ঈদের বাজার সরগরম হয়ে উঠলেও মসলার বাজারে এখনও উত্তাপ লাগেনি।
লকডাউনে প্রায় মাসখানেক ধরে দোকানপাট বন্ধ ছিল। এখন ঈদের আগে আগে বাজার খুলে গেছে। তবে ভিড় নেই গরম মসলার দোকানে।
গরম মসলার দাম বাড়েনি বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। উল্টো দাম কিছুটা কমেছে। আর তাতে ক্রেতারা সন্তুষ্ট। দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই। তাই আগেভাগে মসলা কিনতেও আগ্রহ কম তাদের।
এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি, জিরা, ধনে, তেজপাতাসহ কয়েকটি মসলার সন্নিবেশ বাঙালির রান্নাঘরে গরম মসলা নামে পরিচিত এবং এটি ছাড়া সৌখিন খাবার তার মুখেই রোচে না।
মালিবাগ বাজারে কেনাকাটা করতে আসা আরাফাত হোসেন জানান, ঈদের আনন্দ মূলত আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে। করোনার কারণে এখন অতিথি আপ্যায়ন বন্ধ। এ কারণে গরম মসলার দিকে ঝোঁক কম।
বিক্রেতারা বলছেন, মসলার দাম বাড়েনি, এ কারণেও কেনায় তাড়াহুড়ো কম। পরিবারের জন্য যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই সংগ্রহ করছেন ক্রেতারা।
রাজধানীতে মসলার সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে। সেখানেও এখন নেই আগের মতো গরম মসলা কেনার ভিড়। বিভিন্ন এলাকার খুচরা ব্যবসায়ীরা মসলা নিচ্ছেন। কিন্ত নেই ব্যক্তি পর্যায়ে মসলা কেনার তোড়জোড়।
মৌলভীবাজারের মসলা ব্যবসায়ী এবি ট্রেডিংয়ের অমর কান্তি দাস নিউজবাংলাকে বলেন, মসলার দাম নতুন করে বাড়েনি। আগে যে দামে ছিল, এখন সে দামই আছে।
ক্রেতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঈদের আগে এ সময়ে অনেকে বাসায় বড় আয়োজন করতেন। ফলে প্রচুর মসলা লাগত। মৌলভীবাজারে কম দামে গরম মসলা কিনতে ভিড় হতো। এখন সেসব ক্রেতা আসছে না। তারা পাড়া-মহল্লার দোকান থেকে অল্প স্বল্প মসলা কিনছেন। করোনার কারণে কেউ কারো বাসায় যায় না। আর বড় অনুষ্ঠানেরও আয়োজন হয় না। এখন যেসব ক্রেতা আসছেন, তারা রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের খুচরা বিক্রেতা।
মসলার দাম কমেছে
মৌলভীবাজার ঘুরে দেখা গেছে, জিরা বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজিতে। মাস খানেক আগে যা ছিল ৩৫০ টাকা। এলাচ ২ হাজার ২শ টাকা থেকে ২ হাজার ৫শ টাকা কেজি, আগে যা ছিল ২ হাজার ৮শ টাকা। দারুচিনি ৩৩০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকা কেজি। আগে বিক্রি হয়েছে ৩৭৫ টাকা। গোলমরিচ সাদা আগে বিক্রি হয়েছে ৯০০ টাকায়, এখন ৮৪০ টাকা এবং কালো গোলমরিচ বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকায়, এখন দাম ৪৬০ টাকা কেজি। কিসমিস ২০০ টাকা কেজি। আগে ছিল ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা।
কাজুবাদাম আগে বিক্রি হয়েছে ৮০০ টাকা, এখন ৭০০ টাকা কেজি। কাঠবাদাম এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি। আগে ছিল ৭৫০ টাকা। লবঙ্গ কেজি ৮৫০ টাকা থেকে কমে ৭০০ টাকা হয়েছে। জয়ফল ১ হাজার ৪৫০ টাকা থেকে কমে ১৩শ টাকা কেজি হয়েছে। মিষ্টি জিরা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে। এর দাম আগে এমনই ছিল।
একমাত্র আলুবোখারার দাম আগের তুলনায় বেড়েছে। আগে বিক্রি হতো ২৮০ টাকায়, এখন বিক্রি হচ্ছে ৪১০ টাকা কেজি।
তবে এমন দরের সঙ্গে বাড়তি খরচ যোগ হয়ে পাড়ামহল্লায় কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে এসব মসলা।
মালিবাগ রেলগেইট বাজার, খিলগাঁও বাজার ও বাসাবো কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে সবারই একই বক্তব্য, মসলার দাম বাড়েনি। আগের দামেই স্থিতিশীল আছে।
বাসাবো কাঁচাবাজারের মাসুম স্টোরের কর্মচারী ইব্রাহিম জানান, বর্তমানে দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজিতে। এলাচের কেজি ২ হাজার ৬শ টাকা। লঙের কেজি ১ হাজার টাকা। জিরা বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। কাঠবাদাম কেজি ৭০০ টাকা। কাজুবাদামের কেজি ৮০০ টাকা। কিসমিস বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকা কেজিতে। লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি। জয়ফল ১৫০০ টাকা কেজি।
মৌলভিবাজারের সুজন স্টোরের সত্ত্বাধিকারী সুজন জানান, ঈদ সামনে রেখে নতুন করে মসলার দাম বাড়েনি। আগের দামই এখন আছে।
সবশেষ কবে দাম কমেছিল, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসলে মসলার বাজার নিয়ন্ত্রণ করে কিছু সিন্ডিকেট। তারা মনে করে, ঈদের দুই মাস আগে সব মসলার দাম বাড়িয়ে দেবে। ঈদ আসার পর সেখানে থেকে ২০ টাকা ৩০ টাকা কমাবে। আর বলবে, মসলার দাম কমেছে। কিন্তু আগেই তো মসলার দাম যা বাড়ানোর তা বাড়ানো হয়েছে।’
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুম আরেফিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঈদ সামনে রেখে আমরা প্রতিদিনই বাজার মনিটর করছি। বুধবারও রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে মনিটরিং চলছে।’
ঈদ এলেই বাজারে গরম মসলার দামে প্রভাব পড়ে। এক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকারের কোনো তদারকি আছে কি না জানতে চাইলে মাসুম আরেফিন বলেন, ‘বাজার মনিটরিংয়ের সময় আলাদা করে মসলার বাজার দেখা হয় না। বরং যে বাজারে যাওয়া হয়, সেখানকার সব ধরনের পণ্যেরই দাম মনিটরিং করা হচ্ছে। দাম কেউ অতিরঞ্জিত করলেই তাকে জরিমানা করা হচ্ছে।’
বাংলাদেশ পাইকারী গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘কে কিনবে এখন মসলা? বড় কোনো আয়োজন নেই। অনুষ্ঠান নেই। ইফতার পার্টি নেই। এ সময় মসলার দাম বাড়ে সত্য, কিন্তু গত দুই বছর বাড়েনি। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, গত বছর রমজানের ঈদের জন্য যে মসলা আমদানি হয়েছিল সেগুলো কোরবানির ঈদে কিছু বিক্রি হয়েছে। আর এ বছর বিক্রি হচ্ছে। যারা আমদানি করেছিল তারাও বিক্রি করতে না পেরে ঋণ খেলাপি হওয়ার পথে। গুদামে মসলার প্রচুর মজুদ। ফলে দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
সোমবার (৩০ জুন) আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুকের সই করা আবহাওয়ার সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বার্তায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
নদীবন্দরে ১ নম্বর সংকেত
এদিকে, আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব কিংবা পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়োহাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
হাসিনা সরকারের দমনপীড়নের কারণেই শান্তিসূচকে বাংলাদেশের ব্যাপক অবনতি ঘটেছে বলে বিশ্ব শান্তিসূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর ফ্যাক্টচেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।
বাংলাফ্যাক্ট জানায়, বিশ্ব শান্তিসূচক সংক্রান্ত মূল রিপোর্টের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় এক্সিকিউটিভ সামারি অংশে লেখা রয়েছে, হাসিনা সরকারের দমনপীড়নের কারণেই শান্তিসূচকে বাংলাদেশের ব্যাপক অবনতি ঘটেছে। বিশ্ব শান্তিসূচকে বাংলাদেশ ৩৩ ধাপ পিছিয়েছে, যার অন্যতম কারণ জুলাই-আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের চালানো হত্যাযজ্ঞ।
রিসার্চ টিম জানায়, অনেকে এই অবনতিকে বর্তমান সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরছেন এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের শিরোনাম ও ফটোকার্ড দেখে অনেক পাঠক বিভ্রান্ত হচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে বিশ্ব শান্তিসূচক রিপোর্টটি এ বছর প্রকাশিত হলেও এই সূচক তৈরি হয়েছে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কাল বিবেচনা করে।
মূল রিপোর্টের দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় এক্সিকিউটিভ সামারি অংশে বাংলাদেশের সূচকের এই অবনতির কারণ হিসেবে লেখা রয়েছে, হাসিনা সরকারের দমনপীড়নের কারণেই শান্তিসূচকে বাংলাদেশের ব্যাপক অবনতি ঘটেছে।
বাংলাদেশে চলমান গুজব, ভুয়া খবর ও অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ায় দায়িত্ব পালন করছে বাংলাফ্যাক্ট।
ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনোই বন্ধ হবে না বলে দাবি করেছেন জতিসংঘে দেশটির রাষ্ট্রদূত আমির-সাঈদ ইরাভানি। তিনি বলেন, পরমাণু অস্ত্রবিস্তাররোধ চুক্তির অধীনে শান্তিপূর্ণ জ্বালানির উদ্দেশ্যে তাদের এই প্রকল্প অনুমোদিত।
রবিবার (২৯ জুন) সিবিএস নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সমৃদ্ধকরণ আমাদের অধিকার, এটি একটি অখণ্ড অধিকার এবং আমরা এই অধিকার বাস্তবায়ন করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, ইরান আলোচনার জন্য প্রস্তুত, কিন্তু নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ আলোচনার নাম নয়, এটি আমাদের প্রতি একটি নীতি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।
তবে ইরাভানি বলেন, “তেহরান আলোচনার জন্য প্রস্তুত, কিন্তু এই আগ্রাসনের পর নতুন করে আলোচনা শুরুর মতো কোনো উপযুক্ত পরিবেশ নেই এবং প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক বা আলোচনার জন্য কোনো অনুরোধও নেই।”
জাতিসংঘে ইরানের এই দূত আরও দাবি করেন, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি কিংবা সংস্থার পরিদর্শকদের প্রতি তাদের সরকারের পক্ষ থেকে কোনো হুমকি নেই।
যদিও কিছু ইরানি কর্মকর্তা এই পরিদর্শকদের অভিযুক্ত করেছেন ইসরায়েলের হামলাকে যৌক্তিকতা দিতে তারা সাহায্য করছে বলে। বর্তমানে আইএইএ পরিদর্শকরা ইরানে অবস্থান করছেন, তবে তারা দেশটির পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন না।
জয়পুরহাটে কালাইয়ে হিমাগারে আলু সংরক্ষণের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন শেষে ঘণ্টাব্যাপী জয়পুরহাট-বগুড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন কৃষকরা। জেলার ২১টি হিমাগারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩টি হিমাগার এ উপজেলায় অবস্থিত। এমনিতেই আলুর দাম না থাকায় বেকায়দায় পড়েছেন কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীরা। গতকাল রোববার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কালাই পৌরশহরে অবস্থিত আর.বি কোল্ড স্টোরেজের সামনে আলু চাষি ও আলু ব্যবসায়ীদের ব্যানারে মানববন্ধন শেষে সড়ক অবরোধ করে সড়কে বসে পড়েন কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীরা। এ সময় সড়কের দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। পরবর্তীতে থানার ওসি ও ইউএনও এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন তারা। কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হিমাগারগুলোতে আলু বিক্রির মৌসুম পুরোদমে শুরু না হতেই ভাড়া বাড়ানো এবং বাজার অস্থিরতায় জেলার অনেক কৃষক ও ব্যবসায়ী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
কৃষক শাহাদুল ইসলাম ও আব্দুল রশিদ বলেন, এবার ৫০০ বস্তা আলু সংরক্ষণ করেছি আর.বি কোল্ড স্টোরে। ভাড়া নেওয়া হচ্ছে প্রতি বস্তা ৪৩০ টাকা। অথচ মৌসুমের শুরুতে প্রশাসনের চাপে ৩৫০ টাকা নির্ধারিত হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, পার্শ্ববর্তী বগুড়ার হিমাগারগুলোতে প্রতি বস্তা আলু সংরক্ষণের ভাড়া প্রতি বস্তা ৩৫০-৩৬০ টাকা।
কালাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অরুণ চন্দ্র রায় দৈনিক বাংলাকে বলেন, হিমাগারগুলো যে ভাড়া বাড়িয়েছেন তা অযৌক্তিক। মৌসুমের শুরুতে হিমাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিটিং করে গত বছরের ভাড়া পুনর্বহাল করার কথা বলা হয়েছিল এবং সবাই তা মেনেও নিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে হিমাগারগুলো অতিরিক্ত ভাড়া বেশি নেওয়া কাম্য নয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কালাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান দৈনিক বাংলাকে বলেন, এখন হিমাগার থেকে আলু বাহির করার মৌসুম চলছে। আমরা ইতোমধ্যে জানতে পারি আর. বি কোল্ড স্টোরেজে আলু সংরক্ষণের যে ভাড়া তা থেকে বেশি নেওয়া হচ্ছে। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হিমাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দুই দফা বসা হয়েছে। গতক শনিবার দুপুরে বগুড়া-জয়পুরহাট কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের মিটিংয়ের পরে তারা সিদ্ধান্ত জানাতে চেয়েছিলেন কিন্তু তারা জানাননি।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ১ হাজার ৯২০টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়া অভিযানকালে ২৭৪টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৭৯টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
গতকাল রোববার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত শনিবার ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ইমামরা সমাজের অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি। নৈতিকতা ও আদর্শিক মূল্যবোধের বিকাশে তাদের অবদান বিশাল। জনগণের সঙ্গে তাদের সংযোগ সরাসরি। তারা সামাজিক শক্তির প্রতিভূ তাই তাদের সংগঠিত করা গেলে সমাজ পরিবর্তনের ধারাকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।
রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জাতীয় হিফজুল কোরআন ও সিরাত প্রতিযোগিতা এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামদের জাতীয় সম্মেলন ২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খালিদ হোসেন বলেন, ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার (২০০১) পর থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৬৩ হাজার ১৯৭ জন ইমাম ও মুয়াজ্জিনের মধ্যে সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ ও অনুদান হিসেবে ৩৭ কোটি ৯২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ কোটি টাকা উদ্যোক্তাদের ঋণ এবং ২০ কোটি ৯১ লাখ টাকা অফেরতযোগ্য এককালীন অনুদান দেওয়া হয়েছে। ২০২৪-২৫ সালে বিতরণ করা হয়েছে ৪ কোটি ১১ লাখ টাকা।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ইসলামের অপব্যাখ্যাকে রুখে দেওয়া, সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা এবং সমাজে শান্তি, সম্প্রীতি ও সহনশীলতা প্রতিষ্ঠার এখন গুরুত্বপূর্ণ সময়। আমরা চাই এক শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ- যেখানে মসজিদ হবে জ্ঞানের কেন্দ্র, ইমাম হবেন নেতৃত্বের দিশারী। প্রতি বছর আমাদের প্রতিযোগিরা আন্তর্জাতিক হিফজ ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতায় যে সাফল্য অর্জন করছে তা গোটা জাতির জন্য গর্বের বিষয়। এটি প্রমাণ করে-আমাদের সন্তানদের মধ্যে কোরআনের আলো জ্বলছে। এখন দরকার এই আলোর ব্যবস্থাপনা।
আর সেই কাজেই ইমামদের প্রশিক্ষণ, উৎসাহ ও অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক। সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খান।
এছাড়া অনুষ্ঠানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক, ড.খলিলুর রহমান মাদানী, ওলামায়ে কেরাম, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা ও প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বাইতুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল মালেক।
সম্মেলনে হিফজুল কোরআন ও সিরাত প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ী তিন গ্রুপের ৯ জন করে প্রতিযোগী এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে ৩ জন শ্রেষ্ঠ ইমাম, বিভাগীয় পর্যায়ে ২৪ জন, জেলা পর্যায়ে ১৯২ জন ইমাম এবং ৬৪ জন শ্রেষ্ঠ খামারি ইমামকে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার ২ লাখ টাকা, দ্বিতীয় দেড় লাখ, তৃতীয় ১ লাখ টাকা এবং সিরাত প্রতিযোগিতার প্রথম পুরস্কার ৫০ হাজার, দ্বিতীয় ৪৫ হাজার এবং তৃতীয় ৪০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। এছাড়া শ্রেষ্ঠ ইমাম ও খামারি ইমামদের ক্ষেত্রেও যথা নিয়মে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার দ্বিতীয় দিনে সারাদেশে অনুপস্থিত ছিলেন ২২ হাজার ৩৯১ (২২,৩৯১) জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষার সময় নিয়মভঙ্গের দায়ে ৪১ শিক্ষার্থী ও ১ শিক্ষকসহ মোট ৪২ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রোববার সকাল ১০টায় বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার মাধ্যমে দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষা বোর্ডগুলোর পাঠানো পরীক্ষাসংক্রান্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
রোববার সারাদেশে মোট ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ৫১ হাজার। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ১০ লাখ ৯৭ হাজার ৮৭৫ (১,০৯৭,৮৭৫) জন। অর্থাৎ, অনুপস্থিতির হার প্রায় ২ শতাংশের কাছাকাছি। সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে ঢাকা বোর্ডে। সেখানে উপস্থিতির হার বেশ ভালো হলেও অনুপস্থিত ছিল ৩,৬৫৫ জন এবং বহিষ্কৃত হয়েছে ৮ জন।
কুমিল্লা বোর্ডে অনুপস্থিতির হার তুলনামূলকভাবে বেশি ছিল—২ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এ বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ৮৬ হাজার ৯৮৯ জন, যার মধ্যে ২,৬৮২ জন অনুপস্থিত ছিল এবং ২ জনকে বহিষ্কার করা হয়। দিনাজপুর, রাজশাহী, সিলেট ও কুমিল্লা বোর্ডেও অনুপস্থিতির সংখ্যা ছিল তুলনামূলকভাবে বেশি। তবে চট্টগ্রাম ও যশোর বোর্ডে অনুপস্থিতির হার কিছুটা কম ছিল। এছাড়া ময়মনসিংহ বোর্ডে অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে ৩ শিক্ষার্থীর সঙ্গে একজন শিক্ষককেও বহিষ্কার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আরবি প্রথম পত্রের (সাধারণ ও বিজ্ঞান শাখা) পরীক্ষা হয়। এ বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৮৩ হাজার ৭৮৩ জন। অংশগ্রহণ করেন ৭৯ হাজার ২৯২ জন এবং অনুপস্থিত ছিল ৪ হাজার ৪৯১ জন। এখানে সর্বোচ্চ ১০ জন শিক্ষার্থী বহিষ্কৃত হয়েছেন। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৫২ জন শিক্ষার্থী। অনুপস্থিত ছিল ২ হাজার ২ জন, এবং বহিষ্কৃত হয়েছেন ৮ জন শিক্ষার্থী।
শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, দেশের বাইরে ঢাকা বোর্ডের অধীনে ৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। মোট ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে অংশ নিচ্ছেন প্রায় ১২ লাখ ৫১ হাজার পরীক্ষার্থী। প্রথম দিন অনুপস্থিত ছিল ১৯ হাজার ৭৫৯ জন শিক্ষার্থী। আর শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয় ৪৩ জনকে।
প্রসঙ্গত, এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১০ আগস্ট। এরপর ১১ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
মন্তব্য