× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
ভয়ের কারণ নেই বাজার আরও ভালো হবে বিএসইসি চেয়ারম্যান
google_news print-icon

ভয়ের কারণ নেই, বাজার আরও ভালো হবে: বিএসইসি চেয়ারম্যান

ভয়ের-কারণ-নেই-বাজার-আরও-ভালো-হবে-বিএসইসি-চেয়ারম্যান-
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। ছবি: নিউজবাংলা।
নিউজবাংলার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ সিকউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, এখনই শেয়ার বিক্রি করতে হবে এমন মানসিকতা পরিহার করতে হবে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হলে চলবে না। এতে করে লাভবান হবে অন্যরা।

অন্যের কথায় প্রভাবিত হয়ে শেয়ার বিক্রি না কারার পরামর্শ দিয়েছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তিনি বলেছেন ‘ভয়ের কোনো কারণ নেই। সামনে আরও ভালো হবে বাজার।’

এখনই শেয়ার বিক্রি করতে হবে এমন মানসিকতা পরিহারের কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হলে চলবে না। এতে করে লাভবান হবে অন্যরা।

গত বছরের ১৭ মে বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেয়ার পর করোনার মধ্যে ঝিমিয়ে পড়া বাজার চাঙা করতে বেশ কিছু সাহসী পদক্ষেপ নেয়ায় সংশ্লিষ্ট মহলে প্রশংসিত হন তিনি।

এ ছাড়া বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরি, পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের পরিকল্পনা এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে প্রবাসীদের আকৃষ্ট করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

‘মিউচ্যুয়াল ফান্ডকে’ পুঁজিবাজারের প্রাণ হিসেবে অভিহিত করে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, এই ফান্ড শক্তিশালী হলে পুঁজিবাজারের চেহারা পাল্টে যাবে। মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ নিরাপদ করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। করোনা মহামারির মধ্যেও পুঁজিবাজার নিয়ে আশাবাদী তিনি।

নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় পুঁজিবাজারের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

বিভিন্ন কোম্পানির কাছে ২১ হাজার কোটি টাকার অবণ্টিত লভ্যাংশ নিয়ে তহবিল গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে। এ তহবিলের অগ্রগতি সম্পর্কে কিছু বলুন।

বিষয়টি নিয়ে জরিপ হয়েছে। এখন সবার বক্তব্য নিয়ে চলতি মাসের মধ্যে নীতিমালা চূড়ান্ত হবে বলে আশা করছি। লভ্যাংশগুলো বিভিন্ন কোম্পানির কাছে এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে। তহবিলটি আইসিবির মাধ্যমে ব্যবহার হবে।

তহবিল গঠন হলে বিনিয়োগকারীরা কী ধরনের সুবিধা পাবেন?

বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেছেন, লভ্যাংশ ঠিকমতো পাচ্ছেন না। আমরা দেখলাম, কোম্পানির পক্ষ থেকে যে প্রক্রিয়ায় লভ্যাংশের চেক বা দলিল পাঠানো হয়, তা অনেক সময় পোস্ট অফিসের অবহেলার কারণে ঠিকমতো বিরতণ করা হয় না। আধুনিক প্রযুক্তির ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে সব লভ্যাংশ পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। তারপরও অভিযোগ আসছে।

এখন আমরা যেটা করব, টাকাগুলো আমাদের হেফাজতে নিয়ে নেব। লভ্যাংশের দাবিদার বা প্রাপকের উত্তরাধিকার যখনই লভ্যাংশ পাওয়ার জন্য আবেদন করবেন, তাৎক্ষণিকভাবে তা দেয়া হবে। এটা আমাদের হাতে থাকলে সহজে তদারকি করতে পারব।

কোম্পানির অবণ্টিত লভ্যাংশ কোম্পানির কাছে তিন বছর থাকবে। লভ্যাংশের টাকা কোম্পানিগুলো বণ্টন না করে কিছু কিছু কোম্পানি তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার করছে। এতে বিনিয়োগকারীরা টাকা পায় না, বরং তা অপব্যবহার হয়। সে জন্য তিন বছর পর আমাদের জিম্মায় নিয়ে এসে এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।

সুকুবন্ড নিয়ে কাজ করছে কমিশন। পুঁজিবাজারের জন্য এ বন্ড কতটা কার্যকর হবে?

আমাদের দেশের যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, তা ইক্যুইটিনির্ভর অর্থনীতির মাধ্যমে খুব বেশি সহায়ক হবে না। ইক্যুইটি থেকে যে পরিমাণ টাকা অর্থনীতিতে পাওয়া যায়, সেটা পর্যাপ্ত নয়।

ফলে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল করতে হলে বন্ডে ব্যবহার লাগবেই। উন্নত বিশ্বে এভাবে এগোচ্ছে। সে জন্য আমরাও বন্ড মার্কেট উন্নয়নে জোর দিয়েছি।

বন্ডের সঙ্গে আরেকটি মার্কেট রয়েছে। সেটি হলো ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক মার্কেট। এখানে ট্রিলিয়ন ডলার পড়ে আছে। তারা যেহেতু শরিয়াহভিত্তিক জায়গা ছাড়া বিনিয়োগ করতে পারে না, সে জন্য ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক সুকুক বন্ডে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।

অল্প সময়ে দুটি প্রকল্প এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। একটি সরকারি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্রকল্প। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৪ হাজার কোটি টাকা ওঠাতে গিয়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা চলে এসেছে। পরবর্তী সময়ে যে প্রকল্পে অর্থায়ন করা হবে, তা হবে বেসরকরি খাতের। আশা করা যাচ্ছে, ভালো সাড়া পাওয়া যাবে।

বন্ড মার্কেট শক্তিশালী হলে এখন ব্যাংকের ঋণের ওপর যে নির্ভরশীলতা, তা থেকে উদ্যোক্তারা বের হয়ে আসতে পারবে। ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়ে অনেকেই ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হয়। এসব সমস্যার সমাধান সহজ হবে।

দুর্বল ও লোকসানি কোম্পানিগুলোর বোর্ড পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে কোম্পানিগুলো চালু হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিটি কোম্পানির ঠিকভাবে চলা উচিত। কিন্ত তা হচ্ছে না। জনগণ তাদের কষ্টের টাকা কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ করে, কিন্তু সে অনুযায়ী রিটার্ন পায় না।

কোনো কোম্পানি ভালোভাবে চলতে না পারলে বোর্ড পরিবর্তন করে নতুন ম্যানেজমেন্ট দিয়ে পরিচালনের চেষ্টা করা হবে। তারপরও যদি অবস্থার উন্নতি না হয়, তখন এক্সিট পলিসি প্রয়োগ করা হবে, যাতে বিনিয়োগকারী টাকা ফেরত পান।

আমরা জেড এবং ওটিসিতে চলে যাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে যেগুলো ভালো পাচ্ছি তা নিয়ে কাজ করছি।

মাঝারি মানের বা কপোরেট গভর্ন্যান্সের বিষয়ে কিছুটা গাফিলতি আছে, অনেকগুলোর রয়েছে পারিবারিক সমস্যা, আবার কিছু কোম্পানির উদ্যোক্তা মারা গেছে- এমন সব কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠন করা হচ্ছে, যাতে জনগণের বিনিয়োগ নিরাপদ হয়। আর সেটা করেও যদি কোম্পানির উন্নতি না হয়, তাহলে জনগণের যতটা সম্ভব টাকা ফেরত দেয়ার চেষ্টা করা হবে।

পর্ষদ পুনর্গঠনের খবরে বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকিপূর্ণ, দুর্বল ও ওটিসির কোম্পানির প্রতি আগ্রহী হতে দেখা গেছে। তাদের জন্য পরামর্শ কী?

বোর্ড পুনর্গঠন হওয়ার পর কোনোটিরই ফলাফল আসেনি এখনও। কাজ চলছে। দুই-একটিতে খুব ভালো কাজও হচ্ছে। এসব কোম্পানির অনেকগুলো ওটিসিতে আছে, যেখানে টাকা খাটিয়ে বিপদে আছে বিনিয়োগকারীরা।

জেড ক্যাটাগরিতে কিছু শেয়ারের দর দেড় টাকা, দুই টাকা, তিন-চার টাকায় নেমে এসেছে। যখনই কোনো কোম্পানির পুনর্গঠনের খবর আসছে, তখনই বিনিয়োগকারীরা কম দামে শেয়ার কেনার চেষ্টা করছে। তাদের আশা, হয়তো শেয়ারের দর আট-দশ টাকায় চলে যাবে। এখন যদি কেউ দুই-তিন টাকা দামে কেনে, পরবর্তী সময়ে ৫ থেকে ৭ টাকায় বেচতে পারে, তাহলে শতভাগ মুনাফা।

লোভে পড়ে অনেকেই এসব কোম্পানির শেয়ার কিনে রাখার চেষ্টা করছে। বোর্ড পুনর্গঠন করা কোম্পানিগুলোর মধ্যে হয়তো দু-একটির সুখবর শিগগিরই দিতে পারব।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বর্তমান পুঁজিবাজারে ততটা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছে না বলে অভিযোগ আছে। আপনার বক্তব্য কী?

এ অভিযোগ ঠিক না। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরও বিও অ্যাকাউন্ট আছে। আমরা ধারণা করেছিলাম, তারা বিনিয়োগ করে না। এখন দেখছি গত কয়েক দিনে করোনা ও গুজবের কারণে তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করোনা সংক্রমণ থেকে বের হ‌ওয়া যাচ্ছে না। দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। এ জন্য আমরা খুবই কষ্ট করছি বাজার নিয়ে। কারণ, পুঁজিবাজার খুবই সংবেদনশীল জায়গা। এখানে সামান্য ভুলের জন্য অনেক বড় ক্ষতি হয়। এত বড় ধাক্কা, এর বিশাল প্রভাব আছে। তারপরও আমাদের সার্ভেইল্যান্স ইউনিট সব সময়ে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে।

এখনও ছোট বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কে শেয়ার বেশি বিক্রি করছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সেই শেয়ার কিনছে। এ জন্য ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হলে চলবে না। এতে লাভবান হবে অন্যরা।

শেয়ার দর কমে যাওয়ায় ফোর্স সেলের একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। ফোর্স সেল বন্ধে ঋণ-অনুপাত বাড়ানো হয়েছে, যাতে শেয়ার কেনার জন্য আরও কিছু ফান্ড আসে বিনিয়োগকারীদের কাছে।

বিলিয়ন ডলারের বন্ড আসছে সুইজারল্যান্ডের একটি ব্যাংকের মাধ্যমে। এর অগ্রগতি সম্পর্কে কিছু বলুন।

এটা আইসিবির জন্য করা হয়েছে। এ প্রস্তাব বর্তমানে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পর্যায়ে আছে। অনুমোদন পাওয়ার পরই ফান্ড আসা শুরু হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বিএসইসির সমন্বয়হীনতার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বৈঠকও হয়েছে। সেখানে এক্সপোজার লিমিট নিয়ে একটি নির্দেশনার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক সেটি এখনও পরিষ্কার করেনি। আপনাদের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ আছে কি?

বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আমরা বলেছি, এক্সপোজার-লিমিট শেয়ার ক্রয়েমূল্যের ভিত্তিতে বিবেচনা করার জন্য। বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছে। তারা এটা ঠিক করে দেবে। সমন্বয়হীনতা এখন অনেক কমে গেছে। গত এক মাস ধরে দুপক্ষ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।

মার্জিন ঋণের সুদহার ১২ শতাংশ করার পর লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। অনেক ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বেশি ঋণ নিয়েছে। এটি সমন্বয়ে যে সময় দেয়া হয়েছে, তা পর্যাপ্ত নয়। ফলে অনেকে্‌ই মার্জিন ঋণ দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে আপনাদের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না?

এ বিষয়ে মার্চেন্ট ব্যাংকের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। তারা যেহেতু ব্যাংকের পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকেও ঋণ নেয়, তাই সব সময় ৯ শতাংশে ঋণ পায় না। মার্চেন্ট ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও ছয় মাস দেয়া হবে বলে চিন্তাভাবনা চলছে।

লকডাউন আবার শুরু হয়েছে। লেনদেনও দুই ঘণ্টা করা হয়েছে। এ সময়টিতে বিনিয়োগকারীরা কোন বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে লেনদেন করবে। আর পুঁজিবাজারে এমনটাও আলোচনা আছে সূচকের ফ্লোর প্রাইস নির্ধারকরা। এ বিষয়ে আপনাদের বক্তব্য কী?

আমরা তো মার্কেট পিই রেশিও দেখেই বিনিয়োগ করি। পিই রেশিও এখন বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত। যারা সত্যিকার অর্থে বিনিয়োগকারী, তারা পিই রেশিও দেখে, কোম্পানি দেখে ব্যাপক বিনিয়োগ করতে পারে।

বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশন (আইওএসসিও) সদস্য। সেখানে আমাদের ক্যাটাগরি ‘এ’।

আমরা যদি মার্কেটকে প্রভাবিত করি, কারসাজি করি তাহলে আইওএসসিওর সদস্য হিসেবে আমাদের অবস্থান খারাপ হবে।

ফলে একটি ফ্লোর প্রাইস থাকার পর আরেকটা ফ্লোর প্রাইস ম্যানিপুলেট করা আমাদের জন্য ভয়াবহ হবে। সে জন্য আমরা এখন বাজারকে ফ্রি ফ্লোর দিতে চাই। মার্কেটই মার্কেটের অবস্থান নিয়ে যাবে।

বিনিয়োগকারীদের বোঝতে হবে, আতঙ্কে যখন শেয়ার বিক্রি করা হয়, তখন কেউ না কেউ সেটা কেনে। আমার শেয়ারের যেহেতু ক্রেতা আছে, সেহেতু আমি কেন লোকসানে শেয়ার বিক্রি করব? আমাদের পুঁজিবাজারে শেয়ার কিনে কেউ লসে শেয়ার বিক্রির করার কথা না।

অন্যের কথায় কিংবা একটি বিশেষ অবস্থায় কেন এখনই শেয়ার বিক্রি করতে হবে? আজকেই বিক্রি করতে হবে এমন ধারণাই সূচক পতনের বড় একটি কারণ।

কষ্ট লাগে যখন শুনি, অনেক বিনিয়োগকারী ভয়ে শেয়ার বিক্রি করে লস করছে। এখানে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মার্কেট অনেক ভালো হবে।

মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগাকরীদের আস্থার জায়গাটিতে খুব বেশি শক্তিশালী অবস্থানে নেই। বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী লভ্যাংশ দিতে পারছে না। এ ক্ষেত্রে আপনাদের কোনো উদ্যোগ আছে কি?

এটা নিয়ে কাজ চলছে। আমরা মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে নিরাপদ করার জন্য কাজ করছি। মিউচ্যুয়াল ফান্ড হচ্ছে পুঁজিবাজারের প্রাণ। পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল রাখার জন্য মিউচ্যুয়াল ফান্ড ভালো ভূমিকা রাখে।

গত কিছু দিন ধরে আমরা চেষ্টা করছি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করার। বর্তমানে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর এনএভি দেখতে পাচ্ছি। তাদের ব্যবসার যে অবস্থা, তাতে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল থাকলে সবাই লাভবান হবে।

আমাদের মাথাপিছু আয় দুই হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এখন জনগণ ডিভিডেন্ড আশা করে। মাথাপিছু আয় ৫ হাজার ৬ হাজার ডলার হয়ে গেলে অন্য রকম হবে। তখন হয়তো আমরা ওয়ার্থ মেক্সিমাইজেশনের দিকে যাব। এখন আমাদের প্রফিট মেক্সিমাইজেশনরে দিকে যেতে হচ্ছে।

মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোকে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে হবে। তাহলে আরও বিনিয়োগ হবে। তখন মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো বড় হবে। তাদের পুঁজিবাজারে অংশগ্রহণ বাড়বে।

আমরা এখানে স্বস্তির জায়গায় নেয়ার চেষ্টা করছি। কিছু মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মামলা মোকদ্দমা, এটা সেটা ছিল, এগুলো শেষ করা হচ্ছে।

এখানে সুন্দর পরিবেশে কাজ করার প্রচেষ্টা চলছে। তাদের ব্যবসার সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য কাজ করা হবে। শুধু জরিমানা ও বিচার করা, শাস্তি দেয়া- এ রকম দায়িত্ব পালন করতে চাই না।

মিউচ্যুয়াল ফান্ড যখন ভালো হবে, তখন পুঁজিবাজারের চেহারা পরিবর্তন হবে। এখানে তখন বিনিয়োগকারীরা নিজ উদ্যোগে বিনিয়োগ করবে।

আরও পড়ুন:
আতঙ্কে টাকা ওঠানোর হিড়িক বিনিয়োগকারীদের
ফোর্স সেল বন্ধে মার্জিন ঋণের সীমা বাড়াল বিএসইসি
ফ্লোর প্রাইসে হাত নয়, লেনদেন বাড়ানোর চেষ্টায় বিএসইসি
প্রবাসীদের জন্য সহজ হচ্ছে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি বাড়াচ্ছে বিএসইসি

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Take effective steps to get maximum benefits post LDC PM

এলডিসি-পরবর্তীতে সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন: প্রধানমন্ত্রী

এলডিসি-পরবর্তীতে সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন: প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি ভবনে বৃহস্পতিবার একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস
একনেক বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণে সম্ভাবনার পাশাপাশি কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে সমন্বয়ে কোনো সমস্যা নেই। এটি কোনো নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নয়, বরং এটি সার্বিক সমস্যা।’

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে ২০২৬ সালে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও উত্তরণ-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে কৌশল প্রণয়ন করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সূত্র: বাসস

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তিনি বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণে সম্ভাবনার পাশাপাশি কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে সমন্বয়ের কোনো সমস্যা নেই। এটি কোনো নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নয়, বরং এটি একটি সার্বিক সমস্যা।’

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) মো. আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার বক্তব্য দেন। এ সময় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, বৈঠকে মোট ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়সাপেক্ষ মোট ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা সরকার দেবে এবং বাকি ৪৮৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসেবে আসবে।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কিছু নির্দেশনা প্রকাশ করে পরিকল্পনা সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী মিসরের কায়রোতে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স ও আবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য ১৬৬ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেয়ার সময় প্রয়োজনীয় বিশ্রাম কক্ষ রাখা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেন স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে পরিষেবা পান সেজন্য পর্যাপ্তসংখ্যক বুথ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের জেলাগুলোতে গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়নে আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদনের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রামে নদীভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং রাস্তা ও সেতু নির্মাণের সময় বন্যার বিষয়টি বিবেচনা করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স (তৃতীয় পর্যায়) নির্মাণের জন্য ৩ হাজার ৫৯ কোটি টাকার প্রকল্প সম্পর্কে সত্যজিৎ বলেন, প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে বাকি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সগুলোর নির্মাণ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে তিনি উপকূলীয় এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের পাশাপাশি সোলার সিস্টেম রাখার জন্য একটি ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন।

পরিকল্পনা সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেসব প্রকল্প সমাপ্তির পথে সেগুলোর সবশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে সংশ্লিষ্ট উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসেছেন।

প্রধানমন্ত্রী পরিকল্পনা কমিশনকে এসব প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ নিশ্চিত করতে বলেন, যাতে করে এগুলো দ্রুত সম্পন্ন করা যায়।

মিরপুরে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার জন্য ১১৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সেখানে নারীদের প্রশিক্ষণের বিষয়টি অগ্রাধিকার দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকার প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব করতে না চাইলেও মাঝে মাঝে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতা ও ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে বিলম্ব হয়।

তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেয়া হচ্ছে।

সভায় অনুমোদিত অন্যান্য প্রকল্পগুলো হল- অতিরিক্ত ২৮৮ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০টি মিটার গেজ ডিজেল ইলেক্ট্রিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটার গেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ (প্রথম সংশোধিত); ৪৮১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে কাশিনাথপুর-দাশুরিয়া-নাটোর-রাজশাহী-নবাবগঞ্জ-কানসাট-সোনামসজিদ-বালিয়াদিঘি সীমান্ত জাতীয় মহাসড়কের যথাযথ মান উন্নয়ন; ৩৭১ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে সরকারি মৎস্য খামারের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প (প্রথম পর্যায়); ২৩২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার জেলায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টারের উন্নয়ন; অতিরিক্ত ১৬৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে অবকাঠামো, উন্নত দক্ষতা ও তথ্যের প্রবেশাধিকারের মাধ্যমে দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য টিকে থাকার সামর্থ বৃদ্ধি এবং অতিরিক্ত ১ হাজার ৪৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে আটটি বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার, হার্ট ও কিডনি রোগের চিকিৎসা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা (প্রথম সংশোধিত)।

আরও পড়ুন:
২৫ মার্চ জিয়াও বাঙালিদের আক্রমণ করেছিলেন: প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গভবনে ভুটানের রাজা-রানিকে সংবর্ধনা
স্বাধীনতা দিবসে রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Will not corrupt nor condone BSMMU Vice Chancellor

দুর্নীতি করব না, প্রশ্রয়ও দেব না: বিএসএমএমইউ উপাচার্য

দুর্নীতি করব না, প্রশ্রয়ও দেব না: বিএসএমএমইউ উপাচার্য ছবি: সংগৃহীত
নবনিযুক্ত উপাচার্য বলেছেন, ‘আমি কোনো দুর্নীতি করব না। কোনো দুর্নীতি প্রশ্রয়ও দেব না। আমি মানুষ হিসেবে ভুল করতেই পারি, তবে ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন। আমার কাজের গতি যেন ত্বরান্বিত হয়, সে ব্যাপারে সহযোগিতা করবেন।’

কোনো ধরনের দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবেন না বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ।

তিনি বলেছেন, ‘আমি কোনো দুর্নীতি করব না। কোনো দুর্নীতি প্রশ্রয়ও দেব না। আমি মানুষ হিসেবে ভুল করতেই পারি, তবে ভুল হলে ধরিয়ে দেবেন। আমার কাজের গতি যেন ত্বরান্বিত হয়, সে ব্যাপারে সহযোগিতা করবেন।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নতুন উপাচার্য।

দায়িত্ব নিয়েই সবার প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমি আপনাদেরই লোক, আমি বঙ্গবন্ধুর লোক, আমি প্রধানমন্ত্রীর লোক। আমাকে সবাই সহযোগিতা করবেন, ভুল হয়ে ধরিয়ে দেবেন। তবে কেউ আমাকে পিছু টানবেন না।’

তিনি বলেন, ‘আমি কারও অন্যায় আবদার শুনব না। সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। প্রশাসনিক ক্ষমতা দেখাতে নয়, আমি আপনাদের বন্ধু হয়ে কাজ করতে চাই। আমি আপনাদের পাশে থেকে সব সমস্যা সমাধান করব।’

চিকিৎসকদের উদ্দেশে নতুন উপাচার্য বলেন, ‘আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করলেই আমি সবচেয়ে খুশি হব। অন্যকিছু দিয়ে আমাকে খুশি করা যাবে না। কেউ দায়িত্ব পালন করতে না পারলে দায়িত্ব থেকে সরে যেতে হবে। যিনি চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে পারবেন, তিনিই দায়িত্ব নেবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ আমার বন্ধু। তিনি আমাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে বিদায় নিয়েছেন। আমি শারফুদ্দিন আহমেদকে শুভেচ্ছা জানাই।’

ডা. দীন মোহাম্মদ বলেন, ‘আমি সুনির্দিষ্ট কোনো গ্রুপের লোক নই। আমি কোনো ধরনের গ্রুপে যেতে চাই না। এ বয়সে আমার কোনো গ্রুপিংয়ের প্রয়োজন নেই। আমাকে যে আস্থা এবং বিশ্বাস নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে পাঠিয়েছেন, আমি সেটাকে মূল্যায়ন করতে চাই।’

উদ্বোধনের দীর্ঘদিন পরও সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু না হওয়া প্রসঙ্গে নতুন উপাচার্য বলেন, ‘সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।’ এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।

উপাচার্য বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমার দায়বদ্ধতা আছে। আমি বিদেশ থেকে অভিজ্ঞ চিকিৎসক-ট্রেইনারদের নিয়ে এসে আমাদের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব। আশা করি, সেবায় প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের অন্যতম জায়গায় অবস্থান করবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়টিকে বিশ্বের অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা উপাচার্য হিসেবে তার একমাত্র অ্যাজেন্ডা বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
What the Yunus Center said about the Tree of Peace award

‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার নিয়ে যা বলল ইউনূস সেন্টার

‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার নিয়ে যা বলল ইউনূস সেন্টার ছবি: সংগৃহীত
ইউনূস সেন্টার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউনেস্কোর পুরস্কারের বিষয়টি উল্লেখ করে। অধ্যাপক ইউনূসকে প্রদত্ত ‘ট্রি অফ পিস’ ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত পদকের একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য।

নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার প্রদান করেনি বলে শিক্ষামন্ত্রীর দাবির একদিন পর এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইউনূস সেন্টার।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে ইউনূস সেন্টার জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ১৪-১৬ মার্চ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত বাকু ফোরাম একাদশে বিশিষ্ট বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিজামি গানজাভি ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার থেকে অধ্যাপক ইউনূসকে পাঠানো বাকু ফোরামের অফিশিয়াল অনুষ্ঠানসূচিতেও অধ্যাপক ইউনূস ইউনেস্কোর পুরস্কার গ্রহণ করবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। অধ্যাপক ইউনূসকে বাকু ফোরামের সমাপনী নৈশভোজে যোগদানের বিষয়টি বিশেষভাবে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, যাতে তিনি ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কারটি গ্রহণের জন্য মঞ্চে সশরীর উপস্থিত থাকেন।

ইউনূস সেন্টার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউনেস্কোর পুরস্কারের বিষয়টি উল্লেখ করে। অধ্যাপক ইউনূসকে প্রদত্ত ‘ট্রি অফ পিস’ ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত পদকের একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এর আগে ২০২৩ সালের জুনে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ইউনেস্কোর প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনের সময় ইউনেস্কো এবং অধ্যাপক ইউনূস প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সংগঠন ইউনূস স্পোর্টস হাবের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল ইউনেস্কোর ফিট ফর লাইফ ফ্ল্যাগশিপের অধীন টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে উভয় প্রতিষ্ঠানের একসঙ্গে কাজ করে যাওয়া।

এর আগে বুধবার শিক্ষামন্ত্রী ও বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশনের চেয়ারম্যান মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, “নোবেল বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার দেয়নি।”

তিনি বলেন, “আজারবাইজানের গঞ্জাভি ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে ড. ইউনূসকে ইসরাইলের একজন ভাস্কর ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কারে ভূষিত করেন।”

ইউনেস্কো থেকে পুরস্কার পেয়েছেন বলে ড. ইউনূস যে দাবি করেছেন তা অসত্য বলে দাবি করেন মন্ত্রী।

আরও পড়ুন:
ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে ইউনূস সেন্টারের তথ্য বিভ্রান্তিকর: শিক্ষামন্ত্রী
ইউনেস্কোর ‘ট্রি অফ পিস’ পুরস্কার পেলেন ড. ইউনূস

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Dr Yunus favors genocide with Israeli reward Foreign Minister

ড. ইউনূস ইসরায়েলির পুরস্কার নিয়ে গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ড. ইউনূস ইসরায়েলির পুরস্কার নিয়ে গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: নিউজবাংলা
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ড. ইউনূস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। ওদিকে গাজায় আজ নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চলছে, নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। এ নিয়ে তিনি একটি শব্দ‌ও উচ্চারণ করেননি। ‘বরং এই সময়ে তিনি একজন ইসরায়েলির কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। এর অর্থ কি এটাই নয় যে ড. ইউনূস প্রকারান্তরে গণহত্যায় সমর্থন দিয়েছেন?’

শান্তিতে নোবেলজয়ী হয়েও ড. ইউনূস ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, হত্যাযজ্ঞে নিশ্চুপ থেকে এবং একজন ইসরায়েলির দেয়া পুরস্কার নিয়ে ড. ইউনূস প্রকারান্তরে গণহত্যায় সমর্থন দিয়েছেন। আর ইউনূস সেন্টার এটিকে ইউনেস্কোর পুরস্কার উল্লেখ করে মিথ্যাচার করছে, যা খুবই দুঃখজনক।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ইউনূস সেন্টারের মিথ্যাচারে আমি বিষ্মিত, হতবাক। সম্প্রতি আজারবাইজানের বাকুতে একটি সম্মেলনে মিজ হেদভা সের নামে একজন ইসরায়েলি ভাস্বর ড. ইউনুসকে একটি পুরস্কার দিয়েছেন। এ সম্মেলনে ইউনেস্কো কোনোভাবে জড়িত ছিল না।

‘এই পুরস্কার ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে তো নয়ই, একজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে। আর ইউনূস সেন্টার সেটিকে ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে বলে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করেছে। তবে এটিই প্রথম নয়, এর আগেও এ ধরনের মিথ্যাচার ইউনূস সেন্টারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ড. ইউনূস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। ওদিকে গাজায় আজ নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চলছে, নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। এ নিয়ে তিনি একটি শব্দ‌ও উচ্চারণ করেননি, প্রতিবাদ করেননি।

‘বরং এই সময়ে তিনি একজন ইসরায়েলির কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। এর অর্থ কি এটাই নয় যে ড. ইউনূস প্রকারান্তরে গণহত্যায় সমর্থন দিয়েছেন? এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’

সীমান্ত হত্যায় বিজিবি’র মাধ্যমে প্রতিবাদ

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২৫ মার্চ মধ্যরাতে লালমনিরহাট ও ২৬ মার্চ ভোরে নওগাঁ সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হওয়ার ঘটনায় বিজিবি’র মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো এবং সীমান্তে পতাকা বৈঠকও হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেকদিন ধরেই ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে আসছি। সম্প্রতি ভারত সফরেও এ নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলোতে গুরুত্বসহ আলোচনা করেছি। সেই প্রেক্ষিতে সীমান্তে এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নন-লেথাল বা প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। রাবার বুলেটে অনেকে আহত হন; কিন্তু প্রাণহানি কমে এসেছে। তবে আমাদের লক্ষ্য প্রাণহানিকে শূন্যের কোটায় নিয়ে আসা।’

নাবিক ও জাহাজ উদ্ধারে নানামুখী তৎপরতা চলছে

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকদের নিরাপদে উদ্ধার ও জাহাজটিকে মুক্ত করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।’

তিনি বলেন, ‘জাহাজ সম্পর্কে শুধু এটুকু বলতে চাই, নাবিকদের মুক্ত করার জন্য আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগে আছি। আমরা নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছি। আমরা অনেকদূর এগিয়েছি।’

জাহাজে খাদ্য সংকট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, জাহাজটিতে খাদ্য সংকট নেই। এর আগে তিন মাস ধরে জলদস্যুদের কবলে থাকা অন্য জাহাজেও খাদ্য সংকট ছিল না।

আরও পড়ুন:
ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে ইউনূস সেন্টারের তথ্য বিভ্রান্তিকর: শিক্ষামন্ত্রী
বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে পুরস্কার আনেন ড. ইউনূস: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The strike of intern doctors has been suspended with the assurance of the health minister

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্নদের কর্মবিরতি স্থগিত

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্নদের কর্মবিরতি স্থগিত বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত
বিষয়টি কতদিনে বাস্তবায়িত হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিছুদিন তো লাগবেই। তবে ঈদের পর হয়তো বলতে পারব, কতদিনের মধ্যে বেতন বাড়বে।’

ঈদের পর সমাধান করা হবে- স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এমন আশ্বাসে এক মাসের জন্য আন্দোলন থামালেন বেতন-ভাতা বাড়ানো ও বকেয়া ভাতা পরিশোধসহ চার দফা দাবিতে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালনকারী পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসকরা যে দাবিগুলো করেছেন সেগুলো যৌক্তিক। চিকিৎসকরা হাসপাতালকে বাঁচিয়ে রাখে। তাদের বেতন বাড়ানোর বিষয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, চিকিৎসকদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন হবে। তারা কাজে যোগদান করুক।’

বিষয়টি কতদিনে বাস্তবায়িত হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিছুদিন তো লাগবেই। তবে ঈদের পর হয়তো বলতে পারব, কতদিনের মধ্যে বেতন বাড়বে।’

এর আগে গত শনিবার (২৩ মার্চ) চার দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন করেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

আরও পড়ুন:
জামালপুর সদর হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
খুলনা মেডিক্যালে ইন্টার্নদের কর্মবিরতি

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The issues that will be important in the visit of the Emir of Qatar to Bangladesh

কাতারের আমিরের বাংলাদেশ সফরে গুরুত্ব পাবে যেসব বিষয়

কাতারের আমিরের বাংলাদেশ সফরে গুরুত্ব পাবে যেসব বিষয় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ছবি: ইউএনবি
কাতারের আমিরের সফরে দুই দেশের মধ্যে প্রায় ডজনখানেক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও চুক্তি চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলোচনা চলছে জানিয়ে সূত্রটি বলেছে, সফরকালে এসব এমওইউ ও চুক্তি সই করা হবে।

আগামী মাসে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির বাংলাদেশ সফরে কিছু বিষয়ে গুরুত্ব পাবে বলে ইউএনবিকে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র।

ওই সূত্র বার্তা সংস্থাটিকে জানায়, শেখ তামিমের সফরে জনশক্তি, জ্বালানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৃহত্তর সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় উভয় দেশ।

কাতারের আমিরের সফরে দুই দেশের মধ্যে প্রায় ডজনখানেক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও চুক্তি চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলোচনা চলছে জানিয়ে সূত্রটি বলেছে, সফরকালে এসব এমওইউ ও চুক্তি সই করা হবে।

ইউএনবির প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতারের আমিরের দুই দিনের সফরটি হতে পারে আগামী ২১ থেকে ২২ এপ্রিল।

বার্তা সংস্থাটি জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমিরের বৈঠকের পর যেসব এমওইউ ও চুক্তি সই হবে, সেগুলো নিয়ে দুই পক্ষ এখন কাজ করছে। সফরের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে আন্তমন্ত্রণালয় সভা করেছে।

গত বছরের মার্চে কাতারের রাজধানী দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর বিষয়ে জাতিসংঘের সম্মেলন এলডিসি-৫-এর পার্শ্ববৈঠকে কাতারের আমির শেখ তামিমের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওই বৈঠকে কাতারের কাছে বিশেষ করে এলএনজি সরবরাহে সহযোগিতার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের পর একই বছরের ৪ মার্চ বাংলাদেশকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় কাতার।

১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দোহায় বাংলাদেশ তার কূটনৈতিক মিশন চালু করে। ১৯৮২ সালে ঢাকায় কূটনৈতিক মিশন খোলে কাতার।

আরও পড়ুন:
কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ মারা গেছেন
জলাবদ্ধতায় আটকে আমির, ২৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার
তালেবানপ্রধানের সঙ্গে গোপন বৈঠক কাতারের প্রধানমন্ত্রীর
আমিরাতে আগুনে তিন বাংলাদেশির মৃত্যু
এলএনজি: কাতারের সঙ্গে দ্রুত নতুন চুক্তি চায় বাংলাদেশ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Rain with gusty winds may occur in seven divisions

ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে সাত বিভাগে

ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে সাত বিভাগে দেশের সাত বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফাইল ছবি
পূর্বাভাসে আজকের বৃষ্টিপাত নিয়ে বলা আছে, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

দেশের সাত বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।

পূর্বাভাসে আজকের বৃষ্টিপাত নিয়ে বলা আছে, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সিনপটিক অবস্থান নিয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

আজকের তাপমাত্রা নিয়ে পূর্বাভাসে বলা আছে, সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা সোমবার সকালে ছিল ৮৫%।

আরও পড়ুন:
বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে পাঁচ বিভাগে
কোথাও কোথাও হতে পারে শিলা বৃষ্টি
কালিয়াকৈরে শিলাবৃষ্টিতে তছনছ গ্রামের পর গ্রাম
দিন রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে ১ থেকে ২ ডিগ্রি
ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে চার বিভাগে

মন্তব্য

p
উপরে