× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
তাক লাগানো বাংলাদেশ
google_news print-icon

তাক লাগানো বাংলাদেশ

তাক-লাগানো-বাংলাদেশ
৫০ বছরে সব ক্ষেত্রেই অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ছবি: সাইফুল ইসলাম
অর্থনৈতিক ও সামাজিক এমন কোনো সূচক নেই, যেগুলোতে সবচেয়ে বড় নিন্দুকেরাও বাংলাদেশের প্রশংসা করছে না। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্জন অবিশ্বাস্য রকমের। বিশ্ববাসী যা ভাবতে পারেনি, তাই করে দেখিয়েছে বাংলাদেশ।  

একাত্তরে বিশ্বের মানচিত্রে যখন নতুন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়, তখন অর্থনৈতিকভাবে এটির টিকে থাকা নিয়ে অনেকে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন।

১৯৭২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাংক তাদের প্রথম প্রতিবেদনে মন্তব্য করেছিল, সবচেয়ে ভালো পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের উন্নয়ন সমস্যাটি হবে জটিল। একই বছর তৎকালনী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার তার দম্ভোক্তিপূর্ণ মন্তব্যে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ হবে তলাবিহীন ঝুঁড়ির দেশ’। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশকে উন্নয়নের পরীক্ষাক্ষেত্র বলে দাবি করেন নরওয়ের অর্থনীতিবিদ জাস্ট ফাল্যান্ড এবং মার্কিন অর্থনীতিবিদ জে আর পার্কিনসন।

তবে এতোসব সংশয় উড়িয়ে দিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী যখন পালন করছে বাংলাদেশ, তখন অনেক বিবেবচনাতেই বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। এখন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদন, গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তথ্য এবং বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিবিদ ও সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের মুখে বাংলাদেশের উন্নয়নের জয়গান শোনা যায়। সমৃদ্ধির বহু নামে বাংলাদেশকে পরিচিতি দেয়া হয় বিভিন্ন সংস্থার গবেষণা প্রতিবেদনে।

তাক লাগানো বাংলাদেশ

কিন্তু এ ঈর্শ্বণীয় অর্জনের উচ্চতা কতটুকু - তা পরিমাপের পরিষ্কার ধারণা উঠে এসেছে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে। বিশ্বের নীতিনির্ধারণী এই আন্তর্জাতিক সংস্থার দৃষ্টিতে বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তকমা ঘুচিয়ে উন্নয়নশীল দেশ। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের (ইকোসক) মানদণ্ড অনুযায়ী উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে হলে একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে হবে কমপক্ষে ১ হাজার ২৩০ ডলার। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এখন ২ হাজার ৬৪ ডলার।

মানবসম্পদ সূচকে ৬৬ পয়েন্ট দরকার হলেও বাংলাদেশ অর্জন করেছে ৭২.৯। অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক হতে হয় ৩২ শতাংশ বা এর কম, সেখানে বাংলাদেশের রয়েছে ২৪.৮ শতাংশ। উন্নয়ন পরিক্রমা বিবেচনায় স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের এই অর্থনৈতিক শক্তি বিশ্বের খুব কম দেশেরই রয়েছে।

তাক লাগানো বাংলাদেশ

বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের স্বীকৃতি এসেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনোমিক্স অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ-এর সর্বশেষ প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইকনমিক লিগ টেবিল- ২০২১’ প্রতিবেদন থেকেও। এই প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে বাংলাদেশকে ২০২০ সালের সূচকে বিশ্বের ১৯৬টি দেশের মধ্যে ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হিসেবে পরিচিতি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভবিষ্যদ্বাণী করে আরও বলা হয়েছে, আগামী ১৫ বছর পর অর্থাৎ ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।

আরেকটি পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যায় খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদদের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ভিত্তিক প্রবৃদ্ধি পর্যালোচনা থেকে। অর্থনীতিবিদদের দাবি, একটি দেশ আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে কতটা উন্নতি করল, মোটাদাগে তার পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে সেদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারাবাহিকতা থেকে। প্রবৃদ্ধি যত বেশি হবে এবং সেটা যতো টেকসই হবে, সেই দেশের অর্থনীতির ভিত্তি তত বেশি মজবুত।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ নিউজবাংলাকে বলেন, বিশ্বের দেশে দেশে প্রবৃদ্ধির অনেক উত্থান-পতন হয়েছে। সেখানে ব্যতিক্রম বাংলাদেশ। স্বাধীনতা অর্জনের পর গত পাঁচ দশকের শেষ দুই দশকে প্রায় প্রতি বছর আগের বছরের তুলনায় জিডিপি বেড়েছে গড়ে এক শতাংশ হারে। এটা বিশ্বে অনন্য নজির। এ ছাড়া স্বাধীনতার প্রথম তিন দশকেও প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা ছিল। ওই সময় প্রতি দশকে গড়ে এক শতাংশের অতিরিক্ত প্রবৃদ্ধি যোগ হয়েছে।

তাক লাগানো বাংলাদেশ
পাইলিং উদ্বোধনের পাঁচ বছরের মাথায় গত ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর পুরোটাই দৃশ্যমান হয়। ছবি: নিউজবাংলা

ড. খলীকুজ্জমান আহমদ জানান, স্বাধীনতা অর্জনের পর আশির দশকে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে গড়ে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ হারে। ৯০ দশকে তা বেড়ে হয় ৪ দশমিক ৯ শতাংশ, শূন্য দশকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হারে। ২০১০ সাল থেকে টানা পরবর্তী পাঁচ বছর গড়ে ৬ শতাংশ হারে এবং ২০১৫ পরবর্তী টানা তিন বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয় গড়ে ৭ শতাংশ হারে। ২০১৮-১৯ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি আরও বেড়ে ৮ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হয়, যা বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের আঘাত আসার আগ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।

ড. কাজী খলিকুজ্জামান দাবি করেন, উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে জনগণের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের মানুষের বর্তমান মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা স্বাধীনতার পর ৭০ দশকে ছিল ৫০ থেকে ৭০ ডলারের মধ্যে।

সামাজিক ও মানব উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকেও বাংলাদেশের রয়েছে ঈর্ষণীয় সাফল্য। সাফল্য মিলেছে শিল্পেও। দেশে এখন শিল্পায়ন ও বিনিয়োগের জোয়ার বইছে। পিছিয়ে নেই কৃষিতেও। কৃষিজমি কমতে থাকাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা, খরা, লবণাক্ততা ও বৈরী প্রকৃতিতেও খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহরণ। ধান, গম ও ভুট্টার উৎপাদন বিশ্বের গড় উৎপাদনকে পেছনে ফেলে ক্রমেই বাড়ছে বাংলাদেশে।

ড. কাজী খলিকুজ্জামান বলেন, এসব সাফল্য অর্জিত হয়েছে সরকারের সঠিক ও সময়োপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের কারণেই। এই অভূতপূর্ব অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে তার স্বাধীনতার সম্মান অটুট রাখতে সক্ষম হয়েছে। এখন বাংলাদেশকে আর কেউ দম্ভোক্তিপূর্ণ মন্তব্য করতে সাহস রাখে না।

তাক লাগানো বাংলাদেশ

ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড বা আইএমএফ-এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ এখনই তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা ব্লুমবার্গ বলেছে, বাংলাদেশ হতে পারে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশ।

হংকং সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি)-এর সর্বশেষ গ্লোবাল রিসার্চ ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ২০৩০: আওয়ার লং টার্ম প্রজেকশনস ফর ৭৫ কান্ট্রিজ’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি ১৬ ধাপে উন্নীত হবে। এর মধ্য দিয়ে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ভিত্তিতে বিশ্বের ২৬তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ।

৫৪টি স্বাধীন দেশের সমন্বয়ে গঠিত ভলান্টারি সংস্থা কমনওয়েলথের মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড জানান, শুধুমাত্র গত দশকেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১৮৮ ভাগ বেড়েছে। চলতি বছর বাংলাদেশ হাই কমিশন ও কমনওয়েথ সচিবালয়ের যৌথ আয়োজনে লন্ডনে অনুষ্ঠিত একটি উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় তিনি বাংলাদেশের এই অসামান্য অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করে আরও বলেন, ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর বোঝা বহন এবং বিশ্বব্যাপী চলমান করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশে অর্থনীতি ও উন্নয়নের লক্ষগুলো সঠিকভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে।

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিডি) কর্তৃক প্রকাশিত মানব উন্নয়ন সমীক্ষা ২০২০-এ দাবি করা হয়, মানব উন্নয়নে বাংলাদেশের অর্জন অসাধারণ। ১৯৯০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে মানব উন্নয়ন সূচক শতকরা ৬০ দশমিক ৪ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধরনের অগ্রগতির নজির বিশ্বে কমই আছে। এতে আরও বলা হয়, গত ৩০ বছরে বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশিত গড় আয়ু বেড়েছে ১৪ দশমিক ৪ বছর, গড় শিক্ষাকাল বেড়েছে ৩ দশমিক ৪ বছর এবং প্রত্যাশিত শিক্ষাকাল বেড়েছে ছয় বছর। এ ছাড়া এ সময়ে মাথাপিছু আয়ের পরিমাণও বেড়েছে প্রায় শতকরা ২২০ দশমিক ১ ভাগ।

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) ‘ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স-আইডিআই ২০১৮ র‌্যাংকিংয়ে অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়ন সূচকে (আইডিআই) ভারতের চেয়ে ২৮ ধাপ এবং পাকিস্তানের চেয়ে ১৩ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। সংস্থাটির গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০১৬-এর তথ্য অনুযায়ী লিঙ্গসমতা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ এশিয়ায় সবচেয়ে সফল দেশ। ১৪৫ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৬৪ তম।

বিশ্বব্যাংকের সম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উন্নয়নের প্রধান ১২টি সূচকের ১০টিতেই বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়া ও অন্যান্য নিম্ন আয়ের দেশের তুলনায় ভাল করছে।

তাক লাগানো বাংলাদেশ

বাংলাদেশের এই উন্নয়ন অগ্রগতির মূল্যায়ন প্রশ্নে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ও শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদ ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্জন অবিশ্বাস্যরকমের। বিশ্ববাসী যা ভাবতে পারেনি, তাই করে দেখিয়েছে বাংলাদেশ। এক সময় তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো বাংলাদেশকে। এখন নিন্দুকেরাও আমাদের উন্নয়ন-অগ্রগতির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়, রিজার্ভ, রেমিটেন্স, রপ্তানি, জন্মহার, মৃত্যুহার, শিক্ষার হার, দারিদ্র্যের হার – এমন আর্থ-সামাজিক সব সূচকেই বাংলাদেশ তার অপ্রতিরোধ্য সক্ষমতার স্বাক্ষর রাখতে পেরেছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এগিয়ে যাওয়ার এখনও অনেক পথ বাকি। প্রবৃদ্ধি বাড়লেও বৈষম্য কমেনি। এটা কমানো না গেলে সবার জন্য সুষম উন্নয়নের মাধ্যমে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে। তাছাড়া আমাদের লক্ষ্য উচ্চ আয়ের দেশে পৌঁছানো। এর জন্য কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। ভোগ এবং ক্রয়ক্ষমতা বাড়াতে হবে। শিল্পায়ন ও বিনিয়োগ ছাড়া সেটা সম্ভব হবে না। দেশে বেসরকারি বিনিয়োগে খরা চলছে। সরকারি বিনিয়োগের বাস্তবায়ন সক্ষমতা কম। বিদেশি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত হারে আসছে না। দারিদ্র্যের হার করোনার কারণে আবার বাড়তে শুরু করেছে। টেকসই উন্নয়নের জন্য সরকারকে এখনই এসব বিষয়ে আরও অধিক মনোযোগী হতে হবে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Global Success in Staper Commus Bangladesh UK Creativepool Award for 2021

স্টারকম বাংলাদেশের গ্লোবাল সাফল্য: যুক্তরাজ্যের ক্রিয়েটিভপুল ২০২৫–এ পুরস্কার অর্জন

স্টারকম বাংলাদেশের গ্লোবাল সাফল্য: যুক্তরাজ্যের ক্রিয়েটিভপুল ২০২৫–এ পুরস্কার অর্জন

স্টারকম বাংলাদেশ “স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৪ আল্ট্রা – সামারাইজ, জাস্ট লাইক দ্যাট!” ক্যাম্পেইনের জন্য ডিজিটাল ক্যাটাগরিতে যুক্তরাজ্যের ক্রিয়েটিভপুল ২০২৫ পুরস্কার পেয়েছে।

স্টারকম বাংলাদেশ যা গ্লোবাল স্টারকম নেটওয়ার্ক এবং বিটপী গ্রুপের একটি অংশ, দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশন এজেন্সি যা মিডিয়া প্ল্যানিং, বায়িং ও ৩৬০° মার্কেটিং সলিউশ্যনের জন্য সুপরিচিত।

এ বিষয়ে স্টারকম বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সারাহ আলী বলেন, "এই পুরস্কারটি বাংলাদেশের জন্য একটি গর্বের বিষয়। এটি শুধু আমাদের টিমের সৃজনশীলতাকে নয়, বরং শক্তিশালী গল্প বলার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার ক্ষমতাকে প্রমাণ করে। স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৪ আল্ট্রা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করেছি যে বাংলাদেশ বিশ্বমানের ডিজিটাল উদ্ভাবন করতে পারে যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়।"

বিজয়ী ক্যাম্পেইনটি স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৪ আল্ট্রা এর এআই ফিচার প্রদর্শনের জন্য ইন্টারঅ্যাকটিভ ব্যানার বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা হয়, যেখানে ব্যবহারকারীরা সংবাদ প্রতিবেদনগুলোর ৬০ শব্দের রিয়েল-টাইম সারাংশ দেখানো হয়।

এই ক্যাম্পেইনটি একটি সহজ প্রশ্নকে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা হয়েছিল -“সংবাদের মূল বিষয়বস্তু কি পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে? বলেন স্টারকম বাংলাদেশের ডিজিটাল মিডিয়া ডিরেক্টর রবিউল হাসান সজিব। তিনি আরও জনান “এই পদ্ধতি ব্যাবহারের মাধ্যমে আমরা সৃজনশীল ভাবে ফোনটির বিশেষ ফিচারগুলো গ্রাহকের দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরেছি, এবং দেখিয়েছি ফোনটির উল্লেখযোগ্য এআই পাওয়ারড রিয়েল টাইম সামারাইজেশন এবং উন্নত প্রযুক্তির ব্যাবহার।“

স্টারকম বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আহমেদুন ফায়েজ, বলেন “আমরা কয়েক বছর ধরে স্থানীয় পর্যায়ে বেশ কিছু পুরষ্কার জিতেছি, এখন আমাদের লক্ষ্য হল আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের উপস্থিতি প্রতিষ্ঠা করা। এই পুরস্কারটি আমাদের প্রথম অর্জন এবং ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে এমন অনেক পুরস্কার আমরা অর্জন করতে চাই।“

ক্রিয়েটিভপুল একটি আন্তর্জাতিক ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রি নেটওয়ার্ক যারা সারা বিশ্বের এজেন্সি, ব্র্যান্ড এবং দক্ষ পেশাদারদের একত্রিত করে তাদের এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে। প্রতি বছর এই ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রি বিজ্ঞাপন, ডিজাইন, ব্র্যান্ডিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, টেকসই উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পুরস্কার প্রদান করে থাকে। কাজের স্বীকৃতির পাশাপাশি ক্রিয়েটিভপুলের এই আয়োজন উদ্ভাবন, পারস্পরিক সহযোগিতা এবং বিশ্বব্যাপী পরিচিতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এখানে বিজয়ীদের নির্বাচিত করা হয় বিশেষজ্ঞ বিচারকমণ্ডলী এবং সাধারণ মানুষের ভোটের মাধ্যমে।

ডিজিটাল ক্যাটাগরিতে এই বিজয়ী ক্যাম্পেইন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন ঃ https://creativepool.com/annual/2025/winners/

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Cashless Bangladesh Program Seminar was organized by Bangladesh Bank in Rajshahi

রাজশাহীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে ব্র্যাক ব্যাংক আয়োজিত ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ কার্যক্রমবিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

লিড ব্যাংক হিসেবে অনুষ্ঠান আয়োজনে ব্র্যাক ব্যাংক
রাজশাহীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে ব্র্যাক ব্যাংক আয়োজিত ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ কার্যক্রমবিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

দেশে ক্যাশলেস লেনদেনের সম্প্রসারণ ও গ্রাহক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হলো ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ’ কর্মসূচি। লিড ব্যাংক হিসেবে এই কর্মসূচির আয়োজন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ রাজশাহী কারা ট্রেইনিং একাডেমি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন ব্যবসায়ী, গ্রাহক, ব্যাংক কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সাধারণ মানুষ। দুদিনব্যাপী চলা এই কর্মসূচিতে সেমিনার, আলোচনা, প্রদর্শনী ও প্রচারণার মাধ্যমে বিশেষ করে বাংলা কিউআর-এর ব্যবহার ও অন্যান্য ডিজিটাল লেনদেনের সুবিধা তুলে ধরা হয়, যা ক্যাশ-টু-ডিজিটাল ইকোসিস্টেম গঠনের মাধ্যমে ক্যাশলেস বাংলাদেশ কার্যক্রম সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ এনডিসি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন খান, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক মো. শরাফত উল্লাহ খান এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান। আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক রাফেজা আক্তার কান্তা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ অপারেটিং অফিসার সাব্বির হোসেন।

দুদিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে ডিজিটাল লেনদেনের নানান দিক নিয়ে সেশন পরিচালনার পাশাপাশি গ্রাহক সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচার-প্রচারণা, ক্যাম্পেইন ও রোড-শো অনুষ্ঠিত হবে। গ্রাহকদের জন্য দ্রুত ও সুবিধাজনক ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিকাশে ক্যাশলেস লেনদেনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

আয়োজনে অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন উদ্যোগের প্রশংসা জানিয়ে ভবিষ্যতেও এ ধরনের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এই উদ্যোগে লিড ব্যাংক হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংকের অংশগ্রহণ দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিকাশে ব্যাংকটির প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ১০০টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Alibaba Kums widespread response to International Textch Bangladesh 2021 Expo

আন্তর্জাতিক টেক্সটেক বাংলাদেশ ২০২৫ এক্সপোতে আলিবাবা. কম- এর ব্যাপক সাড়া

আন্তর্জাতিক টেক্সটেক বাংলাদেশ ২০২৫ এক্সপোতে আলিবাবা. কম- এর ব্যাপক সাড়া

আলিবাবা.কম বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বি-টু-বি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম সফলভাবে অংশগ্রহণ করেছে ২৪তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ২০২৫ আন্তর্জাতিক এক্সপোতে । সিইএমএস-গ্লোবাল ইউএসএ আয়োজিত এই মেলায় আলিবাবা.কম- এর বুথে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি রপ্তানিকারকদের যারা ডিজিটাল ট্রেডের মাধ্যমে ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ খুঁজছে।

আলিবাবা.কম-এর গ্লোবাল পটেনশিয়াল মার্কেটস বিভাগের প্রধান ফনসেল ল্যান বলেন, “টেক্সটেক বাংলাদেশ ২০২৫ আন্তর্জাতিক এক্সপোতে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের সক্রিয় উপস্থিতি প্রমাণ করে যে তারা ডিজিটাল বাণিজ্যের প্রতি অত্যন্ত আগ্রহী ও প্রতিশ্রুতিশীল।” আমাদের লক্ষ্য হলো এই ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন টুলস, নির্দেশনা এবং বিশ্বব্যাপী এক্সপোজার দিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে যুক্ত করে তাদের ব্যবসাকে আরও বড় ও সফল করার সুযোগ করে দেয়া।“

এক্সপো চলাকালীন সময়ে দর্শনার্থীরা মূলত মেম্বারশিপ প্যাকেজ, খরচ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ভেরিফিকেশন সময়সূচি এবং কার্যকরীভাবে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে কীভাবে পণ্য উপস্থাপন করতে হয় সে বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়েছেন। অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বিশ্বস্ত ক্রেতা খুঁজে পাওয়া, সক্রিয় বাজারে লক্ষ্য নির্ধারণ এবং নিরাপদ পেমেন্ট ব্যবস্থা ও লজিস্টিকস সলিউশনের মত বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য।

এই বিষয়ে পাই সোর্সিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, "আমরা আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাতে এবং ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের রপ্তানি বৃদ্ধি করতে আলিবাবা.কম এর সফল ও স্বতন্ত্র সহায়তা পেয়েছি। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমরা মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহের পাশাপাশি দৃঢ় বৈশ্বিক ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পেরেছি।" ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত, পাই সোর্সিং লিমিটেড একটি বাংলাদেশ-ভিত্তিক অন্যতম পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক কোম্পানি।

২৪তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ২০২৫ আন্তর্জাতিক এক্সপো আবারও প্রমাণ করেছে যে এটি বাংলাদেশের টেক্সটাইল এবং অ্যাপারেল সেক্টরের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। এক্সপোতে ৩৫টিরও বেশি দেশ থেকে ২৫ হাজারের অধিক শিল্প পেশাজীবীরা অংশগ্রহণ করেছেন। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অ্যাপারেল রপ্তানিকারক হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান এই এক্সপোতে আরো শক্তিশালী হয়েছে। আলিবাবা. কম –এর এই সফল অংশগ্রহণ বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ডিজিটাল প্রবৃদ্ধি এবং বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার জন্য নতুন পথ তৈরি করেছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Techno is bringing the brand new Pova series

ব্র্যান্ড নিউ পোভা সিরিজ নিয়ে আসছে টেকনো

ব্র্যান্ড নিউ পোভা সিরিজ নিয়ে আসছে টেকনো

এওয়ার্ড উইনিং পোভা সিরিজ বাংলাদেশে নিয়ে আসছে নতুন ৫জি স্মার্টফোন অভিজ্ঞতা

ব্র্যান্ড নিউ পোভা সিরিজ নিয়ে আসছে টেকনো

বিশ্বের অন্যতম প্রযুক্তি ব্র্যান্ড টেকনো, সর্বদা তাদের ডিভাইসে নতুনত্ব নিয়ে আসার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে। যা ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন বুঝে তাদের জীবনকে সহজ করে। এখন ব্র্যান্ডটির বহুল প্রতীক্ষিত পোভা সিরিজ বাংলাদেশে আসছে, যেটি ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। এই সিরিজটি দেশের প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য উন্নতমানের পারফরম্যান্স, অত্যাধুনিক ফিচার এবং গেম-চেঞ্জিং প্রযুক্তি নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।

পোভা সিরিজ সম্প্রতি তাদের ডিজাইনের জন্য নিউ ইয়র্ক প্রোডাক্ট ডিজাইন অ্যাওয়ার্ডসে গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড এবং লন্ডন ডিজাইন অ্যাওয়ার্ডসে প্ল্যাটিনাম অ্যাওয়ার্ড জিতেছে। এই সিরিজের একটি মডেলকে বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা ফোন হিসেবেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

নতুন পোভা সিরিজটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেন এটি ব্যবহারকারীদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ, অত্যাধুনিক ডিজাইন এবং হাই পারফরম্যান্স সরবরাহ করতে পারে।

রবি আজিয়াটা এবং গ্রামীণফোনের বাণিজ্যিকভাবে ৫জি সেবা চালুর মাধ্যমে এ বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ৫জি যুগে প্রবেশ করেছে। এই যাত্রাকে সম্পূর্ণ করতে টেকনো তাদের এই সিরিজ নিয়ে প্রস্তুত, যা একটি সম্পূর্ণ ৫জি লাইনআপ এবং পরবর্তী প্রজন্মের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য তৈরি।

যদিও টেকনো আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চিং ডেট নিয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি, তবে ধারনা করা হচ্ছে শীগ্রই সম্পূর্ণ লাইনআপের বিস্তারিত ঘোষণা আসবে। আরও আপডেটের জন্য সামাজিক মাধ্যমে টেকনো বাংলাদেশ ফলো করুন এবং ভিজিট করুন ঃ www.tecno-mobile.com/bd

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Advisor to the Ministry of Commerce SK Bashir Uddin and Chinese Ambassador to Bangladesh visited the Pavilion of Wayne Wen Premier Bank

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এস কে বশির উদ্দিন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন প্রিমিয়ার ব্যাংকের প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এস কে বশির উদ্দিন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন প্রিমিয়ার ব্যাংকের প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন

বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী “বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ এক্সিবিশন ২০২৫” ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি), ঢাকায় শেষ হয়েছে। এ প্রদর্শনীতে প্রিমিয়ার ব্যাংক একটি প্যাভিলিয়ন স্থাপন করে (হল-২, স্টল ৭৫ ও ৭৬)। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এস কে বশির উদ্দিন এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাবুর হোসেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)-এর অতিরিক্ত সচিব ও উইং প্রধান মিরানা মাহরুখ।

উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এস কে বশির উদ্দিন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন প্রিমিয়ার ব্যাংকের প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁদের স্বাগত জানান প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. আরিফুর রহমান; স্বতন্ত্র পরিচালক ও রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদ হোসেন; ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আবু জাফর; প্রিমিয়ার ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহেদ সিকান্দার; অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও গুলশান শাখার প্রধান নাসিম সিকান্দার; ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার সৈয়দ আবুল হাশেম, FCA, FCMA; ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও বনানী শাখার প্রধান অমলেন্দু রায়সহ ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Forex reserve stands at and 1 billion

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০.৮৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০.৮৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম ৬) পদ্ধতি অনুযায়ী, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সর্বশেষ এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Walton is exporting Motherboard PCBA to American security device

আমেরিকার সিকিউরিটি ডিভাইসের মাদারবোর্ড (পিসিবিএ) রপ্তানি করছে ওয়ালটন

আমেরিকার সিকিউরিটি ডিভাইসের মাদারবোর্ড (পিসিবিএ) রপ্তানি করছে ওয়ালটন ছবি: আমেরিকায় ওয়ালটনের প্রথম পিসিবিএ বা মাদারবোর্ড রপ্তানি কার্যক্রম উদ্বোধন করছেন অতিথিবৃন্দ।

বাংলাদেশের হাই-টেক পণ্য উৎপাদন খাতে অনন্য এক মাইলফলক অর্জিত হলো। দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের ব্র্যান্ড ওয়ালটন প্রথমবারের মতো আমেরিকাতে রপ্তানি শুরু করলো মাদারবোর্ড (পিসিবি ও পিসিবিএ)। ওয়ালটনের তৈরি বিশ্বমানের এই মাদারবোর্ড ব্যবহৃত হবে আমেরিকায় তৈরি অত্যাধুনিক সক্রিয় গানশট শনাক্তকরণ এবং জরুরি উদ্ধারকাজ পরিচালনা সিস্টেমের সিকিউরিটি ডিভাইসে। মানুষের জীবন রক্ষাকারী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা সরঞ্জামে ওয়ালটন হার্ডওয়্যার ব্যবহৃত হওয়া বাংলাদেশের হাই-টেক পণ্য উৎপাদন খাতের জন্য অত্যন্ত গর্ব ও সম্মানের। আমেরিকাতে মাদারবোর্ড রপ্তানির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে বিশ্বমানের বাংলাদেশি প্রযুক্তিপণ্যের বিপুল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করলো ওয়ালটন।

এই উপলক্ষ্যে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট অফিসে এক জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে জানানো হয়, বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ইলেকট্রনিক্স পণ্য রপ্তানি করা ওয়ালটন প্রাথমিকভাবে আমেরিকার উইসকনসিন প্রদেশে অবস্থিত তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রতিষ্ঠান সেফপ্রো টেকনোলজিস ইনকরপোরেশন (ঝঅঋঊচজঙ ঞবপযহড়ষড়মরবং ওহপ.) এর অনুকূলে প্রায় ২,৫০০ পিসেরও বেশি মাদারবোর্ড রপ্তানি করছে, যা প্রায় ২.৫ মিলিয়ন বাংলাদেশি টাকার সমপরিমাণ। জরুরি অবস্থায় আমেরিকার স্কুল-কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ সব ধরনের মানুষের জীবন রক্ষায় কার্যকর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরবরাহে সেফপ্রো টেকনোলজিস ইনকরপোরেশনের ব্যাপক সুনাম ও অবদান রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ডিভাইসে এবার যুক্ত হলো বাংলাদেশের ওয়ালটনের হার্ডওয়্যার।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের একমাত্র পিসিবি (প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড) উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। মাদারবোর্ড হিসেবে পরিচিত প্রযুক্তিপণ্যের অন্যতম প্রধান যন্ত্রাংশ ওয়ালটনের পিসিবিএ দিয়ে তৈরি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ নিরাপত্তা ডিভাইস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হবে। এই ডিভাইস তাৎক্ষণিক অবৈধ শুটিং সনাক্তকরণ, প্রতিরোধ, সতর্কীকরণ ও দ্রুত উদ্ধারকাজ পরিচালনা করায় সহযোগিতা করবে। এটি অডিও এবং ভিজ্যুয়াল সংকেতের মাধ্যমে সতর্ক করে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে, আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিপদ থেকে দ্রুততার সাথে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে এবং হুমকির প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সক্রিয়ভাবে সাহায্য করবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে আরো ছিলেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি, ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) নিশাত তাসনিম শুচি এবং রবি আজিয়াটার সহযোগী প্রতিষ্ঠান এক্সেনটেকের এমডি ও সিইও আদিল হোসেন নোবেল। এছাড়াও অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান সেফপ্রো টেকনোলজিস ইনকরপোরেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট পল এল একারট (চধঁষ খ. ঊপশবৎঃ)।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বলেন, যে দেশে সিলিকন ভ্যালী আছে, সেই দেশে আমরা মাদারবোর্ড রপ্তানি করছি। নিঃসন্দেহে এটি ওয়ালটন এবং বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক মাইলফলক।

তিনি জানান, পিসিবি এবং পিসিবিএ গ্লোবাল মার্কেট প্রায় ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগামী ৫-৬ বছরে গ্লোবাল মার্কেট আরো ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৃদ্ধি পাবে। আমেরিকায় পিসিবিএ রপ্তানির মধ্য দিয়ে এই বিশাল গ্লোবাল মার্কেটে যাত্রা শুরু করেছে ওয়ালটন। প্রযুক্তি পণ্যের বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগি সক্ষমতায় এগিয়ে যেতে ওয়ালটনকে হার্ডওয়্যার ডিভাইসের পাশাপাশি এআই প্রযুক্তি ভিত্তিক সফটওয়্যার পণ্য, নেটওয়ার্কিং ও সাইবার সিকিউরিটি ডিভাইস তৈরির মাধ্যমে এক শক্তিশালী ইকো-সিস্টেম গড়ে তোলার পরামর্শ দেন তিনি।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ও উন্নত দেশ আমেরিকা বাংলাদেশ থেকে মাদারবোর্ডের মতো উন্নত প্রযুক্তি পণ্য আমদানি করছে। এটা শুধু ওয়ালটনের জন্যই নয়; বাংলাদেশের জন্যও অত্যন্ত গর্বের এবং ঐতিহাসিক সাফল্য।

আমেরিকার সেফপ্রো টেকনোলজিস ইনকরপোরেশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট পল এল একারট বলেন, ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন খাতে ওয়ালটন ইনোভেশন, কোয়ালিটি ও আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। ওয়ালটন প্রতিটি পণ্যের ডিজাইন, নতুন উদ্ভাবন এবং উৎপাদনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। এটি ওয়ালটনকে অন্যদের চেয়ে স্বতন্ত্র অবস্থান গড়ে দিয়েছে। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে ওয়ালটন বিশ্ববাজারে সম্মানজনক স্থান করে নিয়েছে। ওয়ালটনের কাছ থেকে বিশ্বমানের মাদারবোর্ড নিতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত। ওয়ালটনের মাদারবোর্ড নিঃসন্দেহে আমাদের সিকিউরিটি ডিভাইসের মান আরো অনেক বৃদ্ধি করবে।

বাংলাদেশকে প্রযুক্তিপণ্যের হাব হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত করায় তিনি ওয়ালটনের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সিকিউরিটি ডিভাইসসহ টেকসই প্রযুক্তির অন্যান্য ক্ষেত্রেও ওয়ালটন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে বলে আমেরিকার এই উদ্যোক্তা উল্লেখ করেন ।

এস এম রেজাউল আলম বলেন, আমরা নিজস্ব প্রোডাকশন প্ল্যান্টে বিশ্বমানের পিসিবি ও পিসিবিএ তৈরি করছি যা ওয়ালটনের পণ্যসমূহে ব্যবহার করা হচ্ছে। নিজস্ব চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশের বাজারেও দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি উদোক্তাদের জন্য পিসিবি ও পিসিবিএ সরবরাহ করে আসছে ওয়ালটন। সম্প্রতি ইউরোপিয়ান দেশ গ্রিসেও সাফল্যের সাথে ১০ হাজার পিসেরও বেশি পিসিবি ও পিসিবিএ রপ্তানি সম্পন্ন করেছে ওয়ালটন। বাংলাদেশেই উন্নতমানের পিসিবি ও পিসিবিএ উৎপাদনের ফলে একদিকে যেমন সাশ্রয় হচ্ছে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা, সেইসঙ্গে দ্রুততম সময়ে দেশীয় উদ্যোক্তাগণ পাচ্ছেন তাদের চাহিদামত পণ্য। পাশাপাশি অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের মতো পিসিবি ও পিসিবিএ রপ্তানি করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার যোগানে উল্লেখ্যযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হচ্ছে ওয়ালটন।

তিনি জানান, সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসার উদ্দেশ্যে একীভূত হচ্ছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি এবং ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। ইলেকট্রনিক্স এবং প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন খাতের শীর্ষ এই দুই প্রতিষ্ঠানের একীভূতকরণে দেশে ব্যাপক আকারে ইলেকট্রিক বাইক এবং লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনে যাওয়া সহজ হবে।

অনুষ্ঠানে নতুন বাজারে আসা ওয়ালটনের দুই মডেলের পরিবেশবান্ধব তাকিওন ইলেকট্রিক বাইক বা ই-বাইকও উন্মোচন করেন অতিথিরা। আধুনিক ডিজাইন, শক্তিশালী মোটর, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি ব্যাকআপ এবং মাত্র ১০-১৫ পয়সা খরচে প্রতি কিলোমিটারে চলার সুবিধাযুক্ত ওয়ালটনের নতুন এই ই-বাইকগুলো নগর ও গ্রামীণ জীবনের স্মার্ট ও পরিবেশবান্ধব যাতায়াত সঙ্গী হয়ে উঠবে।

মন্তব্য

p
উপরে