বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় ৩৫০ কোটি টাকা আত্মসাত মামলার আসামি ব্যবসায়ী গাজী বেলায়েত হোসেন মিঠু ওরফে জি বি হোসেনকে বিদেশ যাত্রার অনুমতি দেয়নি হাইকোর্ট।
বিদেশ যাত্রার অনুমতি চেয়ে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার দুপুরে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদনটি তালিকা থেকে বাদ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
পরে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান নিউজবাংলাকে বলেন, গাজী বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে ৩৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৬১টি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। তিনি বিদেশ যাত্রার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন। আদালত তাকে অনুমতি না দিয়ে আবেদনটি আউট অফ লিস্ট (কার্যতালিকা থেকে বাদ) করেছেন।
শুনানির এক পর্যায় আদালত গাজী বেলায়েতের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনাকে দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিতে বলল, কিন্তু সেটাতো দেননি। ঋণখেলাপিদের সুযোগ সুবিধার অভাব নেই। দুই ভাগ দিতে বলেছে সেটাও দেয় না। টাকা দেন তারপরে কথা হবে।’
২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল দুদকের সহকারী পরিচালক এ কে এম ফজলে হোসেন বেলায়েতের দুটি পাসপোর্ট নম্বর উল্লেখ করে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন। তার দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞার চিঠিতে বলা হয়, ‘বেসিক ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা থেকে অবৈধ প্রক্রিয়ায় ভুয়া ঋণের নামে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয় কমিশনে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে ৬১টি মামলা করা হয়েছে, যার তদন্ত চলমান।
মামলার বিবরণে বলা হয়, বেলায়েত বেসিক ব্যাংকের বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছেন মেসার্স বেলায়েত নেভিগেশন ও বেশ কয়েকটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে। তার মূল ব্যবসা পুরনো জাহাজ এনে ভাঙা বা স্ক্র্যাপের।
এসব ঋণ নেয়ার জন্য বেলায়েত বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চু ও তৎকালীন গুলশান শাখার ম্যানেজার শিপার আহম্মেদসহ কয়েক কর্মকর্তাকে ‘বিশাল অঙ্কের’ ঘুষ দিয়ে এটি করেছেন বলেও মামলায় বলা হয়।
বাদুড় থেকে সংক্রমিত নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, চলতি শীত মৌসুমে এ ভাইরাসে আক্রান্ত আটজনের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রোববার একটি পর্যালোচনা সভায় অংশ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খেজুরের রস খাওয়ার ব্যাপারে জনগণকে আরও বেশি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে নিপা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে চলতি শীত মৌসুমে আটজন ব্যক্তি নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে পাঁচজনই মারা গেছেন।’
বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ভোগান্তি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি হাসপাতালের বেড সংখ্যা, যন্ত্রপাতি, অবস্থান, লোকবল, সুযোগ-সুবিধা ভেদে এগুলোকে এ,বি, সি, ডি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে দেয়া হবে। ক্যাটাগরি ভেদে হাসপাতালগুলোতে সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট ফি নির্ধারণ করা থাকবে। এতে মানুষ আগে থেকেই জানতে পারবে কোন হাসপাতালে গেলে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে ও চিকিৎসায় কত ব্যয় হবে।’
তিনি বলেন, ' সারাদেশে অলিতে-গলিতে ক্লিনিক হয়ে গেছে। কিছু ক্লিনিক মান-সম্মত হলেও অধিকাংশেরই সেবার মান ভালো না। ‘ফি’-ও নেয়া হয় ইচ্ছে মতো। এগুলোতে নিয়ম অনুযায়ী যন্ত্রপাতি নেই, কিছু মেশিন আছে যেগুলো সেগুলোও ঠিক মতো কাজ করে না। এসব অনিয়ম আর চলতে পারবে না।'
সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ)-এর সভাপতি মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম খুরশীদ আলম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিব) সভাপতি অধ্যাপক জামাল উদ্দিন চৌধুরী, মহাসচিব অধ্যাপক কামরুল হাসান মিলন, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সভাপতি মুবিন খান, মহাসচিব ও সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানসহ আরও অনেকে।
সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় সম্মাননা স্মারক পেয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়াভিত্তিক আবুল খায়ের কল্যাণ সংস্থা (একেকেএস)।
জেলার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শনিবার প্রথম আলো বন্ধুসভা এ সম্মাননা দেয়।
ওই সময় এক হাজার ৩৫৭ শিক্ষার্থীর সামনে সম্মাননাটি গ্রহণ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসে শিতাব।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে প্রথম আলো বন্ধুসভা আয়োজিত কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সামাজিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ অবদান রাখায় একেকেএসকে সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়।
অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজনীন, প্রথম আলোর পলিটিক্যাল এডিটর কাদির কল্লোল সম্মাননা স্মারকটি হাতে তুলে দেন।
আবুল খায়ের কল্যাণ সংস্থার যাত্রা শুরু হয় এক কক্ষের টিনের ঘরে। নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামের গরিব ও সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া ছিল এর প্রধান লক্ষ্য।
বিগত আড়াই বছর ধরে প্রতি রোববার সংগঠনের পক্ষ থেকে দুজন এমবিবিএস চিকিৎসক বিনা মূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণ করে আসছেন। পাশাপাশি কম্বল বিতরণ, কৃতী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা এবং ফ্রি কম্পিউটার ট্রেনিং দেয়াসহ নানা সেবামূলক কর্মকাণ্ড করে আসছে সংগঠনটি।
নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের থানাকান্দি গ্রামের যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মঈদুল হোসাইন মার্শাল সংগঠনটির উদ্যোক্তা।
আরও পড়ুন:ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপির চলমান পদযাত্রার পরবর্তী সময় ও স্থান চূড়ান্ত করেছে দলটি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, রোববার দুপুর ২টায় যাত্রাবাড়ী থেকে পদযাত্রা শুরু হবে, যাতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আহবায়ক আব্দুস সালাম। সঞ্চালনায় থাকবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।
পরদিন সোমবার দুপুর ২টায় গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হবে পদযাত্রা, যাতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খান। সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান। সঞ্চালনায় থাকবেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব আমিনুল হক।
মঙ্গলবার দুপুর ২টায় মুগদা স্টেডিয়াম থেকে পদযাত্রা শুরু করবে বিএনপি, এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন দলটির স্থায়ী কমিটি সদস্য মির্জা আব্বাস। সভাপতিত্ব করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। সঞ্চালনায় থাকবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।
এর আগে গতকাল শনিবার রাজধানীতে পদযাত্রা করে বিএনপি। বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে শুরু হয়ে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার আবুল হোটেলের সামনে গিয়ে এটি শেষ হয়।
আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করে আবারও সরকার গঠন করতে রাজশাহীবাসীর কাছে ভোট চাইলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় রোববার বিকেলে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভোট হবে এ বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে। নৌকায় ভোট দেবেন কি না ওয়াদা চাই। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদশে যেন করতে পারি, আপনার এ জন্য নৌকায় ভোট দেবেন।’
এ সময় জনসভাস্থলে উপস্থিত জনতা প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে হাত তুলে হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়েন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নৌকায় ভোট দিয়েছেন বলেই আজ দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। একদিনে ১০০ সেতু, ১০০ সড়ক কোনো সরকার করতে পেরেছে? আওয়ামী লীগ পেরেছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল বলে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি। কে দিয়েছে? এই বাংলাদেশ, আওয়ামী লীগ সরকার। উন্নত দেশও পারে নাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপির ক্ষমতায় এসে খুন, হত্যা, ধর্ষণ এগুলো হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নৌকায় ভোট না দিলে দেশ স্বাধীন হতো না। তোদের নেতা জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেল হতে পারতো না। খালেদা জিয়াও প্রধানমন্ত্রী হতে পারতো না। ’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘এখন ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্বক্যাপী মুদ্রাস্ফীতি। আমরা ১ কোটি মানুষের জন্য টিসিবির কার্ড করে দিয়েছি। হতদরিদ্ররা বিনা পয়সায় চাল পাচ্ছে।মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের কাজ করে যাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। বিএনপি কি করে; মানুষ হত্যা, সন্ত্রাস। তারা আন্দোলনের নামে বহু অফিস পুড়িয়েছে। কোনো মানুষ জীবন্ত মানুষকে পুরিয়ে মারতে পারে? তারা মেরেছেন।
‘তারা উসকানি দেয়। বাংলাদশের মানুষের ভালো তারা সহ্য করতে পারেনা। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, জনগণের ভোট চুরি করে বিএনপি তাদের পার্লামেন্টে বাসায়।’
আরও পড়ুন:নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে জনগণ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছে বলেই দেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় রোববার বিকেলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নৌকায় ভোট দিয়েছেন বলেই আজ দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। একদিনে ১০০ সেতু, ১০০ সড়ক কোনো সরকার করতে পেরেছে? আওয়ামী লীগ পেরেছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল বলে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি। কে দিয়েছে? এই বাংলাদেশ, আওয়ামী লীগ সরকার। উন্নত দেশও পারে নাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নৌকায় ভোট না দিলে দেশ স্বাধীন হতো না। তোদের নেতা জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেল হতে পারতো না। খালেদা জিয়াও প্রধানমন্ত্রী হতে পারতো না। ’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘এখন ইউক্রেন যুদ্ধ, বিশ্বক্যাপী মুদ্রাস্ফীতি। আমরা ১ কোটি মানুষের জন্য টিসিবির কার্ড করে দিয়েছি। হতদরিদ্ররা বিনা পয়সায় চাল পাচ্ছে।মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের কাজ করে যাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। বিএনপি কি করে; মানুষ হত্যা, সন্ত্রাস। তারা আন্দোলনের নামে বহু অফিস পুড়িয়েছে। কোনো মানুষ জীবন্ত মানুষকে পুরিয়ে মারতে পারে? তারা মেরেছেন।
‘তারা উসকানি দেয়। বাংলাদশের মানুষের ভালো তারা সহ্য করতে পারেনা। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, জনগণের ভোট চুরি করে বিএনপি তাদের পার্লামেন্টে বাসায়।’
এ সময় আগামী নির্বাচনে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে রাজশাহীবাসীর প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘ভোট হবে এ বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে। নৌকায় ভোট দেবেন কি না ওয়াদা চাই। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদশে যেন করতে পারি, আপনার এ জন্য নৌকায় ভোট দেবেন।’
জনসভাস্থলে উপস্থিত জনতা প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে হাত তুলে হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়েন।
আরও পড়ুন:‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার’ ও ১০ দফা দাবি আদায়ে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির বেশ কিছু অর্থ দাঁড় করিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব মানে দাঁড় করান।
বক্তব্যের শুরুতে রাজশাহী নগরীতে জনতার ঢল নেমেছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনসভাস্থলের ধারণক্ষমতার ১০ গুণ বেশি মানুষ বাইরে বসে আছেন।
ওই সময় তিনি বিএনপির রাজশাহীর সমাবেশে উপস্থিতির সঙ্গে আজকের জনসমাগমের তুলনা করেন।
বিএনপির সমালোচনা করে ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা বলেন, বিএনপি ১০ ডিসেম্বর, ৩০ ডিসেম্বর ও ১১ জানুয়ারি সরকারের পতন ঘটাতে চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে।
ওই সময় বিএনপির পদযাত্রার বেশ কিছু অর্থ করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির এখন পদযাত্রা…পদযাত্রা মানে শেষ যাত্রা, পদমযাত্রা মানে অন্তিম যাত্রা, পদযাত্রা মানে পেছন যাত্রা, পদযাত্রা মানে মরণযাত্রা। মরণযাত্রা শুনেছেন না? ওই মরণযাত্রা হচ্ছে বিএনপির।’
রাজধানীর বাড্ডা থেকে শনিবার পদযাত্রা শুরুর আগে দেয়া বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, তা না হলে ক্ষমতাসীনদের পালিয়ে যেতে হবে।
ওই বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ পালিয়ে যায় না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানই রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে বিদেশ পালিয়েছেন।
আরও পড়ুন:মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থেকে শহিদুল আলম নামে এক ব্যক্তির মাথা বিচ্ছিন্ন দেহ ও টাঙ্গাইলের নাগরপুর থেকে খণ্ডিত মাথা উদ্ধারের ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল কুদ্দুসকে ১৬ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গাজীপুরের শ্রীপুর থানাধীন বহেরার চালা এলাকা থেকে শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ৪১ বছর বয়সী আব্দুল কুদ্দুস টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানাধীন ভাবনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তরের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান জানান, ২০০৪ সালে ধামরাই থানাধীন গোয়াড়ীপাড়ায় একটি অফিস ভাড়া নিয়ে বাংলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা নামক একটি সঞ্চয় ও ক্ষুদ্র ঋণদান সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন ৩৪ বছর বয়সী শহিদুল আলম ও তার বন্ধু আব্দুল কুদ্দুসসহ কয়েকজন।
সঞ্চয়, ঋণদান ও ফিক্সড ডিপোজিট কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল তারা। প্রতিষ্ঠানে লাভের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় একসময় তাদের অ্যাকাউন্টে সদস্যদের সঞ্চয়ের বেশকিছু টাকা জমা হয়। সেই টাকা ও প্রতিষ্ঠানটির লোভে শহিদুলকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।
তিনি আরও জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী টাঙ্গাইলের সন্ত্রাসী রাজা মিয়াকে নিয়ে শহিদুলকে হত্যার পূর্ণ ছক আঁকে আব্দুল কুদ্দুস। ২০০৬ সালের ২০ মে শাহিন নামের একজনের জন্য পাত্রী দেখতে যাওয়ার কথা বলে বন্ধু শহিদুলকে মাইক্রোবাসে তুলা হয়। মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানাধীন বেতুলিয়া গ্রামে নিয়ে সন্ত্রাসী রাজা মিয়াসহ সাহেদ, আব্দুল কুদ্দুস ও বিষ্ণু সুইপার গলায় রশি পেচিয়ে, রুমাল দিয়ে মুখ চেপে ধরে শহিদুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। নিহত ব্যক্তির পরিচয় গোপন করার উদ্দেশে গলা কেটে নিথর দেহ থেকে শহিদুলের মাথা আলাদা করে ফেলা হয়। পরে সাটুরিয়ায় মাথা বিচ্ছিন্ন দেহ ও টাঙ্গাইলের নাগরপুরে খণ্ডিত মাথা ফেলে দেয়া হয়।
এ ঘটনার পরদিন সাটুরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আ. জলিল অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা সাতজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
তিনি আরও জানান, এ মামলায় ২০২১ সালের ৫ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল কুদ্দুসকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান জানান, মামলা হওয়ার পর থেকেই হত্যায় জড়িত আব্দুল কুদ্দুস পলাতক ছিল। সে গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য নিজের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে আপন মামাতো ভাইয়ের নাম, বাবার নাম ও মায়ের নাম ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দীর্ঘদিন যাবত গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকায় আত্মগোপনে ছিল। সেখানে আব্দুল কুদ্দুস তার মামাতো ভাইয়ের সার্টিফিকেট ব্যবহার করে একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকুরি গ্রহণ করে বসবাস করে আসছিল। সে তার বাবার নাম রহম আলী বলে পরিচয় দিত।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার আব্দুল কুদ্দুসকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য