পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির দাবিহীন অবণ্টিত মুনাফার ২১ হাজার কোটি টাকা অবশেষে পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য কাজে লাগানোর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে। প্রজ্ঞাপন জারি কেবল বাকি।
এই তহবিল পেলে পুঁজিবাজারে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় থাকা তারল্য সংকটের সুরাহা হবে বলে আশা করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
সংস্থাটি আশা করছে, চলমান লকডাউন শেষেই এই প্রজ্ঞাপন জারি করা যাবে। তার তহবিলের ব্যবস্থাপনায় থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি আইসিবি ঈদের পরেই তারা কাজ শুরু করার বিষয়ে আশাবাদী।
চলতি বছরের শুরুর দিকে বাজারে তারল্য বাড়াতে এই লভ্যাংশ দিয়ে একটি তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ’ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবলাইজেশন ফান্ড’ নামে একটি তহবিল করার চিন্তা করা হয়। সেখানে জমা হবে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির অবন্টিত লভ্যাংশ।
বিএসইসির ’ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবলাইজেশন ফান্ড’ খসড়া নীতিমালার উপর মতামত জন্য উন্মুক্ত করে গত ৮ মার্চ। এরপর এ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নীতিমালার উপর মতামত দেয়।
খসড়া নীতিমালার উপর বিএসইসিতে লিখিত প্রস্তাব পাঠায় তালিকাভুক্ত কোম্পানির সমিতি বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেট কোম্পানি-বিএপিএলসি। তাদের বেশ কিছু আপত্তি বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
বিএপিএলসির সেক্রেটারি জেনারেল আমজাদ হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের যে সব বিষয়ে অসঙ্গতি মনে হয়েছে সেসব বিষয়গুলো কমিশনের কাছে জানিয়েছিলাম। এবং জেনেছি সেভাবেই তা সংশোধন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গেজেট প্রকাশ করার পর বলা যাবে আমাদের প্রস্তাবগুলো কতটা বিবেচনা করা হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী নীতিমালা চূড়ান্ত হলে, এ তহবিলও পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রজ্ঞাপনে দেরি
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ সংক্রান্ত প্রথমে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করা হয়। তারপর সেই নীতিমালার উপর জনসাধারণের মতামত নেয়া হয়। সেই মতামতের ভিত্তিতে নীতিমালা চূড়ান্ত করে অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। এখন সেটি গেজেট আকারে প্রকাশ করার পরই কার্যকর হবে।‘
কবে সেই প্রজ্ঞাপন জারি হবে-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে গেজেট প্রকাশে সরকারি প্রকাশনা সংস্থা বিজি প্রেসে আগের মতো কাজ হচ্ছে না। গেজেট প্রকাশের জন্য নির্ধারিত ফিও জমা দিতে হয়। সেটিও করোনার পরিস্থিতিতে করা যাচ্ছে না।
‘এমন অবস্থায় করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। এবং গেজেটে এ তহবিল কীভাবে পরিচালিত হবে তা উল্লেখ আছে। সে অনুযায়ী পরিচালিত হবে।’
কত টাকার তহবিল হবে সে সম্পর্কে রেজাউল করিম বলেন, এখনও তহবিলের পরিমাণ নির্ধারিত হয়নি। নীতিমালা অনুযায়ী কোম্পানিগুলোতে যে পরিমাণ অবন্টিত লভ্যাংশ আছে সেগুলো তহবিলে জমা হবে। জমা হওয়ার পরই তহবিলের পরিমাণ সম্পর্কে বলা যাবে।
ঈদের পরেই কাজ শুরুর আশা
এই তহবিলের ট্রাস্টি হিসেবে থাকবে বিনিয়োগে রাষ্ট্রায়াত্ত কোম্পানি ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ-আইসিবি।
প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র বিভাস সাহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটি কবে থেকে পুঁজিবাজারে কার্যকর হবে সেটি গেজেট জারি না হওয়া পর্যন্ত স্পষ্ট করে বলা কঠিন। তবে ঈদের পরই আশা করা যায় সেটি বাস্তবায়ন করা যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আইসিবি হয়তো তহবিলের ট্রাস্টি হিসাবে থাকবে। তবে তহবিলের সার্বিক তদারকি করবে বিএসইসি। ক্ষতিগ্রস্ত তহবিল পরিচালনা জন্য আইসিবিকে যেভাবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল সেভাবে এ তহবিলে থাকবে আইসিবি।’
তহবিল পুঁজিবাজারের কী উপকার করবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তহবিল যেহেতু পুঁজিবাজারের জন্য ব্যবহার করা হবে সেহেতু বলা যায় এতে কিছু না কিছু উপকার তো থাকবেন। তবে প্রজ্ঞাপনের পর এ বিষয়ে বৈঠকের পর আরও ভালোভাবে বলা যাবে।’
অবণ্টিত লভ্যাংশের হিসাবনিকাশ
কোম্পানিগুলো প্রতি বছর যে লভ্যাংশ ঘোষণা করে, তার একটি অংশ কখনও বিনিয়োগকারীদের কাছে যায় না। বহু বিনিয়োগকারী শেয়ার রেখে বিও হিসাব নবায়নে ফি দেন না। ফলে হিসাবগুলো স্থগিত হয়ে যায়। আবার অনেক সময় তারা ঠিকানা নবায়ন করেন না। ফলে যারা ডিভিডেন্ট ওয়ারেন্ট পাঠিয়ে লভ্যাংশ দেয়, সেগুলো ফেরত চলে আসে।
বিনিয়োগকারীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে অনেক সময় তার মনোনীত উত্তরাধিকারী সেই টাকা আর দাবি করেন না তথ্য বা কাগজপত্রের অভাবে।
বিএসইসি দেখেছে, টাকার অংকে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর অবণ্টিত বোনাস লভ্যাংশের পরিমাণ ১১ হাজার কোটি টাকা ও নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ ৬৩৪ কোটি টাকা।
সিএসইতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে অবণ্টিত বোনাস লভ্যাংশের পরিমাণ আট হাজার ৮৮১ কোটি টাকা ও নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ ৩২১ কোটি টাকা।
তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আট হাজার ৮০৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার অদাবিকৃত লভ্যাংশ রয়েছে তামাক খাতের বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড-বিএটিবিসির। এরমধ্যে ৮ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা বোনাস লভ্যাংশ এবং ছয় কোটি ৪৫ লাখ টাকা নগদ লভ্যাংশ।
আরও পড়ুন:সিলেটের হাওর অঞ্চল সুনামগঞ্জে পাঁচ’শ পরিবারের দারিদ্র্য বিমোচন সহায়তায় যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল ও মেটলাইফ ফাউন্ডেশন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দারিদ্র্য মোকাবিলায় পরিবারগুলোকে আয় বাড়ানোর কাজে প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রদান করা হবে।
এই প্রকল্পে অংশ নেওয়া পরিবারগুলোকে গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি পালন, সেলাই, মাছ চাষ, ক্ষুদ্র ব্যবসা, নৌকা ও জাল দিয়ে মাছ ধরা এবং বাণিজ্যিকভাবে সবজি চাষের মত কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে যেন তারা নিজেরাই এ থেকে আয় করে স্বাবলম্বী হতে পারে।
এ উদ্যোগ সম্পর্কে হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনালের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, “দারিদ্র পীড়িত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো এবং সমাজে দীর্ঘমেয়াদে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের সাথে যৌথ উদ্যোগে পাঁচ শ’ পরিবারের জীবনে পরিবর্তন আনার এই উদ্যোগ, আমাদের সে লক্ষ্য পূরণে বড় একটি সুযোগ ও শক্তিশালী যৌথ প্রয়াসের প্রতিফলন।”
মেটলাইফ বাংলাদেশের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আলা আহমদ বলেন, “মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের তহবিলের মাধ্যমে আমরা এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারছি, যা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখছে। এই প্রকল্প শুধু পাঁচ’শ পরিবারের ক্ষমতায়নেই সহায়তা করবে না, একইসাথে জাতীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক অবদান রাখবে।”
বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, আর্থিক সক্ষমতা ও পরিবেশ রক্ষায় সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে মেটলাইফ ফাউন্ডেশন। কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এ ফাউন্ডেশন দেশের পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় সেবা ও অর্থনৈতিক সুযোগ সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে, যা একটি সহনশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ তৈরিতে অবদান রাখছে।
প্রাইম ব্যাংক পিএলসি দেশের শীর্ষস্থানীয় কর্পোরেট রিয়েলস্টেট প্রতিষ্ঠান এবিবিসি রিয়ের এস্টেট লিমিটেড-এর সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বে যুক্ত হয়েছে। এই সহযোগিতার মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকরা প্রিমিয়াম আবাসন সল্যুশন উপভোগ করতে পারবেন। সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে ব্যাংকের কর্পোরেট অফিসে আয়োজিত এক আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
চুক্তির আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকরা আবাসন চাহিদা মেটাতে এবিসি রিয়েল এস্টেট লিমিটেড থেকে আকর্ষণীয় সুবিধা ও কাস্টমাইজড অফার উপভোগ করবেন।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রাইম ব্যাংক পিএলসি-এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. নাজিম এ. চৌধুরী এবং এবিসি রিয়েল এস্টেট লিমিটেড-এর ডিরেক্টর সৌগত ঘোষ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংকের ইভিপি ও হেড অব কার্ডস এবং রিটেইল অ্যাসেট জোয়াদ্দার তানভীর ফায়সাল এবং এবিসি রিয়েল এস্টেট লিমিটেড-এর জেনারেল ম্যানেজার, সেলস মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচীর অংশ হিসেবে, সমাজের সুবিধা বঞ্চিত গরীব ও অসহায় মানুষদের আশ্রয় প্রদানের লক্ষ্যে নাটোরের লালপুুরে নির্মাণাধীন গ্রিন ভ্যালী ওল্ড এজ হোম এন্ড অরফানেজ-কে ব্যাংকের সিএসআর তহবিল থেকে ৫.০০ (পাঁচ) লক্ষ টাকার আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং তারিখে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের করপোরেট প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ গ্রিন ভ্যালী ওল্ড এজ হোম এন্ড অরফানেজ এর সভাপতি মো: আলমগীর কবীর এর নিকট উক্ত অনুদানের চেক প্রদান করেন। উক্ত চেক প্রদানকালে অন্যান্যদের মধ্যে ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এম. সাইফুল ইসলাম, ব্যাংকের এসএভিপি মো: জাকির হোসেন এবং ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগ ও ব্যাংক ফাউন্ডেশনের ইনচার্জ কে. এম. হারুনুর রশীদ উপস্থিত ছিলেন।
নাটোরের লালপুরে নির্মাণাধীন এই গ্রিন ভ্যালী ওল্ড এজ হোম এন্ড অরফানেজে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত এতিম ও অসহায় লোকজন বসবাস করবে। দুই একর জমির উপর নির্মিত হতে যাচ্ছে এই গ্রিন ভ্যালী ওল্ড এজ হোম এন্ড অরফানেজ, যেখানে সব ধরণের আধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকবে। এই গ্রিন ভ্যালী ওল্ড এজ হোম এন্ড অরফানেজে শুধুমাত্র আশ্রয় কেন্দ্র নয়, তার পাশাপাশি এটি পরিণত হবে একটি শিক্ষা কেন্দ্রে, যেখানে বৃদ্ধরা অসহায় এতিম বাচ্চাদের আদর যত্নে বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করবেন। উপর্যুক্ত শিক্ষা ও দক্ষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমাজের আশ্রিত ও সুবিধা বঞ্চিত ছোট ছেলেমেয়েরা একদিন সমাজে যোগ্য মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশা পোষণ করছে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল বিনোদন প্ল্যাটফর্ম বাংলালিংকের টফি এর ব্যবহারকারীদের জন্য সাবস্ক্রিপশন কেনাকে আরও সুবিধাজনক করার লক্ষ্যে নতুন পেমেন্ট অপশন চালু করেছে। এখন থেকে বাংলালিংকের গ্রাহকেরা তাদের মোবাইল ব্যালেন্স দিয়ে সহজেই টফি সাবস্ক্রিপশন কিনতে পারবেন। নতুন এই পদ্ধতি সাবস্ক্রিপশন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও ঝামেলামুক্ত করবে।
নতুন এই ফিচারটি গ্রাহকদের জন্য পুরো প্রক্রিয়াটিকে করেছে আরও সহজ। টফির সকল ব্যবহারকারী লাইভ স্পোর্টস, টেলিভিশনের অনুষ্ঠান, সিনেমা ও এক্সক্লুসিভ কনটেন্টের বিশাল সংগ্রহ সহজেই তাদের মোবাইল ব্যালেন্স দিয়ে কিনে উপভোগ করতে পারবেন।
এ বিষয়ে বাংলালিংকের চিফ ডিজিটাল অফিসার গোলাম কিবরিয়া বলেন, “বাংলালিংকে আমরা ব্যবহারকারীদের জন্য ডিজিটাল বিনোদন আরও সহজলভ্য এবং সুবিধাজনক করে তুলতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। মোবাইল ব্যালেন্স দিয়ে সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে এখন টফি ব্যবহারকারীরা মাত্র কয়েকটি ক্লিকেই, যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায় প্রিমিয়াম কনটেন্ট উপভোগ করতে পারবেন। এ সুবিধা যে শুধুমাত্র ব্যবহারকারীদের স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধি করবে, তা-ই নয়; পাশাপাশি, এর মাধ্যমে কোটি মানুষ আরও সহজে বিনোদন ও শিক্ষামূলক কনটেন্ট উপভোগ করতে পারবেন। টফি বাংলাদেশের সবচেয়ে সহজলভ্য ডিজিটাল বিনোদন প্ল্যাটফর্ম; এবং এ পদক্ষেপ ব্যবহারকারীদের জন্য আনন্দ, শিক্ষা ও বিনোদনের সুযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দেশের ডিজিটাল যাত্রার অংশ হিসেবে আমাদের ধারাবাহিক প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন।”
বিনোদনের সুযোগ তৈরির বাইরেও, এ উদ্যোগ ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে বাংলালিংকের বিস্তৃত লক্ষ্যের প্রতিফলন। যেকোন সময়, যেকোন জায়গা থেকে মানসম্পন্ন কনটেন্ট উপভোগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে কনটেন্টের গণতান্ত্রায়নের লক্ষ্য নিয়ে টফি ব্যবহারকারীদের শুধুমাত্র বিনোদনই নয়, পাশাপাশি জ্ঞান, তথ্য ও শিক্ষামূলক কনটেন্ট উপভোগেরও সুযোগ তৈরি করছে, যা তাদের প্রতিদিনের জীবনকে সমৃদ্ধ করে তুলতে ভূমিকা রাখছে। বাংলালিংকের এসব উদ্যোগ ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার পাশাপাশি ব্যক্তি ও কমিউনিটির ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখছে এবং ডিজিটাল অর্থনীতিতে তাদের সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে।
তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আর্থিক স্বাক্ষরতা প্রদান এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সোনালী ব্যাংক পিএলসি, স্থানীয় কার্যালয়ের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্যাংকের এমডি অ্যান্ড সিইও মো. শওকত আলী খান বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও তরুণ উদ্যোক্তাদের হাতে সনদ ও স্মারক উপহার তুলে দেন। ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধান কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্থানীয় কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজার মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টরবৃন্দ, প্রধান কার্যালয়ের জেনারেল ম্যানেজারবৃন্দ ও স্থানীয় কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন। তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন ও তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
সম্প্রতি ফ্রেশ এলপি গ্যাস-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো রিটেইলার কনফারেন্স ও সেফটি সেমিনার ‘অগ্রযাত্রা’। এ আয়োজনে এলপি গ্যাসের নিরাপদ ও কার্যকর ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবস্থা, ব্যবসা সম্প্রসারণের কৌশল এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
কক্সবাজার, রাজশাহী ও রংপুর জেলায় ইতিমধ্যেই এ আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে, যেখানে প্রতিটি সেশনে ১৫০ জনেরও বেশি রিটেইলার সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন জেলায় এ ধরনের আয়োজন বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে রিটেইলাররা নিরাপত্তা বিষয়ে আরও সচেতন হন এবং গ্রাহক পর্যায়ে সেবার মানোন্নয়নে অনুপ্রাণিত হতে পারেন।
ফ্রেশ এলপি গ্যাস-এর চিফ মার্কেটিং অফিসার জনাব আবু সাঈদ রাজা বলেন, “ফ্রেশ এলপি গ্যাস দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে - সঠিক গুণগত মানসম্মত পণ্য সরবরাহের পাশাপাশি, ভোক্তা ও ট্রেড চ্যানেলের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলাই ব্যবসার প্রকৃত ভিত্তি। এ কারণেই রিটেইলারদের সঙ্গে পারস্পরিক বিশ্বাস বৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বকে আরও সুদৃঢ় করতে এ ধরনের উদ্যোগ নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই নিরাপদ, টেকসই ও সফল ব্যবসায়িক পথচলা নিশ্চিত হবে।”
উল্লেখ্য, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)-এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ফ্রেশ এলপি গ্যাস, আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর ৫ বছরের মধ্যেই সকলের আস্থা অর্জন করে নিয়েছে। সম্প্রতি সেলস-এর ভিত্তিতে দেশের এলপি গ্যাস ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম শীর্ষে চলে এসেছে ব্র্যান্ডটি। দেশব্যাপী বিস্তৃত ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং পণ্যের গুণগত মান সুনিশ্চিত করেই এই সাফল্য অর্জন করেছে ফ্রেশ এলপি গ্যাস।
আস্থার বন্ধনে সাফল্যের এই ‘অগ্রযাত্রা’ অব্যাহত থাকবে।
১২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার জনতা ব্যাংক পিএলসি’র রাজশাহী বিভাগীয় অর্ধবার্ষিক ব্যবসায়িক শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন রাজশাহীর একটি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান এবং উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আশরাফুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক-ইনচার্জ মোঃ জাহাংগীর হোসেন জোয়ার্দ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিভাগীয় অফিসের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট নির্বাহী এবং শাখা ব্যবস্থাপকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
সম্মেলনে ব্যাংকের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান ঋণ দেওয়ার আগে গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের মানসিকতা আছে কি-না, তা দেখে ভাল গ্রাহকদের মাঝে ঋণ বিতরণের নির্দেশনা দেন। এছাড়া সংগ্রহকৃত এলাকার আমানত সেখানেই তা বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান।
মন্তব্য