ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর মার্কেটগুলোতে চলছে কেনাকাটার ধুম। কোথাও তিল ধরানোর জায়গা নেই। ভিন্ন চিত্র শুধু বুটিকের দোকানগুলোতে। ক্রেতার চাপ নেই বলে সেখানে যেন ঈদের আমেজও নেই।
সোমবার দুপুরে নিউ মার্কেট এলাকার গাউছিয়া, চন্দ্রিমা মার্কেট, নিউ সুপার মার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, চাঁদনিচকসহ এর আশেপাশের মার্কেট এলাকায় দেখা গেছে কেনা বেচার ব্যস্ততা।
বিক্রি বাড়ায় স্বস্তি অধিকাংশ বিক্রেতাদের মাঝে। মন খারাপ কেবল বুটিক ব্যবসায়ীদের। জানালেন, ব্যবসা ভালো হচ্ছে না তাদের। আশানুরূপ ক্রেতা পাচ্ছেন না। নিউ সুপার মার্কেটের তিন তলার দক্ষিণ পাশে রেডিমেড কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় থাকলেও উত্তর পাশের বুটিক কাপড়ের দোকান একেবারেই ক্রেতাশূন্য।
কথা হয় ‘জ্যোৎস্না ব্লক প্রিন্ট এন্ড বুটিক’- এর আনস্টিচ থ্রি পিস ও শাড়ি ব্যবসায়ী আলমগীর কাজীর সঙ্গে।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমরা আনস্টিচ থ্রি পিস ও শাড়ি পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করি। প্রায় সারা দেশে আমাদের এখান থেকে কাপড় যায়। আমরা সাধারণত কাপড়ে চুমকি, লাত্তি, ডলার বসানো ও অ্যামব্রয়ডারির কাজ করি। এক কথায় বুটিকের সকল কাজ হয় এখানে।
‘গত বছর থেকে আমাদের ব্যবসা খুবই খারাপ। গরিব মানুষ তো হাত পেতে খেতে পারে। আমাদের হচ্ছে জ্বালা। না পারি হাত পাততে, না পারতেছি ব্যবসা করে বেঁচে থাকতে। ঈদেও ক্রেতার চাপ নেই। আমাদের এখানে কিছু ব্যবসায়ী অনলাইনে টুকটাক ব্যবসা শুরু করেছে। তাদের কিছু সেল হচ্ছে।’
চাঁদনি চকের আরেক বুটিকের পাইকারি বিক্রেতা মো. সাগর বলেন, ‘মানুষ ঈদে যখন থ্রি পিস কিনে টেইলার্সে বানাতে দেয় তখন লকডাউন থাকার কারণে মানুষ কিনতে পারে নাই। এখন শেষ সময়ে মানুষ রেডিমেট কাপড় কিনছে। দুই-চার জন যারা আসছেন এদের বেশির ভাগই গিফট দেয়ার জন্য কিনছে। অন্যান্য বছরের এই সময় দিনে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা বিক্রি হলেও এ বছর দিনে ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
তবে সার্বিকভাবে গত কয়েকদিনের ধারাবাহিকতায় সোমবারও সকাল থেকেই নিউ মার্কেট এলাকার শপিং মলগুলোতে দেখা যায় প্রচণ্ড ভিড়।
নিউ মার্কেটের গাউছিয়ার সামনের ফুট ওভারব্রিজে উঠে অপর পাশে যেতে সময় লেগে যায় ১০ মিনিট। কারণ, ওভার ব্রিজের ওঠার রাস্তার আশপাশের ফুটপাতে দোকানের উপচে পড়া ভিড়।
ফুট ওভারব্রিজের নিচে জুতা ব্যবসায়ী মো. কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেচাকেনা এখন মোটামুটি ভালোই। তবে মানুষ ঠেলাঠেলি করার কারণে বেশিক্ষণ দাঁড়ানো যায় না। ঠিকঠাক মতো দাঁড়াতে পারলে ব্যবসা ভালো হতো।’
একই কথা বললেন ফুট ওভারব্রিজের ওপরে মিজান মিয়া, তিনি বিক্রি করছেন মেয়েদের ব্যাগ। মিজানের মতো অনেকেই এই ফুট ওভারব্রিজের ওপরে দুইপাশে ব্যবসা করছেন। একে ফুট ওভার ব্রিজে চলাচলের রাস্তা আরও সংকীর্ণ হয়ে এসেছে।
নিউ মার্কেটের দুই নম্বর গেটের পাশেই কাপড়ের দোকানি আল-মামুন জানালেন ভালো ব্যবসা হচ্ছে তার। বলেন, ‘ব্যবসা এহন একটু ভালো। ক্রেতা আছে। বিক্রিও হচ্ছে।’
দোকানিরা জানালেন ঈদ কেনাকাটার বাকি আর তিনদিন। এই সময়ে পুরুষের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে। দল বেধে কিশোর-যুবকেরা আসছে শপিং করতে।
ব্যবসা কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে নিউ সুপার মার্কেটের তিন তলার কাপড় ব্যবসায়ী মো. মাসুম বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে এখন ব্যবসা মোটামুটি ভালো। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় কম। লকডাউনের প্রথমে দোকান বন্ধ থাকার কারণে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে।’
ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করতে আসা মো. বাপ্পি বলেন, ‘সারা বছর করোনার কারণে শপিং করা হয় নাই। ঈদের সময় নতুন কাপড় পরে নামাজে যাব তাই শপিং করতে আসছি। অল্প কিছু কাপড় কিনেই চলে যাব।’
কেনাকাটার ধুমের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি উধাও হয়ে গেছে স্বাস্থ্যবিধি। এসব ব্যাপারে নজর নেই ক্রেতা-বিক্রেতা কারোর। ঈদ কেনাকাটায় করোনাভাইরাস মহামারি যেন কোনো ধর্তব্য বিষয় না।
নিউ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সভাপতি শহীদ উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যতটুকু সম্ভব আমরা ক্রেতাদের সচেতন করছি। পরিবারে সবাইকে এবং শিশুদের মার্কেটে না আনার অনুরোধ করছি। এ ছাড়া, মার্কেটে আমরা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করছি। দোকানদারদেরও স্বাস্থ্যবিধি মানতে কড়াকড়ি আরোপ করেছি।’
ব্যবসায়ী ও পুলিশকে দোষারোপ করে তিনি বলেন, ‘আমরা তো সচেতন করছি। তবে ব্যবসায়ীরা আমাদের কথা মতো কাজ করে না। পুলিশও কিছু করে না। তারা আসে। আড্ডা দিয়ে, ইফতার করে চলে যায়।’
নিউ মার্কেটের ভেতর মানুষ আর মানুষ। সেখানের ফুটপাতের কাপড় ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া বলেন, ‘কয় দিন হইলো ব্যবসা ভালো। তয় যে পরিমাণ লোক দ্যাহেন এত বিক্রি নাই। গত বছর তো একেবারেই খারাপ অবস্থা আছিল। এইবার ব্যবসা একটু ভালো।’
নিউ মার্কেট এলাকার প্রধান সড়কের দুপাশের ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা পণ্য বিক্রি করছেন সুর সুরে। কেউ বলছেন ‘দেইখা লন দুইশো, বাইছা লন দুইশো’ আবার কেউ বলছেন- ‘একশো…একশো’।
ফুটপাতের ওড়না ব্যবসায়ী ইয়াসিন বলেন, ‘মার্কেট খুললই, মাঝখানে নাটক কইরা আমাগো ব্যবসা নষ্ট করছে। রোজার সারা মাস ভালো ব্যবসা হয় আমাগোর। তাও ভালো গতবারের মতো হয় নাই। হালকা-পাতলা বিক্রি হচ্ছে।’
গাউছিয়া মার্কেটে বাচ্চাদের কাপড়ের দোকানে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। বাচ্চারা বাবা-মায়ের হাত ধরে মনের আনন্দে ঈদের মার্কেট করছে।
এই মার্কেটের বাচ্চাদের কাপড় ব্যবসায়ী মো. ইয়াসিন বলেন, ‘ব্যবসা ভালোই হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:প্রবাসীদের দেশে পাঠানো রেমিট্যান্স সর্বোচ্চ পরিমান সংগ্রহের জন্য ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসিকে ‘রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেছে মুক্তধারা নিউ ইয়র্ক আইএনসি।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শনিবার ইউএসএ-বাংলাদেশ বিজনেস লিংক ও মুক্তধারা নিউ ইয়র্কের উদ্যোগে এবং এফবিসিসিআই ও গ্রেটার নিউ ইয়র্ক চেম্বার অব কমার্স এর সহযোগিতায় আয়োজিত ২ দিনব্যাপী বাংলাদেশি অভিবাসী দিবস ও বাণিজ্য মেলা ২০২৩ এর সমাপনী অধিবেশনে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কাছ থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর অ্যান্ড সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ আকিজ উদ্দীন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, বাংলাদেশ ইমিগ্র্যান্ট ডে অ্যান্ড ট্রেড ফেয়ার ২০২৩ এর আহ্বায়ক ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং মুক্তধারা নিউ ইয়র্ক আইএনসি এর প্রতিষ্ঠাতা ও ইমিগ্র্যান্টস ডে ২০২৩ এর প্রধান সমন্বয়ক বিশ্বজিত সাহা।
বাংলাদেশকে উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি আখ্যা দিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসেফ আল দুহাইলান বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
সৌদি আরবের ৯৩তম জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেয়া বার্তায় তিনি এ আগ্রহের কথা জানান বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবির রোববারের প্রতবেদনে জানানো হয়েছে।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘(বাংলাদেশের) বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছে সৌদি আরবের নামী অনেক কোম্পানি ও বিনিয়োগকারী।’
সৌদির জাতীয় দিবস ২৩ সেপ্টেম্বর। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় নিজেদের জাতীয় দিবস উদযাপন করবে সৌদি দূতাবাস।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে বাড়ি, স্কুল, মসজিদ, এতিমখানা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সুরক্ষার জন্য আশ্রয়কেন্দ্র, হাসপাতাল, সেতু ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সৌদি আরব।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি সফর ও দেশটির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের সঙ্গে বৈঠক এবং সৌদির বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের ফলে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে।
সৌদি দূত আরও বলেন, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক শক্ত বন্ধনের ওপর প্রতিষ্ঠিত দুই দেশের সম্পর্কের মূল গভীরে প্রোথিত।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজারে কারসাজি রোধে সঠিক তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করা জরুরি। বিনিয়োগকারীদের একটি সুন্দর ও স্বচ্ছ পুঁজিবাজার উপহার দিতে কাজ করছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
ডিএসইর নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান শনিবার দু’দিনব্যাপী আবাসিক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) যৌথ উদ্যোগে কুয়াকাটার হোটেল গ্রেভার ইন ইন্টারন্যাশনালে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএমজেএফ সভাপতি জিয়াউর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম ও ডিএসই’র সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক আসাদুর রহমান।
সমাপনী অনুষ্ঠানে হোটেল গ্রেভার ইন ইন্টারন্যাশলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস কে ডা. মোগল জান রহমান মিঠু, ডিএসইর সিনিয়র জিএম সামিউল ইসলাম, বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, সিএমজেএফ-এর প্রাক্তন সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, ডিএসইর ডিজিএম শফিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ড. তারিকুজ্জামান বলেন, ‘পুঁজিবাজারের বিভিন্ন আইনকানুন ও বিধিবিধান সম্পর্কে পারস্পরিক আলোচনা বৃদ্ধি করা জরুরি। পুঁজিবাজার একটি মূলধনী বাজার। এখানে অনেক স্টেকহোল্ডার কাজ করছে। আমি মনে করি সব স্টেকহোল্ডারের মধ্যে সিএমজেএফ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’
পরবর্তীতে কর্মশালায় সিএমজেএফ সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদানের সময় ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘একটি সুন্দর ও স্বচ্ছ পুঁজিবাজার তৈরির জন্য কাজ করছে ডিএসই।’
স্বাগত বক্তব্যে সিএমজেএফ সভাপতি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে খারাপ কোম্পানির শেয়ার যখন কারসাজিকারীদের দখলে চলে যায় তখন বাজার স্বাভাবিক অবস্থা হারিয়ে ফেলে। নষ্ট হয় বিনিয়োগকারীদের আস্থা। তখন নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে ফ্লোর প্রাইসের মতো নানা ব্যবস্থার সহায়তায় বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে হয়। অথচ প্রতিবেশী দেশ ভারতে ফ্লোর প্রাইস দিতে হয়নি। এমনকি শ্রীলঙ্কায় যেখানে অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ ছিল তাদেরও তা দিতে হয়নি।’
ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ঠেকাতে নতুন টাকা ছাপিয়ে রাষ্ট্রকে ঋণ না দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও ডলারের দামের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণের উপায় খুঁজতে গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বৃহস্পতিবার ড. ওয়াহিদউদ্দিনের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি এই পরামর্শ দেন। সূত্র: ইউএনবি
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওয়াহিদউদ্দিন বর্তমান মুদ্রানীতির যথাযথ বাস্তবায়ন এবং নতুন টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।’
মুখপাত্র জানান, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অন্যান্য সিনিয়র এবং অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদদের সঙ্গেও কথা বলবেন গভর্নর।
তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই আমরা অর্থনীতির বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হবে।’
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের তুলনায় মূল্যস্ফীতি ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মুখপাত্র বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমদানি নিয়ন্ত্রণ, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। উন্নত দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি ও সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে।’
নভোএয়ার অভ্যন্তরীণ রুটে সময়ানুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনায় সেরা এয়ারলাইন হিসেবে ২০২৩ সালের ‘বেস্ট অন টাইম পারফরমেন্স এয়ারলাইন’ ক্যাটাগরিতে গোল্ড পুরস্কার পেয়েছে। এছাড়া বেস্ট ডমেস্টিক এয়ারলাইন, মোস্ট কাস্টমার ফ্রেন্ডলি এয়ালাইন (ডমেস্টিক), বেস্ট ইন-ফ্লাইট সার্ভিস (ডমেস্টিক)- এই তিন ক্যাটাগরির প্রত্যেকটিতে সিলভার পুরস্কার লাভ করেছে নভোএয়ার।
বুধবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত ‘শেয়ারট্রিপ-মনিটর এয়ারলাইন অফ দি ইয়ার-২০২৩’ অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর হাত থেকে পুরস্কারগুলো গ্রহণ করেন নভোএয়ারের হেড অফ মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস মেজবাউল ইসলাম।
ভ্রমণ ও পর্যটন-বিষয়ক পাক্ষিক দি বাংলাদেশ মনিটর পরিচালিত আকাশপথে নিয়মিত ভ্রমণকারীদের অনলাইনে মতামত জরিপের ভিত্তিতে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
পুরস্কার গ্রহণের পর মেজবাউল ইসলাম বলেন, ‘এই স্বীকৃতি আগামীর পথচলায় আমাদের উৎসাহ জোগাবে। নভোএয়ার শুরু থেকেই সম্মানিত যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার জন্য বদ্ধপরিকর। নভোএয়ার সময়ানুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনায় ও নিরাপদ ভ্রমণে যাত্রীদের বিশ্বস্ততা অর্জন করেছে। পূর্ণ যাত্রী সন্তুষ্টি এবং উন্নততর সেবার প্রতিশ্রুতি আমাদের পরিচালনার সকল স্তরে অব্যাহত থাকবে।’
বর্তমানে প্রতিদিন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সৈয়দপুর, যশোর, সিলেট, রাজশাহী ও কলকাতায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে নভোএয়ার।
দেশের ডিজিটাল পেমেন্ট বৃদ্ধিতে অনবদ্য ভূমিকা রাখার জন্য ভিসা এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ অর্জন করেছে সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল এমএফএস নগদ। ভিসার সম্মানজনক এই অ্যাওয়ার্ড নগদ-এর পাশাপাশি দেশের মূলধারার কয়েকটি ব্যাংকও অর্জন করেছে।
সম্প্রতি ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে ‘টুওয়ার্ডস আ ক্যাশলেস, স্মার্ট বাংলাদেশ’শিরোনামে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ভিসা বাংলাদেশ।
এবারের ‘ভিসা লিডারশিপ কনক্লেভ-২০২৩-’এ ক্রেডিট কার্ড বিল পেমেন্ট এবং ডেবিট কার্ডে টাকা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ‘এক্সিলেন্স ইন সাইবারসোর্স-পে আউট,’ ক্যাটাগরিতে নগদ পুরস্কার অর্জন করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী জনাব এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট বিভাগের পরিচালক মো. শরাফাত উল্লাহ খান।
এ ছাড়া ভিসা বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার সৌম্য বসু ও ভিসার অন্যান্য কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন পর্যায়ের আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে নগদ-এর পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল হক, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সিহাব উদ্দীন চৌধুরী ও হেড অব প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট গোলাম জামিল আহমেদ পুরস্কার গ্রহণ করেন।
পুরস্কার-প্রাপ্তির বিষয়ে নগদ-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সিহাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের পার্টনার ভিসার কাছ থেকে পাওয়া এমন স্বীকৃতি আমাদের জন্য সম্মানের। দেশের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন করতে এবং গ্রাহকের সুবিধামতো সেবা দেয়ার জন্য আরও প্রোডাক্ট নিয়ে আসতে এই স্বীকৃতি আমাদের সাহায্য করবে।’
বাৎসরিক এই কনক্লেভে ভিসা তাদের পার্টনার ব্যাংক, ফিনটেক কোম্পানি, মার্চেন্ট এবং অন্যান্য অংশীদারদের সম্মাননা জানায়। ক্রস বর্ডার পেমেন্ট, প্রোডাক্ট ইনোভেশন, ফিনটেক পার্টনারশিপ, সাইবার সোর্স, ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসেসসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে তারা এসব পুরস্কার দিয়ে থাকে।
এবারের আয়োজনে ফিনটেকের পাশাপাশি ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, দ্য সিটি ব্যাংক, হংকং সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি), ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, দ্য প্রিমিয়ার ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক এবং ডাচ বাংলা ব্যাংক বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন:বুধবার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তানভীর আহমেদ, অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে.কিউ.এম. হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য