× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
এবার দিন বস্ত্রের বিমায় ধস
google_news print-icon

এবার দিন বস্ত্রের, বিমায় ধস

এবার-দিন-বস্ত্রের-বিমায়-ধস
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির ৫টি এবং ২০টি কোম্পানির ১১টিই ছিল বস্ত্র খাতের। গত এক বছরে এই চিত্র দেখা যায়নি। বস্ত্রের মতো অত ভালো না করলেও ব্যাংক ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের বেশির ভাগ কোম্পানিই দর ধরে রাখতে পেরেছে। বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ারদরও বেড়েছে। তবে বিমা খাতের ৫০টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ৪৫টি।

পুঁজিবাজারে খাত ধরে উত্থানের যে প্রবণতা দেখা দিয়েছে, তাতে এবার যোগ হয়েছে বস্ত্র খাত। এক দিনে এই খাতের প্রায় সব শেয়ারের দর বৃদ্ধির ঘটনা ঘটল।

এর আগে টানা এক মাস বিমা খাত, পরে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে একাধিক দিন এই চিত্র দেখা গেছে। মাঝে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের শেয়ারগুলোর দরও দল বেঁধে বাড়ার প্রবণতা দেখা গেছে।

রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে পাঁচ দিন দাম কমার বিপরীতে বেড়েছে ৪৩টির দর। বাকি ৮টি কোম্পানির দর ছিল অপরিবর্তিত।

২০২০ সালে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর এক বছরের বেশি সময় ধরেই এই খাতের শেয়ারগুলো নিয়ে তেমন কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। বহু শেয়ার লেনদেন হচ্ছে অভিহিত মূল্যের নিচে বা আশপাশে। এই অবস্থায় এই খাতের শেয়ারগুলোর মধ্যে বেশ কিছু বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয়ও হয়ে গেছে।

আবার করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসায় মন্দা দেখা দেয়ার যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, বেশির ভাগ কোম্পানির ক্ষেত্রেই তা সত্য প্রমাণ হয়নি। পুঁজিবাজারে যেসব কোম্পানি প্রান্তিক প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে অনেক কোম্পানির আয়ই কমার বদলে বেড়েছে।

বস্ত্রের মতো অত ভালো না করলেও ব্যাংক ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের বেশির ভাগ কোম্পানিই দর ধরে রাখতে পেরেছে। বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ারদরও বেড়েছে।

বড় মূলধনি খাতে দর বাড়ার প্রভাবে পুঁজিবাজারে সূচক বেড়েছে ৩৯ পয়েন্ট। শেয়ার কেনায় বিনিয়োগকারীদের যে আগ্রহ বেড়েছে, সেটি লেনদেনের চিত্রই বলে দেয়। টানা ৯ দিন এক হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে।

চাঙা বাজারে আগের দুই কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় বড় পতন দেখল বিমা খাত।

গত এক মাসে বিমা খাতের প্রায় সবকটি কোম্পানির ন্যূনতম ৫০ থেকে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত দর বেড়েছে। দর বাড়ছে দেখে যারা বিমা খাতের শেয়ারে বিনিয়োগ করেছেন কিংবা আরও দাম বাড়বে ভেবে ধরে রেখেছেন তারা গত দুই দিনে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৮ টাকা শেয়ারপ্রতি লোকসান করেছেন।

রোববার সবচেয়ে বেশি দরপতন হওয়া শেয়ারগুলোর মধ্যে প্রায় সবগুলোই বিমা খাতের।

সর্বাধিক দর বৃদ্ধি তালিকার প্রায় বস্ত্র খাতের আধিক্য

সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির ৫টি এবং ২০টি কোম্পানির ১১টিই ছিল বস্ত্র খাতের। গত এক বছরে এই চিত্র দেখা যায়নি।

সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে সিমটেক্সের দর। ১০ শতাংশ বেড়ে ১৪ টাকার শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৩০ পয়সায়।

ভিএফএস থ্রেড ডাইং কোম্পানির, যার শেয়ারপ্রতি দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ১ টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে এখন লেনদেন হচ্ছে ২০ টাকা ৩০ পয়সা।

লোকসানি কোম্পানি তাল্লু স্পিনিং এর দামও বেড়েছে এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই। ৪ টাকা ১০ পয়সার শেয়ার আজ লেনদেন শেষ করেছে ৪ টাকা ৫০ পয়সায়।

প্রাইম টেক্স স্পিনিং মিলস লিমিটেডের শেয়ারদরও বেড়েছে ৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭ টাকা ২০ পয়সা।

মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলসের শেয়ারদর বেড়েছে ৮ দশমিক ৮১ শতাংশ। শেয়ারদর ১৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭ টাকা ৪০ পয়সা।

এইচ আর টেক্সটাইলের শেয়ারপ্রতি দর বেড়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা। এনভয় টেক্সটাইলের শেয়ারদর বেড়েছে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ বা ১ টাকা ৭০ পয়সা। লেনদেন হয়েছে ২৩ টাকা থেকে ২৪ টাকা ৬০ পয়সায়।

এবার দিন বস্ত্রের, বিমায় ধস
ডিএসইতে সবশেষ লেনদেনের চিত্র

বাড়তি দরে স্থিতিশীল ব্যাংক ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড

গত বুধবার এই দুই খাতের প্রায় সব কোম্পানির দর বেড়েছে। পরের কার্যদিবসে বাড়ে আরও কিছু কোম্পানির শেয়ারদর। তবে কমেও কিছু কোম্পানির।

আজ ব্যাংক খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৫টির। কমেছে ৯টির। পাল্টায়নি ৭টির।

সর্বাধিক দর বৃদ্ধির তালিকায় গত তিন কার্যদিবস ধরেই আছে নতুন তালিকাভুক্ত এনআরবিসি। ১৪ টাকা ৯০ পয়সা থেকে এক টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে শেয়ারদর এখন দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৩০ পয়সা। এক দিনে এর চেয়ে বেশি বাড়া সম্ভব ছিল না।

টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ব্র্যাক ব্যংকের শেয়ারদর। আগের দিনের দরের সঙ্গে যোগ হয়েছে দুই টাকা। এ ছাড়া প্রাইম ব্যাংকের ৬০ পয়সা আর ইউসিবিএলের ৫০ পয়সা বেড়েছে।

সবচেয়ে বেশি কমেছে রূপালী ব্যাংকের দর। আগের দিনের চেয়ে ৫০ পয়সা কমে লেনদেন হয়েছে এই ব্যাংকের শেয়ারদর। এরপর সবচেয়ে বেশি ৩০ পয়সা দর হারিয়েছে ইবিএল। দর হারানো বাকি ব্যাংকগুলোর শেয়ারদর ১০ থেকে ২০ পয়সা কমেছে।

ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাতের ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ১০টির। কমেছে ৮টির। দর পাল্টায়নি ৫টির।

মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির। কমেছে ১৫টির। দর পাল্টায়নি ৬টির।

এবার দিন বস্ত্রের, বিমায় ধস

বিমার দরে ধস

রোববার লেনদেন শেষে যে ১২টি কোম্পানির শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমেছে তার মধ্যে সবকটিই বিমার। এদিন লেনদেনে ৫০টি বিমা কোম্পানির মধ্যে মাত্র তিনটি কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। দুটির দর পাল্টায়নি। বাকি ৪৫টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে।

অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। লেনদেনে ৬৫ টাকা ৭০ পয়সা থেকে দর কমেছে হয়েছে ৫৯ টাকা ২০ পয়সা।

ইউনাইটেডে ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ। শেয়ার দর ৫৬ টাকা ৭০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৫১ টাকা ৬০ পয়সা।

তাকাফুল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৮ দশমিক ৭০ শতাশং। শেয়ার দর ৫৮ টাকা ৬০ পয়সা থেকে হয়েছে ৫৩ টাকা ৫০ পয়সা।

ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৬০ টাকা ৭০ পয়সা। শেয়ার দর ৬০ টাকা ৭০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৫৫ টাকা ৬০ পয়সা।

পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ। লেনদেনে ২৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ২৪ টাকা ২০ পয়সা।

সন্ধানী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৭ দশমিক ১৬ শতাংশ। শেয়ার দর ৩১ টাকা ১০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ২৯ টাকা ৮০ পয়সা।

কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৫৩ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ কমে হয়েছে ৪৯ টাকা ৫০ পয়সা।

মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৪৪ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ কমে হয়েছে ৪১ টাকা ৯০ পয়সা।

নিটল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ। শেয়ার দর ৬০ টাকা ৩০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৫৬ টাকা ৩০ পয়সা।

কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শেয়ার দর ৪২ দশমিক ৬০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৩৯ টাকা ৯০ পয়সা।

ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ কমে ৫২ টাকা ৫০ পয়সার শেয়ার দিন শেষে হয়েছে ৪৯ টাকা ৪০ পয়সা।

নর্দান জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দরও কমেছে ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ।

বিশ্লেষকের বক্তব্য

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক গবেষণা কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার সরকার বলেন, ‘বিমা খাতের শেয়ারের যে দর পতন হয়েছে সেটি প্রত্যাশিত ছিল। এরপর দর পতন বা ‍মূল্য সংশোধন না হলে বড় ধনের ঝুকিতে পড়তে হতো বিনিয়োগকারীদের।’

তিনি বলেন, ‘এক খাতের দর পতন হলে অন্য খাতের শেয়ারের দর বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। তবে কোনো খাতেরই অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি ও পতন পুঁজিবাজারের জন্য ভালো না। খাতওয়ারি মোটামুটি সবগুলোই বাড়ছে, এটা ভালো লক্ষণ।’

তিনি বলেন, ‘ঈদের আর কয়েক দিন বাকি আছে। এখন বিনিয়োগকারীরা লাভে থাকা শেয়ার বিক্রি করে টাকা উঠাবে।’

সূচক ও লেনদেন

এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে ৩৯ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৪৫ পয়েন্টে।

শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৯ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৬১ পয়েন্টে।

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ২৮ দশমিক ৭১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৬৫ পয়েন্টে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৬টির, কমেছে ১২৮টির। পাল্টায়নি ৬৩টির।

লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাস স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১২২ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৩৩১ পয়েন্টে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪১টির। কমেছে ৯৬টির। দর পাল্টায়নি ৩৭টির। লেনদেন হয়েছে মোট ৬৬ কোটি টাকার।

আরও পড়ুন:
নতুন শেয়ারের লাগাম কি পুঁজিবাজারের জন্য ভালো
সত্য হচ্ছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ব্যাপক মুনাফার ইঙ্গিত
এবার সুইজারল্যান্ড-রাশিয়ায় বিএসইসির রোড শো
এবার নতুন শেয়ারের দাম বৃদ্ধিতে লাগাম
পুঁজিবাজারে ‘প্রচুর’ বিদেশি বিনিয়োগের প্রস্তাব

মন্তব্য

আরও পড়ুন

ক্ষেতলালে মাছের খাবারে ব্যবহার হচ্ছে পঁচা ডিম মুরগির বাচ্চা

মানবদেহের স্বাস্থ্যের মারাত্মক হুমকি
ক্ষেতলালে মাছের খাবারে ব্যবহার হচ্ছে পঁচা ডিম মুরগির বাচ্চা

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে একটি পুকুরে মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর মরা মুরগির বাচ্চা ও পঁচা ডিম। পুকুরের মাছকে সস্তা খাবার দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে এসব উপায়। এতে দুর্গন্ধে দূষিত হচ্ছে আশপাশের পরিবেশ। দিনের পর দিন ভোগান্তিতে পড়ছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে, মানবদেহের স্বাস্থ্যের জন্য যা মারাত্মক হুমকি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রামের এমদাদুল হক তার পুকুরে বিভিন্ন জাতের মাছের চাষ করেছেন। সেই পুকুরটি পরিচালনা করেন তার ছেলে আবু সালেক। সেই পুকুরের মাছকে সাধারণ খাবারের বদলে খাওয়ানো হচ্ছে জীবন্ত, মরা মুরগির বাচ্চা ও নষ্ট-পঁচা ডিম। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব সংগ্রহ করে পুকুর পাড়ে নিয়ে এসে রাখা হয়। এরপর সেগুলো একটি ব্রেন্ডার মেশিনে সেদ্ধ করে পুকুরে মাছকে খাবার হিসেবে দেওয়া হয়। এতে পুকুরের আশেপাশে ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এই দৃশ্য যেন এখন নিত্যদিনের সঙ্গী এই এলাকার মানুষ।

তাদের অভিযোগ, এ বিষয়ে পুকুরের মালিককে বারবার বলেও কোন লাভ হয়নি। উল্টো ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হয় তাদের। এদিকে পঁচা ডিম ও মুরগির বাচ্চার অভিযোগ পুকুরের কর্মচারিরা স্বীকার করলেও অস্বীকার করছেন পুকুর মালিক।

পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রামের মোহন কুমার বলেন, হ্যাচারী থেকে নষ্ট ও পঁচা ডিম নিয়ে এসে মাছকে খাওয়ায়। এতে করে পুকুরের পানি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। গোসল করা যায়না। প্রচুর দুর্গন্ধ হয়। নিষেধ করলে উল্টো হুমকি দেওয়া হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আরিফ হোসেন বলেন, পঁচা ডিম ও মুরগির বাচ্চা নিয়ে এসে পুকুরের পাড়ে রাখা হয়। তখন দুর্গন্ধ ছড়ায়। এছাড়া এরপর যখন আগুনে জ্বাল দেওয়া হয় তখন প্রচুর দুর্গন্ধ ছড়ায়। বাড়িতে থাকায় মুশকিল হয়ে পড়ে। আমরা অনেক বার নিষেধ করেছি, কিন্তু আমাদের কথা শোনেনা।

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা রিফাত ইসলাম বলেন, দিনের পর দিন আমরা এই দুর্গন্ধে ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। এই পঁচা ডিম আমাদের এখানকার পরিবেশ দূষণ করছে। এর থেকে আমরা মুক্তি চাই। এজন্য কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

পুকুরের কর্মচারী বিশ্বনাথ চন্দ্র বলেন, আমরা জামালগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার হ্যাচারী থেকে পঁচা ডিম নিয়ে আসি। সেই ডিমের সাথে কিছু বাচ্চাও থাকে। তারপর সেগুলো ব্রেন্ডারে সেদ্ধ করে মাছকে খাওয়াই।

পুকুরের মালিক আবু সালেক বলেন, এই পুকুরটি আমি পরিচালনা করি। এখানে রুই, কাতলা, পাঙাসসহ বিভিন্ন মাছ চাষ করেছি। গ্রামবাসীরা যে মরা মুরগি বা পঁচা ডিমের অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

জয়পুরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. আল মামুন বলেন, আমাদের পুষ্টির বিশাল একটা অংশ পূরণ করে মাছ। যদি মাছকে অস্বাস্থ্যকর কোন খাবার দেওয়া হয় তাহলে সেই মাছ খেলে মানবদেহে জীবাণু ও বিষাক্ত উপাদান প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে। এটা মানবদেহের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। এছাড়া দুর্গন্ধে মানুষের বিভিন্ন রোগের উৎপত্তি হতে পারে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, কোথাও পরিবেশ দূষণ সংস্ক্রান্ত অভিযোগ প্রমাণিত হলে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জয়পুরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, মাছ চাষের ক্ষেত্রে কোন চাষী যদি সরকারি বিধি বিধান অনুসরণ না করে বা অপদ্রব্য ব্যবহার করে, সেক্ষেত্রে অভিযুক্তের সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদন্ড অথবা ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হতে পারেন। কোন মাছ চাষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Numbership Election system must pass in Parliament Amir Khasru

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি সংসদে পাশ করতে হবে: আমীর খসরু

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি সংসদে পাশ করতে হবে: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) নির্বাচন পদ্ধতির মতো বড় পরিবর্তন জনগণের মতামত নিয়ে সংসদের মাধ্যমে পাশ করতে হবে। সংসদ ছাড়া এই পরিবর্তন কেউ করতে পারবে না।

বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, ‘সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন পরিবর্তনের কথা কথা বলা হচ্ছে, তবে এটা আগামী সংসদ ছাড়া কেউ করতে পারবে না। আমরা যখন প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতি থেকে সংসদীয় পদ্ধতিতে আসি, তখন সব দলগুলো ঐকমত্য হয়ে, সংসদে সেটা পাস করতে হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এই পদ্ধতির বিষয়ে কোন দলের ইচ্ছা থাকলে তাদের মতামতের উপর শ্রদ্ধা রেখেই বলছি জনগণের কাছ থেকে তারা যেন সেই ম্যান্ডেড নিয়ে সংসদে আসে। যে কোন বিষয়ে মৌলিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে জনগণের কাছে যেতে হবে। আগামী নির্বাচনে সেটা সংসদে নিয়ে, সংসদের মাধ্যমে পাশ করতে হবে। এই পর্যায়ে এটা কোন আলোচনার বিষয় হতে পারে না।’

সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য নিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি কোথায় কোথায় ঐকমত্য হয়েছে, ইতিমধ্যে সবকিছু বলা হয়েছে। অনেকগুলো তো বিএনপি প্রস্তাব, সংসদ দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট, দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকবে না এসব বিএনপি'রই প্রস্তাব। সুতরাং ঐকমত্য হওয়া নয় কোথায়? তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে সব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না। ’

তিনি বলেন, ‘আমরা এটা বাকশাল করতে চাচ্ছি না। এটা বাকশাল না। সব বিষয়ে ঐকমত্য হবে না। যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হবে, সেগুলো এখন ঐক্যমত্যের মাধ্যমে, এর বাইরে যেগুলো থাকবে প্রত্যেকটি দলকে জনগণের কাছে গিয়ে তাদের মতামতের মাধ্যমে করতে হবে।’

লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক সম্পর্কে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জুলাই আগস্ট এর আন্দোলন তো দেড় দুই মাস ছিল, তার আগে থেকে বছরের পর বছর যারা রাস্তায় ছিল শেখ হাসিনা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, তাদের সঙ্গে আমরা কথাবার্তা বলছি। কারণ এই ঐক্যটা আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা শুধু নির্বাচন বলে কোন কথা নয়, আমাদের ৩১ দফার উপরে যে ঐকমত্য সংস্কারের বিষয়ে যে ঐকমত্য, এগুলো আমরা কীভাবে আগামী দিনে বাস্তবায়ন করব নির্বাচনের পরে জনগণ যদি আমাদেরকে রায় দেয়, সবাই মিলে এটা বাস্তবায়ন করতে হবে। ’

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নির্বাচনের কর্মকাণ্ড শুরু হয়ে গেছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে যে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।

মন্তব্য

ফরিদপুরে হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে মানববন্ধন

পরকীয়ার জেরে প্রবাসী স্বামীকে হত্যা, স্ত্রী জেল হাজতে
ফরিদপুরে হত্যার দ্রুত বিচার দাবিতে মানববন্ধন

ফরিদপুরের সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের আছিরউদ্দিন মুন্সির ডাঙ্গী গ্রামে পরকীয়ার জের ধরে প্রবাসী স্বামী আলমাস খান কে (৪০) হত্যা করার অভিয়োগ উঠেছে খোদ স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম (৩৩) এর বিরুদ্ধে। গত শনিবার দিবাগত রাতে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ । ঘটনার পর থেকে আরেক আসামী পরকীয়া প্রেমিক আলী শেখ (৫৫) রয়েছে আত্ম গোপনে ।এ নিয়ে নিহতের পিতা হাতেম খান বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে হত্যার সঙ্গে জড়ীত পরকীয়া প্রেমিক আলী শেখকে আটকসহ তাদের ফাঁসির দাবিতে বুধবার (০২ জুলাই) মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।

এ সময় নিহতের পিতা হাতেম খান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রবাসীদল ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি মির্জা প্রিন্স আলী সহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন ।

তারা বলেন, পুলিশ ঘটনার সাথে জড়ীত থাকার সন্দেহে স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম কেআটক করলেও কথিত পরকীয়া প্রেমিক আলী শেখকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। অতি দ্রত আলী শেখকে গ্রেফতার করে তাদের ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবি জানান মানববন্ধন থেকে।

পরে এলাকার কয়েকশত নারীপুরুষ বিচারের দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ আসাদুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই মামলার প্রধান আসামি হোসনেয়ারা বেগমকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও অন্য আসামি আলী শেখকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। হোসনেয়ারা বেগমের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে । এই ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Duplex house in Keraniganj

কেরানীগঞ্জে ডুপ্লেক্স বাড়িতে সংঘবদ্ধ ডাকাতি

কেরানীগঞ্জে ডুপ্লেক্স বাড়িতে সংঘবদ্ধ ডাকাতি

ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার তারানগর ইউনিয়নের কাঠালতলী গ্রামে একটি ডুপ্লেক্স বাড়িতে সংঘবদ্ধ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (০২ জুলাই) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, আব্দুল আজিজের মালিকানাধীন ডুপ্লেক্স বাড়িতে ছাদের মাধ্যমে ৬-৮ জনের একটি ডাকাতদল প্রবেশ করে। তারা ঘরের সদস্যদের হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। এসময় আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তারা বাড়ির চাবি আদায় করে এবং ঘরের ভেতরে থাকা স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ লুট করে নেয়।

ডাকাত দল প্রায় ৬.৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৬ লাখ ৬৮ হাজার ৫ টাকা নগদ অর্থ এবং একটি সনি ব্র্যান্ডের ক্যামেরা নিয়ে যায়। তবে সৌভাগ্যবশত এই ঘটনায় বাড়ির কোনো সদস্য শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

ভুক্তভোগী ও বাড়ির মালিক আব্দুল আজিজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাত আনুমানিক ৩টা ২০ মিনিটের দিকে ছাদের দিক থেকে কয়েকজন লোক ঘরে ঢুকে পড়ে। মুহূর্তেই আমাদের সবাইকে হাত-পা বেঁধে ফেল পরে আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ঘরের চাবি নিয়ে যায়। তারা ঘর তছনছ করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ নিয়ে যায়। আল্লাহর রহমতে তারা আমাদের কোনো শারীরিক ক্ষতি করেনি। তবে পরিবারের সবাই এখন আতঙ্কে আছে।

ঘটনার খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কেরাণীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল হক ডাবলু, সিআইডি এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা। তারা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছেন।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল হক ডাবলু জানান, অপরাধীদের শনাক্ত করতে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অনুসন্ধান চলছে। খুব শিগগিরই ডাকাত চক্রকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The bodies of two children were recovered after 22 hours of disappearing in Brahmaputra

ব্রহ্মপুত্রে নৌকা ডুবি নিখোঁজের ২২ ঘন্টা পর দুই শিশুর লাশ উদ্ধার

ব্রহ্মপুত্রে নৌকা ডুবি নিখোঁজের ২২ ঘন্টা পর দুই শিশুর লাশ উদ্ধার

ময়মনসিংহের পাগলায় ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাডুবির ২২ ঘন্টা পর নিখোঁজ দুই শিশু মরদেহ উদ্ধার করেছে নিহতের স্বজনেরা। বুধবার (০২ জুলাই) পাগলা থানার টাংগাব ইউনিয়নের বাঁশিয়া এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে তাদের মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত শিশুরা হলো, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরআলগী এলাকার বাসিন্দা হাবিব মিয়ার ছেলে আবির (৬) এবং মুমতাজ উদ্দিনের ছেলে জুবায়েদ (৬)। তারা দুজনই বিরুই নদীর পাড় দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (০১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯ টার কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার চরআলগী এলাকা থেকে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে মাদ্রাসায় যেতে ছোট একটি নৌকায় উঠেন ৯ শিক্ষার্থী। ময়মনসিংহের পাগলা থানার দত্তের বাজার সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছানোর পূর্বেই ডুবে যায় নৌকাটি। এর মধ্যে ৬ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ডুবে যায় তিন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে শাপলা আক্তারের (১৫) মরদেহটি ঘটনাস্থলের খানিকটা দুর থেকে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

পাকুন্দিয়া উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভোরে নিহতের স্বজনরা নৌকা নিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে নিখোঁজ আবির ও জুবায়েদকে খোঁজতে বের হয়। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে টাংগাব ইউনিয়নের বাঁশিয়া এলাকায় ব্রক্ষ্মপুত্র নদে দুজনের মরদেহ ভাসতে দেখে। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকে তাদের মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয় বলেও জানান এই জনপ্রতিনিধি।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
3 youths killed on the Chuadanga border

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১ যুবক নিহত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১ যুবক নিহত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার (০২ জুলাই) দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলার ঝাঁঝাডাঙ্গা সীমান্তে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত ইব্রাহিম বাবু (৩২) ঝাঁঝাডাঙ্গা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। ওই ঘটনায় পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে বিজিবি।

নিহতের পিতা নুর ইসলাম জানান, দুপুরে আমার ছেলেসহ ৪-৫ জন গরুর ঘাস কাটার জন্য সীমান্তের গালার মাঠে যায়। এ সময় অসাবধনতাবশত সীমান্তের ৭৯ নম্বর মেন পিলার পার হয়ে ভারতে ঢুকে পড়লে সেখানকার ৩২ বিএসএফ হালদারপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা ২ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে বিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় বাবু।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল নাজমুল হাসান গুলিবর্ষণের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কয়েকজন স্বর্ণ চোরাকারবারির ওপর বিএসএফ গুলিবর্ষণ করেছে বলে জানা গেছে।

মন্তব্য

১৮ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেপ্তার 

১৮ কেজি গাঁজাসহ ২ জন গ্রেপ্তার 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (০১ জুলাই) বিকালে শ্রীঘর বাজারের নজরুল ইসলামের দোকানের সন্মুখ থেকে ১৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। এ সময় আক্কাছ মিয়া (৩২) ও ছিদ্দিকুর রহমান (২১) নামের দুই মাদক ব্যবসায়িকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা যায়- সলিমগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ শ্রীঘর বাজারের চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন কালে সন্দেহ জনক একটি সিএনজিকে থামিয়ে তল্লাশি করে। আক্কাছ মিয়া কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বাঙ্গরা বাজার এলাকার মৃত শহীদ মিয়ার ছেলে। ছিদ্দিকুর রহমান নবীনগর উপজেলার বড়াইল গ্রামের আতিকুর রহমানের ছেলে।

নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর ইসলাম জানান- এ ঘটনায় নবীনগর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে