ব্যবসা করতে হলে নারীদের সাহসী হতে হবে। তা না হলে সফল উদ্যোক্তা হওয়া যায় না বলে মনে করেন পিপলস ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদার গুডসের স্বত্বাধিকারী রেজবিন হাফিজ।
তিনি বলছেন, অর্থায়নই নারীদের ব্যবসার বড় বাধা। ব্যাংকগুলো সহজে ঋণ দেয় না, এ কারণে নানা ভোগান্তি পোহাতে হয় নারী উদ্যোক্তাদের।
ঋণপ্রাপ্তি সহজ ও নারীদের জন্য বেশি সুযোগ-সুবিধা দেয়ার আহ্বান জানিয়ে রেজবিন হাফিজ বলেন, ‘এটি নিশ্চিত করতে পারলে ব্যবসা–বাণিজ্যে উৎসাহিত হবেন নারী উদ্যোক্তারা।’
দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, উদ্যোক্তাদের সমস্যাসহ ব্যবসায়িক নানা বিষয়ে নিউজবাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন এসএমই পণ্যমেলা ২০২০-এর বর্ষসেরা এই নারী উদ্যোক্তা।
করোনা-পরবর্তী অর্থনীতি সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুর দিকে ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে পড়ে। পরে ক্ষতি কাটিয়ে উঠে দেশের অর্থনীতি ক্রমেই ভালোর দিক যাচ্ছে। বিশেষ করে কৃষি, রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয় ইতিবাচক ধারায় ফিরে এসেছে। অর্থনীতির বাকি সূচকগুলোও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। আশা করছি, চলতি বছরেই আগের চেহারায় ফিরে যাবে অর্থনীতি।
করোনার কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জে পড়েন। তাদের পক্ষে টিকে থাকা কঠিন। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন মেলার আয়োজন করছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। আবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করছে। ছোট-বড় মার্কেট, শপিং মল খুলে দেয়ায় ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে গতি বাড়ছে। উদ্যোক্তারা যেসব পণ্য উৎপাদন করেন সেগুলো যদি ঠিকমতো বাজারজাত করা যায়, তাহলে অচিরেই প্রাণ ফিরে পাবে অর্থনীতি।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। এ অর্জন আপনি কীভাবে দেখছেন?
করোনার মধ্যেও প্রবাসীরা রেকর্ড রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। আমদানি-ব্যয়ও আগের তুলনায় কমে গেছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। করোনা মহামারির মধ্যে রেমিট্যান্স ৪৪ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অর্জন করে। এটা অবশ্যই অর্থনীতির জন্য সুখবর।
অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ কি যথেষ্ট?
প্রণোদনার অর্থ যদি ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের মাঝে সঠিকভাবে বিতরণ করা হয়, তাহলে সরকার যে পরিমাণ সহায়তা ঘোষণা করেছে সেটা যথেষ্ট। তবে আরও সহায়তা পেলে ভালো হতো। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ঋণ বিতরণে স্বচ্ছতা থাকতে হবে। যারা খুব সামান্য পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করেন, তারা যেন এ অর্থ পান সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ সুবিধার বিষয়ে আপনার মত কী?
প্রণোদনা প্যাকেজে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ দেয়া উচিত। কারণ, এখন নারীরা ব্যবসায় বেশ ভালো করছেন। তারা ব্যবসায় এগিয়ে আসছেন। সেক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার দেয়া খুবই জরুরি।
নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা করার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা কী?
নারী উদ্যোক্তাদের কয়েকটি বাধা রয়েছে। প্রশিক্ষণ অন্যতম সমস্যা। তাদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। এটা না হলে ব্যবসা শুরুর পর নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়।
এর সঙ্গে আছে সামাজিক বাধা, যদিও এটা আগের চেয়ে অনেক কমেছে। পারিবারিক ও সামাজিকভাবে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে। তবে একজন নারী ব্যবসা করতে পারবে কি না, সে বিষয়ে পরিবার ও সমাজের সহযোগিতা আরও বেশি প্রয়োজন।
অর্থায়ন নারীর ব্যবসার ক্ষেত্রে বড় বাধা। অবশ্য বর্তমান সরকার উদ্যোক্তাবান্ধব হওয়ায় এ সমস্যার কিছুটা লাঘব হয়েছে। নারীদের এগিয়ে নিতে অনেক কাজ করছে সরকার। তরুণ ও নারী উদ্যোক্তারা যাতে সহজে ঋণ পেতে পারেন, সেজন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বিসিক, এসএমই ফাউন্ডেশনসহ অন্য ঋণদানকারী সংস্থা। তবে ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়ার প্রক্রিয়া আরও সহজ করা দরকার।
বাংলাদেশে ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে পদে পদে বাধার অভিযোগ রয়েছে। আপনি কী মনে করেন?
ব্যবসার জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস খুব জরুরি। দ্রুত এটা চালু হলে উদ্যোক্তারা সুফল পাবেন। কারণ, এক জায়গায় সব সেবা পাওয়া গেলে সহজে শুরু করা যায়।
গ্রাম পর্যায়ে প্রশিক্ষণ বাড়াতে হবে। আমাদের কাজের সুযোগ আছে, অনেকে উদ্যোক্তা হতে চান, কিন্তু প্রশিক্ষণের অভাবে সেটা হতে পারেন না। সরকারি বিভিন্ন সংস্থা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও প্রত্যেককে নিজের জায়গা থেকে উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। একজন উদ্যোক্তা হয়ে উঠলে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়।
করোনার প্রভাবে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে উদ্যোক্তারা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। বিসিক, এসএমই ফাউন্ডেশনসহ প্রতিষ্ঠানগুলোকে উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা দিতে হবে।
উদ্যোক্তা মানে যোদ্ধা। সাহসী না হলে উদ্যোক্তা হওয়া যায় না। ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে অর্থায়ন বড় বাধা। এ জন্য ঋণ প্রয়োজন, কিন্তু ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে গেলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বলা হয়, ব্যাংকের ঋণ পাওয়া অনেক সহজ, কিন্তু ঋণ নিতে গেলে দেখা যায় নানা ভোগান্তি।
জামানত ছাড়া নারীদের কিছু খাতে ঋণ দেয়া হয়। এর পরিধি আরও বাড়াতে হবে। উদ্যোক্তা উৎসাহিত করতে ঋণ পাওয়া আরও সহজ করতে হবে।
করোনার প্রাদুর্ভাবে দেশের চামড়াশিল্পে কী প্রভাব পড়েছে?
অন্যান্য ব্যবসা-বাণিজ্যের মতো চামড়াশিল্পেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ খাতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ক্রয় আদেশ বাতিল হয়। এখন খাতটি ধীরে ধীরে ক্ষতি কাটিয়ে উঠছে। করোনা যে এত দীর্ঘ হবে, তা কেউ ভাবেনি।
সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের কারণে এসব শিল্প ঘুরে দাঁড়িয়েছে। চামড়া রপ্তানি আয়ের অন্যতম খাত। বিশেষ সুবিধা দিলে আরও ভালো করতে পারবে এ শিল্প।
দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে নারীরা কতটুকু এগিয়েছেন?
গত ১০ বছরের চিত্র দেখলে বোঝা যায় নারীরা কীভাবে সাফল্য অর্জন করেছেন। ২০১২ সালে যখন উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ শুরু করি, তখনকার পরিবেশ আর এখনকার পরিবেশ আলাদা।
বর্তমানে অনেক সংগঠন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য কাজ করছে। বর্তমান সরকার নারীবান্ধব অনেক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ডিজিটালাইজেশনের কারণে সারা বিশ্ব হাতের মুঠোয় চলে এসেছে।
এখন ইচ্ছা করলে অনলাইনে পেজ খুলে ব্যবসা করা যায়। কয়েক বছর আগেও এটা সম্ভব ছিল না। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। নারীরা এখন ঘরে বসে ফেসবুকে পেজ খুলে পোশাক, প্রসাধনী থেকে শুরু করে গৃহস্থালিসহ সব কিছুর ব্যবসা করতে পারছেন। ফলে অর্থনীতিতে নারীর সম্পৃক্ততা দিন দিন বাড়ছে।
একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হতে হলে কী করতে হবে?
আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। অদম্য মনোবল থাকতে হবে। যে ধরনের উদ্যোক্তা নারী হতে চান, সে বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। ধৈর্য, আত্মবিশ্বাস, মনোবল থাকলে যেকোনো কাজে সফলতা আসবে।
আগামী বাজেটে কোন বিষয়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া উচিত?
করোনা মহামারির কারণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তা, হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহনশ্রমিক, রিকশাচালক, দিনমজুরসহ বিভিন্ন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এ জন্য কর্মসংস্থানে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে আগের তুলনায় বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে।
নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিতে হবে। তাহলে নারীরা ব্যবসা-বাণিজ্যে আরও উৎসাহিত হবেন। এ ছাড়া উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনে কৃষি, শিল্প, সেবা খাতকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
আরও পড়ুন:গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মাঝে অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব উপকরণ বিতরণ করা হয়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের উদ্যোগে স্পেশাল অ্যাডুকেশন নিডস অ্যান্ড ডিজাবিলিটিস (সেন্ডর) কার্যক্রম বাস্তবায়নের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের মাঝে অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ডা. তামান্না তাসনীম।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার রমিতা ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে শিশুদের মাঝে ৪ জনকে হুইল চেয়ার, ২ জনকে শ্রবণ যন্ত্র, ১০ জনকে চশমা ও একজনকে জুতা জোড়া প্রদান করা হয়।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রমজান আলী, লুৎফুন্নেছা, মনিরা খাতুন, আরিফুল ইসলাম, কাপাসিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেলী নাসরিন, একডালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন ভূঁইয়া, ধরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতিকুল ইসলামসহ শিশুদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
নতুন কর্মস্থল নড়াইলে যোগদান করেছেন পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম। মঙ্গলবার তিনি যোগদান করেন। তার ব্যক্তিগত প্রোফাইল সূত্রে জানা গেছে মো. রবিউল ইসলাম ২০০৬ সালে ২৫তম বিসিএস হিসেবে পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। তিনি ৩ বছর র্যাব বিভাগে দায়িত্ব পালন করার পর বরিশাল সদরে এএসপি (সার্কেল) হিসেবে ২ বছর ছিলেন। দুবার জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে কাজ করেন। এছাড়া ২০১৩-১৪ এবং ২০১৭-১৮ এই দুবার আফ্রিকার মুসলিম দেশ সুদানে শান্তি মিশনে যাওয়ার সুযোগ পান। নড়াইলে জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে প্রথম দায়িত্ব পেলেন এই মেধাবী পুলিশ কর্মকর্তা। শিক্ষাগত জীবনে তিনি ২০০২ সালে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি অনুষদ থেকে স্নাতক ও ২০০৪ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
পুলিশ ক্যাডার হিসেবে প্রথম বারের মতো একটি জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ায় অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি মহান সৃষ্টিকর্তার ওপর অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, পুলিশ সুপারের মতো গুরু দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকব। এ পেশাটি একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা বলে তিনি মনে করেন। নড়াইল জেলার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রাণপন চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দেন। এ জন্য তিনি নড়াইলবাসীর সার্বিক সহযোগিতাও কামনা করেছেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শুনেছি নড়াইল একটি শিল্প, সাংস্কৃতিক, রাজনীতি, মুক্তিযোদ্ধা, ক্রীড়াঙ্গনে মোড়ানো একটি ঐতিহ্যমণ্ডিত জেলা। বিশ্বখ্যাত মানবদের বাস এখানে । প্রতিটি সেক্টরে তাদের সরব বিচরণ থাকায় এই জেলা বিশ্বায়নে ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছে। এ জন্য তিনি ওই সকল গুণী মানুষদের শ্রদ্ধা ও সালাম জানান। তিনি আশা করেন, নড়াইলের মানুষ তার কর্মকাণ্ডে সার্বিক সহযোগিতা করলে নতুন মাত্রায় এই জেলাকে নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন।
জামালপুরে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার এ উপলক্ষে র্যালি ও সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল জামালপুর জেলা শাখা। শহরের স্টেশন রোডস্থ জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে তমালতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আয়োজিত সমাবেশে জেলা মহিলা দলের সভাপতি মোছা. সেলিনা বেগমের সভাপতিত্বে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মোছা. ছাঈদা বেগম শ্যামাসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় বক্তারা বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ১৫ বছর সাধারণ মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল। এখন বাংলাদেশের মানুষ তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অধীর অপেক্ষায় বসে আছে। তাই আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান বক্তারা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ৩১ দফা ঘোষণা করেছেন। ৩১ দফার মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তের পরিবর্তনের কথা বলা আছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যদি ক্ষমতায় যেতে পারে তাহলে ‘পরিবার কার্ড’ করা হবে, সরকার প্রতিটি পরিবার কার্ডে যত সুযোগ-সুবিধা দেবে তা পরিবারের মহিলা সদস্যদের মাধ্যমে প্রদান করা হবে।
‘সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছি বলে কভু অভাব জিনিসটা চোখে পড়েনি। আমার ঠাকুর দা, রামধন ছিলেন জমিদার। বাবা কেশব চন্দ্র ধর- ছিলেন জমিদার পুত্র। ঠাকুর দা মারা যাওয়ার পর জমিদারির হাল ধরেন বাবা। যদিওবা ঠাকুরদার হাতে গড়া আমাদের জমিদার বাড়িতে আমার জন্ম। জন্মের পর থেকে দেখেছি আমার পরিবারের জমিদারির প্রভাব। প্রথমে ঠাকুরদা। পরে বাবার! বাবা কেশব চন্দ্র ধর ১৯৫৫ সালের ৬ জুন মারা যান। বাবা যতদিন ছিলেন ততদিন জমিদারি ছিল। কিন্তু এখন আর সে জমিদারি নেই। এইদিন দেখতে হবে তা কখনো কল্পনাও করিনি! কি দিন ছিল আর কি হয়ে গেল! যে জমিদার বাড়ীতে শতাধিক কর্মচারি বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত থাকত, সে বাড়িতে আমরা কয়েকজন বসবাস করি। ‘কান্না জড়িত কন্ঠে এভাবে এদিন আর সেদিনের কথা বলছিলেন রামধন জমিদারের নাতনি একাশি বছরের বৃদ্ধা ছবি ধর।
এক সময়ের প্রভাবশালী জমিদার বাড়ির পরিদর্শনকালে জানা যায়, সেদিনের ইতিহাস আর আজকের বাস্তবতা! জমিদার বাড়ি মানেই্ অপূর্ব কারু কাজ করা বিশাল ভবন। গেইট থেকে শুরু করে বিশাল ভবনের দেওয়ালগুলোর পরতে পরতে সৌন্দর্যের ছোঁয়া। ইতিহাস ও ঐতিহের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এক নাম। অন্য বাড়ীর চেয়ে একটু হলেও বেশি সৌন্দর্য খুঁজে পাওয়া যায় রাউজানের ডাবুয়া এলাকার রামধন জমিদার বাড়ি।
রাউজান উপজেলার প্রভাবশালী জমিদারদের মধ্যে একজন ছিলেন রামধন জমিদার। অগাদ বিত্তের জমিদার রুপার থালা, বালতি, কেঁতলি ব্যবহারসহ অভিজাত শ্রেণির ভোগবিলাসীতা জীবন যাপনের তাদের কথা সর্বজন স্বীকৃত। তার শাসন আমলে জমির খাজনা আদায় করে ব্রিটিশ সরকারের নিকট প্রদান করা হতো। যদিওবা প্রজাদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থের একটি বড় অংশ জমিদাররা ব্যয় করত নিজেদের প্রমোদ ও বিলাসীতায়। তৎকালীন রুপার টাকা দ্বারা খাজনা আদায় করা হতো। খাজনা প্রদানকারী প্রজাদের উৎসাহিত করতে এক জোড়া নারকেল, একবিড়া পান আর বাতাশা প্রদান করা হতো। রাউজান উপজেলার ডাবুয়া এলাকার শাসনভার ছিল রামধন জমিদারের নিকট। এলাকার লোকজন জমির খাজনা প্রদানে ব্যর্থ হলেই জমির মালিক হতেন জমিদার নিজেই। আর সেই সুযোগকে কাজে লগিয়ে জমিদার গড়ে তুলেছিল দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য কৌশলে বহুব্যয়ে নির্মিত রামধন ভবন। এছাড়াও আশপাশে পুকুর, রমধর দিঘী, বাড়ির সামনে তোরণ, চুন সুরকি দিয়ে তৈরি কাচারিঘর, জমিদারের আনন্দ মহল, নাচখানা ও মন্দির। কালের বিবর্তনে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া জমিদার বাড়িটি ধ্বংসস্তূপের মাঝে টিকে আছে। জমিদার বাড়ির কিছু অংশ সংস্কার করে রামধরের নাতি-নাতনিসহ কয়েকজন বংশধর বসবাস করেন। জমিদার রামধর ও রামগতি ধরের বংশ ধরের মধ্যে অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে ও রাজধানীতে বসবাস করছেন। পূজার সময় কিংবা পরিবারিক অনুষ্ঠানে তারা এখানে আসেন। জমিদার বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত ভবন, মন্দির দিঘী এখনো জমিদারের স্মৃতি বহন করছে।
জানা গেছে, ডাবুয়া জগন্নাত হাট, ডাবুয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, চিকদাইর পুলিশ ফাড়ি সহ রাউজান আর আর এসি মডেল হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদান রয়েছে এ জমিদার বংশের।
তথ্য সূত্র মতে, ১৭৫৭ সালের পলাশী যুদ্ধের পর ১৭৬০ সালের ১৫ অক্টোবর তৎকালীন নবাব মীর কাসেমের মোহরাঙ্কিত সনদের মাধ্যমে চট্টগ্রামকে সমর্পন করেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হাতে। এর পর থেকে রাউজান ব্রিটিশ শাসনের অধীনে আসে। মধ্যযুগে চট্টগ্রামে বহু ছোট-খাঁটো জমিদারের উদ্ভব হয়েছিল।
ফলে এখানে দুর্গরক্ষী যে সকল সৈন্যদের রাখা হতো বেতনের পরিবর্তে তাদের জন্য কিছু কিছু জমি বরাদ্ধ করা হতো। সামরিক জায়গার প্রথা উঠে যাওয়ার পর সকল জমির খাজনা সৃষ্টি করা হয়েছিল। আসলে জমিদারি কিংবা ক্ষমতা সব সময় ক্ষণস্থায়ী। জমিদারির জৌলুস যে কতটা আরামদায়ক তার অবসান ঘটলেই বোঝা যায় আসলে কতটা বেদনাদায়ক। এমন কথাই মুখে মুখে ফিরছিলো জমিদার বাড়িতে আসা অনেকের।
দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই আসছে ভারতীয় চাল। গত ২১ আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭১ টি ভারতীয় ট্রাকে মোট ২ হাজার ৪৮৫ টন চাল এই স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে। সরকারের ইতিবাচক সিদ্ধান্তের ফলে দেশে চাল আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আমদানি স্বাভাবিক থাকলে ও বাজারে দামের কোনো প্রভাব নেই। আগের সেই বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বন্দরের চাল আমদানিকারকরা জানান, চাল আমদানিতে সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তারা আমদানি অব্যাহত রেখেছেন। যার কারণে বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে ভারত থেকে বিপুল পরিমাণে চাল দেশে ঢুকছে। তবে দামের কোন পরিবর্তন দেখা যাচ্ছেনা।
জানা গেছে, প্রায় দুমাস আগে ইরি-বোরো মৌসুম শেষ হয়েছে। কিন্তু দেশে পর্যাপ্ত ধানের আবাদ হলেও দেশের বাজারে হঠাৎ করেই দাম বাড়তে থাকে। তাই দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই সরকার বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নাগালের মধ্যে রাখতে চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই অবস্থায় গত ১২ আগস্ট আমদানিকারকদের নামে বরাদ্দ ইস্যু করে চাল আমদানি করার জন্য অনুমতি দেয়। এরপর ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে মেসার্স উষা ট্রেডিং, মেসার্স মৌসুমী ট্রেডার্স, মেসার্স হাজী মুছা করিম এন্ড সন্স, মেসার্স গণী এন্টারপ্রাইজ এবং মেসার্স প্রিয়ম এন্টারপ্রাইজ নামের আমদানিকারকরা সাধারণত ভারত থেকে চাল আমদানি করছেন।
প্রসিদ্ধ চাল আমদানিকারক গণী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আব্দুস সামাদ জানান, তার প্রতিষ্ঠানের নামে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে চাল আমদানি করা হচ্ছে। ভারত থেকে চাল আসা শুরু হওয়ায় পাইকারী ও খুচরা বাজারে কিছুটা দাম কমেছে। এভাবে আমদানি অব্যাহত থাকলে আরও দাম কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি সরকারের কাছে চাল আমদানি অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন।
নাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, চার মাস বন্ধ থাকার পর পুনরায় বেনাপোল বন্দরে চাল আমদানি শুরু হওয়ায় বন্দরটিতে আবার কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। আশা করা যাচ্ছে এবার চালের দাম কমে আসবে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন কবীর তরফদার বলেন, গত দুই সপ্তাহে ৭১ ট্রাকে ২ হাজার ৪৮৫ টন চাল ভারত থেকে আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে ২১ আগস্ট ৯ টি ট্রাকে ৩১৫ টন, ২৪ আগস্ট ৬ ট্রাকে ২১০ টন, ২৭ আগস্ট দুটি চালানে ১২ ট্রাকে ৪২০ টন, ২৮ আগস্ট ৩ ট্রাকে ১০৫ টন, ৩০ আগস্ট ৬ ট্রাকে ২১০ টন, ৩১ আগস্ট ৬ ট্রাকে ২১০ টন, ১ সেপ্টেম্বর ১২ ট্রাকে ৪২০ টন, ২ সেপ্টেম্বর ১৪ ট্রাকে ৪৯০ টন, ৩ সেপ্টেম্বর ৩ ট্রাকে ১০৫ টন এবং গত সোমবার রাত ১১ টার দিকে ৬ ট্রাকে ২১০ টন চাল আমদানি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমদানিকৃত চাল দ্রুত ছাড়করণের জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল এই বন্দর দিয়ে সর্বশেষ চাল আমদানি হয়েছিল।
সেপটিক ট্যাংকের ঝুঁকি ও করণীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। আজ ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ গুলশান-২ এ শান্তা হোল্ডিংস কর্তৃক ১৬ তলা নির্মাণাধীন একটি ভবনে নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য এ সংক্রান্ত একটি প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এতে ৭৫ জন নির্মাণ শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক জনাব মোঃ ছালেহ উদ্দিন, বিএফএম (এস), সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান, পিএফএম; নির্মাণাধীন ভবনের চিফ প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অফিসার মেজর (অবঃ) হাফিজ আল আসাদ ও অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
বেলা ১২:৩০ ঘটিকায় তত্ত্বীয় আলোচনা শেষে স্মোক ইজেক্টর ও এয়ার ভেন্টিলেটর ব্যবহার করে কিভাবে সেপটিক ট্যাংকে বাতাস দেয়া যায় বা কিভাবে সেপটিক ট্যাংক হতে ভেতরে থাকা দূষিত বাতাস বা গ্যাস অপসারণ করা যায় তা প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে কিভাবে আগুন নেভানো যায় এবং গ্যাস সিলিন্ডারের আগুন কিভাবে নেভানো যায় তার কৌশল প্রদর্শন ও চর্চা করানো হয়। দুপুর ১৩:০০ ঘটিকায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট মুন্সীগঞ্জে একটি সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করার সময় ৩ জন শ্রমিক নিহত হন। এছাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের হিসাব অনুযায়ী গত ৫ বছরে সেপটিক ট্যাংক ও সুয়ারেজ লাইন দুর্ঘটনায় ২২৮ জন নিহত হয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) ঢাবির কার্জন হলের ভেতরে সংবাদ সংগ্রহ করার সময় তরিকুল শিবলী (৪০) নামে এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি চ্যানেল এস টেলিভিশনের সিটি রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সেখানে উপস্থিত এক সাংবাদিক জানান, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (ডাকসু) ঢাবির কার্জন হলের ভেতরে সংবাদ সংগ্রহ করার সময় লাইভে ছিলেন তরিকুল শিবলী। হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ে যান। পরে তার সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তরিকুল শিবলীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানায়। বর্তমানে উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন বলে জানা গেছে।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, চিকিৎসক জানিয়েছেন যে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
মন্তব্য