোচনার পর বন্দর চেয়ারম্যান পণ্যবাহী গাড়ির গেট পাসের বর্ধিত ফি স্থগিতের কথা জানিয়েছেন। স্থগিত করার লিখিত কাগজ পেলে আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করব। যেহেতু এটা কার্যকরের বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন, তাই স্থগিতের বিষয়টিও লিখিতভাবে জানালে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
এদিকে কর্মবিরতির কারণে গত শনিবার ও রোববার এক হাজার একক কনটেইনার রপ্তানি পণ্য ছাড়াই ছয়টি জাহাজ বন্দর ত্যাগ করেছে। কনটেইনারবাহী যান চলাচল বন্ধ থাকায় বন্দরে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। দাবি আদায়ে পোর্ট ইউজার্স ফোরাম সরকারকে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দরে ভারী যানবাহনের প্রবেশ ফি ৫৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৩০ টাকা করা হয়। এর প্রতিবাদে মালিক-শ্রমিকরা গত শনিবার থেকে ট্রেইলার, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ রাখেন।
০১. আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী তারুণ্যের উৎসব, ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে জীবন বীমা কর্পোরেশনের ২৪ মতিঝিলস্থ প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ১৯-১০-২০২৫খ্রি: তারিখ “গ্রাহক সেবা পক্ষ” (১৯-১০-২০২৫খ্রি: হতে ০২-১১-২০২৫খ্রি: তারিখ পযর্ন্ত) এবং জেবিসি পেনশন বীমা এর শুভ উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব জনাব মোঃ মুহিবুজ্জামান।
০২. সেবা পক্ষে (১৯-১০-২০২৫খ্রি: হতে ০২-১১-২০২৫খ্রি:) সকল গ্রাহককে উন্নত সেবা ও বিশেষ সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ সময় বীমা দাবী দ্রুত পরিশোধ, বীমার সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে বিশেষ প্রচারণার ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে কর্পোরেশনের সকল রিজিওনাল অফিস, কর্পোরেট অফিসসহ সেলস অফিস প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
০৩. অবসর জীবনের আর্থিক প্রয়োজনের দিকে লক্ষ্য রেখেই তৈরি করা হয়েছে ‘জেবিসি পেনশন বীমা’ পরিকল্প। জেবিসি পেনশন বীমা পরিকল্পের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
১। পলিসি গ্রাহক আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন,
২। এ পলিসির নমিনিও পেনশনের আওতায় থাকবে,
৩। মেয়াদপূর্তিতে এককালীন অথবা মাসিক ভিত্তিতে পেনশন সুবিধা গ্রহণ করা যাবে,
৪। প্রদত্ত প্রিমিয়ামের উপর আয়কর রেয়াত পাওয়া যায়,
৫। ২০ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে এই পলিসি গ্রহণ করা যায়।
০৪. উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নতুন প্রচলিত বীমা পলিসির প্রচারণার জন্য নির্মিত একটি সংক্ষিপ্ত TVC প্রদর্শন করা হয় এবং উপস্থিত ০২(দুই) জন গ্রাহকের কাছে নতুন পেনশন পলিসির FPR আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।
০৫. অনুষ্ঠানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের প্রতিনিধি উপসচিব জনাব মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার এবং কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজারবৃন্দসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, সকল রিজিওনাল ইনচার্জগণ ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।
দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে নতুন মাত্রা যোগ করলো কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। ব্যাংকটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছে ‘স্টার্টআপ নেস্ট’, যা বাংলাদেশের প্রথম ব্যাংক-নির্ভর স্টার্টআপ অ্যাক্সেলারেটর কর্মসূচি।
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ব্যাংকের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ও কমিউনিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান বাহারুল আলম, বিপিএম।
স্টার্টআপ নেস্টের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা পাবেন ব্যাংক হিসাব খোলা, পেমেন্ট ও কালেকশন সুবিধা, অচও ইন্টিগ্রেশনসহ আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা। পাশাপাশি থাকছে ব্যাংক পরিচালিত ট্রেনিং, অভিজ্ঞ মেন্টরের দিকনির্দেশনা এবং ব্যাংকের কর্পোরেট ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ।
কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত বলেন, “আমরা শুধু লেনদেনের ব্যাংক নই- আমরা উদ্যোক্তাদের সহযাত্রী হতে চাই। স্টার্টআপদের জন্য পুঁজি ছাড়াও গাইডেন্স ও সম্পর্ক জরুরি। স্টার্টআপ নেস্ট সেই পূর্ণাঙ্গ সাপোর্ট সিস্টেম।”
এই উদ্যোগের মাধ্যমে ব্যাংকটি একদিকে উদ্যোক্তা উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছে, অন্যদিকে ব্যাংকিং খাতকেও উদ্যোক্তাবান্ধব এক নতুন অবস্থানে পৌঁছে দিচ্ছে।
মন্তব্য