× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
পুঁজিবাজারে মহামারি
google_news print-icon

পুঁজিবাজারে ‘মহামারি’

পুঁজিবাজারে-মহামারি
বুধবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউনের ঘোষণা আসার পর আগের সেই লকডাউন আতঙ্ক আবার ভর করেছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম ও বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম যা বলেছেন, তাতে এই ইঙ্গিত মেলে যে বর্তমানে যেভাবে লেনদেন চলছে, সেভাবেই চলবে কঠোর লকডাউনেও। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা বিএসইসি এখনও আনুষ্ঠানিক আদেশ দিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। আর বিষয়টি আনুষ্ঠানিক হওয়ার আগে আস্থার সংকটের বিষয়টি স্পষ্ট।

সাত দিনের লকডাউন শুরুর আগে যে চিত্র, কঠোর লকডাউন শুরুর আগেও সেই একই পরিস্থিতি। ব্যাংক-পুঁজিবাজার চালু থাকবে-নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমন ইঙ্গিত দিলেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসায় কম দামে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। লকডাউন আতঙ্কের পাশাপাশি ৬৬টি শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম তুলে দেয়াও এর এক কারণ।

গত সোমবার থেকে চলা লকডাউনের প্রথম তিন দিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, ডিএসইর প্রধান সূচকে প্রায় ২৫০ পয়েন্ট যোগ হয়েছিল সত্য। তবে তার আগের দিন ১৮১ পয়েন্ট সূচক কমে আতঙ্কে।’

এবার কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেয়ার পর প্রথম কার্যদিবসে ডিএসই সূচক হারাল ৯০ পয়েন্ট। দর বেড়েছে যেখানে মাত্র ২৪টি কোম্পানির, সেখানে দর হারিয়েছে ২৬৪টি। যে ৫২টি কোম্পানি দর ধরে রেখেছে, সেগুলোর দর এর চেয়ে কমা সম্ভব নয় বলেই তা ধরে রাখা গেছে।

এই পরিস্থিতিকে বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারের ‘মহামারি’ বলতে শুরু করেছেন।

আগামী বুধবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউনের ঘোষণা আসার পর আগের সেই আতঙ্ক আবার ভর করেছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম ও বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম যা বলেছেন, তাতে এই ইঙ্গিত মেলে যে বর্তমানে যেভাবে লেনদেন চলছে, সেভাবেই চলবে কঠোর লকডাউনেও।

তবে কেন্ত্রীয় ব্যাংক বা বিএসইসি এখনও আনুষ্ঠানিক আদেশ দিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। আর বিষয়টি আনুষ্ঠানিক হওয়ার আগে আস্থার সংকটের বিষয়টি স্পষ্ট।

আতঙ্কে ‘ঘি’ ঢেলেছে খোদ বিএসইসি। ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিয়ে যে আদেশ এসেছিল তার মধ্যে ৬৬টির সর্বনিম্ন সীমা তুলে দেয়া হয় বৃহস্পতিবার। সেদিন ব্যাপক দরপতনের পর শনিবার দরপতন ঠেকাতে নেয়া হয় নতুন সিদ্ধান্ত। বিএসইসি জানায়, এসব শেয়ারের দর ১০ শতাংশ বাড়তে পারবে এক দিনে। তবে কমতে পারবে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ।

রোববার এসব কোম্পানির বেশিরভাগই দর হারিয়েছে এই দুই শতাংশ।

এই ৬৬ কোম্পানির শেয়ারধারীদের আতঙ্ক ভর করেছে বাকিগুলোর শেয়ারধারীদের ওপরও। তাদের মনে শঙ্কা জেগেছে বাকিগুলোর সর্বনিম্ন দরও হয়ত প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। এতে শেয়ার দর ব্যাপকভাবে কমে যাবে। তাই নতুন বিনিয়োগে যেতে চাইছেন না বিনিয়োগকারীরা। শেয়ার ধরে রাখতেও ভয় পাচ্ছেন তারা।

বিনিয়োগকারীরা যে হাত গুটিয়ে বসে, সেটির প্রমাণ লেনদেনেই। জানুয়ারিতে যে বাজারে দেড় হাজার থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, সেখানে লেনদেন এখন সাড়ে চারশ কোটি টাকার আশেপাশে।

পুঁজিবাজারে ‘মহামারি’

বিনিয়োগকারী ও বিশ্লেষক বক্তব্য

লেনদেন শেষে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, ‘লকডাউনের প্রথম তিনদিন খুবই ভালো ছিল। তখন অনেক কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছিল। চতুর্থ দিন দর সমন্বয় হবে এটাই স্বাভাবিক।’

তিনি বলেন, ‘৬৬ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়ার কারণেই সূচকের পতন হয়েছে এটা বলা ঠিক হবে না। ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলেই যে ঢালাও ভাবে শেয়ার বিক্রি করে দিতে হবে সেটাও ভালো চিন্তা না।’

তবে বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী সম্মিলিত জাতীয় ঐক্যের সভাপতি আনম আতাউল্লাহ নাঈম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ফ্লোর প্রাইস দেয়া হয়েছিল গত বছর করোনা মহামারিতে যেনে পুঁজিবাজারের ক্ষতি না হয়। আবার সেটিকে পরিবর্তন করে দেয়া হলো করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ে। লকডাউনের মধ্যে পুঁজিবাজার ভালো চলছিল। কিন্তু হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের সিদ্ধান্তহীনতায় ফেলে দিয়েছে।

‘ফ্লোর প্রাইস যেখন লেনদেন হচ্ছিল তখন বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কোনো আতঙ্ক ছিল না। ধারণা ছিল, এর নিচে না নামবে না, ফলে লোকসান হবে না। কিন্তু যখন ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দেয়া হলো তখনই আতঙ্ক শুরু হলো। আর লোকসান হতে থাকল। তাই এ সময়ে ফ্লোর প্রাইসে ফিরে যাওয়াই ভালো হবে।’

সেই ৬৬ কোম্পানির শেয়ারদরের কী অবস্থা

সর্বনিম্ন দাম প্রত্যাহার করে নেয়া ৬৬ কোম্পানির মধ্যে ইয়াকিন পলিমার, এমএল ডাইং, আইএফআইসি ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফন্ডের দর কমেছে ২ শতাংশ করে।

খুলনা পাওয়ার লিমিটেড, এএফসি অ্যাগ্রো, ইউনিক হোটেল, সাফকো স্পিনিং মিলস, প্রাইম টেক্সটাইল স্পিনিং মিলসের শেয়ার দর কমেছে ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ করে।

কাট্টালি টেক্সটাইল, মিথুন নিটিং, প্যাসিফিক ডেনিম, ইন্টোকো, সায়হাম কটন, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, ফার্স্ট ফিন্যান্স, সায়হাম টেক্সটাইল, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, অলেম্পিক এক্সসোসরিজ, রিং সাইন, জাহিন স্পিনিংসহ প্রায় সবকটি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে ২ শতাংশের কাছাকাছি।

সূচক ও লেনদেন

লেনদেন শুরুর ৫ মিনিটে সূচকের পতন হয় ৩৬ পয়েন্ট। আর ১৫ মিনিটে পতন হয় ৭০ পয়েন্টের বেশি।

তবে লেনদেনের শেষ সময়ে সূচকের পতন আরও বেড়ে ডিএইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৯০ দশমিক ০৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৬৪ পয়েন্টে।

শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ২০ দশমিক ০৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৭৭ পয়েন্টে। বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ৩৭ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট।

লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৪টির, কমেছে ২৬৪টির। দর পাল্টায়নি ৫২টির। মোট লেনদেন হয়েছে ৪৫৬ কোটি টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ৪৭৫ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক ডিএএসপিআই ২৪৭ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯৮৩ পয়েন্টে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৬টির, কমেছে ১৩৯টির। দর পাল্টায়নি ২৭টির। লেনদেন হয়েছে মোট ১৪ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:
ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার: দরপতন ঠেকাতে নতুন সিদ্ধান্ত
কঠোর লকডাউনে ‘খোলা’ পুঁজিবাজারও

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
In the Nilphamari made fake khatiyan in prison

নীলফামারীতে ভুয়া খতিয়ান তৈরি করে কারাগারে

নীলফামারীতে ভুয়া খতিয়ান তৈরি করে কারাগারে

নীলফামারী ল্যান্ড সার্ভে আদালতে ভুয়া খতিয়ান ও জাল দলিল তৈরি করে মামলা দায়েরের অভিযোগে প্রতারক মো. মতিয়ার রহমান শাহ্ (৫৮) নামে এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (০২ জুলাই) প্রতারক মতিয়ার রহমান আদালতে উপস্থিত হলে সদর আমলী আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। মতিয়ার সদর উপজেলার নগর দারোয়ানী এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।

জানা যায়, ল্যান্ড সার্ভে ১৭৮/২০ নং মামলায় মতিয়ার রহমান জাল দলিল ও ভুয়া খতিয়ান (ডিপি ১৯৩) তৈরি করে আদালতে উপস্থাপন করেন। বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগী শামিমা পারভীন আদালতে মোকাবেলা করেন এবং আদালতে প্রমাণিত হয় যে উক্ত খতিয়ানটি ভুয়া। পরে আদালত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন এবং সি.আর ২১৪/২৪ মামলাটি খারিজ করে প্রতারকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৫(সি) ধারায় ব্যবস্থা নিতে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আদেশ প্রদান করেন।

বাদী পক্ষের অ্যাড. রাজীব ও শফিকুল ইসলাম সোহাগ, ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে নীলফামারী আমলী আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তিনি গত পাঁচ মাস ধরে পলাতক ছিলেন। একসঙ্গে, সি.আর ১০৯/২৫ নং মামলায় দণ্ডবিধির ৪৬৭/৪৬৮/৫০৬(২)/৩৪ ধারায় আরও একটি মামলা চলমান রয়েছে, সেখানেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে দলিল জালিয়াতির।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
July is spending the day without eating

খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে দুঃখ-দুর্দশায় দিন কাটছে জুলাই

যুদ্ধে নিহত কুষ্টিয়ার বাবুর পরিবার
খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে দুঃখ-দুর্দশায় দিন কাটছে জুলাই

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর শালদাহর মৃত নওশেরের ছেলে সুরুজ আলী বাবু (৪১)। পেশায় স্বর্ণকার। টানা পোরানের সংসার। কোনো রকম বিধবা মা স্ত্রী আর তিন ছেলেমেয়ে অভাবের সংসারের মধ্যেই সুখেই দিন কাটছিল। মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (১৭) এবার এসএসসির পরীক্ষার্থী। ছেলে ফয়সালকে (১০) হাফেজ করার প্রবল ইচ্ছায় ভর্তি করেছিল মাদ্রাসায় আর ছোট মেয়ে রুবাইায়াকে (৭) সবেমাত্র প্লে গ্রুপে ভর্তি করেছিল। কিন্তু মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে ঘাতক বুলেটের আঘাতে নিহত হয় বাবু। চোখের পলকে একটি স্বপ্নের ইতি হয়ে যায়। একমাত্র উপার্জন করা মানুষকে হারিয়ে দিশে হারা হয়ে পড়েছে তার পরিবার। অনিশ্চিত হয়ে গেছে তিন ছেলে মেয়ের ভবিষ্যৎ ও লেখাপড়া। স্থানীয় ও স্বজনদের সাহয্য সহযোগিতা নিয়ে কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে বাবুর পরিবার। ঘটনার ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও শোকের ছায়া ঘিরে রেখেছে বাবুর পরিবারকে। সুরুজ আলী বাবুর বৃদ্ধা মা রাহেলা খাতুনের (৭০) কান্না এখনও থামছে না। তৎকালীন সময়ের কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশের এসআই সাহেব আলীর গুলিতে সুরুজ আলী বাবু নিহত হয়েছে বলে দাবি করে তার (সাহেব আলীর) বিচারের দাবি করেছেন তার স্ত্রী ফাহিমা খাতুন। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুথানে বীরত্বের সঙ্গে ছাত্র-জনতার প্রথম সারিতে থেকে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছিল সুরুজ আলী বাবু। পুলিশের এলোপাথারি গুলিকে উপেক্ষা করে দৃড়ভাবে অবস্থান করেন কুষ্টিয়ার থানা মোড়ে। স্বৈরশাসক হাসিনার পদত্যাগের পর ৩টার দিকে গুলিবিদ্ধ হলে দ্রুত উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বজনরা জানান, বাবু খুব কষ্ট করে সংসার চালাত। স্বর্ণের দোকানে কাজ করে যতটুকু ইনকাম করত তা তিন ছেলেমেয়ের পেছনে খরচ করত। ছেলে আর মেয়েতে নিয়ে তার স্বপ্নের তাজমহল গড়ে তুলেছিল। কিন্তু দেশ ও দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গিয়ে শহীদ হয়। জেলা জামায়াতের থেকে আর্থিক সহযোগিতা পেয়েছিল। কিন্তু সরকারি ভাবে এখন পর্যন্ত কোনো সহযোগিতা পায়নি। তারা আরও জানান, সুরুজ আলী বাবুর ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। তার ছেলেমেয়েরা যেন ঠিকমতো লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে সেজন্য আমরা সরকারের প্রতি আবেদন জানাচ্ছি। অশ্রুসিক্ত নয়নে মা রাহেলা খাতুন বলেন, আমার ছেলে দেশের জন্য শহীদ হয়েছে। আমার ছেলেকে যারা গুলি করে হত্যা করেছে তার বিচার চায়। আমার নাতি নাতনির লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আয় করার মানুষ নেই। সরকার সাহায্য না করলে আমরা না খেয়ে মারা যাব। আব্বু মারা যায়নি আমার বিশ্বাস হয়না এমন মন্তব্য করে সুরুজ আলী বাবুর ছেলে ফয়সাল জানান, আমি মাদ্রাসায় ছিলাম। আমার বন্ধু কয় ‘তোর আব্বা মরে গেছে’ আমি বিশ্বাস করিনি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমার আব্বু গুলিতে মারা গেছে। আমার আব্বু নেই আমাদের এখন কেউ ভালোবাসে না। আমার আব্বুকে যারা হত্যা করেছে তাদের বিচার চায়। কান্নাজড়িত কন্ঠে স্বামী হত্যাকারির বিচার চেয়ে ফাহিমা খাতুন জানান, মৃত্যুর আধা ঘণ্টা আগে আমার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। আমি বাবার বাড়িতে গিয়েছিলাম। পরে শুনি তার গায়ে এসআই সাহেব আলী গুলি করেছে। খবর শুনে ৩টার দিকে হাসপাতালে যেয়ে শুনি আমার স্বামী মারা গেছে। আমি আমার তিন ছেলেমেয়েকে কিভাবে মানুষ করব।

তিনি বলেন, আত্মীয়স্বজনরা বাজার করে দিয়েছিল তাই আমরা খাচ্ছি। আমার শাশুড়ি সেও খুব অসুস্থ তার ওষুধ কিনে দেয়ার সামর্থন নেই। কেউ সাহায্য না করলে না খেয়ে থাকতে হয়। অল্প কিছু আর্থিক সাহায্য পেয়েছিলাম। আমার স্বামীর কিছু দেনা ছিল। সেই টাকা দিয়ে কিছু দেনা শোধ করেছি। এখন সরকার সাহয্য না করলে ছেলেমেয়ে নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে। তিনি আরও জানান, আমি আমার স্বামি হত্যার বিচার চায়। এসআই সাহেব আলী গুলি করে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। আমি তার ফাঁসি চায়। আমি স্বামী হত্যার মামলা করতে পারিনি। ভিনদেশি এক ছেলে বাদী হয়ে মামলা করেছে। আমি তাকে চিনি না।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
No Helmet No Fuel is not obeying instructions

নো হেলমেট, নো ফুয়েল নির্দেশনা মানছেন না

নো হেলমেট, নো ফুয়েল নির্দেশনা মানছেন না

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ‘নো হেলমেট নো ফুয়েল’ নির্দেশনা মানছেন না কেশবপুরের ফিলিং স্টেশনের মালিকরা। সড়ক-মহাসড়কে মৃত্যুর মিছিল থামাতে গত বছরের ২০ মে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন (বিআরটিএ) কর্তৃপক্ষ দেশব্যাপী ওই নির্দেশনা জারি করে।

জানা যায়, যশোরের কেশবপুর পৌর সদরের থানার ৬০ ফুট দূরে অবস্থিত মেসার্স এম ভি ফিলিং স্টেশন। এছাড়া মধ্যকুল এলাকায় কেশবপুর ফিলিং স্টেশন ও কেশবপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজের সামনে যমুনা ফিলিং স্টেশনসহ ৫টি ফিলিং স্টেশন রয়েছে। অন্য দুইটি সগরদাঁড়ি ও মির্জানগরে গ্রামে অবস্থিত। এসব পাম্পে হেলমেট ছাড়াই মোটরসাইকেলে অবাদে প্রেট্রোল ও অকটেন বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া ওই পাম্পগুলোতে প্রতি লিটারে ১০০ গ্রাম করে তেল কম দেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সূত্র জানায়, প্যাম্পের মালিকরা বেশি মোনাফা করতে দেশের বিভিন্ন তেল ডিপো থেকে গভীর রাতে পচা ও বাদ দেয়া তেল আমদানি করে তা প্রেট্রোল ও অকটেনের সঙ্গে মিশিয়ে বিক্রি করে আসছে। ওই তেল ব্যবহারের অযোগ্য বলে একাধিক মোটরসাইকেল মিস্ত্রি এই প্রতিনিধিকে জানান। এতে যানবাহনের ইঞ্জিন বিকলসহ নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এদিকে সারাদেশে অল্প বয়সি তরুণরা মহাসড়ক ও দুরপাল্লার সড়কে দ্রুত গতিতে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে মোটরসাইকেল চালাচ্ছে। যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এমনকি মোটরসাইকেল চালানোকালে তারা হেলমেটসহ নিরাপত্তার সরঞ্জাম ব্যবহার করছে না। এতে সড়কে মৃত্যুর হার বাড়ছে একারনে সরকার সড়ক ও পরিবহন আইন ২০১৮ ধারা ৪৯ এর উপধারা-১, (চ) এবং সড়ক পরিবহন বিধিমালা ২০২২ বিধি- ১৩৬, (২) অনুযায়ী মোটরসাইকেল চালক ও তার সহযাত্রীদের অবশ্যই বিএসটিআই কর্তৃক নির্দেশনা অনুযায়ী হেরমেট ব্যবহার বধ্যতা মূলক করেছে।

কেশবপুরের মোটরসাইকেল চালক আকরাম আলি, সাগর এবং নিছার আলি বলেন, পৌর শহরে অবস্থিত মেসার্স এমভি ফিলিং স্টেশন, কেশবপুর ফিলিং স্টেশন এবং যমুনা ফিলিং স্টেশনে পেট্রোল ও অর্কটেন আনতে গেলে অধিকাংশ সময় লিটারে প্রায় ১০০ গ্রাম তেল কমদেয় এবং পচা দুর্গন্ধ জাতীয় তেল সরবরহ করে। এর প্রতিবাদ করলে তারা তাদের ওপর চড়াওসহ বিভিন্ন হুমকি দেয়। ভুক্তভোগীরা কেশবপুরের তেল পাম্প গুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

কেশবপুর মেসার্স এমভি ফিলিং স্টেশনের মালিক সুনিল কুমার ঘোষ বলেন, এলাকার অধিকাংশ মোটরসাইকেল চালক হেলমেট ব্যবহার করেনা। তাই হেলমেট ছাড়াই তেল দেয়া হয়। এছাড়া গাড়ি থেকে তেল দিতে গেলে অনেক সময় যান্ত্রীক ত্রুটির কারনে তেল কম যায় এবং মাঝেমধ্যে ডিপো থেকে দুর্গন্ধ জাতীয় তেল সরবরহ করা হয়। আমাদের বাধ্য হয়ে গ্রাহকদের কাছে ওই তেল সরবরাহ করতে হয়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Internet Blackout Excluded from the July Program Advisor Farooqi

জুলাই মাসের কর্মসূচি থেকে ‘ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট’ বাদ দেওয়া হয়েছে: উপদেষ্টা ফারুকী

জুলাই মাসের কর্মসূচি থেকে ‘ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট’ বাদ দেওয়া হয়েছে: উপদেষ্টা ফারুকী

সরকার আসন্ন জুলাই মাস উপলক্ষে নেওয়া কর্মসূচির অংশ হিসেবে পূর্বে ঘোষিত প্রতীকী ‘এক মিনিট ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট’ কর্মসূচি বাতিল করেছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে ফারুকী এই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ করেন। বলেন, এই নির্দিষ্ট উদ্যোগটি নিয়ে শুরু থেকেই অভ্যন্তরীণ বিতর্ক ছিল।

তিনি লিখেছেন, ‘জুলাই স্মরণে অনুষ্ঠানের একটা কর্মসূচি নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা পর্যায় থেকেই দ্বিধা ছিল। একটা মাত্র কর্মসূচিই আমরা কয়েকবার কেটেছি, আবার যুক্ত হয়েছে। আমরা অনেকেই একমত ছিলাম ‘এক মিনিট ইন্টারনেট ব্ল‍্যাক আউট’ গ্রেট আইডিয়া না সম্ভবত।’

তিনি আরও বলেন, পরে আবার নানা আলোচনায় এটা ঢুকে পড়ে কর্মসূচিতে। অনেক বড় কর্মসূচি এবং বড় একটা দল কাজ করলে এরকম দুয়েকটা ভুল চোখের আড়ালে থেকে যায়।

ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট ধারণার বিষয়ে জনসাধারণের প্রতিক্রিয়ার জন্য কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন উপদেষ্টা।

জনগণ কর্মসূচি নিয়ে মতামত দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা কৃতজ্ঞ আপনাদের কাছে, সেই কর্মসূচি নিয়ে আপনাদের মতামত জানানোর জন‍্য।’

তিনি আরও বলেন, আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, আমরা নিজেদের মধ্যে দ্রুত সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি- এক মিনিট প্রতীকী ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি থাকছে না। সংশোধিত স্লাইড শেয়ার করে হচ্ছে।

ফারুকী লিখেছেন, ‘অন্যান্য সমস্ত কর্মসূচি অপরিবর্তিত থাকবে। আসুন পুনরায় সংযোগ স্থাপন করি, পুনর্গঠন করি এবং জুলাইয়ের আসল চেতনাকে পুনরুজ্জীবিত করি।’

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The main accused arrested in connection with the rape of the housewife without getting a contribution to Bhola

­­ভোলায় চাঁদা না পেয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

­­ভোলায় চাঁদা না পেয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে আটকে রেখে মারধর করে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মুল আসামি আলাউদ্দিন সহ আরও এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন যুবদল কর্মী মো. আলাউদ্দিন ও শ্রমিক দল নেতা মো. ফরিদ উদ্দিন। তারা ওই মামলার এজাহার নামীয় ১ ও ২ নম্বর আসামি।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) মধ্যরাতে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া থেকে আলাউদ্দিন এবং ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা থেকে ফরিদ উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে, বুধবার (০২ জুলাই) দুপুরে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাট এলাকা থেকে মামলার ৫ নম্বর আসামিকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। এছাড়াও, ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগীর সতিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ নিয়ে এই মামলার ৭ আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহব্বত খান জানান, রাতে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি আলাউদ্দিন ও ফরিদ উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে, বুধবার (০২ জুলাই) বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ভোলার পুলিশ সুপার মো. শরীফুল হক। তিনি ভুক্তভোগী পরিবারকে বিচারের আশ্বাস দিয়ে বলেন, “কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না।

বৃহস্পতিবার (০৩ জুলাই) বিকাল ৩ টায় জেলা পুলিশ সংবাদ সম্মেলনে জানায়, এখন পর্যন্ত এই মামলায় এজহারনামীয় ৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, সোমবার (৩০ জুন) রাতে ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের মোল্লার পুকুর পাড় এলাকায় চাঁদার দাবিতে স্বামীকে আটকে রেখে মারধর করে তার স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্তরা স্থানীয় শ্রমিকদল, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।

মন্তব্য

ঘুষের বিনিময়ে করফাঁকি: এনবিআরের আরও পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

ঘুষের বিনিময়ে করফাঁকি: এনবিআরের আরও পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর ও শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে কর দাতাদের কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে ৫ সদস্য ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদকের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাগণ নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য নির্ধারিত পরিমাণ কর আদায় না করে তাদের করের পরিমাণ কমিয়ে দিতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এক্ষেত্রে, প্রতি বছর সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে কর্মকর্তাগণ ঘুষ না পেয়ে কর ফাঁকি দেওয়ার মিথ্যা মামলা করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মালিককে হয়রানি করেন বলে জানা যায়।

তিনি আরও বলেন, অনেক করদাতা আগাম কর দেন। আবার কেউ কেউ বেশি কর দেন। নিয়ম হচ্ছে এই কর হিসাব-নিকাশ করার পর বেশি দেওয়া হলে তা ওই করদাতাকে ফেরত দিতে হয়। কিন্তু তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ আর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, করের বাড়তি টাকা ফেরত পেতে আরো অন্তত অর্ধেক টাকা ঘুষ বা উপহারে খরচ হয়। অভিযোগ রয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর কর্মকর্তারা করের টাকা ফেরত দিতে নিজেরাও কামিয়ে নিচ্ছেন মোটা টাকা।

অভিযুক্তদের বিষয়ে তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন স্টেশনে চাকুরিকালীন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে শুল্ক, ভ্যাট ও ক্ষেত্র বিশেষে আয়কর ফাঁকির সুযোগ করে দিয়ে ও নিজে লাভবান হয়ে রাষ্ট্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করার মাধ্যমে দুর্নীত, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ঢাকা পূর্বের কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কমিশনার কাজী মোহাম্মদ, বেনাপোল স্থল বন্দরের কমিশনার মোঃ কামরুজ্জামান, রাজশাহী সার্কেল-৭-এর উপ কর কমিশনার মো: মামুন মিয়া, আয়কর গোয়েন্দা ইউনিটের অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা ও ঢাকা কর অঞ্চল-২-এর কর পরিদর্শক লোকমান আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক তথ্যানুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Food reserves increased by the end of the fiscal year Press Wing

অর্থবছর শেষে খাদ্য মজুদ বেড়েছে: প্রেস উইং

অর্থবছর শেষে খাদ্য মজুদ বেড়েছে: প্রেস উইং

চলতি অর্থবছরের শুরুতে দেশের বিভিন্ন গুদামে চাল ও গমের মজুদ রয়েছে ১৭.৬৪ লাখ মেট্রিক টন, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় তিন লাখ টন বেশি।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।

সরকারি মজুদ, সংগ্রহ ও বিতরণ পরিস্থিতি সম্পর্কে খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ১ জুলাই দেশে চাল ও গমের মোট মজুদ ছিল ১৪.৭৩ লাখ টন। এর মধ্যে চালের মজুদ ছিল ১০.৬০ লাখ টন এবং গমের মজুদ ছিল ৪.১৩ লাখ টন।

নতুন অর্থবছরের শুরুতে চালের মজুদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫.৪১ লাখ টনে।

অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সংগৃহীত ও আমদানিকৃত গমের মোট সংগ্রহের তুলনায় বিতরণ বেশি হওয়ায় গমের মজুদ কমে দাঁড়িয়েছে ২.২৩ লাখ মেট্রিক টনে।

মন্তব্য

p
উপরে