× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
বাংলাদেশ ভারত পাটযুদ্ধ মোদির সফরে নিষ্পত্তির আশা ক্ষীণ
google_news print-icon

বাংলাদেশ-ভারত পাটযুদ্ধ: মোদির সফরে অবসানের আশা

বাংলাদেশ-ভারত-পাটযুদ্ধ-মোদির-সফরে-অবসানের-আশা
প্রতীকী ছবি
বাংলাদেশের প্রতি টন পাটসুতা, চট ও বস্তা রপ্তানির ওপর ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি ভারতের রাজস্ব বিভাগ ১৯ থেকে ৩৫২ ডলার পর্যন্ত অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপের গেজেট প্রকাশ করে। এর মধ্যদিয়ে শুরু হয় দ্বিপক্ষীয় যুদ্ধ। এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশের অমিত সম্ভাবনাময় পাট খাত।

চার বছরের বেশি সময় ধরে চলছে বাংলাদেশ-ভারতের পাটযুদ্ধ। বাংলাদেশের পাট শিল্পের অগ্রগতির জন্য শিগগিরই এ যুদ্ধের অবসান আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ঘিরে দুই দেশের পাটযুদ্ধের সন্তোষজনক নিষ্পত্তির আশা করছেন তারা।

বাংলাদেশের প্রতি টন পাটসুতা, চট ও বস্তা রপ্তানির ওপর ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি ভারতের রাজস্ব বিভাগ ১৯ থেকে ৩৫২ ডলার পর্যন্ত অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করে গেজেট প্রকাশ করে। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় দ্বিপক্ষীয় যুদ্ধ। এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশের অমিত সম্ভাবনাময় পাট খাত।

দীর্ঘ এ সময়ে বাংলাদেশ দফায় দফায় পাটযুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধানে ভারতের প্রতি আবেদন জানিয়েছে। নীতিনির্ধারক পর্যায়ে অনেকবার আলোচনা ও চিঠি চালাচালি হয়েছে। তাতে আশ্বাসও মিলেছে। শেষ পর্যন্ত ফল মেলেনি।

পাটযুদ্ধ শুরুর আগে ভারতে ব্যাটারিযুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০০৪ সালে গাড়ির ব্যাটারি রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিল ভারত।

সংক্ষুব্ধ হয়ে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) আপিল ট্রাইব্যুনালে যায়। ভারতও সেখানে সমানতালে লড়ে। তবে এ যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত ভারতকে হটিয়ে বাংলাদেশই বিজয় ছিনিয়ে আনে।

শিগগিরই পাটযুদ্ধেরও সমাপ্তি চায় বাংলাদেশ। তবে এবার ব্যাটারির মতো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার জন্য এখনও ডব্লিউটিওর আপিল ট্রাইব্যুনালে যাওয়া হয়নি। যদিও সেখানে যাওয়ার মতো সব ধরনের প্রস্তুতি বাংলাদেশের রয়েছে। বাংলাদেশ চায় উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই বিষয়টির শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি।

কারণ যে প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশি পাটে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক বসিয়েছে ভারত, তা যথাযথ হয়নি। বাংলাদেশ আশা করছে, ভারত তার সিদ্ধান্ত সংশোধন করবে এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।

পাটে অ্যান্টি ডাম্পিংয়ে এই যখন পরিস্থিতি, তখন স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধে সহায়ক শক্তি হিসেবে ভারতের জন্যও সময়টি ঐতিহাসিক। এ উপলক্ষে আজ দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে এলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এ সফরকে ঘিরে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিও ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন দরজা খুলে যাওয়ার প্রত্যাশার কথা বলেছেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে নরেন্দ্র মোদির সফর ঘিরে আগাম আলোচনার ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে বাংলাদেশে আসা ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পসচিব অনুপ ধাওয়ানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি দাবি করেন, যেসব পণ্যের ওপর ভারতের অ্যান্টি ডাম্পিং আরোপ করা আছে, আলোচনার মাধ্যমে সেগুলোর যৌক্তিক সমাধান হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তিতে দুই দেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে এমন কিছু করতে, যা উভয় দেশের মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

তার বক্তব্যে আশ্বস্ত হন পাট খাত সংশ্লিষ্টরা। তারা আশা করছেন, নরেন্দ্র মোদি এবারের বাংলাদেশ সফরে পাটযুদ্ধ পরিসমাপ্তির একটা সবুজ সংকেত দেবেন। সরকারে বিভিন্ন স্তরের বক্তব্যেও পাটে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহার হতে যাচ্ছে বলে অনেকে আশায় বুক বেঁধেছেন।

তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ দায়িত্বশীল বিভিন্ন মহল জানায়, সফরে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ও অমীমাংসিত অনেক বিষয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি বাণিজ্যসহ নানা বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হবে। তবে সেখানে ভারত পাটে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক তুলে নেয়ার মতো কোনো সবুজ সংকেত থাকবে না। অর্থাৎ পাট ইস্যুতে নমনীয়তার বিষয়ে ভারতের আগের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসছে না। ফলে দুই দেশের পাটযুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) শহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরে বাণিজ্য বৃদ্ধিকরণ সংক্রান্ত বেশ কিছু ইস্যুতে আলোচনা হবে। এর মধ্যে নতুন আরও কয়েকটি বর্ডার হাট স্থাপনের সিদ্ধান্ত অন্যতম। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য উন্নয়ন ও বিদ্যমান বাধা দূর করা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা চুক্তি সই হবে।

সরকারপ্রধানদের নির্দেশ অনুযায়ী আগামীতে এ চুক্তির আওতায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ খুলবে। সেখানে বাংলাদেশি পাটে ভারতের আরোপিত অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহার ইস্যুতেও আলোচনার সুযোগ থাকবে।

গুণ-মান ভালো ও দামে সাশ্রয়ী হওয়ার কারণে ভারতের বাজারে ব্যাপকভাবে বাংলাদেশি পাট ও পাট পণ্য রপ্তানি হতো। এ ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সাফটার আওতায় বাংলাদেশ ভারতে শূন্য শুল্কে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির সুবিধা পাওয়ার অধিকার রাখে।

কিন্তু হঠাৎ করেই ভারত সাফটা চুক্তিকে অকার্যকর করে পাট রপ্তানি কমাতে বাংলাদেশি পাট ও পাট পণ্যে সেই শূন্য অবস্থা থেকে প্রতি টনে সর্বোচ্চ ৩৫১ দশমিক ৭২ ডলার পর্যন্ত অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক ধার্য করে দেয়।

এ ক্ষেত্রে ভারতের অভিযোগ ছিল, তাদের স্থানীয় বাজারের চেয়ে কম দামে পাট রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। সমজাতীয় পণ্য কোনো রপ্তানিকারক দেশ আমদানিকারক দেশের স্থানীয় বাজারের তুলনায় কম মূল্যে রপ্তানি করলে সেখানে ডাম্পিং হয়েছে বলে ধরা হয়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে সাধারণত স্থানীয় সমজাতীয় পণ্য খাতের বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন। এ ধরনের পরিস্থিতি ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট দেশ যে প্রতিরক্ষণমূলক শুল্ক ব্যবস্থা নেয় সেটাই হলো-অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক।

তবে এর সঙ্গে একমত নয় বাংলাদেশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাবে, বাংলাদেশ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৯১ কোটি ৯৫ লাখ ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে, যার ২০ শতাংশ গেছে ভারতে।

ইপিবির এই তথ্যের সূত্র টেনে পাট ও পাট পণ্য রপ্তানিকারকরা দাবি করছেন, যে বছর অ্যান্টি ডাম্পিং পদক্ষেপ নেয় ভারত, ওই বছর বাংলাদেশ যে পরিমাণ পাট রপ্তানি করেছে তা ভারতীয় বাজারের ৮ শতাংশ, যা ভারতের যুক্তিকে যৌক্তিক প্রমাণ করে না।

তারা আরও দাবি করেন, নিয়ম হলো অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপের আগে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে, যেটা ভারত করেনি।

ভারতের অ্যান্টি-ডাম্পিং অ্যান্ড অ্যালাইড ডিউটিজ (ডিজিএডি) অধিদপ্তর ২০১৬ সালের অক্টোবরে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপের সুপারিশে বাংলাদেশি উৎপাদকরা পাট রপ্তানিতে যে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা পাচ্ছেন সেই বিষয়টিকেও বড় করে দেখেছেন।

বাংলাদেশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) সেলের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান এ বিষয়ে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এবারের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনায় দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য জট খোলার একটি পথ তৈরি হবে। তবে পাটে অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহার সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত এখনই হবে না। কারণ ভারত এ নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পর্কে আরও পরিষ্কার হতে চায়। আরও সময় নিয়ে বিস্তর আলোচনা করতে চায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘চলতি মাসে প্রথম দিকে দুই দেশের বাণিজ্যসচিব পর্যায়ের বৈঠকে বিষয়টি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরা হলে জবাবে ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাংলাদেশকে নতুন করে প্রস্তাব দিতে। আমরা এখন সেদিকেই যাচ্ছি।’

চার বছর পার হয়ে গেছে, কোনো সমাধান আসছে না। বাংলাদেশ সংক্ষুব্ধ হয়ে ডব্লিউটিওতে যাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ডব্লিউটিও সেলের এই মহাপরিচালক বলেন, ‘যাওয়ার সুযোগ তো থাকছেই। তার আগে আমরা দুই দেশের মধ্যকার আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে যেতে চাই। দ্বিপক্ষীয় আলোচনাতেই বিষয়টির সমাধান আশা করছে বাংলাদেশ।’

কোয়ালিটি জুট ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মালেক এ বিষয়ে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা প্রত্যাহারে সরকার ভারতের সঙ্গে নিবিড় চেষ্টা চালাচ্ছে। সর্বশেষ আশ্বাস মিলেছিল, এ বছরই একটা সিদ্ধান্ত আসবে। ফলে আমরাও আশা করেছিলাম, হয়তো ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরে এর একটা সুরাহা হবে। সেটি না হলে সৃষ্ট জটিলতা আরও দীর্ঘসূত্রতায় গড়াবে।’

বাংলাদেশ জুট গুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেজিইএ) সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও শ্যামল বাংলা জুটেক্স লিমিটেডের কর্ণধার লুৎফর রহমান বলেন, ‘যেকোনো দেশের জন্যই অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক বাণিজ্য সম্পসারণে বড় বাধা। ভারত আমাদের প্রতিবেশী হওয়ায় তাদের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য বেশি। আবার বাণিজ্য ব্যবধানও বেশি, যা ভারতের অনুকূলে।’

‘বাণিজ্য পরিবেশ থাকলে দুই দেশের জন্যই টেকসই বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহায়ক হবে। আমরা আশা করব বিবাদমান এ সমস্যা শিগগির দূর হবে।’

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Monday to submit an investigation report against Sheikh Hasina

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল সোমবার

* জুলাই-আগস্টের গণহত্যা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল সোমবার

গত বছরের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আগামী সোমবার (১২ মে) তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করবে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার তদন্ত রিপোর্ট আগামী সোমবার চিফ প্রসিকিউটর বরাবরে দাখিল করবে আশা করছি। তদন্ত রিপোর্ট দাখিল হওয়ার পর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ, অর্থাৎ ‘ফরমাল চার্জ’ দাখিলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে চানখারপুল হত্যাকাণ্ডের দায়ে সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়েছে। ওই হত্যাকাণ্ডের দায়ে আনুষ্ঠানিক বিচারের জন্য ফরমাল চার্জ চলতি সপ্তাহেই দাখিল করা হবে এবং এর মাধ্যমে জুলাই গণহত্যার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হবে ইনশাআল্লাহ। এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত চিফ প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যা চালায়। প্রায় দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারায় এই আন্দোলনে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। এরপর শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিলে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার করার সিদ্ধান্ত নেয়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
A League adviser about banning A League and going abroad to the former president

আ.লীগ নিষিদ্ধকরণ ও সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদেশ যাওয়া নিয়ে আইন উপদেষ্টার বক্তব্য

আ.লীগ নিষিদ্ধকরণ ও সাবেক রাষ্ট্রপতির বিদেশ যাওয়া নিয়ে আইন উপদেষ্টার বক্তব্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ চাইলে বা বিচারিক আদালত এ সম্পর্কে কোনো পর্যবেক্ষণ বা রায় এলে অবশ্যই আইনানুগভাবে দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে।’

শুক্রবার তার ভেরিফাইড ফেসবুকে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ জঘন্য মিথ্যাচার ও আক্রমণাত্মক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করছে। আমি আপনাদের সুস্পষ্টভাবে জানাতে চাই খুনের মামলার আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনে বাধা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশ ও গোয়েন্দা এজেন্সিগুলোর। যা কোনোভাবেই আমার আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত বিষয় নয়।’

তিনি বলেন, ‘আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে আছেন নিম্নআদালতের বিচারকরা। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, আদালতের বিচারকদের দায়িত্ব বিমানবন্দর পাহারা দেওয়া না বা কারো চলাচলে বাধা দেওয়া না।’

ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণের সুযোগ রাখার লক্ষ্যে আইসিটি আইনে সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিধান আইন মন্ত্রণালয়ের খসড়ায় ছিল। আইন উপদেষ্টা হিসেবে আমি নিজে এটা উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উত্থাপন করেছি। আমার উত্থাপিত খসড়ার আমিই বিরোধিতা করব এটা কিভাবে সম্ভব? উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কোন উপদেষ্টা কী ভূমিকা রেখেছেন এনিয়ে আমাকে, ছাত্র উপদেষ্টাদের বা অন্য কাউকে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকুন।’

তিনি বলেন, সেখানে যা সিদ্ধান্ত হয় তার দায় দায়িত্ব আমাদের প্রতিটি উপদেষ্টার। আমাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রশ্নে কোনো দ্বিমত নেই। তবে পদ্ধতি নিয়ে সবার নিজস্ব মত থাকতেই পারে। তিনি বলেন, ‘আমাদের এটা মনে রাখা প্রয়োজন যে, আইসিটি আইন চাইলেই আমরা কয়েকদিনের মধ্যে সংশোধন করতে পারবো। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য সন্ত্রাস দমন আইনসহ অন্য আইনগুলোও আছে। কাজেই আইন কোনো সমস্যা না।’ আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ চাইলে বা বিচারিক আদালত এ সম্পর্কে কোনো পর্যবেক্ষণ বা রায় আসলে অবশ্যই আইনানুগভাবে দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে। আমরা সেই প্রত্যাশায় আছি। ইনশাল্লাহ।’

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
This country is not a person or party Tareq Rahman

এই দেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়: তারেক রহমান

এই দেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়: তারেক রহমান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ষড়যন্ত্র রুখে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়। এই দেশ জনগণের। আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। শুক্রবার রাজধানীর খামারবাড়িতে ইস্টার পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, যে প্রত্যাশা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, দেশ স্বাধীনের পর থেকে সেই প্রতিচ্ছবি আওয়ামী লীগের আমলে দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগ সংবিধানকে নিজেদের দলীয় সংবিধানে পরিণত করেছিল। তাই সংবিধান সংস্কারের কোনো বিকল্প নেই।

তারেক রহমান বলেন, ৫ আগস্ট যেভাবে হাসিনা পালিয়ে গেছেন সেভাবেই পালিয়ে গেছেন আবদুল হামিদ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নাকি কিছুই জানে না! তাহলে তারা জানেন কী? তিনি বলেন, জনমনে প্রশ্ন উঠছে, সংস্কারের নামে একদিকে অন্তর্বর্তী সরকার যেমন পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের দেশত্যাগের সুযোগ করে দিচ্ছে, অন্যদিকে ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোর মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে, দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। কিন্তু এই দেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়, এই দেশটা জণগণের।

ফ্যাসিস্টরা দেশ ছেড়ে পালানোর পর দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগ হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ ষড়যন্ত্র করতে না পারে। আমাদের যে যার জায়গা থেকে ভূমিকা রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Selected new pope Robert Provost

নির্বাচিত নতুন পোপ, রবার্ট প্রভোস্ট

নির্বাচিত নতুন পোপ, রবার্ট প্রভোস্ট আমেরিকান কার্ডিনাল রবার্ট প্রভোস্ট। ছবি: সংগৃহীত

রোমান ক্যাথলিক গির্জার নতুন পোপ নির্বাচিত হয়েছেন আমেরিকান কার্ডিনাল রবার্ট প্রভোস্ট। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ মে) সন্ধ্যায় ভ্যাটিকানের কনক্লেভে কার্ডিনালদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়েছেন তিনি।

নিজের ক্যারিয়ারে পেরুতে ধর্মপ্রচার করে বেড়িয়েছেন রবার্ট প্রভোস্ট। এছাড়া ভ্যাটিকানের প্রভাবশালী বিশপস অফিসেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ক্যাথলিক গির্জার দুই হাজার বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো মার্কিন নাগরিক পোপ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

৬৯ বছর বয়সী এই পোপ নতুন নাম নিয়েছেন লিও চতুর্দশ।

এরআগে ভ্যাটিকানের সিস্টিন চ্যাপেলের চিমন দিয়ে সাদা ধোঁয়া বের হওয়ায় সবাই জেনেছেন যে নতুন পোপ নির্বাচিত হয়েছেন। নতুন পোপকে স্বাগত জানাতে ভ্যাটিকান সিটিতে বিপুল মানুষের ভিড় জমেছে।

পোপ হওয়ার যোগ্য ১৩৩ কার্ডিনালকে নিয়ে গঠিত কলেজ অব কার্ডিনালস। কোনো ধরনের মনোযোগ নষ্ট হওয়া ছাড়াই যাতে প্রার্থনা ও ধ্যান করতে পারেন, পাশাপাশি পোপ নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন, সে কারণে ভ্যাটিকানের ভেতরে কার্ডিনালদের আলাদা করে রাখা হয়েছে।

নতুন পোপ নির্বাচিত হওয়ার জন্য দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন হয়। ভোট হওয়ার পর একটি বিশেষ স্টোভে ব্যালট পুড়িয়ে দেওয়া হয়। কালো ধোঁয়া বের হওয়ার অর্থ হচ্ছে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত আসেনি, অর্থা পোপ নির্বাচিত হননি। আর সাদা ধোঁয়া বের হলে বুঝতে হবে নতুন পোপ নির্বাচিত হয়েছেন।

পোপ নির্বাচনের ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রার্থী নেই। তবে বেশ কয়েকজন কার্ডিনাল আছেন, যারা পোপ হওয়ার যোগ্যতা রাখেন।

আধুনিক সময়ে প্রথম দিনেই পোপ নির্বাচিত হওয়ার নজির নেই। তবে দ্বিতীয় দিনে নির্বাচনের সম্ভাবনা থাকে বেশি। ২০১৩ সালে পোপ ফ্রান্সিস এবং ২০০৫ সালে পোপ বেনেডিক্ট দ্বিতীয় দিনেই নির্বাচিত হয়েছিলেন।

নির্বাচনে এবার অংশ নিয়েছেন ৭০ দেশের ১৩৩ জন কার্ডিনাল, যা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এটি পোপ ফ্রান্সিসের অধীনে গির্জার বৈশ্বিক বিস্তারের ইঙ্গিত বহন করে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Location Shahbag is demanding the ban on the Awami League

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে লোকে লোকারণ্য শাহবাগ

বিএনপির অপেক্ষায় সারজিস
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে লোকে লোকারণ্য শাহবাগ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধে যোগ দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন ও জুলাই অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা বিভিন্ন প্লাটফর্মের নেতাকর্মীরা।

শুক্রবার পৌনে পাঁচটায় শুরু হওয়া এই অবরোধ এখনো চলছে। লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়েছে শাহবাগ এরিয়া। সবার মুখে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি।

এই অবরোধে যোগ দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি, জামায়াত ইসলাম, ছাত্র শিবির, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ, সদ্য আত্মপ্রকাশ করা রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ, জুলাই ঐক্যসহ বিভিন্ন সংগঠন।

তবে এর মধ্যেও কিছুটা শূন্যতা অনুভব করছে জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

সেই শূন্যতা বিএনপির। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে সারজিস আলম বলেন, বিএনপি এবং তার অঙ্গসংগঠন ব্যতীত সকল রাজনৈতিক দল এখন শাহবাগে।

তিনি লিখেন, বিএনপি আসলে জুলাইয়ের ঐক্য পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। ঐক্যবদ্ধ শাহবাগ বিএনপির অপেক্ষায়। আজকের এই শাহবাগ ইতিহাসের অংশ এবং ভবিষ্যৎ রাজনীতির মানদণ্ড।

এর আগে গতকাল রাত দশটায় আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান শুরু করে জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তার সাথে সংহতি জানিয়ে সেখানে বিএনপি এবং বামপন্থী সংগঠন ছাড়া সেখানে প্রায় সব দল ও সংগঠন উপস্থিত হয়ে সংহতি জানায়।

এরপর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পাশে মিন্টু রোড়ের ফোয়ারার সামনে মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হলে বেলা বারোটার দিকে যমুনার সামনে থেকে সবাই মঞ্চের সামনে চলে আসেন। জুমার নামাজের পর সেখানেই জমায়েত শুরু হয়। মঞ্চে উপস্থিত হয়ে ইসলাম ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন রাজনেতিক দল বক্তব্য প্রদান করেন। সাড়ে চারটার দিকে সর্বশেষ বক্তব্য দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন শেখ হাসিনা মোদির বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে কাজ করেছে। দেশের হিস্যা জনগণের হাতে তুলে দিতে চাই আমরা।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মতো একটি ভাইরাস নিয়ে আমরা এক মিনিটও বেঁচে থাকতে চাই না। আমাদের একজনেরও যদি শেষ রক্তবিন্দু থাকে তারপরও আমরা এটির জন্য লড়াই চালিয়ে যাবো।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে যদি এক বছরও লাগে আমরা এই স্থান ছাড়বো না। বাংলাদেশ উইথ আউট আওয়ামী লীগ যেদিন হবে সেদিনই বাংলাদেশের সম্মৃদ্ধির পথে অগ্রযাত্রা শুরু হবে।

এরপর তিনি শাহবাগ অবরোধের ঘোষণা দেন। বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কর্ণকুহরে আমাদের দাবি পৌঁছছে না। আমরা এখন শাহবাগ অবরোধ করবো। এরপর সেখানেই চূড়ান্ত ফয়সালা হবে।

হাসনাতের এই ঘোষণার পর মিন্টু রোড়ের সামনে থেকে শাহবাগের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বেলা পৌনে পাঁচটায় শুরু হওয়া এই অবরোধ ছয়টায় এই প্রতিবেদন লেখা অবস্থায় চলছে। এতে আশেপাশের সড়কে যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছে। তবে পুলিশ ভিন্ন রাস্তায় এসব যানকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Emergency Declaration of Airplane Bangladesh Airlines flight

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সংক্রান্ত জরুরি ঘোষণা

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সংক্রান্ত জরুরি ঘোষণা ছবি: সংগৃহীত

ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাকিস্তানের আকাশসীমা পরিহার করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এমতাবস্থায় বিমানের টরেন্টো, রোম এবং লন্ডনগামী ফ্লাইট সমূহের সময়সূচিতে পরিবর্তন করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার থেকে আগামী ৩১ মে পর্যন্ত সময়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর টরেন্টো, লন্ডন এবং রোম ফ্লাইট সমূহের ফ্লাইটের পরিবর্তিত সময়সূচি জানানো হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা-টরেন্টো ফ্লাইট বিজি ৩০৫ বা ৩০৬ ঢাকা থেকে প্রস্থান ৩ টা ৪৫ মিনিটের পরিবর্তে ৩ টা (৪৫ মিনিট অগ্রগামী করা হয়েছে)। তবে টরেন্টো থেকে প্রস্থান অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

ঢাকা লন্ডন ফ্লাইট বিজি ২০১ বা ২০২ ঢাকা থেকে প্রস্থান ৭ টা ৪০ মিনিটের পরিবর্তে ৭ টা (৪০ মিনিট অগ্রগামী করা হয়েছে) এবং লন্ডন থেকে প্রস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।

শুধু বৃহস্পতিবারের জন্য ঢাকা-লন্ডন, ঢাকা থেকে প্রস্থান ৮ টা ৫০ মিনিটের পরিবর্তে ৮ টা ১০ মিনিটে (৪০ মিনিট অগ্রগামী করা হয়েছে)।

এদিকে ঢাকা-রোম ফ্লাইট বিজি ৩৫৫ বা ৩৫৬ ঢাকা থেকে প্রস্থান ১১ টা ৩০ মিনিটের পরিবর্তে ১০ টা ৪৫ মিনিট এবং রোম থেকে প্রস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।

যাত্রীদের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পরিবর্তিত সময় অনুসারে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর চেক-ইন কাউন্টারে রিপোর্ট করার জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। যাত্রীদের এই সাময়িক অসুবিধার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The special magistracy capacity of the armed forces increased by two more months

সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়ল

সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়ল

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশন্ড প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (কোস্টগার্ড ও বিজিবি-তে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ) বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়িয়েছে সরকার।

আজ বৃহস্পতিবার জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রেষন-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব জেতী প্রু স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৪ মে থেকে পরবর্তী ৬০ দিন পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।

সমগ্র বাংলাদেশে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ধারা ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫ (২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অধীন অপরাধগুলো আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উদ্ভূত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সশস্ত্র বাহিনীকে (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়। এর পর থেকে এই মেয়াদ দুই মাস করে বাড়াচ্ছে সরকার।

মন্তব্য

p
উপরে