অন্যের কথায় প্রভাবিত হয়ে শেয়ার বিক্রি না কারার পরামর্শ দিয়েছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তিনি বলেছেন ‘ভয়ের কোনো কারণ নেই। সামনে আরও ভালো হবে বাজার।’
এখনই শেয়ার বিক্রি করতে হবে এমন মানসিকতা পরিহারের কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হলে চলবে না। এতে করে লাভবান হবে অন্যরা।
গত বছরের ১৭ মে বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেয়ার পর করোনার মধ্যে ঝিমিয়ে পড়া বাজার চাঙা করতে বেশ কিছু সাহসী পদক্ষেপ নেয়ায় সংশ্লিষ্ট মহলে প্রশংসিত হন তিনি।
এ ছাড়া বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরি, পুঁজিবাজারে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের পরিকল্পনা এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে প্রবাসীদের আকৃষ্ট করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
‘মিউচ্যুয়াল ফান্ডকে’ পুঁজিবাজারের প্রাণ হিসেবে অভিহিত করে বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, এই ফান্ড শক্তিশালী হলে পুঁজিবাজারের চেহারা পাল্টে যাবে। মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ নিরাপদ করতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। করোনা মহামারির মধ্যেও পুঁজিবাজার নিয়ে আশাবাদী তিনি।
নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় পুঁজিবাজারের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
বিভিন্ন কোম্পানির কাছে ২১ হাজার কোটি টাকার অবণ্টিত লভ্যাংশ নিয়ে তহবিল গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে। এ তহবিলের অগ্রগতি সম্পর্কে কিছু বলুন।
বিষয়টি নিয়ে জরিপ হয়েছে। এখন সবার বক্তব্য নিয়ে চলতি মাসের মধ্যে নীতিমালা চূড়ান্ত হবে বলে আশা করছি। লভ্যাংশগুলো বিভিন্ন কোম্পানির কাছে এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে। তহবিলটি আইসিবির মাধ্যমে ব্যবহার হবে।
তহবিল গঠন হলে বিনিয়োগকারীরা কী ধরনের সুবিধা পাবেন?
বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করেছেন, লভ্যাংশ ঠিকমতো পাচ্ছেন না। আমরা দেখলাম, কোম্পানির পক্ষ থেকে যে প্রক্রিয়ায় লভ্যাংশের চেক বা দলিল পাঠানো হয়, তা অনেক সময় পোস্ট অফিসের অবহেলার কারণে ঠিকমতো বিরতণ করা হয় না। আধুনিক প্রযুক্তির ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে সব লভ্যাংশ পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। তারপরও অভিযোগ আসছে।
এখন আমরা যেটা করব, টাকাগুলো আমাদের হেফাজতে নিয়ে নেব। লভ্যাংশের দাবিদার বা প্রাপকের উত্তরাধিকার যখনই লভ্যাংশ পাওয়ার জন্য আবেদন করবেন, তাৎক্ষণিকভাবে তা দেয়া হবে। এটা আমাদের হাতে থাকলে সহজে তদারকি করতে পারব।
কোম্পানির অবণ্টিত লভ্যাংশ কোম্পানির কাছে তিন বছর থাকবে। লভ্যাংশের টাকা কোম্পানিগুলো বণ্টন না করে কিছু কিছু কোম্পানি তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার করছে। এতে বিনিয়োগকারীরা টাকা পায় না, বরং তা অপব্যবহার হয়। সে জন্য তিন বছর পর আমাদের জিম্মায় নিয়ে এসে এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
সুকুক বন্ড নিয়ে কাজ করছে কমিশন। পুঁজিবাজারের জন্য এ বন্ড কতটা কার্যকর হবে?
আমাদের দেশের যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, তা ইক্যুইটিনির্ভর অর্থনীতির মাধ্যমে খুব বেশি সহায়ক হবে না। ইক্যুইটি থেকে যে পরিমাণ টাকা অর্থনীতিতে পাওয়া যায়, সেটা পর্যাপ্ত নয়।
ফলে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল করতে হলে বন্ডে ব্যবহার লাগবেই। উন্নত বিশ্বে এভাবে এগোচ্ছে। সে জন্য আমরাও বন্ড মার্কেট উন্নয়নে জোর দিয়েছি।
বন্ডের সঙ্গে আরেকটি মার্কেট রয়েছে। সেটি হলো ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক মার্কেট। এখানে ট্রিলিয়ন ডলার পড়ে আছে। তারা যেহেতু শরিয়াহভিত্তিক জায়গা ছাড়া বিনিয়োগ করতে পারে না, সে জন্য ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক সুকুক বন্ডে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।
অল্প সময়ে দুটি প্রকল্প এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। একটি সরকারি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্রকল্প। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৪ হাজার কোটি টাকা ওঠাতে গিয়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা চলে এসেছে। পরবর্তী সময়ে যে প্রকল্পে অর্থায়ন করা হবে, তা হবে বেসরকরি খাতের। আশা করা যাচ্ছে, ভালো সাড়া পাওয়া যাবে।
বন্ড মার্কেট শক্তিশালী হলে এখন ব্যাংকের ঋণের ওপর যে নির্ভরশীলতা, তা থেকে উদ্যোক্তারা বের হয়ে আসতে পারবে। ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়ে অনেকেই ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হয়। এসব সমস্যার সমাধান সহজ হবে।
দুর্বল ও লোকসানি কোম্পানিগুলোর বোর্ড পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে কোম্পানিগুলো চালু হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিটি কোম্পানির ঠিকভাবে চলা উচিত। কিন্ত তা হচ্ছে না। জনগণ তাদের কষ্টের টাকা কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ করে, কিন্তু সে অনুযায়ী রিটার্ন পায় না।
কোনো কোম্পানি ভালোভাবে চলতে না পারলে বোর্ড পরিবর্তন করে নতুন ম্যানেজমেন্ট দিয়ে পরিচালনের চেষ্টা করা হবে। তারপরও যদি অবস্থার উন্নতি না হয়, তখন এক্সিট পলিসি প্রয়োগ করা হবে, যাতে বিনিয়োগকারী টাকা ফেরত পান।
আমরা জেড এবং ওটিসিতে চলে যাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে যেগুলো ভালো পাচ্ছি তা নিয়ে কাজ করছি।
মাঝারি মানের বা কপোরেট গভর্ন্যান্সের বিষয়ে কিছুটা গাফিলতি আছে, অনেকগুলোর রয়েছে পারিবারিক সমস্যা, আবার কিছু কোম্পানির উদ্যোক্তা মারা গেছে- এমন সব কোম্পানির বোর্ড পুনর্গঠন করা হচ্ছে, যাতে জনগণের বিনিয়োগ নিরাপদ হয়। আর সেটা করেও যদি কোম্পানির উন্নতি না হয়, তাহলে জনগণের যতটা সম্ভব টাকা ফেরত দেয়ার চেষ্টা করা হবে।
পর্ষদ পুনর্গঠনের খবরে বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকিপূর্ণ, দুর্বল ও ওটিসির কোম্পানির প্রতি আগ্রহী হতে দেখা গেছে। তাদের জন্য পরামর্শ কী?
বোর্ড পুনর্গঠন হওয়ার পর কোনোটিরই ফলাফল আসেনি এখনও। কাজ চলছে। দুই-একটিতে খুব ভালো কাজও হচ্ছে। এসব কোম্পানির অনেকগুলো ওটিসিতে আছে, যেখানে টাকা খাটিয়ে বিপদে আছে বিনিয়োগকারীরা।
জেড ক্যাটাগরিতে কিছু শেয়ারের দর দেড় টাকা, দুই টাকা, তিন-চার টাকায় নেমে এসেছে। যখনই কোনো কোম্পানির পুনর্গঠনের খবর আসছে, তখনই বিনিয়োগকারীরা কম দামে শেয়ার কেনার চেষ্টা করছে। তাদের আশা, হয়তো শেয়ারের দর আট-দশ টাকায় চলে যাবে। এখন যদি কেউ দুই-তিন টাকা দামে কেনে, পরবর্তী সময়ে ৫ থেকে ৭ টাকায় বেচতে পারে, তাহলে শতভাগ মুনাফা।
লোভে পড়ে অনেকেই এসব কোম্পানির শেয়ার কিনে রাখার চেষ্টা করছে। বোর্ড পুনর্গঠন করা কোম্পানিগুলোর মধ্যে হয়তো দু-একটির সুখবর শিগগিরই দিতে পারব।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বর্তমান পুঁজিবাজারে ততটা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করছে না বলে অভিযোগ আছে। আপনার বক্তব্য কী?
এ অভিযোগ ঠিক না। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরও বিও অ্যাকাউন্ট আছে। আমরা ধারণা করেছিলাম, তারা বিনিয়োগ করে না। এখন দেখছি গত কয়েক দিনে করোনা ও গুজবের কারণে তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করোনা সংক্রমণ থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। এ জন্য আমরা খুবই কষ্ট করছি বাজার নিয়ে। কারণ, পুঁজিবাজার খুবই সংবেদনশীল জায়গা। এখানে সামান্য ভুলের জন্য অনেক বড় ক্ষতি হয়। এত বড় ধাক্কা, এর বিশাল প্রভাব আছে। তারপরও আমাদের সার্ভেইল্যান্স ইউনিট সব সময়ে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে।
এখনও ছোট বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কে শেয়ার বেশি বিক্রি করছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সেই শেয়ার কিনছে। এ জন্য ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হলে চলবে না। এতে লাভবান হবে অন্যরা।
শেয়ার দর কমে যাওয়ায় ফোর্স সেলের একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। ফোর্স সেল বন্ধে ঋণ-অনুপাত বাড়ানো হয়েছে, যাতে শেয়ার কেনার জন্য আরও কিছু ফান্ড আসে বিনিয়োগকারীদের কাছে।
বিলিয়ন ডলারের বন্ড আসছে সুইজারল্যান্ডের একটি ব্যাংকের মাধ্যমে। এর অগ্রগতি সম্পর্কে কিছু বলুন।
এটা আইসিবির জন্য করা হয়েছে। এ প্রস্তাব বর্তমানে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পর্যায়ে আছে। অনুমোদন পাওয়ার পরই ফান্ড আসা শুরু হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বিএসইসির সমন্বয়হীনতার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বৈঠকও হয়েছে। সেখানে এক্সপোজার লিমিট নিয়ে একটি নির্দেশনার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক সেটি এখনও পরিষ্কার করেনি। আপনাদের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ আছে কি?
বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আমরা বলেছি, এক্সপোজার-লিমিট শেয়ার ক্রয়েমূল্যের ভিত্তিতে বিবেচনা করার জন্য। বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছে। তারা এটা ঠিক করে দেবে। সমন্বয়হীনতা এখন অনেক কমে গেছে। গত এক মাস ধরে দুপক্ষ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে।
মার্জিন ঋণের সুদহার ১২ শতাংশ করার পর লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। অনেক ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বেশি ঋণ নিয়েছে। এটি সমন্বয়ে যে সময় দেয়া হয়েছে, তা পর্যাপ্ত নয়। ফলে অনেকে্ই মার্জিন ঋণ দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে আপনাদের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না?
এ বিষয়ে মার্চেন্ট ব্যাংকের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। তারা যেহেতু ব্যাংকের পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকেও ঋণ নেয়, তাই সব সময় ৯ শতাংশে ঋণ পায় না। মার্চেন্ট ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আরও ছয় মাস দেয়া হবে বলে চিন্তাভাবনা চলছে।
লকডাউন আবার শুরু হয়েছে। লেনদেনও দুই ঘণ্টা করা হয়েছে। এ সময়টিতে বিনিয়োগকারীরা কোন বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে লেনদেন করবে। আর পুঁজিবাজারে এমনটাও আলোচনা আছে সূচকের ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা। এ বিষয়ে আপনাদের বক্তব্য কী?
আমরা তো মার্কেট পিই রেশিও দেখেই বিনিয়োগ করি। পিই রেশিও এখন বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত। যারা সত্যিকার অর্থে বিনিয়োগকারী, তারা পিই রেশিও দেখে, কোম্পানি দেখে ব্যাপক বিনিয়োগ করতে পারে।
বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব সিকিউরিটিজ কমিশন (আইওএসসিও) সদস্য। সেখানে আমাদের ক্যাটাগরি ‘এ’।
আমরা যদি মার্কেটকে প্রভাবিত করি, কারসাজি করি তাহলে আইওএসসিওর সদস্য হিসেবে আমাদের অবস্থান খারাপ হবে।
ফলে একটি ফ্লোর প্রাইস থাকার পর আরেকটা ফ্লোর প্রাইস ম্যানিপুলেট করা আমাদের জন্য ভয়াবহ হবে। সে জন্য আমরা এখন বাজারকে ফ্রি ফ্লোর দিতে চাই। মার্কেটই মার্কেটের অবস্থান নিয়ে যাবে।
বিনিয়োগকারীদের বোঝতে হবে, আতঙ্কে যখন শেয়ার বিক্রি করা হয়, তখন কেউ না কেউ সেটা কেনে। আমার শেয়ারের যেহেতু ক্রেতা আছে, সেহেতু আমি কেন লোকসানে শেয়ার বিক্রি করব? আমাদের পুঁজিবাজারে শেয়ার কিনে কেউ লসে শেয়ার বিক্রির করার কথা না।
অন্যের কথায় কিংবা একটি বিশেষ অবস্থায় কেন এখনই শেয়ার বিক্রি করতে হবে? আজকেই বিক্রি করতে হবে এমন ধারণাই সূচক পতনের বড় একটি কারণ।
কষ্ট লাগে যখন শুনি, অনেক বিনিয়োগকারী ভয়ে শেয়ার বিক্রি করে লস করছে। এখানে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মার্কেট অনেক ভালো হবে।
মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগাকরীদের আস্থার জায়গাটিতে খুব বেশি শক্তিশালী অবস্থানে নেই। বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী লভ্যাংশ দিতে পারছে না। এ ক্ষেত্রে আপনাদের কোনো উদ্যোগ আছে কি?
এটা নিয়ে কাজ চলছে। আমরা মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে নিরাপদ করার জন্য কাজ করছি। মিউচ্যুয়াল ফান্ড হচ্ছে পুঁজিবাজারের প্রাণ। পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল রাখার জন্য মিউচ্যুয়াল ফান্ড ভালো ভূমিকা রাখে।
গত কিছু দিন ধরে আমরা চেষ্টা করছি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করার। বর্তমানে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর এনএভি দেখতে পাচ্ছি। তাদের ব্যবসার যে অবস্থা, তাতে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল থাকলে সবাই লাভবান হবে।
আমাদের মাথাপিছু আয় দুই হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এখন জনগণ ডিভিডেন্ড আশা করে। মাথাপিছু আয় ৫ হাজার ৬ হাজার ডলার হয়ে গেলে অন্য রকম হবে। তখন হয়তো আমরা ওয়ার্থ মেক্সিমাইজেশনের দিকে যাব। এখন আমাদের প্রফিট মেক্সিমাইজেশনরে দিকে যেতে হচ্ছে।
মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোকে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিতে হবে। তাহলে আরও বিনিয়োগ হবে। তখন মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো বড় হবে। তাদের পুঁজিবাজারে অংশগ্রহণ বাড়বে।
আমরা এখানে স্বস্তির জায়গায় নেয়ার চেষ্টা করছি। কিছু মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মামলা মোকদ্দমা, এটা সেটা ছিল, এগুলো শেষ করা হচ্ছে।
এখানে সুন্দর পরিবেশে কাজ করার প্রচেষ্টা চলছে। তাদের ব্যবসার সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য কাজ করা হবে। শুধু জরিমানা ও বিচার করা, শাস্তি দেয়া- এ রকম দায়িত্ব পালন করতে চাই না।
মিউচ্যুয়াল ফান্ড যখন ভালো হবে, তখন পুঁজিবাজারের চেহারা পরিবর্তন হবে। এখানে তখন বিনিয়োগকারীরা নিজ উদ্যোগে বিনিয়োগ করবে।
আরও পড়ুন:
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল আগামী রোববার শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, আজ জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চে শুনানির জন্য আপিলটি ছিলো। কিন্তু এই মামলায় হাইকোর্টের অথর জাজ বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান আজ আপিল বিভাগের বেঞ্চে ছিলেন।
নিয়ম অনুযায়ী হাইকোর্টে রায় দানকারী বিচারপতি একই মামলা আপিল বেঞ্চে শুনানি গ্রহণ করতে পারেন না।
এজন্য আগামী রোববার পুনর্গঠিত বেঞ্চে আপিলটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে। আদালত বিষয়টিতে আজ নট টুডে আদেশ দিয়েছেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর গুলিস্তান এলাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হন। ওই গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সিআইডি এই মামলার তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দিলে শুরু হয় বিচার।
তবে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই মামলায় অধিকতর তদন্তে আসামির তালিকায় যুক্ত করা হয় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৩০ জনকে।
দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন আলোচিত মামলার রায় দেন।
আলোচিত ওই রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- আব্দুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন, হুজি’র সাবেক আমির ও ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, কাশ্মীরি জঙ্গি আব্দুল মাজেদ ভাট, আবদুল মালেক ওরফে গোলাম মোস্তফা, মাওলানা শওকত ওসমান, মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান, মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাফর, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, হোসাইন আহম্মেদ তামিম, মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. উজ্জল, এনএসআই-এর সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম ও হানিফ পরিবহনের মালিক মোহাম্মদ হানিফ।
বিচারিক আদালতের রায়ে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন ও ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সে রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামীরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপি’র সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, হুজি সদস্য হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, শাহাদাৎ উল্লাহ ওরফে জুয়েল, মাওলানা আবদুর রউফ, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, আরিফ হাসান ওরফে সুমন, আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম মাওলাদার, মো. আরিফুল ইসলাম, মহিবুল মুত্তাকিন ওরফে মুত্তাকিন, আনিসুল মুরছালিন ওরফে মুরছালিন, মো. খলিল ওরফে খলিলুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মো. ইকবাল ওরফে ইকবাল হোসেন, লিটন ওরফে মাওলানা লিটন, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই ও রাতুল আহমেদ ওরফে রাতুল বাবু।
এছাড়া, বিচারিক আদালতের রায়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) মো. আশরাফুল হুদা ও শহিদুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসন ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, ডিজিএফআই-এর মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আমিন, ডিএমপি’র সাবেক উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) খান সাঈদ হাসান, আরেক সাবেক উপ-কমিশনার (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক খোদা বক্স চৌধুরী, সিআইডি’র সাবেক বিশেষ সুপার মো. রুহুল আমিন, সাবেক এএসপি আবদুর রশিদ ও সাবেক এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমানকে দুই বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এই মামলার আরেকটি ধারায় খোদা বক্স চৌধুরী, রুহুল আমিন, আবদুর রশিদ ও মুন্সি আতিকুর রহমানকে তিন বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
বিচারিক আদালতে এই রায়ের দেড় মাসের মাথায় ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্সসহ মামলার নথি হাইকোর্টে আসে। ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিল ও জেল আপিল শুনানি শুরু হয়। বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি চলছিল।
তবে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর হাইকোর্ট বেঞ্চ পুনর্গঠন হলে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি হয়। শুনানি শেষে গত ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট এই মামলার সব আসামীকে খালাস দিয়ে রায় দেন। সে রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পটি শুক্রবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে অনুভূত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের ডেটা অনুযায়ী, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের সাগাইংয়ের ১৬ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে।
এ ভূমিকম্পে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত বৃহত্তম জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের সাহায্য কমে যাওয়ার ফলে সংকট আরও গভীর হওয়ার উদ্বেগের মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসন বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তারা জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৭৩ মিলিয়ন (সাত কোটি ৩০ লাখ) ডলার নতুন আর্থিক সহায়তা দেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক্সে একটি পোস্টে বলেন, ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিওইএফ) মাধ্যমে এ খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা ১০ লাখেরও বেশি মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা প্রদান করবে।
‘এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদাররা এ ধরনের জীবন রক্ষাকারী সহায়তার মাধ্যমে বোঝা ভাগ করে নেওয়ার সঙ্গে যুক্ত।’
সিনহুয়া জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার প্রশাসন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ এজেন্ডার অংশ হিসেবে বিদেশি সহায়তায় ব্যাপক কাটছাঁট এবং ফেডারেল ব্যয় ব্যাপকভাবে হ্রাস এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কিছু অংশ ভেঙে ফেলার বিস্তৃত প্রচেষ্টার মধ্যেই এ অনুদান দেওয়া হলো।
জাতিসংঘের দুটি সংস্থা সতর্ক করে দিয়েছিল যে, তহবিলের ঘাটতি গত আট বছর ধরে প্রতিবেশী মিয়ানমারে সহিংসতার কারণে পালিয়ে আসা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য রেশনের পরিমাণ কমিয়ে দেবে।
রোহিঙ্গারা আশঙ্কা করছেন, তহবিল হ্রাসের ফলে ক্ষুধা পরিস্থিতির অবনতি হবে। গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা এবং জ্বালানি হ্রাস পাবে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সবচেয়ে বড় সহায়তা প্রদানকারী দেশ ছিল। প্রায় ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়ে আসছে দেশটি। কিন্তু জানুয়ারিতে ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর সাম্প্রতিক তহবিল স্থগিত করার ফলে কমপক্ষে পাঁচটি হাসপাতাল তাদের সেবা কমিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছে।
ট্রাম্প ও বিলিয়নেয়ার মিত্র ইলন মাস্ক প্রধান মার্কিন বৈদেশিক সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডি বন্ধ করে দিয়েছেন এবং এর অবশিষ্টাংশগুলোকে পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে একীভূত করেছেন। শত শত কর্মী এবং ঠিকাদারকে বরখাস্ত করেছেন এবং কোটি কোটি ডলারের পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছেন, যার ওপর বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ নির্ভরশীল।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ফেব্রুয়ারিতে সমস্ত জীবন রক্ষাকারী সহায়তা এবং এ ধরনের সহায়তা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় যুক্তিসঙ্গত প্রশাসনিক খরচ মওকুফ করেছিলেন।
ওয়াশিংটন টাইমস জানায়, এ মাসের শুরুতে ইউএসএআইডি ভেঙে দেওয়ার তত্ত্বাবধানকারী ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তা রোহিঙ্গাদের জন্য পর্যায়ক্রমে সাহায্য বন্ধের প্রস্তাব করেছিলেন।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সহায়তা হ্রাস করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে।
কক্সবাজার উপকূলের বিভিন্ন শিবিরের বাসিন্দারা এখন জনপ্রতি মাসিক ১২ ডলার করে খাদ্য বরাদ্দ পাবেন, যা আগের ১২ দশমিক ৫০ ডলার থেকে কম।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘ডব্লিউএফপি একটি চিঠিতে এই সিদ্ধান্তের কথা আমাদের জানিয়েছে, যা ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।’
তিনি আরও বলেন, ভাসানচরে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা জনপ্রতি ১৩ ডলার করে পাবে, যা কক্সবাজারের তুলনায় এক ডলার বেশি।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সহায়তা কমানোর পরিকল্পনা ডব্লিউএফপি পূর্বে জানানোর পর এ পরিবর্তন এসেছে।
গত ৫ মার্চ বাংলাদেশের শরণার্থী কমিশন ডব্লিউএফপি থেকে একটি চিঠি পায়, যেখানে বলা হয়, তহবিল সংকটের কারণে এপ্রিল থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য মাসিক খাদ্য বরাদ্দ জনপ্রতি ১২ দশমিক ৫০ ডলার থেকে কমিয়ে ৬ ডলার করা হবে।
চিঠিতে শরণার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
গত ১৪ মার্চ জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন।
তার সফরের সময় তাকে ছয় ডলারে রোহিঙ্গারা কী খাবার পাবে তার বিস্তারিত বিবরণ উপস্থাপন করা হয়েছিল। সে সময় অপর্যাপ্ত পরিমাণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন:গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানার শ্রমিকদের পাওনা বেতন-ভাতাসহ যৌক্তিক দাবির ব্যাপারে সরকার আন্তরিক ও একমত বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প কলকারখানার শ্রমিকদের পাওনা বেতন-ভাতাদিসহ যৌক্তিক দাবির ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত আন্তরিক ও একমত। শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং এ ব্যাপারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে মালিকপক্ষ ও বিজিএমইএকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে এবং তাদের কর্মকাণ্ড মনিটর করা হচ্ছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘অন্যায্য ও অযৌক্তিক দাবির নামে গার্মেন্টস শিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টি, অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ, নৈরাজ্য ও সহিংসতা কোনোভাবেই কাম্য নয় এবং তা কখনোই মেনে নেয়া হবে না।
‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় সরকার তা কঠোরভাবে প্রতিহত করবে। গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প কলকারখানায় সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখা এবং দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে সরকার এ বিষয়ে মালিকপক্ষ ও শ্রমিকপক্ষ উভয়ের সহযোগিতা কামনা করছে।’
আরও পড়ুন:পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আন্তসীমান্ত বায়ুদূষণ মোকাবিলায় কার্যকর আঞ্চলিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশের বায়ুদূষণের ৩০-৩৫ শতাংশ আসে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে। তাই এ সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক আলোচনার গণ্ডি পেরিয়ে বাস্তব পদক্ষেপ ও আঞ্চলিক সহযোগিতা জরুরি।
তিনি দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর কাঠমান্ডু রোডম্যাপ ও অন্যান্য সমঝোতার কথা উল্লেখ করে বলেন, এগুলো যথেষ্ট নয়, আরও জোরালো উদ্যোগ প্রয়োজন।
কলম্বিয়ার কার্টাগেনায় অনুষ্ঠিত ডব্লিউএইচওর দ্বিতীয় বৈশ্বিক সম্মেলনের বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া সাইড ইভেন্টে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
ঢাকাস্থ বাসভবন থেকে সংযুক্ত হয়ে তিনি বাংলাদেশের বায়ুদূষণ সমস্যা, বিশেষ করে ঢাকার ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন।
উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশের বহুমাত্রিক বায়ুদূষণ সমস্যা মোকাবিলায় বায়ুমান নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে, যা ডব্লিউএইচওর অন্তর্বর্তীকালীন লক্ষ্যমাত্রার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এ আইনি বিধিমালায় দূষণকারী খাতগুলোর জন্য নির্দিষ্ট মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে এবং অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণের কাঠামো তৈরি করা হয়েছে।
তিনি জানান, ২০২৪ সালে চূড়ান্ত হওয়া জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার বাস্তবায়ন রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পিছিয়ে ছিল, তবে এখন তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। পরিকল্পনার লক্ষ্য হলো মানুষের দূষণজনিত ঝুঁকি কমানো ও পরিষ্কার বায়ুর দিন বৃদ্ধির মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
পরিবেশ উপদেষ্টা আরও জানান, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রকল্প চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, যা সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে শিগগিরই বাস্তবায়ন শুরু হবে। এ প্রকল্প নিয়ন্ত্রক কাঠামো শক্তিশালী করা, আইন প্রয়োগ জোরদার করা, শিল্প কারখানায় দূষণ পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ এবং গণপরিবহন খাত আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্ব দেবে।
তিনি ঢাকার আশেপাশের এলাকাগুলোকে ইটভাটামুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করার পরিকল্পনার কথা জানান, যেখানে ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ থাকবে।
এ ছাড়া ২০২৫ সালের মে থেকে পুরনো বাস ধাপে ধাপে তুলে দেওয়া হবে, যা পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে।
তিনি বায়ুদূষণের অন্যতম প্রধান কারণ ধুলাবালি দূষণ রোধে ঢাকা শহরের খোলা সড়কগুলোতে সবুজায়নের উদ্যোগ এবং রাস্তা পরিস্কারে আরও শ্রমিক নিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানান।
উপদেষ্টা জানান, অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ অভিযানের ফলে এরই মধ্যে বায়ুমানের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে এ অগ্রগতি ধরে রাখতে কঠোর নজরদারি ও খাতগুলোর আধুনিকায়ন জরুরি।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ মানুষ বায়ুদূষণের কারণে মারা যায় এবং ঢাকার মতো দূষিত শহরগুলোতে মানুষের গড় আয়ু ৫-৭ বছর কমে যাচ্ছে। এই সংকট আমাদের সবার জন্য, আমাদের শিশু, বাবা-মা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হুমকি। নিষ্ক্রিয়তার মূল্য অনেক বেশি। আমাদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি আশাবাদী। কারণ আমি বিশ্বাস করি, এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। প্রযুক্তি ও বিকল্প ব্যবস্থা আমাদের হাতে রয়েছে, শুধু প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবায়ন দরকার।
‘বায়ুদূষণ শুধুই পরিবেশগত ইস্যু নয়, এটি মানবিক সংকট।’
সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি, পরিবেশ ও জ্বালানি খাতের নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, গবেষক, স্থানীয় প্রশাসন, পরিবহন ও শিল্প খাতের বিশেষজ্ঞ এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
তারা দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণ রোধে যৌথভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
আরও পড়ুন:পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর বৃহস্পতিবার। এর অর্থ ‘অতিশয় সম্মানিত ও মহিমান্বিত রাত’ বা ‘পবিত্র রজনী’।
আজ সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হবে কদরের রজনী।
যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে সারা দেশে রাতটি পালন করা হবে।
মহান আল্লাহ লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম।
এ রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষণ করা হয়। নির্ধারণ করা হয় মানবজাতির ভাগ্য।
৬১০ সালে কদরের রাতেই মক্কার নূর পর্বতের হেরা গুহায় ধ্যানরত মহানবী হযরত মুহাম্মদের (সা.) কাছে সর্বপ্রথম সুরা আলাকের পাঁচ আয়াত নাজিল হয়। এরপর আল্লাহর নির্দেশে ফেরেশতা জিবরাইল (আ.)-এর বহনকৃত ওহির মাধ্যমে পরবর্তী ২৩ বছর ধরে মুহাম্মদ (সা.)-এর কাছে বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা এবং ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট আয়াত আকারে বিভিন্ন সুরা নাজিল করা হয়।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ ঘোষণা করেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। আর কদরের রাত সম্বন্ধে তুমি কি জানো? কদরের রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতারা ও রুহ অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে।
‘শান্তিই শান্তি, বিরাজ করে ঊষার আবির্ভাব পর্যন্ত। (সূরা আল- কদর, আয়াত ১-৫)।’
হাদিসে বর্ণিত আছে, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতেন এবং বলতেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ ১০ রাতে লাইলাতুল কদর সন্ধান করো (বুখারি ও মুসলিম)।’
মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় পবিত্র রাতটি ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে কাটিয়ে দেন। কামনা করেন মহান রবের অসীম রহমত, নাজাত, বরকত ও মাগফিরাত।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ রাত থেকে পরের দিন ভোররাত পর্যন্ত মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও আখেরি মোনাজাত করবেন তারা।
এই উপলক্ষে শুক্রবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে রাতব্যাপী ওয়াজ মাহফিল, ধর্মীয় বয়ান ও আখেরি মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।
এ ছাড়া দেশের সব মসজিদেই তারাবির নামাজের পর থেকে ওয়াজ মাহফিল, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন থাকবে।
পবিত্র লাইলাতুল কদর/শবে কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিওগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করবে।
এ ছাড়া সংবাদপত্রগুলোতে বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করা হবে।
এশীয় দেশগুলোকে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও যৌথ সমৃদ্ধির জন্য সুস্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
চীনের হাইনানে বৃহস্পতিবার বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘পরিবর্তনশীল এ বিশ্বে এশীয় দেশগুলোর ভাগ্য পরস্পরের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। আমাদের অবশ্যই একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে যা অভিন্ন ভবিষ্যৎ এবং যৌথ সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাবে।’
আর্থিক সহযোগিতা প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এশিয়াকে অবশ্যই একটি টেকসই অর্থায়ন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে এবং আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাংক (এমডিবি) ও অনুরূপ প্রতিষ্ঠানগুলোর এ প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এমন নির্ভরযোগ্য তহবিল দরকার যা আমাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করবে।’
বাণিজ্য সহযোগিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এশিয়া এখনও বিশ্বের অন্যতম কম সংযুক্ত অঞ্চল।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এ দুর্বল সংযুক্তি বিনিয়োগ ও বাণিজ্যকে বাধাগ্রস্ত করছে। আমাদের অবশ্যই বাণিজ্য সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য দ্রুত কাজ করতে হবে।’
খাদ্য ও কৃষি সহযোগিতা বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, এশীয় দেশগুলোকে অবশ্যই সম্পদ-সাশ্রয়ী কৃষিকে উৎসাহিত এবং খাদ্য নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় উৎপাদন বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে। স্বনির্ভরতা অর্জন করতে হবে। টেকসই প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষি সমাধান ও জলবায়ুবান্ধব চাষাবাদের ক্ষেত্রে উদ্ভাবন বাড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এশিয়াকে অবশ্যই একটি শক্তিশালী প্রযুক্তি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে হবে, যা পুনর্গঠনমূলক, সমবণ্টনমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে।
তিনি বলেন,‘আমাদের জ্ঞান, তথ্য ভাগ করে নিতে হবে এবং প্রযুক্তি ইনকিউবেশন ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগ করতে হবে। ডিজিটাল সমাধানে সহযোগিতা আমাদের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পরিশেষে বলব আমাদের সম্মিলিত কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রে মেধা সম্পদ ও যুবশক্তিকে রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই একটি নতুন সভ্যতার ভিত্তি স্থাপন করতে হবে—একটি আত্মরক্ষা ও আত্মস্থায়ী সমাজ। আমাদের শূন্য-বর্জ্যের জীবনধারার ওপর ভিত্তি করে একটি পাল্টা সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। ভোগ সীমিত রাখতে হবে মৌলিক প্রয়োজনের মধ্যে।
‘আমাদের অর্থনীতিকে সামাজিক ব্যবসার ওপর ভিত্তি করে গড়ে তুলতে হবে, যা ভবিষ্যতের ব্যবসায়িক কাঠামো হিসেবে উদ্ভাসিত হবে, যেখানে উদ্ভাবন, লক্ষ্য ও দায়িত্ববোধ একীভূত থাকবে।’
অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, বোয়াও ফোরাম ও অন্যান্য অনুরূপ উদ্যোগগুলোকে যুবসমাজ ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে হবে, যেন আগামী প্রজন্মের জন্য এশিয়াকে আরও উন্নত করা যায়।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য