× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
বেড়েছে খেজুর বেগুনের দাম কমেছে পেঁয়াজ মুরগির
google_news print-icon

দাম বেড়েছে খেজুর-বেগুনের, কমেছে পেঁয়াজ-মুরগির

দাম-বেড়েছে-খেজুর-বেগুনের-কমেছে-পেঁয়াজ-মুরগির
রাজধানীর একটি বাজারে বেচাকেনায় ব্যস্ত ক্রেতা-বিক্রেতা। ছবি: নিউজবাংলা
ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘কোনো পরিবহন বন্ধ না থাকলেও লকডাউনের কিছুটা প্রভাব বাজারে পড়েছে। আসছে পবিত্র রমজান। তা ছাড়া মাসের শুরুতে চাকরিজীবীদের পকেটে বেতনও এসেছে। তারা রোজার বাজার শুরু করেছেন।’

রোজার আর মাত্র পাঁচ দিন বাকি। বাজারে বেড়েছে ক্রেতার চাপ। যা কিছুটা অস্থিরতা এনেছে নিত্যপণ্যের দামে। তবে রোজায় ব্যাপক চাহিদার মুখে দাম বেড়েছে খেজুর, বেগুন, রসুন, আদার। আর পেঁয়াজের দাম আরও কমেছে। স্বস্তি ফিরছে মুরগির দামে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, পরিবহন বন্ধ না থাকলেও লকডাউনের কিছুটা প্রভাব বাজারে পড়েছে। আসছে পবিত্র রমজান। তা ছাড়া মাসের শুরুতে চাকরিজীবীদের পকেটে বেতনও এসেছে। তারা রোজার বাজার শুরু করেছেন।

সাধারণত অন্য সময় এক-দুই দিন বা সপ্তাহের বাজার করলেও অনেকেই রোজার পুরো মাসের বাজার একসঙ্গে করেন। এতে চাপ তৈরি হয় বাজারে, দামও কিছুটা বাড়ে।

সারা বছরের মধ্যে খেজুরের সবচেয়ে বেশি চাহিদা বাড়ে রোজায়। আর চাহিদার চাপ বুঝে প্রায় সব ধরনের খেজুরের দাম কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব বলছে, গত সপ্তাহে সাধারণ মানের খেজুর বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে। আর এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়।

বিক্রেতারা জানান, বাজারের সবচেয়ে কম দামের খেজুর জাহেদি আসে তিউনিশিয়া ও আলজেরিয়া থেকে। কিছুদিন আগেও এ খেজুরের কেজি ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। একই দেশ থেকে আসা ধাবাস খেজুরও ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়।

সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আসা নাগাল খেজুরসহ বিভিন্ন মানের আম্বার, আজোয়া, মরিয়ম খেজুরও আগের চেয়ে দাম বেড়ে ৫৫০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দাম বেড়েছে খেজুর-বেগুনের, কমেছে পেঁয়াজ-মুরগির

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে শুক্রবার সকালে দেখা যায়, খুচরা ও পাইকারি বাজারে দামের কিছুটা হেরফের হয়েছে। তবে দামের হেরফের কাঁচাবাজারের পণ্যের চেয়ে মুদিপণ্যেই বেশি। তবে বাজারে অনেক খুচরা ক্রেতা হাজির হয়েছেন পাইকারি দামে সবজি কিনতে।

খেজুর বিক্রিতা নূর হোসেন বলেন, ‘পাইকারি বাজারে আগের চেয়ে দাম বেড়েছে। রোজার সময় ইফতারে মানুষ অন্য কিছু না নিলেও, খেজুর ছাড়া ইফতার চলে না। সারা বছর যত খেজুর বিক্রি হয়, রোজায় তার ১০ গুণ বেশি বিক্রি হয়। তাই রোজার আগে চাহিদা বাড়ে, দামও কিছুটা বেড়েছে।’

বাজারে সবজির মধ্যে খুচরায় দাম বেড়েছে বেগুনের। রোজার আরও কয়েক দিন বাকি থাকলেও এরই মধ্যে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে গোল ও লম্বা বেগুনের দাম। আগের সপ্তাহ লম্বা বেগুন ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও তা ৫০ টাকায় ঠেকেছে। ৫০ থেকে ৫৫ টাকার গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

খুচরার পাশাপাশি পাইাকারিতেও বেগুনের দাম চড়া। মানভেদে লম্বা বেগুনের পাল্লা (৫ কেজি) ১১০ থেকে ১২০ টাকা থেকে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩৫ টাকায়। গোল বেগুনের পাল্লায় ১০ টাকা বেড়ে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারিতে বেড়েছে টমেটোর দামও। প্রতি পাল্লায় ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। বাড়তি রয়েছে মরিচের দামও। পাইকারিতে সপ্তাহখানেক আগে প্রতি পাল্লা ৯০ থেকে ১০০ টাকা থাকলেও তা বেড়ে ১০০ থেকে ১২০ টাকা হয়েছে। প্রতি কেজি ২৫ টাকা।

অন্য সবজির মধ্যে আগের মতোই পাইকারিতে প্রতি পাল্লা শসা ১১০ থেকে ১৩০, চিচিঙ্গা ৮০ থেকে ৯০, বরবটি ১৮০ থেকে ২০০, শিম ১০০ থেকে ১১০, ঢ্যাঁড়শ ১৬৫ থেকে ১৭০, টমেটো ৬০ থেকে ৭০, করলা ১৩০ থেকে ১৪০, উচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি গোল টমেটো ৩০ থেকে ৩৫, উচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০, করলা ৪০ থেকে ৪৫, ঢ্যাঁড়শ ৩৮ থেকে ৪০, শিম ৪০ থেকে ৪৫, বরবটি ৫৫ থেকে ৬০, চিচিঙ্গা ৩২ থেকে ৩৫, শসা ৩৮ থেকে ৪০, পেঁপে ৩০ থেকে ৩৫, পটোল ৪০ থেকে ৪৫, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গা ও ধুন্দল ৪৫ থেকে ৫০, মুলা ৩০ থেকে ৩৫ এবং মরিচ ৬০ টাকা।

সবজি বিক্রেতা আলতাফ বলেন, ‘রোজায় চাহিদা অনুযায়ী কিছু সবজির দাম বেড়েছে, কিন্তু খুব বেশি নয়। বাজারে খুচরা সবজির ব্যবসায়ীর পাশাপাশি অনেক খুচরা ক্রেতাও এসেছেন। বেশি দিন ঘরে রেখে খাওয়া যায়, এমন সবজি পাল্লায় কিনে নিচ্ছেন অনেকে। এখনও সবজির সরবরাহ ভালো রয়েছে। লকডাউন বাড়লে দাম আরও বাড়তে পারে।’

কারওয়ান বাজারে ক্রেতা আশারাফ আহমেদ বলেন, ‘রোজা রেখে প্রিতিদিন বাজার করা কষ্টকর। তাই কিছু জিনিস একসঙ্গে কিনে রাখছি। কিন্তু খুচরায় দাম অনেক। বিশেষ করে সবজির দাম প্রায় দ্বিগুণ। তাই টমেটো, পেঁয়াজ, বেগুন এক পাল্লা করে নিচ্ছি। এগুলো তো সারা রোজায় কাজে লাগবে। আবার খরচ কিছুটা কম হচ্ছে।’

এদিকে অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে লেবুর। লেবুর পাইকারি বিক্রেতা আবদুল হাই বলেন, ‘পাইকারিতে ছোট আকারের লেবু প্রতি শ ৩৫০ থেকে ৪০০, মাঝারিগুলো ৪৫০ থেকে ৫০০ এবং বড় লেবু ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

‘খুচরায় দাম দ্বিগুণের বেশি। ছোট লেবু প্রতি হালি ৪০ টাকা, মাঝরিগুলো ৫৫ থেকে ৬০ টাকা এবং বড় লেবু ৮০ টাকায় কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।’

আগের চেয়ে কমেছে পেঁয়াজের দাম। পাইকারিতে প্রতি পাল্লায় ১০ টাকা কমে দেশি পেঁয়াজ ১৫৫ থেকে ১৬০, ভারত থেকে আমদানির পেঁয়াজ ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুরচায় ৩ থেকে ৪ টাকা কমে দেশি পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা এবং ভারতের পেঁয়াজ ৩২ থেকে ৩৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলুর পাল্লা পাইককারিতে ৯০ থেকে ৯৫ এবং খুচরায় ২০ থেকে ২২ টাকা।

মুদিপণ্যের মধ্যে রোজার প্রয়োজীয় পণ্য ছোলার দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। তবে আমদানি করা মাঝরি আকারের মসুর ডালের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মসুর ডাল আগের মতোই ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। মানভেদে মুগডাল বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে দেশি রসুনের কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তবে আমদানি করা রসুন আগের মতোই ১১৫ থেকে ১২০ টাকাতেই রয়েছে। দাম বেড়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকার দেশি আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং ৭০ থেকে ১১০ টাকার আমদানি করা আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৪০ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি ৩২ থেকে ৩৫ টাকা।

চিনি ৬৮ থেকে ৭০ টাকা, কোম্পানি ও মান ভেদে লবণ ২৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মসলার মধ্যে ২০ টাকা বেড়ে জিরা ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা, মান ভেদে ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেড়ে ছোট এলাচ ২৪০০ থেকে ৩৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ভোজ্যতেলের দাম না বাড়লেও তা আগে থেকেই বেশ চড়া। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১২৫ থেকে ১৩০, খোলা পাম অয়েল ১১০ থেকে ১১৫, সয়াবিনের এক লিটারের বোতল ১৪০, পাঁচ লিটারের বোতল ৬৪০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

দাম বেড়েছে খেজুর-বেগুনের, কমেছে পেঁয়াজ-মুরগির
রাজধানীর কাওরান বাজারের মুরগির দোকানে কর্মীদের ব্যস্ততা। নিউজবাংলা

বেশ কিছুদিন ধরে মুরগির চড়া দাম খানিকটা কমেছে। কেজিতে ১০ টাকা কমে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা এবং ২০ টাকা কমে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায়। এ নিয়ে দুই সপ্তাহে কমেছে ৫০ টাকার মতো। তবে আগের মতোই ডিম পাড়া লাল ও সাদা লেয়ার মুরগি ২১০ থেকে ২২০ টাকায় এবং দেশি মুরগির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়। মাংসের মধ্যে গরু ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা এবং বকরি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, খাসি ৮২০ থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লেয়ার মুরগির ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়, হালি ৩২ থেকে ৩৩ টাকা।

আরও পড়ুন:
রোজা-লকডাউন: নিত্যপণ্যের বাজারে স্থিতি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
A few hundred go waiting to cross the river one between the two ghats in Daulatdia

দৌলতদিয়ায় ঘাট দুটির মধ্যে একটি ঘাট চালু, নদী পারাপারের অপেক্ষায় কয়েকশ যান

দৌলতদিয়ায় ঘাট দুটির মধ্যে একটি ঘাট চালু, নদী পারাপারের অপেক্ষায় কয়েকশ যান

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় ঘাট সংকটে যানবাহনের দীর্ঘ সিরিয়াল তৈরি হয়েছে।

সিরিয়ালে অল্প সংখ্যক যাত্রীবাহী যানবাহন থাকলেও পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি। ফলে ট্রাকচালক ও যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সরজমিনে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঘাটে অপেক্ষা করে দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট পর্যন্ত দীর্ঘ দুই কিলোমিটার এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাকের সারি সৃষ্টি হয়েছে। কয়েক'শ যানবাহন ফেরির জন্য লম্বা সিরিয়ালে আটকে রয়েছে। সিরিয়ালে আটকে থাকা যানবাহন গুলোর মধ্যে সব থেকে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলোর।

এসব পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়কের আটকে থাকতে হচ্ছে। ফলে তাদের গোসল, খাওয়া-দাওয়া, টয়লেটসহ নানা ধরনের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরেজমিন ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,, দৌলতদয়িায় ১, ২, ৫ ও ৬ নং ফেরি ঘাট দীর্ঘদিন ধরে অকেঁজো হয়ে পড়ে আছে। ৩, ৪ ও ৭ নং ফেরি ঘাট জরাজীর্ণ অবস্থায় চলমান ছিল। এরমধ্যেই পদ্মায় তীব্র স্রেতের কারনে গতমাসের ২৩ আগস্ট থেকে ৭ নম্বর ঘাটটি বন্ধ রয়েছে। ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট সচল থাকলেও ৩ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনের প্লেট ভেঙ্গে যাওয়ায় রবিবার রাত ১২টা থেকে ঘাটটি মেরামতের কাজ চলমান রয়েছে। শুধুমাত্র ৩ নম্বর ঘাট চালু থাকায় যানবাহনের সিরিয়াল তৈরি হয়েছে।

ফরিদপুর থেকে ছেড়ে আসা গোল্ডেন লাইনের বাস চালক আঃ জলিল বলেন, দুই ঘন্টা দৌলতদিয়া ঘাটে সিরিয়ালে আটকে আছি। শুনতেছি একটি মাত্র ঘাট চালু রয়েছে। যাত্রীদের ভোগান্তি হচ্ছে।

যশোর থেকে আসা ট্রাকচালক হাবিবুর রহমান বলেন, সকাল ৮ টার দিকে এসে সিরিয়ালে আটকে আছি। গাড়িতে তার রয়েছে। এছাড়া সময়মতো মালামাল পরিবহন করতে না পেরে পরিবহন খরচের পাশাপাশি তাদের খরচও বাড়ছে।

ভোগান্তি লাঘবে যাত্রীবাহী যানবাহন ও পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করছে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন জানান, দুটি ঘাটের মধ্যে একটি ঘাট চালু থাকায় যানবাহনের সিরিয়াল তৈরি হয়েছে। একটি ঘাটের মেরামত কাজ চলছে, আশা করি খুব দ্রুতই ঘাটটি সচল হয়ে যাবে। তিনি আরও জানান, ঘাট কম থাকার ফেরি কম চালাতে হচ্ছে। বর্তমান এই নৌ-রুটে ছোট বড় মিলিয়ে ১০ টি ফেরি চলাচল করছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Six health and family welfare centers are now ill in the manpower and medicine crisis

জনবল ও ঔষধ সংকটে ৩টি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল‍্যাণ কেন্দ্র এখন নিজেই অসুস্থ

জনবল ও ঔষধ সংকটে ৩টি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল‍্যাণ কেন্দ্র এখন নিজেই অসুস্থ

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল‍্যাণ কেন্দ্রে একটিতে চাষ করা হচ্ছে হলুদ,অন‍্যটিতে শুকানো হচ্ছে পাট,রাতে মাদক সেবীর আড্ডা

বাংলাদেশ সরকার ১৯৮৬ সালে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের দৌড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষে মেহেরপুর গাংনী উপজেলায় তিনটি ইউনিয়ন ষোলটাকা, কাজিপুর ও ধানখোলা চালু করে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র।

গত সাত মাস যাবৎ কোনো ওষুধ বরাদ্দ না থাকায় সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। আর কেরামতি বেড়েছে গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তারদের।

ষোলটাকা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল‍্যাণ কেন্দ্রের ভিতরে চাষ করা হয়েছে হলুদ। আর এই উপজেলার সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন কাজিপুর। সেই কেন্দ্রটিতে দিনের বেলায় শুকানো হয় পাট। আর সন্ধ্যা লাগলেই পরিণত হয় মাদক সেবীদের আকড়া হিসেবে। আর ধানখোলায় ঝুলছে তালা।

কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তিনটি ইউনিয়নের কয়েক লাখ সাধারণ মানুষ। বর্তমানে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেহাল দশা।

মেডিকেল অফিসারসহ চারটি পদের মধ্যে রয়েছে মাত্র একজন উপসহকারী কমিউিনিটি মেডিকেল অফিসার।

তা ছাড়া ওষুধ ও জনবল সংকটে নরমাল ডেলিভারি, প্রসূতি সেবা, কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্যসেবা, সাধারণ স্বাস্থ্যসেবাসহ নানা সেবা বন্ধ রয়েছে। ফলে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তিনটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ।

একেকটি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন মেডিকেল অফিসার, একজন উপসহকারী কমিউিনিটি মেডিকেল অফিসার, একজন ফার্মাসিস্ট ও একজন পিয়নের পদ থাকলেও সেখানে নামমাত্র একজন উপসহকারী কমিউিনিটি মেডিকেল অফিসার দিয়ে চলছে এই সব উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

এদিকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর ভবন ও বাসভবন দুটিই একেবারই ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ছাদ থেকে ঢালায় খসে খসে পড়ছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যার পর পরিত্যক্ত ভবনে বসছে নিয়মিত মাদকের আড্ডা।

সেবা প্রার্থী ষাট বছর উধ্বো জমেলা খাতুন বলেন,আমার বয়স হয়েছে আর রোগেও পাল্লা দিয়েছে। গরীব মানুষ ঔষধ কিনতে টাকা থাকে না। এই হাপানি রোগ নিয়ে দির্ঘদিন ভুগছি। এই হাসপাতালে এসে ঔষধ নিয়ে খেলে কম থাকে। একটু আরাম পাই। অথচ গত ৫/৬ মাস যাবৎ কোনো ওষুধ নেই। জরুরি চিকিৎসার জন্য গাংনী, মেহেরপুর কিংবা কুষ্টিয়া যেতে হয়। কিছু দিন আগে সহড়াবাড়িয়া গ্রামের এক কৃষক হঠাৎ অসুস্থ হলে গাংনী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায়।

কাজিপুর গ্রামের বাসিন্দা জুয়াদ আলী বলেন, আমরা সিমান্ত এলাকার মানুষ হওয়াই বড় পাপ করে ফেলেছি। আমরা রাষ্ট্রের নাগরিক সেবার অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত হয়ে আছি। আমাদের ইউনিয়ন পারিবারিক স্বাস্থ‍্য কেন্দ্র খাতা কলমে আছে। আর সেবার ক্ষেত্রে শূন‍্য।

ষোলটাকা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো নামেই আছে, এখানে ডাক্তার ও নার্স নেই। প্রয়োজনীয় ওষুধ সময় মতো পাওয়া যায় না। বেশির ভাগ সময় স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকে।বতর্মান হাসপাতালের ভিতরে হলুদ চাষ হচ্ছে। আর অন‍্য সময় মাদকসেবীদের দখলে। তাই জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তার এবং নার্সের প্রয়োজন।

ধানখোলা ইউনিয়নের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ফিরোজ বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর কোয়ার্টার ভবনগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকায় সেখানে কোনো ডাক্তার থাকতে পারেন না। তাই রাতের আঁধারে চিকিৎসার জন্য রোগীদের শহরে নিয়ে যেতে হয়। এ ছাড়া, নিয়মিত ওষুধ পাওয়া যায় না।এতে গ্রামের মানুষের চিকিৎসাসেবা পেতে ব্যহত হচ্ছে।

ষোলটাকা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, জনবল ও ওষুধ সংকট রয়েছে। জনবল ও ওষুধ দিলে কিছুটা হলেও স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া সম্ভব হবে। তা ছাড়া চারজনের কাজ একাই করতে হয়।

কাজিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলম হুসাইন বলেন, আমার ইউনিয়ন পরিষদের কাছেই অবস্থিত ইউনিয়ন পরিবার ও স্বাস্থ‍্য কেন্দ্র। এটির অধিকাংশ ভবন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। সন্ধ্যায় পর যখন এলাকা ফাকা থাকে তখন মাদকসেবীরা আড্ডায় বসে। অনেক ভবনের জ্বানালা দরজা খুলে বিক্রি করে দিয়েছে মাদক সেবীরা। আমারা সিমান্ত এলাকার মানুষ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে হলে ১৫ কিলো যাওয়া লাগে। তাই এটি দ্রুত চালু করা দরকার।

এদিকে মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডা. এ.কে.এম. আবু সাঈদ বলেন, দ্রুত ওষুধ সরবরাহ করা হবে এবং শিগগিরই জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। সপ্তাহে দুই কিংবা তিন দিন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র কিছু সময়ের জন্য খোলা থাকলেও বাকি সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করতে হয় ওই সব উপসহকারী কমিউিনিটি মেডিকেল অফিসারদের।

মন্তব্য

বগুড়ায় মা-ছেলে খুন

বগুড়ায় মা-ছেলে খুন

বগুড়ায় মা-ছেলে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার সাদুল্যাপুর বটতলা গ্রামে এ খুনের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে মা ও ছেলে জোড়া খুনের বিষয়টি এলাকাবাসী টের পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতরা হলেন-শিবগঞ্জ উপজেলার সাদুল্যাপুর বটতলা গ্রামের কুয়েত প্রবাসী ঈদ্রীস প্রামানিকের স্ত্রী রানী খাতুন (৪০) ও ছেলে ইমরান (১৮)।

জানা যায়, সোমবার (১৫ই সেপ্টেম্বর) রাতে খাওয়া দাওয়া করে রানী খাতুন ও ছেলে ইমরান নিজ নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে প্রতিবেশিরা ঘরের দরজা খোলা ও ঘরের ভিতর জবাই করা মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয়। তবে ইমরানের সাথে একই গ্রামের মৃত খোকার ছেলে হাসান (১৭) বসবাস করতো। ঘটনার পর থেকে হাসান নিখোঁজ রয়েছে। নিহতের মেয়ে ইলা জানান, আমার মা ও ভাইকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।

শিবগঞ্জ ও সোনাতলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম জানান, ধারনা করা হচ্ছে, রাতের যে কোন সময় কে বা কারা তাদেরকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। নিহতদের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দ্রুত ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The president of the Government College Chhatra Dal took charge of the admission of poor students in the bear

ভালুকায় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ভর্তির দায়িত্ব নিলেন সরকারি কলেজ ছাত্রদল সভাপতি

ভালুকায় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ভর্তির দায়িত্ব নিলেন সরকারি কলেজ ছাত্রদল সভাপতি

ময়মনসিংহের ভালুকা সরকারি কলেজে ভর্তি কার্যক্রম চলাকালে দরিদ্র ও অসহায় শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ভালুকা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি তানভীর হাসান শান্ত। ভর্তি ফি জোগাড় করতে না পারায় যেসব শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল, তাদের সহযোগিতার ঘোষণা দেন তিনি।

জানা যায়, শান্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের মোবাইল নম্বর প্রকাশ করে জানান—অর্থাভাবে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হতে না পারলে সরাসরি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেক শিক্ষার্থী তাঁর সাহায্য পান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষার্থী জানান, বাবা দিনমজুর হওয়ায় ভর্তি ফি দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। পরে শান্তর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি নিজে এসে ভর্তি ফি পরিশোধ করেন। আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, ভর্তি না হলে হয়তো পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হতো। শান্ত ভাই শুধু টাকা দেননি, সাহসও দিয়েছেন।

ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক সিয়াম সাব্বির রিশাদ জানান, এবার তানভীর হাসান শান্তর সহযোগিতায় প্রায় বিশজন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পেরেছে। কারও ভর্তি ফি পুরোপুরি বহন করা হয়েছে, আবার অনেকে আংশিক সহায়তা পেয়েছেন।

তানভীর হাসান শান্ত বলেন, আমি বিশ্বাস করি, অর্থের কারণে কোনো শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থেমে যাওয়া উচিত নয়। আমি আমার সাধ্যমতো শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় সহযোগীতা করেছি। ভবিষ্যতে যদি কোনো শিক্ষার্থী ফরমপূরন সহ যেকোনো আর্থিক অসুবিধায় পড়ে আমি যথা সাধ্য চেষ্টা করবো। ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ রক্ষার দায়িত্বও নিতে চায়।

অভিভাবকরাও এ উদ্যোগে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। একজন অভিভাবক বলেন, ছেলের ভর্তি নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। শান্তর কারণে সেই দুশ্চিন্তা দূর হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Muradnagar kills the body of the young man to recover the body of the young man beside the house

মুরাদনগরে বাড়ীর পাশে যুবকের মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের সন্দেহ হত্যা

মুরাদনগরে বাড়ীর পাশে যুবকের মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের সন্দেহ হত্যা

কুমিল্লার মুরানগর উপজেলার পীরকাশিমপুর গ্রামে বাড়ীর পাশ থেকে এক যুবকের মরদেহে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই যুবকের নাম মোঃ মিনহাজ (৩০)। সে পীর কাশিমপুর উত্তর পাড়ার আনোয়ার হোসেন মাস্টারের ছোট ছেলে।


নিহত মিনহাজের ভাই মঈদ আহমেদ জানান, সোবমার বিকেল ৩টার দিকে দুপুরের খাবার খেয়ে বাড়ী থেকে বের হয়। রাতে এশার নামাজের পরও মিনহাজ বাসায় না ফিরলে পরিবারের সন্দেহ হয়। এরপর খোঁজাখুজি করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির কাছেই একটি পরিত্যক্ত মুরগির খামারের পাশে মিনহাজের মরদেহ পাওয়া যায়। এঘটনায় পরিবারের সদস্যরা সন্দেহ করছেন, তাকে কেউ হত্যা করে ফেলে রেখে গিয়ে থাকতে পারে।

এসময় স্থানীয়রা বাংগরা বাজার থানা পুলিশকে খবর দিলে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুর রহমান রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, রাতেই লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তবে, সুরতহালের সময় তার কপালে দুটি ছোট ক্ষত চিহ্ন দেখা গেলেও এটি দেখে তেমন কোনে আঘাতের চিহ্ন বলে মনে হয়নি। ময়না তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলে ওসি জানান।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Thakeswari temple visiting

প্রধান উপদেষ্টার ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন

প্রধান উপদেষ্টার ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করেছেন।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে তিনি সেখানে উপস্থিত হন।

মন্দির পরিদর্শন শেষে প্রধান উপদেষ্টা সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে এক শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় যোগ দিয়েছেন।

মন্তব্য

রামগতিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার বেহাল দশা

গ্রুপিং-দলাদলিতে ব্যস্ত প্রধান শিক্ষকরা
রামগতিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার বেহাল দশা

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য, ক্লাস ফাঁকিবাজি, শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং, বিভিন্ন সংগঠন তৈরী করে নেতা সেজে ক্লাস কামাই সহ নানান কারণের শিক্ষার পরিবেশ বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। প্রায় সময় দেখা যায়, ক্লাস ফাঁকি দিয়ে সারাক্ষণ অফিস পাড়ায় তদবির নিয়ে ব্যস্ত থাকেন প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক সংগঠনগুলোর নেতারা। লেখাপড়ার মান খারাপ হওয়ায় দিন দিন স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমতে শুরু করছে। অভিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়েদের স্কুল থেকে নিয়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্কুলে ভর্তি করান।

জানা যায়, উপজলার ৯৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলার মধ্যে রয়েছে- প্রধান শিক্ষকদের দুটি আর সহকারী শিক্ষকদের একটি সংগঠন। প্রধান শিক্ষকদের সংগঠনের একটির নেতৃত্ব দেন আলেকজান্ডার মডেল সপ্রাবির সেলিনা আক্তার ও বালুরচর সপ্রাবির প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন। আরেকটির নেতৃত্বে বিবিরহাট সপ্রাবির প্রধান শিক্ষক এবিএম ওসমান ও চরহাসান হোসেন সপ্রাবির সোহেল সামাদ। সহকারী শিক্ষকদের রয়েছে উপজেলা সহকারী শিক্ষক সমিতি। এর নেতৃত্বে রয়েছেন-আলেকজান্ডার (২) সপ্রাবির সহকারী শিক্ষক আবু সায়েদ ও মোমিন উল্লাহ।

স্কুল চলাকালীন সময়ে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু সায়েদ স্বপনকে প্রায়ই দেখা যায়, মধ্য আলেকজান্ডার (২) সপ্রাবির সহকারী শিক্ষক আবু সায়েদের মোটরসাইকেলের পিছনে বসে ঘুরাঘুরি করতে। আবু সায়েদ শিক্ষক নেতা হওয়াতে কখনো স্কুলে যেতে হয়না। একই স্কুলের আরেক শিক্ষক জাফর স্কুলে যান কালেভদ্রে। এভাবেই চলছে বছরের পর বছর ধরে এ অঞ্চলের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা।

এছাড়া উপজেলার ১৮ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের রয়েছে উপজলা মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারী সমিতি নামের একটি সংগঠন। এর সভাপতি হলেন বিবিরহাট রশিদিয়া উচ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তুহিনা আক্তার। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে প্রভাব বিস্তার করে শিক্ষক কর্মচারীদের প্রায় বছর খানিকের বকেয়া বেতন নিয়ে করেন কারসাজি, স্কুলের টাকা রাখেন তার একাউন্টে। বিভিন্ন উনয়ন প্রকল্প দিয়ে করেন আর্থিক লুট। স্কুল ফাঁকি দিয়ে বেশিরভাগ সময় থাকেন ঢাকায়। খামখেয়ালি ভাবে কর্মচারীদের করেন বহিষ্কার। তার স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়েও নয়ছয় করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তুহিনা আক্তারের এসব অনিয়ম লুটপাটের বিরুদ্ধে তার স্কুলের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী কারিমুল হক প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগও করেছেন।

সম্প্রতি উপজলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলেকজান্ডার মডেল সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদরুল হাসান এসব অভিযোগ এনে রামগতির বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষকদের গ্রুপিং, দলাদলি, ক্লাস ফাঁকি ও নানান অনিয়মের বিষয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠার কথা জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিকারের জন্য সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। এসময় তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা নিজেদের মধ্যে গ্রুপিং, দলাদলি, ক্লাস ফাঁকি ও প্রাইভেট কোচিং নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এতে এ উপজেলার শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে অভিভাবক সহ সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা সমালোচনা হচ্ছে। অধিকাংশ প্রধান শিক্ষক স্কুলের কোন ক্লাসই করছে না। সারাদিন অফিসপাড়ায় ঘুরাঘুরি ও তদবির বাণিজ্য নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছেন। ফলে ক্লাস চলাকালীন ছাত্ররা স্কুল গেইটের বিভিন্ন দোকানে, বাজারে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। এসব গ্রুপিং দলাদলি ও তদবির বাণিজ্য বন্ধে উপজেলা শিক্ষা অফিসের হস্তক্ষেপ কামনা করে বক্তব্য দেন তিনি।

সব মিলিয়ে উপজলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা এখন হ য ব র ল অবস্থায় বিরাজ করছে। এসকল গ্রুপিং ও দলাদলি বন্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নেই কার্যকর কোন উদ্যোগ। এতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু সায়েদ স্বপন বলেন, গ্রুপিং ও দলাদলি নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অচিরেই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ দিদার হোসেনের দাবি কোচিং সারা দেশেই চলছে।শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং ও দলাদলির কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, এগুলো বন্ধে খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

মন্তব্য

p
উপরে