রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর গত আট বছরে শিল্প খাতে নিরাপদ কর্মপরিবেশের ব্যাপক উন্নতি বিশ্বজুড়ে নজর কাড়লেও শ্রম অধিকার ইস্যুতে এখনও অবহেলার গ্লানিমুক্ত হতে পারেনি বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাসহ প্রতিনিধিত্বশীল শ্রমিক সংগঠনগুলো দাবি করছে, শ্রমিকদের অধিকারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার বিভিন্ন ধারায় যেসব নিয়মকানুন রয়েছে, তা মানছে না বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ।
শ্রম অধিকার ইস্যুতে সংশ্লিষ্টদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ হলো বাংলাদেশ লেবার ইন্সপেকশন কনভেনশন ১৯৪৭,’ ‘দ্য ফ্রিডম অব অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড প্রটেকশন অব দ্য রাইট টু অর্গানাইজ কনভেনশন ১৯৪৮,’ এবং ‘দ্যা প্রটেকশন অব দ্যা রাইট টু অর্গানাইজ অ্যান্ড দ্যা কালেক্টিভ বার্গেইনিং কনভেনশন ১৯৪৯’ প্রতিপালন করছে না।
তারা আরও বলছে, তৈরি পোশাক খাতের মূলধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত হিসেবে আমাদের অন্যতম উদ্বেগের মধ্যে প্রধান একটি কারণ হলো এই শিল্পে ট্রেড ইউনিয়ন বাধ্যতামূলক অনুমোদন প্রদানের ধারণা। যেখানে বিদ্যমান আইনের মধ্যে রয়েছে নানা সীমাবদ্ধতা ও দুর্বলতা। আবার প্রচলিত আইনও সঠিক কার্যকর হচ্ছে না।
কারণ সেখানে শ্রমিকরা তৈরি পোশাক কারখানায় ইউনিয়ন করার কারণে বরখাস্ত হওয়াসহ প্রতিনিয়ত অসৎ শ্রম আচরণের শিকার হচ্ছে। এর পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা ও ভাড়াটে গুন্ডাদের দিয়েও মৌখিক ও শারীরিক নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। যার প্রতিকারও মিলছে না।
ইতালি, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান ও ব্রাজিলের শ্রমিক প্রতিনিধিরা আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনের ১০৮তম অধিবেশনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উত্থাপন করেছে।
তারা এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের ব্যাপারেও জোরালো দাবি তুলেছে।
এদিকে শুধু বিদেশ নয়, স্থানীয় শ্রমিক সংগঠনেরও একই রকম অভিযোগ। শ্রম অধিকার-সংক্রান্ত পদক্ষেপের ঘাটতির প্রমাণ দেখতে পেয়েছে স্থানীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোও।
জানা গেছে, ২০০৬ সালে বাংলাদেশ শ্রম আইন তৈরি হয়। এটি ২০১৩, ২০১৫ এবং ২০১৮ সালে আইনের বিভিন্ন ধারা সংশোধন করা হয়। প্রচলিত শ্রম আইন অনুযায়ী, শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কারখানাগুলোতে ট্রেড ইউনিয়ন থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের তথ্য বলছে, ২০০৬ সালে প্রবর্তিত শ্রম আইন, ২০১৩ ও ২০১৮ সালে যে সংশোধনী আনা হয়, তার মাধ্যমে শ্রম আইনের ১৭৯ ও ১৮০ ধারার ক্ষমতাবলে পাওয়া ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার উল্টো সংকুচিত করা হয়েছে। ফলে এখনও শ্রমিকরা অসংগঠিত ও অসহায়।
সংগঠনটির আরও দাবি, শুধু তৈরি পোশাক নয়, হালকা যানবাহন, রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক, পরিবহন, মোটর মেকানিক, তাঁত, বিড়ি, জরি, পাদুকা, হকার ও দিনমজুর যারা অসংগঠিত খাতে কাজ করেন, তাদের অবস্থা আরও ভয়াবহ। তাদের জন্য শ্রম আইনে সুরক্ষা বলতে কিছু নেই।
অন্যদিকে পোাশাক খাতে ‘রানা প্লাজা পরবর্তী পরিবর্তন’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) জানায়, রানা প্লাজা-পরবর্তী বেশির ভাগ উদ্যোগ শুধু কর্মস্থলের নিরাপত্তাকেন্দ্রিক, শ্রম অধিকারসংশ্লিষ্ট উদ্যোগগুলোর অগ্রগতি আসলে কম। দেশের ৯৭ দশমিক ৫ ভাগ কারখানায় কোনো ট্রেড ইউনিয়ন নেই। যেগুলো আছে, তারা কার্যত দুর্বল অথবা অকার্যকর।
সলিডারিটি সেন্টার-বাংলাদেশের ‘সংঘবদ্ধ হওয়ার স্বাধীনতা চর্চায় বাধা: ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের প্রতিবন্ধকতা-বিষয়ক সাক্ষ্যপ্রমাণ’ শীর্ষক এক জরিপ প্রতিবেদনেও দাবি করা হয়েছে, তৈরি পোশাকশিল্পে কর্মরত ৯৭ শতাংশ শ্রমিক এখনও ট্রেড ইউনিয়নের বাইরে।
এ ছাড়া শ্রমিকরা শ্রম আইনের শর্ত মেনে ট্রেড ইউনিয়নের আবেদন করলেও অযৌক্তিক কারণ দেখিয়ে তাদের নিবন্ধনের আবেদন বাতিল করা হচ্ছে। নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ এমন সব শর্তের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে যা আইন বা বিধিসম্মত নয়।
গত ১৭ এপ্রিল ‘ইমপ্যাক্ট অব কোভিড-১৯ অন দ্য লেবার মার্কেট: পলিসি প্রপোজালস ফর ট্রেড ইউনিয়ন অন এমপ্লয়মেন্ট, জেন্ডার অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি ফর সাসটেইনেবল রিকভারি’ শীর্ষক বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিআইএলএস) এবং সিপিডি পরিচালিত আরেকটি যৌথ সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়।
এই সমীক্ষায় দাবি করা হয়, দেশে ৮ হাজার ৫৫১টি ট্রেড ইউনিয়ন রয়েছে। সেখানে মোট শ্রমশক্তির মাত্র ৪ দশমিক ২ শতাংশ শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে সক্রিয়। বাকি ৯৬ শতাংশ শ্রমিকই ইউনিয়নভুক্ত নয়।
এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শ্রম অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) আব্দুল লতিফ খান নিউজবাংলাকে জানান, এগুলো একটি প্রচলতি অভিযোগ। আসলে আইনগতভাবে যেগুলো হওয়ার তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে যায়। এই হার ৯০ শতাংশের বেশি। ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন কার্যক্রম সরকারই চালু করেছে।
তিনি বলেন, ‘আইনসম্মত না হলে তো তার অনুমোদন দেয়ার সুযোগ নেই। এরপরও আমরা দেখছি প্রক্রিয়াকে কীভাবে আরও সহজ করা যায়। যাতে আবেদনকারী সবাই ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ পায়।’
এই সমীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে মতামত জানিয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বলেন, ‘আসলে সরকার, মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে যোগাযোগের একটা অভাব রয়েছে। অংশীজনদের মধ্যকার এই যোগাযোগশূন্যতা কমিয়ে আনার জন্য ত্রিপক্ষীয় সমন্বয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
শ্রম অধিকার প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘একজন সুখী শ্রমিকই হতে পারে ভালো শ্রমিক। যে শ্রমিক প্রতিদিন ৩-৫ মাইল হেঁটে কারখানার কাজে আসে, তার কাছ থেকে আমরা কতটুকু উৎপাদনশীলতা আশা করতে পারি?’
সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশের জরিপের তথ্যমতে, ২০১০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে আট বছরে এক হাজার ৩১টি ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের আবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শ্রম দপ্তর ৪৬ শতাংশ আবেদনই বাতিল করেছে।
বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬-এর ত্রয়োদশ অধ্যায় ‘ট্রেড ইউনিয়ন ও শিল্প সম্পদ’- ১৭৯ ধারা অনুযায়ী শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের জন্য কারখানার ২০ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থন প্রয়োজন হয়।
কিন্তু আবেদনে প্রদত্ত ইউনিয়ন সদস্যদের স্বাক্ষরের সঙ্গে কারখানা থেকে দেয়া মজুরি বা বেতন শিটে সেসব সদস্যের স্বাক্ষরের সামান্য অমিল দেখা গেছে। ইউনিয়নের সদস্যরা নিয়োগকারী থেকে দেয়া কাগজপত্র যেমন, পরিচয়পত্র বা তার অনুলিপি দিতে না পারা, কারখানার পরিচয়পত্রের নম্বরের সঙ্গে কারখানার রেকর্ড বা দলিলপত্রের মিল না থাকা এবং কারখানায় প্রকৃত শ্রমিক সংখ্যার চেয়ে অতিরিক্ত পরিমাণ শ্রমিক সংখ্যা দেখানো, যেন ইউনিয়নের পক্ষে ২০ শতাংশ শ্রমিকের সমর্থন নেই বলে দাবি করা যায়।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে, ঘুষ লেনদেন ও রাজনৈতিক প্রভাবেও ট্রেড ইউনিয়ন প্রত্যাখ্যান হয়ে থাকে।
সেসব তথ্য থেকে জানা গেছে, পরিবহন খাতের মোট শ্রমশক্তির ৩৫ দশমিক ২ শতাংশ শ্রমিক ইউনিয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এ ছাড়া নির্মাণ খাতের ৬ দশমিক ৯ শতাংশ ও পাট খাতের ৪ দশমিক ৬ শতাংশ শ্রমিক ইউনিয়নভুক্ত। তৈরি পোশাক শিল্পে ট্রেড ইউনিয়নের হার ১১ দশমিক ৬ শতাংশ।
তবে অভিযোগ আছে, ৫০ শতাংশ কারখানায় কোনো রেজিস্টার্ড ট্রেড ইউনিয়ন নেই। মাত্র ১০০টি কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন কার্যকর আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এতোদিন নিরাপদ কারখানা প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সরব থাকলেও সরকার এখন শ্রম অধিকার ইস্যুতেও মনোযোগী হয়েছে। এ কারণে সংশোধিত শ্রম আইনের আপত্তিকর কিছু ধারা আবারও সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। সেখানে ঝামেলামুক্তভাবে ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ রাখা হবে।
শ্রম অধিকার ইস্যুতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থায় করা অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ তার অবস্থান পরিষ্কার করতে উদ্যোগ নিয়েছে। এরইমধ্যে শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কাছে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে।
ওই চিঠিতে শ্রম সচিব আবদুস সালাম জানিয়েছেন, শ্রম আইন পর্যালোচনা (সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন ও নিয়ম), ফ্রিডম অফ অ্যাসোসিয়েশন, যৌথ দর কষাকষির অধিকার, শ্রম সংস্থার তালিকাভুক্তিকরণ এবং শ্রম আদালত সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে একটি সুষ্ঠু ও বাস্তবভিত্তিক পথ নকশার জন্য সরকার, মালিক প্রতিনিধি এবং দেশি-বিদেশি শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে যৌথভাবে বসে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ সভার মাধ্যমে উত্তরণের চেষ্টা করছে। যার আলোচনা শুরু হয়েছে।
রানা প্লাজা ধস ও বৈশ্বিক চাপ
শিল্প দুর্ঘটনার ইতিহাসে বিশ্বে অন্যতম বড় ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশে রানা প্লাজা ধস। এতে শিল্প-কারখানায় শ্রমিকের কর্মপরিবেশ ও শ্রম অধিকার নিয়ে মালিকপক্ষ ও সরকারের চরম উদাসীনতা বিশ্বজুড়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
তখন শ্রমিক সুরক্ষার প্রশ্নে সরব হয় বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা-আইএলও।
জিএসপি স্থগিতকরাসহ নানারকম শর্ত চাপানো হয় বাংলাদেশের ওপর। এ ছাড়া শ্রমিকের রক্তমাখা পোশাক বর্জনের হুংকার দেয় আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ক্রেতা এবং তাদের ভোক্তারাও।
এভাবে চরম রোষাণলে পড়ে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতি দিতে বাধ্য হয় তাদের দেয়া টাইমবাউন্ড কর্মসূচির মাধ্যমে পোশাকখাতে পরিস্থিতি উন্নয়ন করা হবে।
আট বছর পর এই সময়ে গৃহীত নানামুখী পদক্ষেপের মাধ্যমে পোশাকখাতে নিরাপদ কর্মপরিবেশ উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল। দেশের সাড়ে প্রায় চার হাজার পোশাক কারখানার সবকটিই এখন আধুনিক।
বিশ্বের আন্তর্জাতিক মান নির্ধারণী প্রতিষ্ঠান থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক সবুজ কারখানার লিড সনদ পেয়েছে। এর মধ্যে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ১০টি কারখানার সাতটিই এখন বাংলাদেশে। স্বীকৃতি পাওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে আরও ৫ শতাধিক কারখানা।
তা ছাড়া রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর দেশে পোশাক শিল্পে বড় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটায় আন্তর্জাতিক ক্রেতারা আবারও বাংলাদেশমুখী হয়েছে।
আরও পড়ুন:দেশের স্বর্ণের বাজারে চলতি এপ্রিল মাসেই ২২ ক্যারেটের ভরিতে তিন দফায় ৪ হাজার ৫৬০ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে। এবার প্রতি ভরিতে দাম কমানো হয়েছে ৮৪০ টাকা। নামমাত্র এই কমানোর পর ভালো মানের (২২ ক্যারেট) এক ভরি স্বর্ণের দাম দাড়িয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) শনিবার এই দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। সংগঠনটির মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কিছুটা কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
বাজুস এর চলতি মাসে তিন দফা স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়ানো হয়।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণ ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৭ হাজার ১৯৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা ভরি বিক্রি হবে।
এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়নো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। বর্তমানে ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা ১ হাজার ২৮৩ টাকা ভরি বিক্রি হচ্ছে।
রমজানের মধ্যে শসার বাজার চড়া দাম থাকলেও বর্তমানে শসাচাষিরা দাম পাওয়া নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন।
এমন দুঃসময়ে শসাচাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের অন্যতম রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’।
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শসাচাষিরা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে চার টাকায়। ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা।
এমন সময় সেই শসাচাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ন্যায্যমূল্যে কৃষিপণ্যটি কেনে ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। সেই শসা এখন খোলাবাজারের চেয়ে কম দামে স্বপ্ন আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে।
খোলা বাজারে বৃহস্পতিবার ৪০ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করতে দেখা গেলেও স্বপ্ন আউটলেটে তা ১২ টাকা কেজিতে গ্রাহকরা কিনতে পেরেছেন। এরই মধ্যে দিনাজপুরের খানসামার ওই এলাকা থেকে দুই টন এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকা থেকে ছয় টন শসা কিনেছে স্বপ্ন প্রতিনিধি।
বর্তমানে তাদের উৎপাদিত শসা পৌঁছে গেছে স্বপ্নর আউটলেটে। স্টক থাকা অবধি এ অফার গ্রাহকরা পাবেন।
স্বপ্নর নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, ‘আমরা শসাচাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্য মূল্যে।
‘অন্যান্য ব্যবসায়ীদেরও কৃষকদের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান থাকবে। মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভবান না করে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি সেতুবন্ধের চেষ্টা করে আসছে স্বপ্ন। এ চেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে।’
এ প্রসঙ্গে স্বপ্নর হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, “বিভিন্ন গণমাধ্যমে শসাচাষিদের সংকটের খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিই যে, কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াব। দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এরই মধ্যে ৮ টন শসা আমরা কিনেছি।
“দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।”
দিনাজপুরের খানসামা এলাকার কৃষক সাকিব হোসেন বলেন, ‘প্রায় এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছিলাম এবার। শসার বীজ, সারসহ নানা কাজে লাখ টাকা খরচ হয় আমার, কিন্তু ১০ রমজান অবধি কিছু শসা বিক্রি করার পর বাজারে শসার দাম কমে যায়। প্রতি কেজি ১০ টাকা, এরপর পাঁচ টাকা এবং সবশেষে আরও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অনেক শসা নষ্ট হয়ে যায়। অনেক লোকসান হচ্ছিল।’
তিনি আরও বলেন, “আমার এলাকার এক সাংবাদিক নিউজ করার পর এসিআই কোম্পানির ‘স্বপ্ন’ থেকে যোগাযোগ করে আমার অনেকগুলো শসা কিনে নিয়েছেন উনারা। এতে করে লোকসানের অনেক ঘাটতি পূরণ হয়েছে আমার। তাদের অশেষ ধন্যবাদ।”
আরও পড়ুন:দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে রেকর্ড ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের সাড়ে তিন মাসে অষ্টমবারের মতো স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৃহস্পতিবার বৈঠক করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। নতুন নির্ধারিত এই দাম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী- ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বেড়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বেড়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৬৫৬ টাকা বেড়ে ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৩৮৮ টাকা কমে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সবশেষ দশ দিন আগে ৮ এপ্রিল বাজুস ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৪৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা নির্ধারণ করে। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। ১০ দিনের ব্যবধানে আবারও দাম বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দেশের স্বর্ণের বাজারে উচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হলো।
অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের আরও বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে ১ লাখ ২৯ হাজার ১১৯ টাকা।
এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা আছে।
আরও পড়ুন:বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘…১৪৯ টাকা যেটা খোলাবাজারে ছিল, সেটাকে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা সর্বোচ্চ খোলাবাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হবে।
‘আর আমাদের সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার, বোতল যেটা, পেট বোতলে যেটা, যেটার মধ্যে সিল করা থাকে, সেইটা আমাদের নির্ধারিত ছিল ১৬৩ টাকা। সেইখান থেকে বৃদ্ধি করে ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’
খোলা সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতলের দামের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আর খোলাবাজারে সয়াবিন তেল পাঁচ লিটারের বোতল ৮০০ টাকা ছিল। সেটাকে ৮১৮ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’
পাম অয়েলের দাম নিয়ে টিটু বলেন, ‘সুপার পাম অয়েল তেল প্রতি লিটার, এটা আগে নির্ধারণ করা ছিল না। এবার আমরা নির্ধারণ করে দিচ্ছি। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা লিটার।
‘তো এই চারটা পণ্যের দাম, এইটা কিন্তু আমরা নির্ধারণ করলাম না। আমাদের যারা অ্যাসোসিয়েশনের, তাদের রিকমেন্ডেশনে এবং আমাদের ট্যারিফ কমিশনের অনুমোদনক্রমে উনারা উনাদের অ্যাসোসিয়েশন থেকে চিঠি দিয়ে আগামীকাল থেকে এই মূল্য উনাদের মিল গেট থেকে উনারা কার্যকরী করবে।’
আরও পড়ুন:কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি জানিয়েছিল যে আর কোনো ব্যাংককে একীভূতকরণের সুযোগ দেয়া হবে না। তবে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের জন্য ব্যাংক এশিয়াকে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নতুন মাত্রার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক এশিয়া বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করছে। সূত্র: ইউএনবি
করাচিভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ বুধবার (১৭ এপ্রিল) পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জকে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের বাংলাদেশ পরিচালনা, সম্পদ ও দায় অধিগ্রহণের জন্য প্রাপ্ত বাধ্যবাধকতামুক্ত ইঙ্গিতমূলক প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।
এতে বলা হয়, ব্যাংক আলফালাহ বাংলাদেশের ব্যাংক এশিয়ার জন্য যথাযথ কার্যক্রম শুরুর জন্য স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তানের অনুমোদন চাইছে।
ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আর কে হুসেইন বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি একীভূতকরণ নিয়ে খুব বেশি আলোচনার অংশ নয়।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে দুই ব্যাংকের নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে অধিগ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত রূপ পাবে বলে।
বিষয়বস্তু অবহিত না করে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে ‘রূপান্তর’ শিরোনামের একটি নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ওয়ালটন।
পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সব ধরনের বিজ্ঞাপনী চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
ওয়ালটনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’ এর স্বত্বাধিকারী মোহন আহমেদকে মঙ্গলবার ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।
ওয়ালটনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট রাইসুল ইসলাম রিয়াদ স্বাক্ষরিত আইনি নোটিশে উল্লেখ করে যা বলা হয়, ‘আপনি লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান এর স্বত্বাধিকারী। আপনার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আপনার নির্মিত ছয়টি নাটকে ওয়ালটন ফ্রিজ ব্র্যান্ডিং করতে সম্মত হয়। শর্ত থাকে যে, উক্ত নাটকসমূহে দেশের আইন, নীতি, নৈতিকতা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয় এরকম কোনো বিষয় অর্ন্তভুক্ত হবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, উক্ত নাটকসমূহের মধ্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটিতে এমন কিছু বিষয় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে, যাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ও মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।’
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে নাটকটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্বে অবহিত না করে রূপান্তর নাটক প্রচার করায় আপনার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হলো এবং সেই সঙ্গে কেন আপনার বিরুদ্ধে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে নাটক প্রচারের জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে জানানোর জন্য বলা হলো।’
এর আগে ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে ‘রূপান্তর’ নাটকটি প্রত্যাহারের জন্য বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে নির্দেশ দেয় ওয়ালটন। তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক-ইউটিউবসহ সব মাধ্যম থেকে নাটকটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
এরপর বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ওয়ালটন গ্রুপের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থি নাটকে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে লিগাল নোটিশ দেয় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটনের ভাষ্য, দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও তারা সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন:রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন রূপালী ব্যাংক পিএলসির মহাব্যবস্থাপক মো. ফয়েজ আলম। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে তিনিসহ রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন ব্যাংকের আট জন মহাব্যবস্থাপককে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়।
ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি হওয়ার আগে তিনি রূপালী ব্যাংক পিএলসিতে মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
মো. ফয়েজ আলম ১৯৯৮ সালে বিআরসির মাধ্যমে সিনিয়র অফিসার পদে রূপালী ব্যাংকে যোগদান করেন। কর্মজীবনে ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখার শাখা ব্যবস্থাপক, জোনাল অফিস এবং প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পেশাগত প্রয়োজনে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও আরব অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণসহ দেশ-বিদেশে ব্যাংকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।
ফয়েজ আলমের জন্ম ১৯৬৮ সালে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার যোগীরনগুয়া গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে বিএ অনার্সসহ এমএ পাশ করার পর এমফিল ডিগ্রিও অর্জন করেন খ্যাতিমান এই ব্যাংকার।
পেশাগত জীবনের বাইরে ফয়েজ আলম একজন সফল লেখকও। বাংলাদেশে তিনি অগ্রণী উত্তর উপনিবেশী তাত্ত্বিক, প্রাবন্ধিক ও কবি হিসেবে বিশেষ খ্যাতিমান। এডওয়ার্ড সাঈদের বিখ্যাত গ্রন্থ অরিয়েন্টালিজম-এর অনুবাদক হিসেবেও তার আলাদা খ্যাতি আছে। তার পনেরটির বেশি গ্রন্থ এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে।
মন্তব্য