× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
করোনায় মৃত্যু হলে ব্যাংকার পরিবার পাবে ৫০ লাখ টাকা
google_news print-icon

করোনায় মৃত্যু হলে ব্যাংকার পরিবার পাবে ৫০ লাখ টাকা

করোনায়-মৃত্যু-হলে-ব্যাংকার-পরিবার-পাবে-৫০-লাখ-টাকা
ছবি: সাইফুল ইসলাম
‘ব্যাংকে কর্মরত অবস্থায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্ত্রী/স্বামী/সন্তান এবং অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে বাবা/মা ক্ষতিপূরণের অর্থ পাবেন।’

করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোনো ব্যাংকারের মৃত্যু হলে তার পরিবারকে ২৫ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক।

সোমবার ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে দেশের সব তফসিলী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, গত বছরের ২৯ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারানো সব ব্যাংকারের পরিবারই এ ক্ষতিপূরণ পাবে।

গত বছরের মার্চে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলেও সীমিত পরিসরে খোলা ছিল ব্যাংক। গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন শুরুর পরও বন্ধ হয়নি ব্যাংক।

গত বছর করোনা সংক্রমণের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জানানো হয়েছিল, এই পরিস্থিতিতে অফিস করলে ব্যাংকাররা প্রতি দিন তিন হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাতা পাবে। তবে এই অর্থ বেশির ভাগ ব্যাংকই দেয়নি বলে অভিযোগ আছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, ‘ব্যাংকে কর্মরত অবস্থায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্ত্রী/স্বামী/সন্তান এবং অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে বাবা/মা ক্ষতিপূরণের অর্থ পাবেন।’

এ নির্দেশনা গত বছরের ২৯ মার্চ থেকে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

অর্থাৎ গত বছরের ২৯ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত যেসব ব্যাংকার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তাদের পরিবার এ সার্কুলারের আওতায় ক্ষতিপূরণ পাবে।

করোনায় মৃত্যু হলে ব্যাংকার পরিবার পাবে ৫০ লাখ টাকা

কাদের জন্য কত ক্ষতিপূরণ

প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা, সিনিয়র অফিসার, প্রবেশনারি অফিসার, ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার বা সমমান হতে তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তা মারা গেলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ লাখ টাকা পাবেন।

ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার বা সমমানের পদমর্যাদার কর্মকর্তারা পাবেন সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা। স্টাফ ও সাব-স্টাফের (যেকোনো প্রক্রিয়ায় নিয়োগ/নিয়োজিত) ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ পাবেন ২৫ লাখ টাকা।

কর্মকর্তা বা কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যাংকে তার অন্য কোনো দায়-দেনা ক্ষতিপূরণের অর্থ দিয়ে সমন্বয় করা যাবে না। এ ক্ষতিপূরণ বর্তমানে প্রচলিত অন্য যেকোনো প্রজ্ঞাপন/আদেশ/নীতিমালায় বর্ণিত কর্মকালীন মৃত্যুবরণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আর্থিক সহায়তা/অনুদানের অতিরিক্ত হিসেবে প্রদেয় হবে।

এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অত বছরের ১৫ এপ্রিল জারি করা বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং-১৮ এর ৩(গ) এবং ৪ ক্রমিকে বর্ণিত নির্দেশনার কার্যকারিতা রহিত করা হয়েছে।

ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে।

ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক, ৪২টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, তিনটি বিশেষায়িত ব্যাংক ও নয়টি বিদেশি ব্যাংকসহ বাংলাদেশে মোট তালিকাভুক্ত ব্যাংকের সংখ্যা ৬১টি।

করোনাভাইরাসের কারণে সরকারঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যেও সীমিত আকারে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু আছে। এ কারণে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ব্যাংকে গিয়ে সেবা দিতে হচ্ছে। তাদের ঝুঁকি বিবেচনায় এবং দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ এ নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকারি-বেসরকারি সবাইকেই এ নির্দেশনা মানতে হবে।

মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে কর্মরতদের আক্রান্ত হওয়ার হার বাড়ছে। গত ১৫ দিনে পাঁচ শতাধিক ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী সংক্রমিত হয়েছেন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২ ব্যাংকার ও একটি ব্যাংকের গাড়িচালক। এছাড়া উপসর্গ দেখা দিয়েছে সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর শরীরে।

গত বছর করোনা সংক্রমণের পর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্যও এমন একটি প্রণোদনা ঘোষিত হয়। যখন চিকিৎসকরা হাসপাতালে রোগী দেখা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন, সে সময় সরকার ঘোষণা দেয়, সরকারি চাকুরেদের মধ্যে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত পাবে আর কেউ মারা গেলে তার পরিবার পাবে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত।

পরে অবশ্য আক্রান্ত হলেই টাকা দেয়ার সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

আরও পড়ুন:
ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারে জটিলতা কাটেনি
আন্তব্যাংক চেক নিষ্পত্তি হলেও ইএফটিএন হয়নি
ব্যাংকাররা ব্যাংকে যাবেন কী করে
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আইটি বিপর্যয়: বন্ধ আন্তব্যাংক লেনদেন
ব্যাংক লেনদেনের সময়সূচি নিয়ে ধুম্রজাল যে কারণে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

কুমিল্লায় কৃষিতে সংযোগ হলো মাটির পাতিল

কুমিল্লায় কৃষিতে সংযোগ
হলো মাটির পাতিল

কুমিল্লাতে কৃষি জমিতে বেগুনের ফলন গাছ বাচিয়ে রেখে আগাছা নিধনে সুইপ নামে নতুন আবিস্কৃত কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে, বেগুনের ফলন গাছ বাচাতে নব পদ্ধতিতে দধির পাতিল ব্যবহার হচ্ছে। ঘটনাটির খবর পেয়ে গ্রাম বাসী ও সাংবাদিকরা উপস্থিত হন ঐ কৃষি জমিতে। সরজমিনে দেখা যায় নব পদ্ধতিতে গতকাল কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়নের কালিকাপুর দঃ পাড়া জলিল,ফারুক, হানিফ গং কৃষকদের বেগুনের জমিতে দধির পাতিল চোখে পড়ে। এসময় দধির পাতিল বিষয়ে কৃষক দের সাথে জানতে চাইলে কৃষকরা জানান সুইপ কীটনাশক দেশে আগাছা নিধনে মাইলফলক ভুমিকা রাখছে,দুশো টাকার ঔষধ ছিটালে ৫০ শ্রমিকের কাজ হয়, শ্রমিক দিয়ে নিরাতে হয় না,কিন্তু সুইপের আক্রমণ থেকে বেগুন গাছা কিংবা যেকোনো ফলদ গাছের জীবন বাচাতে মাটির পাতিল দিয়ে ঢাকনা দিতে হয়,পাতিলের বাহিরের অংশের সকল আগাছা পরক্ষণেই কীটনাশক ছিটানোর পরে নিমজ্জিত করে ফেলে।এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি উপ সহকারী কর্মকর্তা তানজিনা আক্তার বলেন এই পদ্ধতিটি কৃষক দের নিজ থেকে বানানো,সরকার বা কৃষি অফিসার থেকে নয়,তবে পদ্ধতি টি কৃষকদের আর্থিক লাভ বান করবে,আগাছা কম খরচে পরিস্কার করে।শ্রমিকের খরচ বেচে যায়। আগাছা পরিস্কার হলে দ্রুত ফলন আসে। এবিষয়ে কৃষক মালেক,ফারুক, আলমগীর বলেন সরকারের উচিত আমাদের ভর্তকি দেওয়া, আমাদের কৃষি কাজে পোষে না তারপরও আমরা জমি অনাবাদি রাখি না,মৌসুমে সবরকম ফসল ফলাই।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Professor Yunus Press Secretary highlighted the commitment of democracy and humanitarian solidarity during the UNGA visit

ইউএনজিএ সফরে গণতন্ত্র ও মানবিক সংহতির অঙ্গীকার তুলে ধরেছেন অধ্যাপক ইউনূস: প্রেস সচিব

ইউএনজিএ সফরে গণতন্ত্র ও মানবিক সংহতির অঙ্গীকার তুলে ধরেছেন অধ্যাপক ইউনূস: প্রেস সচিব

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৮০তম অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের দায়িত্বশীল বৈশ্বিক ভূমিকাকে আরও সুদৃঢ় করেছে। এতে গণতান্ত্রিক শাসন, মানবিক সংহতি ও গঠনমূলক আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি নতুনভাবে প্রতিফলিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

আজ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক বার্তায় তিনি প্রধান উপদেষ্টার ইউএনজিএ সফরের সাফল্যগুলো তুলে ধরেন।

শফিকুল আলম জানান, অধ্যাপক ইউনূস গত সপ্তাহে নিউইয়র্কে ইউএনজিএ-র উচ্চপর্যায়ের অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দেন। সেখানে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্দেশ করে বক্তব্য রাখেন, বিশ্বনেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন এবং গণতন্ত্র, মানবিক নেতৃত্ব ও ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন।

প্রেস সচিব বলেন, ইউএনজিএ-র ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনব্যবস্থার প্রতি অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি স্বাধীন, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে বৈশ্বিক মহলকে আশ্বস্ত করেন যে বাংলাদেশ জনগণ ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের লালিত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষায় প্রস্তুত।

শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সফরে তিন রাজনৈতিক দলের ৬ প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি উল্লেখ করেন, ‘এটাই প্রথমবার এমন একটি মর্যাদাপূর্ণ প্রতিনিধিদল একসঙ্গে সফরে যোগ দিল। তারা কূটনীতিক, প্রবাসী নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এসব যোগাযোগ বিশ্বের কাছে শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দিয়েছে যে গোটা বাংলাদেশই গণতান্ত্রিক, স্বাধীন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে একসঙ্গে এগোচ্ছে।’

বিশ্বনেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার কৌশলগত বৈঠক প্রসঙ্গে আলম বলেন, অধ্যাপক ইউনূস উচ্চপর্যায়ের একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন, যা বাংলাদেশের বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব জোরদার ও যৌথ অগ্রাধিকারের প্রসারে ভূমিকা রাখে।

তিনি জানান, ইতালি, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, আলবেনিয়া, কসোভো ও ভুটানের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে গণতান্ত্রিক শাসন, বাণিজ্য, জলবায়ু সহনশীলতা ও মানব উন্নয়নের বিষয় গুরুত্ব পায়।

আলম আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপো গ্রান্ডি, ইউনিসেফ নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল, জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেল রাবাব ফাতিমা, বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা, নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমা এবং আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার সঙ্গে বৈঠক করেন।

এছাড়া অধ্যাপক ইউনূস মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নিয়ে শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূতের সঙ্গেও তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হয়, যেখানে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও বহুপাক্ষিক কূটনীতিতে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ভূমিকা উঠে আসে।

রোহিঙ্গা সংকটে মানবিক নেতৃত্ব প্রসঙ্গে আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সফরের মূল বিষয় ছিল রোহিঙ্গা ইস্যু। সেখানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া এক মিলিয়নের বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের প্রতি অব্যাহত মানবিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়। জাতিসংঘ সংস্থা ও দাতা দেশগুলোর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং সংকট যেন বৈশ্বিক মনোযোগ থেকে হারিয়ে না যায় সে আহ্বান জানান। প্রেস সচিব জানান, এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি আনতে সক্ষম হন।

শফিকুল আলম বলেন, জবাবদিহি ও উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরতে অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘকে অনুরোধ জানান বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের অগ্রগতির একটি স্বাধীন মূল্যায়ন পরিচালনা করতে। এ অনুরোধ ঢাকার অর্থনৈতিক যাত্রাপথে আস্থা ও গঠনমূলক আন্তর্জাতিক মূল্যায়নের প্রতি উন্মুক্ততা প্রকাশ করে।

প্রেস সচিব জানান, ইউএনজিএ সফরে বিদেশে কর্মসংস্থান ও শ্রমশক্তি রপ্তানির নতুন সুযোগও উন্মোচিত হয়। কসোভো, আলবেনিয়া ও ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনায় বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য শ্রমবাজার সম্প্রসারণের বিষয়ে সম্ভাবনা খোঁজা হয়েছে। তিনি বলেন, এসব সুযোগ প্রবাসী আয় বাড়াতে ও নতুন অংশীদার দেশের সঙ্গে জনগণের পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সহায়ক হবে।সূত্র : বাসস

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Naogaon protest against Israeli barbarism

ইসরাইলি বর্বরতার বিরুদ্ধে নওগাঁয় প্রতিবাদ

ইসরাইলি বর্বরতার বিরুদ্ধে নওগাঁয় প্রতিবাদ
গাজাগামী ত্রাণবাহী জাহাজে ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর শহরের নওজোয়ান মাঠের সামনে সাধারণ ছাত্র-জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।
শিক্ষার্থী মোরশেদ আলম এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল নওগাঁ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, নওগাঁ ডিবেট ক্লাব এর সভাপতি তানজিম বিন বারি, ছাত্র প্রতিনিধি আরমান হোসেন প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, অবরুদ্ধ গাজার মানুষের জন্য বিশ্ব মানবাধিকারকর্মীদের উদ্যোগে পাঠানো 'গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা' নৌবহরে ইসরাইল ‘জলদস্যু’র মতো হামলা চালিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারকে চরমভাবে লঙ্ঘন করেছে। বৃহস্পতিবার রাতের আঁধারে ইসরাইলের ‘শায়েতেত ১৩’ নামে একটি বিশেষ নৌ কমান্ডো ইউনিট বহরে হামলা চালিয়ে অধিকাংশ জাহাজ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় এবং সেগুলোর শত শত আরোহীকে আটক করে।
বহরটিতে বিশ্বের ৪৪টি দেশের প্রায় ৫০০ অধিকারকর্মী ছিলেন, যারা গাজার অবরুদ্ধ ও যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছিলেন। বক্তারা বলেন, ইসরাইলের এই বর্বর হামলা কেবল মানবিক ত্রাণ সহায়তা আটকানোই নয়, বরং এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের সামিল। বক্তারা আরও বলেন, ইসরাইল একদিকে গাজায় ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, অন্যদিকে সেই ধ্বংসকবলিত জনপদের জন্য পাঠানো সাহায্যও বাধাগ্রস্ত করছে, যা সম্পূর্ণ অনৈতিক ও ঘৃণ্য।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা ইসরাইলের এই বর্বরোচিত কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান যেন অবিলম্বে ইসরাইলের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
গাজার নিষ্পেষিত মানুষের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বক্তারা আরও বলেন, মানবতা আজ ক্রমেই বিপন্ন হয়ে পড়ছে, আর বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত এই নির্যাতনের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ হয়ে দাঁড়ানো।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Pepper purple is more priced than chicken

মুরগির চেয়ে মরিচ-বেগুনের দাম বেশি

মুরগির চেয়ে মরিচ-বেগুনের দাম বেশি

টানা বৃষ্টি আর বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজা ঘিরে চড়েছে সবজি বাজার। এক মাসের ব্যবধানে বেশির ভাগ সবজির দর কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি উত্তাপ কাঁচামরিচে। মাস খানেকের ব্যবধানে মরিচের দর বেড়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। গোল বেগুনেও যেন লেগেছে আগুন! কেজিতে সবজিটির দাম বেড়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। তবে এক মাসের ব্যবধানে অন্য নিত্যপণ্যের দামে তেমন হেরফের দেখা যায়নি।

সবজির খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, এমনিতেই বর্ষার সময় সবজির উৎপাদন ও জোগান কম থাকে। এর মধ্যে দুই-তিন দিন ভারি বৃষ্টি হয়েছে। ফলে ক্ষেতে পানি জমে আছে। এ কারণে উৎপাদন এলাকা থেকে বাজারে সবজি কম আসছে।

আড়তদাররা জানান, তারা কমিশনে সবজির ব্যবসা করেন। ফলে দাম কম-বেশির পেছনে তাদের ভূমিকা নেই। দাম নির্ভর করে সরবরাহের ওপর। তবে বিভিন্ন উৎসব কিংবা বৃষ্টির অজুহাতে বাজারে যেভাবে দর বাড়ে, তা অযৌক্তিক। দাম স্বাভাবিক রাখতে পাহাড়ি অঞ্চলে সবজি চাষ করে সরবরাহ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন আড়তদাররা।

ভোক্তাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে দাম বাড়ান। সরকারের নজরদারি না থাকলে তারা সুযোগ পেয়ে যান। ব্যবসায়ীরা একবার জিনিসপত্রের দাম বাড়ালে আর কমাতে চান না। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ।

রাজধানীর তেজকুনিপাড়া থেকে ৮০ টাকায় ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ কেনার পর এক ক্রেতা বলেন, বাজারে সবজি বলেন আর মরিচ– কোনো কিছুরই তো অভাব দেখলাম না। কিন্তু বৃষ্টির দোহাই দিয়ে ব্যবসায়ীরা যেভাবে ডাকাতি করছে, তাতে আমার মতো নিম্ন শ্রেণির লোকের বিপদ বাড়ছে। তাঁর অভিযোগ, বাজারে সরকারের দুর্বল নজরদারির কারণে জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে।

ব্যবসায়ীরা সত্যি ভোক্তার পকেট কাটছেন, নাকি আসলেই বাজারে সবজির সরবরাহ কম– এর প্রমাণ পাওয়া যাবে এক মাস আগের সবজির দরে চোখ রাখলে। গত ৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি লম্বা বেগুন ৬০ থেকে ১০০ টাকা, গোল বেগুন ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১২০, বরবটি ৮০ থেকে ১০০, করলা ৮০ থেকে ১০০, পটোল ৬০ থেকে ৭০, ধুন্দল ও ঝিঙা ৬০ থেকে ৮০, ঢ্যাঁড়শ ৬০ থেকে ৮০, কাঁকরোল ৭০ থেকে ১০০ টাকা এবং চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। এ ছাড়া কাঁচামরিচ মানভেদে ১৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি প্রতি পিস লাউ ৫০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও চায়না গাজর ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর হাতিরপুল, মোহাম্মদপুর টাউন হল ও তেজকুনিপাড়ার খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সব ধরনের সবজির দর এক মাসের তুলনায় ১০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ৭০ থেকে ৮০ টাকার নিচে তেমন কোনো সবজি নেই।

এসব বাজারে গতকাল কাঁচামরিচের কেজি বিক্রি হয়েছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা দরে। একইভাবে চড়া দেখা গেছে গোলবেগুনের দামে, প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। এই দর ব্রয়লার মুরগির চেয়ে অন্তত ৪০ টাকা বেশি। খুচরা পর্যায়ে ব্রয়লারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা দরে। বাজারে এখন লম্বা বেগুন ৮০ থেকে ১২০, করলা ১০০ থেকে ১২০, পটোল ৭০ থেকে ৮০, ঢ্যাঁড়শ ৭০ থেকে ৯০, টমেটো ১৪০ থেকে ১৫০, চায়না গাজর ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি চিচিঙ্গা, ঝিঙে ও ধুন্দলের কেজি কিনতে ক্রেতার খরচ হবে কেজিতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।

খুচরা বাজারে সবজির দাম চড়লেও ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে পাইকারি বাজারে। রাজধানীর অন্যতম বড় আড়ত কারওয়ান বাজার। এই বাজার থেকে কিনলে সব ধরনের সবজির কেজিতে ক্রেতার ২০ থেকে ৩০ টাকা সাশ্রয় হয়।

পাইকারি বাজারের সঙ্গে খুচরা বাজারে এত ব্যবধান কেন– জানতে চাইলে হাতিরপুল কাঁচাবাজারের সবজি ব্যবসায়ী মো. অপু বলেন, ‘পূজা ও বৃষ্টির কারণে সবজির দাম কিছুটা বেশি। আমরা কারওয়ান বাজার থেকে পাইকারি সবজি কিনে আনি। সেখানে সকালে এক দাম, বিকেলে আরেক দাম। আমরা সাধারণত সকালেই সবজি কিনে আনি।’ এই ব্যবসায়ীর ভাষ্য, বৃষ্টি হলে সব সময় কাঁচামরিচের দাম বাড়ে। এখন দেশে কাঁচামরিচের উৎপাদন খুব কম। বলতে গেলে ভারতের মরিচের ওপর পুরো বাজার নির্ভর করে। পূজার কারণে ভারত থেকে মরিচ কম আসায় বাজারে এর প্রভাব পড়ছে।

সরবরাহ বাড়াতে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি ইমরান মাস্টার। তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমে সবজির ফলন খুব কম হয়। বৃষ্টি হলে জমিতে পানি জমে। এতে গাছ মরে যায়। গ্রামে মানুষ ঘরবাড়ির আঙিনায় ধুন্দল, ঝিঙেসহ কিছু সবজি গাছ লাগিয়ে নিজেদের চাহিদা মেটায়। শহরেও এখন ছাদ বা বারান্দায় অনেকে সবজি গাছ লাগিয়ে কিছুটা হলেও চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করেন।

তিনি বলেন, নিচু জমির কারণে বৃষ্টি হলে পানি জমে উৎপাদন ব্যাহত হয়। তবে বর্ষা মৌসুমে দেশের উঁচু জমি তথা পাহাড়ি এলাকায় পতিত জমিতে শাকসবজি লাগানোর ব্যবস্থা করলে সবজির সরবরাহ বাড়বে।

এ ব্যাপারে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি ও সাবেক সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, নানা অজুহাতে প্রতি বছরই এ সময় জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। একটা চক্র সব সময় বাজার অস্থিতিশীল করে রাখে। তাদের রুখতে সরকারের নজরদারি বাড়ানো উচিত।

তিনি বলেন, সবজি যেন তিন-চার হাতবদল না হতে পারে, সে জন্য সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সবজি এনে শহরে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য ঢাকার ৩০০ ফিটে ‘কৃষকের বাজার’ হতে যাচ্ছে। সেখানে ন্যায্য দামে সবজি কেনা যাবে।

মন্তব্য

মিরপুরে যাত্রীদের নামিয়ে বাসে আগুন

মিরপুরে যাত্রীদের নামিয়ে বাসে আগুন

রাজধানীর মিরপুরের সেনপাড়া এলাকায় আলিফ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকাল ৭টা ২৩ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে ৭টা ৩৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ বলেন, খবর পেয়ে মিরপুর ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে আলিফের বাসটি সেনপাড়া এলাকায় পৌঁছালে কয়েকজন হাতের ইশারা দিয়ে থামাতে বলেন। থামানোর পর চালক ও তার সহকারীকে পিটিয়ে বাস থেকে নামিয়ে দেয় তারা। সেসময় যাত্রীদেরও নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে সেই বাস ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়।

আলিফ পরিবহন থেকে কিছু কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়। যে কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ছাটাই হওয়া কর্মীদের একটি অংশ এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এই ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখছি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে— পরিবহনের স্টাফদের মধ্যে একটা অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব রয়েছে, এর কারণে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এছাড়া আরও দ্বন্দ্ব রয়েছে। সব বিষয়কে সামনে রেখে আমরা তদন্ত করে যাচ্ছি।

বাসটিতে যখন দুর্বৃত্তরা আগুন দেয়, তখন কি কোনো গুলি করা হয়েছিল কিনা— জানতে চাইলে ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে এমন অভিযোগ করা হয়েছিল। পরে আমরা তদন্ত করে দেখেছি গুলির অভিযোগটি সত্য নয়। এ সময় কোনো ধরনের গুলি করা হয়নি।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Global Sumud Flotilla was arrested in Bangladesh

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আটক করায় নিন্দা বাংলাদেশের

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আটক করায় নিন্দা বাংলাদেশের

গাজার উদ্দেশ্যে যাওয়া মানবিক সহায়তাকারী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আটকের ঘটনায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক জলসীমায় জাহাজ আটকের ঘটনা আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছে ঢাকা।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানানো হয়।

অবিলম্বে ইসরায়েলকে নিঃশর্তভাবে আটক সব মানবিক সহায়তা কর্মী ও অ্যাক্টিভিস্টদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলছে, অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান, আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধ ও মানবিক অবরোধ তুলে নিতে ইসরায়েলকে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, মানবিক সহায়তা বহনকারী নৌবহরটি ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বৈশ্বিক সংহতির প্রতিনিধিত্ব করে। ইসরায়েলি বাহিনীর উচিত গাজায় বেসামরিক জনগণের জন্য বাধাহীন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা।

বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ এই চরম দুর্দশা ও ভোগান্তির সময়ে ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে অবিচল সংহতি বজায় রাখার কথা পুনরায় ব্যক্ত করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়।

প্রায় ৪৫টি জাহাজ নিয়ে গঠিত‌‌ ‌‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহর গত মাসে স্পেন থেকে গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফিলিস্তিনপন্থী রাজনীতিবিদ ও মানবাধিকারকর্মীরা রয়েছেন। তাদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও আছেন। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ওপর ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধ ভাঙাই ছিল এই নৌবহরের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি যুদ্ধে ইতোমধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। গত বুধবার থেকেই ইসরায়েলি নৌবাহিনী ফ্লোটিলার বহরে থাকা নৌযান আটক করতে শুরু করে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শত মত মানবাধিকারকর্মী, রাজনীতিক ও সাংবাদিকদের বহনকারী গাজা অভিমুখী ফ্লোটিলার ৪৫টি জাহাজের প্রায় সবগুলোই আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই মানবাধিকার কর্মীরা ইসরায়েলের আরোপিত গাজার সামুদ্রিক অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করছিলেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Linguist Ahmed Rafiqs death is the main adviser

ভাষাসৈনিক আহমদ রফিকের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

ভাষাসৈনিক আহমদ রফিকের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

ভাষাসৈনিক, কবি, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আহমদ রফিক ছিলেন ভাষা আন্দোলনের এক অগ্রগণ্য সাক্ষী ও সংগ্রামী কণ্ঠস্বর। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন একজন অনন্য কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও রবীন্দ্রতত্ত্বচর্চার দিশারি। শতাধিক গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনার মাধ্যমে তিনি বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছেন।

রবীন্দ্রচর্চার ক্ষেত্রে তার অবদান দুই বাংলায় সমানভাবে শ্রদ্ধার আসন পেয়েছে। কলকাতার টেগর রিসার্চ ইনস্টিটিউট তাঁকে ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছে, যা তাঁর বিদগ্ধতার স্বীকৃতি।’

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘দেশের সংস্কৃতি ও মুক্তচিন্তার জগতে আহমদ রফিকের প্রয়াণ এক অপূরণীয় ক্ষতি। দৃষ্টিশক্তি ও শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি শেষ দিন পর্যন্ত জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে গেছেন।’

মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তিনি বলেন, ‘আহমদ রফিকের জীবন ও কর্ম ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে তাকে স্মরণ করবে।’

প্রধান উপদেষ্টা শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, শুভানুধ্যায়ী ও সাহিত্য-সংস্কৃতিমনা জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

মন্তব্য

p
উপরে