আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন ভোজ্যতেলে ৮০ থেকে ১০০ ডলার দাম বাড়ার কথা বলে স্থানীয় বাজারেও লিটার প্রতি পাঁচ টাকা হারে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন উৎপাদক ও পরিবেশকেরা। সরকারের কোনো অনুমোদন না নিয়েই এই দাম বাড়ানো হয়েছে।
ভোজ্যতেলের দাম বাড়াতে হলে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক বিষয়ক জাতীয় কমিটির বৈঠক থেকে সর্বসম্মত অনুমোদন নিতে হয়। তবে ভোজ্যতেলের কারবারিরা এর তোয়াক্কা না করেই নিজেদের ইচ্ছামতো বাড়িয়েছেন। এরপর দায় এড়াতে শুধু চিঠির মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি বৈধ করার চেষ্টা করছেন।
অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বাড়ানো দাম শুক্রবার থেকেই ভোক্তা পর্যায়ে কার্যকর হয়েছে। এতে উভয় সংকটে পড়েছে সরকার। কারণ, চিঠির মাধ্যমে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবটিকে অনুমোদন দেয়নি সরকার। ভোক্তা স্বার্থ বিবেচনা থেকেই এ মুহূর্তে প্রস্তাবটি আমলে নেয়া হয়নি।
অন্যদিকে সরকারের পর্যবেক্ষণে বৈশ্বিক উৎপাদন ও সরবরাহ পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যবসায়ীদের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবটি অমূলক ও অযৌক্তিক নয়। তবে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় প্রস্তাবটি মানতেও পারছে না সরকার।
বাজারে ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণের ঘোষণা আসার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ীরা আগের মজুদও বিক্রি করছেন বাড়তি দামে। অথচ দাম স্থিতিশীল রাখতে দিন কয়েক হলো আমদানি পর্যায়ে ভোজ্যতেলের (সয়াবিন ও পামওয়েল) ওপর থেকে চার শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার করেছে সরকার।
রোজায় যাতে ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় থাকে সে জন্য সরকার ব্যবসায়ীদের এই করছাড় দেয়। তবে এতে প্রায় একশ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হলেও ভোক্তা কর ছাড়ের কোনো সুবিধাই পায়নি। উল্টো আগের নির্ধারিত বাড়তি দামেই বিক্রি হয়েছে ভোজ্যতেল।
গত ১১ এপ্রিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আমদানি পর্যায়ে ভোজ্যতেলের (সয়াবিন ও পামওয়েল) ওপর থেকে চার শতাংশ ‘অগ্রিম কর’ প্রত্যাহারের পর ১৭ এপ্রিল বাজার পরিদর্শনে যান বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন। ওই সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, ভোজ্যতেলে কর ছাড়ের সুবিধা মিলবে ঈদের পর। এর মধ্যেই নতুন করে আরেক দফা দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
দেশে ভোজ্যতেল উৎপাদন ও বিপণনকারী কোম্পানিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে চিঠি দিয়ে প্রতি লিটারে পাঁচ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণের কথা জানায়। যা সরকারের অনুমোদন ছাড়াই ব্যবসায়ীরা বাজার পর্যায়ে কার্যকর করে ফেলেছেন।
নতুন দর অনুযায়ী, এখন প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১২২ টাকা, এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন ১৪৪ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতল ৬৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পাম সুপার তেলের প্রতি লিটার ১১৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এর আগে ১৫ মার্চ জাতীয় কমিটি এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩৯ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৬৬০ টাকা, খোলা সয়াবিন ১১৭ টাকা ও পামতেল ১০৯ টাকা নির্ধারণ করে দেয়।
এই কমিটি গত ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো ভোজ্যতেলের দর নির্ধারন করে। সে সময় প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১১৫ টাকা, বোতলজাত সয়াবিনের লিটার ১৩৫ টাকা ও পামঅয়েল ১০৪ টাকা বিক্রির জন্য নির্ধারণ হয়েছিল।
নতুন করে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর এই অভিনব প্রক্রিয়া মেনে নিতে পারছেন না বাজার বিশ্লেষকেরা। কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রেসিডেন্ট ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত ব্যবসায়ীদের তৎপরতা যৌক্তিকও হতে পারে, নৈতিকও হতে পারে। আমরা ধরে নিয়েছি প্রস্তাবটি যৌক্তিক, কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় দামটা বাড়ানো হলো সেটি আইনানুগ হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘সরকার ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ বিষয়ে একটি জাতীয় কমিটি করেছে। সেটি রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে পাস হয়েছে। অর্থাৎ এটি একটি আইনি কমিটি। যার আদেশ-নিষেধ বাজারে প্রতিফলিত হবে। এখানে সেই আইনানুগ পদ্ধতি তোয়াক্কা না করে যে নজির স্থাপন করা হয়েছে সেটি মোটেও শোভন হয়নি।’
দাম তো বাড়ানো হয়ে গেছে, কিন্তু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে তারা এর অনুমোদন দেয়নি-সরকার কী ব্যবস্থা নিতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে ক্যাব প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কেউ চুরি করলে, ঘুষ খেলে কিংবা বাজারে প্রচলতি শৃঙ্খলা ভঙ্গ হলে অর্থাৎ আইনের ব্যত্যয় হলে সরকার তো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়। এখানেও যৌক্তিক বা নৈতিক যা-ই হোক আইন অমান্যের বিষয়টি দৃশ্যমান। এখন সরকারই ঠিক করুক কী ব্যবস্থা নেবে।’
বাজারে তীর ব্র্যান্ডের ভোজ্যতেল সরবরাহ করছে সিটি গ্রুপ। গ্রুপটি দেশের ভোজ্যতেল উৎপাদন ও বিপণনকারী কোম্পানিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনেরও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে রয়েছে।
এ গ্রুপের পরিচালক (অর্থ) বিশ্বজিৎ সাহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা যা করেছি আইন মাফিক করেছি। নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে চিঠি দিয়ে নতুন দাম নির্ধারণের কথা জানিয়েছি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও বিষয়টি অবহিত।
‘এরপরও যদি কেউ মনে করে বিষয়টি আইনানুগ হয়নি। তাহলে যেভাবে আইনানুগ হয় সরকার সে ব্যবস্থা নিক। আমরা সরকারের সঙ্গে বসতে রাজি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও আমাদের সঙ্গে ইতোমধ্যে যোগাযোগ করছে। দেখি আগামী দুই-একদিনের মধ্যে বসা যায় কি-না।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের অবস্থান যৌক্তিক। আজকাল তথ্য সবার কাছে ওপেন। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিটন ভোজ্যেতেলের দাম উঠেছে ১৩৮০ ডলারে। যা গত কয়েক দিন আগেও ছিল ১২৪০ থেকে ১২৮০ ডলারে। প্রতিটনে এক শ’ ডলার করে বেড়েছে। এতে আগের দামে বিক্রি করতে হলে প্রতি লিটারে আমাদের ১৪ টাকা লোকসান গুণতে হবে।
‘আমরা খরচ সমন্বয়ের জন্য প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনে ১৫০ টাকা প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তা শেষ পর্যন্ত ১৪৪ টাকা নির্ধারণ করেছি। তবে বিশ্ববাজারে যেভাবে লাফিয়ে দাম বাড়ছে আমরা এই দামেও স্থির থাকতে পারব কি-না সেটি সময়ই বলবে।’
অনুমোদন ছাড়া দাম বাড়িয়ে দেয়ার তৎপরতাকে সরকার কীভাবে দেখছে জানতে বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে নিউজবাংলা। তবে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য (আইআইটি) অনুবিভাগের প্রধান এ এইচ এম সফিকুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দাম বাড়াতে হলে এ সংক্রান্ত যে কমিটি আছে তার অনুমোদন নিতে হয়। তারা শুধু আমাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, কিন্তু এ প্রস্তাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো সায় ছিল না। কারণ দেশে রোজা, করোনা, লকডাউন এবং মানুষের ক্রয়ক্ষমতা সব বিবেচনায় দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেনি।
‘তাদেরকে ঈদের পরে বৈঠক করে বিষয়টি বিবেচনার প্রস্তাব দেয়া হয়। তারা সেটি মানেনি। আমাদের না জানিয়েই দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও তাদের প্রস্তাবটি ছিল যৌক্তিক।’
এ অবস্থায় সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে কিনা, সে বিষয়ে পরিষ্কার কিছু বলেননি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে এখন ভোজ্যতেলের দাম বাড়তির দিকে। করোনা এবং দ্বিতীয় ওয়েবে দেশে দেশে আবারও লকডাউনের মুখে ভোজ্যতেলের বৈশ্বিক উৎপাদন ও সরবরাহ চেইনে ব্যাঘাত ঘটছে। এতে দামও কিছুটা বেড়েছে। দেশেও দাম বাড়ানোর পদক্ষেপ যৌক্তিক, কিন্তু প্রক্রিয়াটি স্বাভাবিক না হওয়ায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলে তো নেয়া যায়।
‘তবে জরিমানা বা ভিন্ন কোনো শাস্তিতে সমস্যার সমাধান হবে না। সরকারকে ক্রেতা-ভোক্তার স্বার্থকে বড় করে দেখতে হয়। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীর স্বার্থসংশ্লিষ্টতাকেও ন্যূনতম আমলে নিতে হয়।’
ব্যবস্থা নিলে বাজার অস্থির হওয়ার আশঙ্কা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন দেখা গেল আমরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলাম। পরে তারা বৈশ্বিক দাম বৃদ্ধির অজুহাতে লোকসান দিয়ে ব্যবসা করবে না জানিয়ে আমদানি বন্ধ করে দিল। অথবা অগোচরে সরবরাহ চেইনে সংকট তৈরি করল। তাই সরকারকে সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।’
আরও পড়ুন:শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে গত ০২ জুন, সোমবার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতি।
জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গোলাম মরতুজা, মোঃ ফয়েজ আলম ও মোঃ আশরাফুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল আবেদিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভা সঞ্চালনায় ছিলেন কার্যকরী সভাপতি শাহ জাহান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি এস. এফ. এম. মুনির হোসেন, সহসভাপতি মজিবুর রাহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ছানোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনায় আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। আবার ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার সময় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। ট্রেড লাইসেন্স নিতেও রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দাখিলের বাধ্যবাধকতায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্রের বাধ্যবাধকতায় এসব পরিবর্তন আনা হয়েছে। এত দিন ৪৬টি সেবায় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখানোর বাধ্যবাধকতা ছিল।
এখন ১১ ধরনের সেবা নিতে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। শুধু কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীদের (টিআইএন) সিস্টেম জেনারেটেড প্রত্যয়নপত্র দাখিল করলেই হবে। ওই ১১টি সেবা হলো সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় নতুন ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণে; সমবায় সমিতির নিবন্ধন প্রাপ্তিতে; সাধারণ বিমার তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ারের নতুন লাইসেন্স গ্রহণে; ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ ও নবায়নে; চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, চার্টার্ড সেক্রেটারি, আইনজীবী ও কর আইনজীবী, অ্যাকচুয়ারি, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার হিসেবে কোনো স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদ গ্রহণে; পাঁচ লাখ টাকার অধিক পোস্ট অফিস সঞ্চয়ী হিসাব খোলায়; এমপিওভুক্তির মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে দশম গ্রেড বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মচারীর কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের ক্ষেত্রে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা মোবাইল ব্যাংকিং বা ইলেকট্রনিক উপায়ে টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে এবং মোবাইল ফোনের হিসাব রিচার্জের মাধ্যমে কমিশন, ফি বা অন্য কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্ট্যাম্প, কোর্ট ও কার্টিজ পেপারের ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসেবে লাইসেন্স নিবন্ধন ও তালিকাভুক্তিতে; ত্রি-চক্র মোটরযানের নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়নে; ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে লাইসেন্সিং অথরিটির কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ টেলিভিশনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও দেশের ইতিহাসে ৫৪তম বাজেট।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার সময় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মোট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করছি, যা জিডিপির ১২.৭ শতাংশ। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।
তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই যে, ২০১৫ সালের পর এখন পর্যন্ত বেতন কাঠামো প্রণীত না হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি।
ঘরে বসে যেসব ক্রেতারা কেনাকাটা করতে চান, তাদের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনাকাটা আগামী অর্থবছর থেকে খানিকটা ব্যয়বহুল হতে পারে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ই-প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় থেকে কমিশনের ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করতে চাইছে। সেক্ষেত্রে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পণ্যের দাম বেশি হতে পারে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই ভ্যাটের হার ছিল ৫ শতাংশ।
জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে ভিন্ন বাস্তবতায় এবার সংসদের বাইরে ভিন্ন আঙ্গিকে পেশ হলো বাজেট। এবার সংসদ না থাকায় সংসদের আলোচনা বা বিতর্কের কোনো সুযোগ থাকছে না। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বাজেট উপস্থাপন করার পর ৩০ জুন তা রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে কার্যকর করা হবে।
তবে অতীতের রেওয়াজ মেনে বাজেট ঘোষণার পরদিন সংবাদ সম্মেলনে এসে বাজেট নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া পুরো জুন মাসজুড়ে অংশীজনদের মতামত নেওয়ার কথাও তিনি বলেছেন।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে সরকারের ধারাবাহিক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করায় এবং সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পাওয়ায় মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নেমে আসবে।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় এ কথা বলেন। তার এ বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে আমাদের সরকার যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে তখন আমাদের সামনে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরে মানুষকে স্বস্তি দেয়া।
তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে আমরা ধারাবাহিকভাবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করেছি। এর ফলে নীতি সুদের হার ১৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মুদ্রানীতির আওতায় গৃহীত কার্যক্রমকে সহায়তা করতে সংকোচনমূলক রাজস্বনীতি অনুসরণ করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে আনায় সার্বিকভাবে সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠতে শুরু করেছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের ১০.৮৯ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশে নেমে এসেছে। আশার কথা হলো এবারের রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্মরণকালের মধ্যে সবচাইতে স্থিতিশীল ছিল। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এই জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের কোঠায় নেমে আসবে। মূল্যস্ফীতির সাথে এ লড়াইয়ের ফলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে।’
মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকা জরুরি উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল থাকা অত্যাবশ্যক। প্রবাস আয়ের প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক হওয়ায় এবং রপ্তানি স্থিতিশীল থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এপ্রিল মাসে বৃদ্ধি পেয়ে ২৭.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সে কারণে আমরা বিগত ১৪ মে তারিখে বাজারভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার চালু করেছি।
১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী আর্থিক অস্থিরতা সামাল দিতে গঠিত হয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ। এর মূল লক্ষ্য ছিল বৈশ্বিক মুদ্রানীতি সমন্বয় সাধন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে উৎসাহ দেওয়া এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করা। বহু দেশ সংকটে পড়ে এই সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছে- কেউ সাময়িকভাবে রক্ষা পেয়েছে, কেউ আবার দীর্ঘমেয়াদি ঋণনির্ভরতার ফাঁদে পড়ে গেছে।
আজ, যখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ভারসাম্য ক্রমশ পশ্চিমকেন্দ্রীকতা থেকে সরে পূর্ব ও দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়ছে, তখন আইএমএফ তার প্রাসঙ্গিকতা ও নৈতিক অবস্থান নিয়ে এক নতুন প্রশ্নের সম্মুখীন।
ঋণ সহায়তা, নাকি ঋণের ফাঁদ?
আইএমএফ সাধারণত এমন শর্তে ঋণ দেয়, যার মধ্যে থাকে কঠোর ব্যয়সংযম, ভর্তুকি হ্রাস, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বাজারমুখী সংস্কার; কিন্তু এই শর্তগুলো অনেক সময় জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। স্থানীয় শিল্প ধসে পড়ে, বৈষম্য বেড়ে যায় এবং সাধারণ মানুষের জীবন আরও কঠিন হয়ে ওঠে। আর্জেন্টিনার অভিজ্ঞতা এর এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। ২০১৮ সালে আইএমএফ ইতিহাসের বৃহত্তম ঋণ প্যাকেজ ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করে। ফল ছিল বিপরীত- মুদ্রাস্ফীতি ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, দারিদ্র্য আরও বেড়ে যায় এবং দেশটি আবার মন্দার মুখে পড়ে।
এই অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে শুধু অর্থনৈতিক সমীকরণ দিয়ে কোনো দেশের সামাজিক বাস্তবতা নির্ধারণ চলে না।
আইএমএফের নীতিনির্ধারণ কাঠামো এখনো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী শক্তির ভারসাম্যের প্রতিচ্ছবি। উন্নত দেশগুলো (বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন) সংগঠনের ভোটের অধিকাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর অংশগ্রহণ প্রায় অনুপস্থিত। এই গণতান্ত্রিক ঘাটতি আজ দক্ষিণের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে গভীর অসন্তোষ ও অবিশ্বাসের জন্ম দিচ্ছে।
বিকল্প প্রতিষ্ঠানের উত্থান
এই প্রেক্ষাপটে বিকল্প আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন- নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (NDB), এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (AIIB) এবং ল্যাটিন আমেরিকান রিজার্ভ ফান্ড (FLAR) নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে। (NDB) এর সহায়তা তুলনামূলকভাবে শর্তমুক্ত এবং অংশগ্রহণমূলক। এখানে প্রতিটি দেশের ভোটের ও প্রতিনিধিত্বের সমান সুযোগ আছে, যা উন্নয়নশীল দেশগুলো আরও আগ্রহী করে তুলেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো এখন শুধু আর্থিক বিকল্প নয়- এরা এক নতুন উন্নয়ন দর্শনের বাহক। সেই দর্শনে উন্নয়ন নির্ধারিত হয় স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনকে কেন্দ্র করে, বাইরের চাপ বা রূঢ় শর্ত নয়।
বিশ্ব আজ বহুমেরু। অর্থনৈতিক শক্তি ছড়িয়ে পড়ছে নানা অঞ্চলে। এই বাস্তবতায় টিকে থাকতে হলে আইএমএফকে নিজস্ব কাঠামো ও দর্শনে রূপান্তর আনতে হবে। প্রয়োজন গভর্ন্যান্সের সংস্কার, নীতিনির্ধারণে সমান অংশগ্রহণ, এবং সর্বোপরি সহানুভূতিশীল ঋণ নীতিমালা।
আইএমএফ যদি সত্যিই বৈশ্বিক আর্থিক স্থিতিশীলতার অভিভাবক হতে চায়, তাহলে তাকে হতে হবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক, এবং আঞ্চলিক বাস্তবতাসম্মত এটি শুধু আইএমএফের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রশ্ন নয়; এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার ও সার্বিক উন্নয়নের প্রশ্ন।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচার হওয়া অর্থ জব্দ কর তা বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার পরমর্শ দিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ সময়ে এবারের বাজেট গতানুগতিক হতে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর এফডিসিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচারকৃত অর্থ জব্দের মাধ্যমে বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করলে তা হতে পারে এবারের বাজেটের একটি অভিনব উৎস।’
‘গত সরকারের রেখে যাওয়া বিদেশি ঋণের চাপ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। এই সরকারের এই সময়ে অন্যতম সাফল্য ৫০০ কোটি (৫ বিলিয়ন) ডলার পরিশোধ করে বিদেশি ঋণের চাপ কমিয়ে আনা,’ যোগ করেন তিনি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই ঋণ বিলিয়ন ডলার করে বছর বছর বাড়ছিল। সামগ্রিকভাবে এই সরকারের সাফল্যের জায়গাটা হলো বহির্খাত, রেমিট্যান্স, রপ্তানি, দায়-দেনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, মজুদ বাড়ানো ও টাকার মূল্যমান স্থিতিশীল রাখা।’
তবে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট গতানুগতিক হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, ‘খেলাপি ঋণ আদায়, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত এবং করের আওতা বাড়ানোর মতো নতুন কোনো কিছু না থাকায় এবারের বাজেটে কোনো চমক থাকছে না।’
‘যে প্রকল্পগুলো সরকারের কাছে আছে, তা অতিমূল্যায়িত ও তার ৪০ শতাংশ ব্যয়ই ভুয়া। আগের যে প্রকল্পগুলো থেকে রক্তক্ষরণ হতো, সেগুলো অব্যাহত আছে,’ বলেন তিনি।
সিপিডির এই সম্মানীয় ফেলো বলেন, ‘রাজস্ব ব্যয় সঠিকভাবে না করলে করদাতাদের উৎসাহ থাকে না। আমাদের কর কাঠামো বৈষম্যনির্ভর। আমাদের বৈদেশিক খাতে কিছুটা স্থিতিশীলতা অর্জিত হলেও ব্যক্তি খাতে স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগ এখনো আশানুরূপ অর্জিত হয়নি।’
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি নামের একটি বিতর্ক সংগঠন এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
‘রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করা আসন্ন বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত’ শীর্ষক ছায়া সংসদে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজকে পরাজিত করে ঢাকার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।
মন্তব্য