× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
বাজেটে রাজস্বের কাল্পনিক লক্ষ্যমাত্রা
google_news print-icon

বাজেটে রাজস্বের ‘কাল্পনিক লক্ষ্যমাত্রা’

বাজেটে-রাজস্বের-কাল্পনিক-লক্ষ্যমাত্রা
আয়কর রিটার্ন মেলায় রিটার্ন জমা দিচ্ছেন অনেকেই। ফাইল ছবি
আগামী অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরের মাধ্যমে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, এটি ‘কাল্পনিক লক্ষ্যমাত্রা’, যা কখনই অর্জিত হবে না।

বাংলাদেশে বাজেটের আকার বড় না ছোট তা নিয়ে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। তবে এ কথা ঠিক যে, জনগণের চাহিদা অনুযায়ী আরও বড় বাজেটের সুযোগ রয়েছে।

কিন্তু শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, সামাজিক সুরক্ষাসহ অন্যান্য খাতে আরও বেশি বরাদ্দ দিতে হলে যে পরিমাণ অর্থের দরকার, তার জোগান সরকারের নেই। এর প্রধান কারণ আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণের দুর্বলতা।

তারপরও প্রতিবছর বাজেটে রাজস্ব আহরণের ‘অতি উচ্চাভিলাষী’ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরের মাধ্যমে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা।

অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, এটি ‘কাল্পনিক লক্ষ্যমাত্রা’। অর্থনীতির বর্তমান বাস্তবতার সঙ্গে এটি সামঞ্জস্যহীন, যা কখনই অর্জিত হবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনবিআরের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, লক্ষ্যমাত্রা প্রাক্কলনের সময় অর্থ মন্ত্রণালয় কখনই আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে না। বাস্তব অবস্থা বিবেচনা না করে আগের অর্থবছরের ওপর ভিত্তি করে লক্ষ্যমাত্রা চাপিয়ে দেয়া হয়।

তিনি বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে আমাদের রাজস্ব আহরণে দুর্বলতা রয়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে রাজস্বে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে, যা সামলে উঠতে অনেক সময় লাগবে। ফলে প্রস্তাবিত লক্ষ্যমাত্রা একেবারে অবাস্তব।’

যে অর্থবছরটি শেষ হতে চলছে, তাতে রাজস্ব আয়ের মূল লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। বিশাল ঘাটতির পরিপ্রেক্ষিতে মূল লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩ লাখ কোটি টাকা।

অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, ‘সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রাও’ কখনও পূরণ হয়নি। বরং তা থেকে অনেক পিছিয়ে থাকে আহরণ।

নতুন বাজেটের সম্ভাব্য আকার ৬ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থায়নে মোট রাজস্ব প্রাপ্তি প্রাক্কলন করা হয় ৪ লাখ কোটি টাকা।

এর মধ্যে আমদানি শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং আয়কর– এই তিন উৎস থেকে এনবিআরের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে ৩ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা ।

অবশিষ্ট ৫০ হাজার কোটি টাকা আসবে ভূমিকর, স্ট্যাম্প ফি, টোলসহ এনবিআরবহির্ভূত বিভিন্ন কর থেকে, যা অর্থ মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে।

জাতীয় বাজেটে ৮৫ থেকে ৮৬ শতাংশ অর্থের জোগান দেয় এনবিআর।

সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত আদায় হয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা। তিন মাসে অবশিষ্ট রাজস্ব আহরণ করতে হলে রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধি হতে হবে কমপক্ষে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ।

বাংলাদেশে রাজস্ব আহরণের যে প্রবণতা, তাতে দেখা যায়, অর্থবছরের শেষ সময়ে আদায় দ্বিগুণ বাড়ে। কিন্তু এবার বাস্তবতা ভিন্ন।

রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে রাজস্বে বড় ধাক্কা লেগেছে। এটা সামলে ওঠা কঠিন হবে। তাদের ধারণা, এখন যে গতিতে এগোচ্ছে, তাতে অর্থবছর শেষে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকার বেশি আদায় হবে না। গতবার আদায় হয়েছিল ২ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা।

যোগাযোগ করা হলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পিআরআইর নিবার্হী পরিচালক ও আইএমএফের সাবেক কর্মকর্তা ড. আহসান এইচ মনসুর নিউজবাংলাকে বলেন, আসন্ন বাজেটে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা কাল্পনিক ও অতি উচ্চাভিলাষী। এটি কখনই অর্জিত হবে না।

তিনি বলেন, ‘বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা না করে রাজস্বের প্রাক্কলন করা হয়। এর কোনো ভিত্তি থাকে না। ফলে অধিকাংশ লক্ষ্য কাগজেই সীমাবদ্ধ থাকে। এটি আমাদের বাজেট ব্যবস্থাপনার বড় দুর্বল দিক।’

রাজস্ব আয়ের গড় প্রবৃদ্ধি ১০-১২ শতাংশ

পরিসংখ্যানে বলে, গত এক দশকে বাংলাদেশে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে গড়ে ১০ থেকে ১২ শতাংশ। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বাজেটে প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। সরকারের প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির মধ্যে ফারাকটা অনেক বেশি। ফলে স্বপ্ন ও বাস্তবতার মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়া যায় না বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, ‘বাস্তবায়নযোগ্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। তা না হলে বাজেট বাস্তবায়ন ব্যহত হবে।’

এনবিআরের সাবেক সদস্য ফরিদউদ্দীন বলেন, ‘আমাদের দেশে রাজস্ব ফাঁকির প্রবণতা খুবই বেশি। জিডিপির আয়তন ও প্রবৃদ্ধির হারের তুলনায় রাজস্ব আদায় অনেক কম। বাংলাদেশে কর-জিডিপি অনুপাত কমপক্ষে ১৭ শতাংশ হওয়া উচিত। এটি নিশ্চিত করা গেলে উন্নয়নের অনেক চাহিদাই পূরণ করা সম্ভব।’

আরও পড়ুন:
মহামারিতেও বিশ্বে বেড়েছে সামরিক ব্যয়
চাপ সামলানোর বিশাল বাজেট আসছে
বাজেটে কৃষিতে অগ্রাধিকার দেয়ার পরামর্শ
করোনা: বাজেটে সুনির্দিষ্ট দিকনিদের্শনা চায় ডিসিসিআই
প্লাস্টিক শিল্পের সুরক্ষায় শুল্ক কমানোর দাবি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
The government is then a safe return of the national football team trapped in Nepal

নেপালে আটকে পড়া জাতীয় ফুটবল দলের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে তৎপর সরকার

নেপালে আটকে পড়া জাতীয় ফুটবল দলের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে তৎপর সরকার

নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।

নেপালে চলমান বিক্ষোভ পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের দেশে প্রত্যাবর্তন সাময়িকভাবে বিলম্বিত হয়েছে। আজ স্থানীয় সময় দুপুর ৩টায় ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দলের দেশে ফেরার কথা থাকলেও পরিস্থিতির অবনতির কারণে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সব ফ্লাইট বাতিল করে। ফলে দলের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাবৃন্দ বর্তমানে টিম হোটেলে অবস্থান করছেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বার্তায় জানিয়েছে, দলের নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্ন প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।

বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দলের দ্রুত ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। এ বিষয়ে নেপালস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, নেপালের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তন, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের প্রেক্ষাপটে দলের নির্বিঘ্ন প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নেপালের সেনাবাহিনীর সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

এছাড়া যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া এবং টিম ম্যানেজার আমের খানের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে দলের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন এবং দেশে দ্রুত প্রত্যাবর্তনে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Comilla University student Sumaiya and his mother were killed after failing to rape

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সুমাইয়া ও তার মাকে হত্যা

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সুমাইয়া ও তার মাকে হত্যা

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তার মা তাহমিনা বেগমকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। হত্যার মূল আসামি মো. মোবারক হোসেনকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ঢাকায় পালিয়ে যাবার সময় কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মোবারক হোসেন জেলার দেবিদ্বার উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের মৃত. আবদুল জলিলের ছেলে।

পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, ঝাড়-ফুক করার সুবাদে মোবারক হোসেন সুমাইয়া আফরিনদের বাসায় যাতায়াত করতেন। গত রবিবার সকাল সাড়ে ৮টায় সুমাইয়াদের ভাড়া বাসা নগরীর কালিয়াজুরি এলাকায় নেলি কটেজ নামক বাসায় প্রবেশ করেন মোবারক। এরই মধ্যে মোবারক তাদের বাসায় ঝাড়ফুঁক করে পানি ছিটিয়ে বেরিয়ে যান। আবার বেলা সাড়ে ১১ টায় ওই বাড়িতে প্রবেশ করেন। যা সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়।

পুলিশ সুপার বলেন, মোবারক তাদের বাসায় থাকাকালীন সময়ে এক পর্যায়ে সুমাইয়া আফরিনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় সুমাইয়ার মা বাধা দেন। এতে মোবারক ক্ষুব্ধ হয়ে সুমাইয়াকে এক ঘরে আটকে মা তাহমিনা বেগমকে অন্য একটি রুমে নিয়ে বালিশ চাপায় হত্যা করেন। এরপর সুমাইয়াকে তার রুমে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় সুমাইয়া প্রতিরোধ করলে তাকে গলা টিপে হত্যা করেন। হত্যার পর মোবারক সুমাইয়াদের ঘর থেকে ৪টি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে পালিয়ে যান। তিনি আরো বলেন, ধর্ষণ হয়েছে কিনা বিষয়টি ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।

নিহত সুমাইয়া আরফিন (২৩) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি কুমিল্লা নগরীর সুজানগর এলাকার বাসিন্দা ও কুমিল্লা আদালতের সাবেক হিসাবরক্ষক মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে। গত সোমবার সকালে ওই বাসা থেকে সুমাইয়া আফরিন ও তার মা তাহমিনা বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Missing the traditional trap of fishing is getting lost in Comilla

কুমিল্লায় হারিয়ে যাচ্ছে মাছ ধরার ঐতিহ্যবাহী ফাঁদ চাই

কুমিল্লায় হারিয়ে যাচ্ছে মাছ ধরার ঐতিহ্যবাহী ফাঁদ চাই

বর্ষা মৌসুমে টইটম্বুর পানির সঙ্গে উজান থেকে ভেসে আসা দেশীয় মাছ—বজুরী, টেংরা, ঢেলা, দারখিলা, কটকটি, বাইলা, পুটি, সেলবেলা, চান্দা, বৈইচা, পাবদা, শিং, কৈ, টাকি, চেধূরী, এলকোনা, খৈইলশা, ভাংলা, কাটাইড়া, বাতাইয়া, চিংড়ি, বাইম, গুতুমসহ নানান প্রজাতির মাছ একসময় খাল-বিল-জমিতে ডিম ছাড়ার জন্য ছুটে আসত। সেই সময়ে গ্রামের ছেলেরা মাছ ধরার জন্য নানান ফাঁদ পাতত। এর মধ্যে অন্যতম ছিল আনতা, বেউর ও চাই, আনতা। যা আজ বিলুপ্তির পথে।

তবে এখনো কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রামচন্দ্রপুর আনতা হাট সেই পুরনো স্মৃতি ধরে রেখেছে। রামচন্দ্রপুর, দক্ষিণ বাঙ্গরা ও মালাই বাঙ্গরা বাজার, হাটখোলা, ইলিয়াটগঞ্জ, চান্দিনার নোয়াবপুর, বর্ষা মৌসুমে বাঁশের তৈরি আনতা বিক্রির ধুম পড়ে যেত কিন্তু পূর্বে ন্যায় দেশীয় মাছ না থাকায় আস্তে আস্তে এসব মাছ ধরার ফাঁদ তৈরিতে কৃষক, জেলে আগ্রাহ হাচ্ছে। শুধুই মাছ ধরার ফাঁদ নয়, আনতা হয়ে উঠেছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের অংশ, যা এ সময় স্থানীয়দের মধ্যে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে দেয়।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকার ও মানভেদে প্রতিটি আনত ৩০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বর্ষার শেষ দিকে এ ফাঁদের চাহিদা আরও বেড়ে যেত। ব্যবসায়ীরাও মৌসুমে ভালো লাভের আশা করত। এন তেমন একটা চোখে পড়ে না, রামচন্দ্রপুরের আনতা ব্যবসায়ী কবির হোসেন বলেন, ‘প্রতি হাটে আমি ৬০ থেকে ৭০টি আনতা বিক্রি করি কিন্তু যখন মাছের ভরা মৌসুম ছিল তখন সারাবছর লোক নিয়োগ করে বিভিন্ন বাড়িতে আনতা তৈরি করতাম। দূর-দূরান্ত থেকেও ক্রেতারা আসত। আর তেমন বিক্রি না থাকায় ব্যাবসা অনেক কমে গেছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে মাছ জমির আইল ধরে নামতে শুরু করে, তখন আইলে আনতা পুঁতে রাখলেই সহজে মাছ ধরা পড়ে। বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় আমরা খুশি হতাম, আমাদের দাবি আনতা, বেউর, চাই, উছা, পেলুন।এই ফাঁদ তৈরিতে সরকার ভর্তুকি দিয়ে অল্প আয়ের মানুষ দের বাচিয়ে রাখা উচিত। পাশাপাশি বাঁশ শিল্প বেচে থাকবে।

স্থানীয় মাছ বিক্রেতা মতিন মিয়া জানান, তিনি প্রতি মৌসুমে ৫-৬টি আনতা কেনেন। আনতা দিয়ে প্রতিদিন ২-৩ কেজি মাছ ধরা পড়ে। নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করে তিনি ৩০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত আয় করেন।

শুধু মাছ ধরার ফাঁদ নয়, আনতা হয়ে উঠেছে অনেকের জীবিকার উৎস। আনতা তৈরি ও বিক্রি করে বহু পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছে। আবার এর সাহায্যে ধরা মাছ বিক্রি করে অনেকেই বাড়তি আয় করছে। ছোট-বড় সবাইকে মাছ ধরার আনন্দে মাতিয়ে তোলে এই দেশীয় কৌশল, যা আজও মুরাদনগরের গ্রামীণ জীবনের অনন্য ঐতিহ্য বহন করে চলেছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Tausif returns to the Bachelor Point series

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিকে ফিরছেন তৌসিফ!

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিকে ফিরছেন তৌসিফ!

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিকের ৫ নম্বর সিজন চলছে। ভক্তদের মুখে মুখে কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত এ সিরিজটি। নাটকটির শুরু থেকেই সিজন ১, ২, ৩ এবং ৪ দিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচিত হন নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি ও তার টিম। ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিজনগুলোর ব্যাপক সাফল্যের পর এবার ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর ফাইভ সিজন প্রচার হচ্ছে।

এই সিরিজে কাবিলা, শুভ, জাকির, শিমুল, পাশা, আরেফিন, হাবু ভাই নামের চরিত্রগুলোর মতো নেহাল চরিত্রটি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ সর্বদা তুঙ্গে। যেই নেহাল চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তৌসিফ মাহবুব। এত দিন ব্যক্তিগত কিছু কারণে এ সিরিজ থেকে দূরে ছিলেন। তবে এ সিজনে ফিরছেন তিনি নেহাল হয়েই, যেটা তিনি নিজেই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।

বললেন, ‘দর্শক সর্বদা চান নেহাল চরিত্রটি ফিরে আসুক। তাই ফের এ চরিত্রটির মাধ্যমে ব্যাচেলর পয়েন্টে দর্শক আমাকে দেখতে পাবেন।’ এর আগে নির্মাতা অমি বলেছিলেন, বাস্তব জীবনের মতোই হয়তো ভবিষ্যতে কোনো একসময় দেখা যাবে তাদের আবার একসঙ্গে। তাই সেই অপেক্ষার পালা মনে হয় শেষ হলো তৌসিফের ফেরার মাধ্যমে।

মন্তব্য

গফরগাঁওয়ে পূবালী ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ ও কুইজ প্রতিযোগিতা

গফরগাঁওয়ে পূবালী ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ ও কুইজ প্রতিযোগিতা

ময়মনসিংহর গফরগাঁওয়ে পূবালী ব্যাংক (পিএল সি) এর স্কুল ব্যাংকিং কর্মশালার আওতায় ঐতিহ্যবাহি বিদ্যাপীঠ গফরগাঁও মহিলা কলেজে বৃক্ষরোপণ ও শিক্ষার্থীদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার ( ৯সেপ্টন্বর) ১১টায় মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে পূবালী ব্যাংকের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।
বৃক্ষরোপণ শেষে মহিলা কলেজ হল রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন গফরগাঁও মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ মো. আব্দুল খালেক,পূবালী ব্যাংক (পিএলসি) গফরগাঁও উপশাখা ব্যবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামানসহ কলেজের শিক্ষক- শিক্ষার্থী ও পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ। কলেজ অধ্যক্ষ আবদুল খালেক ব্যাংক কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, গাছ আমাদের জীবনের অংশ,গাছ ছাড়া আমাদের জীবন ও পরিবেশের কথা চিন্তাও করতে পারিনা,অধিক পরিমানে গাছ লাগান প্রাকৃতিক বিপর্যয় হতে দেশকে বাচাঁন।
আলোচনা শেষে কলেজ শিক্ষার্থীদে মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
In the Coast Guards operation in Chandpur 3 domestic firearms were seized by 2 Ram Da and 2 Chinese ax

চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ১টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২টি রাম দা ও ২টি চাইনিজ কুড়াল জব্দ

চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ১টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২টি রাম দা ও ২টি চাইনিজ কুড়াল জব্দ

মঙ্গলবার ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সোমবার চাঁদপুর উত্তর মতলব থানাধীন মোহনপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় একটি ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১ টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন চাঁদপুর কর্তৃক উক্ত এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকা হতে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২টি রাম দা ও ২টি চাইনিজ কুড়াল জব্দ করা হয়। এসময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

জব্দকৃত অস্ত্রের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Distribution of Assistant Devices to Students with Special Students

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মাঝে অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব উপকরণ বিতরণ করা হয়।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের উদ্যোগে স্পেশাল অ্যাডুকেশন নিডস অ্যান্ড ডিজাবিলিটিস (সেন্ডর) কার্যক্রম বাস্তবায়নের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের মাঝে অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ডা. তামান্না তাসনীম।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার রমিতা ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে শিশুদের মাঝে ৪ জনকে হুইল চেয়ার, ২ জনকে শ্রবণ যন্ত্র, ১০ জনকে চশমা ও একজনকে জুতা জোড়া প্রদান করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রমজান আলী, লুৎফুন্নেছা, মনিরা খাতুন, আরিফুল ইসলাম, কাপাসিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেলী নাসরিন, একডালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন ভূঁইয়া, ধরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতিকুল ইসলামসহ শিশুদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে