অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সেই ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ, যিনি বাঙালি জাতিকে মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়েছেন, ঐক্যবদ্ধ করেছেন। তার হাতেই রচিত হয়েছে আধুনিক বাংলাদেশের ভিত।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২১ উপলক্ষে বুধবার কুমিল্লার নাঙ্গলকোট, লালমাই ও সদর দক্ষিণ উপজেলা আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, কৈশোর থেকেই বঙ্গবন্ধু মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। বাঙালির প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি পালন করেছেন নেতৃত্বের ভূমিকা। স্বাধিকার আন্দোলনের মূল শক্তির উৎস ছিলেন তিনি।
মুস্তফা কামাল বলেন, কেবল রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক মুক্তিই নয়, বাংলাদেশের ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির মুক্তি-সংগ্রামেও অন্যতম নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু পালন করেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এই অর্জনের জন্য অন্যান্য দেশ এখন বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ব করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার হিসেবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, তার জাদুকরী নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করেছে।
এই ঐতিহাসিক অর্জন তথা আধুনিক বাংলাদেশের ভিত বঙ্গবন্ধুর হাতেই রচিত হয়েছে বলে আবারও উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন তার দেশের একজন মানুষও যাতে গৃহহীন না থাকে। তাই তিনি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য গৃহনির্মাণ, পুনর্বাসন ও পুনর্গঠনে মনোযোগ দিয়েছিলেন।
স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের সব ক্ষেত্রে একটি শক্ত নীতিমালা, পরিকল্পনা ও অবকাঠামো রেখে গেছেন বঙ্গবন্ধু। অসংখ্য নীতি, পরিকল্পনা ও আইনের উদ্যোক্তাও ছিলেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিশুদের জন্য একটি সুন্দর বাসযোগ্য বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, শিশুদের মাধ্যমেই তা পূরণ হবে। তিনি বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন সারা জীবন।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
এতে আরও বক্তব্য দেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুভাশীষ ঘোষ, নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ইউছুফ ভূইয়া, নাঙ্গলকোটের ইউএনও মো. সাইফুল, লালমাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মালেক, লালমাইয়ের ইউএনও নজরুল ইসলাম এবং কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার।
আরও পড়ুন:ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আল্টিমেটাম ছাড়া কোনো কাজ হয় না বলে মন্তব্য করেছেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ। মঙ্গলবার পূর্বের আল্টিমেটাম দেওয়া দাবির অগ্রগতি জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (রুটিন ভিসি) অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলীর সাথে সাক্ষাৎ এর পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সাহেদ আহম্মেদ বলেন, আমরা দায়িত্বপ্রাপ্ত ভিসির কাছে দুই দফা দাবি দিয়েছিলাম। তার আপডেট জানতে আজ স্যারের সাথে আবারও দেখা করেছি। আমাদের দাবিগুলো হলো, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়ক দ্রুত সংস্কার করার ব্যবস্থা করা এবং কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহ পর্যন্ত রেল যোগাযোগের ব্যবস্থা চালু করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
তিনি বলেন, আমাদের কিছু মৌখিক দাবি ছিল। যেমন, ক্যাম্পাসে একটি ফায়ার সার্ভিস স্থাপন এবং ক্যাম্পাস সংলগ্ন শেখপাড়া-শান্তিডাঙ্গা এলাকায় যে বিদ্যুৎ সমস্যা আছে তার সমাধানের উদ্যোগ নেয়া। কারণ এখানে প্রায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী ভোগান্তির শিকার হয়। আমরা আশাবাদী যে প্রশাসন আমাদের দাবিগুলো দ্রুত পূরণ করবেন। তবে আমরা ইতোপূর্বে দেখেছি যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে আল্টিমেটাম ছাড়া কোনো কাজ হয় না বা বাস্তবায়ন দেখি না।
সাক্ষাৎকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (রুটিন ভিসি) অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, ছাত্রদল যে দাবিগুলো করেছে সেগুলো প্রায় কাজ শুরু হয়ে গেছে। কিছু কাজ চলমান। আর কিছু নীতি নির্ধারনী কাজ আছে যেগুলো মাননীয় উপাচার্য আসলে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিবেন।
“রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় না থেকেও জামায়াত জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে”- এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মো. খায়রুল হাসান।
তিনি বলেন, “মানুষের কষ্ট লাঘব করা আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা না থাকলেও দলীয়ভাবে সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে জামায়াত একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোনপাড়ায় জামায়াতে ইসলামীর নিজস্ব অর্থায়নে সড়ক সংস্কার কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী এ সড়ক সংস্কার হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। স্থানীয়রা জানান, জামায়াতের উদ্যোগে সড়ক সংস্কার হওয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি অনেকটাই কমে যাবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. আফতাব উদ্দিন, পৌর আমীর মাওলানা আমিমুল এহসান, পৌর নায়েবে আমীর মাওলানা আনোয়ার হোসেন, থানা কর্মপরিষদ সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম, জামায়াত নেতা ও সাংবাদিক হুমায়ুন কবির, মো. আরিফ, মো. আবু তাহের, মনির হোসেনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উপস্থিত নেতারা বলেন, “জামায়াত সবসময় আর্তমানবতার সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রাখে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের সামাজিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে জননেতা মো. খায়রুল হাসান সরকারি কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজ ও কালীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখার আহ্বান জানান এবং শিক্ষার প্রসারে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, জামায়াতের এ ধরনের অংশগ্রহণমূলক উদ্যোগ স্থানীয় উন্নয়নে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও দেশবরেণ্য সাংবাদিক মরহুম মুহাম্মদ আলতাফ হোসেনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার মাদারীপুর পৌরসভার ডিজিটাল সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সাংগাঠনিক সম্পাদক ও মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি শরীফ মোঃ ফায়েজুল কবীর। সঞ্চালনা করেন সংগঠনিটির জেলা শাখার সেক্রেটারী সাংবাদিক ইমদাদুল হক মিলন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব ও মাদারীপুর পৌরসভা প্রশাসক হাবিবুল আলম, বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাব, জেলা তথ্য কর্মকর্তা বেনজীর আহম্মেদ, মাদারীপুর পৌরসভা সচিব খন্দকার আবু আহম্মেদ ফিরোজ, সংস্থাটির উপদেষ্টা এবং জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুবল বিশ্বাস, নবনির্বাচিত উপদেষ্টা মিজানুর রহমান পিন্টু, সিনিয়র সাংবাদিক আহসান কাজল, জাতীয় রিপোর্টার্স ক্লাব মাদারীপুর জেলা শাখার সভাপতি তাজুল মাতুব্বর, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, বিশিষ্ট ঠিকাদার ব্যবসায়ী শরীফ মহিউদ্দিন হাফিজ, জেলা কিন্ডারগার্টেন এর সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট এফ,এইচ কিন্ডারগার্টেন প্রধান শিক্ষক মাহাববুর রহমান রিপন মুন্সী, মানবাধিকার প্রতিনিধি ও সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট (অবঃ) আঃ কুদ্দুস পান্না হাওলাদারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সহ বিশেষ অতিথিবৃন্দ ও আমন্ত্রিত অতিথিরা মরহুম মুহাম্মদ আলতাফ হোসেনের মতো এমন একজন দেশবরেণ্য সিনিয়র সাংবাদিকের ১ম মৃত্যু বার্ষিকীতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজনের জন্য জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, মাদারীপুর জেলা শাখার নেতারাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবন্দকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। পরে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথিসহ নবনির্বাচিত উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ মিজানুর রহমান পিন্টুকে ফুলের শুভেচ্ছা প্রদানের পাশাপাশি সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয় সংগঠনটির পক্ষ থেকে।
বরগুনার আমতলী উপজেলার গাজীপুর বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র সওকত ইসলাম সিফাত দুটি যুদ্ধবিমান, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাডার, মিসাইল ও যুদ্ধ জাহাজ তৈরি করেছেন। তার এমন সৃষ্টি কর্মে অভিভূত এলাকাবাসী। সিফাত একজন বৈজ্ঞানিক হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু অর্থ সংকটের কারণে সেই প্রতিভা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে তাকে আর্থিক সহযোগিতা করলে তিনি তার সৃষ্টিশীল কাজে আরও এগিয়ে নিতে পারবেন বলে আশা সিফাতের।
জানা গেছে, আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর রাওগা গ্রামের মো. বশির প্যাদার ছেলে সওকত ইসলাম সিফাত ছোটবেলা থেকেই নতুন নতুন আবিষ্কার কর্মে উৎসাহী ছিলেন। ২০২২ সালে একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসায় হেফজো বিভাগে ভর্তি হন। ১ বছর হেফজো শেষে তিনি ২০২৩ সালে চাওড়া পাতাকাটা মেহেরআলী দাখিল মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করেন। ২০২৫ সালে গাজীপুর বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয় নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। লেখাপড়ার পাশাপাশি নতুন সৃষ্টিশীল কাজে মনোনিবেশ করেন তিনি। নতুন নতুন আবিষ্কারই যেন তার নেশায় পরিণত হয়েছে। ২০২৫ সালের শুরুর দিকে তিনি যুদ্ধবিমান তৈরির উদ্যোগ নেন। দীর্ঘ তিন মাস প্রচেষ্টার পরে তিনি রাশিয়ার তৈরি মিগ-২৯ মডেলের যুদ্ধবিমান তৈরি করেন। ওই বিমান তিনি আকাশে উড়িয়ে এলাকার মানুষের কাছে খুদে বিজ্ঞানী উপাধি পান। তাকে এলাকার সবাই বিজ্ঞানী বলে ডাকে। বাবা বশির প্যাদা ও মা চম্পা আক্তারের অনুপ্রেরণা এবং এলাকার মানুষের উৎসাহে তিনি আরও নতুন নতুন আবিষ্কারের নেশায় মেতে ওঠেন। এরপর তিনি দুই মাস চেষ্টা করে আমেরিকার তৈরি এফ-২২ মডেলের যুদ্ধবিমান তৈরি করেন। এরপর তিনি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাডার, মিশাইল ও যুদ্ধ জাহাজ তৈরি করেছেন। সকল আবিষ্কারেই তিনি সফল হয়েছে। মা চম্পা আক্তার জানান, ছেলে সিফাত লেখাপড়ার চেয়ে আবিষ্কারের নেশায় মত্ত। সারাক্ষণ আবিষ্কারের নেশায় গবেষণাগারে পড়ে থাকে। ইতোমধ্যে তিনি দুটি যুদ্ধবিমান, যুদ্ধ জাহাজ ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাডার ও যুদ্ধ জাহার আবিষ্কার করেছেন। তার সবকটি আবিষ্কারই তিনি সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। তার তৈরি বিমান আকাশে উড়ছে, যুদ্ধ জাহাজ পানিতে চলছে, রাডার ও মিশাইল সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। কিন্তু বাধা এসেছে তার পরিবারের আর্থিক দৈন্য দশায়। টিফিনের টাকা জমা করে এবং বাবা-মা ও প্রতিবেশীদের দেওয়া অর্থ দিয়ে তিনি এগুলো আবিষ্কারের সরঞ্জাম কিনেছেন। এগুলো আবিষ্কার করতে তার প্রায় ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। অর্থ সংকটের কারনে তিনি নতুন আবিষ্কারের প্রতিভা বিকশিত করতে পারছে না। সরকারি-বেসরকারিভাবে অনুদান পেলে তিনি নতুন নতুন আবিষ্কারে আরও এগিয়ে যেতে সক্ষম হবেন। মঙ্গলবার দুপুরে খুদে বিজ্ঞানী সওকত ইসলাম সিফাতের এমন সৃষ্টিকর্ম সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে। তিনি রিমোটকন্টোল সিস্টেম আমেরিকার তৈরি এফ-২২ মডেলের যুদ্ধবিমান আকাশে উড়িয়ে দেখান। এ যুদ্ধবিমান তৈরিতে তিনি রিমোট, রিসিভার, বিএলডিসি মর্টার, সার্ভো মর্টার ও ব্যাটারিসহ নানা যন্ত্রাংশ ব্যবহার করেছেন।
জসিম প্যাদা ও জালাল মৃধা বলেন, ছোটবেলা থেকেই সিফাত নানা কিছু আবিষ্কার করে আসছে। ওর আবিষ্কার দেখে আমরাও অভিভূত। ওকে নতুন নতুন আবিষ্কারে উৎসাহী করি। তারা আরও বলেন, ওকে এলাকার সকলে খুদে বিজ্ঞানী বলে ডাকে।
খুদে বিজ্ঞানী সওকত ইসলাম সিফাত বলেন, মা ও বাবার অনুপ্রেরণায় টিফিনের টাকা জমিয়ে রাশিয়ার তৈরি মিগ-২৯ মডেল যুদ্ধবিমান, আমেরিকার তৈরি এফ-২২ মডেল যুদ্ধ বিমান, যুদ্ধ জাহাজ, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাডার ও মিশাইল তৈরি করেছি। তিনি আরও বলেন, আরও অনেক কিছু তৈরির পরিকল্পনা আছে। অর্থের অভাবে আবিষ্কার করতে পারছি না। তিনি আরও বলেন, আমি বৈজ্ঞানিক হয়ে রাষ্ট্রের প্রয়োজনে কাজ করতে চাই।
কৃষক বাবা মো. বশির প্যাদা বলেন, ছেলের প্রতিভা দেখে অর্থের দিকে তাকাই না। অনেক কষ্ট হলেও সাধ্যমতো অর্থ দিয়ে ওর সৃষ্টিকর্ম সচল রাখতে চেষ্টা করি। কিন্তু এখন আর পারছি না। আমার ছেলেকে সরকারি ও বেসরকারিভাবে সহযোগিতা করলে অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে আশা করি।
গাজীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহীন মাহমুদ বলেন, মেধাবী ছাত্র সওকত ইসলাম সিফাত ক্লাসের বাহিরে বিভিন্ন আবিষ্কার নিয়ে গবেষণা করে। সে ইতোমধ্যে যুদ্ধবিমান, যুদ্ধ জাহাজ ও রাডার তৈরি করেছে। ওকে প্রয়োজন মতো বিদ্যালয় ও থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সরকারিভাবে আর্থিক সহয়তা পেলে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খাঁন বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। তার এমন উদ্ভাবনী সৃষ্টি কর্মের জন্য আর্থিকভাবে সহযোগিতা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যশোরের কেশবপুরে স্ত্রী ও সন্তানের পিতৃ পরিচয় চাওয়ায় তসলিমা খাতুন নামে এক যুবতিকে লোহার রর্ড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে দু'হাত ভেঙ্গে দেওয়াসহ মাথা ফাঁটিয়ে দেওয়ার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সজ্ঞয় দাস আসামীর নিকট থেকে মোটা অংক নিয়ে জখমি সনদ আড়াল করে তড়িঘড়ি করে সাধারণ ধারায় আদালতে চার্জসীট দাখিল করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এনিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তসলিমার বোন নাসিমা খাতুন বলেন, গত ৬ আগষ্ট তার বোন তসলিমা খাতুন স্ত্রীর মর্যাদা ও সন্তানের পরিচয় চাওয়ায় উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন (৩০) তাকে মারপিটসহ তার দু'হাত ভেঙ্গে দেয়। এ নিয়ে কেশবপুর থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় থানার এসআই সজ্ঞয় দাসকে।
নাসিমা খাতুন বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা ভিকটিম ও স্বাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহন না করে এবং ডাক্তারী সনদ আড়াল করে, তড়িঘড়ি করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে ২৫ আগস্ট মামলার চার্জসীট আদালতে দাখিল করেন। চার্জসীটে তিনি ভিকটিমের দু'হাত ফ্যাকচার (ভাঙ্গা) উল্লেখ না করে সাধারণ ফোলা-যখমের কথা উল্লেখ করেছেন। তাতে মামলার আসামীকে আইনের হাত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছে। এতে ভিকটিম ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
নাসিমার অভিযোগ, সাধারণ ধারায় প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার ফলে মামলার আসামী সোহাগ হোসেন ১২ অক্টোবর আদালত থেকে স্থায়ী ভাবে জামিন পেয়েছেন। তিনি এসময় বলেন, মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা এসআই সজ্ঞয় দাস মামলার তদন্তসহ সঠিক ভাবে চার্জসীট দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা গ্রহন করেন। তার পরও তিনি মিথ্যা তদন্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল করেছেন। এর বিরুদ্ধে আমাদের আইনজীবি এ্যাড. আব্দুল মজিদ পুলিশের চার্জসীটের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি পত্র দাখিল করলে বিজ্ঞ আদালত তা মঞ্জুর করে মামলাটি পুনরায় তদন্ত করে তার তদন্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল করার জন্য যশোর পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে মামলার বাদী সংবাদ সম্মেলনে জানান।
প্রায় ১ সপ্তাহ আগে দিনাজপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উচ্ছেদ অভিযানে কেবিএস কলেজ সংলগ্ন মাসিমপুর এলাকায় হাবিবউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি মেইন রোডের পাশে ১ টি পাকা দোকান নির্মাণ করে। সড়ক ও জনপদের নির্দেশ অনুযায়ী অবৈধ পাকা দোকানটি ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলে দোকান মালিক হাবিবউদ্দিনের লোকজন সেখানে সিন্ডিকেট তৈরি করে সড়ক ও জনপদের সাব-এসিস্ট্যান্ট ইন্জিনিয়ার আরিফ ও সার্ভেয়ার অমিতকে অবরুদ্ধ করে রাখে। সেখানে উত্তেজিত পরিবেশ সৃষ্টি হলে প্রথমে পুলিশ পরে সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেখানকার সাধারণ মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ভেবেছিল, এবার বুঝি সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে। গত ৭ অক্টোবর এই উচ্ছেদ অভিযানের মাত্র ৭ দিনের মাথায় সেই স্বস্তি উধাও। অভিযানের রেশ কাটতে না কাটতেই উচ্ছেদকৃত স্থানে আবারো অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। প্রশাসনের নজরদারির অভাব এবং স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের যোগসাজশেই এই প্রবণতা বাড়ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
মোঃ রায়হান আলী জানিয়েছেন আমার জায়গার পাশে দোকান করলে ভবিষ্যতে বাড়ী বানালে সেখানে চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে সেজন্য আমি ইতিমধ্যে সড়ক ও জনপথ সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি। এমনকি আদালত থেকে ১৪৪ ধারা জারির পরেও সেখানে জোর করে হাবিবগং তাদের লোকজন দিয়ে রাতারাতি দোকান তুলে রাস্তা বন্ধ করার পাঁয়তারা করছে ।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহিনুর ইসলাম জানান একটি সড়ক দুর্ঘটনা কেবল একজন মানুষকে নয়, পুরো একটি পরিবারকে নিঃস্ব করে দেয়। সড়কের দুই পাশে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনাগুলো বিশেষকরে পুলহাট থেকে শিকদার হাট পর্যন্ত আমাদের জন্য ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনছে। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় গড়ে ওঠা এসব অবৈধ স্থাপনার কারণে রাস্তার জায়গা সংকুচিত হয়ে পড়ে, অবকাঠামোগত বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।
দিনাজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, পুলহাট থেকে খানপুর পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে যতগুলো অবৈধ স্থাপনা আছে, সেগুলো আমরা উচ্ছেদ করবো। আবার কেউ গড়ে তুললে আমরা আবারো অভিযান চালাব। তবে আমাদের সাব-ডিভিশন ইঞ্জিনিয়ার সংশ্লিষ্টরা নিয়মিত মাঠে তদারকি করছেন। শুধু সওজ নয়, প্রশাসন, পুলিশ ও জনগণের সম্মিলিত উদ্যোগ ছাড়া এই সমস্যা সমাধান সম্ভব না।
ব্যবসায়ী সংগঠনের তীব্র আপত্তি থাকার পরেও মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের আরোপ করা বর্ধিত শুল্ক (ট্যারিফ)। তবে নতুন শুল্ক নিয়ে বন্দর এবং ব্যবসায়ীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। ৩৯ বছর পর এই ট্যারিফ বাড়লেও ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্দর তো এত বছর লস করেনি। গত বছরও প্রায় ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা লাভ করেছে। তারপরও ট্যারিফ বাড়ানো হচ্ছে কার স্বার্থে?
আলোচনা ছাড়াই ট্যারিফ কার্যকর করায় আমদানি খরচ বেড়েছে বলে দাবি করেছে বন্দর ব্যবহারকারীরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন শুল্ক নীতির বড় প্রভাব পড়বে ভোক্তা পর্যায়ে। ফলে নতুন শুল্কনীতি স্থগিতের দাবি জানিয়েছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।
পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইর প্রথম সহসভাপতি সেলিম রহমান বলেন, ট্যারিফ বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমাদের সঙ্গে একবারও আলোচনার প্রয়োজন মনে করেনি বন্দর কর্তৃপক্ষ। আমার কাছ থেকে বাড়তি ট্যারিফ নেবেন, আপত্তি নেই। কিন্তু তা হবে আলোচনার ভিত্তিতে।’ তিনি বলেন, ২৯ বছরের ব্যবসায়িক ক্যারিয়ারে চট্টগ্রাম বন্দরের লস হয়েছে শুনিনি। তাহলে এখন কেন এই ট্যারিফ বাড়াবেন?’
চিটাগাং চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট আমির হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সমাজ বর্ধিত এই ট্যারিফ পরিশোধ করবে না। এর আগে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে আলোচনার ভিত্তিতে নির্ধারণ করতে হবে ট্যারিফ কতটুকু বাড়ানো যায়; কিংবা বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে কি না। এই আলোচনার আগ পর্যন্ত ট্যারিফ আদায় স্থগিত রাখতে হবে। তিনি বলেন, ‘ট্যারিফ বাড়ানোর কাজ তো এই অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ না। এটি নির্বাচিত সরকারের কাজ।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, ১৯৮৬ সালে প্রতি ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকা ছিল ৩০ টাকা, এখন তা ১২২ টাকা। তাহলে তো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ট্যারিফ বাড়ছেই। নতুন করে আবার বাড়াতে হবে কেন? নতুন এ বৃদ্ধিতে প্রতি কনটেইনারে কমপক্ষে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা বাড়তি খরচ হবে। আর এই টাকা গিয়ে পড়বে ভোক্তাদের ওপর।
ট্যারিফ কত বাড়ছে: আগে যেখানে একটি জাহাজের পাইলটিং চার্জ ছিল ৩৫৭ দশমিক ৫০ ডলার, এখন সেখানে করা হয়েছে ৮০০ ডলার। আগে যেখানে ২০০ থেকে ১,০০০ জিআরটির জাহাজের টাগ চার্জ ছিল ১৫৮ ডলার, এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬১৫ ডলার। ইকুইপমেন্টের ক্ষেত্রে আগে যেখানে পণ্যভর্তি ২০ ফুট কনটেইনারের কি গ্যান্ট্রিক্রেন চার্জ ছিল ১৫ ডলার, এখন তা ২০ দশমিক ৮০ ডলার করা হয়েছে। ২০ ফুটের খালি কনটেইনারের ক্ষেত্রে ৭ দশমিক ৫০ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১০ দশমিক ৪০ ডলার করা হয়েছে। ১০ টনের মোবাইল ক্রেন ব্যবহারে আগে দিতে হতো ১ দশমিক ৭২৩ ডলার, এখন দিতে হবে ১০ দশমিক ৭০ ডলার। আমদানি করা এফসিএল কনটেইনারের ক্ষেত্রে প্রথম চার দিন, রপ্তানিযোগ্য এফসিএল এবং এলসিএল কনটেইনারে ছয় দিন ফ্রি টাইম রাখা হয়েছে। কিন্তু সপ্তম দিন থেকে ৬ দশমিক ৯ শূন্য ডলার দিয়ে শুরু হবে ট্যারিফ আদায়। যার ২১ দিন পার হলেই যুক্ত হবে ৬২ মার্কিন ডলার করে। এ ছাড়া এখন থেকে বন্দরে জাহাজের অবস্থানকালীন সময় ১২ ঘণ্টা অতিরিক্ত অবস্থানের জন্য ১০০ শতাংশ, ২৪ ঘণ্টার জন্য ৩০০, ৩৬ ঘণ্টার জন্য ৪০০ এবং ৩৬ ঘণ্টার বেশি হলে অতিরিক্ত চার্জ ৯০০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ২০ ফুট দৈর্ঘ্যরে প্রতিটি কনটেইনারে বর্তমানে গড়ে মাশুল আদায় হয় ১১ হাজার ৮৪৯ টাকা। এখন তা বেড়ে হবে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা। অর্থাৎ কনটেইনারপ্রতি মাশুল বাড়ছে গড়ে ৩৭ শতাংশ। প্রতিটি কনটেইনার জাহাজ থেকে ওঠানো বা নামানোর জন্য পরিশোধ করতে হতো ৪৩ দশমিক ৪০ ডলার। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৬৮ ডলার। বাল্কের ক্ষেত্রে প্রতি কেজি পণ্যে আগে গড়ে মাশুল দিতে হতো ১ টাকা ২৮ পয়সা, এখন আরও বাড়তি দিতে হবে ৪৭ পয়সা।
অবশেষে কার্যকর হলো আলোচিত-সমালোচিত চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন ট্যারিফ। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী গত ১৫ সেপ্টেম্বর কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও ব্যবসায়ীদের সমালোচনার মুখে ট্যারিফ কার্যকর এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত গত সোমবার রাত ১২টা থেকে ট্যারিফ কার্যকরের ঘোষণা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনা এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন ট্যারিফ সিস্টেমে পাইলটিং চার্জ ৮০০ মার্কিন ডলার এবং প্রতিবার জাহাজ টেনে আনার টাগ চার্জ ৬১৫ থেকে শুরু করে ৬ হাজার ৮৩০ ডলার পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। বেড়েছে কনটেইনার ওঠানামার চার্জও।
সবশেষ ১৯৮৬ সালে ট্যারিফ বাড়িয়েছিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ৩৯ বছর পর ৩৮-৪১ শতাংশ হারে ট্যারিফ বাড়ানো হয়েছে। আর এই বাড়তি ট্যারিফ নিয়েই যত আপত্তি বন্দর ব্যবহারকারী এবং ব্যবসায়ীদের।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘এটি অর্থ মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয় হয়ে গেজেট আকারে প্রকাশ হয়েছে। তাই গেজেটের আলোকে ১৫ অক্টোবর থেকে বর্ধিত এই ট্যারিফ কার্যকর হচ্ছে। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ চট্টগ্রাম বন্দরের নেই।
মন্তব্য