× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
লকডাউনেই পুঁজিবাজারে নতুন আশাবাদ
google_news print-icon

লকডাউনেই পুঁজিবাজারে নতুন আশা

লকডাউনেই-পুঁজিবাজারে-নতুন-আশা
টানা নয় দিন পুঁজিবাজারে ইতিবাচক ধারা সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যায়নি। ছবি: নিউজবাংলা
এই কয় দিনে সূচকে যোগ হয়েছে মোট ৩২৯ পয়েন্ট। লকডাউনের আগে সূচক পাঁচ হাজার পয়েন্টের কাছাকাছি অবস্থান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে এখন সাড়ে পাঁচ হাজার পয়েন্টের কাছাকাছি। গত ফেব্রুয়ারিতে পাঁচ হাজার ৯০৯ পয়েন্ট উঠার পর পুঁজিবাজারে দীর্ঘ দর সংশোধন শুরু হয়। এর মধ্যে সাম্প্রতিক এই উত্থানে আবার পুঁজি ফিরে পাওয়ার আশা করছে বিনিয়োগকারীরা।

লকডাউন দিলে কী হবে, এই আশঙ্কায় পুঁজিবাজারে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল, তার পুরো বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে লকডাউনে। গত ১২ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন বাড়ছে সূচক।

টানা ৯ কার্যদিবসে এক দিনের জন্যও সূচক পড়েনি। গত কয়েক বছরে এমন প্রবণতা বিরল।

এই কয় দিনে সূচকে যোগ হয়েছে মোট ৩২৯ পয়েন্ট। লকডাউনের আগে সূচক পাঁচ হাজার পয়েন্টের কাছাকাছি অবস্থান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে এখন সাড়ে পাঁচ হাজার পয়েন্টের কাছাকাছি।

গত ফেব্রুয়ারিতে পাঁচ হাজার ৯০৯ পয়েন্ট উঠার পর পুঁজিবাজারে দীর্ঘ দর সংশোধন শুরু হয়। এর মধ্যে সাম্প্রতিক এই উত্থানে আবার পুঁজি ফিরে পাওয়ার আশা করছে বিনিয়োগকারীরা।

গত এক বছরে সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে সাত টানা উত্থান দেখেছে বিনিয়োগকারীরা। তারপর মূল্যসংশোধনের মাধ্যমে দু-চারদিন পর আবার স্বাভাবিক লেনদেনে ফিরেছে পুঁজিবাজার।

পুঁজিবাজারে সূচক কয়েকদিন বাড়তে থাকলে সাধারণত পরে কমে, যাকে বাজার সংশোধন বলা হয়। লডকাউনেও টানা তিন থেকে চার দিন সূচকের বড় ধরনের উত্থানের পর বাজারে পড়তির প্রচণতাও এক দুই দিন দেখা গেছে। তবে শেষ বেলায় আবার বেড়ে অল্প হলেও সূচক বেড়েছে।

সংশোধনের দিনও এক পয়েন্ট সূচক বেড়েছে একদিন। পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন গত ফেব্রুয়ারি থেকে পুঁজিবাজারে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা যে পতন হয়েছে, সেখান থেকে বের হওয়া গেছে কি না, সেটি বোঝা যাবে আরও কিছু দিন পর।

সিদ্ধান্তে আসতে আরও বিলম্বের কারণ হচ্ছে, যখন বাজার পড়েছে, তখন ভালো মন্দ সব শেয়ারের দাম কমেছে। সব খাতের শেয়ারই দর হারিয়েছে।

তবে লকডাউনে উত্থানের পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান বিমা খাতের। আরও সুনির্দিষ্ট করে বললে সাধারণ বিমার শেয়ার।

বিমা খাতের সব শেয়ারের দর এর আগেও গত বছরের শেষে দেখা যায়, এই খাতের এমন কোনো শেয়ার ছিল না যার দাম দ্বিগুণ হয়নি। কোনো কোনোটির দাম বেড়ে আট থেকে ১০ গুণও হয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারির পর ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ দাম কমে যাওয়ায় শেয়ারধারীরা আবার ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ে।

এখন ব্যাংক, ওষুধ, প্রকৌশল খাতের শেয়ারগুলোর দামে ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে না। বিশেষ করে একদিন ১০ বা ২০ পয়সা বাড়লে পরের দিন আবার কমে, এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলছে ব্যাংক খাত। অথব বাজার মূলধন সবচেয়ে বেশি এই খাতের। আর লভ্যাংশ দেয়ার দিক দিয়েও অন্য সব খাতের চেয়ে এই খাত এগিয়ে।

লকডাউনেই পুঁজিবাজারে নতুন আশা
লকডাউনের কারণে ব্রোকারেজ হাউজে না দিয়ে অ্যাপ বা ফোনে অর্ডার দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা

পুঁজিবাজাবারে সূচকের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয় লকডাউনে গত ১২ এপ্রিল থেকে। এরপর ১৩, ১৫, ১৮, ১৯, ২০ ২১, ২২ এবং সবশেষ রোববার ২৫ এপ্রিল বাড়ল সূচক।

উত্থান অব্যাহতের সাম্প্রতিক ধারা

গত বছরে যখন করোনার কারণে পুঁজিবাজার ২৫ মার্চ বন্ধ ঘোষণা করা হয় তার আগেও সূচকের উত্থান পতন ছিল। টানা পতন বা টানা উত্থান দেখা যায়নি। তবে ৩১ মে পুঁজিবাজার খোলার দিন সূচক পতন হয়েছিল ৬১ পেয়েন্ট। তারপর ১ জুন থেকে সাপ্তাহিক ছুটিসহ ৭ জুন পর্যন্ত পাঁচ কার্যদিবস সূচক টানা বেড়েছিল।

তারপর আবার ৬ জুলাই থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত ৫ কার্যদিবস টানা সূচক বেড়েছিল। এছাড়া গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা ৫ কার্যদিবস সূচক বাড়ার রেকর্ড পাওয়া গেছে।

কিন্ত এবারের লকডাউনে একেবারেই ভিন্ন চিত্র। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসার আগেই পতন শুরু হয় পুঁজিবাজারে।

৫ এপ্রিল লকডাউনে পুঁজিবাজার বন্ধ হয়ে যাবে- এমন গুজেবে ৪ এপ্রিল পুঁজিবাজারে সূচকের পতন হয় ১৮২ পয়েন্ট। আতঙ্কে কমে দামে শেয়ার বিক্রি করে দেন বিনিয়োগকারীরা। তবে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে ব্যাংকে লেনদেন চলবে লকডাউনেও। আর পরে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি জানায়, লেনদেন চলবে স্টক এক্সচেঞ্জেও।

লকডাউন শুরু হওয়ার পর ৫ এপ্রিল সূচক বাড়ে ৮৯ পয়েন্ট। তারপর ভালো চলছিল পুঁজিবাজার। এরমধ্যে ৭ এপ্রিল বিএসইসি পক্ষ থেকে ৬৬ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস বা শেয়ারের সর্বনিম্ন দর উঠিয়ে দেয়া হয়। এতে ঠাক্কা লাগে সূচকে।

৮ তারিখ সূচকের পতন হয় ৮৩ পয়েন্ট । দুদিন সরকারি ছুটির পরবর্তী লেনদেন ১১ এপ্রিল সূচকের পতন হয় ৯০ পয়েন্ট।

কিন্ত কঠোর লকডাউন শুরুর আগের দুই কার্যদিবস ১২ ও ১৩ এপ্রিল শুরু হয় সূচকের উত্থান। প্রথম দিন বাড়ে ২৩ পয়েন্ট। পরের দিন বাড়ে ৭০ পয়েন্ট।

লকডাউনেই পুঁজিবাজারে নতুন আশা
গত ফেব্রুয়ারি থেকে পড়তি বাজারে লকডাউন নিয়ে আসে নতুন আতঙ্ক। শুরুর আগেই ধস নামে পুঁজিবাজারে

কঠোর লকডাউন শুরুর দিন ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখের ছুটি থাকায় পুঁজিবাজারে প্রথম লেনদেন হয় ১৫ এপ্রিল। সেদিন সূচক বাড়ে ৫১ পয়েন্ট।

এরপর শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি শেষে ১৮ এপ্রিল রোববার সূচক বাড়ে ২১ পয়েন্ট। পরদিন বাড়ে ১৮ পয়েন্ট। ২০ এপ্রিল আবার বড় উত্থান দেখে পুঁজিবাজার। সেদিন বাড়ে ৭১ পয়েন্ট।

টানা কয়দিন সূচক বাড়ার পর ছেদ পড়ার অবস্থা তৈরি হয় ২১ এপ্রিল। সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর পর দেড় ঘণ্টা সূচক কমে যায়। তবে শেষ এক ঘণ্টার উত্থানে শেষ পর্যন্ত এক পয়েন্ট যোগ হয় সূচকে।

২২ এপ্রিল সূচক বাড়ে আরও ১১ পয়েন্ট। এরপর দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি শেষে আবার ২৫ এপ্রিল বাড়ল ৬৩ পয়েন্ট।

উত্থানে বিমা ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড

পুঁজিবাজারের এই উত্থানে আকড়ে আছে তালিকাভুক্ত বিমা কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত। ব্যাংক ও নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান সময় সময় বাড়লেও তা স্থায়ী হয়নি একদিনের বেশি।

১৫ এপ্রিল থেকে পালাক্রমে একদিন বিমা খাত আরেকদিন মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের উত্থান হয়েছে। তবে গত সপ্তাহের ২০ এপ্রিলের পর থেকে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দাপট কমলেও বিমার গতি এখনও বিদ্যমান।

১৮ এপ্রিল তালিকাভুক্ত ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর কমেছিল মাত্র একটির। আর একটির দর ছিল পাল্টায়নি। সেদিন মোট ৩৬টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছিল। তারপরের কার্যদিবসে দর বেড়েছিল ১৩টির। এরপর ১৯ এপ্রিল একই ভাবে ৩৪টি ফান্ডের দর বেড়েছিল। এর পাশাপাশি দর বেড়েছিল বিমা খাতেরও।

লকডাউনেই পুঁজিবাজারে নতুন আশা
বিমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-আইডিআরএ কার্যালয়। সাম্প্রতিক উত্থানে সবচেয়ে বেশি অবদান এই কর্তৃপক্ষের আওতাধীন বিমা খাতের

২২ এপ্রিল লেনদেনে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের ৫০টি কোম্পানির মধ্যে দর কমেছে ১১টির। দর পাল্টায়নি দুটির। আর লেনদেন হয়নি একটির। বাকি ৩৬টির দর বাড়ে।

এদিন লেনদেনে সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে বিমা খাতের ছিল পাঁচটি। দুদিন ছুটির পর ২৫ এপ্রিলও একই ভাবে লেনদেন আগ্রহের খাত হিসেবে ছিল বিমা। এদিন লেনদেনে দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া দশ কোম্পানির মধ্যে সাতটি ছিল বিমা খাতের।

কী বলছেন বিশ্লেষকরা

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, পুঁজিবাজারের উত্থান সূচক দিয়ে নয় বরং লেনদেন দিয়ে পরিমাপ করা উচিত। লেনদেন ভালো হলে সূচক কমে গেলেও তাতে আতঙ্কের কিছু নেই। কিন্ত সূচক ভালো কিন্ত লেনদেন কম তাহলেই সেটি আতঙ্কের।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, ‘সূচক বাড়ছে এটা আতঙ্কের নয়। তবে যে খাতগুলোর উপর ভর করে সূচক ও লেনদেন বাড়ছে সেটি আতঙ্কের। ঢালাও ভাবে বিমা খাতের উপর যেভানে বিনিয়োগ হচ্ছে সেটি কতদিন স্থায়ী হবে সেটি নিয়ে প্রশ্ন আছে।’

তিনি বলেন, ‘লকডাউনের এই সময়ে মার্জিন ঋণধারীরা বেশি বিনিয়োগ করছে। আর পুঁজিবাজারে যারা মার্জিন ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করে তারা কখনও দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করে না। তারা সর্বোচ্চ সাত দিনের জন্য বা ডে ট্রেডিংয়ে বিশ্বাসী। এখন যেভাবে লেনদেন বাড়ছে তাতে সাধারণ বিনিয়োগকারী যারা তাদের বেশি সতর্ক হতে হবে। কারণ তারা যে খাতের শেয়ারের দর বাড়ে সে খাতেই বিনিয়োগ করে।’

আরও পড়ুন:
আরও বাড়ল বিমার শেয়ারের দর
কোম্পানির প্রান্তিক ও লভ্যাংশ ঘোষণায় সময় বাড়ল
বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বিমা-মিউচুয়াল ফান্ড
পুঁজিবাজার, উত্থানে আগ্রহ বাড়ছে ‍বিনিয়োগকারীদের
অ্যাপে কারিগরি জটিলতা, পুঁজিবাজারে ধীরগতি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

সমুদ্রগামী জাহাজ আমদানিতে মূসক অব্যাহতির সিদ্ধান্ত

সমুদ্রগামী জাহাজ আমদানিতে মূসক অব্যাহতির সিদ্ধান্ত

৫ হাজার ডিডব্লিউটির বেশি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন সমুদ্রগামী জাহাজ আমদানিতে আরোপিত সাড়ে ৭ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন।

পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ৫ হাজার ডিডব্লিউটির বেশি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন সমুদ্রগামী জাহাজ আমদানিতে আমদানি পর্যায়ে আরোপিত সাড়ে ৭ শতাংশ মূসক অব্যাহতির সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদ মনে করছে, এ অব্যাহতির ফলে সরকারি-বেসরকারি উভয় খাতেই জাহাজ সংগ্রহ সহজ হবে, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও কর্মসংস্থানে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এটা শুধু ব্যবসার জন্য নয়, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

সভায় ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অবিচল সমর্থনের প্রসঙ্গও গুরুত্ব পায়।

এ বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, আমরা ফিলিস্তিনি প্রশ্নে সবসময়ই স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছি। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ আয়োজিত ‘হাই লেভেল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন দ্য পিসফুল সেটেলমেন্ট অব দ্য কোশ্চেন অব প্যালেস্টাইন’ সম্মেলনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরবেন। এ ছাড়া আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর দোহায় ওআইসির জরুরি সম্মেলনে অংশ নেবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

সংস্কার কমিশনের অগ্রগতির বিষয়েও বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ প্রসঙ্গে প্রেস সচিব জানান, এ পর্যন্ত ৫১টি সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়েছে, ৩৭টি সুপারিশ আংশিক বাস্তবায়নের পথে এবং বাকি সুপারিশগুলোও বাস্তবায়নাধীন। কিছু সুপারিশ রাজনৈতিক প্রকৃতির, যা নির্বাচিত সরকারের সময় বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, অনেকে ভুলভাবে মনে করছেন যে সংস্কার হচ্ছে না। আসলে প্রতিটি মন্ত্রণালয় নিয়মিতভাবে বড় বড় সংস্কার করছে। ব্যাংকিং, এনার্জি, রাজস্ব, শ্রম—প্রায় সব খাতেই সংস্কার হয়েছে এবং এগুলো অব্যাহত আছে।

সভায় শ্রম খাতের অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হয়। প্রেস সচিব বলেন, শ্রম কমিশনের ৮২টি সুপারিশের অনেকগুলো ইতোমধ্যেই বাস্তবায়িত হয়েছে। শ্রম আইন সংশোধন হলে বাকি সুপারিশগুলোর বেশিরভাগই কার্যকর হয়ে যাবে। আমাদের শ্রম মন্ত্রণালয় আইএলও’র সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। গত বছর যে ১৮ দফা ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে, সেটা বড় অর্জন। ওই অনুযায়ী শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্তও কার্যকর হয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The locals are spending the day in terror of the Padma river in Bheramara

ভেড়ামারায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকাবাসীর

ভেড়ামারায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকাবাসীর

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদীতে বেশ কয়েক স্থানে অতি সম্প্রতিকালে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।গত কয়েক দিনের ভাঙ্গনে উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ফয়েজুল্লাপুর, হাটখোলাপাড়া এবং বাহাদুরপুর ইউনিয়নের আড়কান্দি ও মাধবপুর এলাকার বিস্তীর্ণ ফসলি জমিসহ হিন্দুদের ব্যবহৃত শ্মশানঘাটও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।এতে ৭০--৮০ জনের পান চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে এবং তাদের ৩০০০ পান বরজের সারি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ফয়জুল্লাহপুর, হাটখোলাপাড়া ও বাহাদুরপুর ইউনিয়নের আড়কান্দি ও মাধবপুরে গত কয়েকদিন ধরে পদ্মা নদীর পাদদেশে কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। জুনিয়াদহ ইউপি'র ভাঙ্গন কবলিত এলাকা থেকে পদ্মা নদী রক্ষা বাঁধের রায়টা-মহিষকুন্ডি বেরিবাঁধের দূরত্ব ৫০ মিটারেরও কিছুটা কম। উক্ত এলাকার বসতবাড়িসহ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা নিয়ে ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন কাটচ্ছে।

গত কয়েক দিনের ভাঙ্গনে ৭০-৮০ জন পান চাষির প্রায় ৩০০০ পিলি পান বরজ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তাছাড়া এ অঞ্চলে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের সৎকারে ব্যবহৃত একমাত্র শ্মশান ঘাটটিও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

মবির পন্ডিত, রেজাউল, জামশেদ, রাব্বি, রহমান, কাশেম, নুরা,নাসির, আনেজ, আজগর, আবু, শিহাব নামের কৃষকরা সকলেই ১০০ পিলি করে পানের বরজ হারিয়েছেন।

পানচাষি আবুল আলী জানান, মাধবপুর এলাকায় গত দুই বছর আগে এই সমস্ত বরজ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল।এবার তা পদ্মা নদী গ্রাস করলো। আমরা কৃষকরা খুবই অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছি।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গনের বিষয়টি আমরা আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। অতি শীঘ্রই আমরা সেখানে পরিদর্শনে যাবো।

ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, পদ্মা নদীতে ভাঙ্গনের বিষয়টি আমরা জেনেছি।ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষিদের আবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Beauty is spreading on the banks of the Shitalakshya river

সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরের কাশফুল

সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরের কাশফুল

‘চিক্ চিক্ করে বালি, কোথা নাই কাদা, একধারে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা’ কাশবনে গেলেই কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই কবিতাটি মনে পড়ে যায়। শরতের বিকেলের স্নিগ্ধতা যেন বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে এই কাশবন। কাশফুলের মাঝে ছবি তোলার হিড়িক পড়ে যায় তরুণ-তরুণীদের। এলোমেলো বাতাসের সাথে খোলা রাস্তায় হেঁটে বেড়ানো, দুইধারে সাদা মেঘের মতন ফুলের মেলা যেন পাগল করে তোলে এখানে ঘুরতে আসা মানুষের।

শরতের এতো রূপ. এতো রঙধনুর রং, এতো নীল আকাশের নীলা, এতো ছায়াপথের আলোছায়া, এতো সূর্য্যাস্তের রক্তরাগ, এতো ভোরের শিশির, এতো কাঁশ ফুলের হেলা দোলা, আর এই বাংলা মা ছাড়া কোথায় পাবো? চোখ জুড়িয়ে যায়, মন জুড়িয়ে যায়, জীবন জুড়িয়ে যায়, সব পেয়েছি আমার এই দেশের সোনার বাংলায়।

আকাশে নরম তুলার মতো শুভ্র মেঘের ভেসে বেড়ানো আর দিগন্তজোড়া প্রান্তরে কাশফুলের মনোরম দৃশ্য দেখে বুঝতে হবে শরতের আবির্ভাব ঘটেছে। এ সময়ে নদীর ধার, জলাভূমি, চরাঞ্চল কিংবা গ্রামের কোনো উঁচু জায়গায় কাশের ঝাড় বেড়ে ওঠে প্রকৃতিকে দেয় এক অপরূপ ভিন্ন সৌন্দর্য। এভাবেই রূপগঞ্জ উপজেলার বালু ও শীতলক্ষ্যা নদীর তীরের কাশফুলের শুভ্রতা নজর কাড়ছে পথচারীদের। সিনথিয়া নামের এক পথচারী জানান, শহর থেকে নদী পথে যাওয়ার সময় হঠাৎ কাশফুলের এমন চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য দেখে না থেমে পারলাম না।

আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে সাদা মেঘের ভেলা। নীল আকাশজুড়ে অলস মেঘের অবাধ বিচরণ। খণ্ড খণ্ড মেঘের নিরুদ্দেশ যাত্রা। রোদের ঝলকানির পাশেই মেঘের ছায়া। মেঘ আর রোদের কানামাছি খেলার মাঝে বৃষ্টিও অংশ নিচ্ছে। এমন দিনে রূপগঞ্জে আপনাকে স্বাগত জানাতে কাশফুল ‘সাদা ডালি’ সাজিয়ে বসে থাকে। ফাঁকা জমিতে শরতের সৌন্দর্যের ডালি সাজিয়ে বসে আছে এ কাশফুল।

সৌন্দর্যে ঐশ্বর্যে প্রকৃতির রূপ লাবণ্যে শরৎরাণীর রূপ বর্ণনায় শ্যামল ছায়া বাংলাদেশের মাঠ-ঘাট, নদী-নালা ও বিলের পাড়ে বালুচরে নীল আকাশে রূপালী তারায় ভরে উঠেছে সাদা কাশবন। মেঘ মুছে যাওয়া বর্ষণ শেষের আকাশে হাজার হাজার তারা ঝিকিমিকি করে জ্বলছে। রোদে ঝল মল করছে চারিদিক। দেখা যাচ্ছে নীল আকাশ স্বচ্ছ সাদা মেঘ। আর সাদা মেঘের ভেলায় ভাসছে কাশফুলের ছোঁয়া। দৃষ্টিনন্দন এ কাশফুলের স্বর্গ রাজ্য এখন রূপগঞ্জের নদীর তীরে ও পূর্বাচলের বালুময় বিস্তৃর্ণ এলাকা। আর এ কাশফুলের ছোঁয়া নিতে সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই ছুটে আসছে দর্শনার্থীরা।

বালুর মধ্যে গুচ্ছ গুচ্ছ কাশফুল দেখে মনে হবে, প্রকৃতি আপনার মনের প্রশান্তির জন্য এ রূপে সেজেছে। শেষ প্রান্তের দুদিকে সাজানো কাশফুল দেখে মনে হবে, যেন আপনি দাঁড়িয়ে আছেন কাশফুলের রাজ্যে। যত দূর চোখ যায়, তত দূর কাশ ফুলের শুভ্রতা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাশবনে এ সৌন্দর্য দেখতে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলার ভ্রমণ প্রেমীরাও ভিড় করেছে। অনেকে দলবেধে নৌকা বা ট্রলার নিয়েও বেড়াতে যান এ কাশফুলের রাজ্যে। কাঁশফুল কাছে পেলেই ছবি তোলার হিড়িক পড়ে যায়। কেউ সেলফি তুলছেন আবার কেউবা ভিডিও করছেন। সূর্যাস্তের সময় নদীতে গোধূলির লাল, একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকার মতো। যে কেউই এর অপার সৌর্ন্দযে নীরব সাক্ষী হতে চাইবে।

কথা হলো কাশফুল দেখতে আসা কয়েকজন দর্শনার্থীর সাথে। রিতা মিতা বিথী জুয়েল তারা তাৎক্ষণিক অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘কাশফুলের কাছে এসে খুবই আনন্দ পাচ্ছি। মনকে পরিষ্কারের জন্য আমরা এখানে আসি। কাশফুলের সান্নিধ্য পাওয়াটা একটু বাড়তি বিনোদন। অবসর সময়টা কাটানোর ভিন্ন একটা স্থান কাশফুলে জেগে এ প্রকৃতি। আরেকটা বিষয় আমাদের খুব ভালো লাগে। সেটা হচ্ছে, এই যে নদী তার পাশে কাশফুলের এ রাজ্য। বিষয়টা দেখতেও বেশ রোমাঞ্চকর।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
"LabAids health care for Ansar and VDP members across the country"

“আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের জন্য সারা দেশে ল্যাবএইডের স্বাস্থ্যসেবা”

“আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের জন্য সারা দেশে ল্যাবএইডের স্বাস্থ্যসেবা”

আজ ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিঃ তারিখে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং ল্যাবএইড গ্রুপ, ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতাল ও ল্যাবএইড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাহিনীর সদর দপ্তরে আয়োজিত এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফিদা মাহমুদ এবং ল্যাবএইড মেডিক্যাল সার্ভিসেসের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আলীম।
এই চুক্তির আওতায় আনসার ব্যাটালিয়ন, অঙ্গীভূত সাধারণ আনসার, ভিডিপি সদস্য এবং তাঁদের পরিবারবর্গ ল্যাবএইড মেডিক্যাল সার্ভিসেসের সারাদেশব্যাপী ৩২টি শাখায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে রয়েছে ডোপ টেস্ট, সিটি স্ক্যান, এমআরআই, ইসিজি, আল্ট্রাসনোগ্রাম, ইকো, ইটিটি সহ অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরীক্ষা-নিরীক্ষা। পাশাপাশি, হাসপাতালে ভর্তি ও বহির্বিভাগীয় চিকিৎসা সেবায় বিশেষ ছাড়ের সুবিধাও ভোগ করবেন তাঁরা।
বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি ইতোমধ্যেই গ্রামীণ ডিজিটাল হেলথ কেয়ারের সাথে চুক্তির মাধ্যমে সদস্যদের স্বাস্থ্যসেবায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। ‘সুখী’ অ্যাপের মাধ্যমে দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে সহজে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের এই প্রক্রিয়া সদস্যদের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছে। ল্যাবএইডের সাথে নতুন এ সহযোগিতা সদস্যদের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফিদা মাহমুদ বলেন- “ল্যাবএইডের সাথে এ চুক্তি বাহিনীর চিকিৎসা কার্যক্রমের একটি মাইলফলক। এটি কেবল শুরু, ভবিষ্যতে এ কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত করা হবে।”
অন্যদিকে ল্যাবএইড মেডিক্যাল সার্ভিসেসের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আলীম বলেন- "শিগগিরই সারাদেশে ল্যাবএইডের প্রতিটি শাখায় আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের জন্য বিশেষায়িত চিকিৎসা কার্যক্রম চালু করা হবে।”
উভয় পক্ষই ভবিষ্যতে যৌথভাবে স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধি, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং উন্নত চিকিৎসা কর্মসূচি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা ব্যক্ত করেন। আশা করা হচ্ছে, এর ফলে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস পাবে, চিকিৎসা গ্রহণ হবে আরও সহজলভ্য এবং বাহিনীর সামগ্রিক কর্মদক্ষতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাহিনীর উপমহাপরিচালক (অপারেশন্স) মোঃ সাইফুল্লাহ রাসেল, উপমহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ) মোঃ রফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

মন্তব্য

পুলিশ কনস্টেবল পদের ফলপ্রকাশ

ঝালকাঠিতে মেধায় চাকুরী পেলো ৯ জন
পুলিশ কনস্টেবল পদের ফলপ্রকাশ

'সেবার ব্রতে চাকরি' এই শ্লোগানে ঝালকাঠিতে বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে জুন-২০২৫ এর নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষনা করা হয়েছে। নিয়োগ বোর্ডের সদস্যসহ ঝালকাঠি জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার (১০সেপ্টেম্বর) রাতে পরীকায় উত্তীর্ণদের মাঝে পুলিশ লাইনস্ এর ড্রিল শেডে আনুষ্ঠানিক ভাবে চুরান্ত ফলাফল ঘোষনা করেছেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার উজ্জল কুমার রায়। ফলাফল ঘোষনার সময় উত্তীর্ণদের ফুল দিয়ে বরণ করে মিষ্টি খাইয়ে দেয়া হয়। এবারের নিয়োগে শুণ্য পদ অনুযায়ী উত্তীর্ণ ৯ জন ও অপেক্ষমান তালিকার ২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষনা করা হয়।

এসময় অভিভাবকরা আবেগপ্রবণ হয়ে তাৎক্ষণিক অনুভূতি ব্যক্ত করেন যে, তারা কৃষক, দিনমজুর, অটোচালক বিভিন্ন পেশার সাথে জড়িত। যদি বাংলাদেশ পুলিশ স্বচ্ছতা, যোগ্যতা এবং মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ না দিতেন তাহলে আজ তাদের সন্তানেরা বাংলাদেশ পুলিশের মত গর্বিত বাহিনীতে চাকরি করার সুযোগ পেত না। মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে তাদের সন্তানদের বাংলাদেশ পুলিশে নিয়োগ দেওয়ায় পুলিশ সুপারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অভিভাবকরা।

পুলিশ সুপার ফলাফল ঘোষনার পর তার বক্তব্যে উত্তীর্ণদের উদ্দেশ্যে বলেন 'কয়েটি ধাপের পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে যারা উত্তীর্ণ হয়েছে প্রত্যেককে অভিনন্দন জানাই। সেইসাথে সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দেশসেবার মনোভাব নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কাজ করার আহবান জানাই।'

প্রশিক্ষণকালীন বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে সদ্য চাকুরীপ্রাপ্তদেরকে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা প্রদান করেন পুলিশ সুপার।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Alibaba is coming to help export SME traders to Textak Bangladesh International Expo

টেক্সটেক বাংলাদেশ ইন্টারন্যশনাল এক্সপোতে এসএমই ব্যবসায়ীদের রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে আসছে আলিবাবা.কম

টেক্সটেক বাংলাদেশ ইন্টারন্যশনাল এক্সপোতে এসএমই ব্যবসায়ীদের রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে আসছে আলিবাবা.কম

আলিবাবা.কম, বিশ্বের বৃহত্তম বি-টু-বি ই-কমার্সের শীর্ষস্থানীয় প্ল্যাটফর্ম আগামী ১০ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর, ২৪তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ইন্টারন্যশনাল এক্সপো ২০২৫ ঢাকায় হল-বি: স্টল নং: বিটি১৭ই ও বিটি১৭এফ এ উপস্থিত থাকবে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সহায়তা করার লক্ষ্যে আলিবাবা.কম বাংলাদেশের এসএমই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশেষ করে টেক্সটাইল, পাট ও হস্তশিল্প খাতের উদ্যোক্তাদের, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য বিক্রির সুযোগ দেখতে তাদের স্টলে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত আলিবাবা.কম বিশ্বব্যাপী ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে এবং পণ্য সংগ্রহ, সরবরাহকারী যাচাই, অনলাইন অর্ডার, পেমেন্ট, ডেলিভারি এবং বিক্রয়োত্তর সহায়তার জন্য এআই নির্ভর সমাধান প্রদান করে। এই এক্সপোতে আলিবাবা.কম স্থানীয় এসএমই ব্যবসায়ীদের রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করবে, বিশেষ করে ওয়েস্টার্ন হলিডে’র আগে যা আন্তর্জাতিক ব্যবসার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়।
"বিশ্ব টেক্সটাইল ও হস্তশিল্প বাজারে বাংলাদেশি এসএমইগুলোর বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে," বলেছেন ফনসেল ল্যান, আলিবাবা.কম-এর হেড অফ গ্লোবাল পটেনশিয়াল কান্ট্রিজ। “এই এক্সপোর মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য স্থানীয় বিক্রেতাদেরকে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সঙ্গে সংযুক্ত করা এবং তাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করা, যাতে তারা ব্যবসা বৃদ্ধি করতে পারে এবং সফলভাবে রপ্তানি করতে পারে।
টেক্সটেক বাংলাদেশ ইন্টারন্যশনাল এক্সপো ২০২৫ বাংলাদেশের বৃহত্তম এবং দীর্ঘস্থায়ী প্ল্যাটফর্ম যেখানে সুতা, কাপড়, ট্রিম এবং আনুষাঙ্গিক পণ্যের উদ্ভাবন প্রদর্শন করা হয়। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এটি টেক্সটাইল খাতে নেটওয়ার্কিং, পণ্য সংগ্রহ এবং ব্যবসায়িক উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
এই এক্সপোতে আলিবাবা.কম- এর স্টলে, এআই নির্ভর পণ্য অপ্টিমাইজেশন এবং বিপণন কৌশল সম্পর্কে পরামর্শ দেবে, যা বাংলাদেশী এসএমই ব্যবসায়ীদের আত্মবিশ্বাসের সাথে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে সাহায্য করবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
More than a hundred families of the army chief in Khagrachari have the benefit of the army chief

খাগড়াছড়িতে সেনা প্রধানের উপহার সুপেয় পানির সুবিধা পেলা দূর্গম এলাকার শতাধিক পরিবার

খাগড়াছড়িতে সেনা প্রধানের উপহার সুপেয় পানির সুবিধা পেলা দূর্গম এলাকার শতাধিক পরিবার

খাগড়াছড়ি পানছড়ি উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকার পানি সংকট নিরসনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের উপহার সুপেয় পানির সুবিধা পাচ্ছে রেজা মনিপাড়া ও কারিগর পাড়ার ২টি গ্রামের মোট ১১৭ টি পরিবার। বৃহস্পতিবার সকালে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ বাস্তবায়ন প্রকল্পের উদ্বোধন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাছান মাহমুদ।

এসময় তিনি বলেন, সেনাপ্রধান গত ২৯ মার্চ ২০২৫ তারিখে খাগড়াছড়ি জোনের আওতাধীন রেজামনিপাড়া আর্মি ক্যাম্প পরিদর্শন করেন যেখানে তিনি পূর্বে ক্যাম্প কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরিদর্শনকালীন সময়ে এলাকার প্রাক্তন মেম্বার ও কার্বারীদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং এলাকার বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা করেন । এ সময় সম্মানিত সেনাপ্রধান উক্ত এলাকায় বসবাসকারী স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের প্রকল্প বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রদান করেন। তার-ই প্রেক্ষিতে আজ রেজামনিপাড়া এবং কারিগরপাড়া এলাকার সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করা এবং আগামীতেও পাহাড়ে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সেনাবাহিনীর এধরণের উন্নয়ন কাজের ধারা অব্যহত থাকবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ, এইচডিএমএস, এএফডব্লিউসি, পিএসসি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মোঃ খাদেমুল ইসলাম, পিএসসি, জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার, পুলিশ সুপার মোঃ আরেফিন জুয়েল ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মন্তব্য

p
উপরে