করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে দেশে চলছে সরকারঘোষিত সাত দিনের লকডাউন। বন্ধ রয়েছে বিপণিবিতান। ফলে আগের মতো দোকানে গিয়ে কেনাকাটা সম্ভব হচ্ছে না। রয়েছে স্বাস্থ্য নিয়ে শঙ্কাও।
এমন বাস্তবতায় নিরাপদ কেনাকাটার উৎস হিসেবে প্রতিনিয়ত বাড়ছে অনলাইনের প্রতি নির্ভরতা। পহেলা বৈশাখ ও ঈদকে সামনে রেখে এখন অনেকেই অনলাইন মাধ্যমগুলোতে কেনাকাটা করছেন। এতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে ই-কমার্স ডে।
রাজধানীর রামপুরার পশ্চিম হাজিপাড়ার গৃহিণী ইয়াসমিন আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, করোনার প্রথম ঢেউয়ের পর থেকেই তিনি অনলাইন কেনাকাটায় মনোযোগী হন। সেই থেকে তিনি চাল, ডাল, সবজি, মাছ-মাংস, দুধ থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় অন্যান্য গৃহস্থালি পণ্য ও পোশাক কেনার জন্য অর্ডার করেন অনলাইনে।
মানুষের ভিড়ভাট্টার মতো জায়গা থেকে পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা থেকেই অনলাইনে নির্ভরতা বেড়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে ই-ক্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহাব উদ্দিন শিপন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘উৎসব, লকডাউন, ই-কমার্স ডের প্রভাবে অনলাইনের কম-বেশি সবার বেচা-বিক্রিই আগের তুলনায় বেড়েছে। সার্বিক কেনাকাটায় প্রবৃদ্ধি হবে ৫ গুণ।’
তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে এখন চলছে লকডাউন। মার্কেট বন্ধ। খোলা রাখলেও দেশ করোনামুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ভিড়ভাট্টার কেনাকাটায় আগের মতো স্বস্তি ফিরবে না। সে ক্ষেত্রে সবার জন্য নিরাপদ কেনাকাটার উৎস হিসেবে অনলাইন নির্ভরতা মানুষের মধ্যে প্রতিনিয়ত বাড়ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সামনে পহেলা বৈশাখ। এরপরই ঈদ। মার্কেট খুললেও জনসমাগমের ভয় থাকবে। অর্থাৎ অনলাইনে কেনাকাটার চাপ আরও কয়েক গুণ বাড়বে।
‘সে অনুযায়ী স্টেকহোল্ডাররা (অংশীজন) অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। তারা ক্রেতার যেকোনো চাহিদা পূরণে সক্ষম।’
এক প্রশ্নের জবাবে ই-ক্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা রয়েছে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী রাত ১২টা পর্যন্ত পণ্য পৌঁছে দেয়ার।
শীর্ষস্থানীয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম দারাজের বেচাবিক্রির প্রবৃদ্ধি গত বছর করোনা শুরুর পর থেকে এই লকডাউনেও অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির হেড অব পাবলিক রিলেশন্স, মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন সায়ন্তনী ত্বিষা।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারি শুরুর পর থেকেই অনলাইন কেনাকাটায় দেশে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। এই নতুন মাত্রাটি হলো বেচা-বিক্রির প্রবৃদ্ধি।’
দেশে ওয়েবভিত্তিক শপ আছে দেড় হাজার। আর ফেসবুকভিত্তিক রয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি। লকডাউনের এই সময়ে শহর থেকে গ্রামে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ভার্চুয়ালি কেনাকাটা বেড়েছে। ফলে আগের তুলনায় এ খাতে প্রবৃদ্ধিও বেড়েছে।
ক্রেতার চাহিদা পূরণে অনলাইন শপগুলোও আগের তুলনায় নিজেদের প্রস্তুতি ও সক্ষমতা বাড়িয়েছে। পাশাপাশি করোনা মহামারি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় উদ্যোক্তাদের অনেকেই এখন অ্যাকচ্যুয়াল মার্কেটে বিনিয়োগের পরিবর্তে ঝুঁকছেন ভার্চুয়াল শপে। ফলে আসছে আরও অনলাইন প্রতিষ্ঠান।
এ তালিকায় দেশে পাইকারি কেনাবেচায় ই-পাইকার নামের আরেকটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মও যুক্ত হতে যাচ্ছে।
দেশের শীর্ষ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে রয়েছে বিক্রয় ডটকম, চালডাল, দারাজ, আজকের ডিল, বাগডুম, প্রিয়শপ, রকমারি, পিকাবু, ই-ভ্যালিসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান। তবে এই লকডাউনে নামী থেকে অখ্যাত সবার ব্যবসাই বেড়েছে।
অনলাইন প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, নিত্য প্রয়োজনীয় মুদিপণ্য ও কৃষিপণ্য থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক্স, ফার্নিচার, প্রসাধনী, গয়না, ফ্যাশনওয়্যার, শিশুপণ্য, স্মার্টফোন ও ক্যামেরা, হোম ডেকোর ও লাইটিং, হোমওয়্যার, স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক পণ্য এখন কেনাবেচা হচ্ছে অনলাইনে।
লকডাউনে কেনাবেচা কী পরিমাণ বেড়েছে জানতে চাইলে দারাজের কর্মকর্তা সায়ন্তনী ত্বিষা বলেন, ‘এভাবে বলা সম্ভব নয়। কারণ দেশে এখন ই-কমার্স ডে চলছে। এ সময়ে এমনিতেই বেচা-বিক্রি অনেক বেড়ে যায়।’
ক্রমবর্ধমান চাহিদা সামাল দিতে দারাজের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে দাবি করে ত্বিষা আরও বলেন, সরকারের সব নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রটোকল মেনেই গ্রাহকদের তারা এই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
ধামাকাশপিং ডটকমের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) সিরাজুল ইসলাম রানা বলেন, লকডাউনে মানুষকে যাতে ঘরের বাইরে বেরুতে না হয় সে জন্য নতুন রকেট সার্ভিস এনেছে তারা। চাল, ডাল ও ওষুধের মতো পণ্যের চাহিদাই এখন বেশি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেলাররা সংযুক্ত হচ্ছেন ধামাকা রকেট সার্ভিসে। যারা চেষ্টা করছেন এই লকডাউনে স্বল্প সময়ে দোড়গোড়ায় পণ্য পৌঁছে দিতে। এই সার্ভিসে দেশের যেকোনো প্রান্তে মাত্র ৩২ ঘণ্টার মধ্যে পণ্য পৌঁছাবে ধামাকার রকেট সার্ভিস।
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন বছরে এক থেকে দেড় হাজার কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয় অনলাইনে। প্রতিদিন ডেলিভারি দেয়া হয় অন্তত ২০ হাজার অর্ডার।
অনলাইনে খাবার ও মুদিপণ্য ডেলিভারির শীর্ষস্থানীয় প্ল্যাটফর্ম ফুডপান্ডা। এই লকডাউনে ভোক্তাদের কাছে খাবার, মুদিপণ্যসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিস পৌঁছে দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যাপের পান্ডামার্ট বা ‘শপস’ সেকশন থেকে যেকোনো ক্রেতা অর্ডার করলে খাবার ডেলিভারি ছাড়াও মুদিপণ্য, ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য পাচ্ছেন।
প্রতিষ্ঠানটির দাবি, এসব পণ্য ডেলিভারির জন্য রাইডারদের হাত বারবার স্যানিটাইজ করা ও মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট রয়েছেন তারা।
খাসা অর্গানিক পণ্য নামে ফেসবুকে অর্গানিক পণ্য বিক্রি করে থাকেন ওয়েবপেজটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হেলাল হোসেন।
তিনি জানান, বর্তমান লকডাউনের মধ্যে তার ব্যাপক বেচাবিক্রি হচ্ছে। গত বছরের করোনায় লকডাউনের সময় তিনি ব্যবসা শুরু করেন। স্বাস্থ্যকর সুন্দর পরিবেশে তিনি হলুদ, মরিচ, ধনিয়া, জিরা, দারুচিনিসহ সব ধরনের মসলা প্রস্তুত করেন। এর বাইরে কাঠের ঘানিতে ভাঙানো সরিষার তেলসহ গ্রাম থেকে সংগ্রহকৃত মধু, ঘি, কুমড়াবড়ি, ড্রাইফুড, আখের লাল চিনি, তাল মিছরি, আখের গুড়, খেজুরের গুড়সহ অনেক ধরনের পণ্য তিনি অনলাইনে বিক্রি করেন।
খুলনা শহরে ফ্রি হোম ডেলিভারিসহ সারা দেশে কুরিয়ারে পণ্য পাঠান হেলাল।
আসছে ই-পাইকার
অনলাইনে বাজার সম্ভাবনা ধরতে আসছে ই-পাইকার। প্রতিষ্ঠানটির দুই উদ্যোক্তা আরিফুল ইসলাম ও সাফায়াত হোসেন নিউজবাংলাকে জানান, শিগগিরই তারা আসছেন। তবে তারা খুচরা ডেলিভারি দেবেন না। উৎপাদক, আমদানিকারক ও পাইকারদের প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহে আস্থার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হতে চান তারা।
দুই উদ্যোক্তা জানান, তাদের স্টকে রয়েছে মুদিপণ্য, কৃষিপণ্য, ইলেকট্রনিক্স পণ্য, ফার্নিচার, প্রসাধনী, গয়না সামগ্রী, ফ্যাশনওয়্যার, কিডস আইটেম, স্মার্টফোন ও ক্যামেরা, হোম ডেকোর, লাইটিং, হোমওয়্যার, হেলথকেয়ার ও আইটি পণ্য।
তাদের কাছ থেকে পাইকারি কেনাকাটায় যেকোনো আইটেমের কমপক্ষে ১৭টি পণ্য নিতে হবে। এক লাখ টাকার বেশি মূল্যের পণ্য কিনলে থাকবে ফ্রি ডেলিভারি চার্জ। আছে পণ্য ফেরত দেয়ার ফ্রি রিটার্ন সুবিধাও। তবে সময়সীমা সাত দিন।
কীভাবে হয় অনলাইনে কেনাকাটা
অনলাইন কেনাকাটা হয় দুইভাবে। প্রথম পদ্ধতিটির পুরো প্রক্রিয়াটিই সম্পন্ন হয় অনলাইনে। এ প্রক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে তাদের নিজস্ব ওয়েবপেজে পণ্যের নমুনা ও দাম দেখিয়ে থাকে। ক্রেতারা তা দেখে অনলাইনেই পছন্দসই অর্ডার করেন। আর অর্ডার অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো সংশ্লিষ্ট পণ্যটি ক্রেতার বাসায় পৌঁছে দেয়।
অন্য প্রক্রিয়ায় প্রথম দিককার যোগাযোগ অনলাইনে হলেও বেচাকেনা হয় ব্যক্তিপর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন:
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শান্তি ও বহুপাক্ষিকতার যৌথ আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য জাতিসংঘকে ক্রমাগত বিকশিত হতে হবে এবং সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ‘যদি জাতিসংঘ আমাদের সবার শান্তি ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে চায়, তবে তাকে অবশ্যই পরিবর্তিত বিশ্ব বাস্তবতার সঙ্গে অভিযোজিত হতে হবে। আমরা জাতিসংঘ সংস্কারের পক্ষে— যাতে এটি আরও গতিশীল, সমন্বিত এবং পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সবার প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হয়।’
প্রধান উপদেষ্টা ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন। এ বছর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৮০তম বার্ষিকী পালন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এই তাৎপর্যপূর্ণ দিনে আমরা অঙ্গীকার করছি যে, জাতিসংঘ সনদে কল্পিত শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল বিশ্ব গড়ে তুলতে বাংলাদেশ তার দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে।’
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ, জাতিসংঘ সব অংশীদার এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে ‘জাতিসংঘ দিবস’-এর শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, ‘এ দিনটি হলো ভয় ও অভাবমুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলার অঙ্গীকার নতুন করে স্মরণ করার একটি সুযোগ। একই সঙ্গে জাতিসংঘ যে বহুপাক্ষিক সহযোগিতা ও ঐকমত্যের চেতনা বহন করে, তা পুনরুজ্জীবিত করারও সময়।’
গত আট দশকে জাতিসংঘ তার কার্যক্রমের পরিধি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে এবং বিশ্বজুড়ে সম্পৃক্ততা আরও গভীর করেছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা, মানবাধিকার সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন ও মানবকল্যাণে এক অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ পাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ একটি সক্রিয়, দায়িত্বশীল ও অবদানশীল সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘শান্তির সংস্কৃতির পতাকা হাতে নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতে অংশ নিয়েছে এবং নীল হেলমেটধারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম শীর্ষ অবদানকারী দেশ হিসেবে অবস্থান করছে।’
‘আমাদের অনেক সাহসী শান্তিরক্ষী বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছেন,’ যোগ করেন অধ্যাপক ইউনুস।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন, বাণিজ্য কিংবা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ক্ষেত্রেই হোক—বাংলাদেশসহ বৈশ্বিক দক্ষিণের দেশগুলো নিয়মভিত্তিক বহুপাক্ষিক ব্যবস্থায় বিকশিত হয়।
‘তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, একতরফা সিদ্ধান্ত ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে বৈষম্যমূলক আচরণের ফলে বিশ্বে উত্তেজনা বেড়ে চলেছে,’ তিনি মন্তব্য করেন।
সাম্প্রতিক সংঘাতসমূহ বিশ্বকে গভীর অনিশ্চয়তার মুখে ফেলেছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের স্বীকার করতে হবে যে বহুপক্ষীয় কূটনীতি এখন কঠিন পরীক্ষার মুখে। চরম জাতীয়তাবাদ ও মানবিক কষ্টের প্রতি উদাসীনতা মানবজাতির দীর্ঘ সংগ্রামে অর্জিত অগ্রগতিকে ধ্বংস করছে।’
তিনি বলেন, ‘আজ বিশ্বের মানুষ গাজার এক ভয়াবহ গণহত্যার সরাসরি সম্প্রচার প্রত্যক্ষ করছে।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব অঞ্চলেও আমরা রোহিঙ্গাদের অধিকারবঞ্চনা ও নির্যাতনের সাক্ষী। এটি সাংস্কৃতিক পরিচয়ভিত্তিক রাজনীতির ফল। এ বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নতুন মনোযোগ কামনা করেছি।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধি দল। শনিবার সকাল ১০টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এনসিপির প্রতিনিধি দলে থাকবেন—দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধি দল জুলাই সনদের বাস্তবায়ন আদেশ, আইনি ভিত্তিসহ সনদের নানা বিষয়ে আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।
নওগাঁর ধামইরহাটে গরুবোঝাই ইঞ্জিন চালিত ভটভটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে চালকসহ দুইজন মারা গেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলার বিহারীনগর বাইপাস সড়কের তালঝাড়ি ফুটবল মাঠের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও ৪ জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন ভটভটি চালক আড়ানগর এলাকার বাসিন্দা পাড়ার জয়দুল ইসলামের ছেলে মাসুদুর রহমান মওলা (৩৫) ও আড়ানগর গ্রামের নজিম উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ ভুট্টু (৪০)।
এ ঘটনায় আড়ানগর গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে জিহাদ (২৫), ফতেপুর গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে জাইদুল ইসলাম (৫৫), লক্ষণপাড়া গ্রামের মৃত আছির উদ্দিনের ছেলে নাজিম উদ্দিন (৭০) ও মোটরসাইকেল চালক দিনাজপুর জেলার জহুরুল ইসলামের ছেলে মো. সেলিম রেজা আহত হয়েছেন। আহত সেলিম ও নাজিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে উপজেলার আড়ানগর এলাকা থেকে একটি ভটভটিযোগে বিহারীনগর-পিড়লডাঙ্গা বাইপাস সড়ক হয়ে জয়পুরহাট জেলার গরুর হাটে যাচ্ছিলেন কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী। পথে বাইপাস সড়কের তালঝাড়ি এলাকার ডবল ব্রিজের কাছে একটি মোটরসাইকেলকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভটভটি ও মোটরসাইকেল উল্টে রাস্তার পাশে ধানক্ষেতে পড়ে যায়। খবর পেয়ে ধামইরহাট থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস টিম স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে ধামইরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন।
ধামইরহাট থানার ওসি ঈমাম জাফর জানান, নিজ গাড়িতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মৃত্যুবরণ করায় এবং কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক ঘোষণায় জানানো হয়েছে, গত এক সপ্তাহে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক, খারকিভ এবং জাপোরিজঝিয়া অঞ্চলের মোট ১০টি নতুন বসতির দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৭ থেকে ২৪ অক্টোবরের মধ্যে এই এলাকাগুলো রুশ নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, একই সময়সীমায় ইউক্রেনীয় সেনাদের ২২টি অস্ত্রাগার ও সামরিক সরঞ্জামাগার ধ্বংস করা হয়েছে। রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনীয় বাহিনী একাধিকবার বিমান হামলার চেষ্টা করলেও প্রতিবারই তা ব্যর্থ হয়েছে।
রুশ পক্ষের হিসাব অনুযায়ী, ১৭ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ইউক্রেন হারিয়েছে একটি এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমান, চারটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ১৮টি গাইডেড বোমা, ১৫টি হিমার্স রকেট এবং ১,৪৪১টি ড্রোন।
রাশিয়ার এই দাবির বিষয়ে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
উল্লেখ্য, ন্যাটো জোটে যোগদানের ইচ্ছা এবং ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া ইস্যু ঘিরে কয়েক বছর ধরে উত্তেজনা চলার পর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া।
গত তিন বছরে রুশ সেনারা ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিজঝিয়া ও খেরসন প্রদেশের অংশবিশেষ দখল করেছে, যা ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের প্রায় এক-দশমাংশ। দখলকৃত এলাকা পুনরুদ্ধারে ইউক্রেনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকায় যুদ্ধ থামার কোনো ইঙ্গিত এখনো দেখা যাচ্ছে না।
রাজধানী ঢাকায় বৃষ্টিহীন আবহাওয়ায় গরমের দাপট কমছে না। সকালে কিছুটা শীতল বাতাসে স্বস্তি থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা বেড়ে অস্বস্তি ফের বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য প্রকাশিত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। উত্তর ও উত্তর–পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে।
গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আজও তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে দিনের বেলায় ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। আজ সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ২৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ১ মিনিটে।
অন্যদিকে, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, যা আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে আজ চট্টগ্রাম বিভাগের দু–একটি স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সরকারি চাকরিজীবীদের ৯০ থেকে ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করে নতুন বেতন নির্ধারণের খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে গঠিত জাতীয় বেতন কমিশন। নতুন বেতন স্কেল আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই কার্যকর হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগেই কার্যকর হতে পারে নতুন বেতন স্কেল। সে হিসাবে ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই নতুন বেতন স্কেলে বেতন-ভাতা পেতে পারেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
গত ২৭ জুলাই গঠন করা হয় জাতীয় বেতন কমিশন। যারা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে চায় আগামী ডিসেম্বরে।
তবে এ খসড়া প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সরকারের ওপর অর্থনৈতিক বাড়তি চাপ আসবে। নতুন কাঠামোতে শুধু যে সরকারের ব্যয় বাড়াবে তা নয়, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ব্যয় করার মতো আয়ও আগের তুলনায় বাড়বে। এতে সরকারের রাজস্ব আদায়ও বাড়বে। সম্প্রতি জাতীয় পে-কমিশনকে এমন মত দিয়েছে অর্থ বিভাগ।
এর আগে, নতুন বেতন স্কেল বাস্তবায়ন এবং অর্থনৈতিক চাপ সামাল দেওয়ার বিষয়ে মত চেয়েছিল পে-কমিশন। ওই মতামতে অর্থ বিভাগ আরও বলেছে, ২০১৫ সালের পর বিগত এক দশকে বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়নি চাকরিজীবীদের। ফলে বর্তমান বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাসের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য হয়ে পড়ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাড়তি অর্থের সংস্থান নিশ্চিত করতে কাজ করছে অর্থ বিভাগ। পে-কমিশন সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।
দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অর্থনীতিতে সংকটকালীন চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর জন্য পে-কমিশন গঠন করে সরকার। যে কারণে অর্থের সংস্থান নিয়ে পে-কমিশনও কিছুটা উদ্বেগে আছে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন মূল্যস্ফীতি, জীবনযাত্রার মানসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনায় বেতন বাড়ানোর হার শতভাগ হতে পারে। কারণ ২০১৫ সালের পর থেকে আর কোনো কমিশন গঠন করা হয়নি। যদিও প্রতিবছর চাকরিজীবীদের ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। কিন্তু জীবনযাত্রার মান বেড়ে যাওয়ায় সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে সর্বনিম্ন বেতনধারীরা খুবই কষ্টে আছেন। তবে বেতন দ্বিগুণ হারে বাড়লে সরকারের ব্যয়ও বর্তমানের তুলনায় এ খাতে দ্বিগুণ হবে। এর চাপ এসে পড়বে সার্বিক অর্থনীতিতে।
এ বিষয়ে সম্প্রতি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদের মধ্যেই গ্যাজেটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে, পরের রাজনৈতিক সরকার আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে না। আর সেটি বাস্তবায়নের জন্য অর্থের বরাদ্দ দেওয়া হবে চলতি (২০২৫-২৬) অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে।
তিনি আরও বলেন, আগামী বছরের মার্চ বা এপ্রিলে নতুন পে-স্কেল যদি কার্যকর করতে হয়, তাহলে চলতি অর্থবছরের বাজেটেই সেজন্য অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। বাজেট সংশোধন শুরু হবে ডিসেম্বরে, সেখানে নতুন পে-স্কেল কার্যকর করার বিধান যুক্ত করা হবে।
অর্থ বিভাগ মনে করছে, সর্বনিম্ন বেতন সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের আয়কর পাবে সরকার। যা নতুন বেতন কাঠামোর বাড়তি অর্থ সংস্থানে জোগান দেবে।
দ্বিতীয় হচ্ছে চাকরিজীবীদের বাড়িভাড়া। চাকরিজীবীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সরকারি আবাসনে বসবাস করেন। বেতন কাঠামো সমন্বয়ের ফলে সরকারি বাসাবাড়ির ভাড়ার হার বাড়বে। ফলে ওই উৎস থেকেও সরকারের রাজস্ব আদায় বাড়বে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি।
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের সব জাতি, ধর্ম ও সম্প্রদায়কে নিয়ে একটি ‘রেইনবো নেশন’ (রংধনু জাতি) গড়ে তুলবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকায় গারো সম্প্রদায়ের এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০২২ সালে যে ৩১ দফা ঘোষণা দিয়েছেন, সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে— বিএনপি একটি রেইনবো নেশন গঠন করবে। এমন একটি জাতি, যেখানে সব সম্প্রদায় অংশগ্রহণ ও অবদান রাখার সুযোগ পাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি সরকারে এলে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সমস্যাগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।’
গারো সম্প্রদায়ের দাবির প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার ভিশন-২০৩০ কর্মসূচিতে সমতলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় পৃথক অধিদপ্তর গঠনের ঘোষণা ছিল। আগামীতে সরকারে এলে ঢাকায় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর পৃথক সাংস্কৃতিক একাডেমি গঠন করা হবে। পাশাপাশি গারোদের ‘ওয়ানগালা’ উৎসব সরকারিভাবে পালনের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী দর্শনের মূল লক্ষ্যই হলো সব সম্প্রদায়কে একই জাতীয় পরিচয়ের ছায়াতলে আনা। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রবর্তন করেন— যেখানে শুধু বাঙালিই নয়, দেশের সব জাতিগোষ্ঠীর স্বীকৃতি ও মর্যাদা নিশ্চিত করা হয়।’
ফখরুল আরও বলেন, ‘বিএনপি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কৃষ্টি-সংস্কৃতির সংরক্ষণে কাজ করবে।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, ‘আপনারা (গারো সম্প্রদায়) নিজেদের দুর্বল ভাববেন না। আমরা সবাই বাংলাদেশি, আমরা আপনাদের ভাই। আপনাদের দাবি ও অধিকার আদায়ে আমরা পাশে আছি এবং সংসদে আপনারা প্রতিনিধি পাঠালে আমরা তাদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে কথা বলব।’
সঞ্চয় নাফাকের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী দলের সভাপতি মৃগেন হাগিদক, ক্রিস্টিয়ান সার্ভিস সোসাইটির পরিচালক বাপন মানকিন, বিরিশিরি কালচারাল অ্যাকাডেমির পরিচালক পরাগ রিটসিল ও আয়োজক কমিটির শুভজিট স্যানগমা নাকমাসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য