× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
ফ্লোর প্রত্যাহার দর হারাল ৫৯টি বেড়েছে ৫
google_news print-icon

ফ্লোর প্রত্যাহার: দর হারাল ৫৯টি, বেড়েছে ৫

ফ্লোর-প্রত্যাহার-দর-হারাল-৫৯টি-বেড়েছে-৫
প্রথম লকডাউনের মধ্যেই ৭ এপ্রিল বিএসইসি কমিশন সভায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৬৬টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস বাতিল করা হয়। পরের দিন ব্যাপক দরপতন হলে বিএসইসি ১০ এপ্রিল জানায়, ৬৬টি কোম্পানির শেয়ার দর দিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে পারবে কিন্তু কমবে ২ শতাংশ। এরপর থেকে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমছে দুই শতাংশ করেই।

সর্বনিম্ন দর বা ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের খুলনা পাওয়ার দর হারিয়েছে ৭ টাকা ৫০ পয়সা বা ১৬.৫৫ শতাংশ।

গত বছর করোনা সংক্রমণের মধ্যে কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ঠিক করা হয় ৪৫ টাকা ৩০ পয়সা। তবে তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে আগ্রহ হারানো বিনিয়োগকারীরা আর এই দামে শেয়ার কিনতে রাজি হচ্ছিলেন না। ফলে হাতবদল হতো না বললেই চলে।

সম্প্রতি যে ৬৬টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে দেয়া হয়েছে, তার মধ্যে একটি হলো এই খুলনা পাওয়ার। গত ৭ এপ্রিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সিদ্ধান্তের পর দিনই দর কমে হয় ৪০ টাকা ৮০ পয়সা। সর্বোচ্চ ১০ শতাংশের হিসাবে সেদিন দাম কমার সুযোগ ছিল ৪ টাকা ৫০ পয়সা। হয়েছেও তা।

এই দরপতনের প্রতিক্রিয়ায় বিএসইসি জানায়, এই ৬৬ কোম্পানির দর একদিনে সর্বোচ্চ দুই শতাংশ কমতে পারবে। এরপরের তিন কার্যদিবসে এই পরিমাণ করেই দাম কমে কোম্পানিটির। দ্বিতীয় দিন ৮০ পয়সা কমার সুযোগ ছিল দাম। ততটাই কমে ১১ জানুয়ারি দাম দাঁড়ায় ৪০ টাকা। পরের দিন আরও ৮০ পয়সা কমে দাম দাঁড়ায় ৩৯ টাকা ২০ পয়সা।

এর পরের দুই কার্যদিবসে দাম ৭০ পয়সা করে কমার সুযোগ ছিল। কেপিসিএলের দাম ততটাই কমে ১২ ও ১৩ জানুয়ারি হয় যথাক্রমে ৩৮ টাকা ৫০ পয়সা ও ৩৭ টাকা ৮০ পয়সা।

একইভাবে টানা চার কার্যদিবস সর্বোচ্চ পরিমাণে দরপতন হয় বস্ত্র খাতের দুলামিয়া কটনের। ফ্লোর প্রাইস ৪৮ টাকা ১০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৪০ টাকা ৪০ পয়সা।

লোকসানি এই কোম্পানিটির শেয়ার নিয়ে গত তিন বছর ধরে নানা কারসাজির অভিযোগ উঠেছে। গত বছর এক পর্যায়ে দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায় যদিও কোম্পানিটি ১৯৮৯ সালে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর কখনও লভ্যাংশ দিয়েছে কি না, এমন কোনো তথ্য নেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে।

দর হারিয়েছে মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের শেয়ারও। ফ্লোর প্রাইস ২৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে কমতে কমতে দাম এখন ২০ টাকা ১০ পয়সা।

এভাবে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পর এই ৬৬ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগই দর হারিয়েছে পাঁচ কার্যদিবসে যত কমা সম্ভব ততই।

প্রথম লকডাউনের মধ্যেই ৭ এপ্রিল বিএসইসি কমিশন সভায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৬৬টি কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস বাতিল করা হয়।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির এমন সিদ্ধান্তে তার পরের দিন ব্যাপক দরপতন হয়। ৬৬টি কোম্পানির শেয়ার দর ঢালাওভাবে কমে যায়। বেশির ভাগ কোম্পানি দিনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ ও তার কাছাকাছি দর হারায়।

পরে বিএসইসি ১০ এপ্রিল সিদ্ধান্ত জানায়, এসব কোম্পানির শেয়ার দর দিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে পারবে। কিন্তু কমবে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ।

এরপর থেকে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদর কমছে দুই শতাংশ করেই।

বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রশিদ চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস যে জন্য দেয়া হয়েছিল সেটি আগে রক্ষা করতে হবে। করোনা মহামারি এখন বিদ্যমান। এমন অবস্থায় ফ্লোর প্রাইস বাতিল না করে বরং তা কীভাবে আগের অবস্থায় নেয়া যায় সেটি ভাবা উচিত।’

পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী মোজাম্মেল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনা মহামারি থেকে পুঁজিবাজারকে রক্ষার জন্যই ফ্লোর প্রাইস দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটি এই সময়ে উঠানো উচিত হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘করোনার প্রথম পর্যায়ের পর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে পুঁজিবাজার ভালো হয়েছিল। তখন চাইলে ওঠানো যেত। কিন্তু পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থায় এ ধরনের সিদ্ধান্তের কারণে সূচক ও লেনদেনে মন্দাবস্থা দেখা গিয়েছিল। এখন পুঁজিবাজার স্বাভাবিক হলেও ৬৬ কোম্পানির শেয়ার দরে পতন অব্যাহত আছে।’

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেছেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার মানদণ্ডে ‘এ’ ক্যাটাগরির। পুঁজিবাজারে বিশেষ কিছুর মাধ্যমে কোম্পানির শেয়ার দর আটকে রাখা হলে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে আমরা পিছিয়ে যাব।

ফ্লোর প্রত্যাহার: দর হারাল ৫৯টি, বেড়েছে ৫

কোন কোম্পানি কত দর হারাল

এ কোম্পানিগুলোর ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়ার পর এখন পর্যন্ত পাঁচদিন লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দিন কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমা ও বাড়ার সুযোগ ছিল। তবে সেদিন ঢালাওভাবে প্রায় সবগুলোর শেয়ার দর কমেছিল।

তারপর বিএসইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব কোম্পানির শেয়ার দর ১০ শতাংশ নয় বরং দিনের সর্বোচ্চ ২ শতাংশ করে কমতে পারবে, যা গত ১১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়।

এডভান্ট ফার্মা লিমিটেডের বর্তমান শেয়ার দর ১৯ টাকা ১০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ২২ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ পাঁচ দিনে কোম্পানিটি ৩ টাকা ৭০ পয়সা বা ১৬.২ শতাংশ দর হারিয়েছে।

এএফসি এগ্রো বায়োটেক লিমিটেডের শেয়ার দর বর্তমানে ১৪ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৭ টাকা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা বা ১৩ দশমিক ৫২ শতাংশ।

আলিফ ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেডের বর্তমান শেয়ার দর ২২ টাকা ৮০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৬ টাকা ২০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৩ টাকা ৪০ পয়সা বাস ১২. ৯৮ শতাংশ।

আরগন ড্রাগন স্যুয়েটারের প্রতিটি শেয়ারের দর বর্তমানে ১৬ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৯ টাকা ২০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ২ টাকা ৫০ পয়সা বা ১৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ারের দর বর্তমানে ১৫ টাকা ৪০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৬ টাকা ২০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৮০ পয়সা বা ৫ শতাংশ।

বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেডের ক্ষেত্রে ছিল ভিন্ন অবস্থা। গত এক বছরে কোম্পানিটির কোনো লেনদেন হয়নি। শেয়ার প্রতি দর বর্তমানে ৫ টাকা ২০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইসও নির্ধারণ করা আছে ৫ টাকা ২০ পয়সা।

বিচ হ্যাচারির প্রতিটি শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ১১ টাকা ৮০ পয়সায়। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইসও ছিল ১৩ টাকা ৬০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ৮০ পয়সা বা ১৩ দশমিক ২৩ শতাংশ।

বেঙ্গল উন্ডশন থার্মোপ্লাস্টিস লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ১৫ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ টাকা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা বা ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ১০ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয় ১২ টাকা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা বা ১৪ দশমিক ১৬ শতাংশ।

কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮ টাকা ৫০ পয়সা। ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০ টাকা ৭০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ২ টাকা ২০ পয়সা বা ১০ দশমিক ৬২ শতাংশ।

ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের প্রতিটি ইউনিটি লেনদেন হচ্ছে ৬ টাকা ৬০ পয়সায়। ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬ টাকা ৯০ পয়সা।

এই ফান্ডটি দর হারিয়েছে ৩০ পয়সা বা ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

ডেসকোর প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ৩২ টাকা ৮০ পয়সা। ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৪ টাকা ৮০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ২ টাকা বা ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ১০ টাকায়। ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০ টাকা ৪০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৪০ পয়সা বা প্রায় ৪ শতাংশ।

এসস্কয়ার নিট কম্পোটিজ লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ২১ টাকা ২০ পয়সা। ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ২১ টাকা ৯০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৭০ পয়সা বা ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ।

ইভিন্স টেক্সটাইল লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ারের লেনদেন হচ্ছে ৭ টাকায়। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮ টাকা ২০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা বা ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

ফার ক্যামিকেল ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ৮ টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ টাকা ৮০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা বা ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ।

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ৩৮ টাকা ১০ পয়সায়। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০ টাকা ১০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ২ টাকা বা ৫ শতাংশ।

গোল্ডেন হারভেস্ট এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ১৫ টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৬ টাকা ৭০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা বা ৭ দশমিক ২ শতাংশ।

গোল্ডেন হ্যাভি ক্যামিকেল লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ২৮ টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩১ টাকা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ২ টাকা ৫০ পয়সা বা ৮ শতাংশ।

হামিদ ফেব্রিক্স লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ১৪ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৫ টাকা ৭০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা বা ৯ শতাংশ।

ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ১৬ টাকা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৯ টাকা ১০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৩ টাকা ১০ পয়সা বা ১৬ দশমিক ২৩ শতাংশ।

খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ১৪ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৭ টাকা ৬০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা বা ১৩ দশমিক ৫২ শতাংশ।

মেট্রো স্পিনিং লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ৭ টাকা ৯০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৮ টাকা ৫০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৬০ পয়সা বা ৭ শতাংশ।

এম এল ড্রাইং লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ৪১ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৫০ টাকা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৮ টাকা ৩০ পয়সা বা ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ।

নাহী অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেল লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ৩৯ টাকা ২০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৭ টাকা ১০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৭ টাকা ৯০ পয়সা বা ১৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

প্যাসিফিক ডেনিম লিমিটেডের বর্তমান দর ৭ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৮ টাকা ৫০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৮০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ।

সাফকো স্পিনিং মিলসের বর্তমান দর ১০ টাকা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১১ টাকা ২০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা বা ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ।

জাহিন স্পিনিং মিলসের বর্তমান দর ৫ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৬ টাকা ৩০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা বা ১৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

রিং সাইন টেক্সটাইলের বর্তমান দর ৫ টাকা ৪০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৬ টাকা ৪০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা বা ১৫ দশমিক ৬২ শতাংশ।

নূরানী ডাইংয়ের বর্তমান দর ৬ টাকা ৬০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৭ টাকা ৭০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা বা ১৪ দশমিক ২৮ শতাংশ।

রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলসের বর্তমান দর ৭ টাকা ১০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৭ টাকা ৮০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৭০ পয়সা বা ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের বর্তমান দর ১৩ টাকা ২০। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৪ টাকা ৬০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের বর্তমান দর ১২ টাকা ৮০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৫ টাকা ১০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা বা ১৫ দশমিক ২৩ শতাংশ।

সায়হাম কটনের বর্তমান দর ১৩ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৬ টাকা ১০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ২ টাকা ৪০ পয়সা বা ১৪ দশমিক ৯০ শতাংশ।

প্যারামাউন্ড টেক্সটাইলের বর্তমান দর ৪৩। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৮ টাকা ৯০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৫ টাকা ৯০ পয়সা বা ১২ দশমিক ০৬ শতাংশ।

কুইন্স সাউথ টেক্সটাইলের বর্তমান দর ২১ টাকা ৯০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২৪ টাকা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা বা ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের বর্তমান দর ১৮ টাকা ৯০। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২২ টাকা ৫০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৩ টাকা ৬০ পয়সা বা ১৬ শতাংশ।

সোনারগাঁও টেক্সটাইলের বর্তমান দর ২১ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২৪ টাকা ৫০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৩ টাকা ২০ পয়সা বা ১৩ দশমিক ০৬ শতাংশ।

সায়হাম টেক্সটাইলের বর্তমান দর ২০ টাকা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২৪ টাকা ৫০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৪ টাকা ৫০ পয়সা বা ১৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

প্রাইম টেক্সটাইলের বর্তমান দাম ১৪ টাকা ৭০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৫ টাকা ৮০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা বা ৭ শতাংশ।

শাসা ডেনিমের বর্তমান দাম ১৮ টাকা ৪০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২১ টাকা ৬০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৩ টাকা ২০ পয়সা বা ১৪ দশমিক ৮১ শতাংশ।

উত্তরা ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের বর্তমান দাম ৩৬ টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৩ টাকা ৬০ পয়সা।

কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৭ টাকা ১০ পয়সা বা ১১৬. ২৮ শতাংশ।

রূপালী ব্যাংকের বর্তমান দাম ২৪ টাকা ১০ পয়সা। কোম্পাটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২৪ টাকা ৪০ পয়সা।

কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৩০ পয়সা বা ১ দশমিক ২২ শতাংশ।

ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের বর্তমান দর ৯ টাকা ৬০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১১ টাকা ৫০ পয়সা।

কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ৯০ পয়সা বা ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ।

অলেম্পিক একসেসরিসের বর্তমান দর ৬ টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৬ টাকা ৮০ পয়সা।

কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৩০ পয়সা বা ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।

উসমানিয়া গ্লাস শিটের বর্তমান দাম ৪১ টাকা ৮০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৪ টাকা ৮০ পয়সা।

কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৩ টাকা বা ৬ দশমিক ৭ শতাংশ।

ওয়াইমেক্স ইলেকট্রোডের বর্তমান দাম ২০ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২৪ টাকা ৩০ পয়সা।

সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের বর্তমান দাম ১৮ টাকা ৪০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২১ টাকা ৭০ পয়সা।

কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৩ টাকা ৩০ পয়সা বা ১৫ দশমিক ২০ শতাংশ।

ইয়াকিন পলিমারের বর্তমান দাম ৯ টাকা ৪০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১১ টাকা ১০ পয়সা।

কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা বা ১৪ দশমিক ৯১ শতাংশ।

সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজের বর্তমান দাম ৪৩ টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪৮ টাকা ১০ পয়সা।

কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৪ টাকা ৬০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের বর্তমান দাম ৩৮ টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৪০ টাকা।

কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা বা ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের বর্তমান দাম ৩৩ টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩৯ টাকা ৫০ পয়সা।

কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৬ টাকা ৩০ পয়সা বা ১৫ দশমিক ২০ শতাংশ।

সিলভা ফার্মার বর্তমান দাম ১৬ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ১৮ টাকা ৩০ পয়সা।

কোম্পানিটি দর কমেছে ২ টাকা বা ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ।

দর বেড়েছে যেগুলোর

ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের পর বেশ কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে।

আর এন স্পিনিং মিলসের বর্তমান দর ৪ টাকা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩ টাকা ৭০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর বেড়েছে ৩০ পয়সা বা ৮ দশমিক ১০ শতাংশ।

আইএফআইসি ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান এর প্রতিটি ইউনিটি লেনদেন হচ্ছে ৬ টাকায়। এটির ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫ টাকা ৬০ পয়সা।

এই ফান্ডের দাম বেড়েছে ৪০ পয়সা বা ৭.১৪ শতাংশ।

আইপিডিসি ফিন্যান্স লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ২৩ টাকা ৫০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ২২ টাকা ৬০ পয়সা।

এই কোম্পানিটি দর বেড়েছে ৯০ পয়সা বা ৪ শতাংশ।

নাভানা সিএনজি লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ৩৪ টাকা ২০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৩৩ টাকা।

এই কোম্পানিটি দর বেড়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা বা ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ডের দাম ৮.১। এর ফ্লোর প্রাইস ছিল ৭ টাকা ৮০ পয়সা।

কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৩০ পয়সা বা শতকরা ৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

কাট্টালী টেক্সটাইল লিমিটেডের প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস ছিল ৯ টাকা ৩০ পয়সা।

এই কোম্পাটির শেয়ারদর কমেনিও, বাড়েওনি।

পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স সার্ভিসের ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার হলেও লেনদেন হয়নি।

আরও পড়ুন:
ফ্লোর প্রাইসে লাভ নেই: রকিবুর রহমান
পুঁজিবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংক, কর্মকর্তারা নেবেন ৩৫ লাখ শেয়ার
পুঁজিবাজারে আসছে এসএমই খাতের নিয়ালকো অ্যালয়স
আগ্রহের নতুন মোড় মিউচ্যুয়াল ফান্ডে
‘লকডাউন আতঙ্ক’ কাটায় পুঁজিবাজারে স্বস্তি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Special prayer at Janata Bank for the sake of martyrs soul in the mass uprising in July

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় জনতা ব্যাংকে বিশেষ দোয়া

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় জনতা ব্যাংকে বিশেষ দোয়া

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের রুহের মাগফিরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করে গতকাল মঙ্গলবার বাদ যোহর জনতা ব্যাংক পিএলসির প্রধান কার্যালয়ের নামাজ ঘরে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে নামাজ ঘরে এক আলোচনা সভায় ব্যাংকের পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মুহ. ফজলুর রহমান প্রধান অতিথি এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এ সময় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক ও উপমহাব্যবস্থাপকরা, জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতি ও জাতীয়তাবাদী কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃরাসহ সব স্তরের নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Traders want to withdraw additional tariffs on cosmetics

প্রসাধনীর ওপর থেকে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার চায় ব্যবসায়ীরা

প্রসাধনীর ওপর থেকে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার চায় ব্যবসায়ীরা প্রসাধনী সামগ্রীর উপর স্বাভাবিক শুল্কায়ন মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে মঙ্গলবার (০১ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ কসমেটিকস অ্যান্ড টয়লেট্রিজ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। ছবি: ফোকাস বাংলা

আমদানি করা প্রসাধনী সামগ্রীর ওপর থেকে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার না করলে আগামী ৭ জুলাই এনবিআর ভবন ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কসমেটিকস ও টয়লেট্রিজ আমদানিকারকরা।

মঙ্গলবার (০১ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নতুন বাজেটে প্রসাধনী সামগ্রীর ওপর দেড়শ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত এক মানববন্ধনে ব্যবসায়ীরা এই হুঁশিয়ারি দেন।

ব্যবসায়ীরা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে লিপ কেয়ার, ফেস ক্রিম, পাউডারসহ বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রীর দাম কম হলেও শুল্ক বৃদ্ধির কারণে দেশের বাজারে বেড়েছে দাম। এতে বাজারে বাড়ছে অবৈধ পথে আসা প্রসাধনীর সরবরাহ। এতে হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারানোর শঙ্কাও প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ীরা।

বাজেটে প্রসাধনী পণ্যের ন্যূনতম শুল্কায়ন মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানোর প্রস্তাব বৈধ আমদানিকে নিরুৎসাহিত করবে বলে আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ কসমেটিকস অ্যান্ড টয়লেট্রিজ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিটিআইএ)। তাদের মতে, শুল্ক বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রা পাচার বাড়াবে, বাজারে নকল ও মানহীন পণ্যের দৌরাত্ম্য তৈরি করবে এবং ২৫ লাখের বেশি মানুষ বেকার হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।

সংগঠনটির দাবি, এই শুল্ক কাঠামো বাস্তবায়নের ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে এবং দেশের নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের উপর সরাসরি অর্থনৈতিক চাপ বাড়াবে।

বাংলাদেশ কসমেটিকস অ্যান্ড টয়লেট্রিজ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জহিরুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘বর্তমানে আমদানিকৃত প্রসাধনী সামগ্রীর ওপর যে ন্যূনতম শুল্কহার বাস্তবায়ন করা হয়েছে, তা আন্তর্জাতিক বাজারদরের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। এটি দেশের বৈধ আমদানির পথকে পুরোপুরি বন্ধ করে দেবে, যা পরিণামে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাবে। বাজার ভরে যাবে নকল ও নিম্নমানের পণ্যে, যা শুধু ভোক্তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে ফেলবে না, বরং হাজার হাজার ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী এবং তাদের কর্মচারীরা জীবিকা হারাবেন।’

সাধারণ সম্পাদক মো. সাহিদ হোসেন বলেন, প্রধান উপদেষ্টার অন্যতম লক্ষ্য হলো নতুন নতুন ব্যবসা সৃষ্টির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। তবে, চলতি বাজেটে আমদানিকৃত প্রসাধনী পণ্যের উপর ১৫০% পর্যন্ত ন্যূনতম শুল্কায়ন মূল্য বৃদ্ধি বাংলাদেশ ২.০-এর লক্ষ্য এবং প্রধান উপদেষ্টার অভিন্ন লক্ষ্যের সম্পূর্ণ বিরোধী।

এরপরও চলতি বাজেটে এসব পণ্যের ন্যূনতম শুল্কায়ন মূল্য ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে, যা দেশের প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান ঘিরে থাকা এই খাতের ওপর এক সরাসরি আঘাত। এই বৈষম্যমূলক করনীতি কেবল বৈধ ব্যবসার পরিপন্থী নয়, বরং দেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের স্বার্থের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক—যারা আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।

সাহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে বিপুলসংখ্যক মানুষ কর্মসংস্থান হারাবে। চোরাচালান, ভুল ঘোষণা (misdeclaration) ও রাজস্ব ফাঁকির ঝুঁকি বহুগুণে বাড়বে। বেকারত্ব বাড়ায় সামাজিক অস্থিরতা বাড়বে।’

চোরাচালান বাড়ার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, সম্প্রতি সিলেটে প্রসাধনীসহ শুল্ক বেড়েছে এমন সাত কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি। যা আমাদের আশঙ্কাকে সত্য প্রমাণিত করে। মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রসাধনী ব্যবসায়ী, অ্যাসোসিয়েশনের অন্যান্য নেতা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
OPEC is increasing oil prices in the world market

বিশ্ববাজারে আরও কমেছে তেলের দাম, উৎপাদন বাড়াচ্ছে ওপেক

বিশ্ববাজারে আরও কমেছে তেলের দাম, উৎপাদন বাড়াচ্ছে ওপেক বিশ্ববাজারে আরও কমেছে তেলের দাম, উৎপাদন বাড়াচ্ছে ওপেক

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের ঝুঁকি কমে এসেছে। সেই সঙ্গে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর জোট ওপেক তেল উৎপাদন বৃদ্ধি করবে—মন খবর বাজারে আসায় তেলের বাজারে স্বস্তি ফিরেছে। এ পরিস্থিতিতে আজ সোমবার (৩০ জুন) বিশ্ববাজারে তেলের দাম প্রায় ১ শতাংশ কমেছে।

আগস্ট মাসের জন্য ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৬৬ সেন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৬৭ দশমিক ১১ ডলার। সেপ্টেম্বর মাসের জন্য দাম আরও কমেছে। সে ক্ষেত্রে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮৩ সেন্ট কমে গিয়ে ৬৫ দশমিক ৯৭ ডলার হয়েছে। সেই সঙ্গে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড বা ডব্লিউটিও ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৯৪ সেন্ট বা ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ কমে ৬৪ দশমিক ৫৮ ডলারে নেমে এসেছে।

গত সপ্তাহে বড় ধরনের দরপতনের মুখে পড়েছিল তেলের বাজার। সাপ্তাহিক দরপতনের দিক থেকে ২০২৩ সালের মার্চ মাসের পর গত সপ্তাহে দাম কমেছে সবচেয়ে বেশি। তবে সামগ্রিকভাবে জুন মাসে তেলের দাম বেড়েছে। আজ সোমবার (৩০ জুন) শেষ দিনের দামের পূর্বাভাসসহ ধারণা করা হচ্ছে, জুন মাসে তেলের দাম ৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের একটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পর যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর তেলের দাম বাড়তে থাকে। শেষ পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করলে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়ার পর তা দ্রুত নেমে আসে ৬৭ ডলারে।

পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আইজি মার্কেটসের বিশ্লেষক টনি সাইকামোর বলেন, বাজারে যে আতঙ্কজনিত বাড়তি মূল্য ছিল, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির পর তা অনেকটাই মুছে গেছে।’

এদিকে ওপেক ও সহযোগী জোটের চারজন প্রতিনিধি জানিয়েছেন, তারা আগস্ট মাসে প্রতিদিন ৪ লাখ ১১ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদন বাড়াতে যাচ্ছেন। মে, জুন ও জুলাই মাসেও একই পরিমাণে উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছে। আগামী ৬ জুলাই ওপেক ও সহযোগী দেশগুলোর বৈঠকে বসার কথা। এপ্রিল মাসে উৎপাদন হ্রাসের ধারার থেকে বের হওয়ার পর এটি হবে পঞ্চম দফায় উৎপাদন বৃদ্ধি।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে সক্রিয় তেল খনির সংখ্যা আরও ছয়টি কমে দাঁড়িয়েছে ৪৩২-এ, অক্টোবর ২০২১ সালের পর যা সর্বনিম্ন। এ তথ্য দিয়েছে খনিজ খাতের প্রতিষ্ঠান বেকার হিউজ।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
All banks will be open till 7pm today

আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সব ব্যাংক খোলা থাকবে

আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সব ব্যাংক খোলা থাকবে

রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে অর্থবছরের শেষ দিন আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের সব ব্যাংকের শাখাগুলোতে ব্যাংকিং লেনদেন চলবে।

সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সমকালকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৩০ জুন সকাল ১০টা পর্যন্ত ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯২২ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান। তিনি বলেন, গত অর্থবছরের চেয়ে এবার বেশি রাজস্ব আদায় হওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Expatriate income records come in and 1 billion in the current fiscal year

প্রবাসী আয়ে রেকর্ড, চলতি অর্থবছরে এলো ৩০ বিলিয়ন ডলার

জুনের প্রথম ২৮ দিনে এলো আড়াই বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স
প্রবাসী আয়ে রেকর্ড, চলতি অর্থবছরে এলো ৩০ বিলিয়ন ডলার

বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি রেমিট্যান্স খাতে এক নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে দেশ। ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষ হতে এখনো দুদিন বাকি থাকলেও প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো অর্থ ইতোমধ্যে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা ধরে)। এটি দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২৪.৭৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল, যা এবার ছাপিয়ে গেছে। ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান গতকাল রোববার এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

চলতি জুন মাসের প্রথম ২৮ দিনেই প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২.৫৪ বিলিয়ন ডলার (২৫৪ কোটি), যা প্রায় ৩১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা। মাসের বাকি দিনগুলোতেও একই ধারা বজায় থাকলে জুন শেষে মোট রেমিট্যান্স ২.৭০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারের কঠোর ব্যবস্থা, বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রণোদনা, প্রবাসীদের জন্য ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবার সম্প্রসারণ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি—এসবই এই রেকর্ড প্রবাহে সহায়ক হয়েছে। চলতি বছর প্রাপ্ত পুরো রেমিট্যান্স এসেছে বৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে।

মাসভিত্তিক প্রবাহের চিত্র

প্রবাসী আয়ে রেকর্ড, চলতি অর্থবছরে এলো ৩০ বিলিয়ন ডলার

২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স পরিসংখ্যানে দেখা যায়, জুলাই মাসে এসেছে ১৯১ কোটি ডলার, আগস্টে ২২২ কোটি, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি, নভেম্বরে ২২০ কোটি এবং ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স। নতুন বছরের শুরুতে জানুয়ারিতে এসেছে ২১৯ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২৫২ কোটি, মার্চে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি এবং মে মাসে এসেছে ২৯৭ কোটি ডলার। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, মার্চ মাসে ৩৩০ কোটির বেশি ডলার এসেছে, যা দেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।

চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের রিসার্চ ফেলো ও অর্থনীতিবিদ এম হেলাল আহমেদ বলেন, ‘এটি শুধু সংখ্যাগত সাফল্য নয়, বরং দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতার প্রতিফলন। সঠিক নীতিমালা, প্রযুক্তি-সমৃদ্ধ ব্যাংকিং অবকাঠামো এবং আইনগত পদক্ষেপ একত্রে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়িয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও এই অর্থপ্রবাহ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তি দিয়েছে, ডলারের বাজারে চাপ কমিয়েছে এবং আমদানি ব্যয় মেটাতে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। তবে এই ধারা টিকিয়ে রাখতে হলে বহুমুখী শ্রমবাজার, স্বচ্ছ অভিবাসন প্রক্রিয়া ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুসারে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের (জুলাই থেকে ২৮ জুন) মধ্যে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৩০.০৫ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬.৫ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে এই পরিমাণ ছিল ২৩.৭৪ বিলিয়ন ডলার।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের রেমিট্যান্সবান্ধব নীতিমালা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের আস্থা ও সহযোগিতাই এই সাফল্যের পেছনে মূল চালিকা শক্তি।

২০২৪-২৫ অর্থবছর বাংলাদেশের রেমিট্যান্স খাতে এক নতুন ইতিহাস রচনা করেছে। এই গতি ধরে রাখতে হলে হুন্ডি প্রতিরোধ কার্যক্রম আরও জোরদার করা, প্রবাসীদের আস্থার জায়গা সুসংহত রাখা এবং বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিবেশ আরও সহজতর করা অপরিহার্য। রেমিট্যান্স এখন শুধু অর্থপ্রবাহ নয়, বরং অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার অন্যতম কৌশলগত হাতিয়ার।

অর্থ-বাণিজ্য
IDE Bangladeshs Private Sector Engagement Strategy Unveiled

আইডিই বাংলাদেশ এর প্রাইভেট সেক্টর এনগেজমেন্ট  স্ট্র্যাটেজি উন্মোচিত

আইডিই বাংলাদেশ এর প্রাইভেট সেক্টর এনগেজমেন্ট  স্ট্র্যাটেজি উন্মোচিত

ঢাকা, ২৯ জুন ২০২৫ – অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বাজারভিত্তিক উন্নয়নের প্রতি প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে আইডিই বাংলাদেশ ঢাকার লো মেরিডিয়ান হোটেলে আয়োজিত “Catalyzing Markets: iDE Bangladesh Private Sector Engagement Summit 2025”-এ তাদের প্রাইভেট সেক্টর এনগেজমেন্ট স্ট্র্যাটেজি ২০২৫–২০৩০ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে।

সামিটে সরকারি প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, উন্নয়ন সহযোগী এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি খাতের ২০০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য: প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, এসিআই, এসএমসি, লাল তীর সিড লিমিটেড, এনআরবিসি ব্যাংক, রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশন, রহিম আফরোজ, ইসপাহানি এগ্রো, ব্র্যাক, গ্রামীণ ড্যানন ফুডস লিমিটেড। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংক, এফসিডিও, ইউনিসেফ, জিআইজেড, ইউএনডিপি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইতালীয় ও ডেনিশ দূতাবাস-এর প্রতিনিধিরা।

সামিটে ১৪টি প্রাইভেট সেক্টর প্রতিষ্ঠানের সাথে সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয় এবং একটি প্রদর্শনী আয়োজন করা হয় যেখানে কৃষি, ওয়াশ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পুষ্টি ও ফিনটেক খাতের উদ্ভাবনী সমাধান তুলে ধরা হয়।

প্রধান অতিথি ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, নির্বাহী চেয়ারম্যান, পিপিআরসি ও চেয়ারপারসন, ব্র্যাক বলেন, “আইডিইর এই স্ট্র্যাটেজি একটি সময়োপযোগী ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন উদ্যোগ, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য একটি কার্যকর কাঠামো তৈরি করবে।”

বিশিষ্ট বক্তাদের মধ্যে ছিলেন:

উজমা চৌধুরী, পরিচালক (ফাইন্যান্স), প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ

মোহাম্মদ মোহিউদ্দিন আহমেদ, অ্যাডিশনাল জেনারেল ম্যানেজার, এসএমসি

কাজি মো. সাফায়েত কবির, সিনিয়র EVP, এনআরবিসি ব্যাংক

ইঞ্জিনিয়ার সাদিদ জামিল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দি মেটাল প্রাইভেট লিমিটেড

নিতাই পদ সাহা, সিইও, রুরাল সার্ভিসেস ফাউন্ডেশন (RSF)

সামীর কার্কি, কান্ট্রি ডিরেক্টর, আইডিই বাংলাদেশ বলেন, “এই স্ট্র্যাটেজি কেবল একটি নীতি-নির্ধারণী দলিল নয়; এটি একটি যৌথ ভিশন—যেখানে ব্যবসা ও উন্নয়ন একসাথে কাজ করে টেকসই সমাধান তৈরি করে যা সকলের জন্য কার্যকর বাজার গড়ে তোলে।”

এই নতুন কৌশলগত রোডম্যাপ আইডিইর চার দশকের অভিজ্ঞতাকে ভিত্তি করে গঠিত, যার লক্ষ্য হলো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা থেকে বৃহৎ কর্পোরেশন পর্যন্ত সকলের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে উদ্ভাবনী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাজারব্যবস্থা তৈরি।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Padma Bridge crossing two crore vehicles for two and a half billion crore
উদ্বোধনের তিন বছর

পদ্মা সেতু দিয়ে পারাপার দুই কোটি যানবাহন, আয় আড়াই হাজার কোটি টাকা

পদ্মা সেতু দিয়ে পারাপার দুই কোটি যানবাহন, আয় আড়াই হাজার কোটি টাকা

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর সড়ক যোগাযোগব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনকারী অবকাঠামো পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরুর ৩ বছরপূর্তি ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। ২০২২ সালের ২৬ জুনের এই দিনে বহু প্রতিক্ষিত পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। এরপর এক মুহুর্তের জন্য সেতুতে যান চলাচল বন্ধ হয়নি। আর এই তিন বছরে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৭১ হাজার ৬৯২টি যান পারাপারে টোল আদায় হয়েছে ২ হাজার ৫ শ’ ৪ কোটি ৬৭ লাখ ৬২ হাজার ৮শ’ টাকা।

পদ্মা সেতু দক্ষিণের মানুষের বিড়ম্বনা লাঘব করে এগিয়ে যাওয়ার প্রতীক এখন। উত্তাল নদী পারপারের ভোগান্তি থেকে শুধু মুক্তিই দেয়নি এই সেতু পাল্টে দিয়েছে দক্ষিণের আর্থ সামাজিক অবস্থাও। উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত, শিল্প কারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্যেও যুগান্তকারী পরিবর্তন। খুলে গেছে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার।

সেতুর উপর তলায় সড়ক পথ ও আর নিচ দিয়ে ছুটছে ট্রেন। রাতদিন দ্রত বেগে পদ্মার উপর দিয়ে চলছে ট্রেন ও সড়ক পথের যাত্রা। পদ্মা সেতুর ২০২২ সালের ২৫ জুন উদ্বোধন হলেও পরদিন ২৬ জুন এই দিনে পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু হয়। পরের বছর ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর পদ্মা সেতুর রেলপথ উদ্বোধন হয়। পদ্মা সেতু হয়ে চালু হয় ঢাকা-ভাঙ্গা নতুন রেল নেটওয়ার্ক। আর ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর রেল লিঙ্ক প্রকল্প পুরোপুরি চালু হয়। এদিন রাজধানী থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে ভাঙ্গা হয়ে নতুন পথে নড়াইল ও যশোর অতিক্রম করে খুলনা পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। রাজধানী থেকে মাত্র সাড়ে ৩ ঘন্টায় খুলনা ও বেনাপোল পৌছানো যাচ্ছে। তাই এখন দক্ষিণের মানুষ সড়ক ও ট্রেন পথের সুফল পাচ্ছে।

এর আগে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পায়রা ও রামপালের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হয় পদ্মা সেতু প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা খুঁটি ব্যবহার করে। সেতু উপর দিয়ে যাওয়া উচ্চ ক্ষমতার ইন্টারনেট লাইন ব্যবহার হচ্ছে। সেতুতে নির্মাণ করে রাখা গ্যাস লাইন ব্যবহারে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে দক্ষিণের জনপদ, এখন অপেক্ষা এখন। তাই খুশি সবাই।

পদ্মা সেতুর দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সায়াদ বলেন, কোন হেসেল ছাড়াই টানা দিন বছর সেতুতে নিরবিচ্ছিন্নভাবর যান পারাপার করা হয়। এটি একটি বড় মাইলফলক। পদ্মা সেতুর দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) যুগ্ম সচিব আলতাফ হোসেন সেখ বলেন, দেশের এই অবকাঠামো যেমন মানুষের উপকারে লাগছে, আবার রাজস্ব আয়ও হচ্ছে। সেতু ব্যবহারে টোল আদায় আরও সহজ করা হচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যেই চলন্ত অবস্থায়ই টোল পরিশোধ করা যাবে।

স্বপ্নের সেতু চালুর তিন বছরে পারাপার হয়েছে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৭১ হাজার ৬৯২টি। এর মধ্যে মাওয়া দিয়ে প্রবেশ করে ৯৬ লাখ ৭১ হাজার ১১২টি যান। আর ৯৮ লাখ ৫৮০টি যান জাজিরা প্রান্ত দিয়ে পদ্মা সেতুতে প্রবেশ করে। মাওয়া থেকে ১ লাখ ২৯ হাজার ৪শ’৬৮ বেশি যান জাজিরা প্রান্ত দিয়ে প্রবেশ করে পদ্মা সেতু অতিক্রম করে।

গত ৫ জুন পদ্মা সেতুতে এক দিনে রেকর্ড পরিমান ৫ কোটি ৪৩ লাখ ২৮ হাজার টাকার টোল আদায় হয়েছে। এই ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫২ হাজার ৪৮৭টি যানবাহন পারাপার হয়। পদ্মা সেতুতে একদিনে সর্বোচ্চ টোল আদায় ও যানবাহন পারাপারের নতুন রেকর্ড এটি। এর আগে ২০২২ সালের ২৬ জুন পদ্মা সেতুর যান চলাচলের শুরুর দিনে সর্বোচ্চ ৫১ হাজর ৩১৬টি যানবাহন পারাপারের রেকর্ড ছিল। আর ২০২৪ সালের ৯ এপ্রিল ইদুল ফতরের আগে সর্বোচ্চ টোল আদায়ের রেকর্ড ছিল ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭শ' টাকা।

নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সায়াদ বলেন, সেতু চালুর প্রথম বছর ৫৬ লাখ ৯৪ হাজার ৮৯৯টি যানবাহন পারাপারে টোল আদায় হয়েছে ৭৯৮ কোটি ৬০ লাখ ৯৩ হাজার ৭শ’ টাকা। দ্বিতীয় বছর ৬৮ লাখ ১ হাজার ৩৭৪টি যানের বিপরীতে টোল পাওয়া যায় ৮৫০ কোটি ৪৩ লাখ ৫৬ হাজার ৩শ’ ৫০ টাকা। আর তৃতীয় বছর ২৫ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত ৬৯ লাখ ৯৫ হাজার ২২৯টি যান পারাপারে টোল আদায় হয় ৮৬১ কোটি ২২ লাখ ১৮ হাজার ৮৫৯ টাকা। মূল পদ্মা সেতু ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের দীর্ঘ। তবে অ্যাপ্রোচসহ প্রায় ১০ কিলোমিটার। সেতু নিরাপত্তাসহ ট্রাফিক আইন মেনে পদ্মা সেতুতে যানাবাহানের নির্বিঘ্ন চলাচলে সেতু এবং দুই প্রান্তের সড়ক জুড়ে অত্যাধুনিক ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সেতুতে যানবাহানের গতিও বৃদ্ধি করে দুই পারের এক্সপ্রেসওয়ের মতই ঘন্টায় সর্বোচ্চ গতি করা হয়েছে ৮০ কিলোমিটার।

মন্তব্য

p
উপরে