× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
বাংলাদেশ ভারত পাটযুদ্ধ মোদির সফরে নিষ্পত্তির আশা ক্ষীণ
google_news print-icon

বাংলাদেশ-ভারত পাটযুদ্ধ: মোদির সফরে অবসানের আশা

বাংলাদেশ-ভারত-পাটযুদ্ধ-মোদির-সফরে-অবসানের-আশা
প্রতীকী ছবি
বাংলাদেশের প্রতি টন পাটসুতা, চট ও বস্তা রপ্তানির ওপর ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি ভারতের রাজস্ব বিভাগ ১৯ থেকে ৩৫২ ডলার পর্যন্ত অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপের গেজেট প্রকাশ করে। এর মধ্যদিয়ে শুরু হয় দ্বিপক্ষীয় যুদ্ধ। এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশের অমিত সম্ভাবনাময় পাট খাত।

চার বছরের বেশি সময় ধরে চলছে বাংলাদেশ-ভারতের পাটযুদ্ধ। বাংলাদেশের পাট শিল্পের অগ্রগতির জন্য শিগগিরই এ যুদ্ধের অবসান আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ঘিরে দুই দেশের পাটযুদ্ধের সন্তোষজনক নিষ্পত্তির আশা করছেন তারা।

বাংলাদেশের প্রতি টন পাটসুতা, চট ও বস্তা রপ্তানির ওপর ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি ভারতের রাজস্ব বিভাগ ১৯ থেকে ৩৫২ ডলার পর্যন্ত অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করে গেজেট প্রকাশ করে। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় দ্বিপক্ষীয় যুদ্ধ। এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশের অমিত সম্ভাবনাময় পাট খাত।

দীর্ঘ এ সময়ে বাংলাদেশ দফায় দফায় পাটযুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধানে ভারতের প্রতি আবেদন জানিয়েছে। নীতিনির্ধারক পর্যায়ে অনেকবার আলোচনা ও চিঠি চালাচালি হয়েছে। তাতে আশ্বাসও মিলেছে। শেষ পর্যন্ত ফল মেলেনি।

পাটযুদ্ধ শুরুর আগে ভারতে ব্যাটারিযুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০০৪ সালে গাড়ির ব্যাটারি রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিল ভারত।

সংক্ষুব্ধ হয়ে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) আপিল ট্রাইব্যুনালে যায়। ভারতও সেখানে সমানতালে লড়ে। তবে এ যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত ভারতকে হটিয়ে বাংলাদেশই বিজয় ছিনিয়ে আনে।

শিগগিরই পাটযুদ্ধেরও সমাপ্তি চায় বাংলাদেশ। তবে এবার ব্যাটারির মতো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার জন্য এখনও ডব্লিউটিওর আপিল ট্রাইব্যুনালে যাওয়া হয়নি। যদিও সেখানে যাওয়ার মতো সব ধরনের প্রস্তুতি বাংলাদেশের রয়েছে। বাংলাদেশ চায় উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই বিষয়টির শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি।

কারণ যে প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশি পাটে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক বসিয়েছে ভারত, তা যথাযথ হয়নি। বাংলাদেশ আশা করছে, ভারত তার সিদ্ধান্ত সংশোধন করবে এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।

পাটে অ্যান্টি ডাম্পিংয়ে এই যখন পরিস্থিতি, তখন স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধে সহায়ক শক্তি হিসেবে ভারতের জন্যও সময়টি ঐতিহাসিক। এ উপলক্ষে আজ দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে এলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এ সফরকে ঘিরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিও ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন দরজা খুলে যাওয়ার প্রত্যাশার কথা বলেছেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে নরেন্দ্র মোদির সফর ঘিরে আগাম আলোচনার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে বাংলাদেশে আসা ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পসচিব অনুপ ধাওয়ানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি দাবি করেন, যেসব পণ্যের ওপর ভারতের অ্যান্টি ডাম্পিং আরোপ করা আছে, আলোচনার মাধ্যমে সেগুলোর যৌক্তিক সমাধান হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তিতে দুই দেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে এমন কিছু করতে, যা উভয় দেশের মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

তার বক্তব্যে আশ্বস্ত হন পাট খাত সংশ্লিষ্টরা। তারা আশা করছেন, নরেন্দ্র মোদি এবারের বাংলাদেশ সফরে পাটযুদ্ধ পরিসমাপ্তির একটা সবুজ সংকেত দেবেন। সরকারে বিভিন্ন স্তরের বক্তব্যেও পাটে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহার হতে যাচ্ছে বলে অনেকে আশায় বুক বেঁধেছেন।

তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ দায়িত্বশীল বিভিন্ন মহল জানায়, সফরে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ও অমীমাংসিত অনেক বিষয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি বাণিজ্যসহ নানা বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হবে। তবে সেখানে ভারত পাটে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক তুলে নেয়ার মতো কোনো সবুজ সংকেত থাকবে না। অর্থাৎ পাট ইস্যুতে নমনীয়তার বিষয়ে ভারতের আগের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসছে না। ফলে দুই দেশের পাটযুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) শহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরে বাণিজ্য বৃদ্ধিকরণ সংক্রান্ত বেশ কিছু ইস্যুতে আলোচনা হবে। এর মধ্যে নতুন আরও কয়েকটি বর্ডার হাট স্থাপনের সিদ্ধান্ত অন্যতম। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য উন্নয়ন ও বিদ্যমান বাধা দূর করা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা চুক্তি সই হবে।

সরকারপ্রধানদের নির্দেশ অনুযায়ী আগামীতে এ চুক্তির আওতায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুলবে। সেখানে বাংলাদেশি পাটে ভারতের আরোপিত অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহার ইস্যুতেও আলোচনার সুযোগ থাকবে।

গুণ-মান ভালো ও দামে সাশ্রয়ী হওয়ার কারণে ভারতের বাজারে ব্যাপকভাবে বাংলাদেশি পাট ও পাট পণ্য রপ্তানি হতো। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সাফটার আওতায় বাংলাদেশ ভারতে শূন্য শুল্কে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির সুবিধা পাওয়ার অধিকার রাখে।

কিন্তু হঠাৎ করেই ভারত সাফটা চুক্তিকে অকার্যকর করে পাট রপ্তানি কমাতে বাংলাদেশি পাট ও পাট পণ্যে সেই শূন্য অবস্থা থেকে প্রতি টনে সর্বোচ্চ ৩৫১ দশমিক ৭২ ডলার পর্যন্ত অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক ধার্য করে দেয়।

এ ক্ষেত্রে ভারতের অভিযোগ ছিল, তাদের স্থানীয় বাজারের চেয়ে কম দামে পাট রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। সমজাতীয় পণ্য কোনো রপ্তানিকারক দেশ আমদানিকারক দেশের স্থানীয় বাজারের তুলনায় কম মূল্যে রপ্তানি করলে সেখানে ডাম্পিং হয়েছে বলে ধরা হয়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে সাধারণত স্থানীয় সমজাতীয় পণ্য খাতের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন। এ ধরনের পরিস্থিতি ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট দেশ যে প্রতিরক্ষণমূলক শুল্ক ব্যবস্থা নেয় সেটাই হলো-অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক।

তবে এর সঙ্গে একমত নয় বাংলাদেশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাবে, বাংলাদেশ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৯১ কোটি ৯৫ লাখ ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে, যার ২০ শতাংশ গেছে ভারতে।

ইপিবির এই তথ্যের সূত্র টেনে পাট ও পাট পণ্য রপ্তানিকারকরা দাবি করছেন, যে বছর অ্যান্টি ডাম্পিং পদক্ষেপ নেয় ভারত, ওই বছর বাংলাদেশ যে পরিমাণ পাট রপ্তানি করেছে তা ভারতীয় বাজারের ৮ শতাংশ, যা ভারতের যুক্তিকে যৌক্তিক প্রমাণ করে না।

তারা আরও দাবি করেন, নিয়ম হলো অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপের আগে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে, যেটা ভারত করেনি।

ভারতের অ্যান্টি-ডাম্পিং অ্যান্ড অ্যালাইড ডিউটিজ (ডিজিএডি) অধিদপ্তর ২০১৬ সালের অক্টোবরে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপের সুপারিশে বাংলাদেশি উৎপাদকরা পাট রপ্তানিতে যে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা পাচ্ছেন সেই বিষয়টিকেও বড় করে দেখেছেন।

বাংলাদেশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সেলের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান এ বিষয়ে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এবারের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনায় দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য জট খোলার একটি পথ তৈরি হবে। তবে পাটে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহার সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত এখনই হবে না। কারণ ভারত এ নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে আরও পরিষ্কার হতে চায়। আরও সময় নিয়ে বিস্তর আলোচনা করতে চায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘চলতি মাসে প্রথম দিকে দুই দেশের বাণিজ্যসচিব পর্যায়ের বৈঠকে বিষয়টি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরা হলে জবাবে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশকে নতুন করে প্রস্তাব দিতে। আমরা এখন সেদিকেই যাচ্ছি।’

চার বছর পার হয়ে গেছে, কোনো সমাধান আসছে না। বাংলাদেশ সংক্ষুব্ধ হয়ে ডব্লিউটিওতে যাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ডব্লিউটিও সেলের এই মহাপরিচালক বলেন, ‘যাওয়ার সুযোগ তো থাকছেই। তার আগে আমরা দুই দেশের মধ্যকার আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে যেতে চাই। দ্বিপক্ষীয় আলোচনাতেই বিষয়টির সমাধান আশা করছে বাংলাদেশ।’

কোয়ালিটি জুট ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মালেক এ বিষয়ে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা প্রত্যাহারে সরকার ভারতের সঙ্গে নিবিড় চেষ্টা চালাচ্ছে। সর্বশেষ আশ্বাস মিলেছিল, এ বছরই একটা সিদ্ধান্ত আসবে। ফলে আমরাও আশা করেছিলাম, হয়তো ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরে এর একটা সুরাহা হবে। সেটি না হলে সৃষ্ট জটিলতা আরও দীর্ঘসূত্রতায় গড়াবে।’

বাংলাদেশ জুট গুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেজিইএ) সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও শ্যামল বাংলা জুটেক্স লিমিটেডের কর্ণধার লুৎফর রহমান বলেন, ‘যেকোনো দেশের জন্যই অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক বাণিজ্য সম্পসারণে বড় বাধা। ভারত আমাদের প্রতিবেশী হওয়ায় তাদের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য বেশি। আবার বাণিজ্য ব্যবধানও বেশি, যা ভারতের অনুকূলে।’

‘বাণিজ্য পরিবেশ থাকলে দুই দেশের জন্যই টেকসই বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহায়ক হবে। আমরা আশা করব বিবাদমান এ সমস্যা শিগগির দূর হবে।’

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Police have been injured in the movement of students in Shahbag

শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১০

শাহবাগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১০

রাজধানীর শাহবাগে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটেছে। এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র দিকে অগ্রসর হতে চাইলে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়।

পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)- সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একদল শিক্ষার্থী সকাল ১০টার দিকে পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি পালনের উদ্দেশ্যে সড়কে অবস্থান নেন। এতে শাহবাগ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে স্থাপিত ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ পানি ছোড়ার পাশাপাশি লাঠিচার্জ শুরু করে। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দুই পুলিশ সদস্যও আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ সময় পুলিশ সদস্যদের সাউন্ড গ্রেনেডও নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। পরে বাধা পেয়ে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ের মেট্রোরেল স্টেশনের কাছে অবস্থান নেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিসম্পন্ন হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।

টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ন্যূনতম ডিপ্লোমা এবং একই ডিসিপ্লিনে উচ্চতর ডিগ্রিসম্পন্ন বিএসসিদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন-অ্যাক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিই অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনতে হবে।

বুয়েট শিক্ষার্থী জাহিদুল হক বলেন, আমাদের স্পষ্ট দাবি, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ৩ দফা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এ ছাড়া প্রকৌশলী রোকনুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া ডিপ্লোমা সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Instructions for the development of the stairs of the Chandranath Temple Press Secretary

চন্দ্রনাথ মন্দিরের সিঁড়ি উন্নয়নে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে : প্রেস সচিব

চন্দ্রনাথ মন্দিরের সিঁড়ি উন্নয়নে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে : প্রেস সচিব

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ মন্দিরের সিঁড়ি উন্নয়নের জন্য জেলার এলজিইডিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

আজ বুধবার রেল মন্ত্রণালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

প্রেস সচিব বলেন, চন্দ্রনাথ মন্দিরের সিঁড়িটি অনেক পুরনো হয়ে গেছে। এখানে সনাতন ধর্মের অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে। এজন্য সিঁড়িটির উন্নয়নের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

শফিকুল আলম বলেন, আজ রেল ভবনে তিন উপদেষ্টার সমন্বয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকের আগে মন্দিরের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল সড়ক উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেছে।

তিন উপদেষ্টার সভা থেকেই এলজিআরডি সচিবকে চন্দ্রনাথ মন্দির উন্নয়নের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রেস সচিব বলেন, চন্দ্রনাথ মন্দিরকে ঘিরে যেন কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সৃষ্টি না হয় সেজন্য চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে সতর্কতার সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, যে কোনো পক্ষই কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে কঠোর হাতে তা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এ বিষয়ে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

রেল ভবনে আজকের বৈঠকে যে তিন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন সড়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এবং ধর্ম উপদেষ্টা আ. ফ. ম খালিদ হোসেন।

প্রেস সচিব বলেন, রেল ভবনে আজ তিন উপদেষ্টার উপস্থিতিতে খিলক্ষেতে একটি শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দির ও দুটি মসজিদ নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে স্থায়ী জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

বরাদ্দের দলিল পত্র মন্দির ও মসজিদ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The 5th death anniversary of national poet Kazi Nazrul Islam in Dhabi is celebrated

ঢাবিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

ঢাবিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)-তে আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়েছে।

দিনটি উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানসহ অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমবেত হন। সেখান থেকে কবির সমাধির উদ্দেশে একটি শোভাযাত্রা শুরু হয়, এরপর সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করা হয়।

পরে কবির সমাধির পাশের খোলা মঞ্চে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সভাপতিত্ব করেন।

এছাড়া ফজরের নামাজের পর কবির আত্মার মাগফেরাত কামনায় ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদ ‘মসজিদুল জামিয়া’-তে কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
BUET students are still in Shahbag blockade today

তিন দাবিতে আজও বুয়েট শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ

তিন দাবিতে আজও বুয়েট শিক্ষার্থীদের শাহবাগ অবরোধ

তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ‘মার্চ টু ঢাকা’ অনুযায়ী আজ (বুধবার) সকাল ১০টা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রকৌশলের শিক্ষার্থীরা শাহবাগে জড়ো হন। এর ফলে সড়কটির যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিসম্পন্ন হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।

টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ন্যূনতম ডিপ্লোমা এবং একই ডিসিপ্লিনে উচ্চতর ডিগ্রিসম্পন্ন বিএসসিদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন-অ্যাক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিই অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনতে হবে।

বুয়েট শিক্ষার্থী জাহিদুল হক বলেন, আমাদের স্পষ্ট দাবি, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ৩ দফা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এ ছাড়া প্রকৌশলী রোকনুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া ডিপ্লোমা সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The mobile court operation is fine in various shops in Kalai 

কালাইয়ে বিভিন্ন দোকানে ভ্রাম্যমাণ  আদালতের অভিযান, জরিমানা 

কালাইয়ে বিভিন্ন দোকানে ভ্রাম্যমাণ  আদালতের অভিযান, জরিমানা 

জয়পুরহাটের কালাইয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ, অনুমোদনহীন, অনিরাপদ খাদ্য ও পণ্য সংরক্ষণ এবং বিক্রির দায়ে ৬ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ১১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জয়পুরহাটের কালাই পৌর শহরের পাঁচশিরা ও উপজেলার নুনুজ বাজারে এ জরিমানা করা হয়। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)মো. ইফতেকার রহমান।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, কালাই পাঁচশিরায় একটি বেকারির প্রতিষ্ঠানে ও নুনুজ বাজারে তিনটি দোকানে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার আইনে মোট ৪টি দোকানে ৯৫০০ টাকা, পেট্রোলিয়াম আইন ২০১৬ অনুযায়ী ১টি দোকানে ১৫০০ ও ধূমপান এবং তামাকজাত পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি দোকানে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান বলেন, বিভিন্ন দোকানে অনেক খাবার আছে যা মানুষের বা শিশুদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এজন্য আমরা এ অভিযান পরিচালনা করেছি। উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে ধারাবাহিকভাবে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
In Naogaon Porsha 1 bigha Aman paddy weed pesticide spray

নওগাঁয় পোরশায় ১০ বিঘা আমন ধানে আগাছা নাশক কীটনাশক স্প্রে

নওগাঁয় পোরশায় ১০ বিঘা আমন ধানে আগাছা নাশক কীটনাশক স্প্রে

নওগাঁর পোরশায় আমন ধানের জমিতে আগাছা নাশক কীটনাশক স্প্রে করে বিনষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। রোববার (২৪ আগষ্ট) রাতের কোন এক সময় উপজেলার খরপা গ্রামের মাঠে স্বর্না-৫ জাতের ধানে কীটনাশক স্প্রে করা হয়। এতে ৭ জন কৃষকের প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঘটনায় মঙ্গলবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন আবু সাঈদ নামে এক ভুক্তভোগী কৃষক।

স্থানীয় ও ভুক্তভোগী কৃষক সূত্রে জানা যায়, গত ৩ বছর থেকে উপজেলার খরপা গ্রামের জামাল, সায়েম, কালাম, সালাম ও আবু সাঈদ সহ ৭ জন তাদের আত্মীয়স্বজন মিলে মাঠে ১০ বিঘা জমি চাষাবাদ করছেন। এ বছরও ওইসব জমিতে আমন মৌসুমে স্বর্না-৫ জাতের ধান রোপন করেছেন। আর দেড়-দুই মাস পর ওইসব ধান কৃষকদের ঘরে উঠার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই রোববার রাতের আধারে প্রতিপক্ষরা পুরো জমিতে ধানে আগাছা নাশক কীটনাশক স্প্রে করেছে। এতে জমির সব ধানের গাছ শুকিয়ে গেছে। ধানের গাছ মরে যাওয়া হতাশ হয়ে পড়েছেন চাষীরা। অর্থনৈতিক ভাবেও তারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

তবে ঘটনায় স্থানীয় আব্দুল মান্নান চৌধূরী, আব্দুল লতিফ ও ইসমাঈল হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে।

ভুক্তভোগী কৃষক সেকেন্দার বলেন- সোমবার সকালে জমিতে ফসল দেখতে গিয়েছিলাম। দেখা যায় জমিতে ধানের গাছ কোথাও সবুজ আবার কোথাও পাতা শুকিয়ে আছে। বেলা যত বাড়ছে ধানের গাছ ততই শুকিয়ে যাচ্ছে। দিনের মধ্যে প্রায় সব জমির ধান শুকিয়ে মরে গেছে। এখন সবগুলো ধানের গাছ মরা হয়ে আছে।

আরেক কৃষক কালাম বলেন- প্রতি বিঘা জমিতে আবাদ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৭-৮ হাজার টাকা। আর দেড় মাস পরই এসব ধান ঘরে উঠার কথা ছিল। বিঘাতে ফলন পাওয়া যেতো অন্তত ২০-২২ মন। বর্তমানে ধানের দামও ভাল আছেন ১৪শ থেকে ১৬শ টাকা মন। ধান আর ঘরে উঠবে না।

অভিযোগকারী কৃষক আবু সাঈদ বলেন- আমরা ৩ বছর থেকে ওইসব জমিতে চাষাবাদ করে আসছি। রাতের আধারে প্রতিপক্ষসহ অজ্ঞাত আরো ৫-৭ জন শ্রমিক দিয়ে ধানে আগাছা নাশক কীটনাশক স্প্রে করে পুড়িয়ে দিয়েছে। আমরা অর্থনৈতিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। এতে আমাদের প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছি। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক অপরাধিদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচারের দাবী করছি।

এ ব্যাপারে আব্দুল মান্নান বলেন, ওই জমি চাচাতো ভাইদের। তারা নওগাঁ শহরে বসবাস করে এবং ওই জমি দেখভাল করে। যারা অভিযোগ করছে তারাই জমি দখল করে ধান রোপন করেছে। বর্গাদারদের তারা মারধর করে আহত করেছে। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে। জমি দখল বা ফসল নষ্টের সাথে আমার কোন সম্পৃক্তা নাই।

উপজেলার মর্শিদপুর ইউনিয়নের উপসহকারি কৃষি অফিসার সেলিম রেজা বলেন, জমিতে আগাছা নাশক কীটনাশক স্প্রে করা হয়েছে। এতে জমির প্রায় ৭০ শতাংশ ধান নষ্ট হয়ে গেছে। ধানের গাছে বেশি পরিমান পানি দিয়ে স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বিঘায় যেখানে ২০-২২ মন ফলন হওয়ার কথা ছিল সেখানে ৫-৭ মন ফলন হতে পারে। মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব থাকতে পারে। কিন্তু ফলস নষ্ট করা মোটেও ঠিক হয়নি।

পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু রহমান বলেন- বিষয়টি নিয়ে থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। ঘটনাস্থলে তদন্ত করার জন্য পুলিশ পাঠানো হবে। এরপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The trial of Abu Saeeds murder began in the tribunal tearful father

আবু সাঈদ হত্যার বিচার শুরু, ট্রাইবুনালে অশ্রুসিক্ত বাবা

আবু সাঈদ হত্যার বিচার শুরু, ট্রাইবুনালে অশ্রুসিক্ত বাবা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু হলো।

বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ আজ এই মামলায় সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

এরপর আবু সাঈদকে গুলি করার দুটি ভিডিও ট্রাইব্যুনালে প্রদর্শন করা হয়। এ সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন মনিটরে ছেলেকে গুলির দৃশ্যের ভিডিও দেখে বার বার চোখ মুছছিলেন।

এরপর প্রসিকিউসনের আবেদনে আগামীকাল এই মামলায় প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

গত ৩০ জুলাই প্রসিকিউসনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এই মামলায় অভিযোগ গঠনের প্রার্থনা করেন।

অন্যদিকে, আসামী পক্ষে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চাওয়া হয়।

এরপর গত ৬ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল এই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য ২৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

এই মামলার যে ৩০ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আনা হয়, তাদের মধ্যে গ্রেফতার ৬ জন আজ ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন।

এরা হলেন-বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, সাবেক সহকারী রেজিস্ট্রার রাফিউল হাসান রাসেল, রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক সাবেক কর্মচারী মো. আনোয়ার পারভেজ, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা ইমরান চৌধুরী ওরফে আকাশ।

আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৩০ জুন ৩০ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন যখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ।

২৫ বছর বয়সী আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নিরস্ত্র আবু সাঈদের পুলিশ কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে, সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদেই সোচ্চার হন বহু মানুষ, যাতে আরও গতিশীল হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন।

ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার, তার দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত করে বলে, একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে।

জাজ্জ্বল্যমান এসব অপরাধের বিচার এখন অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

মন্তব্য

p
উপরে