× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
বেসিক ব্যাংকে শুধুই দীর্ঘশ্বাস
google_news print-icon

বেসিক ব্যাংকে শুধুই দীর্ঘশ্বাস

বেসিক-ব্যাংকে-শুধুই-দীর্ঘশ্বাস
লোকসানের কারণে ব্যয় কমানোর অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বেসিক ব্যাংক। সংকটাপন্ন ব্যাংকটিকে উদ্ধারে কোনো উদ্যোগ কাজে লাগেনি।

‘বেতন কি কখনও কমে?’- রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের বেসিক ব্যাংকের কর্মীদের বেতন কমিয়ে দেয়ার পর আক্ষেপের সুরে এমন মন্তব্য ছুঁড়ে দিয়েছেন এক কর্মকর্তা। বলেছেন, ‘অলাভজনক প্রতিষ্ঠানকে কীভাবে লাভে আনা যায় তার নানাবিধ পন্থা আছে, তাই বলে কি বেতন কমিয়ে তা করতে হবে?’

দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হয়ে যাওয়া এই ব্যাংকটিকে বাঁচাতে কর্মীদের বেতন কমানোকে শেষ আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করেছে সরকার। নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর করার ফলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ কমে গেছে। সংকুচিত হয়েছে বাড়ি ভাড়া ও গ্রাচ্যুইটি সুবিধাও। যাদের গৃহঋণ নেয়া আছে, তারা বেকায়দায় পড়েছেন।

বিশেষায়িত ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮৯ সালের ২১ জানুয়ারি থেকে বেসিক ব্যাংক লিমিটেড স্বতন্ত্র বেতন স্কেল পেয়ে আসা একটি ব্যাংক। এর এতদিনের বেতন কাঠামো রাষ্ট্রায়ত্ত অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় অনেক বেশি।

বেতন কর্তনের সিদ্ধান্তের পর দুই হাজার কর্মীর বুকে এখন দীর্ঘশ্বাস।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কর্মকর্তা মন্তব্য করেন, ‘ব্যাংকের সবাইতো দুর্নীতিগ্রস্ত না। অথচ সবাকেই শাস্তি পেতে হচ্ছে। বেতন কমিয়ে দেয়ার ফলে ব্যাংকটি উন্নতির চেয়ে কর্মীদের মনোবল ভেঙে গেছে।’

তাদের প্রশ্ন: মুনাফা না হওয়ার কারণে কোনো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান তার কর্মীদের বেতন কমিয়ে দিয়েছে, এমন নজির নেই।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্যাংককে এখন দীর্ঘমেয়াদী ঋণ বিতরণ থেকে স্বল্প মেয়াদি ঋণ বেশি বিতরণ করতে হবে। তবে ঋণ দেয়ার আগে কোন প্রকল্পে কাকে দেয়া হচ্ছে, সে বিষয়টি ভালোভাবে খোঁজ করতে হবে।

‘ব্যাংকের জনবল আরও কমিয়ে আনতে হবে। কম জনবল দিয়ে কীভাবে ভালো কাজ করা যায় সে বিষয়ে নজর দিতে হবে। পরিচালনা পর্ষদের কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছ থেকে মূলধন ঘাটতি বাবদ অর্থ বা বাজেটে তাদের জন্য বরাদ্দের আবেদন করতে পারে।

বেসিক ব্যাংকে শুধুই দীর্ঘশ্বাস
বেসিক ব্যাংকের এমডি আনিসুর রহমান



‘একসময় এসএমই (ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প উদ্যোক্তা) খাতে বেসিক ব্যাংকের অনেক অবদান ছিল। এ জন্য ক্ষুদ্র ঋণের কিছু অর্থ এ ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ করতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পে বেসিকের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করতে হবে।

‘বাংলাদেশ ব্যাংক অনেক সময় বিভিন্ন ব্যাংককে সিআরআর (নগদ জমার হার) বা এসএলআর (সহজে বিনিময়যোগ্য সম্পদ) সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতিসহ বিভিন্ন সুবিধা দেয়। বেসিক ব্যাংককেও এ ধরনের সুবিধা দিতে পারে।’

ব্যাংক খাত কাঁপানো অনিয়ম

২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের গুলশান, দিলকুশা ও শান্তিনগর শাখা থেকে অনিয়মের মাধ্যমে মোট সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণের অভিযোগ ওঠার পর অনুসন্ধানে মাঠে নামে দুদক। ঋণপত্র যাচাই না করে জামানত ছাড়া, জাল দলিলে ভুয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ঋণদানসহ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ অনুমোদনের প্রমাণ মেলে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংকের নিয়োগ করা নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে অনিয়মিত ঋণ মঞ্জুর, নিয়োগ ও পদোন্নতিতে পরিচালনা পর্ষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চুর সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে প্রমাণ মেলে।

এরপর থেকে সবল ব্যাংকটি দুর্বল হতে থাকে। সে দুর্বলতা এখনও ব্যাংকটি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। দুর্বলতা কাটাতে বেসিক ব্যাংককে সরকার থেকে ৩ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। তাতেও দুর্বলতা কাটেনি।

তিন বছর ধরে ব্যাংকটিকে কোনো মূলধনের জোগান দেয়া হচ্ছে না। সরকার এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর কোনো মূলধন পাবে না বেসিক ব্যাংক। নিজস্ব উদ্যোগে টিকে থাকতে হবে। কিন্তু টিকে থাকতে নানামুখী পরিকল্পনা করেও উন্নতি নেই।

অবস্থার পরিবর্তন নেই

পরিস্থিতির তেমন পরিবর্তন নেই, একই চক্করে থমকে আছে বেসিক ব্যাংক। অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে খেলাপি আদায় কিছুটা বাড়লেও ব্যতিক্রম শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের এই ব্যাংক। নানামুখী কৌশল হাতে নিয়েও পাল্টাচ্ছে না পরিস্থিতি।

ব্যাংকটির মোট ঋণের অর্ধেকের বেশি খেলাপি। অনিয়মের মাধ্যমে এ ব্যাংক থেকে বেরিয়ে গেছে হাজার হাজার কোটি টাকা।

খাদের কিনার থেকে টেনে তুলে ব্যাংকটিকে মূলধন যোগান দেয় সরকার। পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তনসহ গ্রহণ করা হয় নানা কৌশল। কিন্তু মাসের পর মাস কেটে গেলেও কমছে না খেলাপির পরিমাণ।

বাড়ছে খেলাপি ঋণ

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সাল শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের ঋণস্থিতি ১৪ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়ে পড়েছে ৭ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা ঋণের ৫১ দশমিক ১৩ শতাংশ। শুধু তাই নয়, ব্যাংকটির নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন সংরক্ষণেও ঘাটতি রয়েছে ৩ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা।

ব্যাংকের মূলধন ঘাটতিও ১ হাজার ৪৯২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। ফলে সংকটে নিমজ্জিত হয়ে রয়েছে বেসিক ব্যাংক।

ক্রমান্বয়ে বাড়ছে লোকসান

বেসিক ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০০৯ সালেও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটি প্রায় ৬৫ কোটি টাকা নিট মুনাফা করে। পরবর্তী সময়ে তা কমে ২০১২ সালে ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকায় দাঁড়ায়।

এরপর থেকে ধারাবাহিকভাব লোকসানে পড়তে থাকে ব্যাংকটি। ২০১৩ সালে ৫৩ কোটি টাকা লোকসান করে। ২০১৪ সালে লোকসানের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১১১ কোটি টাকা। ২০১৫ সালে ব্যাংকটির লোকসান বেড়ে হয় ৩১৮ কোটি টাকা।

অতীতের অনিয়ম জালিয়াতির চূড়ান্ত ধাক্কা লাগে ২০১৬ সালের নিট মুনাফায়। ওই বছর ব্যাংকটির লোকসান দাঁড়ায় ১ হাজার ৪৯৩ কোটি টাকায়।

এরপর ২০১৭ সালে ৬৮৪ কোটি টাকা এবং ২০১৮ সালেও ৩৫৪ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে ব্যাংকটি।

২০১৯ সালে ৩২৭ কোটি টাকা নিট লোকসান গোনার পর ২০২০ সালেও প্রায় ৪০০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বেসিক ব্যাংকের।

কমেছে বেতন

লোকসানের কারণে ব্যয় কমানোর অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর ব্যাংকের ৪৮৭তম পর্ষদ সভায় বেসিক ব্যাংকের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন কমানোর সিদ্ধান্ত হয়।

২২ ডিসেম্বর এক প্রজ্ঞাপন জারি করে ওইদিন থেকেই এটা কার্যকর বলে জানায় বেসিক ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়: ‘সাত বছর ধরে ব্যাংকের ক্রমাগত লোকসান হচ্ছে। ফলে অতিরিক্ত বেতন-ভাতা ব্যাংকের পক্ষে বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ জন্য ব্যাংকের বর্তমান বেতন কাঠামো ও অন্যান্য সুবিধা বাতিল করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের “চাকরি (ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান) (বেতন ও ভাতাদি) আদেশ ২০১৫”-এর অনুরূপ বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা হলো। তবে ব্যাংকের বেতন কাঠামোর বাইরে অন্যান্য সুবিধা পর্ষদের অনুমোদন সাপেক্ষে দেয়া হবে।’

ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মীরা বেতনের বাইরে লাঞ্চ-ভাতা, গাড়ির ঋণ, অতিরিক্ত বোনাস ইত্যাদি সুবিধা পেয়ে থাকেন।

২০১৪ সালে ব্যাংকটি বিশেষায়িত থেকে পুরোপুরি বাণিজ্যিক ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে।

বেসিক ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালকের মূল বেতন স্কেল দেড় লাখ টাকা। অন্যদিকে, রাষ্ট্রায়ত্ত অন্য ব্যাংকে একই পদের মূল বেতন স্কেল ৬৬ হাজার টাকা।

বেসিকে জিএম পর্যায়ে মূল বেতন এক লাখ টাকা, ডিজিএমদের ৬৬ হাজার টাকা, এক্সিকিউটিভ অফিসারদের (প্রিন্সিপাল অফিসার সমমান) ৩৭ হাজার টাকা, সিনিয়র অফিসারদের ২৫ হাজার টাকা ও অফিসারদের ২০ হাজার টাকা।

অন্যদিকে, অন্যান্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকে যথাক্রমে জিএমদের মূল বেতন ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা, ডিজিএমদের ৫০ হাজার টাকা, প্রিন্সিপাল অফিসারদের সাড়ে ৩৫ হাজার টাকা, সিনিয়র অফিসারদের ২০ হাজার টাকা ও অফিসারদের বেতন ১৬ হাজার টাকা।

অর্থাৎ অন্যান্য রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের বেতন কাঠামোর চেয়ে বেসিক ব্যাংকের কর্মীদের বেতন বেশি ছিল।

বেতনে কতো সাশ্রয়

নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের ফলে এই খাতে ব্যয় কমেছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। দীর্ঘ দিন ধরে ব্যাংকের কর্মীরা সুবিধাবঞ্চিত।

সারা দেশে ৭২টি শাখা ও ২ হাজার ১০০ জনবল নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে বেসিক ব্যাংক।

২০১৪ সালের পর থেকে ব্যাংকের কর্মীদের কোনো প্রণোদনামূলক বোনাস দেয়া হয়নি। এমনকি চাকরি বিধিমালায় থাকা সত্ত্বেও ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ব্যাংকে কোনো পদোন্নতি দেয়া হয়নি।

একজন কর্মকর্তা জানান, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে চাকরি পেয়েও এখন হতাশা আর দীর্ঘশ্বাস ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই।

বেসিক ব্যাংকে যোগদান করা নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি মাত্র যোগদান করেছি। সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। ব্যাংকের উন্নতির জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।’

আরও পড়ুন:
বেসিক ব্যাংকের নতুন এমডি আনিসুর রহমান

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Nazmul wants to survive the talented student of cancer

ক্যান্সারে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্র নাজমুল বাঁচতে চায়

ক্যান্সারে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্র নাজমুল বাঁচতে চায়

রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার চর হরিনাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র নাজমুল হোসেন দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এখন শয্যাশায়ী। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাকে দ্রুত রাজধানীর একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। সে উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের মুছিদাহ গ্রামের মো. ইসলাম মন্ডলের ছেলে।
দরিদ্র পরিবারের পক্ষে নাজমুলের চিকিৎসার বিপুল ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব নয়। তার পিতা মো. ইসলাম মন্ডল একজন সাধারণ ভ্যানচালক সংসারের দৈনন্দিন খরচ চালাতেই যেখানে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে সন্তানের ক্যান্সারের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা তাদের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ছোটবেলা থেকেই নাজমুলের লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহ। স্বপ্ন ছিল একদিন ডাক্তার হয়ে সমাজের সেবা করবে। কিন্তু আজ সেই স্বপ্ন থেমে যেতে বসেছে শুধুমাত্র অর্থের অভাবে।
তাই সমাজের সকল সহৃদয় ও বিত্তবান ব্যক্তিদের প্রতি পরিবারটি সহানুভূতি এবং সহযোগিতা কামনা করেছেন।আপনারা যদি যার যার সাধ্য অনুযায়ী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, তাহলে হয়তো নাজমুল আবারও নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পারবে।
নাজমুলের চিকিৎসার জন্য যারা সাহায্য করতে ইচ্ছুক, তারা বিকাশ নাম্বারে অর্থ পাঠাতে পারেন: বিকাশ নম্বর: 01874802351 (নাজমুল হোসেনের পিতা – মো. ইসলাম মন্ডল)। আপনাদের সামান্য সহযোগিতা একটি জীবন বাঁচাতে পারে। সাহায্য পাঠানোর আগে যাচাই করে নিতে পারেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Comilla University student and his mothers body recovered

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার

কুমিল্লা নগরীতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ও তার মায়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ভোরে নগরীর কালিয়াজুড়ি খেলার মাঠের পাশের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে তাদের মৃত্যুর সময় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

নিহতরা হলেন গৃহিনী তাহমিনা আক্তার ফাতেমা (৫২) ও তার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার রিন্তি (২৩)। সুমাইয়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ১৬ ব্যাচের তৃতীয় বষের শিক্ষার্থী ছিলো।

বাড়ির মালিক আনিছুল ইসলাম রানা জানিয়েছেন, চার বছর আগে কুমিল্লার আদালতের কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বাড়িটি ভাড়া নেন। গত বছর তার মৃত্যুর পর স্ত্রী তাহমিনা আক্তার ফাতেমা (৫০), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ে সুমাইয়া আফরিন রিন্তি (২৪) তার আরও দুই ছেলে বাড়িটিতে থাকছেন।

বাড়ির মালিক আনিছুল ইসলাম রানা জানিয়েছেন, বাড়িতে তারা থাকতেন। তারা অন্য কারো সাথে তেমন কথা বলতেন না। গতকাল রাতে তার দুই ছেলে ঢাকা থেকে বাসায় আসলে তারা ঘরের দরজা খোলা দেখে। এই সময় তারা ভাবে তাদের মা ও বোন ঘুমিয়ে আছে। কিন্তু বাসায় ঢুকার পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও তাদের কোন সারা শব্দ না পেলে জাগাতে গিয়ে দেখেন তারা নড়ছে না। পরে ৯৯৯ এ কল পেয়ে সোমবার ভোরবেলা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং কুমিল্লা মেডিকেল এর মর্গে পাঠায়।

তিনি আরো জানান, টিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে একজন ব্যক্তি রবিবার দিনের বেলায় তাদের বাসায় আসা-যাওয়া করেছিল। পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

নিহত তাহমিনার বড় ছেলে মোঃ তাজুল ইসলাম ফয়সাল (৩৪) জানান, তারা দুই ভাই এক বোন। ছোট ভাই কুমিল্লা ইপিজেড

চাকুরী করে। সে ঢাকায় আইন পেশায় নিযুক্ত। গতকাল ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে নিজের ঘরে যান। তার ভাইও বাসায় ফিরে নিজের রুমে গিয়ে বিশ্রাম নেন৷ তখন তার মাকে বার বার ডেকেও সাড়া না পেয়ে মায়ের রুমে যান। সেখানে তার মায়ের নিথর দেহ দেখতে পান। পরে বোনের কক্ষে গিয়েও বোনের মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

তাজুল ইসলাম আরো জানান, দূর্বৃত্তরা তার মা ও বোনকে হত্যা করে মোবাইল ল্যাপটম, কানের দুল নিয়ে যায়।

কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তবে কিভাবে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Jane G campaigns with legal notice dollar
ডাকসু নির্বাচন

নজর কেড়েছে লিগ্যাল নোটিশ-ডলারসহ জেন জি প্রচারণা

নজর কেড়েছে লিগ্যাল নোটিশ-ডলারসহ জেন জি প্রচারণা

শেষ দিনে জমে উঠে ডাকসুর নির্বাচনী প্রচারণা। লিগ্যাল নোটিশ, ডলার, বুকমার্ক, কার্ডসহ সাধারণ লিফলেটের মাধ্যমে শেষ মুহূর্ত্বে ব্যস্ত সময় পার করেন প্রার্থীরা।

ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শেষ দিনের প্রচারণায় পুরো ক্যাম্পাস ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের লিফলেটে। তবে, কেবল ভোট নয় অভিনব ডিজাইনের লিফলেট ও প্রচারপত্রগুলো ব্যক্তিগত সংগ্রহেও রাখছেন অনেক শিক্ষার্থী।

ভোট পেতে ভোটারদের লিগ্যাল নোটিশ দিয়ে বেশ সাড়া ফেলেছেন ডাকসুতে মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী মু. মেহেদী হাসান মুন্না।

ঢাবির সর্বাপেক্ষা সুন্দরী রমণী এবং সুদর্শন পুরুষদের লক্ষ্য করে পাঠানো লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, লিগ্যাল নোটিশ গ্রহীতাকে মানবাধিকারের পক্ষে অনুরুদ্ধ হয়ে এই মর্মে অবহিত করছি যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মানবাধিকার পড়ালেও কাঠামোগত এবং গঠনতান্ত্রিক সংঘাত দ্বারা শিক্ষার্থীদের মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ করে। মু. মেহেদী হাসান মুন্না ওরফে মানবাধিকার মুন্না পূর্ব এবং বর্তমানের মতো ভবিষ্যতেও অধিকার আদায়ের লড়াই করতে চায়।

তবে কেবল লিগ্যাল নোটিশ দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি মুন্না। নারী ভোটারদের নজর কাড়তে নিজের ইশতেহার-সংবলিত প্রজাপতি আকৃতির প্রচারপত্রও দিয়েছেন তিনি।

এদিকে জেন-জি প্রজন্ম স্বভাবতই তাদের নিজস্ব ও পছন্দের বিষয়গুলো দেখে আকৃষ্ট হয়। তাই, এবারের ডাকসু নির্বাচ‌নী প্রচারণায় বেশ কিছু জেন-জি স্টাইলের প্রচারণা দেখা গেছে।

ডাকসুতে স্বতন্ত্রভাবে সদস্য পদে নির্বাচন করা সামসুদ্দোহা নবাব জনপ্রিয় আমেরিকান টিভি সিরিজ ব্রেকিং ব্যাড-এর পোস্টারের আদলে লিফলেট বানিয়েছেন।

এই প্রার্থীর লিফলেটের একেবারে উপরের দিকে ইংরেজিতে লেখা ‘লেট হিম কুক অন ৯ সেপ্টেম্বর’। এরপর লেখা ‘কেন্দ্রীয় সদস্য পদপ্রার্থী’। আর মাঝে তার ব্যালট নম্বর ১৬২। লিফলেটের একেবারে নিচের দিকে কিউআর কোডের পাশাপাশি রয়েছে ব্রেকিং ব্যাড-এর পোস্টারের আদলে ইংরেজিতে লেখা ‘সামসুদ্দোহা নবাব’।

এদিকে, ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম রানা এর মধ্যেই কোরিয়ান ভাষা, জাপানিজ স্টাইলে লিফলেট দিয়ে জেন-জিকে আকৃষ্ট করেছেন। পাশাপাশি বিখ্যাত স্টুডিও গিবলি আর ভ্যান গগের কালজয়ী চিত্রকর্ম 'দ্য স্টারি নাইট'-এর অনুপ্রেরণায় বানানো বুকমার্কও বিলি করেছেন তিনি। অন্য আরেকটি সেটে তিনি তুলে ধরেছেন ঢাবির ঐতিহাসিক ‘অপরাজেয় বাংলা’ ও মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’কে। দুটি বুকমার্কেই বড় করে লেখা জুলাই অভ্যুত্থানে চানখারপুলে দাঁড়িয়ে তার বলা বহুল আলোচিত বাক্য— ‘প্লিজ, দয়া করে কেউ কাউকে ছেড়ে যাইয়েন না’।

টাকা ও ডলারের আদলে প্রচার

স্যার এ এফ রহমান হল সংসদ নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন নাইমুর রহমান। ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে ইউএস ডলারের আদলে লিফলেট বানিয়ে সাড়া ফেলেছেন তিনি। হল সংসদ নির্বাচনে ভিপি পদে তার ব্যালট নাম্বার ১ হওয়ায় এক ডলারের আদলে লিফলেট বানিয়েছেন তিনি।

ডলার আকৃতির এই লিফলেটে দেখা যায়, ডলারের চার কোনায় যেখানে পরিমাণ লেখা থাকে, সেখানে লিফলেটে তিনি ব্যালট নাম্বার ‘এক’ লিখেছেন। আর ওপরের অংশে লেখা ফেডারেল রিজার্ভ নোট। মাঝে লেখা ‘আসন্ন ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন–২০২৫’। স্যার এ এফ রহমান হল সংসদে ভিপি পদপ্রার্থী (স্বতন্ত্র)। তার নিচে লেখা ‘নাইমুর রহমান, দর্শন বিভাগ, সেশন ২০১৯–২০’। এর পাশেই দেওয়া আছে কিউআর কোড, যেটি স্ক্যান করলেই তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে যাওয়া যাবে। আর লিফলেটের শেষ অংশে লেখা রয়েছে ‘ওয়ান ডলার’। যেটা মূলত তার ব্যালট নাম্বার।

এদিকে, ডাকসু নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সদস্যপদে প্রার্থীতা করা আরাফাত হোসেন বানিয়েছেন টাকার আদলে লিফলেট। এই প্রার্থীর এক হাজার টাকার নোটের আদলে বানানো এই ব্যালটের সামনের অংশে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’–এর জায়গায় লেখা হয়েছে ‘ডাকসু ভোট ব্যাংক’। এরপর লেখা হয়েছে ‘চাহিবামাত্র ইহার প্রার্থীকে একশত সত্তর ব্যালটে ভোট দিয়ে বাধিত করবেন’। আসল নোটে যেখানে গভর্নরের নাম লেখা থাকে, সেখানে ব্যালটে লেখা হয়েছে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে কার্যকরী সদস্য পদপ্রার্থী মো. আরাফাত হোসেন’।

এছাড়াও, প্রার্থীরা নানা ধরনের অভিনব কৌশলে বানানো লিফলেটের মাধ্যমেও নিজেদের প্রচারণা চালিয়েছেন, চেষ্টা করেছেন ভোটারদের মন জয় করার।

তফসিল অনুযায়ী, কাল মঙ্গলবার ডাকসুর ২৮টি ও হল সংসদ নির্বাচনের ১৩টি মিলিয়ে মোট ৪১টি ভোট দেবেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Demanding the expulsion of lawyers in protest of media workers
আদালতে সাংবাদিককে মারধর

গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতিবাদ, আইনজীবীকে বহিষ্কারের দাবি

গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতিবাদ, আইনজীবীকে বহিষ্কারের দাবি

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এজলাসকক্ষে সময় টিভির প্রতিবেদক আসিফ হোসাইনকে মারধরের প্রতিবাদে গতকাল রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গণমাধ্যমকর্মীরা মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে অভিযুক্ত আইনজীবীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ তাঁকে আদালত থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান গণমাধ্যমকর্মীরা।

গণমাধ্যমকর্মীরা বলেছেন, সাংবাদিকদের মারধর করা এখন প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। এজলাসের মতো জায়গায় বিচারকের সামনে সাংবাদিককে মারধর করা হলো, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

৪ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সাংবাদিক মনজুরুল আলমের (পান্না) জামিন শুনানি চলাকালে মারধরের শিকার হন আসিফ হোসাইন। তিনি অভিযোগ করেন, আইনজীবী মহিউদ্দিন মাহি তাকে মারধর করেছেন। তবে আইনজীবী তা অস্বীকার করেছেন।

মানববন্ধনে অভিযুক্ত আইনজীবীর শাস্তি দাবি করে সময় টিভির সাংবাদিক ফারুক ভূঁইয়া বলেন, ‘আদালতের এজলাসে মব সৃষ্টি করে হামলা একটি নজিরবিহীন ঘটনা। এই ঘটনা দেখিয়ে দিল বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে। এত বড় ঘটনা ঘটে গেল, কিন্তু কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা গেল না।’ এই ঘটনায় কোনো বিচার হবে কি না, সে ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।

সময় টিভির আরেক সাংবাদিক হারুনর রশীদ বলেন, অপরাধীকে আদালত থেকে বহিষ্কার করা হোক। সাংবাদিকদের সুরক্ষা দিতে হবে।

একাত্তর টিভির সাংবাদিক শাহনাজ শারমিন বলেন, সাংবাদিকেরা নির্যাতিত হলে কেউ প্রতিবাদ করে না। সবার কাছেই সাংবাদিকেরা মার খায়। সাংবাদিক মারা এখন প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। একসময় সাংবাদিকেরা মার খেলে সরকারের উচ্চপর্যায় পর্যন্ত এসে সুরাহা করত। কিন্তু এখন প্রতিবাদটুকুও হয় না। কারণ, সাংবাদিকদের মধ্যে সেই ঐক্য নেই। সাংবাদিকদের এক হতে হবে।

মানববন্ধনে গণমাধ্যমকর্মীরা বলেন, সাংবাদিকেরা এখন আদালতেও মার খাচ্ছেন। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে হবে, স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। এজলাসে হামলার মতো ঘটনা লজ্জার।

মানববন্ধনে বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
International Literacy Day is today

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস আজ

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০২৫’।

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে ইউনেস্কো এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে— “প্রযুক্তির যুগে সাক্ষরতার প্রসার”।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এ আলোচনা সভায় উপস্থিত থাকবেন।

দিবসটি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী এবং ১৯৭২ সাল থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে।

অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্তির অন্যতম উপায় হলো সাক্ষরতা অর্জন করা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই সাক্ষরতার সংজ্ঞায় ভিন্নতা থাকলেও, ১৯৬৭ সালে ইউনেস্কো সর্বজনীন একটা সংজ্ঞা নির্ধারণ করে। তখন শুধু কেউ নাম লিখতে পারলেই তাকে সাক্ষর বলা হতো।

পরবর্তীতে প্রায় প্রতি দশকেই এই সংজ্ঞায় পরিবর্তন এসেছে এবং ১৯৯৩ সালের একটি সংজ্ঞায় ব্যক্তিকে সাক্ষর হওয়ার জন্য তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়।

শর্ত তিনটি হচ্ছে— ১. ব্যক্তি নিজ ভাষায় সহজ ও ছোট বাক্য পড়তে পারবে, ২. ব্যক্তি নিজ ভাষায় সহজ ও ছোট বাক্য লিখতে পারবে ও ৩. ব্যক্তি দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ হিসাব-নিকাশ করতে পারবে।

স্বাধীন বাংলাদেশে মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য জাতিকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদে অবৈতনিক বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার সন্নিবেশিত হয়েছে।

সাক্ষরতা ও উন্নয়ন একই সূত্রে গাঁথা। নিরক্ষরতা উন্নয়নের অন্তরায়। টেকসই সমাজ গঠনের জন্য যে জ্ঞান ও দক্ষতা প্রয়োজন, তা সাক্ষরতার মাধ্যমেই অর্জন করা সম্ভব।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Rural power workers are instructed to return to work within 24 hours

পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে ফিরতে নির্দেশ

পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে ফিরতে নির্দেশ

চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই সতর্কবার্তা জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অত্যাবশ্যক পরিষেবা। এ সেবায় বাধা দেওয়া বা বিঘ্ন ঘটানো অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

সরকার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের দাবিসমূহ সমাধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে এবং বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, পল্লী এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কাজে নিয়োজিত এবং গণছুটির নামে অনুপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কর্মস্থলে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে, শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলন এসে দাবি আদায়ে রোববার থেকে গণছুটিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The dreaded drug was caught in Dhaka

ঢাকায় ধরা পড়ল ভয়ংকর মাদক ‘কিটামিন’

ঢাকায় ধরা পড়ল ভয়ংকর মাদক ‘কিটামিন’

রাজধানীর টঙ্গী থেকে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ইতালিতে পাচারের সময় সাড়ে ৬ কেজি ভয়ংকর মাদক ‘কিটামিন’ জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। জব্দকৃত মাদকদ্রব্য বিশেষ কায়দায় তোয়ালের ভেতরে দ্রবীভূত অবস্থায় রাখা ছিল। এ ঘটনায় চাঁদপুর ও ফরিদপুর থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে সংস্থাটি।

গতকাল রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিএনসি সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক হাসান মারুফ।

ডিএনসি মহাপরিচালক জানান, দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক মাদকচক্র কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করে পাচার কার্যক্রম চালাচ্ছে। এ বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারির অংশ হিসেবে টঙ্গীর ফেডেক্স কুরিয়ার সার্ভিসে অভিযান চালানো হয়। ফেডেক্স কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ঢাকা থেকে ইতালাগামী একটি পার্সেল জব্দ করা হয়।

তিনি জানান, অস্বাভাবিক ওজন এবং সন্দেহজনক অবস্থার কারণে পার্সেলটি পরীক্ষা করে দেখা যায়, একটি খাকি রংয়ের কার্টনের ভেতরে সাতটি সাদা তোয়ালে রাখা। ডিএনসির রাসায়নিক পরীক্ষক ঘটনাস্থলেই পরীক্ষা চালিয়ে তোয়ালের ভেতর থেকে দ্রবীভূত অবস্থায় ৬.৪৪ কেজি কিটামিন শনাক্ত করেন।

জব্দকৃত পার্সেলের প্রেরকের ঠিকানা, সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রথমে চাঁদপুরের মতলব উত্তর এলাকা থেকে প্রেরক মো. মাসুদুর রহমান জিলানী’কে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে অনুসন্ধান ও জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এই চালান ফরিদপুরের মো. আরিফুর রহমান খোকা’র (৪৩) সহযোগিতায় বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা হচ্ছিল।

এরপর ডিএনসির একটি অভিযানিক দল ফরিদপুরের সালথা থানার আটঘর বাজার থেকে খোকাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি অ্যান্ড্রয়েড ও একটি বাটন মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনিও কুরিয়ারের মাধ্যমে ‘কিটামিন’ পাচারের বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে ডিএনসি।

ডিএনসি জানিয়েছে, পাচারকারীরা কেমিক্যাল ইমপ্রেগনেশন পদ্ধতিতে তোয়ালে মাদকের দ্রবণে ভিজিয়ে শুকিয়ে ফেলে। এতে কাপড়টি দেখতে স্বাভাবিক মনে হলেও ভেতরে মাদক মিশে থাকে। পরে বিশেষ কেমিক্যাল বা ল্যাব প্রসেসের মাধ্যমে কাপড় থেকে মাদক আলাদা করা হয়।

ডিএনসি জানিয়েছে, কিটামিন মূলত একটি ডিসোসিয়েটিভ অ্যানেস্থেটিক ওষুধ, যা একসময় অস্ত্রোপচারের আগে রোগেীকে অজ্ঞান করার জন্য ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে এটি পার্টি ড্রাগ হিসেবে অপব্যবহার হচ্ছে। কিটামিন স্বল্পমেয়াদে বিভ্রান্তি, হ্যালুসিনেশন ও শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি করে এবং দীর্ঘমেয়াদে কিডনি, মূত্রথলি ও মানসিক স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে। নিয়মিত সেবনে এটি জীবনহানির ঝুঁকি বাড়ায়।

ডিএনসি মহাপরিচালক হাসান মারুফ জানান, এই চক্রের সঙ্গে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তবে ঢাকায় তাদের কোনও সদস্য অবস্থান করে না। তারা মাদক সংগ্রহের পর প্রক্রিয়াজাত করে কুরিয়ারের মাধ্যমে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়। এবার যে চালানটি জব্দ হয়েছে, তার গন্তব্য ছিল ইতালি।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরও কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।

ডিএনসি মহাপরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মাদকপাচারের রুট কিনা, সেটা নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না। তবে প্রতিটি দেশেই চাহিদার ভিত্তিতে মাদক প্রবেশ করে। ইয়াবার ক্ষেত্রেও আমাদের সীমান্ত এলাকায় বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে।’

জনবল সংকটের কারণে গোয়েন্দা কার্যক্রমে সীমাবদ্ধতা রয়েছে জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে অপারেশন ও গোয়েন্দা কার্যক্রমে মাত্র ১ হাজার ৬২২ জন কাজ করছেন। সীমিত জনবল দিয়েই আমরা অভিযান চালাচ্ছি। গত ছয় মাসে আমাদের অভিযান সংখ্যা বেড়েছে।’

মন্তব্য

p
উপরে