বহুজাতিক কোম্পানি বৃটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো বাংলাদেশ লিমিটেড –বিএটিবিসি লভ্যাংশ যারা নিয়েছেন, তারা ব্যাপক মুনাফা পেয়েছেন।
রেকর্ড ডেটে বন্ধ থাকার পর মূল্য সমন্বয় শেষে শেয়ারটির দাম বেড়েছে এক দিনে যত বাড়া সম্ভব ততই। আবার যত শেয়ার কেনার চাহিদা ছিল, বিক্রেতাও ছিল না তত।
প্রতিষ্ঠানটি এবার একটি শেয়ারের বিপরীতে দুটি করে বোনাস শেয়ার আর শেয়ার প্রতি ৬০ টাকা করে নগদ লভ্যাংশ দেয়ার প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে ৩০ টাকা অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ আর বাকি ৩০ টাকা চূড়ান্ত লভ্যাংশ হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে।
যারা এই লভ্যাংশ নিতে যান, তাদের শেয়ার কেনার শেষ সুযোগ ছিল মঙ্গলবার। বুধবার লেনদেন ছিল বন্ধ।
মঙ্গলবার শেয়ারটির মূল্য ছিল এক হাজার ৫৫৪ টাকা। একটি শেয়ার এখন তিনটি শেয়ার হয়ে যাওয়ায় এই দামের তিন ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ ৫১৮ টাকায় লেনদেন শুরু হয়।
শেয়ারটির দাম বাড়া সম্ভব ছিল ৫৫৬ টাকা ৮০ পয়সা পর্যন্ত। আর এই একটি দামেই বিক্রি হয়েছে শেয়ার। হাতবদল হয়েছে মোট তিন লাখ ৯৬ হাজার ৬০৮টি শেয়ার।
অর্থাৎ দাম বেড়েছে ৩৮ টাকা ৮০ পয়সা।
করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর মূল্যপতন ঠেকানে সর্বনিম্ন যে দাম বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয়া হয় প্রতিটি শেয়ারের। তখন সিদ্ধান্ত হয় বিএটিবিসির শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস হবে ৯০৭ টাকা ৬০ পয়সা।
একটি শেয়ারের বিপরীতে তিনটি শেয়ার হয়ে গেলেও ফ্লোর প্রাইস তিন ভাগের এক ভাগ হয়নি। বরং সিদ্ধান্ত হয়, রেকর্ড ডেটে যে দাম থাকবে, তার সঙ্গে বোনাস শেয়ার সমন্বয় করেই ঠিক হবে নতুন ফ্লোর প্রাইস।
ফলে ৫১৮ টাকার নিচে শেয়ারটি বিক্রি হওয়া সম্ভব ছিল না। আর আগের হিসাবে শেয়ার প্রতি বিনিযোগকারীরা যে ৩০ টাকা করে মুনাফা পাবেন, নতুন হিসাবে তা ধরা যায় ১০ টাকা।
ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণে এই নগদ লভ্যাংশ বিবেচনা করা হয়নি। ফলে এই ১০ টাকা আর ফ্লোর প্রাইসের পরে আরও যে ৩৮ টাকা ৮০ পয়সা দাম বেড়েছে, সেটিই বিনিয়োগকারীদের মুনাফা।
অর্থাৎ একটি শেয়ারে মুনাফা হয়েছে ৪৮ টাকা ৮০ পয়সা। রেকর্ড ডেটের আগের হিসাবে মুনাফা হয় ১৪৬ টাকা ৮০ পয়সা।
বিএটিবিসি দিয়েই শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস সমন্বয় শুরু হলো। এর আগে মুন্নু অ্যাগ্রো ১০ শতাংশ বোনাস আর ন্যাশনাল পলিমার ১০০ শতাংশ অর্থাৎ একটি শেয়ারের বিপরীতে একটি রাইট শেয়ার দেয়ার পরও ফ্লোর প্রাইস সমন্বয় হয়নি। ফলে বিনিয়োগকারীরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুনাফা পেয়ে যান।
মুন্নু এগ্রোর ফ্লোর প্রাইস ঠিক করা ছিল ৭৯৪ টাকা ৮০ পয়সা। ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার সমন্বয় করা দাম হওয়ার কথা ছিল ৭২০ টাকা। কিন্তু ফ্লোর প্রাইস এখনও আগের দরেই আছে।
আবার গত ৬ জানুয়ারি রাইট শেয়ারের জন্য ক্লোজিং ডেতে ন্যাশনাল পলিমারের দাম ছিল ৭১ টাকা ৬০ পয়সা। প্রতি ১০ শেয়ারে পাঁচ টাকা প্রিমিয়াম নেয়া হয়েছে। ফলে রাইট শেয়ার যোগ হওয়ার পর মূল্য সমন্বয় হওয়ার কথা ছিল ৪৩ টাকা ৩০ পয়সা।
কিন্তু এই শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস ঠিক করা আছে ৫৬ টাকা ৬০ পয়সা। আর এর নিচে দাম নামতে পারছে না।
ফ্লোর প্রাইস সমন্বয় না হলে বিএটিবিসির শেয়ারধারীরা বিপুল পরিমাণ মুনাফা পেয়ে যেতেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে। কারণ, আগের মতো শেয়ারটির দাম ৯০৭ টাকা ৬০ পয়সার নিচে নামতে না পারলে আগের একটি শেয়ারের বিপরীতে এখন তিনটি শেয়ারের দাম দাঁড়াত দুই হাজার ৭২২ টাকা ৮০ পয়সা।
এ নিয়ে কথা উঠার পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি জানায়, এখন থেকে বোনাস ও রাইট শেয়ারের সঙ্গে সমন্বয় করে নতুন ফ্লোর প্রাইস ঠিক হবে।
বিএটিবিসির ফ্লোর প্রাইস সমন্বয় যেভাবে হয়েছে, তাতে এটা স্পষ্ট যে, বোসান বা রাইটের সঙ্গে বর্তমান ফ্লোর প্রাইসের সমন্বয় হবে না, রেকর্ড ডেটের দামের সঙ্গে সমন্বয় হবে।
বিএটিবিসির যে লভ্যাংশ প্রস্তাব করা হয়েছে, সেটি অবশ্য কাগজে কলমে এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আগামী ২৭ মার্চ কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএমে তা চূড়ান্ত হবে।
যেখানে লভ্যাংশ চূড়ান্ত হওয়ার পরে তা বিনিয়োগকারীদের হিসাবে পাঠানো হবে। বোর্ড সভায় ঘোষিত লভ্যাংশ এজিএম-এ কোনো পরিবর্তন হওয়ার নজির খুবই কম।
কোম্পানিটি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সাম্প্রতিক তুমুল আগ্রহের কারণ, এর ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা।
কোম্পানিটি পরিশোধিত মূলধন তিন বছরের মধ্যে নয় গুণ করার পাশাপাশি ব্যবসা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে এখন বিদেশের বাজার দখলের পরিকল্পনা করেছে তারা। সিগারেট রপ্তানির লক্ষ্য নিয়ে ১৯২ কোটি টাকায় কারখানা সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারে সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের ৮৮তম শাখা উদ্বোধন করা হয়েছে।
কক্সবাজার মেইন রোডের বাজারঘাটা এলাকায় কোরাল রিফ প্লাজায় রোববার শাখাটির উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হাবিবুর রহমান।
ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল মতিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কক্সবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হসপিটাল ও মেডিকেল কলেজের সুপারিনটেনডেন্ট ডা. মো. মোমিনুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কক্সবাজার সদর সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান, আগ্রাবাদ শাখার ব্যবস্থাপক ও এক্সিকিউটিভ ভাইস-প্রেসিডেন্ট কিশোলয় সেন, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জেনারেল সার্ভিস ডিভিশনের হেড মোহাম্মদ শফিউল আজমসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার মূল্য সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। আরেক বাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই চিত্রে লেনদেন শেষ হয়েছে।
ডিএসইতে ৫০৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ২০ কোটি ৩০ লাখ টাকা বেশি। রোববার ডিএসইতে ৪৮৯ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৭৮ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৭০ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২২৫ পয়েন্টে।
৩৩৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩২টির, কমেছে ১৩৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭০টির।
আরেক বাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৭ পয়েন্ট কমেছে। ১২ কোটি ৮৮ লাখ ৩২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
দেশে ব্যবসার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা দুর্নীতিকেই প্রধান বাধা হিসেবে দেখছেন বলে জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
গত বছরের এপ্রিল থেকে জুলাইয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে জরিপের সময় ব্যবসায়ীরা এমন মত দেন বলে জানায় সংস্থাটি।
ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম বিশ্বজুড়ে এ জরিপ পরিচালনা করে। গত দুই দশকের মতো গত বছরও সংস্থাটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে জরিপের কাজে অংশ নেয় সিপিডি।
উদ্যোক্তা মতামত জরিপের ফল প্রকাশ করে রোববার এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
রাজধানীর ধানমন্ডি কার্যালয়ে ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে সিপিডি জানায়, জরিপে অংশগ্রহণকারী ৬৪.৬ শতাংশ ব্যবসায়ী দুর্নীতিকে তাদের ব্যবসার প্রধান প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখেছেন। লাইসেন্স নেয়া কিংবা কর দেয়ার মতো কাজে গিয়ে তাদের ঘুষ দিতে হয়েছে।
সংস্থাটির ভাষ্য, ব্যবসায় অন্যান্য প্রধান সমস্যার মধ্যে রয়েছে অপর্যাপ্ত অবকাঠামো, ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া এবং অদক্ষ আমলাতন্ত্র, যার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার অস্থিতিশীলতা ও নীতি ধারাবাহিকতার অভাব। এসব কারণে দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।
দেশে প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসার পরিবেশ আরও খারাপ হয়েছে জানিয়ে সিপিডি বলেছে, বেসরকারি খাতে সুশাসন, নীতিশাস্ত্রের অভাব এবং দুর্বল তদারকির কারণে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশের অবনতি হয়েছে।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘২০২১-এর তুলনায় ২০২২ সালে ব্যবসার পরিবেশ দুর্বল ছিল। কর কাঠামোতে এখনও ভারসাম্য আনা যায়নি। সড়ক, রেল, নৌপথে অনেক অবকাঠামো মানসম্মত নয়।’
সুপারিশ
জরিপের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের মত ও নিজেদের সুপারিশ পেশ করে সিপিডি।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, পরিবেশবান্ধব শহর গড়ে তুলতে বিদেশি সহযোগীদের কাছ থেকে আলাদা ঋণ আসা উচিত। এতে পরিবেশ দূষণ অনেকাংশে কমবে।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে ব্যবসায় মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রা সংকট ও অস্থিতিশীল নীতির মতো নতুন চ্যালেঞ্জ মাথাচাড়া দিয়েছে জানিয়ে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন ও সুদহারের সীমা উন্মুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি।
সংস্থাটির মতে, বাংলাদেশের আর্থিক খাতে বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত মেনে চলার অংশ হিসেবে ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধন, ঋণে সুদহারের সীমা তুলে নেয়া, বকেয়া ঋণে স্বচ্ছতা, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং ইন্স্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেটরি অথরিটির (আইডিআরএ) কার্যকর ভূমিকা প্রয়োজন।
জরিপ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাজারে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে প্রতিযোগিতা কমিশন, ভোক্তা অধিকার, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, এনবিআর ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের যথাযথ ভূমিকা পালন করা উচিত।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) উদ্যোগে দেশে দ্বিতীয়বারের মতো শুরু হতে যাচ্ছে ‘বাজুস ফেয়ার-২০২৩’। তিন দিনব্যাপী এই মেলা শুরু হবে ৯ ফেব্রুয়ারি।
ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) ৪ নম্বর হলে আয়োজন হতে যাওয়া এই মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।
বাজুসের পক্ষ থেকে রোববার নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ বলেন, ‘এবার নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকায় শুরু হতে যাচ্ছে এ মেলা। গত বারের চেয়ে এবারের মেলায় অনেক ভিন্নতা থাকবে। এবার আরেকটু গোছানো থাকবে।
‘গতবারের চেয়ে এবার মেলা নিয়ে আমরা অনেক বেশি আশাবাদী। জুয়েলারি শিল্পকে দেশ-বিদেশে নতুন করে তুলে ধরতে এ মেলার আয়োজন করছে বাজুস।’
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের পতনে শেষ হয়েছে লেনদেন। কমেছে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণও। তবে এদিন দেশের অপর বাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়ে লেনদেন হয়েছে।
ডিএসইতে রোববার ৪৮৯ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ১৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা কম। বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৫০৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৮৮ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইএস বা শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৭১ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক শূন্য দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৩১ পয়েন্ট।
ডিএসইতে বেশিরভাগ কোম্পানির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। ৩৪৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৬টির, কমেছে ১৪২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭৫টির।
লেনদেনের বিষয়ে ট্রেজার সিকিউরিটিজের শীর্ষ কর্মকর্তা মোস্তফা মাহবুব উল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নতুন ফান্ডের ইনজেকশন নেই। সেক্টরাল মুভমেন্টও হচ্ছে না। ফলে মার্কেট একই জায়গায় আবর্তিত হচ্ছে।’
অপর বাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৫ পয়েন্ট বেড়ে প্রধান সূচক সিএএসপিআই অবস্থান করছে ১৮ হাজার ৫৭০ পয়েন্টে। হাতবদল হয়েছে ৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার। হাতবদল হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দর বেড়েছে ২৫টির, কমেছে ৫৯টির ও অপরিবর্তিত দরে লেনদেন হয়েছে ৬২টির।
বাংলাদেশ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা-২০২৩’-এর ডাক ও টেলিযোগাযোগ পদক-২০২৩ জিতেছে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অবদান রাখায় নগদকে এই পুরস্কার দেয়া হয়।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শনিবার ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে ‘নগদ’-এর করপোরেট কমিউনিকেশন ডিরেক্টর মোহাম্মদ সোলাইমান ও হেড অব পাবলিক কমিউনিকেশন্স মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে প্রধান অতিথি মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ইলেকট্রনিক কেওয়াইসি ও *১৬৭# চেপে অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি উদ্ভাবন করে নগদ একটা বিপ্লব করেছে। আমরা যে উদ্ভাবনী শক্তির কথা বলছি, তা করে দেখিয়েছে ডাক বিভাগের এই সেবাটি। সে জন্যই তাদের সম্মানিত করা।’
পুরস্কার গ্রহণের পর নগদ’-এর করপোরেট কমিউনিকেশন-এর ডিরেক্টর মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ‘যেকোনো পুরস্কার প্রাপ্তি অত্যন্ত গর্বের ব্যাপার। নগদ সবসময় নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে মানুষের পাশে থাকতে চায়। সেই পথে আমাদের উদ্ভাবন যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের পুরস্কার পেল, এটা পুরো দেশের জন্য একটা অর্জন। সমস্ত নগদ পরিবারের পক্ষ থেকে আমি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
তিন দিনের এই আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।
মেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টলের পাশাপাশি ছিল নগদ-এর আকর্ষণীয় একটি স্টল। সেখানে মানুষের ভিড় জমেছিল নগদ-এর বিভিন্ন সুবিধা ও ফিচার সম্পর্কে জানতে। এ ছাড়া এই স্টলে ভিআর ফুটবল খেলার ব্যবস্থা ছিল। যা অনেক মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজন করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ পুরস্কার। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস-এর প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নগদ-কে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে মাত্র চার বছরেরও কম সময়ে নগদ-এর উন্নতি এবং উদ্ভাবনকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের (এসএমটি) ১৭তম সভা রোববার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার ব্যাংকের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকীর উপস্থিতিতে সভায় সভাপতিত্ব করেন এসএমটি চেয়ারম্যান ও ব্যাংকের সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আফজাল করিম।
এ সময় ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টররা, প্রধান কার্যালয়, স্থানীয় কার্যালয়, ব্যাংকের মাঠ পর্যায়ের সব জেনারেল ম্যানেজারসহ সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর তার বক্তব্যে ব্যাংকের সার্বিক ব্যবসায়িক পর্যালোচনা ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
মন্তব্য