পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংকের মধ্যে যে তিনটি প্রতিষ্ঠান এখন পর্যন্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, করোনা মহামারির বছরে তার কোনোটির আয় গত বছরের চেয়ে কমেনি।
একটির আয় হয়েছে গত বছরের সমান। একটির আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ শতাংশের মতো। আর একটির আয় বেড়েছে ২৫ শতাংশের বেশি।
ডাচবাংলা ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ও মার্কেন্টাইল ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণার সময় কর ও সঞ্চিতি সংরক্ষণ পরবর্তী যে হিসাব দিয়েছে তাতে বিষয়টি উঠে এসেছে।
তবে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছর শেষে ব্যাংক তিনটির পরিচালন মুনাফার যে তথ্য গণমাধ্যমে আসে, তাতে দেখা যায় সর্বনিম্ন ৯০ কোটি থেকে সর্বোচ্চ ৩০৩ কোটি টাকা কম হয়েছিল পরিচালন মুনাফা।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরে ডাচবাংলা ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয় এক হাজার ১৯০ কোটি টাকা। গত ৩১ ডিসেম্বর সামপ্ত অর্থবছরে কোম্পানির আয় হয় এক হাজার ১০০ কোটি টাকা।
৯০ কোটি টাকা আয় কম হলেও চূড়ান্ত লভ্যাংশে দেখা যায়, কোম্পানিটির এবার শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১০ টাকা। যা গত বছর ছিল ৭ টাকা ৮৯ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ২ টাকা ১১ পয়সা। আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬.৭৪ শতাংশ।
মুনাফা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লভ্যাংশও বাড়নোর প্রস্তাব করেছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। গত ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য শেয়ার প্রতি দেড় টাকা নগদ ও ১৫ শতাংশ (১০০ শেয়ারে ১৫টি) বোনাস শেয়ার দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী এর চেয়ে বেশি লভ্যাংশ ঘোষণার সুযোগ নেই আর লভ্যাংশের ব্যাখ্যায় এই বিষয়টি উল্লেখ করেছে ব্যাংকটি।
গত বছর ব্যাংকটি শেয়ার প্রতি দেড় টাকা নগদের পাশাপাশি ১০ শতাংশ (১০০ শেয়ারে ১০টি) বোনাস শেয়ার দিয়েছিল।
২০১৯ সালে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছিল ৬১৫ কোটি টাকা। গত বছর তা কমে হয় ৪১৫ কোটি টাকা।
পরিচালন মুনাফা ৩৩ শতাংশ কমে গেলেও চূড়ান্ত মুনাফা বেড়েছে এই প্রতিষ্ঠানেরও। কোম্পানিটি জানিয়েছে, এবার তাদের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে এক টাকা ৯৫ পয়সা, যা গত বছর ছিল এক টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ২৫ পয়সা বা ১৪.৭০ শতাংশ।
এই ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ার প্রতি ৬০ পয়সা নগদ ও প্রতি ১০০ শেয়ারে ছয়টি বোনাস শেয়ার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার বেশি লভ্যাংশ ঘোষণার প্রস্তাব করা হয়েছে। গত বছর শেয়ার প্রতি ৫০ পয়সা নগদ আর প্রতি ১০০ শেয়ারে ৫টি বোনাস শেয়ার দেয়া হয়েছিল।
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চূড়ান্ত মুনাফা আগের বছরের সমান হলেও পরিচালক মুনাফায় ছিল বিরাট ব্যবধান।
২০১৯ সালে কোম্পানিটির পরিচালন মুনাফা হয় ৭৫৩ কোটি টাকা। পরের বছর তা কমে হয় ৪৫০ কোটি টাকা। মুনাফা কমে ৩০৩ কোটি টাকা, যা শতকরা হিসাবে ৪০ শতাংশেরও বেশি।
তবে লভ্যাংশ ঘোষণার সভা শেষে জানানো হয়, এবার কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ২৬ পয়সা, যা গত বছর ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয়ের পর ছিল একই পরিমাণ।
এবার প্রতিষ্ঠানটি শেয়ার প্রতি এক টাকা নগদে ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বছরও পাঁচ শতাংশ বোনাসের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীরা এক টাকা ১০ পয়সা লভ্যাংশ পেয়েছিল।
মহামারিকালে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফা আগের বছরের চেয়ে কমে যাওয়ার খবরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার দর পড়তে শুরু করে জানুয়ারির শুরুতে।
বিনিয়োগকারীরা ধারণা করেছিল, মুনাফা কমায় এবার প্রতিষ্ঠানগুলোর লভ্যাংশও আসবে। তবে এখন পর্যন্ত যে প্রবণতা, তাতে ব্যাংকের শেয়ারধারীরা বেশ ভালো পরিমাণ মুনাফা পেতে পারেন।
৩০টি ব্যাংকের মধ্যে ১১টি ব্যাংকের শেয়ার মূল্য অভিহিত মূল্য ১০ টাকার কাছাকাছি। এর মধ্যে ১০টি ‘এ’ ক্যাটাগরির। অর্থাৎ কমপক্ষে ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। বাকি একটি ব্যাংক গত বছর ১০ শতাংশের চেয়ে কম লভ্যাংশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: এফডিআরের চেয়ে ব্যাংকের শেয়ারে মুনাফা বেশি
তিনটি ব্যাংকের শেয়ারের দাম আছে ১০ টাকার নিচে যার মধ্যে একটি কখনও ১০ শতাংশের নিচে লভ্যাংশ দেয়নি, একটি একবার কেবল ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দিয়েছে। আর একটি লোকসানি ব্যাংক।
চারটি ব্যাংকের শেয়ার মূল্য ১৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে। আটটি ব্যাংকের শেয়ারের দাম ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। ৩০ থেকে ৪০ টাকার ভেতরে আছে দুটি ব্যাংকের শেয়ারের দাম। একটির দাম ৪০ টাকার বেশি আর একটির দাম ৬০ টাকার বেশি।
ব্যাংকগুলো গত কয়েক বছরে নগদ লভ্যাংশে মন দিয়েছে। আর এগুলোর শেয়ার মূল্য বেশ কম হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা ভালো পরিমাণে অর্থ পেয়ে থাকে।
গত কয়েক বছরে বেশ কিছু ব্যাংকের লভ্যাংশ পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ব্যাংকে টাকা রাখার চেয়ে এসব ব্যাংকের শেয়ার কিনে রাখলেই বেশি লাভবান হওয়া যায়। চলতি বছর মার্কেন্টাইল ব্যাংকও যে লভ্যাংশের প্রস্তাব করেছে, সেটি এফডিআরের চেয়ে বেশি হতে পারে।
ব্যাংকটির শেয়ার মূল্য এখনও ১৩ টাকার কিছুটা বেশি। শেয়ার প্রতি এক টাকা লভ্যাংশ পেলে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার মূল্যের অনুপাতে লাভ হয় ৭.৫ শতাংশের মতো। অথচ ব্যাংকে টাকা রাখলে এখন সর্বোচ্চ মুনাফা পাওয়া যায় ৬ শতাংশ।
যে কারণে বেড়েছে চূড়ান্ত মুনাফা
ডাচ বাংলা ব্যাংকের একজন মহাব্যবস্থাপক (জিএম) নিউজবাংলাকে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ সুবিধার কারণে তাদের মুনাফা বেশি হয়েছে।
এই কর্মকর্তা জানান, অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় ২০২০ সালে ঋণ পরিশোধ না করেও খেলাপিমুক্ত থাকার সুযোগ পেয়েছেন ঋণগ্রহীতারা। আর এ কারণে খেলাপি ঋণের বিপরীতে তাদেরকে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী খেলাপি ঋণের মানভেদে নিরাপত্তা সঞ্চিতির হার ৫ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত। যেহেতু খেলাপি ঘোষণা করা যায়নি, তাই এই সঞ্চিতি সংরক্ষণের দরকার পড়েনি। ফলে ব্যাংকের ব্যালান্স শিট মহামারিকালে আগের বছরের চেয়ে ভালো দেখাচ্ছে।
গত বছরের মার্চ মাসে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত কেউ কিস্তি না দিলেও খেলাপি করা যাবে না। পরে দুই দফায় এই নির্দেশনার কার্যকারিতা বাড়িয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। ফলে অপরিশোধিত ঋণের মেয়াদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেড়ে যায়।
মেয়াদি ঋণের পাশাপাশি চলতি মূলধন ঋণেও গত বছর এই সুবিধা দেয়া হয়েছিল। এখন চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ সুবিধা আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের কোম্পানি সচিব আবুল বাশার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনা সংকটের মধ্যেও ব্যাংকের কোনো কাজই থেমে থাকেনি। আমরা নিয়মিত কাজ করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক করোনাকালীন যেসব সুবিধা দিয়েছে, তাও গ্রাহকদের দেয়া হয়েছে। এ জন্য মহামারির বছরেও আমাদের ব্যাংকের মুনাফায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।’
তিনি বলেন, ‘মুনাফা বৃদ্ধি অস্বাভাবিক না। অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক অডিট করেছে। এখানে তথ্যের হেরফের হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক হিসেবে পরিচিত অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদও একই ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর যে প্রভিশন সংরক্ষণ করে সেটি যদি না করতে না হয় বা আগের বছরের প্রভিশন যুক্ত হয় তাহলে নিট মুনাফা বাড়তে পারে।’
তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে ব্যাংকগুলোকে প্রভিশনের ক্ষেত্রে নানা সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়েছে। সেটি সুবিধার আওতায় নিট মুনাফা বাড়তে পারে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাংকগুলোকে সুবিধা দেয়ার ফলে তাদের মুনাফায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এটাকে খারাপ চোখে দেখার কিছু নেই।’
আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও চিত্র একই
কেবল ব্যাংক নয়, ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি, লংকাবাংলা, আইপিডিসি ও বিডিফিনান্সের ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা গেছে।
প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই মহামারির বছরে আগের বছরের চেয়ে বেশি মুনাফা করেছে।
২০২০ সালে সমাপ্ত অর্থবছরে আইডিএলসি ফিনান্সের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৬ টাকা ৭৪ পয়সা। যা আগের বছর ছিল ৪ টাকা ৫১ পয়সা।
আইপিডিসি ফিনান্স এবার শেয়ার প্রতি আয় করেছে এক টাকা ৯০ পয়সা। গত বছর আয় ছিল এক টাকা ৭২ পয়সা।
এবার বিডি ফিনান্সের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৮০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ১২ পয়সা।
লংকাবাংলা ফিনান্স এবার শেয়ার প্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৮১ পয়সা। আগের বছর এই আয় ছিল প্রায় অর্ধেক, ২০১৯ সালে পুনর্মূল্যায়িত ইপিএস ছিল ৯৪ পয়সা।
আরও পড়ুন:শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে গত ০২ জুন, সোমবার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতি।
জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গোলাম মরতুজা, মোঃ ফয়েজ আলম ও মোঃ আশরাফুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল আবেদিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভা সঞ্চালনায় ছিলেন কার্যকরী সভাপতি শাহ জাহান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি এস. এফ. এম. মুনির হোসেন, সহসভাপতি মজিবুর রাহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ছানোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনায় আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। আবার ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার সময় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। ট্রেড লাইসেন্স নিতেও রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দাখিলের বাধ্যবাধকতায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্রের বাধ্যবাধকতায় এসব পরিবর্তন আনা হয়েছে। এত দিন ৪৬টি সেবায় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখানোর বাধ্যবাধকতা ছিল।
এখন ১১ ধরনের সেবা নিতে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। শুধু কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীদের (টিআইএন) সিস্টেম জেনারেটেড প্রত্যয়নপত্র দাখিল করলেই হবে। ওই ১১টি সেবা হলো সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় নতুন ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণে; সমবায় সমিতির নিবন্ধন প্রাপ্তিতে; সাধারণ বিমার তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ারের নতুন লাইসেন্স গ্রহণে; ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ ও নবায়নে; চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, চার্টার্ড সেক্রেটারি, আইনজীবী ও কর আইনজীবী, অ্যাকচুয়ারি, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার হিসেবে কোনো স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদ গ্রহণে; পাঁচ লাখ টাকার অধিক পোস্ট অফিস সঞ্চয়ী হিসাব খোলায়; এমপিওভুক্তির মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে দশম গ্রেড বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মচারীর কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের ক্ষেত্রে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা মোবাইল ব্যাংকিং বা ইলেকট্রনিক উপায়ে টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে এবং মোবাইল ফোনের হিসাব রিচার্জের মাধ্যমে কমিশন, ফি বা অন্য কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্ট্যাম্প, কোর্ট ও কার্টিজ পেপারের ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসেবে লাইসেন্স নিবন্ধন ও তালিকাভুক্তিতে; ত্রি-চক্র মোটরযানের নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়নে; ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে লাইসেন্সিং অথরিটির কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ টেলিভিশনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও দেশের ইতিহাসে ৫৪তম বাজেট।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার সময় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মোট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করছি, যা জিডিপির ১২.৭ শতাংশ। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।
তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই যে, ২০১৫ সালের পর এখন পর্যন্ত বেতন কাঠামো প্রণীত না হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি।
ঘরে বসে যেসব ক্রেতারা কেনাকাটা করতে চান, তাদের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনাকাটা আগামী অর্থবছর থেকে খানিকটা ব্যয়বহুল হতে পারে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ই-প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় থেকে কমিশনের ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করতে চাইছে। সেক্ষেত্রে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পণ্যের দাম বেশি হতে পারে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই ভ্যাটের হার ছিল ৫ শতাংশ।
জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে ভিন্ন বাস্তবতায় এবার সংসদের বাইরে ভিন্ন আঙ্গিকে পেশ হলো বাজেট। এবার সংসদ না থাকায় সংসদের আলোচনা বা বিতর্কের কোনো সুযোগ থাকছে না। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বাজেট উপস্থাপন করার পর ৩০ জুন তা রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে কার্যকর করা হবে।
তবে অতীতের রেওয়াজ মেনে বাজেট ঘোষণার পরদিন সংবাদ সম্মেলনে এসে বাজেট নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া পুরো জুন মাসজুড়ে অংশীজনদের মতামত নেওয়ার কথাও তিনি বলেছেন।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে সরকারের ধারাবাহিক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করায় এবং সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পাওয়ায় মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নেমে আসবে।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় এ কথা বলেন। তার এ বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে আমাদের সরকার যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে তখন আমাদের সামনে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরে মানুষকে স্বস্তি দেয়া।
তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে আমরা ধারাবাহিকভাবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করেছি। এর ফলে নীতি সুদের হার ১৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মুদ্রানীতির আওতায় গৃহীত কার্যক্রমকে সহায়তা করতে সংকোচনমূলক রাজস্বনীতি অনুসরণ করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে আনায় সার্বিকভাবে সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠতে শুরু করেছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের ১০.৮৯ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশে নেমে এসেছে। আশার কথা হলো এবারের রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্মরণকালের মধ্যে সবচাইতে স্থিতিশীল ছিল। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এই জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের কোঠায় নেমে আসবে। মূল্যস্ফীতির সাথে এ লড়াইয়ের ফলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে।’
মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকা জরুরি উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল থাকা অত্যাবশ্যক। প্রবাস আয়ের প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক হওয়ায় এবং রপ্তানি স্থিতিশীল থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এপ্রিল মাসে বৃদ্ধি পেয়ে ২৭.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সে কারণে আমরা বিগত ১৪ মে তারিখে বাজারভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার চালু করেছি।
১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী আর্থিক অস্থিরতা সামাল দিতে গঠিত হয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ। এর মূল লক্ষ্য ছিল বৈশ্বিক মুদ্রানীতি সমন্বয় সাধন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে উৎসাহ দেওয়া এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করা। বহু দেশ সংকটে পড়ে এই সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছে- কেউ সাময়িকভাবে রক্ষা পেয়েছে, কেউ আবার দীর্ঘমেয়াদি ঋণনির্ভরতার ফাঁদে পড়ে গেছে।
আজ, যখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ভারসাম্য ক্রমশ পশ্চিমকেন্দ্রীকতা থেকে সরে পূর্ব ও দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়ছে, তখন আইএমএফ তার প্রাসঙ্গিকতা ও নৈতিক অবস্থান নিয়ে এক নতুন প্রশ্নের সম্মুখীন।
ঋণ সহায়তা, নাকি ঋণের ফাঁদ?
আইএমএফ সাধারণত এমন শর্তে ঋণ দেয়, যার মধ্যে থাকে কঠোর ব্যয়সংযম, ভর্তুকি হ্রাস, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বাজারমুখী সংস্কার; কিন্তু এই শর্তগুলো অনেক সময় জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। স্থানীয় শিল্প ধসে পড়ে, বৈষম্য বেড়ে যায় এবং সাধারণ মানুষের জীবন আরও কঠিন হয়ে ওঠে। আর্জেন্টিনার অভিজ্ঞতা এর এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। ২০১৮ সালে আইএমএফ ইতিহাসের বৃহত্তম ঋণ প্যাকেজ ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করে। ফল ছিল বিপরীত- মুদ্রাস্ফীতি ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, দারিদ্র্য আরও বেড়ে যায় এবং দেশটি আবার মন্দার মুখে পড়ে।
এই অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে শুধু অর্থনৈতিক সমীকরণ দিয়ে কোনো দেশের সামাজিক বাস্তবতা নির্ধারণ চলে না।
আইএমএফের নীতিনির্ধারণ কাঠামো এখনো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী শক্তির ভারসাম্যের প্রতিচ্ছবি। উন্নত দেশগুলো (বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন) সংগঠনের ভোটের অধিকাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর অংশগ্রহণ প্রায় অনুপস্থিত। এই গণতান্ত্রিক ঘাটতি আজ দক্ষিণের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে গভীর অসন্তোষ ও অবিশ্বাসের জন্ম দিচ্ছে।
বিকল্প প্রতিষ্ঠানের উত্থান
এই প্রেক্ষাপটে বিকল্প আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন- নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (NDB), এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (AIIB) এবং ল্যাটিন আমেরিকান রিজার্ভ ফান্ড (FLAR) নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে। (NDB) এর সহায়তা তুলনামূলকভাবে শর্তমুক্ত এবং অংশগ্রহণমূলক। এখানে প্রতিটি দেশের ভোটের ও প্রতিনিধিত্বের সমান সুযোগ আছে, যা উন্নয়নশীল দেশগুলো আরও আগ্রহী করে তুলেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো এখন শুধু আর্থিক বিকল্প নয়- এরা এক নতুন উন্নয়ন দর্শনের বাহক। সেই দর্শনে উন্নয়ন নির্ধারিত হয় স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনকে কেন্দ্র করে, বাইরের চাপ বা রূঢ় শর্ত নয়।
বিশ্ব আজ বহুমেরু। অর্থনৈতিক শক্তি ছড়িয়ে পড়ছে নানা অঞ্চলে। এই বাস্তবতায় টিকে থাকতে হলে আইএমএফকে নিজস্ব কাঠামো ও দর্শনে রূপান্তর আনতে হবে। প্রয়োজন গভর্ন্যান্সের সংস্কার, নীতিনির্ধারণে সমান অংশগ্রহণ, এবং সর্বোপরি সহানুভূতিশীল ঋণ নীতিমালা।
আইএমএফ যদি সত্যিই বৈশ্বিক আর্থিক স্থিতিশীলতার অভিভাবক হতে চায়, তাহলে তাকে হতে হবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক, এবং আঞ্চলিক বাস্তবতাসম্মত এটি শুধু আইএমএফের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রশ্ন নয়; এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার ও সার্বিক উন্নয়নের প্রশ্ন।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচার হওয়া অর্থ জব্দ কর তা বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার পরমর্শ দিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ সময়ে এবারের বাজেট গতানুগতিক হতে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর এফডিসিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচারকৃত অর্থ জব্দের মাধ্যমে বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করলে তা হতে পারে এবারের বাজেটের একটি অভিনব উৎস।’
‘গত সরকারের রেখে যাওয়া বিদেশি ঋণের চাপ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। এই সরকারের এই সময়ে অন্যতম সাফল্য ৫০০ কোটি (৫ বিলিয়ন) ডলার পরিশোধ করে বিদেশি ঋণের চাপ কমিয়ে আনা,’ যোগ করেন তিনি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই ঋণ বিলিয়ন ডলার করে বছর বছর বাড়ছিল। সামগ্রিকভাবে এই সরকারের সাফল্যের জায়গাটা হলো বহির্খাত, রেমিট্যান্স, রপ্তানি, দায়-দেনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, মজুদ বাড়ানো ও টাকার মূল্যমান স্থিতিশীল রাখা।’
তবে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট গতানুগতিক হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, ‘খেলাপি ঋণ আদায়, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত এবং করের আওতা বাড়ানোর মতো নতুন কোনো কিছু না থাকায় এবারের বাজেটে কোনো চমক থাকছে না।’
‘যে প্রকল্পগুলো সরকারের কাছে আছে, তা অতিমূল্যায়িত ও তার ৪০ শতাংশ ব্যয়ই ভুয়া। আগের যে প্রকল্পগুলো থেকে রক্তক্ষরণ হতো, সেগুলো অব্যাহত আছে,’ বলেন তিনি।
সিপিডির এই সম্মানীয় ফেলো বলেন, ‘রাজস্ব ব্যয় সঠিকভাবে না করলে করদাতাদের উৎসাহ থাকে না। আমাদের কর কাঠামো বৈষম্যনির্ভর। আমাদের বৈদেশিক খাতে কিছুটা স্থিতিশীলতা অর্জিত হলেও ব্যক্তি খাতে স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগ এখনো আশানুরূপ অর্জিত হয়নি।’
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি নামের একটি বিতর্ক সংগঠন এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
‘রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করা আসন্ন বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত’ শীর্ষক ছায়া সংসদে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজকে পরাজিত করে ঢাকার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।
মন্তব্য