× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
সত্য হচ্ছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ব্যাপক মুনাফার ইঙ্গিত
google_news print-icon

সত্য হচ্ছে মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ব্যাপক মুনাফার ইঙ্গিত

সত্য-হচ্ছে-মিউচ্যুয়াল-ফান্ডে-ব্যাপক-মুনাফার-ইঙ্গিত
ব্রোকারেজ হাউজে লেনদেন করছেন এক বিনিয়োগকারী। ফাইল ছবি
গত বছরের জুলাই থেকেই ফান্ডগুলো ব্যাপক মুনাফার ইঙ্গিত দিয়ে আসছিল। চলতি বছর লভ্যাংশ ঘোষণা করা চারটি ফান্ড যে হিসাব দিয়েছে, তাতে সেই ইঙ্গিতের সত্যতা মিলেছে। চারটি ফান্ড সর্বনিম্ন ১ টাকা ১২ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১ টাকা ৯৫ পয়সা পর্যন্ত মুনাফা করেছে। আগের বছর এসব ফান্ড সর্বনিম্ন ৪৮ পয়সা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ টাকা ৮০ পয়সা লোকসান দিয়েছিল।

চলতি বছর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত যে চারটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার প্রতিটিই ইতিহাসে সর্বোচ্চ মুনাফা করেছে। এর মধ্যে একটি ছাড়া তিনটি ফান্ডই লোভনীয় লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

অন্য একটি ফান্ড নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিশেষ অনুমতি নিয়ে এক বছরের আয় লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ না করে আগের বছরের লোকসানের সঙ্গে সমন্বয় করেছে।

কেবল এই চারটি নয়, প্রায় সবগুলো ফান্ডই গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে ব্যাপক আয় করে আসছে। এর আগে কখনও বাজারে এই চিত্র দেখা যায়নি।

গত ডিসেম্বর পর্যন্ত যেসব ফান্ড প্রান্তিক প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে সিংহভাগই ছয় মাসেই ইউনিটপ্রতি এক টাকার বেশি, কোনো কোনোটি দুই টাকার বেশি মুনাফা করেছে। এই হিসাবে বছর শেষে তাদের মুনাফা বাজারমূল্যের কাছাকাছি হয়ে যেতে পারে।

তালিকাভুক্ত ৩৭টি ফান্ডের মধ্যে চারটির দাম ছয় টাকার কম, আটটির দাম ছয় থেকে সাত টাকা, ছয়টির দাম সাত থেকে আট টাকা, পাঁচটির দাম আট থেকে নয় টাকা, চারটির দাম ৯ থেকে ১০ টাকার মধ্যে। বাকি আটটির দাম কেবল অভিহিত মূল্যের চেয়ে বেশি।

তবে বেশির ভাগ ফান্ডের পি রেশিও বা মূল্য আয় অনুপাত এখন অভাবনীয় পর্যায়ে কম।

বর্তমান হারে আয়ে ইউনিটের মূল্য কত বছরে উঠবে, সেটি এই পি রেশিওতে বোঝা যায়। পুঁজিবাজারে ১০ বা এর নিচে পি রেশিওকে আকর্ষণীয় ধরা হয়।

জনতা ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের পি রেশিও এখন ১ দশমিক ৮৩। তবে এটিই সর্বনিম্ন নয়। এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের পি রেশিও ১ দশমিক ৫৬ আর ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ডের পি রেশিও ১ দশমিক ৫৩।

এই ইউনিটগুলো মূলত মুনাফা করতে শুরু করে গত বছরের জুলাই থেকে। এর আগের ছয় মাসে খুব বেশি মুনাফা না করেও দুটি ফান্ড বছর শেষে ইউনিটপ্রতি দুই টাকার কাছাকাছি মুনাফা করেছে এবং শেয়ারধারীদের ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ১৫ পয়সা এবং ১ টাকা সাড়ে ২২ পয়সা করে লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

লভ্যাংশ ঘোষণার খবরে একটির দাম ১০ টাকা ছাড়ালেও অন্যটি এখনও ১০ টাকার নিচে আছে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোকে পুঁজিবাজারের প্রাণ হিসেবে ধরা হয়। তবে গত এক দশক ধরে বাংলাদেশে এই ফান্ডগুলো হতাশার আরেক নাম হয়েছে।

প্রত্যাশা অনুযায়ী আয় করতে না পারা বা লোকসানের কারণে বিনিয়োগকারীরা রিটার্ন পাচ্ছিল না। এ কারণে এই খাত থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে তারা। যে কারণে ৮০ শতাংশের বেশি ফান্ডই অভিহিত মূল্যের চেয়ে কম দামে বাজারে লেনদেন হচ্ছে।

তবে গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে দেখা গেল উল্টো চিত্র। ফান্ডগুলো ব্যাপক হারে মুনাফা করছে। তিন মাস অন্তর যে প্রান্তিক ঘোষণা করা হয়, তাতেও ফুটে উঠেছে এই চিত্র।

বেশির ভাগ ফান্ডের অর্থবছর জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত। কিছু কিছু অবশ্য জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত, কয়েকটির আবার এপ্রিল থেকে মার্চ পর্যন্ত, দুই একটির আবার অক্টোবর থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো গত অক্টোবর থেকে যে প্রান্তিক ঘোষণা করে আসছিল, তাতে প্রায় সবগুলোই ব্যাপক মুনাফার ইঙ্গিত দিয়ে আসছে। আগের বছরের একই প্রান্তিকে যে ফান্ডগুলো ইউনিটপ্রতি বড় লোকসান দিয়েছে, সেগুলোও ব্যাপক মুনাফা করছে এখন।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অন্য শেয়ারের সঙ্গে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ বিতরণের ক্ষেত্রে নীতিমালায় পার্থক্য আছে। যেকোনো শেয়ার যতই আয় করুক, তার কত অংশ বিনিয়োগকারীদের মুনাফা হিসেবে দিতে হবে, তার কোনো আইন নেই। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। তবে বার্ষিক সাধারণ সভায় বিনিয়োগকারীদের মতামত দেয়ার সুযোগ থাকে। যদিও তাদের মতামতে লভ্যাংশ পাল্টেছে, এমন ঘটনা বিরল।

অন্যদিকে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে নীতিমালা অনুযায়ী যত আয় হবে তার ৭০ শতাংশ লভ্যাংশ হিসেবে দিতে হবে। মাঝে লভ্যাংশ হিসেবে নগদ অর্থের পাশাপাশি রিইনভেস্টমেন্ট হিসেবে ইউনিট দেয়ার সুযোগ থাকলেও পরে তা বাতিল করা হয়েছে।

এর মধ্যে সম্প্রতি বিএসইসি ৭৭২তম কমিশন সভায় মিউচ্যুয়াল ফান্ডের উদ্যোক্তা পরিচালক হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে বিদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে। এতে এই খাত চাঙা হবে বলে আশা করছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা।

মিউচ্যুয়াল ফান্ড নিয়ে আগ্রহের কথা জানালেন ডিএসই পরিচালক রকিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘কারও কাছে টাকা থাকলে আমি বলব তিনি যেন পুরো টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ না করে। একটি অংশ স্থায়ী সঞ্চয়ে আর একটি অংশ বিনিয়োগ করবেন পুঁজিবাজারে। আর পুঁজিবাজারে বিনিয়াগ ঝুঁকিপূর্ণ মনে করলে তিনি যেন মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন।’

ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক গবেষণা কর্মকর্তা দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর বছর শেষের ইউনিটধারীদের লভ্যাংশ প্রদান করতে পারেনি। এ কারণে এত দিন এখানে বিনিয়োগ করতে চায়নি বিনিয়োগকারীরা। তবে ভালো লভ্যাংশ বা রিটার্ন পেলে অবশ্যই তারাও এ খাতের বিনিয়োগ আগ্রহী হবে।

যেসব ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, সেগুলোর আয় কত

এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি ইউনিটধারীদের ৩১ মার্চ ২০২১ সময়ের জন্য ১২ দশমিক ২৫ শতাংশ নগদ বা ইউনিট প্রতি ১ টাকা ৪৫ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এ সময়ে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৮৩ পয়সা।

আগের বছর ইউনিটপ্রতি ৬২ পয়সা লোকসানের কারণে কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি ফান্ডটি।

এমবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ট্রাস্টি বোর্ড ইউনিটধারীদের ৩১ মার্চ ২০২১ সময়ের জন্য ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ বা ১ টাকা ১৫ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি আয় (ইপিইউ) হয়েছে ১ টাকা ৯৫ পয়সা।

আগের বছর ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি লোকসান দিয়েছিল ৯৭ পয়সা। ইউনিটধারীরা তখন কোনো লভ্যাংশ পায়নি।

এর আগে লভ্যাংশ ঘোষণা করা ভ্যানগার্ড এএমসিএল রূপালী ব্যাংক ব্যালেন্স ফান্ড গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরে মুনাফা করেছে ১ টাকা ৬৮ পয়সা। এর বিপরীতে ইউনিটপ্রতি ১৬ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। তবে নিয়মানুযায়ী আয়ের ৭০ শতাংশ বা ১ টাকা ১৭ পয়সা লভ্যাংশ আকারে দেয়ার কথা।

কম হারে লভ্যাংশ ঘোষণার অনুমতি অবশ্য বিএসইসি দিয়েছে। কারণ হিসেবে, আগের বছর শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৮০ পয়সা লোকসান দেয়ার কথা জানানো হয়েছে। এবারের আয়ে আগের বছরের লোকসানের সমন্বয় করা হয়েছ।

৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবরের হিসাব পর্যালোচনা করে এনসিসি ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ইউনিটপ্রতি ৭২ দশমিক ৫ পয়সা শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

ফান্ডটি শেয়ারপ্রতি আয় করে ১ টাকা ১২ পয়সা। অথচ আগের বছর তাদের ইউনিটপ্রতি লোকসান ছিল ৪৮ পয়সা।

ব্যাপক মুনাফার ইঙ্গিত আরও যেসব ফান্ডে

ফার্স্ট জনতা মিউচ্যুয়াল ফান্ড। গত ছয় মাসে আয় করেছে ১ টাকা ৬১ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ইউনিটপ্রতি লোকসান ছিল ৪৬ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৯০ পয়সা।

এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড গত ছয় মাস ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৯৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৯২ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ১০ পয়সা।

এশিয়ান টাইগার মিউচ্যুয়াল ফান্ড গত ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ৭৮ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৬৪ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৪০ পয়সা।

সিএপিএল বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান গত জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৮ পয়সা। গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৬০ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৯০ পয়সা।

সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৪০ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৪০ পয়সা।

ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৭৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে আয় ছিল ৪৫ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ১০ পয়সা।

ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৮৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৪৫ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ১০ পয়সা।

এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৬০ পয়সা। গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৬৫ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৬০ পয়সা।

ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৭৬ পয়সা। গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৭০ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৪০ পয়সা।

গ্রামীণ ওয়ান স্কিম-২ মিউচ্যুয়াল ফান্ড বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ৪ টাকা ২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে আয় ছিল ৩৮ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা।

আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৭২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৬৪ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ২০ পয়সা।

পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৬৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৩৮ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৭০ পয়সায়।

পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৫২ পয়সা। গত বছর একই সময়ে লোকসান ছিল ৪৭ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৩০ পয়সা।

প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট আইসিবি এএমসিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ৩৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে আয় ছিল ২১ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ১০ পয়সায়।

রিলায়েন্স ইন্সুরেন্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ২ টাকা ৩৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে আয় ছিল ১৮ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৪০ টাকায়।

সাউথইস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৭৬ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৪৫ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৯০ পয়সায়।

এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৭০ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৮২ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ২০ পয়সায়।

এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ডের জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৫৮ পয়সা। আগের বছরে একই সময়ে লোকসান ছিল ৯০ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৩০ পয়সায়।

এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোফ ফান্ডে চলতি বছরের ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ১ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৩ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ২০ পয়সায়।

এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ডে বছরের প্রথম ছয় মাসে আয় হয়েছে ১ টাকা ৫৮ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৯০ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৩০ পয়সায়।

এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডে বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৮২ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৯ টাকা ৯০ পয়সায়।

ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ইউনিটপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৯১ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ৮৪ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ২০ পয়সা।

ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফিনান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড চলতি বছরের প্রথম তিন মাসের আয় ঘোষণা করেছে এখন পর্যন্ত। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তারা ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৮ পয়সা। গত বছর একই সময়ে তাদের লোকসান ছিল ৯০ পয়সা।

বৃহস্পতিবার ফান্ডটির লেনদেন শেষে ইউনিটপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৩০ পয়সা।

এই সবগুলো ফান্ড জুন ক্লোজিং। মার্চে এরই মধ্যে তাদের তৃতীয় প্রান্তিক শেষ হয়েছে। তবে এখনও সবগুলো তাদের তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ করেনি। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ের আগেই প্রকাশ হবে তা। আর তাতে বছর শেষে তারা কী পরিমাণ আয় করবে, তা আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন:
এবার সুইজারল্যান্ড-রাশিয়ায় বিএসইসির রোড শো
এবার নতুন শেয়ারের দাম বৃদ্ধিতে লাগাম
পুঁজিবাজারে ‘প্রচুর’ বিদেশি বিনিয়োগের প্রস্তাব
টিকল না ব্যাংকের উত্থান, বিমায় বড় পতন
পুঁজিবাজারের লেনদেন বাড়ল এক ঘণ্টা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
3 men and women were detained when entering India

ভারতে প্রবেশের সময় ৫ নারী-পুরুষকে আটক

ভারতে প্রবেশের সময় ৫ নারী-পুরুষকে আটক

পাসপোর্ট ভিসা ছাড়া অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের সময় যশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা সীমান্ত থেকে ৫ নারী-পুরুষকে আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা। গত মঙ্গলবার রাতে সীমান্তের ১৭/৭ এস এর ২২ আর পিলারের নিকট থেকে তাদের আটক করা হয়।

বিজিবি জানায়, শার্শা উপজেলার কায়বা সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশি নাগরিকরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করতে পারে। ওই সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির একটি টহল দল সীমান্ত পিলার ১৭/৭ এস এর ২২ আর পিলার থেকে আনুমানিক ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের সময় ২ জন পুরুষ এবং ৩ জন নারীকে আটক করে।

আটককৃত ব্যক্তিদের বাড়ি, যশোর, বাগেরহাট, মুন্সীগঞ্জ, ঢাকা এবং সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায়। আটককৃতদের শার্শা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান বিজিবি। খুলনা-২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ খুরশীদ আনোয়ার আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সাম্প্রতিককালে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধকল্পে বিজিবি সীমান্তে কঠোর নজরদারি ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Basic training duration of cadre officers is 6 months

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৪ মাস নির্ধারণ

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৪ মাস নির্ধারণ

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছয় মাস থেকে কমিয়ে চার মাস করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন মাস প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে এবং এক মাস মাঠপর্যায়ে ওরিয়েন্টেশন ও গ্রাম সংযুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন।

সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, কর্মকর্তাদের মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৪৭ বছর করা হবে। পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নকালে প্রতি বছর তত্ত্বাবধায়কের অগ্রগতিমূলক প্রত্যয়ন মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে, অন্যথায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বেতন বন্ধ রাখা হবে।

সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারি যত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে সেগুলোর ওপর মূল্যায়ন করতে হবে। কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, প্রশিক্ষণের ধরন-মান ইত্যাদির মানদণ্ড নির্ধারণ করে ক্যাটাগরিভিত্তিক প্রতিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে র‌্যাংকিং করতে হবে এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি স্বাধীন ইউনিট গঠন করতে হবে। তারা সমস্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওপর পদ্ধতিগতভাবে, স্বাধীনভাবে মূল্যায়ন করবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক দর্শন জানতে হবে। সেগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না দেখতে হবে। সরকারি কর্মকর্তারা যারা বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন তাদের তথ্য সেখানে থাকবে।’

সভায় সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণের নাম পরিবর্তন করে ‘দক্ষতা নবায়ন প্রশিক্ষণ’ করার সিদ্ধান্ত হয়। এ প্রশিক্ষণ হালনাগাদকৃত কারিক্যুলামে মাঠপর্যায়ে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হবে। এছাড়া উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কর্মকর্তারা আংশিক বৃত্তিপ্রাপ্ত হলেও প্রেষণ অনুমোদন করা যাবে।

কর্মচারীদের সততা ও নৈতিকতা বিকাশ এবং দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব তৈরিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সে সদ্গুণ, নৈতিকতা, আচরণবিজ্ঞান ও আচরণবিধি অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক মূল্যায়ন এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে গবেষণা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে একটি নির্বাহী কমিটি (ইসিএনটিসি) গঠন করা হয়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Literature of the National Writers Forum

জাতীয় লেখক ফোরামের সাহিত্য আড্ডা

জাতীয় লেখক ফোরামের সাহিত্য আড্ডা

জাতীয় লেখক ফোরাম আয়োজিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর ধানমন্ডিতে হওয়া এ সাহিত্য আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠেনর সভাপতি ড. দেওয়ান আযাদ রহমান, মহাসচিব কবি-কথাসাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন এবং উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মো. আবদুল মান্নানসহ বাংলাদেশের খ্যাতিমান লেখকরা। অনুষ্ঠানটি একটি সাধারণ প্রাণবন্ত আড্ডার মধ্যেই শুরু হয়। অনুষ্ঠানটি ৩টি পর্বে সাজানো হয়েছে। প্রতি পর্বে চারজন কবিকে মঞ্চে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা তাদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য এবং কবিতা পাঠ করেছেন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন কবি-কথা সাহিত্যিক জাহাঙ্গীর হোসাইন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The government will take drastic action to collect interest free loans M Sakhawat Hossain

সুদমুক্ত ঋণ আদায়ে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে: এম সাখাওয়াত হোসেন

সুদমুক্ত ঋণ আদায়ে সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে: এম সাখাওয়াত হোসেন

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধের জন্য সরকার প্রদত্ত সুদমুক্ত ঋণ যথাসময়ে ফেরত না দিলে সংশ্লিষ্ট শিল্প কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

বুধবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, বিজিএমইএ-এর সভাপতি এবং সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা কারখানার মালিকদের নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।

ড. এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় শ্রম অসন্তোষ নিরসনের লক্ষ্যে সরকার বার্ডস গ্রুপ, টিএনজেড গ্রুপ, বেক্সিমকো গ্রুপ, ডার্ড গ্রুপ, নায়াগ্রা টেক্সটাইলস লিমিটেড, রোয়ার ফ্যাশন লিমিটেড, মাহমুদ জিন্স লিমিটেড, স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড এবং গোল্ডস্টার গার্মেন্টস লিমিটেডকে অর্থ বিভাগ এবং কেন্দ্রীয় তহবিল, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণ চুক্তির আওতায় উক্ত অর্থ পরিশোধ করছেন না।

তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। তাদের পাসপোর্ট জব্দের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ইতোমধ্যে কয়েকজন পলাতক মালিকের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি পলাতক মালিক ও প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাসপোর্ট স্থগিত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেন।

উপদেষ্টা বলেন, "এই ঋণের টাকা শ্রমিকের টাকা এবং জনগণের ট্যাক্সের টাকা। এ টাকা আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।"

তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে কোনোরকম ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি সংশ্লিষ্ট শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক ও প্রতিনিধিদের সংশ্লিষ্ট লিয়েন ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিষ্ঠানের জমি, কারখানা, যন্ত্রপাতি বিক্রি করে হলেও ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ঋণের সকল টাকা পরিশোধ করতে বলেন।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ-কে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

শ্রীমঙ্গলে গলায় ফাঁস দিয়ে তরুণীর মৃত্যু

শ্রীমঙ্গলে গলায় ফাঁস দিয়ে তরুণীর মৃত্যু

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বৃষ্টি নুনিয়া (২০) নামে এক তরুণী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার উপজেলার পৌর এলাকার সিন্দুরখান রোডের নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। বৃষ্টি ওই এলাকার হীরালাল নুনিয়ার মেয়ে।

শ্রীমঙ্গল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। গত মঙ্গলবার রাতে পরিবারের সঙ্গে খাবার খেয়ে নিজ কক্ষে ঘুমাতে যান বৃষ্টি। রাতের কোনো একসময় পরিবারের অজান্তে তিনি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বাসার ছাদের মন্দিরের পিলারের সাথে ফাঁস দেন। রাত আড়াইটার দিকে তার মা ডাকতে গেলে কক্ষে তাকে না পেয়ে ছাদে গিয়ে ওই অবস্থায় দেখতে পান এবং পরে পুলিশকে খবর দেন।

শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আমিনুল ইসলাম দৈনিক বাংলাকে বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
One month old jail in the name of giving jobs

চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, এক মাসের জেল

চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, এক মাসের জেল

সাতক্ষীরায় পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে আব্দুস সামাদ (৫২) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে তাকে আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক মাসের সাজা দেওয়া হয়। তিনি সাতক্ষীরা পৌরসভার রসুলপুর এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানান, সাতক্ষীরায় পুলিশের ট্রেইনিং রিক্রুট কনস্টেবল পদের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়। লিখিত পরীক্ষার পর আব্দুস সামাদ বেশ কয়েকজন প্রার্থীর কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আব্দুস সামাদকে শহরের সঙ্গীতা মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে সাতক্ষীরা কারাগারে পাঠানো হয়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Dhurung river erosion of Fatikchari is the centennial cemetery

ফটিকছড়ির ধুরুং নদীর ভাঙন বিলিন হচ্ছে শতবর্ষী কবরস্থান

ফটিকছড়ির ধুরুং নদীর ভাঙন বিলিন হচ্ছে শতবর্ষী কবরস্থান

ফটিকছড়ি উপজেলর কাঞ্চন নগর ইউনিয়নে ধুরুং নদীর ভাঙনের মুখে পড়েছে দুইশত বছরের পুরোনো কবরস্থান ও বসতভিটা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ধুরুং নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে নির্বিচারে বালু উত্তোলনের ফলে নদীপাড় ভাঙনের সৃষ্টি হয়ে বসতভিটাসহ শতবর্ষী কবরস্থান বিলীন হতে চলেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম কাঞ্চননগর গ্রামের আবদুল হাকিম কেরানীবাড়ী-সংলগ্ন বিশাল কবরস্থানের দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা ভেঙে পার্শ্ববর্তী ধুরুং নদীতে মিশে একাকার হয়ে গেছে। এর মধ্যে স্বনামধন্য ধন্য আলেম ও ইসলামী ব্যক্তিত্ব হজরত অছিউদ্দিন শাহর মাজারও রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান ধুরুং নদীর পাড়ঘেঁষা শতবর্ষী এ কবরস্থানে বছর দুয়েক আগেও শতাধিক কবর ছিল। প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিরা এখানে জিয়ারত করতে আসত।

কিন্তু নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙন বৃদ্ধি পেয়ে কবরস্থানটি দিন দিন ছোট হয়ে আসছে।

এ স্থানটিতে খাল এমনভাবে ভেঙেছে, এখানে যে কিছুদিন আগেও কবরস্থান ছিল, তা বোঝার উপায় নেই। বর্তমানে অনেক কবরের স্মৃতি চিহ্ন পর্যন্ত মুছে গেছে।

এদিকে স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার সাথে কথা হলে তারা নাম প্রকাশে না করার শর্তে বলেন প্রভাবশালী একটি মহল নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করার কারনে ভাঙন মাত্রা আগের চাইতে বেড়ে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপ্রকৌশলী সোহাগ তালুকদার বলেন, নদীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে অর্থ বরাদ্দের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে এ নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে বেড়িবাঁধ রক্ষা কঠিন হয়ে পড়বে।

এ নিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও কাঞ্চন নগর ইউপির প্রশাসক মো. নজরুল ইসলম ড্রেজার মেশিন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানিয়ে বলেন ভাঙনকবলিত কবরস্থানটি শীঘ্রই পরিদর্শন করা হবে।

মন্তব্য

p
উপরে