× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
বহুজাতিক থেকেও ব্যাংকে লভ্যাংশ বেশি
google_news print-icon

বহুজাতিক থেকেও ব্যাংকে লভ্যাংশ ‘বেশি’

বহুজাতিক-থেকেও-ব্যাংকে-লভ্যাংশ-বেশি
রাজধানীর একটি ব্রোকারেজ হাউসে শেয়ারবাজারে গতি প্রকৃতি দেখায় মগ্ন উৎসুক এক বিনিয়োগকারী। ছবি: সাইফুল ইসলাম
চলতি বছর এখন পর্যন্ত আটটি ব্যাংক তাদের শেয়ারধারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যেসব ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি সেসব ব্যাংকের পরিসংখ্যানও ভালো মুনাফার ইঙ্গিত দিচ্ছে। শেয়ার প্রতি ব্যাংকগুলোর নগদ লভ্যাংশের হার নামিদামি বহুজাতিক অনেক কোম্পানির লভ্যাংশ থেকেও বেশি।

ইউনিলিভারের একটি শেয়ার কিনে যে পরিমাণ লভ্যাংশ পাবেন বিনিয়োগকারীরা, একই টাকায় প্রিমিয়ার ব্যাংকের শেয়ার কিনলে পাওয়া যাবে তার প্রায় ছয়গুণ, আর মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ার কিনলে পাওয়া যাবে প্রায় পাঁচ গুণ।

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর শেয়ার প্রতি ৩০ টাকা (৩০ টাকা অন্তর্বর্তী মিলেছে আগেই) লভ্যাংশ তারাই পেয়েছেন যারা ১৫৫৪ টাকায় রেকর্ড ডেটে শেয়ার ধরে রেখেছেন।

অন্তবর্তীকালীন লভ্যাংশ পরবর্তী কোম্পানিটির ইল্ড ১.৯৩। সঙ্গে যে একটি শেয়ারে দুটি বোনাস মিলেছে, সেটি দামের সঙ্গে সমন্বয় হয়েছে।

একই টাকায় কেউ সিটি ব্যাংকের শেয়ার কিনলে লভ্যাংশ পাবেন সাড়ে তিনগুণ। আর তুলনামূলক কম লভ্যাংশ ঘোষণা করা শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার কিনলে পাবেন দেড়গুণের বেশি।

বহুজাতিক কোম্পানিগুলো শেয়ার প্রতি ২৫ থেকে ৬০ টাকা লভ্যাংশ দিলেও ক্রমাগত বাড়ছে শেয়ারের দাম। কোনো কোনো কোম্পানির ১০ টাকার শেয়ার ছাড়িয়েছে সাড়ে চার হাজার টাকার বেশি। অথচ তুলনামূলক ডিভিডেন্ট ব্যাংকের শেয়ারের চেয়ে কম।

এরপরও ব্যাংকের শেয়ারের দাম বাড়ছে না। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, ব্যাংকে স্থায়ী সঞ্চয় বা এফডিআরের চেয়ে শেয়ার কিনলে অনায়াসে বেশি লাভ করা যায়।

আর এখনও যেসব ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি সেসব ব্যাংকের পরিসংখ্যানও ভালো মুনাফার ইঙ্গিত দিচ্ছে। শেয়ারধারীরাও আশা করছেন ভালো মুনাফা।

ব্যাংকে কম টাকায় বেশি লাভ

চলতি বছর এখন পর্যন্ত আটটি ব্যাংক তাদের শেয়ারধারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ওয়ান ব্যাংকসহ আগের বছরের তুলনায় লভ্যাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ডাচ বাংলা ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও যমুনা ব্যাংক।

ব্যাংক এশিয়া গত বছরের চেয়ে বেশি আয় করেও সমান লভ্যাংশ বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর মার্কেন্টাইল ব্যাংক সমান আয় করে শেয়ার প্রতি ১০ পয়সা কম লভ্যাংশ বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এখন পর্যন্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করা ব্যাংকের মধ্যে চারটি যে হারে লভ্যাংশের প্রস্তাব করেছে তা যেকোনো সঞ্চয়ী স্কিম বা এফডিআরের হারের চেয়ে বেশি। এগুলো হলো মার্কেন্টাইল, সিটি, প্রিমিয়ার ও যমুনা ব্যাংক। আর ওয়ান ব্যাংকের লভ্যাংশ এফডিআরের সুদ হারের প্রায় সমান।

এছাড়া, প্রতিটি ব্যাংকটি নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ বোনাস হিসেবে লভ্যাংশ পাবেন শেয়ারধারীরা।

ডাচ বাংলা ব্যাংক ২০২০ সালের জন্য তার শেয়ারধারীদের ১৫ শতাংশ বোনাস ও শেয়ার প্রতি দেড় টাকা নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আগের বছর দেড় টাকা নগদের পাশাপাশি ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার পেয়েছিলেন বিনিয়োগকারীরা।

ডাচ বাংলা ব্যাংকের প্রতিটি শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ৫৭ টাকা ৭০ পয়সায়।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক এবার শেয়ার প্রতি ৭০ পয়সা নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিতে যাচ্ছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছিল।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের প্রতিটি শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ২১ টাকা ৯০ পয়সায়।

মার্কেন্টাইল ব্যাংক এবার শেয়ার প্রতি এক টাকা নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিতে যাচ্ছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি এক টাকা ১০ পয়সা নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছিল। ব্যাংকটির প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ১৩ টাকা ৭০ পয়সায়।

মার্কেন্টাইল ব্যাংকে বিনিয়োগকারীরা ২০১৫ সালে ১১ দশমিক ২১ শতাংশ মুনাফা পেয়েছেন। ২০১৬ সালে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ ইল্ডের পাশাপাশি পাঁচ শতাংশ বোনাস শেয়ার পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

২০১৯ সালে ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার পেয়েছেন তারা। ২০১৯ সালে আবার পেয়েছেন ৮.৩৩ শতাংশ নগদ মুনাফা (ইল্ড) এবং পাঁচ শতাংশ বোনাস শেয়ার।

ব্যাংক এশিয়ার এবার শেয়ার প্রতি এক টাকা বা ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিতে যাচ্ছে। আগের বছরও তারা সম পরিমাণ লভ্যাংশ দিয়েছিল। বর্তমানে ব্যাংকটির প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ১৭ টাকা ২০ পয়সায়।

প্রিমিয়ার ব্যাংক এবার শেয়ার প্রতি এক টাকা ২৫ পয়সা নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিতে যাচ্ছে। আগের বছর শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়েছিল। ব্যাংকটির প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ১৩ টাকা ৮০ পয়সায়।

সিটি ব্যাংক এবার শেয়ার প্রতি এক টাকা ৭৫ পয়সা নগদের পাশাপাশি ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিতে যাচ্ছে। ব্যাংকটির প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ২৬ টাকা ২০ পয়সায়।

সিটি ব্যাংক আগের বছর শেয়ার প্রতি দেড় টাকা নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

২০১৫ সালে ১০ দশমিক ৭৮, ২০১৬ সালে ৮ দশমিক ৮২, ২০১৭ সালে ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ নগদ (ইল্ড) মুনাফার পাশাপাশি পাঁচ শতাংশ বোনাস, ২০১৮ সালে ১ দশমিক ৯৯ শতাংশ নগদ (ইল্ড) এর পাশাপাশি পাঁচ শতাংশ বোনাস এবং ২০১৯ সালে ৭ দশমিক ১১ শতাংশ ইল্ড মুনাফা পাওয়া গেছে।

যমুনা ব্যাংক ২০২০ সালের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ার প্রতি এক টাকা ৭৫ পয়সা নগদ লভ্যাংশ দিতে যাচ্ছে। ব্যাংকটির প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ১৮ টাকা ৮০ পয়সায়।

আগের বছর শেয়ার প্রতি দেড় টাকা নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

ওয়ান ব্যাংক মহামারির বছরে আগের বছরের তুলনায় ১৩ শতাংশ মুনাফা কম করেও শেয়ারধারীদেরকে ১৫ শতাংশ বেশি লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে। ব্যাংকটির প্রতিটি শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ১০ টাকা ৬০ পয়সায়।

২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ব্যাংকটি শেয়ার প্রতি ৬০ পয়সা নগদ এবং সাড়ে ৫ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি ২০০ শেয়ারে ১১টি বোনাস শেয়ার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ এবার লভ্যাংশের পরিমাণ মোট ১১ দশমিক ৫ শতাংশ।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরে ব্যাংকটির শেয়ারধারীরা শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা নগদ ও প্রতি ১০০ শেয়ারে ৫ টি অর্থাৎ সর্বমোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

ওয়ান ব্যাংকে ২০১৫ সালে ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ ইল্ড মুনাফার পাশাপাশি ১২ দশমিক ৫ শতাংশ বোনাস, ২০১৬ সালে ৬ দশমিক ১ শতাংশ ইল্ডের পাশাপাশি ১০ শতাংশ বোনাস, ২০১৭ সালে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ ইল্ডের পাশাপাশি পাঁচ শতাংশ বোনাস শেয়ার পাওয়া গেছে। ২০১৮ সালে ১০ শতাংশ বোনাস পাওয়া গেছে। ২০১৯ সালে ব্যাংকটির ঘোষিত লভ্যাংশ অনুযায়ী ৪ দশমিক ৮৫ শতাংশ ইল্ডের পাশাপাশি পাঁচ শতাংশ বোনাস শেয়ার পেয়েছেন।

বহুজাতিক থেকেও ব্যাংকে লভ্যাংশ ‘বেশি’
ব্যাংকে স্থায়ী সঞ্চয় বা এফডিআরের চেয়ে শেয়ার কিনলে অনায়াসে বেশি লাভ করা যায়। ছবি: নিউজবাংলা

লভ্যাংশে বহুজাতিক কোম্পানির চিত্র

বার্জার পেইন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড ২০১৮ সালে কোম্পানিটি ১০০ শতাংশ বোনাস ও ২০০ শতাংশ অর্থাৎ শেয়ার প্রতি ২০ টাকা নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। তখন কোম্পানির শেয়ারদর প্রায় তিন হাজার টাকা হয়ে যায়।

বার্জার পেইন্টের ২০১৫ সালে ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ ইল্ড মুনাফা, ২০১৬-১৭ সময়ে ইল্ড মুনাফা ছিল ২ দশমিক ৮১ শতাংশ, ২০১৮ সালে দশমিক ৯৫ ইল্ড মুনাফার পাশাপাশি ১০০ শতাংশ বোনাস, ২০১৯ সালে ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ ইল্ড মুনাফা এবং ২০২০ সালে ইল্ড মুনাফা ছিল ২ দশমিক ২৫ শতাংশ।

পুঁজিবাজারের আরেক বহুজাতিক কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো বাংলাদেশ লিমিটেড (বেট বাংলাদেশ) বছর শেষে শেয়ারধারীদের যে রিটার্ন দিয়েছে তা ব্যাংকের কাছাকাছি হলেও তুলনামূলক বিচারে অনেক ব্যাংকের চেয়ে কম।

বিএটিবিসির ২০১৬ সালে ২ দশমিক ৪২ শতাংশ ইল্ড মুনাফা, ২০১৭ সালে ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ ইল্ড মুনাফা, ২০১৮ সালে ১.১ দশমিক ১৬ শতাংশ ইল্ড মুনাফার পাশাপাশি ২০০ শতাংশ বোনাস, ২০১৯ সালে ১ দশমিক ১৩ ইল্ড মুনাফা এবং ২০২০ সালে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ ইল্ড মুনাফার পাশাপাশি ২০০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে।

ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেড তাদের শেয়ারধারীদের বছর শেষে রিটার্ন দেয়ার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট হার ধরে রেখেছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৩ দশমিক ০২ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ ইল্ড মুনাফা আকারে প্রদান করেছে।

ম্যারিকো বাংলাদেশের ক্ষেত্রে শেয়ারধারীরা সর্বোচ্চ ২০২০ সালে ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ ইল্ড মুনাফা আকারে পেয়েছেন। এবং ২০১৬ সালে সর্বনিম্ম ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ ইল্ড মুনাফা পেয়েছেন শেয়ারধারীরা।

বহুজাতিক থেকেও ব্যাংকে লভ্যাংশ ‘বেশি’

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির কার্যালয়

লভ্যাংশ ঘোষণা না করা সিংহভাগ ব্যাংকই লোভনীয়

২০১৫ সালে এক্সিম ব্যাংকে বিনিয়োগ করে শেয়ারের মূল্যের অনুপাতে ১৩.৯৫ শতাংশ মুনাফা পেয়েছে বিনিয়োগকারীরা। ২০১৬ সালে এই হার ছিল ১২.৮২ শতাংশ। ২০১৭ সালে তা কিছুটা কমলেও বর্তমানে সঞ্চয়ী সুদহারের চেয়ে বেশি ছিল। ওই বছর মুনাফার ইল্ড ছিল ৭.২৭ শতাংশ। ২০১৮ সালে তা ছিল ৮.৪৭ শতাংশ। ২০১৯ সালে ছিল ১০ শতাংশ।

আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ২০১৫ সালে ৬.৮ শতাংশ নগদের (ইল্ড) পাশাপাশি পাঁচ শতাংশ বোনাস, ২০১৬ সালে ১২.৫৮ শতাংশ, ২০১৭ সালে ৬.২২ শতাংশ, ২০১৮ সালে ৭.৫৪ এবং ২০১৯ সালে ৭.৫৬ শতাংশ নগদ (ইল্ড) মুনাফা পাওয়া গেছে।

ইস্টার্ন ব্যাংকে ২০১৫ সালে ৬.৯৯ ইল্ড মুনাফার পাশাপাশি ১৫ শতাংশ বোনাস, ২০১৬ সালে ৬.০৯ শতাংশ ইল্ডের পাশাপাশি পাঁচ শতাংশ বোনাস, ২০১৭ সালে ৩.৯১ শতাংশ ইল্ড, ২০১৮ সালে ৫.৫৬ শতাংশ ইল্ডের পাশাপাশি পাঁচ শতাংশ বোনাস এবং ২০১৯ সালে ৪.৫২ শতাংশ ইল্ড মুনাফা পাওয়া গেছে।

এনসিসি ব্যাংকে ২০১৫ সালে ১৪.০১ শতাংশ ইল্ড মুনাফা, ২০১৬ সালে ১২.০৭ শতাংশ, ২০১৭ সালে ৭.৩৪ শতাংশ, ২০১৮ সালে ৩.৪৪ শতাংশ নগদ ইল্ড ও পাঁচ শতাংশ বোনাস এবং ২০১৯ সালে ১২.৫০ শতাংশ ইল্ড মুনাফা পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবিএল) এর বিনিয়োগকারীরা ২০১৫ সালে ৯.৩৯ শতাংশ ইল্ডের পাশাপাশি পাঁচ শতাংশ বোনাস, ২০১৬ সালে ৭.০৪ শতাংশ, ২০১৭ সালে ৬.৩৬ শতাংশ ইল্ড মুনাফা পেয়েছেন। ২০১৮ সালে ১০ শতাংশ বোনাস এবং ২০১৯ সালে ৩.৭৬ শতাংশ ইল্ডের পাশাপাশি পাঁচ শতাংশ বোনাস পেয়েছেন তারা।

উত্তরা ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা ২০১৫ সালে ৮.৮১, ২০১৬ সালে ৮.১০, ২০১৭ সালে ৫.৬৭, ২০১৮ সালে ৭.০২ শতাংল ইল্ডের পাশাপাশি দুই শতাংশ বোনাস এবং ২০১৯ সালে ২.৫৭ শতাংশ ইল্ডের পাশাপাশি ২৩ শতাংশ বোনাস শেয়ার পেয়েছেন।

কিছু কিছু ব্যাংক এই সময়ে কেবল বোনাস শেয়ার দিয়েছে লভ্যাংশ হিসেবে। কোনো কোনো ব্যাংক বোনাস ও নগদ মিলিয়ে লভ্যাংশ দিয়েছে। ফলে সেগুলোর কোনোটির ইল্ড হিসাব করা যায় না। আবার যেগুলো মিশ্র লভ্যাংশ দিয়েছে, সেগুলোর ইল্ড কম ছিল।

শেয়ারের মূল্যের সঙ্গে তুলনা করে যে আর্থিক মুনাফা তাকে পুঁজিবাজারে বলে ইল্ড।

বহুজাতিক থেকেও ব্যাংকে লভ্যাংশ ‘বেশি’

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুল রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্যাংকের মুনাফার সঙ্গে পুঁজিবাজারের মুনাফা হিসাব করা একটু জটিল। কারণ ব্যাংকে টাকা রাখলে এক বছর শেষ হওয়ার পর মুনাফা পাওয়া যায়। কিন্তু পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রে কেউ চাইলে রেকর্ড ডেটের আগে শেয়ার কিনে তিন থেকে চার মাসের মধ্যেও লভ্যাংশ পেতে পারে।

‘এছাড়া পুঁজিবাজারে বোনাস লভ্যাংশও পাওয়া যায়। চাইলে কিনে লেনদেনেও মুনাফা করা যায়। ফলে যে কোনো দিক দিয়েই হিসাব করলে ব্যাংকের চেয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ লাভজনক। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল বিবেচনা করতে হবে।’

করোনা মহামারিতে ব্যাংকগুলো ঋণ বিরতণসহ মন্দ ঋণের পরিমাণ কম হওয়ায় মুনাফা হয়েছে আগের বছরের চেয়ে বেশি। ফলে স্বাভাবিকভাবে ২০২০ সালে মুনাফার বিপরীতে ভালো লভ্যাংশ পাবার প্রত্যাশা ছিল ব্যাংকের শেয়ারধারীদের।

কিন্ত ফেব্রুয়ারিতে নতুন করে লভ্যাংশ ঘোসণার সীমা বেধে দেয়ার পর সমালোচনার মুখে বাংলাদেশ ব্যাংক পরবর্তীতে তা সংশোধন করে জানায়, শর্তসাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদসহ ৩৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে ব্যাংকগুলো। যেখানে আগে দেয়া হয়েছিল ৩০ শতাংশ।

বেশির ভাগ ব্যাংকের শেয়ারের দাম ১০ থেকে ২০ টাকা হওয়ায় এই নীতিমালায় নগদ মুনাফা বিনিয়োগকারীদের জন্য বেশ উপকার হতে পারে।

অধ্যাপক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আগেও বলেছি। কিন্তু সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এ বিষয়গুলো বোঝে না। তারা দেখে কোনো কোম্পানি কত লভ্যাংশ দিল। কিন্তু কোনো কোম্পানি বছর শেষে কত হারে লভ্যাংশ দিলো বা আগামীতে কত দিতে পারে সে বিষয়ে কোনো ধারণা নেই।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ব্যাংকের শেয়ারের যে দর তাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বেধে দেয়া হারেই লভ্যাংশ দিলে তাতেই লাভবান হবে ব্যাংকের শেয়ারধারীরা।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
The tide of the capital markets diminis

পুঁজিবাজারে উত্থানের জোয়ারেও কমেনি মন্দ শেয়ারের দৌরাত্ম্য

পুঁজিবাজারে উত্থানের জোয়ারেও কমেনি মন্দ শেয়ারের দৌরাত্ম্য ডিএসইর একটি ব্রোকারেজ হাউসে বিনিয়োগকারীরা। ফাইল ছবি
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি প্রতারণামূলক সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীদের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে চার ব্রোকারেজ হাউসের বিরুদ্ধে।

ঢাকার পুঁজিবাজারে গত এক সপ্তাহের লেনদেনে বেড়েছে সূচক ও মূলধন। তবে পুঁজিবাজার ইতিবাচক দিকে মোড় নিলেও কমেনি মন্দ কোম্পানির শেয়ারের দৌরাত্ম্য।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত পাঁচ কার্যদিবসে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় থাকা দশ কোম্পানির মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি মাত্র দুটি।

বাকি আট কোম্পানির মধ্যে মধ্যম মানের ‘বি’ ক্যাটাগরির সংখ্যা তিন এবং লভ্যাংশ না দেওয়া এমন মন্দ কোম্পানির সংখ্যা পাঁচ।

সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে শীর্ষে উঠে এসেছে নিউ লাইন ক্লোথিংস লিমিটেড। কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের সর্বশেষ লভ্যাংশ দিয়েছে ২০২১ সালে।

কোম্পানিটির সর্বশেষ বার্ষিক সভা হয়েছে ২০২২ সালে। এরপর থেকে বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ না দিয়ে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে আছে কোম্পানিটি।

লেনদেনে শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে থাকা অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেড কোম্পানিটিও ‘জেড’ ক্যাটাগরির। কোম্পানিটি ২০১৬ সালের পর আর কোনো লভ্যাংশ না দিয়েও হয়ে উঠেছে বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ‘তারল্য সংকটের মধ্যে সূচকের উত্থান হওয়ায় দ্রুত মুনাফা পাওয়ার আশায় অনেক বিনিয়োগকারী খারাপ শেয়ারে অর্থলগ্নি করছেন। এতে করে মন্দ কোম্পানির শেয়ার ফুলেফেঁপে উঠলেও ঝুঁকি বাড়ছে পুঁজিবাজারে।’

তিনি বলেন, ‘বাজারে ভুল তথ্য ছড়িয়ে সুবিধাভোগী কিছু কোম্পানি এসব মন্দ কোম্পানিকে টার্গেট করেই অর্থ লোপাটের পরিকল্পনা করছে। শুধু কোম্পানিই নয়, বাজার অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে অনেক ব্রোকারেজ হাউসও জড়াচ্ছে কারসাজিতে।’

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি প্রতারণামূলক সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীদের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে চার ব্রোকারেজ হাউসের বিরুদ্ধে।

সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে পিছিয়ে আছে ব্যাংক খাত। পাঁচ কর্মদিবসে এ খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ২৩ দশমিক ৭২ শতাংশ। গত সপ্তাহে এ খাতের সূচক ৬৪৮ পয়েন্ট থেকে কমে ৪৯৪ পয়েন্টে নেমে এসেছে।

ব্যাংকের পাশাপাশি দাম কমেছে বিমা খাতেও। পাঁচ কার্যদিবসে বিমা খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ।

ব্যাংক-বিমা পিছিয়ে পড়লেও ভালো অবস্থানে রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। এ খাতে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এ ছাড়া জ্বালানি খাতে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩৫ শতাংশের ওপরে।

সর্বোপরি পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২২ পয়েন্ট, ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ বেড়েছে ৬ এবং শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ৭ পয়েন্ট।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ১৮৩ কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ১৬৬টির দাম এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ডিএসইতে সপ্তাহের ব্যবধানে গড় লেনদেন ১ শতাংশের মতো কমলেও মোট বাজার মূলধন বেড়েছে ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

প্রথাগত লেনদেনের বাইরেও সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে ১০৬ কোটি টাকার শেয়ার বেচাকেনা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার বিক্রি করে এসিআই লিমিটেড। কোম্পানিটি পাঁচ দিনে ব্লক মার্কেটে ২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করে।

সপ্তাহব্যাপী লেনদেনে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন আসে সিরামিক খাত থেকে। রিটার্নের হিসাবে তলানিতে আছে আর্থিক খাত, জীবনবিমা ও সাধারণ বিমা। সর্বোপরি মার্কেট রিটার্ন বেড়েছে দশমিক ৫০ শতাংশ।

গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো পুঁজিবাজার সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্স বিএসইসির কাছে নিজেদের প্রাথমিক দুটি সুপারিশ জমা দেয়।

মার্জিন ঋণ ও মিউচুয়াল ফান্ড সংক্রান্ত এসব সুপারিশ আমলে নেওয়া হলে শেয়ারবাজারের অস্থিরতা অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার: শেষ কর্মদিবসে উত্থানে শুরু লেনদেন
পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন শুরু উত্থানে
শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে
ডিএসইতে সূচকের উত্থানে শুরু দ্বিতীয় কর্মদিবসের লেনদেন

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Surprise Love with Infinix Campaign on Love Day

ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ‘সারপ্রাইজ লাভ উইথ ইনফিনিক্স’ ক্যাম্পেইন

ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ‘সারপ্রাইজ লাভ উইথ ইনফিনিক্স’ ক্যাম্পেইন আসন্ন ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনের সঙ্গে সেরা মুহূর্তগুলো ভাগ করে নিতে শুরু হয়েছে ‘সারপ্রাইজ লাভ উইথ ইনফিনিক্স’ ক্যাম্পেইন। ছবি: ইনফিনিক্স
প্রিয়জনকে চমকে দিতে এ ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে জিতে নেওয়া যাবে ইনফিনিক্স হট ৫০ প্রো প্লাস স্মার্টফোন।

ভালোবাসার মুহূর্তগুলোকে আরও স্মরণীয় করে তুলতে ইনফিনিক্স ঘোষণা করেছে এক বিশেষ ক্যাম্পেইন।

আসন্ন ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনের সঙ্গে সেরা মুহূর্তগুলো ভাগ করে নিতে শুরু হয়েছে ‘সারপ্রাইজ লাভ উইথ ইনফিনিক্স’ ক্যাম্পেইন।

প্রিয়জনকে চমকে দিতে এ ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে জিতে নেওয়া যাবে ইনফিনিক্স হট ৫০ প্রো প্লাস স্মার্টফোন।

ক্যাম্পেইনটি চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

ভালোবাসার উদযাপন

ভালোবাসার প্রকৃত অর্থ হলো প্রিয়জনের সঙ্গে ছোট ছোট অনুভূতি ভাগ করে নেওয়া, সুখ-দুঃখের অংশীদার হওয়া, যা মানুষকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসে। ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনকে দিতে পারেন ছোট্ট কিন্তু অর্থবহ উপহার; অংশ নিতে পারেন ‘সারপ্রাইজ লাভ উইথ ইনফিনিক্স’ ক্যাম্পেইনে।

ইনফিনিক্স বিশ্বাস করে, প্রযুক্তি বিশেষ এ মুহূর্তগুলোকে আরও স্মরণীয় করে তুলতে পারে।

এ ক্যাম্পেইন আপনার বিশেষ দিনকে অবিস্মরণীয় করে তুলতে পারে। সঙ্গী, বন্ধু বা পরিবারের সদস্য—যে কারোর জন্যই এটি ভালোবাসার মুহূর্তগুলোকে আরও বিশেষ করে তুলতে পারে।

ভালোবাসা, হাসি ও একটি ছোট্ট চমক

ভালোবাসার আবেশ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এ বছর ইনফিনিক্সের ক্যাম্পেইন চলবে অনলাইন ও অফলাইনে। ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয়েছে একটি আকর্ষণীয় সোশ্যাল মিডিয়া কনটেস্ট, যেখানে অংশগ্রহণকারীদের বিশেষ কোনো স্মরণীয়, আবেগঘন বা মজার ছবি বা ভিডিও শেয়ার করতে হবে। এটি শুধু সঙ্গীর সঙ্গে হতে হবে—এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

এটি হতে পারে বাবা-মা, ভাই-বোন, পরিবারের সদস্য বা বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো কোনো বিশেষ মুহূর্তও। শেয়ার করার সময় #SurpriseLovewithInfinix হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে হবে এবং একই সঙ্গে তিনজন বন্ধুকে ট্যাগ করে কনটেস্টে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানাতে হবে।

অফলাইন ইভেন্ট

অন্যদিকে ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে অফলাইন ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়, যেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য ইনফিনিক্স ভ্যালেন্টাইনস ডে ফটো বুথ ও প্রোডাক্ট এক্সপেরিয়েন্স কর্নার স্থাপন করা হয়।

পাশাপাশি ইনফিনিক্স সার্ভিস সেন্টার কার্লকেয়ার একটি বিশেষ বুথ স্থাপন করা হয়, যেখানে প্রিমিয়াম বিক্রয়োত্তর সেবা দেওয়া হয়। এ ছাড়া ওয়ারেন্টির বাইরে থাকা ডিভাইস সার্ভিসে ২১ শতাংশ ছাড়, বিনা মূল্যে সার্ভিস চার্জ, সফটওয়্যার আপডেট ও ফোন ক্লিনিং সার্ভিসসেরও ব্যবস্থা করা হয়।

শিক্ষার্থীদের জন্য ইনফিনিক্স স্মার্টফোন কেনা আরও সহজ করতে পাম পে ইভেন্টে কার্ডলেস ইএমআই সুবিধা প্রদান করা হয়, যার মাধ্যমে তারা কোনো আর্থিক চাপ ছাড়াই ইনফিনিক্স স্মার্টফোন কিনতে পারবেন।

ক্যাম্পেইনের শেষে তিনজন ভাগ্যবান বিজয়ীর হাতে তুলে দেওয়া হয় ইনফিনিক্স হট ৫০ প্লাস স্মার্টফোন।

ইনফিনিক্স বিশ্বাস করে, পুরস্কারটি ব্যবহারকারীদের প্রিয় মুহূর্তগুলো আরও সুন্দরভাবে ধারণ করতে এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার আনন্দ আরও দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করবে।

আরও পড়ুন:
থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লে নিয়ে বাজারে এলো ইনফিনিক্স নোট ৪০এস
থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লের স্মার্টফোন আনছে ইনফিনিক্স
গেমিংয়ে ভিন্নমাত্রা দিতে ইনফিনিক্স হট সিরিজের তিন স্মার্টফোন
ঈদে ইনফিনিক্স স্মার্টফোন কিনে বাইক জেতা, কক্সবাজার ঘোরার সুযোগ
পেশাদারদের নিত্যসঙ্গী হতে পারে ইনফিনিক্স ইনবুক এক্স২

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital Market Transaction starting in the last working day

পুঁজিবাজার: শেষ কর্মদিবসে উত্থানে শুরু লেনদেন

পুঁজিবাজার: শেষ কর্মদিবসে উত্থানে শুরু লেনদেন প্রতীকী ছবি
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ১০ পয়েন্ট।

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ১০ পয়েন্ট।

শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস ৩ এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বাড়ে ৪ পয়েন্ট।

লেনদেনের শুরুতেই দাম বাড়ে ১৭৭ কোম্পানির, কমে ১৩৩টির এবং অপরিবর্তিত থাকে ৭৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৭০ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।

লেনদেনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বাড়ে ২৮ পয়েন্ট।

লেনদেন হওয়া ১১০ কোম্পানির মধ্যে দাম বাড়ে ৭০, কমে ২২ এবং অপরিবর্তিত থাকে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম। মোট শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন ছাড়ায় ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন শুরু উত্থানে
শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে
ডিএসইতে সূচকের উত্থানে শুরু দ্বিতীয় কর্মদিবসের লেনদেন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে উত্থান দিয়ে শুরু লেনদেন

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Reserve Theft case investigation report on April 7

রিজার্ভ চুরি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১৭ এপ্রিল

রিজার্ভ চুরি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের গেটে প্রতিষ্ঠানটির নামফলক। ফাইল ছবি
মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ঠিক ছিল মঙ্গলবার। তবে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান নতুন এ দিন ঠিক করেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় হওয়া মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার জন্য আগামী ১৭ এপ্রিল দিন ঠিক করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ঠিক ছিল মঙ্গলবার। তবে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান নতুন এ দিন ঠিক করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়।

দেশের অভ্যন্তরের কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করে বলে ধারণা করেন সংশ্লিষ্টরা।

ওই ঘটনায় একই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪ এবং তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬- এর ৫৪ ধারা ও ৩৭৯ ধারায় একটি মামলা করেন।

মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে।

আরও পড়ুন:
মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রতিরোধের প্রস্তাব বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের
হত্যা মামলায় সালমান, আনিসুল, পলক ও মবিনের ৪ দিনের রিমান্ড
খালেদা জিয়ার ৮ মামলা বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনসহ ৪৭ আসামি খালাস
জনগুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানির সরাসরি সম্প্রচার চেয়ে রিট

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Declaration of new monetary policy to reduce inflation to 1 5 percent

মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশে নামানোর লক্ষ্যে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা

মূল্যস্ফীতি ৭-৮ শতাংশে নামানোর লক্ষ্যে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংকের গেটে প্রতিষ্ঠানটির নামফলক। ছবি: ইউএনবি
বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে নতুন মুদ্রানীতি উপস্থাপন করেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাকি সময়ের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ থেকে ৮ শতাংশ নির্ধারণ করে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ ছাড়াও জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ থেকে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে নতুন মুদ্রানীতি উপস্থাপন করেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

বিনিময় হার, মুদ্রাস্ফীতি ও সুদের হারসহ তিনটি মূল আর্থিক সূচক স্থিতিশীল করতে নজর দেওয়া হয়েছে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে।

এর লক্ষ্য বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহে উল্লেখযোগ্য হ্রাস সত্ত্বেও কিছুটা আর্থিক সরবরাহ বাড়ানো। কারণ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা ও দেশের অভ্যন্তরীণ আর্থিক কেলেঙ্কারির প্রভাবের পাশাপাশি বাংলাদেশের জিডিপি ও ঋণ প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে পড়েছে।

তবে নীতিগত সুদের হার অপরিবর্তিত থাকায় ঋণের সুদের হার আর বাড়বে না। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সুপারিশ সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জানুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আর ডিসেম্বরে ছিল ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

আরও পড়ুন:
নভেম্বরে দেশে মূল্যস্ফীতি ১১.৩৮ শতাংশ
অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.৬৬ শতাংশ
সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ
মূল্যস্ফীতি আগস্টে কমে এসেছে: বিবিএস
জুলাইয়ে রেকর্ড উচ্চতায় মূল্যস্ফীতি

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The countrys first underwater photography smartphone Apo Reno 3 Series Unveiled

দেশের প্রথম আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফির স্মার্টফোন ‘অপো রেনো১৩ সিরিজ’ উন্মোচন

দেশের প্রথম আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফির স্মার্টফোন ‘অপো রেনো১৩ সিরিজ’ উন্মোচন সিরিজটি বাংলাদেশের বাজারে প্রথমবারের মতো আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফির সুযোগ উন্মুক্ত করেছে। ছবি: অপো
‘অপো রেনো১৩ সিরিজ’ হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম স্মার্টফোন যা আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফির সুযোগ দিচ্ছে। এটি আইপি৬৯-রেটেড ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেজিস্ট্যান্স সুবিধার মাধ্যমে পানির ২ মিটার গভীরতায় ৩০ মিনিট পর্যন্ত ফটো ও ভিডিও ধারণের সুযোগ দেয়। এ ছাড়াও পানির অন্ধকার ও রঙের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এআই কালার ক্যালিব্রেশন অ্যালগরিদম ব্যবহার করে ফোকাস, রঙ ও কনট্রাস্টের সমন্বয় করে।

বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ‘অপো’ রবিবার বাংলাদেশে যুগান্তকারী স্মার্টফোন সিরিজ ‘অপো রেনো১৩ সিরিজ’ উন্মোচন করেছে।

সিরিজটি বাংলাদেশের বাজারে প্রথমবারের মতো আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফির সুযোগ উন্মুক্ত করেছে।

অপোর ভাষ্য, স্মার্টফোনটি শুধু প্রযুক্তির প্রতীক নয়, বরং এটি ব্যবহারকারীদের জীবনকে আরও আনন্দময় ও সৃজনশীল করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি: এক নতুন অভিজ্ঞতা

‘অপো রেনো১৩ সিরিজ’ হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম স্মার্টফোন যা আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফির সুযোগ দিচ্ছে। এটি আইপি৬৯-রেটেড ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেজিস্ট্যান্স সুবিধার মাধ্যমে পানির ২ মিটার গভীরতায় ৩০ মিনিট পর্যন্ত ফটো ও ভিডিও ধারণের সুযোগ দেয়। এ ছাড়াও পানির অন্ধকার ও রঙের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এআই কালার ক্যালিব্রেশন অ্যালগরিদম ব্যবহার করে ফোকাস, রঙ ও কনট্রাস্টের সমন্বয় করে।

ফিচারটি ব্যবহারকারীদের পানির তলদেশে অসাধারণ ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে সাহায্য করবে।

মডেল

‘অপো রেনো১৩ সিরিজ’-এর দুটি মডেল হলো ‘অপো রেনো১৩ ৫জি’ ও ‘অপো রেনো১৩ এফ’ ।

রেনো১৩ ৫জি: ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের ৬.৫৯ ইঞ্চি ডিসপ্লে, ৫৬০০ এমএএইচ ব্যাটারি, ৮০ ওয়াট সুপারভোগ চার্জিং, ১২ জিবি র‌্যাম (১২জিবি এক্সটেন্ডেড) এবং ২৫৬ জিবি রম। এটি পাম হোয়াইট ও লুমিনাস ব্লু রঙে পাওয়া যাবে ৬৯ হাজার ৯৯০ টাকায়।

রেনো১৩ এফ: ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের ৬.৬৭ ইঞ্চি ওলেড ডিসপ্লে, ৫৮০০ এমএএইচ ব্যাটারি, ৪৫ ওয়াট সুপারভোগ চার্জিং, ৮ জিবি র‌্যাম (৮জিবি এক্সটেন্ডেড) এবং ২৫৬ জিবি রম। এটি পাম পার্পল ও গ্রাফাইট গ্রে রঙে পাওয়া যাবে ৩৪ হাজার ৯৯০ টাকায়।

এআই প্রযুক্তির বিস্ময়

‘অপো রেনো১৩ সিরিজ’-এর মূল আকর্ষণ হচ্ছে এর অত্যাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংবলিত ফিচারগুলো।

এআই লাইভফটো: শাটার প্রেস করার আগে ও পরে ১.৫ সেকেন্ডের টাইম ক্যাপসুল রেকর্ড করে নেয়। এআই ডি-ব্লারিং, ইআইএস ও ভিজ্যুয়াল রিকগনিশন অ্যালগরিদম ব্যবহার করে শটগুলো স্থিতিশীল করে।

এআই এডিটর স্যুট: ঝাপসা ছবিকে হাই-কোয়ালিটি ভিজ্যুয়ালে রূপান্তর করে। এ ছাড়াও এআই আনব্লার, এআই রিফ্লেকশন রিমুভার এবং এআই ইরেজার ২.০-এর মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় বিষয় সরিয়ে দেওয়া যায়।

গেমিং ও নেটওয়ার্ক অভিজ্ঞতা

গেমার্স ও স্ট্রিমারদের জন্য ‘এআই লিংকবুস্ট ২.০’ ফিচার উল্লেখযোগ্য। এটি লো-সিগনাল অথবা ক্রাউডেড এরিয়াতে নেটওয়ার্ক শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে।

৯টি ৩৬০° ডিগ্রি অ্যান্টেনা, ডুয়েল-চ্যানেল ওয়াই-ফাই এবং ব্লুটুথ অ্যাসিলারেশন ব্যবহার করে নির্বিঘ্ন গেমিং ও স্ট্রিমিং অভিজ্ঞতা দেয়।

ডকুমেন্টেশন ও মাল্টি-টাস্কিং

দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারের জন্য এ স্মার্টফোনে রয়েছে এআই সংবলিত ডকুমেন্টেশন টুলস। নিচে সেগুলো তুলে ধরা হলো।

ডকুমেন্টস অ্যাপ: লেখা সামারাইজেশন ও এডিটিং করতে সাহায্য করে।

এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট নোটস: ফরম্যাটিং ও কনটেন্ট এক্সপ্যানশন সক্ষমতা দেয়।

প্রি-অর্ডার অফার

অপো-ভক্তরা ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ‘রেনো১৩ সিরিজ’ প্রি-অর্ডার করতে পারবেন। প্রি-অর্ডারের সঙ্গেই বিশেষ উপহারসহ ড্রিম ট্রিপ জেতার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও অপো ট্রাভেল ব্যাগ এবং ১০০ শতাংশ শিওর শট অপো সুপার শিল্ড কার্ডসহ নানা আয়োজন রয়েছে।

সিরিজের বিষয়ে অপো সাউথ এশিয়ার মার্কেটিং ডিরেক্টর ইয়াং গু বলেন, “‘মেক ইউর মোমেন্ট’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আমরা বর্তমান সময়কে ধারণ ও ভালো লাগার মুহূর্তকে গ্রহণের জন্য একটি নতুন প্রজন্মকে ক্ষমতায়িত করছি।”

অপো বাংলাদেশ অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, ‘এই অনন্য ফিচারটি স্মার্টফোনপ্রেমীদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। এ অর্জন প্রতিযোগিতামূলক বাজারে মানসম্পন্ন পণ্য পৌঁছে দিতে আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।”

আরও পড়ুন:
থ্রিডি গ্রাফিক্সের মানোন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করবে অপো
১৭৯৯০ টাকায় অপোর নতুন স্মার্টফোন
এ সিরিজের নতুন ডিভাইস আনছে অপো
উয়েফার সঙ্গে অপো
ঈদে অপো স্মার্টফোন কিনে বাইক, ফ্রিজ-ওভেন জেতার সুযোগ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Capital Market In the first working day transaction starts

পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন শুরু উত্থানে

পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন শুরু উত্থানে ডিএসইর একটি ব্রোকারেজ হাউসে বিনিয়োগকারীরা। ফাইল ছবি
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রবিবার লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ৪ পয়েন্ট।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রবিবার লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ৪ পয়েন্ট।

বাকি শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস ও ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ দুটি সূচকেরই উত্থান দশমিকের নিচে।

লেনদেনের শুরুতেই দাম বাড়ে ১৬৪ কোম্পানির, কমে ১৪৩ এবং অপরিবর্তিত ছিল ৭৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১০০ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।

লেনদেনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বাড়ে ৩ পয়েন্ট।

লেনদেন হওয়া ৬৬ কোম্পানির মধ্যে দাম বাড়ে ৩২, কমে ২২ এবং অপরিবর্তিত ছিল ১২ কোম্পানির শেয়ারের দাম। শুরুতেই মোট শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন ছাড়ায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন:
শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে
ডিএসইতে সূচকের উত্থানে শুরু দ্বিতীয় কর্মদিবসের লেনদেন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে উত্থান দিয়ে শুরু লেনদেন
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার পুঁজিবাজারে সব সূচকের পতন
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান, চট্টগ্রামে বড় পতন

মন্তব্য

p
উপরে