বাংলাদেশে ঈদ কেনাকাটায় উচ্চবিত্তের আনাগোনা যেখানে বেশি থাকে তার মধ্যে অন্যতম জারা ফ্যাশনস। উৎসব পার্বনে ইদানীং ধনকুবেরদের মধ্যে গাউনের চল বেড়েছে। তবে করোনাকাল বলে এবার অনেক দামি গাউনগুলো আনেনি তারা।
গুলশান-১ এ প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয়কেন্দ্রে এবার সবচেয়ে দামি গাউনের মূল্য দেখা গেছে ৫৫ হাজার টাকা।
বিক্রয় কর্মীরা জানান, গত বছর সর্বোচ্চ আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছিল গাউন। এবার করোনাকালে ক্রেতা কম হবে ভেবে ওই ধরনের পোশাক আন আনেননি তারা। বরং অরিজিনাল সেই গাউনগুলোর আদলে রেপ্লিকা এনেছেন, যেগুলোর দাম বেশ কম।
মেয়েদের পোশাকের তুলনায় ছেলেদের পোশাক জমকালো কম হয়, দামও তুলনামূলক কম দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। তবে জারা ফ্যাশনে এবার মেয়েদের যে কোনো পোশাকের চেয়ে ছেলেদের একটি শেরওয়ানির দাম বেশি।
সেখানে এবার সবচেয়ে দামি শেরওয়ানির মূল্য ৭০ হাজার টাকা। এর সঙ্গে পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে সাড়ে ছয় হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে।
তবে বেচাকেনা নিয়ে যারপর নাই হতাশ কর্মীরা। তারা বলছেন, এখনও ক্রেতা নেই সেভাবে।
জারা ফ্যাশন মলের জেনারেল ম্যানেজার মোশহাবিরুল রিজভী ঘুরে ঘুরে পোশাক দেখাচ্ছিলেন আর বলছিলেন, ‘এমন ঈদে দেড় থেকে আড়াইল লাখ টাকার গাউনও বিক্রি হয়েছে। এখন ৫৫ হাজার টাকার গাউন-লেহেঙ্গা নিয়েই বিপাকে আমরা।’
এর কারণ কী?
তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে বন্ধ বিয়ে, সামাজিক অনুষ্ঠান। জারা ফ্যাশনে যে পোশাক আছে তার বেশিরভাগই পার্টি ড্রেস। ঈদে যে বড় বড় আয়োজন হয় সেগুলোতে এসব পোশাকের চাহিদা বেশি ছিল। এখন সবকিছু বন্ধ থাকায় বিক্রি নেই।’
এখন পর্যন্ত একটিও দামি পোশাক বিক্রি হয়নি জানিয়ে মোশহাবিরুল রিজভী বলেন, ‘ধনিক শ্রেণির ক্রেতাদের আনগোনাই এখানে বেশি থাকে। তারা মূলত রাতে বেশি আসেন। কিন্ত শো-রুম খোলা রাখার ক্ষেত্রে সরকার বিধি নিষেধ দেয়া আছে। ফলে এখন রাত আটটাই শো রুম বন্ধ করে দিতে হয়। এ জন্য ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে যেসব ক্রেতারা আসেন তাদের বেশিরভাগই নিয়মিত কাস্টমার। যারা প্রায়শ আমাদের এখান থেকে কেনাকাটা করেন। কিন্ত এই অবস্থায় তারাও কেনাকাটা করছেন না। অনেকের ব্যবসায় মন্দা, আবার অনেকে করোনা আতঙ্কে কেনাকাটা থেকে নিজেকে বিরত রাখছেন।’
করোনা হানা দেয়ার আগে ঈদের আগে এই সময়ে রাতে সেহেরি পর্যন্ত শো রুম খোলা রাখতে হয়েছে। তখনও ক্রেতার আনাগোনা অনেক থাকত।
এত দাম কেন?
জারা ফ্যাশনের জেনারেল ম্যানেজার বলেন, ‘এগুলো মূলত অর্ডার করে আনতে হয়। একটি ডিজাইন একটিই। আপনি যেটা পড়বেন, সেটা আরও কেউ পড়বে না। ফলে প্রতিটি তার জন্যই আলাদা করে প্রস্তুত হয়। কপি প্রোডাক্ট হলেও এর হয়ত দুই থেকে তিন পিস থাকবে বাজারে। তখন জামা তৈরির খরচ কম হয়। আবার একই ডিজাইন অনেক হলে আরও কম হয়। এ কারণেই এই পোশাকগুলো এত দাম।’
৫৫ হাজার টাকার গাউনটি দেখিয়ে জারার ম্যানেজার বলেন, ‘এখানে যে কাজটি দেখছেন, সেটি রেশমি ও জরি সুতার কাজ করা। নিখুত ডিজাইনের কাজ হওয়ায় খুবই দুর্লভ। এটিও হয়ত বাজারে দুই একটিই পাওয়া যাবে।’
তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত পিস নিতে চাইলে দুই থেকে তিন মাস আগে অর্ডার দিতে হবে। এটার আরও যে বিশেষত্ব আাছে সেটি হচ্ছে এটি গ্রাউন স্ট্যাইলের টেল কাটিং। উড়নায় স্টোনের কাজ করা।’
লেহেঙ্গাও দেখা গেল ৫২ হাজার টাকার। আনা হয়েছে ভারতের রাজস্থান থেকে। বিভিন্ন ধরনের এসব লেহেঙ্গা পাওয়া সর্বনিম্ম ৩৫ হাজার টাকায়। এগুলোরও বেশিরভাগই কপি করা। অরিজিনালগুলোর দাম আরও কয়েক গুণ বেশি।
এবার রেপ্লিকা কেন?
জেনারেল ম্যানেজার বললেন, ‘আগে আমাদের এগুলোর অরজিনাল পিস ছিল। তখন এগুলোর অনেক কাস্টমার ছিল। এখন কাস্টমার নেই। তাই অরজিনাল থেকে কপি করে দাম কিছুটা কমে বিক্রি করছি। তবে মানের দিক দিয়ে কোনো হেরফের নেই।’
আছে মাল্টি কাজের লেহেঙ্গা। যেখানে পাঁচ ধরনের সুতা দিয়ে কাজ করা। রেশমি জারি, মোঙ্গ সুতা আর কোটা পাত্তির কাজ আছে। পুরোটাই স্টোর দিয়ে মোড়ানো। এমন একটির দাম রাখা হচ্ছে ৩৮ হাজার টাকা। শারারা লেহেঙ্গার দাম রাখা হচ্ছে ৪৮ হাজার টাকা।
শুধু পোশাক নয়, পোশাকের সঙ্গে মানানসই লেডিস পার্সেরও কালেকশন আছে জারা ফ্যাশনে। বোম্বে থেকে আসা এসব পার্সের দাম সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে।
পুরুষের জন্য কটনের পাঞ্জাবিও আছে এখানে। দাম সর্বোচ্চ সাড়ে ছয় হাজার টাকা পর্যন্ত। আরও আছে সিল্ক বা রেশমি সুতার কাজ করা পাঞ্জবি। সেগুলোর দাম বেশি।
বিভিন্ন ধরনের কাজ করা শেরওয়ানি আছে জারা ফ্যাশনে। করোনার আগে আরও এক্সক্লুসিভ শেরওয়ানি ছিল ডিসপ্লেতে। সেগুলোর দাম ছিল প্রায় ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত। সেটি কেউ চাইলে এখনও নিতে পারেন। তবে বিক্রি হবে না ভেবে ডিসপ্লেতে রাখা হয়নি।
ডিসপ্লেসে যেগুলো রাখা হয়েছে, সেগুলোর সর্বোচ্চ ৪২ হাজার টাকা।
দামের বিষয়ে জারার জেনারেল ম্যানেজার বলেন, ‘এর পুরোটাই কাজ করা। মূলত এ কারণেই দাম এত। আর এটির প্রোডাকশনও এক পিস। আর কোথাও পাওয়া যাবে না।’
শিশুদের জন্য আছে প্যান্ট শার্ট, রেডিমেন্ট গার্মেন্টস। মেয়ে বাচ্চাদের জন্য আছে শারারা গারারা। এক থেকে দেড় বছরের শিশুদের পোশাকের সর্বনিম্ন দাম দেড় থেকে দুই হাজার টাকা।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেন, পেশাজীবীদের মধ্যে সাংবাদিকরা সবচেয়ে বেশি নীতি সচেতন। না হলে এই সমাজ টিকে থাকবে না। সাংবাদিকরা অসীম চাপের মধ্যে দিয়ে অসীম বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে জাতির সামনে সত্যটা তুলে ধরে। শনিবার কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি ভবনের সভা কক্ষে কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের (কেইউজে) এ সাধারণ সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকদের প্রকৃত স্বাধীনতা বলতে কিছু নেই। খুব কম প্রতিষ্ঠানেই এটি আছে তবে আমার জানা নেই। সাংবাদিকতার মূল ভিত্তি হচ্ছে সততা। একজন ভালো সাংবাদিক কখনো মিথ্যা বা পক্ষ তুষ্ট খবর প্রচার করে না। সত্য তথ্য যাচাই করে নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে খবর পরিবেশন করাই হচ্ছে একজন সাংবাদিকের মূল কাজ। এর বাইরে যারা করে তারা কোন অর্থে সাংবাদিকের সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, একটি নিউজ যেমন দেশ ও সমাজকে এগিয়ে নিতে পারে তেমনি সর্বনাশ ও করতে পারে। এক্ষেত্রে সংবাদ পরিবেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিরপেক্ষ, বস্তুনিষ্ঠ, সত্যনিষ্ঠ খবর সমাজে শান্তি আনে। আর মিথ্যা খবর সমাজে শৃংখলাকে ধ্বংস করে।
কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন ও প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী।
কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শামিম উল হাসান অপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন, সাংগঠনিক সম্পাদক এরফানুল হক নাহিদ, দপ্তর সম্পাদক মো. আবু বকর।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল মামুন সাগর, কুষ্টিয়া এডিটর ফোরামের সভাপতি মজিবুল শেখ, কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকা'র সভাপতি আবু বকর সিদ্দিকসহ আরও অনেকে।
সভায় কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্যসহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। সভায় কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের তারিখ ও নিবার্চন পরিচালনা কমিটির কমিশনারদের নাম ঘোষণা করা হয়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে কাজ করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
সিইসি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে কাজ করা খুবই ডিফিকাল্ট। পার্টিকুলারলি যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে দেশটা যাচ্ছে, আপনি কাজ আদায় করে নেওয়া কিছু কিছু পক্ষের লোকের জন্য খুবই সুবিধা, আর বেশির ভাগ পক্ষের লোকের জন্য ডিফিকাল্ট। এই সিচুয়েশনে এখন দেশ দাঁড়ায় আছে।’
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সিইসি নাসির উদ্দিন। ‘নির্বাচন কর্মকর্তা সম্মেলন-২০২৫’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজক বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
কাজ করতে গিয়ে নির্বাচন কমিশন অনেক বাধার সম্মুখীন হচ্ছে বলেও জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি ও বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে কাজ করতে গিয়ে প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষ অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এসব বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই। কিন্তু এসব সামাল দিতে হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পূর্ণ আস্থা আছে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কোনো বেআইনি নির্দেশনা দেওয়া হবে না জানিয়ে সিইসি বলেন, কোনো বেআইনি নির্দেশনা তাঁরা দেবেন না। কারও পক্ষে কাজ করার জন্য কোনো নির্দেশনা দেওয়া হবে না।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের পরিস্থিতিকে ‘বিশেষ পরিস্থিতি’ উল্লেখ করে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, এই বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষভাবে কাজ করতে হবে। বর্তমান কমিশন ঐতিহাসিকভাবে অনেকগুলো নতুন কাজ হাতে নিয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থার একটা নতুন ভিত্তি দেওয়ার জন্য কাজ করছে।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে চার নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ভালো নির্বাচনের বিকল্প নেই উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ বলেন, একবাক্যে সবাইকে শিকার করতে হবে, নির্বাচনের ব্যাপারে মানুষের অনেক অনীহা। নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে অনেক অনাস্থা সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন বিষয়ে তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই এখন আর ভালো নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রধান খেলোয়াড় উল্লেখ করে এই কমিশনার বলেন, এতে নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনের পরিবেশ ভালো রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বিগত দিনে নির্বাচন কর্মকর্তারা যথাযথ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ। তিনি বলেন, বিগত দিনে অনেকেই দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। আবার অনেক নির্বাচন কর্মকর্তা অতি উৎসাহী হয়েও কাজ করেছেন।
বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের মেরুদণ্ড শক্ত হয়েছে উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ১০ মাস ১০ দিনে কমিশন প্রমাণ করেছে, নির্বাচন কমিশন শক্ত মেরুদণ্ড নিয়েই কাজ করছে। কমিশন কারও প্রতি অনুরাগ, বিরাগের বশবর্তী হয়ে কাজ করেনি, করবে না।
ভোটার তালিকায় অনেক মৃত ভোটার আছেন উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, এখনো তালিকায় অনেক মৃত ভোটার থেকে গেছেন। প্রতিদিনের জন্ম ও মৃত্যুর হার দেখলে এটা বোঝা যায়। তিনি নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তথ্য হালনাগাদ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতির পেছনে অন্যতম কারণ ছিল নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়া। নির্বাচন কমিশনের ইতিবাচক কাজের মাধ্যমে বর্তমান পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ বাধার কথা উল্লেখ করেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেন, একটি হলো এআই প্রতিবন্ধকতা এবং অন্যটি প্রবাসীদের ভোটগ্রহণ। কমিশন এই বাধাকে দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করবেন। এ ছাড়া নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বদলি নিয়ে তদবির না করার আহ্বান জানিয়েছেন ইসি সচিব।
সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইলেকশন কমিশন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ মনির হোসেন। তিনি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তারা সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করতে প্রস্তুত আছেন বলে নির্বাচন কমিশনকে আশ্বস্ত করেছেন।
ফরিদপুর ও কুমিল্লা নামে নতুন দুটি প্রশাসনিক বিভাগ প্রতিষ্ঠার পথে এগোচ্ছে সরকার। সেই সঙ্গে নতুন দুটি উপজেলা গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রি নিকার সচিব কমিটির বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আগামী মাসে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসসংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে এবং সেখানেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
সূত্র মতে, জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশন শেষে প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফেরার পর অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে নিকার বৈঠক হতে পারে।
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিব আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রি-নিকার বৈঠকে ফরিদপুর ও কুমিল্লা শহরের নামেই নতুন দুটি প্রশাসনিক বিভাগ এবং নতুন দুটি উপজেলা গঠনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ইতোমধ্যে ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলা নিয়ে ফরিদপুর বিভাগ গঠন এবং কুমিল্লা বিভাগের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর নাম প্রস্তাব করেছে।
বর্তমানে দেশে মোট ৮টি প্রশাসনিক বিভাগ আছে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ। এর মধ্যে সর্বশেষ ২০১৫ সালে ময়মনসিংহকে বিভাগ হিসেবে উন্নীত করেছে সরকার।
এর পাশাপাশি কুমিল্লার মুরাদনগর ও চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা ভেঙে নতুন দুটি উপজেলা গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা থানাধীন ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে ‘বাঙ্গরা উপজেলা’ এবং ফটিকছড়ি ভেঙে ‘ফটিকছড়ি উত্তর’ নামে উপজেলা সৃষ্টির খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বর্তমানে মুরাদনগর উপজেলার অধীনে মোট ২২টি ইউনিয়ন রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নিকার বৈঠকে বৃহত্তর ফরিদপুরের কয়েকটি জেলা নিয়ে ‘পদ্মা বিভাগ’ এবং কুমিল্লা ও আশপাশের জেলাগুলো নিয়ে ‘মেঘনা বিভাগ’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব উঠলেও চূড়ান্ত অনুমোদন মেলেনি।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানায়, অর্থনৈতিক সংকটের শঙ্কায় বিভাগ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব স্থগিত রাখা হয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতেও নতুন বিভাগের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
কারিগরি শিক্ষার্থীদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি বিকাশের লক্ষ্যে ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন ২০২৫-এর প্রাতিষ্ঠানিক পর্বের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার প্রতিষ্ঠানটির ০৬টি টেকনোলজি থেকে মোট ২০টি উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এতে প্রথম স্থান অর্জন করে এ মাল্টি লেভেল ব্রিজ ডেট কন্টেইস রেলওয়ে অ্যান্ড রোডওয়ে( A Multi-level Bridge that Contains Railway and a Roadway), দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে রভো গার্ড স্মার্ট ভেহিক্যাল সেফটি সিস্টেম ( Robo Guard Smart Vehicle safety system) এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করে ফ্লটিং হাউজ (Floating house) শীর্ষক উদ্ভাবন।
কম্পিটিশনে তিন সদস্য বিশিষ্ট বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অধ্যক্ষ মো: রেজাউল করিম, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী ফরিদ উদ্দিন পাঠান, সহকারী কমিশনার (শিক্ষা) মোঃ মনিরুজ্জামান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন
Accelerating and Strengthening Skills for Economic Transformation (ASSET) প্রকল্পের আওতায় আয়োজিত উদ্ভাবনী চিন্তা ও সৃজনশীল কার্যক্রমের অনন্য এ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালী বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শোয়াইব আহমাদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিদর্শক মুহাম্মদ ছাদেকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো: রেজাউল করিম।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শোয়াইব আহমাদ খান বলেন, কারিগরি শিক্ষার্থীদের নতুন নতুন উদ্ভাবন ও আবিষ্কার সবার সামনে তুলে ধরার অনন্য এ প্রতিযোগিতাটি দেশব্যাপী সরকারি- বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ মোট ২২৭টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে
অনুষ্ঠিত হয়। এর অংশ হিসেবে ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কারিগরি শিক্ষাঙ্গণের সর্ববৃহৎ এ প্রতিযোগিতা আয়োজন করে।
সবার জন্য উন্মুক্ত এ প্রতিযোগিতায় ফেনীর স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, কলকারখানা ও সুশীলসমাজের প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যম কর্মীসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন ২০২৫-এর আঞ্চলিক পর্ব আগামী অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে এবং জাতীয় পর্বের প্রতিযোগিতা ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হবে। চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী তিনটি উদ্ভাবনী প্রকল্পের উদ্ভাবকদের প্রদান করা হবে আকর্ষণীয় পুরস্কার।
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) বিভাগের এক শিক্ষার্থী জার্মানির Technische Hochschule Mittelhessen (THM), University of Applied Science Mittlehessen–এ তিন মাস মেয়াদি Erasmus+ MSc Exchange Program-এ অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। তিনি ২০১৮–১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. মোস্তাকিম মুসুল্লী পিয়াস। তিনি ইউরোপে এ প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া আইসিটি বিভাগের প্রথম শিক্ষার্থী। শনিবার তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ দপ্তর বরাত এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। আগামী মাসের ২ তারিখ রাতে রওয়ানা দিবেন তিনি। তিন মাস পর ২২ তারিখ দেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, Erasmus+ MSc Exchange Program ইউরোপীয় ইউনিয়নের KA171 উদ্যোগ-এর আওতায় পরিচালিত হয়। এর মাধ্যমে অংশীদার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা বিদেশে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়ন ও গবেষণার সুযোগ পান। অংশগ্রহণকারীরা মাসিক অনুদান-সহ আর্থিক সহায়তা পান, যা বিদেশে অবস্থানকালীন জীবিকা নির্বাহে সহায়ক হয়।
মোস্তাকিম মুসুল্লী পিয়াস বলেন, ‘আমি ২ তারিখ রওনা দিচ্ছি এবং তিন মাস পর যথারীতি দেশে ফিরবো। অনেকে এ সুযোগে বাহিরে থেকে যায়। কিন্তু দেশের স্বার্থে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রাম শেষ করতে আবারও ফিরবো। আমার থিসিস ফিল্ড হচ্ছে ‘সাইবার সিকিউরিটি’ নিয়ে কাজ করা।’
এই সাফল্য আইসিটি বিভাগ তথা পুরো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সংযোগকে আরও শক্তিশালী করেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল ভিশনের পথে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করছেন আইসিটি বিভাগ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না হই এবং গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ না থাকি, তাহলে ২০০৮ সালের তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে, ওয়ান ইলেভেনে যেভাবে স্বৈরাচার জেঁকে বসেছিল- সেভাবেই ঐক্যবদ্ধ না থাকলে আগামী দিনে গুপ্ত স্বৈরাচারের আবির্ভাব হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ যেভাবে চায়, আমাদের সেভাবে চলতে হবে। একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে তা হলো- সবার আগে বাংলাদেশ। এটিই আমাদের শুরু, এটাই আমাদের শেষ।’
শনিবার বিকেলে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে কুমিল্লা দক্ষিণ বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভার্চুয়্যালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিন ১৬ বছর পর কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদ। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। বিশেষ অতিথি বিএনপির চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী ও আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন। সঞ্চালনা করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম।
তারেক রহমান বলেন, ‘বক্তব্য অনেক হয়েছে। এখন আমাদের কাজ করতে হবে। আজকে সম্মেলনের শ্লোগান হোক, ঐক্য, জনগণ এবং পুনর্গঠন। আমাদের নেতাকর্মীরা হাজার হাজার জনগণকে নিয়ে আন্দোলন করেছে। জেলে গিয়েছে, গুম হয়েছে। স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এখনই সময়, সকলে মিলে কাজ করে সুন্দর ঘর গঠন করার। এই বাংলাদেশকে গঠন করতে হবে। জনগণের কাছে যেতে হবে। মিটিং করে জনগণের কাছে যাওয়া যাবে না। প্রতিটি ঘরে ঘরে যেতে হবে। কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে, তা সকল জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘গুপ্ত স্বৈরাচার থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। আজকে আমাদের একটাই লক্ষ্য থাকবে, সেটি হচ্ছে, বিএনপির প্রত্যেক নেতা-কর্মীকে সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে। দেশ গঠন করতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।’
বিএনপির শীর্ষ নেতা বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের পর এক স্বৈরাচার দেশের মানুষের কাঁধে চেপে বসেছিল। পরবর্তী সময়ে সেই স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। একদলীয় শাসনকে বিতাড়িত করে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে আবার স্বৈরাচার এসেছে। জনগণ আন্দোলন করে, যুদ্ধ করে সেই স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করেছে। বিগত ১৫ বছর আরেক স্বৈরাচার চেপে বসেছিল, সেই স্বৈরাচারকেও বিতাড়িত করেছে জনগণ। কাজেই জনগণের চাওয়া অনুযায়ী আমাদের চলতে হবে।’
দেশকে সবার ঘর উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘একটি ঘর তৈরির জন্য সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হয়। সবাই মিলে, শ্রমিকেরা মিলে যখন কাজ করে, তখন একটি সুন্দর ঘর হয়। কিন্তু একটি ঘরকে যদি ধ্বংস করে দিতে হয়, তখন কিন্তু বেশি লোকের প্রয়োজন লাগে না। এই দেশটি হচ্ছে আপনার, আমার—সবার ঘর। এই ঘরে ডাকাত পড়েছিল ১৫-১৬ বছর ধরে। সেই ডাকাতকে বাংলাদেশের জনগণ বিতাড়িত করেছে। এখন বাংলাদেশকে গঠন করতে হবে। দেশ গঠনের শক্তি হচ্ছে জনগণ। তাই রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমাদের জনগণের কাছে যেতে হবে।’
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘বিগত ১৫-১৬ বছর আমরা দেশের মানুষকে নিয়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। স্বৈরাচারের পতন হয়েছে, স্বৈরাচার দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে। তাহলে সামনে কী? এখন সামনে হচ্ছে দেশগঠন। সামনে মূল কাজ হচ্ছে দেশকে পুনর্গঠন করা। দেশকে যদি পুনর্গঠন করতে হয়, দেশকে যদি জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী গড়ে তুলতে হয়, তাহলে অবশ্যই আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
সম্মেলনে বর্তমান আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমনকে সভাপতি ও সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিমকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।
পিরোজপুরে টাইফয়েড টিকা প্রদানের বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিস গণযোগাযোগ অধিদপ্তর এ কর্মশালার আয়োজন করে।
“শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এবং ইউনিসেফের আর্থিক সহায়তায় কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে পিরোজপুরের বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খানের সভাপতিত্ত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন - গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফায়জুল হক,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন -পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. মতিউর রহমান।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা তথ্য অফিসের উপ পরিচালক পরীক্ষিত চৌধুরী।
এসময় পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম রেজাউল ইসলাম শামীম, সাধারণ সম্পাদক এস এম তানভীর আহম্মেদ, জেলা প্রেসক্লাব, পিরোজপুরের সভাপতি এম এ জলিল, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর মুক্তবার্তার(সম্পাদক) এস এম সোহেল বিল্লাহ (কাজল) সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু জাফর সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, টাইফয়েড একটি সংক্রামক রোগ। টিকা গ্রহণের মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনকে সফল করতে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টিকাদান কার্যক্রম সম্পর্কে জনগণকে সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে সংবাদকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
মন্তব্য