গত বছর টানা পাঁচ থেকে ছয় মাস ধরে বেড়েছে দাম। একটি, দুটি নয়, পুরো খাতের সবগুলো শেয়ার। দ্বিগুণের কম বাড়েনি কোনো শেয়ার। এমনকি ছয় গুণ, সাত গুণ, আট গুণও হয়েছে।
তবে পুঁজিবাজারে বাড়লে কমে আর কমলে বাড়ে—এই অমোঘ সূত্র ধরে একপর্যায়ে কমতে থাকে দাম। গত ফেব্রুয়ারি থেকে তিন মাসে কোনোটির দাম কমে ৩০ শতাংশ, কোনোটির ৪০ শতাংশ, কোনোটির বা ৫০ বা ৬০ শতাংশ।
লকডাউনের মধ্যে পুঁজিবাজার যে এবার চাঙা, তার পেছনে আছে সেই বিমা খাতের শেয়ার। একটি, দুটি নয়; পুরো খাত ধরে দৌড়াচ্ছে যেন। তবে জীবনবিমা নয়, লাফ দিচ্ছে সাধারণ বিমার শেয়ার।
এই খাতে তালিকাভুক্ত আছে ৫০টি কোম্পানি, যার মধ্যে সাধারণ বিমা ৩৭টি আর জীবনবিমা ১২টি।
গত বছর বিমা কোম্পানির শেয়ারে দরবৃদ্ধির পেছনে বেশ কিছু গুজব কাজ করছিল। এজেন্টের কমিশন কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ, গাড়ির তৃতীয় পক্ষের বিমা বাতিল করে প্রথম পক্ষের বিমা চালু হলে আয় বাড়বে, লভ্যাংশ বাড়বে, এমন কথা বলাবলি হয়।
এরপর আলোচনায় আসে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলের মতো বড় বড় প্রকল্প বিমার আওতায় আসছে। এগুলোর ঝুঁকি একেবারেই কম; কোম্পানির লাভ হবে ভালো। তবে পরে জানানো হয়, মেট্রোরেল সরকারি সাধারণ বিমা করপোরেশনের আওতায় থাকবে। এটি পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত নয়।
আবার ১০ বছর আগে করা একটি বিধান সামনে আনা হয়, যেখানে বলা ছিল, কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ৬০ শতাংশ থাকতে হবে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। এমনটি হলে বিমা কোম্পানির শেয়ার মালিকদের নিজেদেরই কিনতে হবে।
কিন্তু আয় বা লভ্যাংশ বাড়ার গুজব সত্য প্রমাণ হয়নি। পরিশোধিত মূলধনের ৬০ শতাংশ নিজেদের হাতে রাখার যে আইন করা হয়েছে, সেটিও কার্যকর হয়নি। তবু আবার ঢালাও দাম বৃদ্ধিতে কারসাজির অভিযোগ উঠেছে।
টানা দুই-তিন দিন দর বাড়ার পর কিছুটা মূল্য সংশোধন। তারপর আবার উত্থান। এভাবে লকডাউনে চলছে ফলে বিমার শেয়ারের লেনদেন।
আবার দাম বাড়ার ক্ষেত্রে আরও কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটছে। মৌলভিত্তির শক্তিশালী কোম্পানি হিসেবে পরিচিত, প্রতিবছর ভালো মুনাফা করে আকর্ষণীয় লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানির তুলনায় দাম বেশি হচ্ছে দুর্বল কোম্পানির, যেগুলোর মুনাফা দেয়ার হার কখনো ভালো ছিল না।
৫২ টাকা ৬০ পয়সা সম্পদমূল্য আর গত পাঁচ বছরে কখনো ২৫ শতাংশের কম লভ্যাংশ না দেয়া রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের দাম ৫৭ টাকা ৪০ পয়সা। গত পাঁচ বছরে এই কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় সবচেয়ে কম ছিল ৪ টাকা ৪৩ পয়সা।
অন্যদিকে গত পাঁচ বছরের মধ্যে গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য সর্বোচ্চ ১৭ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়া প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের দাম এখন ১২৫ টাকা ৬০ পয়সা। এটি আবার ১৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয়ের পর।
এই কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ১৯ টাকার কম। গত পাঁচ বছরে কোম্পানিটি সদ্য সমাপ্ত বছরেই শেয়ারপ্রতি সর্বোচ্চ আয় করেছে ৩ টাকা ১০ পয়সা।
গত ছয় বছরের মধ্যে পাঁচ বছরে একবার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়ে এবার ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করা প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের দাম এখন ১০৫ টাকা ২০ পয়সা। অথচ এর সম্পদমূল্য রিলায়েন্সের অর্ধেকও না।
বিশ্লেষকদের বক্তব্য
পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ আবু আহমেদ নিজেই প্রশ্ন করেছেন, ‘বিমায় কী আছে? কী কারণে এর দর এত বাড়ছে?’
তিনি বলেন, ‘বিমার এজেন্ট কমিশন বন্ধ করা, যানবাহনে বিমা বন্ধ করা এসব কিছুর সঙ্গে শেয়ারের দর বাড়ার কোনো কারণ দেখি না। কিন্ত বাস্তবে বিমার শেয়ারের দরই বাড়ছে। নিশ্চিত কারসাজি আছে।’
বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থেকে বিমা খাতে বিনিয়োগ করার পরামর্শ এই পুজিবাজার বিশ্লেষকের।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির মধ্যেও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন আছে। তবে এখন পর্যন্ত তাদের এ বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ নেই।
জানতে চাইলে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, ‘পুঁজিবাজারের কোন কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়বে কোন কোম্পানির শেয়ারের দর কমবে, সেটি দেখার দায়িত্ব কমিশনের নয়; বরং এই দর বৃদ্ধি ও কমার মধ্যে কোনো কারসাজি হচ্ছে কি না, সেটি দেখার দায়িত্ব কমিশনের।’
‘এই খাত নিয়ে কারসাজি হচ্ছে বলে সন্দেহ তো আছে?’
এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের সার্ভেইল্যান্সে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু ধরা পড়েনি।’
তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা যখন কোনো একটি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন নানা বিষয় বিবেচনা করেন। সেই কোম্পানির আয় কেমন, লভ্যাংশ কেমন দিচ্ছে, সে কোম্পানি থেকে কী পরিমাণ মুনাফা পাওয়া যাচ্ছে।
‘সব বিষয় বিবেচনা করে যখন একজন বিনিয়োগকারী কোনো একটি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে তখন তাকে কীভাবে বলবেন, এখানে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ?’
দর বাড়ছেই
ফেব্রুয়ারিতে অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৬ টাকা ৫০ পয়সা। মার্চে দর কমে হয়েছিল ৩৩ টাকা ২০ পয়সা। এপ্রিলে কোম্পানিটির শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা ৩০ পয়সা। এক মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৩৭.৭১ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ১৩৮ টাকা ৯০ পয়সা। মার্চে দর কমে দাঁড়িয়েছিল ৯৪ টাকায়। এপ্রিলে কোম্পানিটির শেয়ারদর দাঁড়িয়েছে ১০৫.৫ টাকা। এক মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটর শেয়ারদর বেড়েছে ১০৯ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৯২ টাকা ৮০ পয়সা। মার্চে দর কমে দাঁড়িয়েছিল ৫০ টাকা ৯০ পয়সা। এপ্রিলে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ৭১ টাকা ৩ পয়সা। এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৮ দশমিক ৬১ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে বিজিআইসির দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৬ টাকা ৫০ পয়সা। সেটির দর মার্চে কমে দাঁড়িয়েছিল ৩৭ টাকা ৮০ পয়সা। এপ্রিলে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ৪২ টাকা ৯০ পয়সা। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ১১.৮৮ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে বিএনআইসিএলের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৭৫ টাকা ৯০ পয়সা। মার্চে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমে দাঁড়িয়েছিল ৩৭ টাকা ৮০ পয়সা। শতকরা হিসাবে কোম্পানিটি দর হারিয়েছিল ৫০.১৯ শতাংশ।
এপ্রিলে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ১০৯ টাকায়। ফলে এক মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৬৫.৩২ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৬৭ টাকা ৪০ পয়সা। মার্চে দর কমে হয়েছিল ৫৮ টাকা ৩০ পয়সা। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ৬০ টাকা ৪০ পয়সা। এক মাসে শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ৩.৪৭ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৩৫ টাকা ৮০ পয়সা। মার্চে দর কমে দাঁড়িয়েছিল ২৩ টাকায়। এপ্রিলে এসে লেনদেন হচ্ছে ২৮ টাকা ৮০ পয়সা। এক মাসে শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ২০.১৩ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৬৪ টাকা ৯০ পয়সা। মার্চে দর কমে হয়েছিল ৩০ টাকা ৩০ পয়সায়। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ৪৪ টাকা ৩০ পয়সা। এক মাসে শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ৩১.৬০ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা। মার্চে দর কমে হয়েছিল ৩৪ টাকা ১০ পয়সা। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ৫২ টাকা ৩০ পয়সা। এক মাসে কোম্পানিটির শতকরা শেয়ারদর বেড়েছে ৩৪.৭৯ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৬১ টাকা ৫০ পয়সা। মার্চে দর কমে হয়েছিল ৩৯ টাকা ৮০ পয়সা। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ৬২ টাকা ৪০ পয়সা। এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ারদর শতকরা বেড়েছে ৩৫.৯৮ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ১১৯ টাকা ৮০ পয়সা। মার্চে দর কমে হয়েছিল ৯০ টাকায়। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ১১৬ টাকা ১০ পয়সা। এক মাসে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ২২.৪৮ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৩ টাকা ৮০ পয়সা। মার্চে দর কমে হয়েছিল ২৭ টাকা ৩০ পয়সায়। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ৩৩ টাকা ৬০ পয়সা। এক মাসে শতকরা হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ১৮.৭৫ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৫ টাকা ৯০ পয়সা। মার্চে সে কোম্পানির শেয়ারদর কমে হয়েছিল ২৪ টাকা ৩০ পয়সা। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ৩৩ টাকা। ফলে এক মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২৬.৩৬ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৩০ টাকা ৯০ পয়সা। মার্চে দর কমে হয়েছিল ১৮ টাকা। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ২৭ টাকা ৬০ পয়সা। এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৩৪.৭৮ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৬৯ টাকা ৫০ পয়সা। মার্চে দর কমে হয়েছিল ৩০ টাকা ২০ পয়সা। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ৪১ টাকা ১০ পয়সা। এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৬.৫২ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৭৩ টাকা ৪০ পয়সা। মার্চে শেয়ারদর কমে হয়েছিল ৫৫ টাকা ৭০ পয়সা। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ৫৬ টাকা ১০ পয়সা। এক মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে দশমিক ৭ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৭ টাকা ৭০ পয়সা। মার্চে শেয়ারদর কমে হয়েছিল ৩৬ টাকা ৫০ পয়সা। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ৫১ টাকায়। এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৮.৪৩ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে জনতা ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৪ টাকা। মার্চে দর কমে হয়েছিল ২৮ টাকা। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা। এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২৭.০৮ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৩৮ টাকা ৮০ পয়সা। মার্চে শেয়ারদর কমে হয়েছে ২৬ টাকা ৪০ পয়সা। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ৩২ টাকা ৯০ পয়সা। এক মাসে শতকরা দর বেড়েছে ১৯.৭৫ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৫২ টাকা ৪০ পয়সা। মার্চে দর কমে হয়েছিল ৩১ টাকা। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ৪০ টাকা ৫০ পয়সা। এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৩.৪৫ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে নিটোল ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৭৬ টাকা ৮০ পয়সা। মার্চে শেয়ার দর কমে হয়েছিল ৪০ টাকা ৩০ পয়সা। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ৫৬ টাকা ২০ পয়সা। এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দর শতকরা বেড়েছে ২৮.২৯ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৫৩ টাকা ৫০ পয়সা। মার্চে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমে হয়েছে ২৯ টাকা ৯০ পয়সা। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ৪২ টাকা ৯০ পয়সা। এক মাসে শতকরা দর বেড়েছে ৩০.৩০ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ১৬১ টাকা ৩০ পয়সা। মার্চে শেয়ারদর কমেছে ১০৬ টাকা। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ১০৫ টাকা ৬ পয়সা। এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দর শতকরা কমেছে দশমিক ৩ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে পিপলস ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৫৭ টাকা। মার্চে শেয়ার দর কমে হয়েছিল ৩২ টাকা ৫০ পয়সা। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ৪৬ টাকা ৩০ পয়সা। এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ারদর শতকরা বেড়েছে ২৯.৮০ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৫০ টাকা ৫০ পয়সা। মার্চে শেয়ারদর কমে হয়েছিল ৩২ টাকা। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ৪১ টাকা ৮০ পয়সা। এক মাসে কোম্পানিটির শতকরা দর বেড়েছে ২৩.৪৪ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ১০০ টাকা ৪০ পয়সা। মার্চে দর কমে হয়েছিল ৫৮ টাকা ৩০ পয়সা। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ৭৫ টাকা ৬০ পয়সা। এক মাসে কোম্পানিটির শতকরা দর বেড়েছে ২২.৮৮ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে প্রগতি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৭৬ টাকা ৯০ পয়সা। মার্চে দর কমে হয়েছিল ৪৭ টাকা। এপ্রিলে ৬১ টাকা ৫০ পয়সা। এক মাসে কোম্পানিটির শতকরা দর বেড়েছে ২৩.৫৭ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৫৫ টাকা ৪০ পয়সা। মার্চে শেয়ারদর কমে হয়েছিল ২৯ টাকা। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ৪২ টাকা ৮০ পয়সা। এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি দর শতকরা বেড়েছে ৩২.২৪ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ১০২ টাকা ৭০ পয়সা। মার্চে শেয়ারপ্রতি দর কমে হয়েছিল ৭১ টাকা ৬০। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ১২৫ টাকা ৬০ পয়সা। এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি দর বেড়েছে ৪২.৯৯ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৩৯ টাকা ৪০ পয়সা। মার্চে শেয়ারদর কমে হয়েছিল ২২ টাকা ২০। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ৩৫ টাকা ৯০ পয়সা। এক মাসে শেয়ারদর শতকরা বেড়েছে ৩৮.১৬ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৭৩ টাকা ৪০ পয়সা। মার্চে শেয়ারদর কমে হয়েছিল ৫৪ টাকা ১০ পয়সা। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ৫৭ টাকা ৪০ পয়সা। এক মাসে শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ০৫.৭৪ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৬২ টাকা ১০ পয়সা। মার্চে শেয়ারদর কমে হয়েছিল ৪৩ টাকা ৪০। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ৫২ টাকা ২০ পয়সা। এক মাসে শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ১৬.৮৫ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে রূপালী ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৮ টাকা ৫০ পয়সা। মার্চে দর কমে হয়েছিল ২৮ টাকা ৫০ পয়সা। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ৩৮ টাকা ১০ পয়সা। এক মাসে শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ২৫.১৯ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৭১ টাকা ৩০ পয়সা। মার্চে দর কমে হয়েছিল ৪২ টাকা ১০ পয়সা। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ৬৩ টাকা ১০ পয়সা। এক মাসে শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ৩৩.২৮ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৩৯ টাকা ৩০ পয়সা। মার্চে দর কমে হয়েছিল ২৪ টাকা ৩০ পয়সা। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ৩৯ টাকা ৮০ পয়সা। এক মাসে শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ৩৮.৯৪ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে তাকাফুল ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৫৫ টাকা। মার্চে শেয়ারদর কমে হয়েছিল ৪০ টাকা ৭০ পয়সা। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ৪৯ টাকা। এক মাসে কোম্পানিটি শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ১৬.৯৩ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারিতে ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্সের দর সর্বোচ্চ উঠেছিল ৬৩ টাকা ৮০ পয়সা। মার্চে দর কমে হয়েছিল ৩৯ টাকা ৯০ পয়সা। এপ্রিলে লেনদেন হচ্ছে ৫২ টাকা ১০ পয়সা। এক মাসে শতকরা হিসাবে দর বেড়েছে ২৩.৪১ শতাংশ।
আরও পড়ুন:পরিবেশবান্ধব স্মার্ট রান্নার প্রসারে ব্র্যাক ব্যাংক ও ভিশন এম্পোরিয়ামের উদ্যোগ
দেশে পরিবেশবান্ধব রান্নার প্রসারে আরএফএল ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের রিটেইল চেইন ভিশন এম্পোরিয়ামের সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। এই চুক্তির আওতায় ব্র্যাক ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকরা জ্বালানি-সাশ্রয়ী হোম অ্যাপ্লায়েন্স কেনাকাটায় বিশেষ সুবিধা উপভোগ করবেন, যা গ্রাহকদের পরিবেশবান্ধব হোম অ্যাপ্লায়েন্স ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করবে।
এই সহযোগিতার ফলে ব্র্যাক ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডহোল্ডাররা দেশের বিভিন্ন জেলায় ভিশন এম্পোরিয়ামের নিজস্ব শোরুম থেকে ভিশন ইনডাকশন কুকার, ইনফ্রারেড কুকার এবং রাইস কুকার কেনাকাটায় ১৫% ইনস্ট্যান্ট ডিসকাউন্ট উপভোগ করবেন। অফারটি চলবে ৩১ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত।
ইনডাকশন ও ইনফ্রারেড কুকার প্রচলিত রান্নাব্যবস্থার তুলনায় অধিক নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও কার্যকর হওয়ায় দেশে এগুলোর জনপ্রিয়তা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব জ্বালানি-সাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব আধুনিক অ্যাপ্লায়েন্স ব্যবহারে গ্রাহকদের উৎসাহিত করতে ব্র্যাক ব্যাংক এই উদ্যোগ নিয়েছে, যা গ্রিন ব্যাংকিংয়ের ব্যাপারে ব্যাংকটির ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
এ ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মাহীয়ুল ইসলাম বলেন, “এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক গ্রাহকদের পরিচ্ছন্ন ও জ্বালানি-সাশ্রয়ী রান্নার দিকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করছে, যা আর্থিক দিক থেকেও অনেক সাশ্রয়ী। গ্রিনার হাউজহোল্ড ও টেকসই ভবিষ্যতের যাত্রায় এটি একটি সহজ, কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ।”
৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ অপারেটিং অফিসার সাব্বির হোসেন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মাহীয়ুল ইসলাম, হেড অব মার্চেন্ট অ্যাকোয়ারিং খাইরুদ্দিন আহমেদ বাপ্পি, হেড অব অ্যালায়েন্সেস মো. আশরাফুল আলম এবং অ্যালায়েন্সের অ্যাসোসিয়েট ম্যানেজার নাহিয়ান খান।
ভিশন এম্পোরিয়ামের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন আরএফএল গ্রুপের চিফ মার্কেটিং অফিসার মুরশেদ মুনীম, আরএফএল ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের হেড অব মার্কেটিং এজেডএম ওবায়াদুল্লাহ এবং আরএফএল রিটেইল চেইন্সের হেড অব মার্কেটিং শফিকুল ইসলাম।
জীবনধারার সুবিধার সঙ্গে টেকসই উন্নয়নকে যুক্ত করার মাধ্যমে নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার পথে এটি ব্র্যাক ব্যাংকের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি গ্রাহকদের আর্থিক সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি নিশ্চিত করবে দীর্ঘমেয়াদি ইতিবাচক প্রভাব।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ১০০টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
মৌলভীবাজারের ব্যাংকারদের জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও প্রাইম ব্যাংক পিএলসি. কর্তৃক আয়োজিত এএমএল/সিএফটি শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি প্রাইম ব্যাংক পিএলসি লীড ব্যাংক হিসেবে “মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন (এএমএল এবং সিএফটি) প্রতিরোধ” শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের মোট ৯০ জন ব্যাংকার অংশগ্রহণ করেন।
এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউ এর পরিচালক মো. মোস্তাকুর রহমান। কর্মশালার সেশনসমূহ পরিচালনা করেন বিএফআইইউ এর দক্ষ ও অভিজ্ঞ রিসোর্স পার্সনগণ, যাদের মধ্যে ছিলেন অতিরিক্ত পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, যুগ্ম পরিচালক মো. ইমানুর হাসান এবং উপ-পরিচালক মো. মুশফিকুল ইসলাম।
এতে সভাপতিত্ব করেন প্রাইম ব্যাংক পিএলসির ডিএমডি ও প্রধান মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রাইম ব্যাংকের ডিএমডি মো. ইকবাল হোসেন এবং প্রাইম ব্যাংকের সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান মো. হুমায়ুন কবির।
কর্মশালায় মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়, যেমন: আইন ও বিধির নির্দেশাবলী, কেওয়াইসি, লেনদেন মনিটরিং, ক্রেডিট ও ট্রেড বেইজড মানিলিন্ডারিং প্রতিরোধে বিষয়ে করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়। প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানটি ইন্টারেক্টিভ এবং আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য, প্রশিক্ষণ সেশনের পরে একটি কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সেরা পারফর্মারদের পুরষ্কার প্রদান এবং সকল অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। পরিশেষে, প্রাইম ব্যাংক পিএলসি এবং বিএফআইইউ জাতীয় আইন এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সাথে সঙ্গতিপূর্ণভাবে মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসী অর্থায়ন ঝুঁকি মোকাবেলায় ব্যাংকিং খাতের প্রস্তুতি আরও জোরদার করার জন্য এই ধরনের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ আয়োজনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার প্রতিরোধে নারী পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এইচপিভি টিকা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আইসিডিডিআর,বি -কে সহায়তা দিচ্ছে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি।
‘নারী পুলিশ সদস্যদের মধ্যে সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকা প্রদান, সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রতিবন্ধকতা নিরসন’ শীর্ষক বিশেষ উদ্যোগে এই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। দেশের নারীদের অন্যতম বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে এই প্রকল্প নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রকল্পে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী সশস্ত্র পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এএফপিবি) মোট ১৮৮ জন নারী সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কিশোরী মেয়েদের জন্য চলমান কর্মসূচির বাইরে প্রাপ্তবয়স্ক কর্মজীবী নারীদের টিকা প্রদানের মধ্য দিয়ে এ উদ্যোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ শূন্যতা পূরণ করবে।
আইসিডিডিআর,বি এর সহকারী বিজ্ঞানী ডা. রিজওয়ানা খানের নের্তৃত্বে সাত ধাপে এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। এতে নৈতিক অনুমোদন, প্রাথমিক জরিপ, সচেতনতা কর্মসূচি, টিকা প্রদান, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন এবং চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। পাশাপাশি নারীদের মাসিক স্বাস্থ্যবিধি ও সামগ্রিক সুস্থতা সম্পর্কেও সচেতনতা বৃদ্ধি করা হবে।
এ উপলক্ষে আইসিডিডিআর,বি -তে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কমিউনিটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রতীকী চেক হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ ও কমিউনিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান জনাব বাহারুল আলম বিপিএম, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত এবং আইসিডিডিআর,বি -এর নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ও কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র চেয়ারম্যান জনাব বাহারুল আলম, বিপিএম বলেন: “আমাদের নারী পুলিশ সদস্যরা দেশের জন্য নিরলস কাজ করছেন। তাঁদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা আমাদের অগ্রাধিকার। আইসিডিডিআর,বি -এর সঙ্গে এই উদ্যোগ সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার প্রতিরোধে একটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে এবং কর্মক্ষেত্রভিত্তিক টিকা কার্যক্রমের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।”
কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) কিমিয়া সাআদত বলেন, “এই গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য উদ্যোগে আইসিডিডিআর,বি -এর পাশে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত। এটি কেবল শুরু; সামনের দিনে আমরা আরও অর্থবহ উদ্যোগে সহযোগিতা করে সমাজে দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব রাখতে চাই।”
ডা. তাহমিদ আহমেদ ব্যাংকটির অবদানের প্রশংসা করে বলেন, “কর্মক্ষেত্রভিত্তিক টিকা কার্যক্রম নিয়ে গবেষণা জাতীয় নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। এতে করে বাংলাদেশে আরও অনেক নারী সার্ভাইক্যাল ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা পাবেন।”
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এবং মেডবক্স সল্যুশন লিমিটেড এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে দেশের ফার্মেসিগুলোকে সহজে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল পাওয়ার সুযোগ দিতে এমবেডেড ফাইন্যান্স প্রোগ্রাম চালু করা হবে।
এক্সক্লুসিভ ফাইন্যান্সিং পার্টনার হিসেবে কমিউনিটি ব্যাংক দ্রুত ও তথ্য-ভিত্তিক ঋণ সুবিধা প্রদান করবে মেডবক্সের বিটুবি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে যুক্ত ফার্মেসি ব্যবসায়ীদের। ফলে প্রথাগত আর্থিক প্রতিবন্ধকতা দূর হয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণে সহায়তা পাবে ফার্মেসিগুলো।
চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে কমিউনিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কিমিয়া সাআদত বলেন, “এই অংশীদারিত্ব আমাদের জন্য একটি মাইলফলক। আমরা এমন একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করছি; যেখানে ফার্মেসিগুলো নির্ভরযোগ্য অর্থায়নের মাধ্যমে টেকসই সমাধান পাবে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংকের, হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং ও হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মো. আরিফুল ইসলাম; হেড অব এডিসি অ্যান্ড হেড অব এমডি’স কোঅর্ডিনেশন টিম মো. মামুন-উর রহমান। অন্যদিকে মেডবক্সের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কাজী আশিকুর রাসেল, আহমেদ আরফিন রাফি, মো. আমিনুর রশিদ, মো. নাজমুল আহসান এবং এইচ.এম আসিফ ইমতিয়াজ আলম।
আয়োজকেরা জানান, প্রথমে পাইলট প্রোগ্রামের মাধ্যমে উদ্যোগটি শুরু হবে। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখবে এই অংশীদারিত্ব।
বৃহত্তর নতুন পরিসরে গ্রাহকদের সবচেয়ে আধুনিক এবং সর্বোত্তম সেবা প্রদানে সম্প্রতি দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি’র স্থানান্তরিত কলাকোপা শাখা উদ্বোধন করা হয়েছে।
দি প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি’র স্বতন্ত্র পরিচালক ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান, মো. সাজ্জাদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে স্থানান্তরিত শাখার উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ আবুল হাশেম, এফসিএ, এফসিএমএ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও); সৈয়দ সাফকাত রাব্বি, ইভিপি ও প্রধান, জেনেরাল সার্ভিসেস ডিভিশন (জিএসডি) এবং মো. তারেক উদ্দিন, ইভিপি ও প্রধান, ব্র্যান্ড মার্কেটিং ও কমিউনিকেশনস ডিভিশন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মো. হামিদুল্লাহ, অধ্যাপক, ডি. এন. কলেজ, নওয়াবগঞ্জ, ঢাকা; মানবেন্দ্র দত্ত, সাবেক অধ্যক্ষ, সরকারি দোহার-নওয়াবগঞ্জ কলেজ; মো. আমির হোসেন, অ্যাডভোকেট এবং মায়ারানি বাউল, এআইপি পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষাণী। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ব্যাংকের অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তা, শাখা ব্যবস্থাপকবৃন্দ, স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন হওয়া স্থানান্তরিত কলাকোপা শাখায় (হক প্লাজা, কলেজ রোড, নবাবগঞ্জ বাজার, নবাবগঞ্জ, ঢাকায়) পুরোদমে ব্যাংকিং সেবা চালু হয়েছে।
ফ্যাশন সবসময় পরিবর্তনশীল। সেই পরিবর্তনের সাথেই তাল মিলিয়ে ট্রেন্ডি ও ইউনিক কালেকশন নিয়ে আসে ‘ভারগো’। প্রতি সিজনেই ভারগো তার সেরা স্টাইল তুলে ধরে, আর এবারের শরৎ ও পূজার আয়োজনও তার ব্যতিক্রম নয়। আরাম ও স্টাইলের নিখুঁত সমন্বয়ে তৈরি এই কালেকশন আপনাকে করবে মুগ্ধ। উৎসবমুখর ও আভিজাত্যপূর্ণ স্টাইল সবসময়ই Virgo–র বিশেষত্ব। বিশেষ করে পূজা ও শরতের জন্য আনা কালেকশনগুলোতে পাওয়া যায় নরম, ঝলমলে ফ্যাব্রিক, সূক্ষ্ম এমব্রয়ডারি স্ক্রিন প্রিন্ট , ডিজিটাল প্রিন্ট, সাবলিশন প্রিন্ট আর আধুনিক ডিজাইনের সমন্বয়। প্রতিটি পোশাক যেন একেকটি উৎসবের অনুপ্রেরণা। ২০২৫ সালের ফলের কালার প্যালেটেও আছে নানা চমক। যেমন—
পুরুষদের জন্য পূজার ও শরতের আভিজাত্য
শরতের মৌসুমে স্টাইল আর আভিজাত্যের নিখুঁত সমন্বয় নিয়ে এসেছে আমাদের বিশেষ পুরুষদের কালেকশন। এখানে আছে এমন সব পোশাক, যা একদিকে আরামদায়ক আবার অন্যদিকে আপনার লুককে দেবে এক্সক্লুসিভ স্টেটমেন্ট।
স্টাইলিশ পাঞ্জাবি, ফর্মাল ও ক্যাজুয়াল শার্ট
উৎসবের দিনে পাঞ্জাবি থেকে শুরু করে অফিস বা আড্ডার জন্য ফর্মাল ও ক্যাজুয়াল শার্ট—সবই থাকছে নতুনত্বে ভরপুর ডিজাইনে।
প্রিমিয়াম ফেব্রিক কালেকশন
স্প্যানডেক্স, ব্যাম্বু কটন ও জ্যাকার্ড কাপড়ে তৈরি প্রতিটি পোশাক শুধু আরামদায়কই নয়, বরং স্টাইলেও আনে পরিপূর্ণতা। এছাড়া ইউনিক ফ্যাব্রিক কালেকশন যেটা শুধু ভারগোতেই পাওয়া যায়।
ট্রেন্ডি ডিজাইন
ফ্যাশনে যোগ হয়েছে বৈচিত্র্য—স্ট্রাইপ, চেক থেকে শুরু করে ফ্লোরাল শার্ট, যা আপনাকে দেবে আধুনিক ও ট্রেন্ডি লুক।
আরাম ও স্টাইল একসঙ্গে
ডে-টু-ডে স্টাইলের জন্য থাকছে সুইফট শার্ট, রিল্যাক্স প্যান্ট, টুইল প্যান্ট ও হাই-কোয়ালিটি ডেনিম। প্রতিটি পোশাক তৈরি হয়েছে এমনভাবে, যাতে আরাম ও আভিজাত্য একসঙ্গে উপভোগ করতে পারেন।
মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খান এনআরবিসি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) এবং চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) হিসেবে রোববার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে যোগদান করেছেন। দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে তিনি দেশের ব্যাংকিংখাতে ডিজিটাল পণ্যের উদ্ভাবন, প্রযুক্তিগত সুশাসন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কমপ্লায়েন্স পরিপালন মডেল তৈরি, গ্রাহককেন্দ্রিক বিজনেস মডেল তৈরি, সেবার ডিজিটাল রুপান্তর, ডিজিটাল সেলস ও সার্ভিস নকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে নেতৃত্বে দেন।
এনআরবিসি ব্যাংকে যোগদানের পূর্বে তিনি কমিউনিটি ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব), উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (সিআইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একজন নেটওয়ার্ক এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ম্যানেজার হিসেবে ২০০৫ সালে ব্র্যাক ব্যাংকে তাঁর ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। কাইয়ুম খান ব্যাংক এশিয়া এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে আইটি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এক্সিম ব্যাংকেও কাজ করেন।
নটরডেমিয়ান মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্সে (ইইই) ইঞ্জিনিয়ারিং এ বিএসসি ডিগ্রি এবং পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদ থেকে এমবিএ অর্জন করেন। পেশাগত জীবনে সেমিনার অংশগ্রহণ ও প্রশিক্ষণের জন্য তিনি আমেরিকা, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমন করেন।
মন্তব্য