সবচেয়ে বেশি দর বাড়া ছয়টি কোম্পানির চারটি লোকসানি। এর তিনটি গত ১০ বছরে কখনও লভ্যাংশ দিতে পারেনি, সামনে দিতে পারবে এমন সম্ভাবনাও কম।
বিপুল পরিমাণ লোকসান, শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ঋণাত্মক, এই অবস্থাতেও কোম্পানিগুলোর দাম বেড়েছে এক দিনে যতটুকু বাড়া সম্ভব ততটুকুই।
ফেব্রুয়ারির শেষ দিন আর সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে এই ঘটনাটিই ঘটল।
মাসজুড়েই পুঁজিবাজার হতাশা ছড়িয়ে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করেছে। ক্রমাগত দরপতনের বৃত্ত ভেঙে গত সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবসে প্রায় ১০০ পয়েন্ট সূচক পুনরুদ্ধার হওয়ায় সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে বাজারের আচরণের দিকে দৃষ্টি ছিল বিনিয়োগকারীদের।
তবে সপ্তাহের শুরুতেই আবার হতাশ হতে হলো তাদের। কমেছে বেশির ভাগ শেয়ারের দর। দর ধরে রাখতে পারছে না ভালো কোম্পানি। গতি নেই লেনদেনে। কিন্তু মন্দ শেয়ার হিসেবে পরিচিত দুর্বল কোম্পানির শেয়ারধারীদের পোয়াবারো।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, দুর্বল কোম্পানির শেয়ার নিয়ে প্রায়ই কারসাজি হয়। যখন পুঁজিবাজারে টানা নেতিবাচক প্রবণতা দেখা দেয়, তখনই এই ঘটনা ঘটে।
কী খবর আছে দুর্বল কোম্পানির
জিলবাংলা সুগার মিল, চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের আওতাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জেড ক্যাটাগরির একটি কোম্পানি। ডিএসইর ওয়েবসাইটে এই কোম্পানির লভ্যাংশ দেয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু রোববার এই কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এই কোম্পানির মূল্যসীমা অনুযায়ী ১০ শতাংশের বেশি বাড়ার সুযোগ নেই। কিন্তু শতাংশের হিসাবে ১০-এর নিচেই থাকে সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধির হিসাবটি।
জিলা বাংলা সুগার মিলের খোঁজখবর দেয়ার জন্য দায়িত্বে থাকা কোম্পানি সচিব লাইলি আক্তারও অবাক হয়েছেন যখন জেনেছেন শেয়ারের দর বেড়েছে ১০ শতাংশের কাছাকাছি।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা কীভাবে সম্ভব? কোম্পানি যেমন ছিল, এখন তেমনি আছে। কোনো অগ্রগতির খবর নেই।’
তিনি বলেন, ‘লোকসানে থাকায় লভ্যাংশ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বিনিয়োগকারীদের। কিন্তু তারপরও কেন শেয়ারের দর এভাবে বাড়ছে তা জানা নেই।’
জেড ক্যাটাগরির আরেক কোম্পানি সাভার রিফ্যাক্টরিজ লিমিটেড। বিবিধ খাতে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানিটি ১৯৮৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলেও লভ্যাংশ দেয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
তারপরও বিনিয়োগকারীদের পছন্দের তালিকায় থাকা এই কোম্পানির শেয়ার দরও রোববার বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
এমন খবরে কোম্পানির সচিব বেলায়েত হোসেন খানও হতবাক হয়ে প্রশ্ন করেছেন, ‘আজও দাম বেড়েছে?’
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘কিছু ব্যক্তি আছেন যারা এ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ান। আমরা তাদের সম্পর্কে জানি না। তবে কোম্পানির কোনো অপ্রকাশিত তথ্য নেই যার কারণে শেয়ারের দর বাড়তে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কোম্পানির আগের সমস্যাগুলো এখনও আছে। কাঁচামাল কিনতে না পারা, পর্যাপ্ত গ্যাস না থাকা, চেষ্টা করা হচ্ছে ভালো কিছু করার। কিন্তু কতটুকু হবে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।’
রোববার জেড ক্যাটাগরির এই দুই কোম্পানি নয়, ছিল শ্যামপুর সুগার মিল, যার শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ফ্যামিলিটেক্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৮ শতাংশ।
বাজার বিশ্লেষকরা যা বলছেন
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আমাদের যেসব খবরাখবর আছে তার কোনো ইতিবাচক প্রভাব নেই পুঁজিবাজারে। সূচক পড়ে যাওয়ার পেছনে বিনিয়োগকারীদের আস্থার অভাব অনেক বেশি। গত ডিসেম্বরের পর বিনিয়োগকারীরা যেভাবে পুঁজিবাজারের প্রতি আস্থাশীল হয়েছিল এখন ততটা নেই।
তিনি বলেন, ‘দুর্বল কোম্পানি নিয়ে কিছু বলার নেই। কিছু বিনিয়োগকারী আছেন যারা এসব কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি করেন। কিছু দিন পর আবার এগুলোর দরপতন হয়। কিন্তু এটা সার্বিক পুঁজিবাজারের জন্য ক্ষতিকর। যারা স্বল্প সময়ে মুনাফা নিতে আগ্রহী তারা ভুলে এসব কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করতে পারে। তাই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।’
লেনদেনে বেক্সিমকো, রবি, বেট বাংলাদেশ
লেনদেনের শীর্ষে আবার ঘুরেফিরে বেক্সিমকো লিমিটেড, রবি আজিয়াটা ও বেট বাংলাদেশ-বিএটিবিসি।
বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১৩১ কোটি ৬১ লাখ টাকার। লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৫২ হাজার শেয়ার। কোম্পানির শেয়ার দর ৮৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৮০ টাকা ৫০ পয়সা।
রবির ১ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। শেয়ার দর ৪৩ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৩ টাকা ৯০ পয়সা।
বেট বাংলাদেশ- বিএটিবিসির ৩ লাখ ৩৭ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫২ কোটি টাকায়।
সবচেয়ে বেশি লেনদেনের তালিকায় ছিল সামিট পাওয়ার, লংকাবাংলা ফিন্যান্স, বেক্সিমকো ফার্মা, ওয়ালটন, জিবিবি পাওয়ারের শেয়ার।
খাতভিত্তিক লেনদেন
রোববার লেনদেন ব্যাংক খাতের ৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩টির। আর দর কমেছে ১১টির। পাল্টায়নি ছয়টির।
প্রকৌশল খাতেও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর পাল্টায়নি। তালিকাভুক্ত ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর পাল্টায়নি ২০টির, দর বেড়েছে ৯টির। বাকি ১৩টির দর কমেছে।
ব্যাংকবহির্ভূত ২৩টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ছয়টির। পাল্টায়নি চারটির। দর কমেছে ১৩টির।
বিমা খাতেও ৪৯টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে সাতটির। দর পাল্টায়নি নয়টির। আর দর কমেছে ৩৩টির।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪০৪ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৩.০৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২২২ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৮ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৬ পয়েন্টে।
লেনদেন হওয়া ৩৪৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০২টির, কমেছে ১২০টির ও পাল্টায়নি ১২৬টির দর।
ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৬৬০ কোটি টাকা। আগের কার্যদিবসে মোট লেনদেন হয়েছিল ৭৪৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ ডিএসইর লেনদেন কমেছে ৮৬ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে- সিএসই প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৪৬ দশমিক ৮০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৬০৩ পয়েন্টে।
লেনদনে হওয়া ২২৯টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৭৫টির, কমেছে ৮০টির, পাল্টায়নি ৭৪টির। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি টাকা।
আগ্রহ ও অনাগ্রহের কোম্পানি
রোববার ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, যার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
জিকিউ বলপেনের শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
নতুন শেয়ার ই জেনারেশন লিমিটেডের দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৭১ শতাংশ।
এসোসিয়েট অক্সিজেনের শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
এছাড়া এ তালিকায় ছিল দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, সোনালী আঁশ, বিডিল্যাম্প, ডোমিনেস স্টিল।
দর কমার শীর্ষে ছিল প্রাইম ফিন্যান্স, যার শেয়ার দর রোববার কমেছে ৬ দশমিক ০৮ শতাংশ।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার দর কমেছে ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
লংকাবাংলা ফিন্যান্সের শেয়ার দর কমেছে ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
গোল্ডেনসন, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, মাইডাস ফিন্যান্সও ছিল সর্বাধিক দর বৃদ্ধির তালিকায়।
আরও পড়ুন:প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ পরিকল্পনা কমিশনে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কক্সবাজার বিমানবন্দরে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে আংশিকভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরুর হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিকী।
রবিবার দুপুরে কক্সবাজার বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান তিনি।
চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিকী বলেন, 'আমরা আজকে বিমানবন্দরের দ্বিতীয় টার্মিনাল ও সাগরের বুকে নির্মিত হওয়া রানওয়ের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছি। তাতে মনে হয়েছে আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে আংশিকভাবে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, 'কত শতাংশ কাজ শেষে তা বলা না গেলেও তবে মাঝামাঝি সময়ে শুরু করা সম্ভব। যার জন্য আমাদের প্রস্তুতি শেষের পথে।
পরিদর্শনকালে কক্সবাজার বিমানবন্দরের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ ইউনূছ ভুঁইয়া, বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মোর্তজা হাসানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের ঘরে এবার বাজতে যাচ্ছে বিয়ের শানাই। তবে বোন সারা টেন্ডুলকার নয়, প্রথমেই আংটি বদল করলেন ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকার। ২৫ বছর বয়সেই বাগদান সম্পন্ন করেছেন তিনি। পাত্রী ভেটেরিনারি চিকিৎসক সানিয়া চান্দোক।
গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, পারিবারিকভাবে সম্পন্ন হওয়া এই বাগদান অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরা উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরেই অর্জুন-সানিয়ার সম্পর্ক ছিল। এর আগে একাধিকবার অর্জুনের ম্যাচে দেখা গেছে সানিয়াকে। সারার সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব রয়েছে।
সানিয়া চান্দোক ভারতের খ্যাতনামা ব্যবসায়ী রবি ঘাইয়ের নাতনি। তাদের হোটেল ও আইসক্রিম ব্যবসা রয়েছে। পশু চিকিৎসক হওয়ার পাশাপাশি সানিয়া একজন উদ্যোক্তাও। তার নিজস্ব পোষা প্রাণীর স্কিন কেয়ার ও স্পা সেন্টার পরিচালনা করেন তিনি। বয়সে তিনি অর্জুনের চেয়ে এক বছরের বড়।
অর্জুন অবশ্য বাবার মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাম করতে পারেননি। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি নিয়মিত খেলছেন গোয়ার হয়ে। ২০২৩ সালে আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে অভিষেক হয় বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের। এখনও পর্যন্ত আইপিএলে তিনি খেলেছেন ৫ ম্যাচে নিয়েছেন ৩ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৭ ম্যাচে সংগ্রহ করেছেন ৫৩২ রান ও নিয়েছেন ৩৭ উইকেট। ঘরোয়া ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ম্যাচ সংখ্যা ৪২।
আইপিএল থেকে অর্জুনের আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বর্তমানে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছ থেকে তিনি বছরে ৩০ লাখ টাকা পান। ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে আসে আরও প্রায় ১০ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে বছরে প্রায় ৪০ লাখ টাকার মতো আয় করেন তিনি।
তবে পারিবারিক সূত্রেই অর্জুনের সম্পদ এখন প্রায় ২২ কোটি টাকা। বর্তমানে তিনি থাকেন মুম্বাইয়ের সেই বাড়িতে, যেটি ২০০৭ সালে শচীন কিনেছিলেন প্রায় ৩৯ কোটি টাকায়। ছোটবেলা থেকেই বিলাসবহুল পরিবেশে বেড়ে ওঠা অর্জুনের জীবনযাত্রা তাই নিজের আয়ের সঙ্গে তুলনামূলক নয় বলেই মনে করছে গণমাধ্যম।
ধানমন্ডি ৩২ থেকে আটক রিকশাচালক মো. আজিজুর রহমানকে (২৭) হত্যা মামলার আসামি করা হয়নি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আজ রোববার ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস কর্মকর্তা মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ডিএমপির মিডিয়া সেলের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকা থেকে মো. আজিজুর রহমান (২৭) নামের এক রিকশাচালককে গত ১৫ আগস্ট আটক করা হয়। এর পরদিন সন্দেহজনক একটি মামলার আসামি হিসেবে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে মো. আজিজুর রহমানের গ্রেপ্তার ও মামলা নিয়ে অহেতুক ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, যা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আটক মো. আজিজুর রহমানকে যে মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে আদালতে পাঠানো হয়েছে, তা পেনাল কোডের একটি নিয়মিত মামলা। কিন্তু অনেকেই বিষয়টিকে হত্যা মামলা হিসেবে প্রচার করছেন, যা পুরোপুরি মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক।
এ বিষয়ে কোনোরকম বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য বিবৃতিতে অনুরোধ করে হয়।
জুলাই সনদের পূর্ণাঙ্গ, সমন্বিত ও সংশোধিত খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
খসড়াটি সম্পর্কে যে কোনো মতামত আগামী ২০ আগস্ট বিকেল ৪টার মধ্যে কমিশনের কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।
গতকাল (শনিবার) রাতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
খসড়া সনদটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এতে একটি পটভূমি, সংস্কার কমিশনসমূহ গঠন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন ও এর কার্যকলাপের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, ঐকমত্যে উপনীত হওয়া বিষয়সমূহ এবং জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আট দফা অঙ্গীকারনামা রয়েছে।
পটভূমিতে বলা হয়েছে, '১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বর্ণিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের নীতিকে ধারণ করে সংঘটিত মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠনের আকাঙ্ক্ষা বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে তৈরি হয়েছিল, দীর্ঘ ৫৩ বছরেও তা অর্জন করা যায়নি। কারণ, শাসন ব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ও সংস্কৃতি বিকাশের ধারা বারবার হোঁচট খেয়েছে।'
বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের নানা কর্মকাণ্ড উল্লেখ করে এতে আরও বলা হয়েছে, 'বিগত ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন একটি দলীয় সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে ক্রমান্বয়ে অবশিষ্ট গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে জলাঞ্জলি দিয়ে অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী চরিত্র ধারণ করতে থাকে। তারা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও সমালোচকদের গণতান্ত্রিক ও মানবাধিকার হরণ, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুম, খুন, নিপীড়ন-নির্যাতন, মামলা, হামলার মাধ্যমে একটি নৈরাজ্যকর ও বিভীষিকাময় ত্রাস ও ভীতির রাজত্ব কায়েম করে।'
খসড়ায় সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে সংসদের নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংশোধনের ক্ষেত্রে গণভোট, জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতিস্বাক্ষরের পরিবর্তে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের বিধান যুক্তকরণ, জরুরি অবস্থাকালীন সময়ে নাগরিকের জীবনের অধিকার ও ৩৫ অনুচ্ছেদে বর্ণিত মৌলিক অধিকারসমূহ খর্ব না করা, রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হওয়ার সময় কোনো ব্যক্তি কোনো রাষ্ট্রীয়, সরকারি বা রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের পদে না থাকা, একজন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী পদে যত মেয়াদ বা যত বারই হোক সর্বোচ্চ ১০ বছর থাকতে পারবেন এবং প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন ব্যক্তি একইসঙ্গে দলীয় প্রধানের পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন না - এই বিধান সংবিধানে যুক্তকরণ- ইত্যাদি বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে এসেছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, 'মেয়াদ অবসানের কারণে অথবা মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙ্গে যাওয়ার পরবর্তী নব্বই (৯০) দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানের ৫৮ (খ) সংশোধনপূর্বক সংসদের মেয়াদ অবসান হওয়ার ১৫ দিন পূর্বে এবং মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙ্গে গেলে ভঙ্গ হওয়ার পরবর্তী পনের (১৫) দিনের মধ্যে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ হবে অনধিক ৯০ দিন। তবে দৈব-দুর্বিপাকজনিত কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হলে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আরও সর্বোচ্চ ৩০ দিন দায়িত্ব পালন করতে পারবে।'
রাষ্ট্রভাষা, নাগরিকত্ব ও সংবিধান, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত, আইনসভা, বিচার বিভাগ, নির্বাচনব্যবস্থা, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ও মৌলিক অধিকার ইত্যাদি বিষয়ের মোট ৮৪টি প্রস্তাবিত দফা উল্লেখ করে এতে সুনির্দিষ্টভাবে ঐকমত্য, ও নোট অভ ডিসেন্টসহ কোন রাজনৈতিক দলের কি মতামত সেটি উল্লেখ করা হয়েছে।
সবশেষে রয়েছে 'জুলাই জাতীয় সনদ,২০২৫' বাস্তবায়নের আট দফা অঙ্গীকারনামা।
অঙ্গীকারনামার শুরুতেই বলা হয়েছে, 'যেহেতু বাংলাদেশের সাংবিধানিক কনভেনশনের অংশ হিসেবে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে কার্যত কোনো সংবিধান না থাকা সত্ত্বেও ওই সময়ের সব কার্যাবলী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১৯৭২ সালের সংবিধানে সন্নিবেশিত করে এর আইনি ও সাংবিধানিক বৈধতা প্রদান করা হয় এবং একইভাবে যেহেতু ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর গণঅভ্যুত্থানোত্তর সময়ে প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করে উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ, অতঃপর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি পদের দায়িত্ব গ্রহণ এবং পরবর্তীকালে প্রধান বিচারপতি পদে ফিরে যাওয়া সংক্রান্ত কোনো আইনি কাঠামো না থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহের রূপরেখা ও অঙ্গীকারের ভিত্তিতে ওই ধরনের কার্যাবলীকে বৈধতা দিয়ে পরবর্তী সংসদ গণ-অভ্যুত্থানে প্রদত্ত জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়ে সাংবিধানিক কনভেনশন এবং গণতন্ত্রকে সংহত করে; সুতরাং উল্লেখিত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, জনগণের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং সাংবিধানিক কনভেনশন বজায় রেখে ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে স্বাক্ষরকারীরা এই অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করবেন।'
সমন্বিত খসড়ায় থাকা অঙ্গীকারগুলো হলো-
১) জনগণের অধিকার ফিরে পাওয়া এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুদীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে হাজারো মানুষের জীবন ও রক্তদান এবং অগণিত মানুষের সীমাহীন ক্ষয়ক্ষতি ও ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত সুযোগ এবং তৎপ্রেক্ষিতে জন-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলন হিসেবে দীর্ঘ ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রণীত ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের দলিল হিসাবে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করব।
২) এই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ; তাদের অভিপ্রায়ই সর্বোচ্চ আইন এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণের অভিপ্রায় প্রতিফলিত ও প্রতিষ্ঠিত হয় রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে। এমতাবস্থায় আমরা রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহ সম্মিলিতভাবে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে জনগণের অভিপ্রায়ের সুস্পষ্ট ও সর্বোচ্চ অভিব্যক্তি হিসাবে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ প্রণয়ন করেছি বিধায় এই সনদের সকল বিধান, নীতি ও সিদ্ধান্ত সংবিধানে অন্তর্ভুক্তকরণ নিশ্চিত করব এবং বিদ্যমান সংবিধান বা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর কিছু থাকলে সেই ক্ষেত্রে এই সনদের বিধান/প্রস্তাব/সুপারিশ প্রাধান্য পাবে।
৩) এই সনদের কোনো বিধান, প্রস্তাব বা সুপারিশের ব্যাখ্যা সংক্রান্ত যে কোনো প্রশ্নের চূড়ান্ত মীমাংসার এখতিয়ার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ওপর ন্যস্ত থাকবে।
৪) ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ ’-এর প্রতিটি বিধান, প্রস্তাব ও সুপারিশ সাংবিধানিক ও আইনগতভাবে বলবৎ হিসেবে গণ্য হবে বিধায় এর বৈধতা, প্রয়োজনীয়তা, কিংবা জারির কর্তৃত্ব সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না।
৫) ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ এ বাংলাদেশের সামগ্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা তথা সংবিধান, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশি ব্যবস্থা ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থার বিষয়ে যেসব প্রস্তাব/সুপারিশ লিপিবদ্ধ রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন, লিখন ও পুনর্লিখন এবং বিদ্যমান আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন, পরিবর্তন, পরিমার্জন, লিখন, পুনর্লিখন বা নতুন আইন প্রণয়ন, প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন বা বিদ্যমান বিধি ও প্রবিধির পরিবর্তন বা সংশোধন করব।
৬) আমরা ঐকমত্যে স্থির হয়েছি যে, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম এবং বিশেষত; ২০২৪ সালের অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক তাৎপর্যকে সাংবিধানিক তথা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
৭) আমরা সম্মিলিতভাবে ঘোষণা করছি যে, রাষ্ট্র ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানকালে সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারগুলোকে যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনে ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে।
৮) আমরা এই মর্মে একমত যে, জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ এর যে সকল প্রস্তাব/সুপারিশ অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য বলে বিবেচিত হবে সেগুলো কোনো প্রকার কালক্ষেপণ না করেই পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসমূহ সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সূত্রে জানা গেছে, জুলাই জাতীয় সনদের আইনী বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা এবং তা বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে তার উপায় খুঁজে বের করার লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞজনের সাথে ইতোমধ্যেই আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এদের মধ্যে রয়েছেন দেশ-বিদেশের সংবিধান ও আইন বিশেষজ্ঞরা।
রাজধানীর লালবাগের শহীদনগর এলাকায় গণপিটুনিতে তৌফিকুল ইসলাম নামে এক যুবকের (২৬) মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্থানীয়ভাবে ‘কিলার বাবু’ ওরফে ‘টেরা বাবু’ নামেও পরিচতি।
রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় সেনা সদস্যরা ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লালবাগ থানার ওসি মোস্তফা কামাল খান সমকালকে বলেন, ‘নিহত বাবুর বিরুদ্ধে চুরি ও মাদকের ১০-১২টি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকার চিহ্নিত চোর এবং মাদক চোরাকারবারী। শনিবার রাত ২টার পরে শহীদ নগর এলাকায় লোকজন তাকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়।’
কক্সবাজার বিমানবন্দরে ক্রিকেট ব্যাট থেকে পাঁচ সহস্রাধিক ইয়াবাসহ দুইজনকে আটক করেছে বিমানবন্দরের কর্মিরা; যাদের মধ্যে একজন বিমানবন্দরের চাকুরিচ্যুত কর্মি।
রোববার সকাল সোয়া ১০ টায় বিমানবন্দরে মালামাল তল্লাশীর সময় তাদের আটকের এ ঘটনা ঘটে বলে জানান, কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াস খান।
আটকরা হল, মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা জাকির হোসেন (২৬) এবং বরিশাল জেলার বাসিন্দা তানভীর আহমদ (৩০)। এদের মধ্যে তানভীর বিমানবন্দরেক চাকুরিচ্যুত কর্মি।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টদের বরাতে ইলিয়াস খান বলেন, আটকরা বেলা ১১ টা ২৫ মিনিটের কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী ইউএস বাংলা নামের বিমান পরিবহন সংস্থার একটি ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন। তারা ফ্লাইটে উঠতে সকাল সোয়া ১০ টার দিকে বিমানবন্দরে আসেন। এসময় বিমানবন্দরের কর্মিরা যাত্রীদের মালামাল তল্লাশী কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন।
এতে ব্যাগ ও মালামাল স্কেনিং করার সময় ক্রিকেট ব্যাটের ভিতরে বিশেষ কৌশলে লুকানো অবস্থায় ৫ হাজার ১০০ টি ইয়াবা পাওয়া বলে জানান ওসি।
ইলিয়াছ জানান, আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মন্তব্য