× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
লকডাউন লম্বা হলে এভিয়েশনে মহাসংকট
google_news print-icon

লকডাউন লম্বা হলে এভিয়েশনে মহাসংকট

লকডাউন-লম্বা-হলে-এভিয়েশনে-মহাসংকট
আগের দীর্ঘ লকডাউনের ক্ষতি পুষিয়ে উঠে কেবল ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল দেশের এভিয়েশন খাত। এবার আবার লকডাউন। এ খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘এখন যদি আবার লম্বা সময়ের জন্য সব বন্ধ করা হয়, তাহলে এই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠা কঠিন হবে। মহাবিপদ হবে।’

দেশে করোনার ব্যাপক সংক্রমণের মধ্যে গত বছর সবচেয়ে বেশি যে কয়েকটি খাত প্রতিবন্ধকতায় পড়েছিল, তার মধ্যে প্রথম সারিতে ছিল এভিয়েশন খাত। মার্চ থেকে জুলাই পর্যন্ত বন্ধ ছিল আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সব ফ্লাইট। জুলাই থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে সীমিত পরিসরে ফ্লাইট শুরু হলেও যাত্রী ছিল নিতান্ত কম।

করোনার মধ্যে গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত মাত্র চার মাসে ১ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা আয় বঞ্চিত হয়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আয়বঞ্চিত হয় ১ হাজার ৫৫০ কোটি টাকার। অর্থাৎ সক্ষমতা থাকার পরও করোনার কারণে ৮ মাসে ৩ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা আয় করতে পারেনি বিমান।

পরে এয়ারলাইন্সগুলোর দাবির মুখে তাদের সব ধরনের অ্যারোনটিক্যাল চার্জ মওকুফ করে সরকার। কিন্তু তাতেও খুব একটা লাভ হয়নি।

অবশ্য অক্টোবরের পর অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী সংখ্যা স্বাভাবিক হয়ে আসে। বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় বলছে, গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর নাগাদ দেশি বাজারের ৮০ ভাগেরও বেশি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল।

এ বছরও মার্চে করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ শুরু হলে ৫ এপ্রিল থেকে বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট। এ পরিস্থিতিতে নতুন করে সংকটে পড়েছে দেশি এয়ারলাইন্সগুলো। এর মধ্যে ১৪ এপ্রিল থেকে সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও বন্ধের ঘোষণা দিলো বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

এমনিতেই বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট বন্ধ থাকায় অভ্যন্তরীণ রুটগুলোর ওপর নির্ভর করে টিকে ছিল দেশি এয়ারলাইন্সগুলো। চলমান লকডাউনের কারণে এখন গভীর অনিশ্চয়তায় তারা।

বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর সংগঠন এভিয়েশন অপারেটস অ্যাসোসিয়েশন বলছে, চলমান এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে সামনে কঠিন সংকটে পড়তে যাচ্ছে এ খাত।

সংগঠনের উপদেষ্টা এ টি এম নজরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ডমেস্টিকে সরকার এখন যে সিদ্ধান্তটা নিয়েছে, এটা আমি মনে করি সব দিক বিবেচনায় ঠিকই আছে। কিন্তু এতেও যদি কাজ না হয়, এ অবস্থা যদি কন্টিনিউ হয়, তাহলে চরম বিপর্যয় হতে পারে।

লকডাউন লম্বা হলে এভিয়েশনে মহাসংকট


‘এমনিতেই এয়ারলাইন্সগুলো যখন গত মার্চে বন্ধ হলো, জুন পর্যন্ত বন্ধ ছিল। এ সময় যে ক্ষতি হয়েছে, তা কিন্তু কাটিয়ে ওঠা যায়নি। যদিও পরে তারা ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল। বিশেষ করে গত বছরের শেষে তারা কোভিড পূর্ববর্তী সময়ের চেয়েও ভালো একটি অবস্থানে ছিল।’

তিনি বলেন, ‘কিন্তু ৩ মাসের গ্যাপটা কাভার করতে পারেনি। এখন যদি আবার লম্বা সময়ের জন্য সব বন্ধ করা হয়, তাহলে এই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠা কঠিন হবে। মহাবিপদ হবে।

‘যদি পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হয়, তাহলে সামাজিক দূরত্ব কিংবা স্বাস্থ্য বিধি মেনে ফ্লাইট খুলে দেয়া যায় কিনা তা সরকার ভেবে দেখতে পারে।’

অবশ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) বলছে, মানুষের জীবনকেই এখন সবকিছুর চেয়ে এগিয়ে রাখছে সরকার।

সংস্থার চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন তো আসলে ব্যবসা আমরা দেখছি না। আমরা দেখছি মানবতা। জীবন আগে। আমাদের দেশকে বাঁচাতে হবে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে। সরকার যে ব্যবস্থাপনাগুলো নিয়েছে, এগুলো মানুষের জন্যই।

‘এখন ইন্ডাস্ট্রি এগুলো পরে আসবে। যে হারে করোনা বেড়েছে, মানুষকে হাসপাতালে সিট দেয়া যাচ্ছে না। এখন এটাকে দমন করাই মুখ্য উদ্দেশ্য। তারপরে ব্যবসা, প্রতিষ্ঠান – এগুলো সব পরে হিসাব হবে।’

দেশে দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে গত ৩ এপ্রিল থেকে যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের সব দেশের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় বেবিচক। এটি ছাড়াও বিশ্বের আরও ১২টি দেশের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

ইউরোপের দেশগুলো ছাড়া বাংলাদেশে ফ্লাইট বন্ধ আর্জেন্টিনা, বাহরাইন, ব্রাজিল, চিলি, জর্ডান, কুয়েত, লেবানন, পেরু, কাতার, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক ও উরুগুয়ের।

অবশ্য এ দেশগুলোর মধ্যে শুধু কাতার ও তুরস্কের সঙ্গেই সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে দেশি এয়ারলাইন্সগুলোর। বাকি দেশগুলো সাধারণত তুরস্কসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ট্রানজিট নিয়ে বাংলাদেশে যাত্রী পরিবহন করে। এ কারণে আন্তর্জাতিক রুটে খুব একটা সংকটে পড়তে হয়নি দেশি এয়ারলাইন্সগুলোকে।

বেবিচকের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৪ এপ্রিল থেকে সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকবে এক সপ্তাহের জন্য। অবশ্য কার্গো ও বিশেষ ফ্লাইট চলবে স্বাভাবিকভাবেই। আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘায়িত হলে সংকট আরো বাড়বে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Autorickshaw from the ferry to the river after 4 hours in the river recovered the body of the mother in law

ফেরি থেকে অটোরিকশা ছিটকে নদীতে, ১৩ ঘণ্টা পর বউ-শাশুড়ির লাশ উদ্ধার

ফেরি থেকে অটোরিকশা ছিটকে নদীতে, ১৩ ঘণ্টা পর বউ-শাশুড়ির লাশ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ফেরি থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিটকে নদীতে পড়ে নিখোঁজের সাড়ে ১৩ ঘণ্টা পর দুই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

শনিবার ভোরে উপজেলার বিশনন্দী ফেরিঘাটে অটোরিকশাটি মেঘনা নদীতে পড়ে গিয়েছিল। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল সন্ধ্যা ৬টার দিকে নদী থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করে। অটোরিকশার ভেতর থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করে। আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজ্জাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মৃত দুই নারী হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার রসুলাবাদ এলাকার মোসাদ্দেক হোসেনের স্ত্রী খালেদা বেগম (৪০) ও তাঁর ছেলে সাগর হোসেনের স্ত্রী ফারজানা বেগম (১৯)।

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ফেরি থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিটকে নদীতে পড়ে নিখোঁজের সাড়ে ১৩ ঘণ্টা পর দুই নারীর লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

শনিবার ভোরে উপজেলার বিশনন্দী ফেরিঘাটে অটোরিকশাটি মেঘনা নদীতে পড়ে গিয়েছিল। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল সন্ধ্যা ৬টার দিকে নদী থেকে অটোরিকশাটি উদ্ধার করে। অটোরিকশার ভেতর থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করে। আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজ্জাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মৃত দুই নারী হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানার রসুলাবাদ এলাকার মোসাদ্দেক হোসেনের স্ত্রী খালেদা বেগম (৪০) ও তাঁর ছেলে সাগর হোসেনের স্ত্রী ফারজানা বেগম (১৯)।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Hundreds of hospitals injured in Brahmanbaria while cutting the meat of sacrifice

কোরবানির মাংস কাটতে গিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আহত শতাধিক, হাসপাতালে ভিড়

কোরবানির মাংস কাটতে গিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আহত শতাধিক, হাসপাতালে ভিড়

পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন এলাকায় কোরবানির পশু জবাই ও মাংস কাটতে গিয়ে অসাবধানতাবশত শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

শনিবার(৭ জুন) সকাল থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।

জেলা সদরসহ আশপাশের অঞ্চল থেকে আসা আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই ধারালো ছুরি, চাপাতি বা দা ব্যবহারে অদক্ষ থাকায় হাত-পা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কেটে যায়। যদিও অধিকাংশ আহতের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন—ফুলবাড়িয়া এলাকার পাবেল মিয়া (২৭), ঘাটুরা গ্রামের সেলিম (৪৫), চাঁনপুরের আরস মিয়া (২৬), জহিরুল হক (৫০), মো. মিলন (২৩), আজিজুল (২১), শাকিব (২৮), জীবন (৪০), সুমন (২৬), রামরাইলের আলামিন (২৩), আক্কাস (৪৫), উবায়দুল (৩৩), ইউবিন (২২), রহমত আলী (৫৫), সুলতানপুর এলাকার আবু সুফিয়ান (১৫), সাদেক (১৮) সহ অনেকেই। কারও হাতে, কারও বা পায়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।

আহত সুফিয়ান বলেন, পায়ের নিচে রাখা মাংস কাটতে গিয়ে অসতর্কভাবে ছুরির কোপ পায়ে লাগে। পরে হাসপাতালে এসে সেলাই নিতে হয়।

আরেকজন, রিকশাচালক আরস মিয়া বলেন, মাংস কাটার সময় হাত ফসকে ছুরি লেগে যায়। হাসপাতালে তিনটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শুভ্র রায় বলেন, ঈদের দিন সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন রোগী আমাদের এখানে এসেছেন। এদের প্রায় সবাই কোরবানির পশুর মাংস কাটতে গিয়ে আহত হয়েছেন। সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। গুরুতর কেউ নয়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Local government adviser visited the Dhaka South City Corporations sacrifice fast removal program

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডে একযোগে কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করার জন্য কলাবাগান শিশু পার্ক সংলগ্ন সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মানিত সচিব জনাব মো: রেজাউল মাকছুদ জাহেদী এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা বলেন, শহরে কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সময়মতো বর্জ্য অপসারণ না হলে দুর্গন্ধ ছড়ায়, এমনকি রোগ-জীবাণু সৃষ্টি হতে পারে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ১২ ঘন্টা সময়ের মধ্যেই সকল বর্জ্য অপসারণ করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে উপদেষ্টা বলেন এ বছর কোরবানির বর্জ্যের কারণে নগরবাসীর ঈদ আনন্দ বাঁধাগ্রস্ত হবে না।

কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রায় ১০০০০ হাজারের অধিক জনবল মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। ২০৭টি ডাম্প ট্রাক, ৪৪টি কম্পেক্টর, ৩৯টি কন্টেইনার ক্যারিয়ার, ১৬টি পে-লোডারসহ বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে ৭৫টি ওয়ার্ডে মোট ২০৭৯টি যানবাহন নিয়োজিত রয়েছে।

কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম ব্যবস্থাপনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের জরুরি পরিচালন কেন্দ্রে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপিত হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে।

পরিদর্শনকালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টার একান্ত সচিব জনাব মো: আবুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সচিব জনাব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মোঃ মাহাবুবুর রহমান তালুকদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

কাঁচা চামড়া পাচার ঠেকাতে সীমান্তে কড়া অবস্থানে বিজিবি

কাঁচা চামড়া পাচার ঠেকাতে সীমান্তে কড়া অবস্থানে বিজিবি

ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া পাচার রোধে সীমান্ত এলাকাগুলোতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) শরীফুল ইসলাম ইউএনবিকে জানান, সীমান্ত নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি কাঁচা চামড়া পাচার ও ভারতে পুশ-ইনের যেকোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করতে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ঈদ মৌসুমে কাঁচা চামড়া পাচার অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এমন বাস্তবতায় সীমান্তজুড়ে নজরদারি ও টহল জোরদার করা হয়েছে।

পাশাপাশি, ভারতের দিক থেকে যেকোনো পুশ-ইন ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে সীমান্তরক্ষী এই বাহিনী।

বিজিবির পিআরও আরও জানান, ঈদের দিনেও ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বিজিবির সদস্যরা। টহল ও নজরদারি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, কোরবানির পশুর চামড়া যাতে বৈধ বাণিজ্য চ্যানেলের মধ্য দিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে, সেজন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে কাজ করছে বিজিবি।

জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় যেকোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করতে বিজিবি দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ঈদ মৌসুমজুড়েই তারা সর্বোচ্চ সতর্কতায় থাকবে বলে জানানো হয়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Sylhets seven tourist spots are ready to welcome tourists on Eid holidays

ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত সিলেটের সাত পর্যটন স্পট

ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত সিলেটের সাত পর্যটন স্পট

ঈদুল আজহার ছুটিকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের ভিড় সামলাতে প্রস্তুত করা হয়েছে সিলেটের সাতটি প্রধান পর্যটন স্পট। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হিসেবে পরিচিত এই অঞ্চলের টিলা, চা-বাগান, ঝরনা ও স্বচ্ছ জলের ধারায় মুগ্ধ হতে ছুটে আসছেন সারা দেশের ভ্রমণপিপাসুরা।

সিলেট মহানগরীর আকর্ষণীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে ঐতিহাসিক কিন ব্রিজ, আলী আমজাদের ঘড়ি, শাহজালাল (রহ.) ও শাহপরান (রহ.) মাজার, খাদিমনগর জাতীয় উদ্যান, শাহী ঈদগাহ ও গৌর গোবিন্দের টিলা। তবে নগরীর বাইরে ছড়িয়ে থাকা প্রাকৃতিক দর্শনীয় স্থানগুলোই সবচেয়ে বেশি পর্যটকের মনোযোগ কাড়ছে।

সাদাপাথর (ভোলাগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ): সিলেট শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সাদাপাথরে চোখে পড়ে দিগন্তজোড়া সাদা পাথরের মেলা, স্বচ্ছ নীল জল, আর পাহাড়ের কোলে ঝরনার ধারা। ধলাই নদীর জলে মিশে প্রকৃতি এখানে যেন তার রঙের খেলায় ব্যস্ত।

রাতারগুল: দেশের একমাত্র স্বীকৃত জলাবন রাতারগুল বর্ষায় ২০ থেকে ৩০ ফুট পানিতে ডুবে থাকে। ৭৩ প্রজাতির গাছগাছালিতে ঘেরা এ বনাঞ্চলে নৌকাভ্রমণ পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ।

জাফলং: মেঘালয়ের পাদদেশে পিয়াইন নদীর তীরে অবস্থিত জাফলং পর্যটকদের কাছে বছরের পর বছর ধরে প্রিয় গন্তব্য। পাথরের স্তূপ, ঝরনা ও খাসিয়া সংস্কৃতির পাশাপাশি শ্রীপুর চা-বাগান ও ইকোপার্কের সৌন্দর্য জাফলং সফরকে স্মরণীয় করে তোলে।

রাংপানি (গোয়াইনঘাট): সাদা পাথর ও পাহাড়ি ঝরনার মিলনস্থল রাংপানির পাশে খাসিয়াদের ঐতিহ্যবাহী গ্রাম মোকামপুঞ্জি অবস্থিত। সিলেট শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৫৪ কিলোমিটার।

উৎমাছড়া (কোম্পানীগঞ্জ): ঝরনার স্বচ্ছ জলের ধারা, সবুজ পাহাড় এবং বিশাল পাথরের বিছানায় ঘেরা উৎমাছড়ায় ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়তে শুরু করেছে।

লালাখাল (কানাইঘাট): নীলজলের লালাখাল ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্য। আঁকাবাঁকা নদীপথ, পাশের পাহাড়ি বন ও চা-বাগান লালাখালকে করেছে ছবির মতো সুন্দর।

লোভাছড়া (কানাইঘাট): ঐতিহাসিক লোভাছড়া চা-বাগান ও তার আশপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঝুলন্ত সেতু, ঝরনা, খাসিয়া গ্রাম এবং ব্রিটিশ আমলের স্থাপনাগুলো একসঙ্গে দেখতে পাওয়া যায় এখানে। সুরমা ও লোভা নদীর মিলনস্থলও এ অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণ।

পর্যটন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে এসব এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন সহায়তাও নিশ্চিত করা হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The husband is accused of murdering his wife on the day of the Eid ul Fitr

পারিবারিক কলহের জেরে ঈদের দিন স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে

পারিবারিক কলহের জেরে ঈদের দিন স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে এ্যামি বেগম নামে এক গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।

শনিবার (৭ জুন) সকালে উপজেলার কুচলিবাড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত স্বামী হাসিবুল পলাতক রয়েছেন।

নিহত এ্যামি বেগম একই ইউনিয়নের ইসরাক হোসেনের মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। এর জেরে শনিবার ঈদের দিন সকালে হাসিবুল ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী এ্যামি বেগমের গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পেরে পাটগ্রাম থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের কারণেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত হাসিবুলকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে। ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে আটক করা হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
If the plane of the vote is constructed the election will be possible according to the roadmap Jamaat Amir

ভোটের সমতল মাঠ তৈরি হলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে: জামায়াত আমীর

ভোটের সমতল মাঠ তৈরি হলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে: জামায়াত আমীর

বিচার, সংস্কার, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র এবং ভোটের সমতল মাঠ তৈরি হলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে বলে মন্তব‌্য করেছেন জামায়াতে ইসলামের আমীর ডা. শফিকুর রহমান।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়নে নিজ গ্রাম তুলাপুর পাঁচগাঁও ঈদগাহে নামাজ আদায় শেষে তিনি এসব বলেন।

তিনি বলেন, ‘জাতি যেনতেন নির্বাচন চায় না। বিচার, সংস্কার, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র এবং ভোটের সমতল মাঠ তৈরি হলে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব হবে। পরপর তিনবার মানুষ ভোট দেওয়ার কোনো সুযোগ পাননি। এবার নতুন ভোটার যুব সমাজকে ভোটের সুযোগ করে দিতে হবে।’

প্রধান উপদেষ্টা কোনো সহযোগিতা চাইলে তারা সহযোগিতা করবেন বলেও জানান জামায়াতের এই নেতা। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দেশের সংকট দূর করা খুবই জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

এর আগে, ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘ঈদুল আজহা ত্যাগ, কুরবানি ও আল্লাহর সন্তুষ্টির পরীক্ষা। এই মহিমান্বিত দিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক অন্যায়, জুলুম-নিপীড়ন ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। দেশের চলমান সংকট উত্তরণে জাতিকে সত্য, ন্যায় ও ইসলামি আদর্শের পথে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

নামাজ শেষে এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করেন তিনি।

তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগরীর আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মো. ফখরুল ইসলাম, মৌলভীবাজার পৌর আমীর হাফেজ তাজুল ইসলাম, ছাত্রশিবির জেলা সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন, ভাটেরা ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা আব্দুল করিম ও ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল লতিফ প্রমুখ।

মন্তব্য

p
উপরে