অর্থনৈতিক মুক্তি ছিল বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের অন্যতম স্বপ্ন। তাই পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালে জন্ম নেয়া বাংলাদেশ প্রথমেই নজর দেয় অর্থনীতি নির্মাণে।
স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে দেশ অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার যে মহাসড়কে উঠে এসেছে, এর অন্যতম কৃতিত্ব ব্যাংক খাতের। স্বাধীনতার পর ব্যাংকের অর্থায়নে দেশে গড়ে উঠেছে বিশাল উদ্যোক্তা শ্রেণি, যাদের হাত ধরে বিস্তৃত হয়েছে বেসরকারি খাত।
১৯৭০-এর দশকে ঋণ ব্যবস্থার প্রাথমিক কাজ ছিল মূলত বাণিজ্য এবং সরকারি খাতে অর্থায়ন, যা ছিল মোট ঋণের প্রায় ৭৫ ভাগ। ধীরে ধীরে ব্যাংক খাতের বিস্তৃতি বেড়েছে। আজকের যে অর্থনৈতিক উত্তরণ, তার পেছনে রয়েছে ব্যাংক খাতের অসামান্য অবদান।
১৯৭২ সালে ১ টাকার নোট প্রচলনের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম নিজস্ব কাগজের মুদ্রা চালু হয়। স্বাধীনতার মাত্র তিন মাসের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে ভারত থেকে ছাপানো হয় ১ ও ১০০ টাকা মূল্যমানের নোট। পরে ১৯৭২ সালের ৪ মার্চ এসব নোটকে নিজস্ব মুদ্রা হিসেবে অবমুক্ত করা হয়।
খেলাপি ঋণ, অর্থ লোপাটসহ নানা সমালোচনা থাকলেও স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বড় অবদান এই ব্যাংকিং খাতেরই।
ব্যাংকার ও বিশ্লেষকরা বলছেন, আজকের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিন্তার ফসল। দেশে উদ্যোক্তা তৈরি এবং গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে ব্যাংকের গুরুত্ব অনুধাবন করেছিলেন তিনি।
ব্যাংক গঠনের ইতিহাস
স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে হাত দেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭২ সালে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে জাতীয়করণ করা হয় ব্যাংক খাত।
স্টেট ব্যাংক অফ পূর্ব পাকিস্তানের শাখা নিয়ে গঠন করা হয় বাংলাদেশ ব্যাংক। জাতীয়করণের মাধ্যমে ১২টি ব্যাংক একীভূত করে রূপান্তর করা হয় ছয়টি সরকারি ব্যাংকের।
ন্যাশনাল ব্যাংক অফ পাকিস্তান ও ব্যাংক অফ ভাওয়ালপুর লিমিটেডকে একত্র করে সোনালী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়; অগ্রণী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড, হাবিব ব্যাংক লিমিটেড ও কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের সমন্বয়ে; জনতা ব্যাংকের যাত্রা শুরু ইউনাইটেড ব্যাংক লিমিটেড ও ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেডের সংযুক্তির মধ্য দিয়ে; রূপালী ব্যাংক স্থাপিত হয় মুসলিম কমার্শিয়াল ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডকে একত্র করে; পূবালী ব্যাংক কার্যক্রম শুরু করে অস্ট্রেশিয়া ব্যাংক ও ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংককে একসঙ্গে করে এবং উত্তরা ব্যাংকের যাত্রা শুরু ইস্টার্ন ব্যাংকিং করপোরেশনের পরিবর্তিত নামে। এ সময়ে প্রতিটি ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ছিল ৫ কোটি টাকা।
এভাবে শুরু হয় বাংলাদেশের ব্যাংকিং কার্যক্রম।
এ ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের বাইরে এ সময় বিদেশি ব্যাংকগুলোকে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার অনুমতি দেয়া হয়।
এ ছাড়া শিল্প ও কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে দুটি বিশেষায়িত ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করা হয়। দীর্ঘ ও মাঝারি মেয়াদি শিল্পঋণ দেয়ার লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ অনুসারে যাত্রা শুরু করে শিল্প ব্যাংক। কৃষি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কৃষক ও জেলেদের মাঝে ঋণপ্রবাহ নিশ্চিত করা হয়।
এক দশক পর ১৯৮২ সালে যুক্ত হয় ব্যক্তিমালিকানায় বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক।
কালের বিবর্তনে হিসাব খোলা, ঋণ বিতরণ এবং লেনদেনে লেজার খাতার বদলে জায়গা করে নিয়েছে প্রযুক্তি বা ডিজিটাল ব্যাংকিং।
বর্তমান অবস্থা
ব্যাংক পুনর্গঠনের পরই ঋণ কার্যক্রম জোরদার করে বঙ্গবন্ধু সরকার। পাকিস্তানিদের দায় নিয়ে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভের পরিমাণ ৪৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আমানতের পরিমাণ প্রায় ১৩ লাখ কোটি টাকা, ১৯৭২ সালে যা ছিল ৪৬০ কোটি টাকা।
শূন্য থেকে শুরু করা বেসরকারি খাতে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১১ লাখ কোটি টাকায়, ওই সময় যা ছিল ২৮৯ কোটি টাকা।
এর ফলে বিপুলসংখ্যক উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে বেসরকারি খাতে।
উদ্যোক্তা তৈরিসহ স্বাধীনতার পর কৃষির উন্নয়নে গুরুত্ব দেন বঙ্গবন্ধু। এটিকে আদর্শ মেনে শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ অঞ্চলে ব্যাংকের শাখা প্রতিষ্ঠায় জোর দেয়া হয়। এর মাধ্যমে ঋণ বিতরণ বাড়ছে কৃষি খাতে, যা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সহায়তা করেছে।
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উদ্যোক্তা তৈরি এবং ভোক্তা ঋণের মাধ্যমে মানুষের জীবনমান উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে ব্যাংকিং খাতের।
দেশে এখন ব্যাংকের সংখ্যা ৬১টি। এর মধ্যে ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক, ৪৩টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, তিনটি বিশেষায়িত ব্যাংক ও নয়টি বিদেশি ব্যাংক রয়েছে।
এসব বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা ১০ হাজার ৬০০ ছাড়িয়েছে।
আর্থিক অন্তর্ভুক্তি
এক দশক আগেও মোট জনগোষ্ঠীর ৮৫ শতাংশই ছিল ব্যাংকিং সেবার বাইরে। ঋণের জন্য বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) বা গ্রাম্য মহাজনই ছিল ভরসা। কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের আর্থিক খাতে যুক্ত হয়েছে নিত্যনতুন ব্যাংকিং সেবা।
মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস বা এমএফএসের মাধ্যমে লেনদেন যেন একদম হাতের মুঠোয়। ব্যাংকবহির্ভূত জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে এমএফএস। ২০১১ সালে চালু হওয়া এ সেবা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে ১৬টি ব্যাংক।
এরপর যুক্ত হয়েছে এজেন্ট ব্যাংকিং। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে ব্যাংকের শাখা খোলা সম্ভব নয়, সেখানে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের শাখা খুলে কাজ চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে এ সেবাটি চালু হয়েছে ২০১৩ সালে। বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে সেবাটি। দেশের ২৮টি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালুর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিয়েছে।
এ ছাড়া রয়েছে বুথ ব্যাংকিং, উপশাখার মতো নিত্যনতুন ব্যাংকিং ধারণা।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে ভূমিকা রেখেছে ১০ টাকা, ৫০ টাকা ও ১০০ টাকায় চালু করা বিশেষ হিসাবও। কৃষক, অতিদরিদ্র, পথশিশুর হিসাব, স্কুল ব্যাংকিংসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মানুষ ব্যাংকে হিসাব খোলার মাধ্যমে সেবার আওতায় এসেছে।
ফলে আর্থিক সেবার আওতায় চলে এসেছে ৭০ শতাংশের বেশি জনগোষ্ঠী।
নতুন করে ব্যাংকিং সেবায় যুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় আছে ভার্চুয়াল ব্যাংক, ডিজিটাল শাখাসহ প্রযুক্তিসমৃদ্ধ বিভিন্ন সেবা।
বিশ্লেষকরা যা বলছেন
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা থেকেই দেশের ব্যাংক খাতে প্রযুক্তির আধুনিকায়ন করা হয়। ২০১১ সালে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস চালু করা হয়। পাশাপাশি এজেন্ট ব্যাংকিং চালুর ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে গেছে। সে সময় প্রযুক্তির উন্নয়নে করা বিনিয়োগই করোনা মহামারিতে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক রাখতে ভূমিকা রেখেছে। ভবিষ্যতে ব্যাংক ব্যবস্থাকে আরও বেশি আধুনিক প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বর্তমানে ব্যাংকগুলো প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ব্যাপক মাত্রায় জোর দিয়েছে, যার ফল করোনা মহামারিতে গ্রাহকেরা নিরবচ্ছিন্ন ব্যাংকিং সুবিধা পেয়েছেন। লকডাউনের মধ্যে ব্যাংকে না গিয়েও গ্রাহকেরা সেবা নিতে পেরেছেন।
‘ডিজিটাল সুবিধা কাজে লাগিয়ে ব্যাংক নিত্যনতুন সেবা চালু করছে। এতে আগামী দিনে দেশে ব্যাংকিং সেবার আওতা আরও বড় হবে।’
তিনি বলেন, ‘মোবাইল ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং, উপশাখাসহ অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে ব্যাংকগুলো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীও ব্যাংকিং সুবিধা ভোগ করতে পারছেন।’
আরও পড়ুন:দাবদাহ আর বৃষ্টিহীনতায় পুড়ছে মাদারীপুরের পাটক্ষেত। বৈশাখের তপ্ত রোদে পাটক্ষেত নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। পাটের জমিতে ঘন ঘন সেচ দেয়ায় যেমন উৎপাদন খরচ বাড়ছে, তেমনি খরায় জমির আগাছা পরিষ্কার করতে পারছেন না কৃষকরা।
এমনটা চলতে থাকলে উৎপাদন অনেকটা হুমকির মুখে পড়বে বলেও আশঙ্কা কৃষকদের।
সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের মধ্যচক এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দিনের তীব্র দাবদাহে পাট গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। ক্ষেতেই মরে যাচ্ছে পাট গাছ। কোথাও শুকিয়ে মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। ফলে ঘন ঘন সেচ দিয়েও গাছের আশানুরূপ পরিবর্তন আনতে পারছেন না।
অনাবৃষ্টির কারণে পাট গাছের বৃদ্ধি না হওয়ায় জমিতে আগাছার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্বিগুণ হারে।
কৃষকরা জানান, এবার প্রতি বিঘা পাট চাষ করতে খরচ হয়েছে ১৯ হাজার ৫০০ টাকার মতো। যা গতবারের চেয়ে অন্তত দুই হাজার বেশি। এরপরে গাছ শুকিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষার জন্য সেচ দিচ্ছেন তারা। ফলে আরও বাড়তে পারে উৎপাদন ব্যয়।
খোয়াজপুরের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘কয়েকদিনের প্রচণ্ড গরমে মাঠ ফেটে চৌচির। পাটগাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। একটুখানি বড় হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন চললে এবার পাট আবাদ ধসে পড়বে। অনেকেই সেচ দিলেও এক দুই দিন পরে আবার শুকিয়ে যায়। এতে মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে উঠছে।’
আর মাদারীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এবার ৩৭ হাজার ৪০২ হেক্টর জমিতে পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এরই মধ্যে অধিকাংশ জমিতে বপন কাজ শেষ হয়েছে এবং অনেক স্থানে চারা বড় হয়ে গেছে, কিন্তু রোগের কারণে পাটের ক্ষতি হওয়ায় চাষিদের বিকেলে পানি সেচ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক আবদুল মতিন বিশ্বাস বলেন, ‘এই গরমে পাটের কিছুটা ক্ষতি হচ্ছে সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই, তবে কৃষকদের বলছি, যেন বিকেলে সেচের মাধ্যমে পাট গাছ জীবিত রাখে। এতে গাছ মরবে না।’
মাদারীপুর জেলায় অন্যতম অর্থকরী ফসল হিসেবে পাটের অবস্থান শীর্ষে। গত বছর পাটের মূল্য ভাল পাওয়ায় কৃষকরাও এবার বেশি জমিতে পাট চাষ করেছেন।
আরও পড়ুন:রাজধানীর খিলগাঁওয়ের গোড়ানে খেলতে গিয়ে একটি ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক শিশু নিহত হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে পাঁচ তলা ভবনটির ছাদ থেকে পড়ে নিহত হয় সে।
নিহত শিশুর নাম খাদিজা আক্তার (৫)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শিশুটির ফুফা মোহাম্মদ ইসহাক মিয়া (২০ বছর)।
খাদিজার বাবা মোহাম্মদ ফয়সাল আহমাদ জানান, দুপুরে পাঁচ তলার ছাদে খাদিজা খেলাধুলা করার সময় ছাদ থেকে নিচে পড়ে যায়। এ সময় খাদিজার ফুফা দৌড়ে ধরতে গেলে তিনিও নিচে পড়ে যান।
তিনি জানান, পরে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাদিজা রাত সাড়ে ৮টার দিকে মারা যায় এবং ফারিয়ার ফুফাকে ভর্তি রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া থানা এলাকায়। খিলগাঁওয়ের গোড়ান নবাবীর মোড় বতর্মানে১৪৮ /১ রায়হান সাহেবের বাড়ির ভাড়াটিয়া আমরা।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মহম্মদ বাচ্চু মিয়া বলেন, শিশুটির মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে খিলগাঁও থানার সাথে কথা হয়েছে।
তীব্র থেকে অতি তীব্র মাত্রায় পাবনা জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। অসহনীয় দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত তিন-চার দিন তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও শুক্রবার চলতি মৌসুমে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
এদিন পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যা জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত রবিবার (২১ এপ্রিল) ঈশ্বরদীতে প্রথমবার ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, জেলার তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অতি তীব্র তাপদাহে পাবনার মানুষের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে কৃষক, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ইটভাটার শ্রমিকসহ দিনমজুরদের জন্য অসহ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়াও তীব্র গরমে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ সব বয়সের মানুষ।
গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন আশরাফ আলী নামের এক রিকশাচালক। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার সুন্দরগঞ্জ-কুপতলা সড়কের ৭৫ নম্বর রেলগেট নামক এলাকায় এ ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরে শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে সাদেকুলকে কারাগারে পাঠানো হয়।
৫০ বছর বয়সী রিকশাচালক আশরাফ আলী সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের সাহার ভিটার গ্রামের মৃত ফয়জার রহমানের ছেলে। অন্যদিকে ছিনতাই ও হত্যায় অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলাম কুপতলা ইউনিয়নের রামপ্রসাদ গ্রামের বাসিন্দা।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদ রানা।
ওসি জানান, প্রতিদিনের মতোই বৃহস্পতিবার রাতে রিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আশরাফ আলী। তিনি কুপতলা এলাকার ৭৫ নম্বর রেলগেটে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সাদেকুল ইসলাম তার পথ রোধ করে ছুরি ধরে রিকশা এবং চাবি কেড়ে নিয়ে তাকে চলে যেতে বলেন। আশরাফ আলী এতে রাজি না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে প্রথমে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত সাদেকুল আশরাফ আলীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে চিকিৎসার জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি বলেন, ‘এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে ওই রাতেই অভিযুক্ত সাদেকুল ইসলামকে আটক করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে রিকশাটিও উদ্ধার করা হয়। পরে আজ (শুক্রবার) দুপুরে সাদেকুলকে একমাত্র আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’
দেশের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে। এর মধ্যে কোথাও কোথাও বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও পাবনা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর, কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়োহাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
অধিদপ্তর বলছে, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
আবহাওয়ার সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। আগামী পাঁচ দিনেও আবহাওয়াও প্রায় একই থাকতে পারে।
শুক্রবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়া ২০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও বৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ ও থাই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক থেকে বেরিয়ে ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি শুক্রবার এ কথা জানান। খবর বাসসের
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাই প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এক সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’
দুপুরে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গভর্নমেন্ট হাউজে উভয় নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত একান্ত বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব তথ্য জানান। সন্ধ্যায় ঢাকায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।
ড. হাছান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের মধ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে তারা একান্তে কথা বলেন, এরপর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বহু বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনা করেছেন।
থাইল্যান্ডের সাথে বাংলাদেশের যে ভ্রাতৃপ্রতিম ও বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক, সেটা আরও জোরদার, বহুমাত্রিক ও বিস্তৃত করার ব্যাপারে দুই প্রধানমন্ত্রী গভীর আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন, বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ সময় অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং মুক্ত বণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর জন্য একটি লেটার অভ ইন্টেন্ট স্বাক্ষরিত হয়।
দেশের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ব্যাংককে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই এবং থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. প্রাণপ্রী বাহিদ্ধা নুকারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বর্ণনা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের ১০০টি ইকোনমিক জোন ও আইটি ভিলেজে থাই বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা চাইলে প্রয়োজনে বাংলাদেশে তাদের জন্য বিশেষ ইকোনমিক জোন করার কথাও বলেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত হয়ে আসা প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছেন। তাদের জন্য বাংলাদেশে যেসব সমস্যা উদ্ভূত হচ্ছে বৈঠকে সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলেও জানান ড. হাছান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডেও অনেক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন, এখনো অনেকে আসছেন। থাইল্যান্ডও এই পালিয়ে আসা মানুষদের ভারে জর্জরিত। এই সমস্যা সমাধানে উভয় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের একসাথে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
এদিন গভর্নমেন্ট হাউজে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রদত্ত রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অফ অনার প্রদানকালে থাই প্রধানমন্ত্রী সাথে ছিলেন। শেখ হাসিনা তার সৌজন্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে যোগ দিয়ে বক্তব্য রাখেন।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান। তিনি বৃহস্পতিবার ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী সেখানে দেওয়া ভাষণে সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান জানান।
সফর শেষে প্রধানমন্ত্রীর আগামী ২৯ এপ্রিল দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার অগ্রণী ব্যাংকের কাশিনাথপুর শাখায় প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে শাখা ম্যানেজারসহ ৩ কর্মকর্তাকে আটকের পর কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আনোয়ার হোসেন সাগর। এদিন দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করে সাঁথিয়া থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের জিআরও এএসআই মাহবুবুর রহমান জানান, বিকেলে সাঁথিয়া থানা থেকে এনে তাদের আদালতে তোলা হয়। এ সময় কেউ তাদের জন্য জামিন আবেদন করেননি। ফলে আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আটককৃতরা হলেন- অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ব্যবস্থাপক (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) সুজানগর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা হারুন বিন সালাম, সিনিয়র অফিসার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার বাসিন্দা আবু জাফর এবং ক্যাশিয়ার বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত চক্রবর্তী।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী বিভাগীয় অফিস থেকে ৫ সদস্যবিশিষ্ট অডিট টিম কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসে। দিনভর অডিট করে তারা ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আর্থিক অনিয়ম পান। এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানায় ওই শাখার ম্যানেজার (সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার) হারুন বিন সালাম, ক্যাশ অফিসার সুব্রত চক্রবর্তী ও সিনিয়র অফিসার আবু জাফরকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দিলে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে তাদের তিনজনকে আটক করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অডিটে অনিয়ম ধরা পড়লে তাদের আটক করে সাঁথিয়া থানা পুলিশকে খবর দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আজ (শুক্রবার) দুপুরে জিডির ভিত্তিতে আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে দুদক আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য