× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
বাজেটে রাজস্বের কাল্পনিক লক্ষ্যমাত্রা
google_news print-icon

বাজেটে রাজস্বের ‘কাল্পনিক লক্ষ্যমাত্রা’

বাজেটে-রাজস্বের-কাল্পনিক-লক্ষ্যমাত্রা
আয়কর রিটার্ন মেলায় রিটার্ন জমা দিচ্ছেন অনেকেই। ফাইল ছবি
আগামী অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরের মাধ্যমে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, এটি ‘কাল্পনিক লক্ষ্যমাত্রা’, যা কখনই অর্জিত হবে না।

বাংলাদেশে বাজেটের আকার বড় না ছোট তা নিয়ে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। তবে এ কথা ঠিক যে, জনগণের চাহিদা অনুযায়ী আরও বড় বাজেটের সুযোগ রয়েছে।

কিন্তু শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, সামাজিক সুরক্ষাসহ অন্যান্য খাতে আরও বেশি বরাদ্দ দিতে হলে যে পরিমাণ অর্থের দরকার, তার জোগান সরকারের নেই। এর প্রধান কারণ আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণের দুর্বলতা।

তারপরও প্রতিবছর বাজেটে রাজস্ব আহরণের ‘অতি উচ্চাভিলাষী’ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরের মাধ্যমে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা।

অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, এটি ‘কাল্পনিক লক্ষ্যমাত্রা’। অর্থনীতির বর্তমান বাস্তবতার সঙ্গে এটি সামঞ্জস্যহীন, যা কখনই অর্জিত হবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনবিআরের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, লক্ষ্যমাত্রা প্রাক্কলনের সময় অর্থ মন্ত্রণালয় কখনই আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে না। বাস্তব অবস্থা বিবেচনা না করে আগের অর্থবছরের ওপর ভিত্তি করে লক্ষ্যমাত্রা চাপিয়ে দেয়া হয়।

তিনি বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে আমাদের রাজস্ব আহরণে দুর্বলতা রয়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে রাজস্বে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে, যা সামলে উঠতে অনেক সময় লাগবে। ফলে প্রস্তাবিত লক্ষ্যমাত্রা একেবারে অবাস্তব।’

যে অর্থবছরটি শেষ হতে চলছে, তাতে রাজস্ব আয়ের মূল লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। বিশাল ঘাটতির পরিপ্রেক্ষিতে মূল লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩ লাখ কোটি টাকা।

অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, ‘সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রাও’ কখনও পূরণ হয়নি। বরং তা থেকে অনেক পিছিয়ে থাকে আহরণ।

নতুন বাজেটের সম্ভাব্য আকার ৬ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থায়নে মোট রাজস্ব প্রাপ্তি প্রাক্কলন করা হয় ৪ লাখ কোটি টাকা।

এর মধ্যে আমদানি শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং আয়কর– এই তিন উৎস থেকে এনবিআরের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে ৩ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা ।

অবশিষ্ট ৫০ হাজার কোটি টাকা আসবে ভূমিকর, স্ট্যাম্প ফি, টোলসহ এনবিআরবহির্ভূত বিভিন্ন কর থেকে, যা অর্থ মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে।

জাতীয় বাজেটে ৮৫ থেকে ৮৬ শতাংশ অর্থের জোগান দেয় এনবিআর।

সাময়িক হিসাব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত আদায় হয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা। তিন মাসে অবশিষ্ট রাজস্ব আহরণ করতে হলে রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধি হতে হবে কমপক্ষে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ।

বাংলাদেশে রাজস্ব আহরণের যে প্রবণতা, তাতে দেখা যায়, অর্থবছরের শেষ সময়ে আদায় দ্বিগুণ বাড়ে। কিন্তু এবার বাস্তবতা ভিন্ন।

রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে রাজস্বে বড় ধাক্কা লেগেছে। এটা সামলে ওঠা কঠিন হবে। তাদের ধারণা, এখন যে গতিতে এগোচ্ছে, তাতে অর্থবছর শেষে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকার বেশি আদায় হবে না। গতবার আদায় হয়েছিল ২ লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা।

যোগাযোগ করা হলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পিআরআইর নিবার্হী পরিচালক ও আইএমএফের সাবেক কর্মকর্তা ড. আহসান এইচ মনসুর নিউজবাংলাকে বলেন, আসন্ন বাজেটে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা কাল্পনিক ও অতি উচ্চাভিলাষী। এটি কখনই অর্জিত হবে না।

তিনি বলেন, ‘বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা না করে রাজস্বের প্রাক্কলন করা হয়। এর কোনো ভিত্তি থাকে না। ফলে অধিকাংশ লক্ষ্য কাগজেই সীমাবদ্ধ থাকে। এটি আমাদের বাজেট ব্যবস্থাপনার বড় দুর্বল দিক।’

রাজস্ব আয়ের গড় প্রবৃদ্ধি ১০-১২ শতাংশ

পরিসংখ্যানে বলে, গত এক দশকে বাংলাদেশে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে গড়ে ১০ থেকে ১২ শতাংশ। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বাজেটে প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। সরকারের প্রত্যাশা এবং প্রাপ্তির মধ্যে ফারাকটা অনেক বেশি। ফলে স্বপ্ন ও বাস্তবতার মধ্যে মিল খুঁজে পাওয়া যায় না বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, ‘বাস্তবায়নযোগ্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। তা না হলে বাজেট বাস্তবায়ন ব্যহত হবে।’

এনবিআরের সাবেক সদস্য ফরিদউদ্দীন বলেন, ‘আমাদের দেশে রাজস্ব ফাঁকির প্রবণতা খুবই বেশি। জিডিপির আয়তন ও প্রবৃদ্ধির হারের তুলনায় রাজস্ব আদায় অনেক কম। বাংলাদেশে কর-জিডিপি অনুপাত কমপক্ষে ১৭ শতাংশ হওয়া উচিত। এটি নিশ্চিত করা গেলে উন্নয়নের অনেক চাহিদাই পূরণ করা সম্ভব।’

আরও পড়ুন:
মহামারিতেও বিশ্বে বেড়েছে সামরিক ব্যয়
চাপ সামলানোর বিশাল বাজেট আসছে
বাজেটে কৃষিতে অগ্রাধিকার দেয়ার পরামর্শ
করোনা: বাজেটে সুনির্দিষ্ট দিকনিদের্শনা চায় ডিসিসিআই
প্লাস্টিক শিল্পের সুরক্ষায় শুল্ক কমানোর দাবি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Khaleda Zia on the way to emotional leaders and staff

পথে পথে আবেগাপ্লুত নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত খালেদা জিয়া

পথে পথে আবেগাপ্লুত নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত খালেদা জিয়া

পথে পথে আবেগাপ্লুত নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন দেশনেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

পথে পথে কেউ হাতে ফুল, কেউ ব্যানার-প্ল্যাকার্ড, কেউ বেগম খালেদা জিয়ার ছবিসংবলিত টি-শার্ট পরে, হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা নেড়ে, শ্লোগানে শ্লোগানে প্রিয় নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।

‘খালেদা জিয়ার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’, ‘খালেদা, জিয়া’, ‘তারেক, রহমান’, ‘খালেদা জিয়া ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ পথে পথে নানা শ্লোগান দিচ্ছেন নেতা-কর্মীরা।

চিকিৎসা শেষে দীর্ঘ চারমাস পর যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে আজ ঢাকায় ফেরেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সকাল ১০টা ৪৩ মিনিটে অবতরণ করে তাঁকে বহনকারী কাতার আমিরের পাঠানো বিশেষ বিমান (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স)। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে বাসভবন ফিরোজার উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। পথে পথে আবেগাপ্লুত উচ্ছ্বসিত নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি।

দলীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে যেভাবে নেতা-কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমেছেন, তা দলের প্রতি তাদের আস্থার প্রমাণ।’

বিএনপি এবং দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের কে কোথায় অবস্থান নিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাবেন, তা আগেই বলে দেওয়া হয়েছিল। তাদের সড়কে ভিড় না করে ফুটপাতে অবস্থান নেওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। যাতে যানজট বা বিশৃঙ্খলা না হয়, সে জন্য পুরো পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। যদিও অগণিত মানুষকে সামাল দিতে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। বহরের সামনে পিছনে এবং বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িকে ঘিরে মিছিল শ্লোগানে প্রকম্পিত করে রাখছে অগণিত নেতা-কর্মী।

বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনালে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে স্বাগত জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে এসেছেন তার দুই পুত্রবধূ-তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শার্মিলা রহমান।

সকাল থেকেই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সড়ক থেকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ পর্যন্ত জড়ো হন বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ। তারা বেগম খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানায়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The return of Khaleda Zia will ease the way of passing democracy
মির্জা ফখরুল

খালেদা জিয়ার ফিরে আসা গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সহজ করবে

খালেদা জিয়ার ফিরে আসা গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সহজ করবে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিনএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ফিরে আসা গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সহজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রবেশের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘকাল ফ্যাসিবাদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ফ্যাসিবাদ বিদায় নেওয়ার পর কারাবন্দিত্ব থেকে মুক্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন। সেখানে প্রায় ৪ মাস চিকিৎসা শেষে আজকে দেশে ফিরে আসছেন। এটা আমাদের জন্য, জাতির জন্য একটা আনন্দের দিন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্র উত্তরণের এই সময়ে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি একটি উল্লেখযোগ্য দিক। তার ফিরে আসা আমাদের গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সহজ করবে। দেশকে সঠিক ও বৈষম্যহীন পথে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে।

গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সেখানে লন্ডন ক্লিনিকে টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৫ জানুয়ারি থেকে তার ছেলে তারেক রহমানের বাসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Khaleda Zia is returning home to say goodbye to the crowd of leaders in Heathrow

দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, বিদায় জানাতে হিথ্রোতে নেতাকর্মীদের ভিড়

দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, বিদায় জানাতে হিথ্রোতে নেতাকর্মীদের ভিড় লন্ডনে চার মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

লন্ডনে চার মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাকে বিদায় জানাতে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দলটির প্রবাসী নেতাকর্মীদের ভিড় করতে দেখা গেছে।

সোমবার (৭ মে) স্থানীয় সময় ২টা ১০ মিনিটে লন্ডনে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসা থেকে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেই গাড়ি চালিয়ে তার মাকে বিমানবন্দরে নিয়ে গেছেন।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিসকর অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘গাড়িতে সামনের আসনে ছেলের পাশে বসেছেন খালেদা জিয়া। দুই পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান, সৈয়দা শার্মিলা রহমান এবং তারেকের মেয়ে জাইমা রহমানও রয়েছেন গাড়িতে। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কাতারের আমিরের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে আমরা রওনা হব। বিকাল ৪টায় আমাদের রওনা হওয়ার কথা।

দোহায় যাত্রাবিরতি করে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাদের।

এদিকে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর গুলশান-২ এ অবস্থিত খালেদা জিয়ার বাসভবন ‘ফিরোজা’ সম্পূর্ণ প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। নেতাকর্মীদের হাজারো ভিড়ের মধ্য দিয়ে তাকে বিমানবন্দর থেকে বাসায় পৌঁছানোর সময় অভ্যর্থনা জানানো হবে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইউএনবিকে জানান, ‘তিনি মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন বলে আশা করছি।’

খালেদা জিয়ার গাড়িবহর কাকলী রুট ধরে ফিরোজায় পৌঁছাবে। ফখরুল বলেন, ‘নেতাকর্মীদের বলা হয়েছে তারা ফুটপাথে দাঁড়িয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা হাতে তাকে শুভেচ্ছা জানাবে।’

তিনি জনগণকে অনুরোধ করেন বিমানবন্দর থেকে কাকলী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে, যাতে রাস্তায় যানজট না হয়। মঙ্গলবার সকালে বিমানবন্দরে বিএনপি মহাসচিব, অন্যান্য নেতা ও খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

বিএনপির পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিমানবন্দর থেকে লা মেরিডিয়ান পর্যন্ত অবস্থান নেবে ঢাকা উত্তর সিটি ইউনিট, এরপর ছাত্রদল লে মেরিডিয়ান থেকে খিলখেত পর্যন্ত, যুবদল খিলখেত থেকে রেডিসন পর্যন্ত।

রেডিসন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম পর্যন্ত থাকবে দক্ষিণ সিটি ইউনিট, এরপর স্বেচ্ছাসেবক দল স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত, কৃষক দল কবরস্থান থেকে কাকলী পর্যন্ত, শ্রমিক দল কাকলী থেকে বনানী শেরাটন পর্যন্ত অবস্থান নেবে।

বনানী শেরাটন থেকে কিচেন মার্কেট পর্যন্ত থাকবে ওলামা দল, তাঁতি দল, জাসাস ও মৎস্যজীবী দল। মুক্তিযোদ্ধা দল ও অন্যান্য পেশাজীবী সংগঠন থাকবেন কিচেন মার্কেট থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত, আর মহিলা দল ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা থাকবেন গুলশান অ্যাভিনিউ পর্যন্ত।

বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীদেরও রুটের সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিমানবন্দর বা ফিরোজা বাসভবনে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না এবং খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের সঙ্গে পায়ে হেঁটে বা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ থাকবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Italy is interested in taking more staff from Bangladesh to legitimate way Home Advisor

বাংলাদেশ থেকে বৈধ পথে আরও কর্মী নিতে আগ্রহী ইতালি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশ থেকে বৈধ পথে আরও কর্মী নিতে আগ্রহী ইতালি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ থেকে বৈধ পথে আরও বেশি হারে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মী নিতে আগ্রহী ইতালি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

সোমবার (৫ মে) বিকালে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ইতালি ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান।

বৈঠকে ইতালির পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশে সফররত দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ম্যাথু পিয়ান্তেডোসি।

উপদেষ্টা বলেন, ইতালির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের শ্রমিকরা খুব পরিশ্রমী ও দেশটির অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। দেশটি নতুন করে বৈধ পথে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নিতে আগ্রহী। তবে অন্য দেশের ভিসা নিয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে যাওয়ার প্রবণতাকে তারা সম্পূর্ণরূপে নিরুৎসাহিত করেছে।

তিনি বলেন, ইতালি অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশের সহযোগিতা চেয়েছে ও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছে। পাশাপাশি তারা নিরাপত্তা খাতেও সহায়তা বৃদ্ধি করার কথা জানিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে ইতোমধ্যে যেসকল বাংলাদেশি অবৈধভাবে ইতালিতে গিয়েছেন, তাদের যেন উপযুক্ত প্রক্রিয়ায় বৈধতা দেওয়া হয়- সে বিষয়েও ইতালিকে অনুরোধ করা হয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ইতালির পুলিশ মাফিয়া চক্রসহ সংগঠিত ও সংঘবদ্ধ অপরাধ দমনে পারদর্শী। সেজন্য তারা এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের প্রশিক্ষণ ও সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করতে চায়। তিনি বলেন, বৈঠকে আমরা পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও কোস্টগার্ডের দক্ষতা ও সামর্থ্য বৃদ্ধিতে ইতালির সহায়তা কামনা করেছি।

সম্প্রতি এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এ ঘটনায় ৫৪ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটানোর চেষ্টা করবে, তাদের কাউকেই কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

বৈঠকে অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধ, অভিবাসন সংক্রান্ত অপরাধ নেটওয়ার্ক দমনে বাংলাদেশের গৃহীত নীতি ও কর্মপন্থা, অপরাধ দমন ও বিচার প্রক্রিয়ায় দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার এবং নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত দ্বিপক্ষীয় চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে ইতালির পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো, দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিপ্লোমেটিক অ্যাডভাইজার ম্যাক্রো ভিলানি ও ডেপুটি হেড অভ কেবিনেট সাবিনা মাদারো, ইমিগ্রেশন ও বর্ডার পুলিশের সেন্ট্রাল ডিরেক্টর ক্লডিও গালজেরানো প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সচিবালয়ে পৌঁছালে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Welcome to Khaleda Zia DMP instruction in the movement of citizens

খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা: নাগরিকদের চলাচলে ডিএমপির নির্দেশনা

খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা: নাগরিকদের চলাচলে ডিএমপির নির্দেশনা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আগামী ঢাকায় এলে তাকে পথে পথে অভ্যর্থনা দেবেন দলীয় নেতাকর্মীরা। তারা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত অবস্থান নিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন। এ ক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকদের চলাচলে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, সে জন্য কিছু বিষয় মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

সোমবার (৫ মে) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী। আগামীকাল মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স।

ডিএমপির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জনসাধারণকে গুলশান/বনানী থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান না করে ফুটপাতে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আগত জনসাধারণকে রাস্তা থেকে সরিয়ে ফুটপাতে অবস্থান করানোর জন্য প্রয়োজনীয় স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

ডিএমপির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আগামীকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গুলশান-বনানী থেকে উত্তরা পর্যন্ত সড়ক যথাসম্ভব পরিহার করে বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের অনুরোধ করা হয়েছে। বিকল্প রাস্তার মধ্যে রয়েছে:

• আব্দুল্লাপুর কামারপাড়া ধউর ব্রীজ-পঞ্চবটী-মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে গাবতলী হয়ে চলাচল।

• ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার।

• উত্তরা ও মিরপুরে বসবাসকারীদের এয়ারপোর্ট সড়ক ব্যবহার না করে বিকল্প হিসেবে হাউস বিল্ডিং- জমজম টাওয়ার-১২নং সেক্টর খালপাড়-মেট্রোরেল উত্তরা উত্তর স্টেশন- উত্তরা সেন্টার স্টেশন-মিরপুর ডিওএইচএস হয়ে চলাচল এবং উত্তরা সেন্টার স্টেশন হতে ১৮ নং সেক্টর-পঞ্চবটী হয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করতে পারেন।

• গুলশান, বাড্ডা এবং প্রগতি সরণি এলাকার যাত্রীরা কাকলী, গুলশান-২, কামাল আতাতুর্ক সড়কের পরিবর্তে গুলশান-১/পুলিশ প্লাজা-আমতলী-মহাখালী হয়ে মহাখালী বাস টার্মিনাল সংলগ্ন র‍্যাম্প ব্যবহার করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে এয়ারপোর্ট/উত্তরা যেতে পারবে।

• মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইলগামী যানবাহন মিরপুর-গাবতলী রোড হয়ে চলাচল করতে পারবে।

• এয়ারপোর্ট/৩০০ ফিট রাস্তা থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনকে বনানী/কাকলী র‍্যাম্পের পরিবর্তে মহাখালী র‍্যাম্প/এফডিসি র‍্যাম্প ব্যবহার করতে পারবে।

এছাড়া ডিএমপির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা সেনানিবাস কর্তৃপক্ষ ঢাকা সেনানিবাসের রাস্তা (জিয়া কলোনী/জাহাঙ্গীর গেইট /সৈনিক ক্লাব/স্টাফ রোড) সকাল ৮ থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শুধু হালকা যানবাহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। সুতরাং সেনানিবাসের রাস্তা ব্যবহার করতে পারেন।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ সিএনজিচালিত অটোরিক্শা ও মোটরসাইকেল নির্ধারিত টোল পরিশোধপূর্বক ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪০ কিমি গতিসীমা মেনে ও এক্সপ্রেসওয়ের বাঁ পাশের সেইফ লেন ব্যবহার করে সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ওভারস্পিড ও লেন পরিবর্তন করলে আইন প্রয়োগের জন্য পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

বিকল্প হিসেবে ঢাকা-জয়দেবপুর চলাচলকারী ট্রেন ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। রেলওয়ের সব আন্তঃনগর ট্রেন আগামীকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টঙ্গী, এয়ারপোর্ট এবং তেজগাঁও স্টেশনে দুই মিনিটের জন্য থেমে যাত্রী বহনের ব্যবস্থা করবে। এছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ে আগামীকাল সকাল থেকৈ দুপুর পর্যন্ত কমলাপুর-টঙ্গী রুটে অতিরিক্ত একটি শাটল ট্রেন পরিচালনা করবে।

হজযাত্রীসহ বিদেশগামীদের এয়ারপোর্টে গমানগমনের ক্ষেত্রে এবং ওই এলাকায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদেরকে যথেষ্ট সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। মিরপুর ও উত্তরাবাসীকে বিকল্প হিসেবে মেট্রোরেল ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

কোনো ব্যাগ, লাঠি ইত্যাদি বহন না করার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনাকারীদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। অভ্যর্থনাকারীরা কোনো যানবাহন নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরে যুক্ত হতে পারবেন না।

অভ্যর্থনাকারী ব্যক্তিরা মোটরসাইকেল নিয়ে কোনোক্রমেই গুলশান/বনানী থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান করতে পারবেন না বা মোটরসাইকেলযোগে জনতার মধ্য দিয়ে চলতে পারবেন না। তবে এ রাস্তা দিয়ে (জনসমাগম না হলে) সাধারণ যানের সাথে মোটরসাইকেল চলতে পারবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The chief adviser to implement the recommendations of the Health Reform Commission

স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

দেশের স্বাস্থ্য খাতে দীর্ঘ দিন থেকে যেসব সমস্যা রয়েছে তা নিরসনে স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে যেসব সুপারিশ এখনই বাস্তবায়নযোগ্য তা দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ সোমবার স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নিকট তাদের প্রতিবেদন পেশ করার পর তিনি এই নির্দেশ প্রদান করেন।

স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশনের এই প্রতিবেদনকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতের সমস্যাগুলো বহুদিনের সমস্যা, এর মাধ্যমে আমরা যদি এসব সমস্যার সমাধান করতে পারি তা হবে যুগান্তকারী ঘটনা।’

তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেসব সুপারিশ আশু বাস্তবায়নযোগ্য তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের এখনি মনোযোগী হতে হবে।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘একটি বড় সমস্যা হচ্ছে ডাক্তারের সংকট, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ডাক্তার থাকলেও যেখানে দরকার সেখানে ডাক্তার নেই। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে।’

চিকিৎসা ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা ছাড়া সমস্যা নিরসন সম্ভব নয়। চিকিৎসকদের যেখানে পোস্টিং সেখানে থাকাটা নিশ্চিত করতে হবে।’

কমিশন প্রধান জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খানের নেতৃত্বে এই কমিশনের সদস্যরা তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার নিকট হস্তান্তর করেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য ইনফরমেটিকস বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাকির হোসেন, অধ্যাপক লিয়াকত আলী, ডা. সায়েবা আক্তার, সাবেক সচিব এম এম রেজা, ডা. আজহারুল ইসলাম, ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, ডা. আহমেদ এহসানুর রাহমান এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি উমায়ের আফিফ।

স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশনের অন্য দুই সদস্য হলেন ডা: নায়লা জামান খান, ডা: মোজাহেরুল হক।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Chinmay arrested in Chittagong lawyer murder case

চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার

চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা মামলায় চিন্ময় গ্রেফতার

চট্টগ্রামে আলোচিত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় ইসকনের সাবেক সংগঠক ও বর্তমানে কারাবন্দি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৬ষ্ঠ আদালতের বিচারক এস এম আলাউদ্দীন এই আদেশ দেন। শুনানিকালে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নিরাপত্তা জনিত কারণে আদালতে হাজির না করে কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত করা হয়।

একইসঙ্গে আরো তিনটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেছে পুলিশ। পুলিশের ওপর আক্রমণ, কর্তব্যকাজে বাধা, আদালত প্রাঙ্গনে ত্রাস সৃষ্টি, হামলার অভিযোগের বাকি তিনটি মামলার শুনানি ভার্চুয়ালি আগামীকাল মঙ্গলবার হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ইসকনের বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আলিফ হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এরআগে, গতকাল রোববার চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চিন্ময় দাসকে আলিফ হত্যাসহ চারটি মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন জমা দেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি মামলা আজকে ভার্চুয়াল শুনানি হয়। অন্য তিনটি মঙ্গলবার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত বছরের ২৫ নভেম্বর রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোট নামে একটি সংগঠনের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরদিন ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কারাগারে পাঠানোর নির্দেশকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গনে ত্রাস সৃষ্টি করে চিন্ময়ের অনুসারীরা। প্রায় তিন ঘণ্টা তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আদালত এলাকায় আটকে রাখে তারা। একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখনই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে নগরীর লালদিঘীর পাড় থেকে কোতোয়ালী এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।

এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ৫১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে আলিফ হত্যা মামলায় ২১ জনের বিরুদ্ধে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতার তিন আসামি-চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা আইনজীবী সাইফুলকে তারা নির্মমভাবে হত্যা করেন।

চিন্ময় দাসের বিরুদ্ধে আরো একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাও রয়েছে, যা গত বছরের ৩১ অক্টোবর চান্দগাঁও থানায় বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, জাতীয় পতাকা অবমাননা করে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন চিন্ময় ও তার অনুসারীরা। ওই মামলায় গত বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকায় গ্রেফতার করা হয় তাকে।

এর মধ্যে, গত ৩০ এপ্রিল রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। তবে রাষ্ট্রপক্ষ চেম্বার জজ আদালতে জামিনের বিরুদ্ধে আপীল করেছে।

মন্তব্য

p
উপরে