× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
সাড়ে ১০ হাজারের টার্গেটে সংগ্রহ দুই টন ধান
google_news print-icon

সাড়ে ১০ হাজারের টার্গেটে সংগ্রহ দুই টন ধান

সাড়ে-১০-হাজারের-টার্গেটে-সংগ্রহ-দুই-টন-ধান
রংপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল কাদের বলেন, ‘খাদ্য কর্মকর্তাদের ঘুষ বাণিজ্য বা হয়রানির অজুহাত নয়, মূলত বাজারে ধান ও চালের দাম বেশি হওয়ায় নির্ধারিত দামে আমরা ধান-চাল সংগ্রহ করতে পারিনি।’

রংপুরের আট উপজেলায় গত আমন মৌসুমে কৃষকের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে সরাসরি ধান সংগ্রহের লক্ষ্য ছিল ১০ হাজার ৩৮২ টন। এরমধ্যে সাত উপজেলা থেকে কোনো ধানই সংগ্রহ করতে পারেনি রংপুর খাদ্য বিভাগ। শুধু পীরগঞ্জ উপজেলা থেকে মিলেছে দুই টন ধান।

ধান ছাড়াও ১৭ হাজার ৬৩৮ টন সেদ্ধ চাল সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে মিল মালিকরা হস্তান্তর করেছেন মাত্র ১ হাজার ৫৩৫ টন চাল।

চুক্তি ভঙ্গ করায় মিল মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুই-চার দিনের মধ্যে বৈঠক হতে পারে বলে জানিয়েছে রংপুর খাদ্য বিভাগ।

চলতি বোরো মৌসুমের ধানকাটা ও মাড়াইও শুরু হয়েছে। কয়েকদিন পরই বোরো মৌসুমে ধান-চাল কেনার সিদ্ধান্ত আসবে। গত আমন মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহে ব্যর্থ হওয়ায় বোরোর সময়ও সেই প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সাড়ে ১০ হাজারের টার্গেটে সংগ্রহ দুই টন ধান

রংপুর খাদ্য অফিস থেকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ধান-চাল সংগ্রহের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, জেলায় আমন মৌসুমে উপজেলাভিত্তিক ধান ও চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল রংপুর সদর উপজেলায় ১ হাজার ৭১ টন। বিপরীতে এক কেজি ধানও কিনতে পারেনি খাদ্য বিভাগ। দুই হাজার ৯৬৬ টন চালের মধ্যে কেনা হয়েছে ২৬৭ টন।

বদরগঞ্জ উপজেলায় ধানের ১ হাজার ৬ টন লক্ষ্যমাত্রায় মেলেনি এক কেজিও। চাল কেনার কথা ছিল এক হাজার ৮৪ টন; কেনা হয়েছে ২০ টন।

মিঠাপুকুর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ১৯৮ টন ধান; কিছুই মেলেনি। ৩ হাজার ৮৫৮ টন চালের বিপরীতে কেনা হয়েছে ৪১৯ টন।

পীরগঞ্জ উপজেলায় কেনার কথা ছিল এক হাজার ১৯৪ টন ধান; কেনা হয়েছে দুই টন। চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন হাজার ৮০২ টন; মিল মালিকরা দিয়েছেন ৬৭৯ টন।

তারাগঞ্জ উপজেলায় ধান ও চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৫০২ টন ও দুই হাজার ৬৭৪ টন; এক কেজি ধান-চালও মেলেনি।

গঙ্গাচড়া উপজেলায়ও ৮৫০ টন ধান ও ৬৭৬ টন চাল কেনার কথা থাকলেও মেলেনি কিছুই।

কাউনিয়া উপজেলায় ৫৯৪ টন লক্ষ্যমাত্রায় কোনো ধানই কেনা যায়নি। আর এক হাজার ২৯৪ টন চলের মধ্যে পাওয়া গেছে চার হাজার ৬০০ টন।

পীরগাছা উপজেলায় ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৬৭ টন; কেনা হয়নি এক কেজিও। অন্যদিকে চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ২৮৪ টন; এক ছটাক চালও কেনা সম্ভব হয়নি।

রংপুর খাদ্য বিভাগের দাবি, বাজারে ধান ও চালের সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি হওয়ায় তারা লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।

জেলা খাদ্য বিভাগ জানায়, আমন মৌসুমে সরকার ধানের দাম নির্ধারণ করে দেয় প্রতি মণ ১০৪০ টাকা। সেই অনুযায়ী, এক মণ ধানে ২৬ কেজি চাল হিসাবে প্রতিকেজি চালের দাম পড়ে ৩৬ টাকা। তবে বাজারে চালের সর্বনিম্ন দাম ছিল ৪০ টাকা। ফলে চুক্তি করেও মিলাররা চাল দেয়নি। সে কারণেই চাল সংগ্রহে ব্যর্থ হয়েছেন তারা।

তবে একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্য এবং হয়রানির কারণে তারা গোডাউনে ধান দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন না।

রংপুর সদরের মমিনপুর এলাকার কৃষক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘গোডাউনোত ধান দেমো ক্যান? হামরা আদা-কাঁচা ধান সাড়ে ৯০০ টাকায় বেচাই। আর গোডাউনোত দিবের গেইলে ধান শুকান নাগবে। কামলা খরচ। ভ্যান খরচ আছে। ফির ওমারগুলের (কর্মকর্তা) হয়রানি। তারচেয়ে হামরা কাঁচাই বিক্রি করছি। সেটাই হামার লাভ।’

একই কথা বলেন ওই এলাকার মোশারফ হোসেন ও জাফর আলী নামে দুই কৃষক। তারা জানান, গোডাউনে ধান দিতে গেলে দালালদের আলাদা করে ধান বা টাকা দিতে হয়। খরচ না বাড়িয়ে তারা নিজেরাই হাটে ধান বিক্রি করে দিয়েছেন।

রংপুর খাদ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, গত বছর বোরো মৌসুমেও রংপুর জেলায় ধান-চাল ক্রয় অভিযান ব্যর্থ হয়। তবে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

সাড়ে ১০ হাজারের টার্গেটে সংগ্রহ দুই টন ধানসাড়ে ১০ হাজারের টার্গেটে সংগ্রহ দুই টন ধান

জেলা খাদ্য কর্মকর্তার দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় খাদ্য বিভাগের নিবন্ধিত অটোরাইস মিলসহ হাসকিং মিলার রয়েছেন ৮৮০ জন। তাদের মধ্যে ৮১ জন চুক্তি করলেও চাল দিয়েছেন মাত্র ৩০ মিলার।

নিয়ম অনুযায়ী, যেসব মিলের লাইসেন্স রয়েছে চাল সরবরাহ করতে সরকারের সঙ্গে তাদের চুক্তি করতে হয়। চুক্তি করেও যদি কোনো মিল চাল না দেয় তবে জামানত বাজেয়াপ্তসহ চুক্তি বাতিল করা হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ওই নির্দেশনা গত দুই মৌসুম থেকে বাস্তবায়ন হয় না।

মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম বাবু নিউজবাংলাকে জানান, সরকার আমনের মোটা চালের রেট দিয়েছে ৩৬ টাকা। অথচ বাজারে এই চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা। তাহলে কী করে তারা চাল দেবেন। এই কারণেই তারা চাল দেননি।

ধানের সঙ্গে চালের দাম নির্ধারণের বিষয়টি সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখা উচিত বলেও জানান তিনি।

রংপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল কাদের নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খাদ্য কর্মকর্তাদের ঘুষ বাণিজ্য বা হয়রানির অজুহাত নয়, মূলত বাজারে ধান ও চালের দাম বেশি হওয়ায় নির্ধারিত দামে আমরা ধান-চাল সংগ্রহ করতে পারিনি। আর যারা চুক্তি করেও চাল সরবরাহ করেননি তাদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’

আরও পড়ুন:
অর্থনীতি পুনরুদ্ধার-স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জোর প্রধানমন্ত্রীর
১৮ লাখ টন চাল-ধান কিনবে সরকার
কৃষকের ধান কেটে দিলেন চেয়ারম্যান
কৃষকের ধান কেটে দিল যুবলীগ
বিস্তীর্ণ হাওরে তৃষ্ণা মেটানোর নলকূপ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Accident in Jhalkathi Henaara lost her husband

ঝালকাঠিতে দুর্ঘটনা: স্বামী হারিয়ে দিশাহারা হেনারা

ঝালকাঠিতে দুর্ঘটনা: স্বামী হারিয়ে দিশাহারা হেনারা দুই বছর বয়সী মেয়েকে কোলে নিয়ে আছেন মানসিক প্রতিবন্ধী হেনারা বেগম। ছবি: নিউজবাংলা
শহীদুলের ছোট ভাই সাদ্দাম বলেন, ‘আমি বুধবার টোলের ডিউটি শেষ করে দুপুরে বাড়ি এসে গোসলে যাই। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পাই। দৌড় দিয়ে টোলের সামনে গিয়ে দেখি, আমার ভাই ট্র্রাকের নিচে চাপা পড়ে আছে। স্থানীয়রা তাকে ট্রাকের নিচ থেকে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে।’

ঝালকাঠির গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় বুধবার দুপুরে সিমেন্টবাহী ট্রাকের চাপায় ১৪ জন নিহত হন। ওই সময় সড়কের পাশে বসে ভিক্ষা করছিলেন ৪৫ বছর বয়সী শারীরিক প্রতিবন্ধী শহিদুল ইসলাম। এ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনিও।

শহিদুলের বাড়িতে বৃহস্পতিবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, তার মানসিক প্রতিবন্ধী স্ত্রী হেনারা বেগম স্বামী হারানোর শোকে কাতর। দুই বছর বয়সী মেয়েকে কোলে নিয়ে বিলাপ করে বলছেন, ‘আমার মাইয়ারে এতিম কইরা আমার স্বামী মইরা গ্যাছে। ওষুধের দোকানে টাকা পাইবে, আমি হেই টাকা কেমনে দিমু। আমি কী খামু, কেমনে মনুরে খাওয়ামু।’

কিছুক্ষণ পরেই আবার ভুলে যাচ্ছেন স্বামীর মৃত্যুর কথা।

শহীদুলের পরিবার সূত্রে জানা যায়, জন্ম থেকে দুটি পা অচল থাকায় কোনো কাজ করতে পারতেন না শহিদুল। ৮ বছর বয়স থেকে ঝালকাঠির গাবখান ফেরিঘাটে ভিক্ষা করা শুরু করেন তিনি। বছর দশেক আগে ঝালকাঠি সদর উপজেলার নেছারাবাদ গ্রামের শ্রমিক আশ্রাফ আলির মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়ে হেনারাকে বিয়ে করে শহিদুল সংসার জীবন শুরু করেন।

শহীদুলের ভাইয়েরা জানান, সরকার থেকে পাওয়া প্রতিবন্ধী ভাতা এবং ভিক্ষা করে যে টাকা আয় হতো তা দিয়েই কোনোরকম চলতো শহিদুলের। তিন ভাইয়ের মধ্যে শহিদুল বড়। বাকি দুই ছোট ভাই সাইদুল খান এবং সাদ্দাম খান পৃথক সংসার করেন। তারা দুজনেই গাবখান সেতুর টোল প্লাজার কর্মী হিসেবে কাজ করেন।

গাবখান সেতুর টোল প্লাজার পাশে বসে অন্যদিনের মতো বুধবার ভিক্ষা করছিলেন শহিদুল। দুপুর পৌনে দুইটায় নিয়তির কাছে হেরে যান তিনি। সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাক চাপা দেয় শহিদুলকে। আহত অবস্থায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ঘণ্টাখানেক পর তার মৃত্যু হয়।

ছোট ভাই সাদ্দাম বলেন, ‘আমি বুধবার টোলের ডিউটি শেষ করে দুপুরে বাড়ি এসে গোসলে যাই। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পাই। দৌড় দিয়ে টোলের সামনে গিয়ে দেখি, আমার ভাই ট্র্রাকের নিচে চাপা পড়ে আছে। স্থানীয়রা তাকে ট্রাকের নিচ থেকে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পরে তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিমে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা চিকিৎসার চালায়। কিছুক্ষণ পরেই ভাই আমাদের ছেড়ে চলে যায়।’

আরও পড়ুন:
ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনা: নিহত প্রত্যেকের পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা
সড়কে প্রাণ গেল জনপ্রিয় শিল্পী পাগল হাসানের
মার্চে ৫৫২ সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬৫ জন নিহত
ঝালকাঠিতে ইজিবাইক ও মাইক্রোতে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত বেড়ে ১৪
কাপাসিয়ায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার চালক নিহত

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
8 people including women were injured in a fight over sharing of coconuts

‘নারকেল ভাগাভাগি’ নিয়ে মারামারিতে নারীসহ ৮ জন আহত

‘নারকেল ভাগাভাগি’ নিয়ে মারামারিতে নারীসহ ৮ জন আহত নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে নারকেল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আটজন আহত হয়েছেন। কোলাজ: নিউজবাংলা
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে নিজেদের পারিবারিক গাছ থেকে নারকেল পাড়েন সেলিম। সেই নারকেল অপর তিন ভাই মজনু মিয়া, ফজলুর রহমান ও আজিজুল হকের বাসায় ভাগ করে দেন, তবে ভাগ কম বেশি হওয়ায় কারণে ভাতিজারা সেলিমের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করেন। একপর্যায়ে সেলিমকে তারা মারধর করে সামান্য আহত করেন।

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে পারিবারিক গাছ থেকে পাড়া নারকেল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষে নারীসহ আটজন আহত হয়েছেন।

তাদের মধ্যে সেলিম মিয়া নামে গুরুতর আহত একজনকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সেলিম মিয়ার ভাই মজনু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, পৌর শহরের টেংগাপাড়া এলাকায় বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ও বৃহস্পতিবার সকালে দুই দফা সংঘর্ষে আটজন আহত হন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে নিজেদের পারিবারিক গাছ থেকে নারকেল পাড়েন সেলিম। সেই নারকেল অপর তিন ভাই মজনু মিয়া, ফজলুর রহমান ও আজিজুল হকের বাসায় ভাগ করে দেন, তবে ভাগ কম বেশি হওয়ায় কারণে ভাতিজারা সেলিমের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করেন। একপর্যায়ে সেলিমকে তারা মারধর করে সামান্য আহত করেন।

এ ঘটনায় ওই রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরদিন সকালে সেলিম দোকানে গেলে তার হাতে ও পিঠে ক্ষুরের আঘাতে গুরুতর জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন।

আহত সেলিমের পক্ষের লোকজন জানায়, অপর তিন ভাই ও ভাতিজারা মিলে সেলিম ও তার শ্বশুর-শ্বাশুড়ির ও শ্যালিকার ওপর হামলা চালান।

এদিকে সেলিমের বড় ভাই ফজলুর রহমান বলেন, ‘প্রথমে নারকেল নিয়ে ভাতিজারা সেলিমকে কিছুটা হেনস্তা করে। আমরা রাতে বিষয়টা সমাধান করব ভেবেছি, কিন্তু রাতে বড়কাশিয়া থেকে সেলিমের আত্মীয়রা এসে বাড়িতে ঢুকে নারী-পুরুষ সবাইকে ক্ষুর ও রামদা দিয়ে কোপানো শুরু করে। এতে আমাদের পক্ষের চারজন গুরুতর আহত হয়। ক্ষুরের আঘাতে রাজিমুলের পেট বের হয়ে গেছে। হাত কেটেছে একজনের।

‘নিজেদের লোকজনের এমন রক্তাক্ত অবস্থা দেখে আমাদের ঘরের ছেলেরা উত্তেজিত হয়ে মারধর করতে গেলে তারা ঘরের দরজা লাগিয়ে ফেলে। সেলিম ছাড়া অন্যদের মারধরের ঘটনা সাজানো। এ ঘটনায় আমাদের পক্ষ থেকেও মামলার আবেদন করা হচ্ছে।’

এদিকে রাতের ঘটনায় সেলিম মিয়া বাদী হয়ে মজনু মিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পরে সকালে মজনু মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় দায়ের করা মামলায় মজনু মিয়া নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় শপিং মলে ছুরি হামলা, হামলাকারীসহ নিহত ৭
জিম্মি মুক্তিতে হামাসকে চাপ দিতে মিসর ও কাতারকে বাইডেনের চিঠি
দুর্বৃত্তের হামলায় পা বিচ্ছিন্ন হওয়া যুবকের মৃত্যু
বান্দরবানে কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ফেসবুকে ‘হা হা’ দেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৫

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
CID officer caught while taking bribe

সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয়ে ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা

সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয়ে ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা ছবি: নিউজবাংলা
ভুক্তভোগী ম্যানুয়েল তপন বলেন, ‘বেশকিছু দিন ধরে আমার মতো এলাকার অন্য লোকজনের কাছেও বিভিন্ন ফন্দি এঁটে প্রতারণা করে আসছে এই প্রতারক।’

নওগাঁর ধামইরহাটে রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল নামে সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয় দেয়া এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা পরিচয় দিলেও তিনি আসলে তা নন, প্রতারণার স্বার্থে ভুয়া পরিচয় ধারণ করেছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার রুপনারায়নপুর গ্রাম থেকে তিনি গ্রেপ্তার হন।

২৫ বছর বয়সী রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী ম্যানুয়েল তপন জানান, ভয়ভীতি দেখিয়ে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে তিনি (পিয়াল) তার কাছ থেকে ২৯ হাজার ৫৩৮ টাকা গ্রহণ করেন এবং আরও টাকা দাবি করলে স্থানীয় জনতা তাকে চ্যালেঞ্জ করে। এরপর সংশ্লিষ্ট থানায় খবর দেয়া হয়। পরে থানা পুলিশ গিয়ে প্রতারক পিয়ালকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।

তপন বলেন, ‘বেশকিছু দিন ধরে আমার মতো এলাকার অন্য লোকজনের কাছেও বিভিন্ন ফন্দি এঁটে প্রতারণা করে আসছে এই প্রতারক।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে ধামইরহাট থানার ওসি মো. বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন, ‘প্রতারক রেজওয়ানুল আহমেদ পিয়াল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় নিজেকে সিআইডি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতেন। ইতোমধ্যে একজনের কাছে থেকে ২৯ হাজার টাকা নিয়েছে। এছাড়া ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাও নিতেন তিনি।

‘এদিনও প্রতারণা করতে গেলে জনগণ তাকে আটক করে রাখে। এরপর পুলিশ গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসে। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ মামলা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।’

আরও পড়ুন:
হাইকোর্টের রায় জালিয়াতি, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহে হত্যা মামলার ৬ পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
নাটোরে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
কিশোর গ্যাংয়ের হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আহত সেই বাবা মারা গেছেন
মাদারীপুরে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস চক্রের সদস্য গ্রেপ্তার

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Rohingyas throat slit in Bhasanchar

ভাসানচরে রোহিঙ্গার গলাকাটা মরদেহ

ভাসানচরে রোহিঙ্গার গলাকাটা মরদেহ নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ফাইল ছবি
ওসি কাওসার আহমেদ জানান, পেছনের দিক থেকে গলা কেটে রোহিঙ্গা নাগরিক সুলতানকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

নোয়াখালীর হাতিয়ায় ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মো. সুলতান নামে এক রোহিঙ্গা নাগরিকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাৎক্ষণিক এই হত্যাকাণ্ডের কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১১৬ নম্বর ক্লাস্টার থেকে পুলিশ সুলতানের মরদেহ উদ্ধার করে। তিনি ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৭৮ নম্বর ক্লাস্টারের বাসিন্দা ছিলেন।

ভাসানচর থানার ওসি কাওসার আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন, সুলতান ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৭৮ নম্বর ক্লাস্টারে বসবাস করতেন। ১১৬ নম্বর ক্লাস্টারের খালি জায়গায় তিনি সবজি চাষ করতেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ছেলে তার জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে বাবাকে দেখতে না পেয়ে তার ছেলে ওই ক্লাস্টারে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি শুরু করেন। একপর্যায়ে তার বাবার গলা কাটা মরতেজ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেন। এ সময় অন্য ক্লাস্টারের লোকজন এগিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

ওসি কাওসার আহমেদ জানান, পেছনের দিক থেকে গলা কেটে এই রোহিঙ্গা নাগরিককে হত্যা করা হয়। শুক্রবার সকালে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

আরও পড়ুন:
বিস্ফোরণ নয়, সিলিন্ডারের ছেড়ে দেয়া গ্যাসে ভাসানচরে অগ্নিকাণ্ড
ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণ: দগ্ধ পাঁচ শিশুরই মৃত্যু
ভাসানচরে আগুন: আরও এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
ভাসানচরে আগুন: দগ্ধ আরও এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, ছয় শিশুসহ দগ্ধ ৯

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Summon that candidate in Singra upazila election to EC

সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে সেই প্রার্থীকে ইসিতে তলব

সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে সেই প্রার্থীকে ইসিতে তলব সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লুৎফুল হাবিব। ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে বলা হয়েছে, ৮ মে অনুষ্ঠেয় নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাইসহ তিনজনকে অপহরণের সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এ ঘটনায় আপনি লুৎফুল হাবীবকে দায়ী করা হয়েছে। এ বিষয়ে সোমবার ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে কমিশন।

নাটোরের সিংড়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধরের অভিযোগে অপর প্রার্থী মো. লুৎফুল হাবিবকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান বৃহস্পাতবার অভিযুক্তকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ৮ মে অনুষ্ঠেয় নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক দেলোয়ার হোসেন ও তার ভাইসহ তিনজনকে অপহরণের সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এ ঘটনায় আপনি লুৎফুল হাবীবকে দায়ী করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে বর্ণিত বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থা থেকে প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এছাড়া সব জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচিত্র বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে।

উল্লেখিত প্রতিবেদন ও পত্রিকান্তে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা প্রমাণ হয়েছে। এরূপ ঘটনার জন্য কেন আপনার প্রার্থিতা বাতিল অথবা আপনার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে বিষয়ে লিখিত জবাবসহ নির্বাচন কমিশনে ২২ এপ্রিল সোমবার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে।

উল্লেখ্য, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর নাটোর জেলা নির্বাচন অফিসে গেলে দেলোয়ার হোসেনকে গাড়িতে তুলে নিয়ে আহত অবস্থায় তাকে তার বাড়ির পাশে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।

ভুক্তভোগী প্রার্থীর পরিবার এ ঘটনার জন্য আরেক প্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেল ও তার সমর্থকদের দায়ী করেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফুল হাবীব তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক। দেলোয়ার হোসেন মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে লুৎফুল হাবীব ছিলেন একক প্রার্থী।

আরও পড়ুন:
নাটোরে উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ও ভাইকে অপহরণ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Curious about the liquid that comes out instead of water

পানির পরিবর্তে উঠে আসা তরল নিয়ে কৌতূহল

পানির পরিবর্তে উঠে আসা তরল নিয়ে কৌতূহল পাইপে উঠে আসা তরল দেখতে কৌতূহলী মানুষের ভিড়। ছবি: নিউজবাংলা
সংবাদকর্মী মনিরুল ইসলাম জানান, ফেসবুকে ঘটনাটি দেখার পর তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। এ সময় পাইপ দিয়ে উঠে আসা তরলে তিনি কাগজ চুবিয়ে আগুন ধরানোর চেষ্টা করলে তাতে আগুন ধরে যায়। তার প্রশ্ন- পানি হলে তো ভেজা কাগজে আগুন ধরতো না। তাহলে এই তরল কি খনিজ তেল?

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে টিউবওয়েল বসানোর জন্য স্থাপন করা পাইপে পানির পরিবর্তে উঠে আসছে এক ধরনের তরল। অনেকটা ডিজেলের মতো গন্ধযুক্ত এই তরল নিয়ে জনমনে সৃষ্টি হয়েছে কৌতূহল।

উপজেলার ভোলামোড় এলাকায় এক বাড়িতে ঘটেছে এই ঘটনা। বাড়ির মালিক আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘পানীয় জলের জন্য তিন বছর আগে এখানে মোটর বসানো হয়। এটি উপজেলা পরিষদ থেকেই বসানো হয়েছিল। কয়েক মাস থেকে মোটরটি দিয়ে পানি উঠছে না। কারণ জানার জন্য বুধবার সকালে মিস্ত্রি ডেকে আনা হয়।

‘মিস্ত্রি কাজ করার সময় মোটরের সঙ্গে যুক্ত পাইপ দিয়ে মাটির নিচ থেকে পানির পরিবর্তে তেলের মতো এক ধরনের তরল উঠে আসে। তা দেখে মনে হয়েছে ডিজেলের মতো। বিষয়টি আমরা উপজেলা চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি, যাতে তারা এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করেন।’

স্থানীয় সংবাদকর্মী মনিরুল ইসলাম জানান, ফেসবুকে ঘটনাটি দেখার পর তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। এ সময় পাইপ দিয়ে উঠে আসা তরলে তিনি কাগজ চুবিয়ে আগুন ধরানোর চেষ্টা করলে তাতে আগুন ধরে যায়। তার প্রশ্ন- পানি হলে তো ভেজা কাগজে আগুন ধরতো না। তাহলে এই তরল কি খনিজ তেল?

এ বিষয়ে নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিলুফা সরকার জানান, তিনিও বিষয়টি ফেসবুকে দেখেছেন। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর করবেন বলে জানান তিনি।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
They used to open and sell railway tracks

রেললাইনের পাত খুলে বিক্রি করতেন তারা

রেললাইনের পাত খুলে বিক্রি করতেন তারা ছবি: নিউজবাংলা
রেলপাতগুলো বালাসিঘাটের পরিত্যক্ত রেলপথ থেকে খুলে আনা হয়েছে বলে জানান বোনারপাড়া রেলওয়ে পুলিশের ওসি খাইরুল ইসলাম তালুকদার।

গাইবান্ধায় ভাঙারির দোকানে চুরি করা রেলপাত (রেললাইন) বিক্রির সময় এক অটোচালকসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এসময় দোকান মালিক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের ব্রিজ রোড এলাকার আশা ভাঙারি দোকানে সরকারি এসব রেলপাত বিক্রির সময় তাদের হাতেনাতে আটক করে গাইবান্ধার রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি)।

এ সময় চুরি করে বিক্রি করতে নিয়ে আসা রেলপাত এবং সেসব পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি অটোরিকশাও জব্দ করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- সদর উপজেলার পশ্চিম দুর্গাপুর এলাকার ৩০ বছর বয়সী সাগর মিয়া, ফুলছড়ি উপজেলার উত্তর কঞ্চিপাড়া এলাকার ৪০ বছর বয়সী ওয়াহেদ মিয়া ও আশা ভাঙারি দোকানের শ্রমিক সদর উপজেলার বালুয়া বাজারের পাকারখুটি এলাকার ৩৩ বছর বয়সী মোকলেছুর রহমান। এদের মধ্যে ওয়াহেদ মিয়ার অটোরিকশায় এসব মালামাল পরিবহন করা হয়েছিল।

নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বোনারপাড়া রেলওয়ে পুলিশের ওসি খাইরুল ইসলাম তালুকদার।

তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শহরের ব্রিজ রোডের একটি ভাঙারির দোকানে সরকারি রেলপাত অবৈধভাবে ক্রয়-বিক্রয়কালে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় দোকান মালিক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘এ সময় তাদের কাছ থেকে খণ্ড খণ্ড তিন ফুট দৈর্ঘ্যের ৯ টুকরা রেললাইনের পাত উদ্ধার করা হয়, যা সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দেয়া হবে।’

রেলপাতগুলো বালাসিঘাটের পরিত্যক্ত রেলপথ থেকে খুলে আনা হয়েছে বলে জানান রেলওয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা।

এ সময় এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আটককৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পদ অবৈধভাবে ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া এদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তাও খতিয়ে দেখবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’

মন্তব্য

p
উপরে