‘দশ দিন অইলো দোকান খুলছি, কাস্টমার পাইতাছিলাম না। যারা আসত, তারাও দাম বলে চলে যাইত। দুই দিন ধরি কাস্টমার বাড়ছে। আইজ কাস্টমার বেশি, বেচাকিনাও বেশি। এতদিনে মনে হইতাছে ঈদ আসতাছে। এই রকম বেচাবিক্রির তো আশায় ছিলাম। চানরাত পর্যন্ত যেন এমন থাকে।’
শুক্রবার বিকেলে উচ্ছ্বাস আর তৃপ্তিমাখা কথাগুলো বলছিলেন নিউ মার্কেটের সামনের ফুটপাতে কাপড় বিক্রেতা রাজু মিয়া। ক্রেতার চাপে কথা বলার সুযোগ নেই তার। জানালেন একা একা পেরে উঠছেন না তিনি।
‘শুক্কুর বার, মানুষের ছুটি। মানুষ বেতন পাইছে, বাড়িও যাইব। জামাকাপড় কিনতাছে, আমিও খুশি।’
একই চিত্র প্রায় প্রতিটি দোকানে। দম ফেলার ফুরসত নেই, ক্রেতা দরদাম করছেন, ফুটপাতের বিক্রেতাদের হাঁকডাক, রাস্তায় মানুষ আর নানা যানবাহনে একাকার। ফুটপাত তো বটেই, রাস্তার উপর ফুটওভারব্রিজেও হাঁটার জো নেই।
এই অবস্থা পুরো নিউমার্কেট, নীলক্ষেত মোড়, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় পর্যন্ত। মানুষের ভিড়ে পুরো এলাকা যেন এক হয়ে আছে। ঈদ কেনাকাটা যা বলে। তাতে হাসি ফুটেছে বিক্রেতাদের।
চলমান লকডাউনে ব্যবসায়ীদের কথা বিবেচনা করে গত ২৫ এপ্রিল থেকে ঢাকার দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলে দেয় সরকার। কিন্তু তখন বন্ধ ছিল গণপরিবহন। তাই ক্রেতাও ছিল কম। তবে, গতকাল থেকে বাস চালুর পর পরিস্থিতি অনেকটা পাল্টেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, প্রায় দুই সপ্তাহ হলো দোকান খুলেছে। কিন্তু এতদিন কোনো রকম দোকান খরচ উঠত। এর মধ্যে গত শুক্র-শনিবার দুই ছুটির দিনেও ছিল না তেমন ক্রেতা।
তবে দুই দিন ধরে বাস ছাড়ার পর ক্রেতা বেড়েছে। মাসের শুরু, অনেকেই বেতন পেয়েছেন। আবার ঈদের আগে শেষ শুক্রবার। সামনে ছুটির দিন আর দুইটি। শনিবার ও শবে কদরের দিন সোমবার। বিক্রেতাদের এখনও একটাই চাওয়া, এমন ভিড় যেন থাকে ঈদের আগ পর্যন্ত।
নিউমার্কেটের জুতা বিক্রেতা মো. সবুজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগেও অনেক কাস্টমার ছিল। তবে তার মধ্যে কেনার কাস্টমার ছিল কম। আজ কিন্তু বেশি লোক কিনতেছে। দামাদামিও করার সুযোগ কম।’
গাউছিয়ায় বাচ্চাদের পোশাক বিক্রেতা মোহাম্মদ শামীম বলেন, ‘আগে ১০ জন দরদাম করলে তিনজন কিনত। আজ ১০ জনের আটজনই কিনছে। ভিড় যেমন বেচাকেনাও তেমন।’
তবে বেচাকেনা বাড়লেও হতাশার কথা জানালেন গাউছিয়া মার্কেটের বিক্রেতা আবু বকর। তিনি জানান, ঈদের বেচাকেনা বলতে যা বোঝায় তা গত দুই বছর নেই।
‘আজ বেচাকেনা ভালো। কিন্তু তাতে দোকানের তিন ভাগের এক ভাগ মালও বিক্রি হবে না। এবারও ধরা খেলাম। এখন ঈদের বাকি কয়দিন যদি আজকের মতো বেচাকেনা হয় তাহলে হয়তো অর্ধেক মাল বিক্রি হবে।’
শপিং মল দোকানপাট খোলা রাখার সময় আরও বেশি রাখতে পারলে ব্যবসাটা ভালো হতো বলে জানালেন অপর বিক্রেতা মোখলেস।
তিনি বলেন, সরকার তো ২৫ তারিখ থেকেই মার্কেট খুলল। কিন্তু বাস ছাড়ে নাই। নিউমার্কেটের বেশির ভাগ কাস্টমার কম টাকাপইসার মালিক। ৫০০ টাকা খরচ করে সিএনজি দিয়ে আসা লোক কম। আরও আগে বাস খুলে দিলে ভালো হতো।
‘এখন বাস চলা শুরু হয়েছে। কিন্তু সন্ধ্যার পর বিক্রি করা যাচ্ছে না। ঈদবাজারে বিক্রি হয় সন্ধ্যার পর থেকে রাত পর্যন্ত। তাই অন্তত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকলে আরও ভালো বিক্রি হতো।’
নূর ম্যানশনের বিক্রেতা আসিফ বলেন, ঈদের কেনাকাটা হয় রোজার ১০ দিন থেকেই। এবার তার কোনো দেখা নাই। আজ বেচাকেনা বেশ ভালো। কিন্তু এক দিনের বিক্রি দিয়ে কি বছর যাবে। ঈদের বিক্রির ওপর অনেকেরই সারা বছরের ব্যবসা টিকে আছে। এক বছর থেকেই বিক্রি বন্ধ। কিন্তু ভাড়া তো আর বন্ধ না। এখন সবার পথে বসার অবস্থা। অন্তত ১০ দিন এমন বিক্রি হলেও চালান উঠানো যেত।
ফার্মগেট থেকে কেনাকাটা করতে এসেছেন আরিফ হোসেন। তিনি বলেন, করোনার কারণে আয় আগের চেয়ে কমেছে। কিন্তু স্ত্রী অনেক দিন ধরে একটি ভালো শাড়ির জন্য বলছিল। তাই কষ্ট করে হলেও একটা কাতান শাড়ি কিনলাম। দাম খুব বেশি না, ২২০০ টাকা নিল। এ ছাড়া, ছেলে-মেয়ের জন্যও কিছু জামা কিনেছি।’
ঈদের কেনাকাটার ভিড়ে যেন হারিয়ে গেছে স্বাস্থ্যবিধি। অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। ক্রেতাদের মধ্যে যারা মাস্ক পরে আছেন, তাদের মধ্যে অধিকাংশের মাস্ক থুতনির নিচে। এ ছাড়া, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার প্রবণতা কোথাও নেই। অনেকে কেনাকাটা করতে এসেছেন সপরিবারে।
অনেকে বাসার কাছে শপিং মল রেখেও তুলনামূলক কম দামের আশায় এসেছেন নিউ মার্কেটে। তেমনই একজন বেসরকারি চাকুরে পারভেজ আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘মিরপুরেও অনেক শোরুম রয়েছে। সেখানে দাম একটু বেশি। তাই নিউ মার্কেটে এসেছি, একটু কম দামের আশায়। শোরুমগুলোতে দামাদামির সুযোগ কম। নিউমার্কেট এলাকায় দামাদামি করে কেনা যায়। এখানে সব দামের কাপড়ই পাওয়া যায়। আমরা স্বামী-স্ত্রী এ ঈদে কিছু কিনব না। মা-বাবা ও মেয়ের জন্যই শুধু কিনব।’
আরও পড়ুন:প্রবাসীদের দেশে পাঠানো রেমিট্যান্স সর্বোচ্চ পরিমান সংগ্রহের জন্য ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসিকে ‘রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেছে মুক্তধারা নিউ ইয়র্ক আইএনসি।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শনিবার ইউএসএ-বাংলাদেশ বিজনেস লিংক ও মুক্তধারা নিউ ইয়র্কের উদ্যোগে এবং এফবিসিসিআই ও গ্রেটার নিউ ইয়র্ক চেম্বার অব কমার্স এর সহযোগিতায় আয়োজিত ২ দিনব্যাপী বাংলাদেশি অভিবাসী দিবস ও বাণিজ্য মেলা ২০২৩ এর সমাপনী অধিবেশনে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কাছ থেকে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর অ্যান্ড সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ আকিজ উদ্দীন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, বাংলাদেশ ইমিগ্র্যান্ট ডে অ্যান্ড ট্রেড ফেয়ার ২০২৩ এর আহ্বায়ক ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং মুক্তধারা নিউ ইয়র্ক আইএনসি এর প্রতিষ্ঠাতা ও ইমিগ্র্যান্টস ডে ২০২৩ এর প্রধান সমন্বয়ক বিশ্বজিত সাহা।
বাংলাদেশকে উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি আখ্যা দিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসেফ আল দুহাইলান বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
সৌদি আরবের ৯৩তম জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেয়া বার্তায় তিনি এ আগ্রহের কথা জানান বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবির রোববারের প্রতবেদনে জানানো হয়েছে।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘(বাংলাদেশের) বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছে সৌদি আরবের নামী অনেক কোম্পানি ও বিনিয়োগকারী।’
সৌদির জাতীয় দিবস ২৩ সেপ্টেম্বর। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় নিজেদের জাতীয় দিবস উদযাপন করবে সৌদি দূতাবাস।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে বাড়ি, স্কুল, মসজিদ, এতিমখানা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে সুরক্ষার জন্য আশ্রয়কেন্দ্র, হাসপাতাল, সেতু ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সৌদি আরব।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি সফর ও দেশটির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের সঙ্গে বৈঠক এবং সৌদির বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের ফলে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে।
সৌদি দূত আরও বলেন, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক শক্ত বন্ধনের ওপর প্রতিষ্ঠিত দুই দেশের সম্পর্কের মূল গভীরে প্রোথিত।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজারে কারসাজি রোধে সঠিক তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করা জরুরি। বিনিয়োগকারীদের একটি সুন্দর ও স্বচ্ছ পুঁজিবাজার উপহার দিতে কাজ করছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
ডিএসইর নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান শনিবার দু’দিনব্যাপী আবাসিক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) যৌথ উদ্যোগে কুয়াকাটার হোটেল গ্রেভার ইন ইন্টারন্যাশনালে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএমজেএফ সভাপতি জিয়াউর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম ও ডিএসই’র সিনিয়র মহাব্যবস্থাপক আসাদুর রহমান।
সমাপনী অনুষ্ঠানে হোটেল গ্রেভার ইন ইন্টারন্যাশলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস কে ডা. মোগল জান রহমান মিঠু, ডিএসইর সিনিয়র জিএম সামিউল ইসলাম, বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, সিএমজেএফ-এর প্রাক্তন সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, ডিএসইর ডিজিএম শফিকুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ড. তারিকুজ্জামান বলেন, ‘পুঁজিবাজারের বিভিন্ন আইনকানুন ও বিধিবিধান সম্পর্কে পারস্পরিক আলোচনা বৃদ্ধি করা জরুরি। পুঁজিবাজার একটি মূলধনী বাজার। এখানে অনেক স্টেকহোল্ডার কাজ করছে। আমি মনে করি সব স্টেকহোল্ডারের মধ্যে সিএমজেএফ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’
পরবর্তীতে কর্মশালায় সিএমজেএফ সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদানের সময় ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘একটি সুন্দর ও স্বচ্ছ পুঁজিবাজার তৈরির জন্য কাজ করছে ডিএসই।’
স্বাগত বক্তব্যে সিএমজেএফ সভাপতি বলেন, ‘পুঁজিবাজারে খারাপ কোম্পানির শেয়ার যখন কারসাজিকারীদের দখলে চলে যায় তখন বাজার স্বাভাবিক অবস্থা হারিয়ে ফেলে। নষ্ট হয় বিনিয়োগকারীদের আস্থা। তখন নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে ফ্লোর প্রাইসের মতো নানা ব্যবস্থার সহায়তায় বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে হয়। অথচ প্রতিবেশী দেশ ভারতে ফ্লোর প্রাইস দিতে হয়নি। এমনকি শ্রীলঙ্কায় যেখানে অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ ছিল তাদেরও তা দিতে হয়নি।’
ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি ঠেকাতে নতুন টাকা ছাপিয়ে রাষ্ট্রকে ঋণ না দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও ডলারের দামের ওঠানামা নিয়ন্ত্রণের উপায় খুঁজতে গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বৃহস্পতিবার ড. ওয়াহিদউদ্দিনের সঙ্গে আলোচনাকালে তিনি এই পরামর্শ দেন। সূত্র: ইউএনবি
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওয়াহিদউদ্দিন বর্তমান মুদ্রানীতির যথাযথ বাস্তবায়ন এবং নতুন টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।’
মুখপাত্র জানান, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে অন্যান্য সিনিয়র এবং অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদদের সঙ্গেও কথা বলবেন গভর্নর।
তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই আমরা অর্থনীতির বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী পরবর্তী মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হবে।’
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের তুলনায় মূল্যস্ফীতি ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মুখপাত্র বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমদানি নিয়ন্ত্রণ, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। উন্নত দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি ও সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে।’
নভোএয়ার অভ্যন্তরীণ রুটে সময়ানুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনায় সেরা এয়ারলাইন হিসেবে ২০২৩ সালের ‘বেস্ট অন টাইম পারফরমেন্স এয়ারলাইন’ ক্যাটাগরিতে গোল্ড পুরস্কার পেয়েছে। এছাড়া বেস্ট ডমেস্টিক এয়ারলাইন, মোস্ট কাস্টমার ফ্রেন্ডলি এয়ালাইন (ডমেস্টিক), বেস্ট ইন-ফ্লাইট সার্ভিস (ডমেস্টিক)- এই তিন ক্যাটাগরির প্রত্যেকটিতে সিলভার পুরস্কার লাভ করেছে নভোএয়ার।
বুধবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত ‘শেয়ারট্রিপ-মনিটর এয়ারলাইন অফ দি ইয়ার-২০২৩’ অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর হাত থেকে পুরস্কারগুলো গ্রহণ করেন নভোএয়ারের হেড অফ মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস মেজবাউল ইসলাম।
ভ্রমণ ও পর্যটন-বিষয়ক পাক্ষিক দি বাংলাদেশ মনিটর পরিচালিত আকাশপথে নিয়মিত ভ্রমণকারীদের অনলাইনে মতামত জরিপের ভিত্তিতে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
পুরস্কার গ্রহণের পর মেজবাউল ইসলাম বলেন, ‘এই স্বীকৃতি আগামীর পথচলায় আমাদের উৎসাহ জোগাবে। নভোএয়ার শুরু থেকেই সম্মানিত যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার জন্য বদ্ধপরিকর। নভোএয়ার সময়ানুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনায় ও নিরাপদ ভ্রমণে যাত্রীদের বিশ্বস্ততা অর্জন করেছে। পূর্ণ যাত্রী সন্তুষ্টি এবং উন্নততর সেবার প্রতিশ্রুতি আমাদের পরিচালনার সকল স্তরে অব্যাহত থাকবে।’
বর্তমানে প্রতিদিন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সৈয়দপুর, যশোর, সিলেট, রাজশাহী ও কলকাতায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে নভোএয়ার।
দেশের ডিজিটাল পেমেন্ট বৃদ্ধিতে অনবদ্য ভূমিকা রাখার জন্য ভিসা এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ অর্জন করেছে সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল এমএফএস নগদ। ভিসার সম্মানজনক এই অ্যাওয়ার্ড নগদ-এর পাশাপাশি দেশের মূলধারার কয়েকটি ব্যাংকও অর্জন করেছে।
সম্প্রতি ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে ‘টুওয়ার্ডস আ ক্যাশলেস, স্মার্ট বাংলাদেশ’শিরোনামে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ভিসা বাংলাদেশ।
এবারের ‘ভিসা লিডারশিপ কনক্লেভ-২০২৩-’এ ক্রেডিট কার্ড বিল পেমেন্ট এবং ডেবিট কার্ডে টাকা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ‘এক্সিলেন্স ইন সাইবারসোর্স-পে আউট,’ ক্যাটাগরিতে নগদ পুরস্কার অর্জন করেছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী জনাব এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট বিভাগের পরিচালক মো. শরাফাত উল্লাহ খান।
এ ছাড়া ভিসা বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার সৌম্য বসু ও ভিসার অন্যান্য কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন পর্যায়ের আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে নগদ-এর পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল হক, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সিহাব উদ্দীন চৌধুরী ও হেড অব প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট গোলাম জামিল আহমেদ পুরস্কার গ্রহণ করেন।
পুরস্কার-প্রাপ্তির বিষয়ে নগদ-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সিহাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের পার্টনার ভিসার কাছ থেকে পাওয়া এমন স্বীকৃতি আমাদের জন্য সম্মানের। দেশের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন করতে এবং গ্রাহকের সুবিধামতো সেবা দেয়ার জন্য আরও প্রোডাক্ট নিয়ে আসতে এই স্বীকৃতি আমাদের সাহায্য করবে।’
বাৎসরিক এই কনক্লেভে ভিসা তাদের পার্টনার ব্যাংক, ফিনটেক কোম্পানি, মার্চেন্ট এবং অন্যান্য অংশীদারদের সম্মাননা জানায়। ক্রস বর্ডার পেমেন্ট, প্রোডাক্ট ইনোভেশন, ফিনটেক পার্টনারশিপ, সাইবার সোর্স, ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিসেসসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে তারা এসব পুরস্কার দিয়ে থাকে।
এবারের আয়োজনে ফিনটেকের পাশাপাশি ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, দ্য সিটি ব্যাংক, হংকং সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি), ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, দ্য প্রিমিয়ার ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক এবং ডাচ বাংলা ব্যাংক বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন:বুধবার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ভাইস চেয়ারম্যান ডা. তানভীর আহমেদ, অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে.কিউ.এম. হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য