× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
এবার দরপতন লকডাউনের গুজবে
google_news print-icon

এবার দরপতন লকডাউনের গুজবে

এবার-দরপতন-লকডাউনের-গুজবে
প্রায় দুই মাস ধরে পতনমুখী পুঁজিবাজারে এবার ছড়িয়েলে লকডাউন ও লেনদেন স্থগিতের গুজব। এ কারণে কম দামে হলেও শেয়ার ছেড়ে দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে কমেছে সূচক, বাড়ছে হতাশা। ছবি: নিউজবাংলা
যে বিষয়গুলোকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল যে বাংলাদেশ ব্যাংকের কারণে পুঁজিবাজারে পতন হচ্ছে সেটির অনেকটাই সুরাহা হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকগুলোর জন্য লভ্যাংশের সীমা পরিবর্তন করে নির্দেশনা জারি করেছে। তবে এক্সপোজার লিমিট নিয়ে কোনো কিছু না বললেও ব্যাংক ও আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দর বাড়া উচিত ছিল। কেন বাড়িনি সেটাই প্রশ্ন: আবু আহমেদ  

করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় লকডাউন ও পুঁজিবাজারের লেনদেন বন্ধ হচ্ছে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর বড় দরপতন হলো পুঁজিবাজারে।

যদিও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি নিশ্চিত করেই বলেছে, লেনদেন স্থগিতের কোনো পরিকল্পনা নেই। আর সরকারও স্পষ্ট করে বলেছে, লকডাউনের কোনো পরিকল্পনা নেই।

২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়ার পরও সরকার লকডাউনে যায়নি। তবে সে সময় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ছুটির ওই সময় পুঁজিবাজারেও লেনদেন স্থগিত থাকে। আর এর আগে বাজারে ব্যাপক দরপতনও দেখা দেয়।

গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে করোনার সংক্রমণ আবার বেড়েছে। এক মাস আগে পরীক্ষার বিবেচনায় সংক্রমণের হার যেখানে ৫ শতাংশের নিচে নেমেছে, সেখানে এবার সংক্রমণের হার বেড়ে হয়েছে ১০ শতাংশ।

এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর লকডাউন ঘোষণাসহ ১২টি প্রস্তাব তৈরি করে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে সে প্রস্তাব নাকচ করে দেয়া হয়। আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন স্পষ্ট করেই বলেছেন, সরকার লকডাউনে যাচ্ছে না।

তবু পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উৎকণ্ঠার শেষ নেই। বিশেষ করে যারা মার্জিন ঋণ নিয়ে লেনদেন করে, দুশ্চিন্তা বেশি তাদের। লেনদেন স্থগিত হলে সুদের চাপ বাড়বে- এই অবস্থায় বিক্রয়ের চাপ বেড়ে যায়।

বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লেনদেনের শুরুতেই কমে যায় বেশিরভাগ শেয়ারের দর। ভালো কোম্পানিগুলোর শেয়ারও ধরে রাখতে পারেনি দাম। আর এই পরিস্থিতিতে সূচকের বড় পতন হয়।

বিনিয়োগকারী আব্দুল্লাহ বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নতুন করে লকডাউন দেয়ার কথা বলা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুঁজিবাজারে আলোচনা হচ্ছে, লেনদেনও বন্ধ করে দেয়া হবে।’

এক পর্যায়ে সূচক ১০০ পয়েন্ট নেমে যায়। তবে বিএসইসির পক্ষ থেকে ‘লেনদেন বন্ধ হচ্ছে না’ বলে বক্তব্য আসার পর শেষ ২০ মিনিটে কিছুটা উদ্ধার হয় সূচক।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গুজবের তথ্য আমাদের কাছেও এসেছে। তবে কমিশন এখন পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধের বিষেয় কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। বন্ধের কোনো পরিকল্পনাও নেই।

‘যত দিন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেন চলবে, ততদিন পুঁজিবাজারেও লেনদেন হবে। এখানে গুজবে পড়ে লেনদেন না করা বা বিনিয়োগ না করার কোনো কারণ নেই।’

সূচক ও লেনদেনে প্রভাব

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৬০ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ২৯টির আর সিএসইতে লেনদেন ২৩২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৮টির।

এত বেশি কোম্পানির শেয়ারের দরপতনের প্রভাবে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৮১ দশমিক ৭১ পয়েন্ট।

দিন শেষে সূচকের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৩৪ পয়েন্টে। শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১৩ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৪৭ পয়েন্টে। বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৩৭ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৩ পয়েন্টে।

গত ৫ সপ্তাহের মধ্যে এটিই সূচকের সবচেয়ে বড় পতনের একটি। গত মাসের ৭ ফেব্রুয়ারি পুঁজিবাজারে সূচকের পতন হয়েছিল ১৪৩ পয়েন্ট এবং তারপর দিন ৮ ফেব্রুয়ারি পতন হয়েছিল ১২৮ পয়েন্ট। আর গত ২৬ জানুয়ারি সূচকের পতন হয়েছিল ৯৪ পয়েন্ট।

এবার দরপতন লকডাউনের গুজবে
বৃহস্পতিবার সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বিক্রয় চাপে কমে যায় সূচক। পড়ে যায় বেশিরভাগ শেয়ারের দর

ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৮৪ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৯৮ কোটি টাকা। ফলে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ১৪ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে-সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২১৭ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭৫০ পয়েন্টে।

লেনদেন হওয়া ২৩২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৮টির, কমেছে ১৬০টির ও পাল্টায়নি ৪৪টির। লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি টাকা।

ব্যাংক খাতের ৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র একটির। আর পর পাল্টায়নি ছয়টির। বাকি ২৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর কমেছে।

আর্থিক খাতে তালিকাভুক্ত ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠানের দর বেড়েছে। দর পাল্টায়নি পাঁচটির। বাকি ১৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর কমেছে।

কারিগরি ত্রুটি

লেনদেন শুরুর পর প্রায় ৪০ মিনিট ডিএসই ওয়েবসাইটে কারিগরি ক্রটি দেখা দেয়। এ সময় ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পরিপূর্ণ তথ্য প্রদর্শন হয়নি।

এ কারণে সূচক ও লেনদেন কমেছে কি না প্রশ্নে ডিএসইর উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওয়েবসাইটের সঙ্গে লেনদেনের কোনো সম্পর্ক নেই। ফলে লেনদেনে প্রভাব পড়ার কোনো কারণ নেই।’

বিএসইসির মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, ‘সকালে ডিএসই ওয়েবসাইটে সমস্যা দেখা দিলে তা সমাধান বলা হয়। এবং দ্রুতই তা সমাধান হয়েছে। এর কারণে লেনদেনে কোনো প্রভাব পড়েনি।’

বিশ্লেষকদের বক্তব্য

অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যে বিষয়গুলোকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল যে বাংলাদেশ ব্যাংকের কারণে পুঁজিবাজারে পতন হচ্ছে সেটির অনেকটাই সুরাহা হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকগুলোর জন্য লভ্যাংশের সীমা পরিবর্তন করে নির্দেশনা জারি করেছে। তবে এক্সপোজার লিমিট নিয়ে কোনো কিছু না বললেও ব্যাংক ও আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দর বাড়া উচিত ছিল।

‘কেন বাড়িনি সেটাই প্রশ্ন।’

এমটিবি ক্যাটিপাল লিমিটেডের সিনিয়র এক্সিকিউটিব ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী খায়রুল বাশার মোহাম্মদ আবু তাহের নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারে এখন পতন হওয়ার মতো বিশেষ কোনো কারণ নেই। বাংলাদশে ব্যাংকের সঙ্গে যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেগুলোর সবগুলোই পুঁজিবাজারবান্ধব। কিন্ত এর কোনো প্রভাব দেখা যায়নি।’

তিনি বলেন, ‘বিষয়গুলো সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পর্যন্ত অবগত করার উদ্যোগ নেয়া উচিত। কারণ বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীই মুনাফার জন্য লেনদেন করে থাকেন। যেখানে মুনাফা হবে সেখানেই বিনিয়োগ করেন। এর ফলে পুঁজিবাজারে কম দামি শেয়ারগুলোর দর বাড়ছে।’

লেনদেনে এগিয়ে বেক্সিমকো রবি

লেনদেনের শীর্ষস্থানে আবার বেক্সিমকো লিমিটেড ও রবি আজিয়াটা। বেক্সিমকো লিমিটেডের ১ কোটি ৫ লাখ ১৯ হাজার ৯৩৭টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮২ কোটি ৩৪ লাখ টাকার।

রবি আজিয়াটার ৭৭ লাখ ৫৯ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৩১ লাখ টাকায়।

এ তালিকায় ছিল বেক্সিমকো ফার্মা, যার মোট ২৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকারে শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লংকাবাংলা ফিন্যান্সের ২২ কোটি ২৭ লাখ টাকা, লাফার্জ হোলসিমের ২১ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদনে হয়েছে।

আগ্রহ ও অনাগ্রহের কোম্পানি

টানা দুই কার্যদিবস সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে আজিজ পাইপের দর। লোকসানী ও যৎ সামান্য লভ্যাংশ ঘোষণা করা এই কোম্পানির শেয়ার দর পর পর দুই দিন সর্বোচ্চ পরিমাণে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৭ টাকা ৯০ পয়সা।

লিগাসি ফুটওয়ারের দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ। স্টাইলক্রাফটের দর বেড়েছে ৮ দশমিক ২৬ শতাংশ।

কোম্পানিটি দীর্ঘদিন বিএসইসির বেধে দেয়া সর্বনিম্ম দর ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হয়েছিল। এছাড়া দেশ বন্ধু পলিমার লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

দর পতনের দিক দিয়ে বৃহস্পতিবার শীর্ষে ছিল পিপলস ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৬ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

নতুন শেয়ার লুব রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেডের শেয়ার দর কমেছে ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ। ফাইনফুডের শেয়ার দর কমেছে ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, এসএস স্টিল, বে লিজিং, রূপালী ইন্স্যুরেন্স ছিল দর পতনের থাকা কোম্পানির তালিকায়।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে পতন: মার্জিন ঋণ নিয়ে সিদ্ধান্তের দায় কতটা
পুঁজিবাজারে ‘মটু পাতলুর’ কোম্পানির বাজিমাত
লভ্যাংশের সীমা বাড়িয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন
ভালো খবরেও ভালো নেই পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের বাধা কাটছে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
A Memorandum of Understanding MoU signed between Dhaka South City Corporation and Forest Department for forestry and greening
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায়

বনায়ন ও সবুজায়নের লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও বন অধিদপ্তরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

বনায়ন ও সবুজায়নের লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও বন অধিদপ্তরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় বনায়ন ও সবুজায়নের লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও বন অধিদপ্তরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক আজ মঙ্গলবার নগর ভবনে স্বাক্ষরিত হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় প্রশাসক জনাব মো. শাহজাহান মিয়ার উপস্থিতিতে কর্পোরেশনের পক্ষে কর্পোরেশনের সচিব জনাব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এবং বন অধিদপ্তরের পক্ষে ঢাকা সামাজিক বন সার্কেলের বন সংরক্ষক জনাব হোসাইন মুহম্মদ নিশাদ এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।

বনায়ন ও সবুজায়নের লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও বন অধিদপ্তরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের এলাকার বায়ুদূষণ, পানিদূষণ, মাটিদূষণ, শব্দদূষণ ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ তথা পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ল্যান্ডস্কেপ উন্নয়ন ও জলাবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত প্রশমণে বনায়ন ও সবুজায়নসহ সৌন্দর্য বর্ধনের মাধ্যমে সার্বিক পরিবেশের উন্নয়নে ৫ বছর মেয়াদি এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তির আওতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত জায়গায় কর্পোরেশনের অর্থায়নে নগর বনায়ন কার্যক্রমে বন অধিদপ্তর কারিগরী পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে। এছাড়া, বন অধিদপ্তর বনায়ন পরিচালনা ও তদারকি ম্যানুয়াল প্রস্তুত করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে সরবরাহ করবে। চুক্তি আনুযায়ী বনায়ন পরবর্তী পরিচর্যা ও সুরক্ষায় স্থানীয় কমিঊনিটির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।

বনায়ন ও সবুজায়নের লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও বন অধিদপ্তরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

চুক্তির প্রথম পর্যায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন ৮১.১০ কি.মি. দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট ৩৫ টি মিডিয়ানের মধ্যে প্রায় ১৬. কি.মি. দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট ০৬ টি মিডিয়ানে ঘাস ও গাছ রোপণ করা হবে।

স্মারক স্বাক্ষর আনুস্থানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক বলেন, “১৯১৭ সালের পরিকল্পনায় বলা হয়েছিল, ঢাকা হবে একটি বাগানের শহর। কিন্তু অপরিকল্পিত নগরায়ন, আবাসন ও জনসংখ্যার চাপে আজ ঢাকা শহর থেকে সবুজ ও জলাশয় হারিয়ে গিয়েছে। আমরা যদি এখনই কার্যকর ববস্থা গ্রহণ না করা হয় তাহলে এটি পরিত্যক্ত নগরীতে পরিণত হবে।” ঢাকা শহরকে বাঁচাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন পরিকল্পিত বনায়ন ও সবুজায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করছে উল্লেখ করে প্রশাসক বলেন আগামী অর্থবছরে বৃক্ষরোপন খাতে ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এছাড়া, আজকের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য তিনি বন অধিদপ্তরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সচিব জনাব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এবং বন অধিদপ্তরের সামাজিক বনায়ন শাখার উপ-প্রধান বন সংরক্ষক ড. মোঃ জগলুল হোসেনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Detention of one member of the fraudulent cycle embezzling electronics products in police sage

পুলিশ সেজে ইলেকট্রনিক্স পণ্য আত্মসাৎ, প্রতারক চক্রের এক সদস্য আটক

পুলিশ সেজে ইলেকট্রনিক্স পণ্য আত্মসাৎ, প্রতারক চক্রের এক সদস্য আটক

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় পুলিশের ওসি সেজে ইলেকট্রনিক্স শো-রুম থেকে পণ্য আত্মসাতের ঘটনায় এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

প্রতারক চক্রটি হোয়াটসঅ্যাপে আনোয়ারা থানার ওসির পোশাক পরা ছবি ব্যবহার করে নিজেকে থানার ওসি পরিচয় দিয়ে উপজেলার বটতলী ও বন্দর সেন্টার মহালখাঁন বাজারের দুটি ইলেকট্রনিক্স দোকানের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারা দুটি স্মার্ট টিভি, একটি ফ্রিজ ও দুটি ফ্যান কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে এবং টাকা বিকাশে পাঠানো হবে অথবা লোক মারফত পরিশোধ করা হবে বলে জানায়।

এরপর গত ২৭ জুন মালামাল পিকআপে তুলে নেওয়ার পর চক্রটি টাকা না দিয়ে গা ঢাকা দেয়। প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ীরা তখন আনোয়ারা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নামে এবং সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানাধীন বলুয়ার দিঘীর পাড় এলাকার একটি কলোনিতে অভিযান চালিয়ে মো. সুমন (৩৫) নামের একজনকে আটক করে। তিনি মৃত মো. করিমের ছেলে।

আটকের সময় সুমনের বাসা থেকে একটি ফ্রিজ ও একটি ফ্যান উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া পটিয়া এলাকা থেকে একটি স্মার্ট টিভিও উদ্ধার করে পুলিশ।

আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, "ওসি সেজে প্রতারণার ঘটনায় একজনকে আটক এবং তিনটি মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। পলাতক অন্য প্রতারককে ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে।"

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The appointment of 4000 appointments for the constable of the police started today

পুলিশের কনস্টেবল পদে ৮ হাজার নিয়োগ, আবেদন শুরু আজ

পুলিশের কনস্টেবল পদে ৮ হাজার নিয়োগ, আবেদন শুরু আজ

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে ৮ হাজার জন নিয়োগের লক্ষ্যে আজ থেকে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

প্রার্থীদের অবশ্যই এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ ২.৫০ পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। আগ্রহীরা আগামী ২৪ জুলাই রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

গত ২৭ জুন বাংলাদেশ পুলিশ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। আবেদন করতে হবে পুলিশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে https://pcc.police.gov.bd

আবেদনের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। অবিবাহিত হতে হবে এবং প্রার্থীর বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।

শারীরিক যোগ্যতা: মেধা কোটার ক্ষেত্রে পুরুষ প্রার্থীর উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি হতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি।

শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের কোটার ক্ষেত্রে বিধি অনুসৃত হবে। নারী প্রার্থীর উচ্চতা মেধা কোটার ক্ষেত্রে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি হতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তান এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের কোটার ক্ষেত্রে বিধি অনুসৃত হবে।

মেধা ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কোটার ক্ষেত্রে বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩৩ ইঞ্চি। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনার সন্তানদের কোটার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি ও সম্প্রসারিত অবস্থায় ৩১ ইঞ্চি। দৃষ্টিশক্তি ৬/৬।

আবেদন ফি: ফরম পূরণ করার পর যোগ্য প্রার্থী একটি ইউজার আইডি পাবেন। সেই আইডিতে আবেদন ফরম পূরণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যেকোনো টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে ৪০ টাকা জমা করতে হবে।

আবেদন করার সময়কাল ১ জুলাই সকাল ১০টা থেকে ২৪ জুলাই রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।

নিম্নোক্ত সময়সূচি অনুযায়ী জেলাগুলো হতে কনস্টেবল পদে প্রার্থী বাছাই চূড়ান্ত করা হবে।

মাগুরা, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঝিনাইদহ, নাটোর, নীলফামারী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গাইবান্ধা, নরসিংদী, মেহেরপুর, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও খুলনা জেলায় শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাই ও ফিজিক্যাল এন্ডিউরেন্স টেস্ট যথাক্রমে ১০, ১১ ও ১২ আগস্ট সকাল ৮টায়; লিখিত পরীক্ষা ২৩ আগস্ট সকাল ১০টায় এবং মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা ৩১ আগস্ট সকাল ১০টায় নেওয়া হবে ।

সাচিপুর, নওগাঁ, পঞ্চগড়, পটুয়াখালী, নরসিংদী, নেত্রকোণা, ঢাকা, লক্ষ্মীপুর, গোপালগঞ্জ, কক্সবাজার, দিনাজপুর, সিরাজগঞ্জ ও সিলেট শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাই ও ফিজিক্যাল এন্ডিউরেন্স টেস্ট যথাক্রমে ১৩, ১৪ ও ১৭ আগস্ট সকাল ৮টায়; লিখিত পরীক্ষা ২৫ আগস্ট সকাল ১০টায় এবং মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা ৩১ আগস্ট সকাল ১০টায় হবে।

রাজবাড়ী, কুড়িগ্রাম, মাদারীপুর, মেহেরপুর, মাটিরাঙ্গা, মানিকগঞ্জ, গাইবান্ধা, শেরপুর, ভোলা, বগুড়া, ময়মনসিংহ, ঝালকাঠি, বান্দরবান, নড়াইল, পাবনা ও বরগুনা শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাই ও ফিজিক্যাল এন্ডিউরেন্স টেস্ট যথাক্রমে ১৭, ১৮ ও ১৯ আগস্ট সকাল ৮টায়; লিখিত পরীক্ষা ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় এবং মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা হবে ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায়।

শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, জামালপুর, চাঁদপুর, ঠাকুরগাঁও, পাবনা, সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, নওগাঁ, পিরোজপুর ও চুয়াডাঙ্গা শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাই ও ফিজিক্যাল এন্ডিউরেন্স টেস্ট যথাক্রমে ২০, ২১ ও ২২ আগস্ট, সকাল ৮টায়; লিখিত পরীক্ষা ৩১ আগস্ট সকাল ১০টায়; এবং মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা ৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত হবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The Ministry of Environment and UNICEF Bangladesh will work together to involve young people in climate adaptation

জলবায়ু অভিযোজনে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে একসঙ্গে কাজ করবে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও ইউনিসেফ বাংলাদেশ

জলবায়ু অভিযোজনে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে একসঙ্গে কাজ করবে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও ইউনিসেফ বাংলাদেশ

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, জলবায়ু অভিযোজন কার্যক্রমে জবাবদিহিতা, সমন্বয় ও তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ও পানি সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিবীক্ষণ ব্যবস্থায় তরুণ প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে পয়:নিষ্কাশন ও চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ইনসিনারেশনের বিকল্প হিসেবে উন্নত প্রযুক্তির মতো নিরাপদ ও ব্যবহারিক সমাধান গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

১ জুলাই বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রানা ফ্লাওয়ার্স-এর নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে শিক্ষা, সামাজিক খাত ও তরুণদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় যৌথ উদ্যোগ জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

বৈঠকে রানা ফ্লাওয়ার্স শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব—যেমন বন্যা, অপুষ্টি ও শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাহত হওয়া—উল্লেখ করে বলেন, ইউনিসেফ তরুণদের জলবায়ু সমাধানের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বিভিন্ন জেলায় তরুণদের নিয়ে পরামর্শ সভার পরিসর বাড়ানোর প্রস্তাব দেন এবং নিয়মিতভাবে তরুণদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের জন্য একটি কাঠামোগত ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

পরিবেশ সচেতনতা তৈরির অংশ হিসেবে ইউনিসেফ একটি যৌথ ডকুমেন্টারি সিরিজ নির্মাণের প্রস্তাব দেয়, যেখানে শিশুদের পরিবেশবান্ধব বার্তা স্থান পাবে। উপদেষ্টা এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এটি বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

বৈঠকে ইউনিসেফ ও মন্ত্রণালয় যৌথভাবে পরিবেশ শিক্ষাভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা ও স্থানীয় পর্যায়ে জলবায়ু উদ্যোগ পরিচালনার ব্যাপারে একমত পোষণ করে। পরিকল্পনায় পুনর্ব্যবহার, বর্জ্য পৃথকীকরণ এবং শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে জরুরি প্রস্তুতির কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, ইউনিসেফ বাংলাদেশের চিফ অব ওয়াশ পিটার জর্জ এল. ম্যাস, চিফ অব ফিল্ড সার্ভিসেস ফ্রাঙ্কো গার্সিয়া এবং প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট (জলবায়ু) ভ্যালেন্টিনা স্পিনেডি।

পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও ইউনিসেফ উভয় পক্ষই জলবায়ুবান্ধব নেতৃত্ব গড়ে তুলতে ও দেশের টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদারের আশাবাদ ব্যক্ত করে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
3 years of Holi Artizan attack Bloody Gulshan in memory 

হোলি আর্টিজান হামলার ৯ বছর: স্মৃতিতে রক্তাক্ত গুলশান 

হোলি আর্টিজান হামলার ৯ বছর: স্মৃতিতে রক্তাক্ত গুলশান 

রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে সংঘটিত ভয়াবহ জঙ্গি হামলার নয় বছর পূর্ণ হল আজ।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস হামলা চালায় একদল সশস্ত্র জঙ্গি। সেখানে তারা দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। পরে কুপিয়ে ও গুলি করে ২২ জনকে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে ইতালির নয়, জাপানের সাত, ভারতের এক এবং তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক।

অন্যদিকে জিম্মিদের মুক্ত করতে অভিযান পরিচালনার সময় বোমা হামলায় নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। তারা হলেন বনানী থানার তৎকালীন ওসি সালাহউদ্দিন খান এবং ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম।

ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় মামলা করেন ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন কুমার দাস। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।

মামলার বিচার শেষে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ‘নব্য জেএমবির’ সাত সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। এরপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শুরু হয় হাইকোর্টে। শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

হাইকোর্টের রায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, হাদিসুর রহমান, আবদুস সবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন ও শরিফুল ইসলাম খালেদ।

নয় বছর আগে রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামিকে কেন আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তা হাইকোর্ট গত ১৭ জুন প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায়ে উল্লেখ করেছেন।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ২২৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলেও এই সাত আপিলকারী ষড়যন্ত্র ও ঘটনায় সহায়তা করেছেন, যা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ষড়যন্ত্র ও ঘটনায় (জঙ্গি হামলা) সহায়তার কারণে সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ৬ এর ১ উপধারা (ক) (আ) দফায় বর্ণিত অপরাধে তারা দোষী। কিন্তু সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট ধারা-উপধারার সঠিক উপলব্ধি না করে আপিলকারীদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন, যা সঠিক ও গ্রহণযোগ্য নয়। যে কারণে উক্ত রায়টি হস্তক্ষেপযোগ্য।’

এই মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ, আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্যের পর্যালোচনা তুলে ধরে রায়ে বলা হয়েছে, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে গণ্য করে, বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে দণ্ডিতদের শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হল। তবে হত্যাকাণ্ডের নির্মমতা, নৃশংসতা, ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে সন্ত্রাসীদের সামগ্রিক নিষ্ঠুর আচরণ এবং এ ঘটনায় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়া বিবেচনায় নিয়ে আসামিদের প্রত্যেককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হলে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে বলে মনে করি।

এছাড়া হাইকোর্টেন রায়ে বলা হয়, ‘বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ রদ ও রহিত করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(২)(আ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাঁদের প্রত্যেককে (সাত আসামি) আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো পাঁচ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হল।’

কি ঘটেছিল সেদিন?

২০১৬ সালের ১ জুলাই, দিনটি ছিল শুক্রবার। রাত পৌনে ৯টার দিকে খবর পাওয়া যায়, রাজধানীর গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের হোলি আর্টিজান বেকারিতে ‘সন্ত্রাসীদের সঙ্গে’ পুলিশের গোলাগুলি হচ্ছে। ‘নব্য জেএমবি’র পাঁচ জঙ্গি বেকারিতে ঢুকে নির্বিচারে ১৮ জন বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জনকে হত্যা করে।

পরে কমান্ডো অভিযানে নিহত হন পাঁচ জঙ্গি। এ ঘটনা দেশ-বিদেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। দেশের ইতিহাসে এটি অন্যতম নৃশংস হামলার ঘটনা।

সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে নিহত জঙ্গিরা হলেন, মীর সামেহ মোবাশ্বের, রোহান ইবনে ইমতিয়াজ ওরফে মামুন, নিবরাস ইসলাম, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল।

এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন ‘নব্য জেএমবি’র আরো আট সদস্য। তাদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল হাসনাত রেজা করিমও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The main adviser to inaugurate the month long program to commemorate the July coup

জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন প্রধান উপদেষ্টার

জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন প্রধান উপদেষ্টার

জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
In Gazaria a road accident was killed in a road accident

গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৪

গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৪

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় দুটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি পিকআপ ভ্যানের ত্রিমুখী সংঘর্ষে এক কাভার্ড ভ্যান চালক নিহত হয়েছে। এঘটনায় আহত হয়েছে আরো ৪জন।

সোমবার (৩০ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া হাসান রাবার ইন্ডাস্ট্রির উল্টা পাশে ঢাকাগামী লেনে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত কাভার্ড ভ্যান চালকের নাম রনি (৩৮)। সে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার আলম মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন, কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার আব্দুল হাকিমের ছেলে কামাল হোসেন(৫০), একই এলাকার আব্দুর রব মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন(৪৩), বাচ্চু মিয়ার ছেলে রনি(৩০) ও যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার কাটাখালী গ্রামের খালেক মিয়ার ছেলে কামরুল (২৭)। আহতদের মধ্যে কামাল হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

খবর নিয়ে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে ঢাকামুখী একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রোড ডিভাইডারে ধাক্কা দিলে পেছন থেকে দ্রুতগতির দুটি কাভার্ড ভ্যান পরপর পিকআপ ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিছনের কাভার্ড ভ্যানের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় কাভার্ড ভ্যানের চালক চাপা পড়েন। খবর পেয়ে ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ও গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আধা ঘন্টার চেষ্টায় আটকে পড়া কাভার্ড ভ্যান চালককে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শওকত হোসেন জানান, নিহত চালকের মরদেহ পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িগুলো মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন'।

মন্তব্য

p
উপরে