সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের খুলনা পাওয়ার দর হারিয়েছে ৭ টাকা ৫০ পয়সা বা ১৬.৫৫ শতাংশ।
গত বছর করোনা সংক্রমণের মধ্যে কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ঠিক করা হয় ৪৫ টাকা ৩০ পয়সা। তবে তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে আগ্রহ হারানো বিনিয়োগকারীরা আর এই দামে শেয়ার কিনতে রাজি হচ্ছিলেন না। ফলে হাতবদল হতো না বললেই চলে।
সম্প্রতি যে ৬৬টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া হয়েছে, তার মধ্যে একটি হলো এই খুলনা পাওয়ার। গত ৭ এপ্রিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সিদ্ধান্তের পর দিনই দর কমে হয় ৪০ টাকা ৮০ পয়সা। সর্বোচ্চ ১০ শতাংশের হিসাবে সেদিন দাম কমার সুযোগ ছিল ৪ টাকা ৫০ পয়সা। হয়েছেও তা।
এই দরপতনের প্রতিক্রিয়ায় বিএসইসি জানায়, এই ৬৬ কোম্পানির দর একদিনে সর্বোচ্চ দুই শতাংশ কমতে পারবে। এরপরের তিন কার্যদিবসে এই পরিমাণ করেই দাম কমে কোম্পানিটির। দ্বিতীয় দিন ৮০ পয়সা কমার সুযোগ ছিল দাম। ততটাই কমে ১১ জানুয়ারি দাম দাঁড়ায় ৪০ টাকা। পরের দিন আরও ৮০ পয়সা কমে দাম দাঁড়ায় ৩৯ টাকা ২০ পয়সা।
এর পরের দুই কার্যদিবসে দাম ৭০ পয়সা করে কমার সুযোগ ছিল। কেপিসিএলের দাম ততটাই কমে ১২ ও ১৩ জানুয়ারি হয় যথাক্রমে ৩৮ টাকা ৫০ পয়সা ও ৩৭ টাকা ৮০ পয়সা।
একইভাবে টানা চার কার্যদিবস সর্বোচ্চ পরিমাণে দরপতন হয় বস্ত্র খাতের দুলামিয়া কটনের। ফ্লোর প্রাইস ৪৮ টাকা ১০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৪০ টাকা ৪০ পয়সা।
লোকসানি এই কোম্পানিটির শেয়ার নিয়ে গত তিন বছর ধরে নানা কারসাজির অভিযোগ উঠেছে। গত বছর এক পর্যায়ে দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায় যদিও কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর কখনও লভ্যাংশ দিয়েছে কি না, এমন কোনো তথ্য নেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে।
দর হারিয়েছে মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ারও। ফ্লোর প্রাইস ২৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে কমতে কমতে দাম এখন ২০ টাকা ১০ পয়সা।
এভাবে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পর এই ৬৬ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগই দর হারিয়েছে পাঁচ কার্যদিবসে যত কমা সম্ভব ততই।
প্রথম লকডাউনের মধ্যেই ৭ এপ্রিল বিএসইসি কমিশন সভায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৬৬টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস বাতিল করা হয়।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির এমন সিদ্ধান্তে তার পরের দিন ব্যাপক দরপতন হয়। ৬৬টি কোম্পানির শেয়ার দর ঢালাওভাবে কমে যায়। বেশির ভাগ কোম্পানি দিনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ ও তার কাছাকাছি দর হারায়।
পরে বিএসইসি ১০ এপ্রিল সিদ্ধান্ত জানায়, এসব কোম্পানির শেয়ার দর দিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে পারবে। কিন্তু কমবে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ।
এরপর থেকে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমছে দুই শতাংশ করেই।
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রশিদ চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস যে জন্য দেয়া হয়েছিল সেটি আগে রক্ষা করতে হবে। করোনা মহামারি এখন বিদ্যমান। এমন অবস্থায় ফ্লোর প্রাইস বাতিল না করে বরং তা কীভাবে আগের অবস্থায় নেয়া যায় সেটি ভাবা উচিত।’
পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী মোজাম্মেল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনা মহামারি থেকে পুঁজিবাজারকে রক্ষার জন্যই ফ্লোর প্রাইস দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটি এই সময়ে উঠানো উচিত হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘করোনার প্রথম পর্যায়ের পর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে পুঁজিবাজার ভালো হয়েছিল। তখন চাইলে ওঠানো যেত। কিন্তু পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থায় এ ধরনের সিদ্ধান্তের কারণে সূচক ও লেনদেনে মন্দাবস্থা দেখা গিয়েছিল। এখন পুঁজিবাজার স্বাভাবিক হলেও ৬৬ কোম্পানির শেয়ার দরে পতন অব্যাহত আছে।’
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেছেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার মানদণ্ডে ‘এ’ ক্যাটাগরির। পুঁজিবাজারে বিশেষ কিছুর মাধ্যমে কোম্পানির শেয়ার দর আটকে রাখা হলে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে আমরা পিছিয়ে যাব।
কোন কোম্পানি কত দর হারাল
এ কোম্পানিগুলোর ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়ার পর এখন পর্যন্ত পাঁচদিন লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দিন কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমা ও বাড়ার সুযোগ ছিল। তবে সেদিন ঢালাওভাবে প্রায় সবগুলোর শেয়ার দর কমেছিল।
তারপর বিএসইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব কোম্পানির শেয়ার দর ১০ শতাংশ নয় বরং দিনের সর্বোচ্চ ২ শতাংশ করে কমতে পারবে, যা গত ১১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়।
এডভান্ট ফার্মা লিমিটেডের বর্তমান শেয়ার দর ১৯ টাকা ১০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ২২ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ পাঁচ দিনে কোম্পানিটি ৩ টাকা ৭০ পয়সা বা ১৬.২ শতাংশ দর হারিয়েছে।
এএফসি এগ্রো বায়োটেক লিমিটেডের শেয়ার দর বর্তমানে ১৪ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৭ টাকা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা বা ১৩ দশমিক ৫২ শতাংশ।
আলিফ ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেডের বর্তমান শেয়ার দর ২২ টাকা ৮০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৬ টাকা ২০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৩ টাকা ৪০ পয়সা বাস ১২. ৯৮ শতাংশ।
আরগন ড্রাগন স্যুয়েটারের প্রতিটি শেয়ারের দর বর্তমানে ১৬ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৯ টাকা ২০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ২ টাকা ৫০ পয়সা বা ১৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ারের দর বর্তমানে ১৫ টাকা ৪০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৬ টাকা ২০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৮০ পয়সা বা ৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেডের ক্ষেত্রে ছিল ভিন্ন অবস্থা। গত এক বছরে কোম্পানিটির কোনো লেনদেন হয়নি। শেয়ার প্রতি দর বর্তমানে ৫ টাকা ২০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইসও নির্ধারণ করা আছে ৫ টাকা ২০ পয়সা।
বিচ হ্যাচারির প্রতিটি শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ১১ টাকা ৮০ পয়সায়। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইসও ছিল ১৩ টাকা ৬০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ৮০ পয়সা বা ১৩ দশমিক ২৩ শতাংশ।
বেঙ্গল উন্ডশন থার্মোপ্লাস্টিস লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ১৫ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ টাকা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা বা ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ১০ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয় ১২ টাকা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা বা ১৪ দশমিক ১৬ শতাংশ।
কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮ টাকা ৫০ পয়সা। ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০ টাকা ৭০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ২ টাকা ২০ পয়সা বা ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ।
ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের প্রতিটি ইউনিটি লেনদেন হচ্ছে ৬ টাকা ৬০ পয়সায়। ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬ টাকা ৯০ পয়সা।
এই ফান্ডটি দর হারিয়েছে ৩০ পয়সা বা ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
ডেসকোর প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ৩২ টাকা ৮০ পয়সা। ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৪ টাকা ৮০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ২ টাকা বা ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ১০ টাকায়। ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০ টাকা ৪০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৪০ পয়সা বা প্রায় ৪ শতাংশ।
এসস্কয়ার নিট কম্পোটিজ লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ২১ টাকা ২০ পয়সা। ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ২১ টাকা ৯০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৭০ পয়সা বা ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ।
ইভিন্স টেক্সটাইল লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ারের লেনদেন হচ্ছে ৭ টাকায়। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮ টাকা ২০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা বা ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
ফার ক্যামিকেল ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ৮ টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ টাকা ৮০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা বা ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ।
ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ৩৮ টাকা ১০ পয়সায়। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০ টাকা ১০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ২ টাকা বা ৫ শতাংশ।
গোল্ডেন হারভেস্ট এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৬ টাকা ৭০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা বা ৭ দশমিক ২ শতাংশ।
গোল্ডেন হ্যাভি ক্যামিকেল লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ২৮ টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩১ টাকা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ২ টাকা ৫০ পয়সা বা ৮ শতাংশ।
হামিদ ফেব্রিক্স লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ১৪ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৫ টাকা ৭০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা বা ৯ শতাংশ।
ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ১৬ টাকা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৯ টাকা ১০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৩ টাকা ১০ পয়সা বা ১৬ দশমিক ২৩ শতাংশ।
খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ১৪ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৭ টাকা ৬০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা বা ১৩ দশমিক ৫২ শতাংশ।
মেট্রো স্পিনিং লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ৭ টাকা ৯০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৮ টাকা ৫০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৬০ পয়সা বা ৭ শতাংশ।
এম এল ড্রাইং লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ৪১ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৫০ টাকা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৮ টাকা ৩০ পয়সা বা ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ।
নাহী অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেল লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ৩৯ টাকা ২০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৭ টাকা ১০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৭ টাকা ৯০ পয়সা বা ১৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
প্যাসিফিক ডেনিম লিমিটেডের বর্তমান দর ৭ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৮ টাকা ৫০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৮০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ।
সাফকো স্পিনিং মিলসের বর্তমান দর ১০ টাকা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১১ টাকা ২০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা বা ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ।
জাহিন স্পিনিং মিলসের বর্তমান দর ৫ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৬ টাকা ৩০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা বা ১৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
রিং সাইন টেক্সটাইলের বর্তমান দর ৫ টাকা ৪০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৬ টাকা ৪০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা বা ১৫ দশমিক ৬২ শতাংশ।
নূরানী ডাইংয়ের বর্তমান দর ৬ টাকা ৬০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৭ টাকা ৭০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা বা ১৪ দশমিক ২৮ শতাংশ।
রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলসের বর্তমান দর ৭ টাকা ১০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৭ টাকা ৮০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৭০ পয়সা বা ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের বর্তমান দর ১৩ টাকা ২০। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৪ টাকা ৬০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের বর্তমান দর ১২ টাকা ৮০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৫ টাকা ১০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা বা ১৫ দশমিক ২৩ শতাংশ।
সায়হাম কটনের বর্তমান দর ১৩ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৬ টাকা ১০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ২ টাকা ৪০ পয়সা বা ১৪ দশমিক ৯০ শতাংশ।
প্যারামাউন্ড টেক্সটাইলের বর্তমান দর ৪৩। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৮ টাকা ৯০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৫ টাকা ৯০ পয়সা বা ১২ দশমিক ০৬ শতাংশ।
কুইন্স সাউথ টেক্সটাইলের বর্তমান দর ২১ টাকা ৯০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২৪ টাকা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা বা ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের বর্তমান দর ১৮ টাকা ৯০। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২২ টাকা ৫০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৩ টাকা ৬০ পয়সা বা ১৬ শতাংশ।
সোনারগাঁও টেক্সটাইলের বর্তমান দর ২১ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২৪ টাকা ৫০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৩ টাকা ২০ পয়সা বা ১৩ দশমিক ০৬ শতাংশ।
সায়হাম টেক্সটাইলের বর্তমান দর ২০ টাকা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২৪ টাকা ৫০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৪ টাকা ৫০ পয়সা বা ১৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
প্রাইম টেক্সটাইলের বর্তমান দাম ১৪ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৫ টাকা ৮০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা বা ৭ শতাংশ।
শাসা ডেনিমের বর্তমান দাম ১৮ টাকা ৪০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২১ টাকা ৬০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৩ টাকা ২০ পয়সা বা ১৪ দশমিক ৮১ শতাংশ।
উত্তরা ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের বর্তমান দাম ৩৬ টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৩ টাকা ৬০ পয়সা।
কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৭ টাকা ১০ পয়সা বা ১১৬. ২৮ শতাংশ।
রূপালী ব্যাংকের বর্তমান দাম ২৪ টাকা ১০ পয়সা। কোম্পাটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২৪ টাকা ৪০ পয়সা।
কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৩০ পয়সা বা ১ দশমিক ২২ শতাংশ।
ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের বর্তমান দর ৯ টাকা ৬০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১১ টাকা ৫০ পয়সা।
কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ৯০ পয়সা বা ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ।
অলেম্পিক একসেসরিসের বর্তমান দর ৬ টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৬ টাকা ৮০ পয়সা।
কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৩০ পয়সা বা ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।
উসমানিয়া গ্লাস শিটের বর্তমান দাম ৪১ টাকা ৮০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৪ টাকা ৮০ পয়সা।
কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৩ টাকা বা ৬ দশমিক ৭ শতাংশ।
ওয়াইমেক্স ইলেকট্রোডের বর্তমান দাম ২০ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২৪ টাকা ৩০ পয়সা।
সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের বর্তমান দাম ১৮ টাকা ৪০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২১ টাকা ৭০ পয়সা।
কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৩ টাকা ৩০ পয়সা বা ১৫ দশমিক ২০ শতাংশ।
ইয়াকিন পলিমারের বর্তমান দাম ৯ টাকা ৪০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১১ টাকা ১০ পয়সা।
কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা বা ১৪ দশমিক ৯১ শতাংশ।
সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজের বর্তমান দাম ৪৩ টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৮ টাকা ১০ পয়সা।
কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৪ টাকা ৬০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান দাম ৩৮ টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪০ টাকা।
কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা বা ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের বর্তমান দাম ৩৩ টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩৯ টাকা ৫০ পয়সা।
কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৬ টাকা ৩০ পয়সা বা ১৫ দশমিক ২০ শতাংশ।
সিলভা ফার্মার বর্তমান দাম ১৬ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৮ টাকা ৩০ পয়সা।
কোম্পানিটি দর কমেছে ২ টাকা বা ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ।
দর বেড়েছে যেগুলোর
ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর বেশ কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে।
আর এন স্পিনিং মিলসের বর্তমান দর ৪ টাকা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩ টাকা ৭০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর বেড়েছে ৩০ পয়সা বা ৮ দশমিক ১০ শতাংশ।
আইএফআইসি ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান এর প্রতিটি ইউনিটি লেনদেন হচ্ছে ৬ টাকায়। এটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫ টাকা ৬০ পয়সা।
এই ফান্ডের দাম বেড়েছে ৪০ পয়সা বা ৭.১৪ শতাংশ।
আইপিডিসি ফিন্যান্স লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ২৩ টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২২ টাকা ৬০ পয়সা।
এই কোম্পানিটি দর বেড়েছে ৯০ পয়সা বা ৪ শতাংশ।
নাভানা সিএনজি লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ৩৪ টাকা ২০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩৩ টাকা।
এই কোম্পানিটি দর বেড়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা বা ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ডের দাম ৮.১। এর ফ্লোর প্রাইস ছিল ৭ টাকা ৮০ পয়সা।
কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৩০ পয়সা বা শতকরা ৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
কাট্টালী টেক্সটাইল লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৯ টাকা ৩০ পয়সা।
এই কোম্পাটির শেয়ারদর কমেনিও, বাড়েওনি।
পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স সার্ভিসের ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার হলেও লেনদেন হয়নি।
আরও পড়ুন:
দেশের ক্রমবর্ধমান স্টার্ট-আপ খাতকে অর্থায়ন সুবিধা দিতে ব্র্যাক ব্যাংকের সাথে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এই চুক্তির আওতায় স্টার্ট-আপ খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের সৃষ্ট ৫০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল ব্যবহারের সুযোগ পাবে ব্র্যাক ব্যাংক, যা ব্যাংকটির এই খাতে অর্থায়ন সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করবে। এ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো, অর্থায়ন সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে উদীয়মান উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং তাঁদেরকে জাতীয় অর্থনীতিতে আরও বেশি অবদান রাখতে উৎসাহিত করা।
২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এবং ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন চুক্তিপত্র হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অংশগ্রহণকারী ২২টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের সহায়তায় এই উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করা হবে।
এই সম্ভাবনাময় খাতের উদ্যোক্তাদের অর্থায়নের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই খাতটি ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে টেকসই সম্পর্কও গড়ে তুলছে। ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন সুবিধাটি উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী উদ্যোগ সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন পেতে সহায়তা করবে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগ বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় তরুণ উদ্যোগগুলোর বিকাশে ব্যাংকটির ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখবে।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ২৯১টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
দেশে বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার খাতে স্মার্ট ও জ্বালানি-সাশ্রয়ী ব্যাটারির ব্যবহার বাড়াতে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও সোলশেয়ার লিমিটেড কৌশলগত অংশীদারিত্বে যুক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কিমিয়া সাআদত এবং সোলশেয়ার লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ড. সেবাস্টিয়ান গ্রোহ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংকের, হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং ও হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মো. আরিফুল ইসলাম; হেড অব এডিসি অ্যান্ড হেড অব এমডি’স কোঅর্ডিনেশন টিম মো. মামুন-উর রহমান; সোলশেয়ার-এর ফাইন্যান্স ডিরেক্টর আনিসা আলী, সিএফএ সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এই অংশীদারিত্বের ফলে দেশের শত শত বৈদ্যুতিক পরিবহনের গ্যারেজ সহজেই স্মার্ট ব্যাটারি প্রযুক্তি গ্রহণে সক্ষম হবে। এখন পর্যন্ত উচ্চ ব্যয়ের কারণে অনেক উদ্যোক্তা ব্যাটারি ব্যবহারে আগ্রহী হলেও অর্থায়নের সীমাবদ্ধতায় তা সম্ভব হচ্ছিল না। কমিউনিটি ব্যাংকের গ্রিন এসএমই ঋণ সুবিধা ও সোলশেয়ার -এর উদ্ভাবনী পে-অ্যাজ-ইউ-গো (পিএওয়াইজি) প্রযুক্তি একত্রে উদ্যোক্তাদের জন্য সাশ্রয়ী, নমনীয় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।
এ উদ্যোগের মাধ্যমে গ্যারেজ মালিকরা টেকসই অর্থায়ন সুবিধা পাবেন, দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে জ্বালানি-সাশ্রয়ী ব্যাটারি ব্যবহার, দেশের বৈদ্যুতিক পরিবহন খাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হবে এবং বাংলাদেশ পরিচ্ছন্ন জ্বালানির দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।
এই উদ্যোগকে দেশের পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ও টেকসই পরিবহন ব্যবস্থার জন্য এক মাইলফলক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
যমুনা ব্যাংক পিএলসি. এবং অ্যাপোলো ক্লিনিক লাইসেন্সঃ জেএমআই স্পেশালাইজড হাসপাতাল লিমিটেডের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে রাজধানীর যমুনা ব্যাংক টাওয়ারে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। যমুনা ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিবিও নূর মোহাম্মদ এবং অ্যাপোলো জেএমআই স্পেশালাইজড হাসপাতাল লিমিটেডের উপদেষ্টা মসিউর রহমান কামাল উক্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে যমুনা ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মো. আব্দুস সালামসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এই চুক্তির মাধ্যমে যমুনা ব্যাংক তাদের সম্মানিত গ্রাহক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাঁদের পোষ্যদের জন্য বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা আরও সহজলভ্য ও সুফলদায়ক করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করল। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অ্যাপোলো ক্লিনিকের লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে জেএমআই স্পেশালাইজড হাসপাতালের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব গ্রাহকদের জন্য বিশেষ সুবিধাসহ উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করবে।
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত সোমবার কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার হতদরিদ্র কৃষক ও রিকশাচালককে স্ত্রী ও সন্তানের চিকিৎসার জন্য পাঁচ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি।
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির করপোরেট প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ইমতিয়াজ ইউ. আহমেদ হতদরিদ্র কৃষক ও রিকশাচালক মো. মেহেদী হাসানকে ওই অনুদানের চেক প্রদান করেন।
ওই অনুদানের চেক প্রদানকালে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির এসইভিপি ও কোম্পানি সচিব জনাব মো. আবুল বাশার, ব্যাংকের এসএভিপি মো. জাকির হোসেন, ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগ ও ব্যাংক ফাউন্ডেশনের ইনচার্জ কে. এম. হারুনুর রশীদ এবং ব্যাংক ফাউন্ডেশন এর এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. কামাল মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় সীমান্ত ব্যাংকের উদ্যোগে শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) এবং টেকনাফ (কক্সবাজার) উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপনের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। এই কর্মসূচির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করা হয় এবং বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করা হয়। শ্যামনগরের ৭টি এবং টেকনাফে ২টি বিদ্যালয়ে গাছের চারা রোপণ করা হয়।
সীমান্ত ব্যাংকের টেকনাফ শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হোসেন এবং শ্যামনগর উপশাখার ব্যবস্থাপক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম যথাক্রমে টেকনাফ এবং শ্যামনগরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী সমন্বয় করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীগন স্বতঃস্ফূর্তভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেন।
বাংলাদেশে প্রতি বছর হাজারো মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে যক্ষ্মা (টিবি)। কেবল ২০২৩ সালেই ৪৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে- ফলে প্রতি ১২ মিনিটে একজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন যক্ষ্মায়। এই জাতীয় সংকট মোকাবেলায় সাহসী উদ্যোগ নিয়েছে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। জীবনরক্ষাকারী যক্ষ্মা প্রতিরোধ কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করতে প্রাইম ব্যাংক বিশ্বখ্যাত স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি-এরর সাথে অংশীদারিত্ব করেছে।
আজ (০৯ সেপ্টেম্বর) গুলশানে প্রাইম ব্যাংকের করপোরেট অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রাইম ব্যাংক এক বছরের জন্য আইসিডিডিআর,বি-এর সিলেট টিবি স্ক্রিনিং অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টার (TBSTC)-এর যক্ষ্মা পরীক্ষার ও চিকিৎসা সেবার ধারাবাহিকতায় আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। প্রাইম ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান ও. রশীদ এবং আইসিডিডিআর,বি-এর নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমীদ আহমেদ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
দেশে যক্ষ্মা প্রতিরোধে দীর্ঘদিনের আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৫ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষকে স্ক্রিনিং করেছে। এ সময়ে শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজারের বেশি টিবি রোগী, যার মধ্যে ১৮ হাজার শিশু। পাশাপাশি ৫,৫০০-এরও বেশি ওষুধ-প্রতিরোধী টিবি রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এই সহযোগিতার মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কমিউনিটির কল্যাণে তাদের অঙ্গীকার আরও জোরদার করছে। ব্যাংকটি প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু হ্রাস এবং একটি সুস্থ, সহনশীল বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
উপর্যুক্ত বিষয়ের প্রতি সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো।
০২। সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কাস্টমস হাউস/স্টেশনে আমদানিকালে দাখিলকৃত পণ্য ঘোষণায় প্রদত্ত পণ্যের বর্ণনা ও HS Code কায়িক পরীক্ষায় পণ্যের নমুনা কিংবা শুল্কায়ন পরবর্তী সময়ে পণ্যের ঘোষিত বর্ণনা পরিবর্তিত হয়, যা ক্ষেত্রবিশেষে প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স অথবা প্রাপ্যতা শীট বা সংশ্লিষ্ট Utilization Declaration (UD) তে অন্তর্ভূক্ত থাকে না। ফলে শুল্কায়নকালে উহা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে যথাসময়ে কাঁচামাল/পণ্য খালাস না হওয়ায় রপ্তানি আদেশ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য জাহাজীকরণে বিঘ্ন ঘটছে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অবগত হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বর্তমানে বৈশ্বিক বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ও রপ্তানি বাণিজ্যের বৃহত্তর স্বার্থে জরুরি বিবেচনায় নিম্নরূপ নির্দেশনা প্রদান করা হলো:
(ক) বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত বর্ণনা ও HS Code অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিল করার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ভিন্ন HS Code নিরূপণ করলে এবং নিরূপিত HS Code এর প্রথম ৪ ডিজিট বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত HS Code এর প্রথম ৪ ডিজিট এর সাথে মিল থাকলে; আমদানিকারক পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে এই নিরূপিত HS Code বন্ড লাইসেন্সে ও ইউডিতে অন্তর্ভূক্ত করবেন মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা সংশ্লিষ্ট কাস্টমস হাউস এর কমিশনার এর নিকট দাখিল করবেন যার বিপরীতে কমিশনার পণ্যচালান খালাসের অনুমতি প্রদান করে সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটকে অবহিত করবেন।
(খ) বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত বর্ণনা ও HS Code অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিল করার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ভিন্ন বর্ণনা নিরূপণ করলে; আমদানিকারক পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে উক্তরূপ নিরূপিত পণ্যের বর্ণনা বন্ড লাইসেন্সে ও ইউডিতে অন্তর্ভূক্ত করবেন মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা সংশ্লিষ্ট কাস্টমস হাউস এর কমিশনার এর নিকট দাখিল করবেন যার বিপরীতে কমিশনার পণ্যচালান খালাসের অনুমতি প্রদান করে সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটকে অবহিত করবেন।
গ) বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত বর্ণনা ও HS Code অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিল করার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ভিন্ন HS Code নিরূপণ করা হলে এবং বন্ড লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কাস্টমস বন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটের মাধ্যমে তার প্রাপ্যতায় উক্ত HS Code অন্তর্ভুক্ত করলে কাস্টমস হাউস এর কমিশনার পণ্যচালান খালাসের অনুমতি প্রদান করবেন এবং পণ্য চালান খালাসের তথ্য সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটকে অবহিত করবেন।
০৩। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে; এবং বর্তমানে উক্তরূপ কারণে শুল্কায়ন নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষমান পণ্যচালানসমূহের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
মন্তব্য