টানা পাঁচ কার্যদিবস পর উত্থানে ফিরল পুঁজিবাজার। লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমলেও লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে।
এমন উত্থানে পতনের হারিয়ে যাওয়া দর কিছুটা ফিরে পেলেও এখনও বহু শেয়ারে বড় অংকের লোকসানে বিনিয়োগকারীরা।
সোমবার লেনদেনের শুরুর দিন সূচক কমেছিল ৯০ দশমিক ৭৭ পয়ন্টে। মঙ্গলবারও সূচক কমেছে ৬৭ দশমিক ৫ পয়েন্ট। এটা শুধু চলতি সপ্তাহের হিসাবে। আগের সপ্তাহের শেষের তিন কার্যদিবস টানা সূচক ও লেনদেন কমেছে পুঁজিবাজারে।
বুধবার ডিএসইর সূচক বেড়েছে ৬৭ দশমিক ৯২ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে ৫৩০ কোটি টাকা।
টানা পতনের মুখে প্রশ্ন উঠে পুঁজিবাজারে মার্চেন্ট ব্যাংকসহ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগাকারীদের অবস্থান নিয়ে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলেছেন, পতনের পুঁজিবাজারে উত্থানে দায়িত্ব থাকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের উপর। অথচ তারাই পুঁজিবাজারে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।
এ বিষয়ে বাজারবিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পতনের পর এমন উত্থান স্বাভাবিক। তবে তা কতদিন স্থায়ী হয় সেটাই দেখার বিষয়।’
তিনি বলেন, ‘এ উত্থান স্থায়ী হওয়া নিয়ে সংশয়ের কারণ হচ্ছে, পুঁজিবাজারে যেসব প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কার্যকর থাকার কথা তারা সেভাবে নেই। ফলে পুঁজিবাজারের উত্থান স্থায়ী হচ্ছে না।’
ডিএসই ব্রোকার হাউজগুলোর সংগঠন ডিএসই ব্রোকারেজ এসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারের পতনের সময়ে সাধারণ বিনিয়োগাকারীদের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। কিন্ত এখানে একপক্ষ কিনবে, আরেক পক্ষ বিক্রি করবে, এভাবে লেনদেন চলে। কিন্ত একপক্ষ বিক্রি করে আরেক পক্ষ যদি না কেনে তাহলে লেনদেন হবে না।’
তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারের দর পতনের মধ্যেই মুনাফা থাকে। আর আমরা দর কমে গেলে শেয়ার কেনা বন্ধ করে দেই।’
উত্থানেও বড় লোকসান বহু শেয়ারে
১৫ ফেব্রুয়ারি রবির শেয়ার প্রতি দর ছিল ৪৬ টাকা। পাঁচ কার্যদিবস টানা দর পতনে নেমেছে ৩৬ টাকা ৮০ পয়সায়। বুধবার সেই শেয়ারের দর বেড়ে হয়েছে ৩৮ টাকা ২০ পয়সা। একদিন আগে যারা রবির শেয়ার কিনেছে তারা ৩৯ টাকা ৩০ পয়সায় শেয়ার পেয়েছে। ফলে পুঁজিবাজারের এমন উত্থানেও রবিতে শেয়ার প্রতি লোকসান এখন এক টাকা ১০ পয়সা।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বেট বাংলাদেশ-বিএটিবিসি শেয়ার প্রতি দর ছিল ১ হাজার ৬২৫ টাকা। বুধবার শেয়ার প্রতি দর কিছুটা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৫২২ টাকা। এক সপ্তাহের আগের তুলনায় এখনও এই শেয়ারে লোকসান ১০৩ টাকা।
বেক্সিমকোফার্মার শেয়ার দরও টানা পাঁচ কার্যদিবস ধরে কমেছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি শেয়ার প্রতি দর ছল ১৯৪ টাকা ৫০ পয়সা। বুধবার দর বেড়ে হয়েছে ১৮০ টাকা ২০ পয়সা। মানে এখনও লোকসানে ১৪ টাকা ৩০ পয়সা।
১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্রমাগত কমছে লংকাবাংলা ফিন্যান্সের শেয়ার দর। সেদিন শেয়ার প্রতি দর ছিল ৩৯ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার শেয়ার দর বেড়ে হয়েছে ৩৪ টাকা ৪০ পয়সা। ফলে সূচকের উত্থান হলেও বিনিয়োগকারীরা লোকসানে ৪ টাকা ৭০ পয়সা।
স্কয়ার ফার্মার শেয়ার দরও ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কমছে। ২২৬ টাকা ৬০ পয়সা। বুধবার দর বেড়ে হয়েছে ২১৪ টাকা ১০ পয়সা। ফলে এমন উত্থানেও বিনিয়োগকারীদের শেয়ার প্রতি লোকসান ১২ টাকা ৫০ পয়সা।
মীর আকতার হোসেন লিমিটেডের শেয়ার দর ১৭ ফেব্রুয়ারি ৮৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে ক্রমাগতভাবে কমে হয় ৭৪ টাকা ৩০ পয়সা। বুধবার দর বেড়েছে হয়েছে ৭৮ টাকা। এ সময় পর্যন্ত যেসব বিনিয়োগকারী শেয়ার ধরে রেখেছেন তার শেয়ার প্রতি লোকসান এখনও ৯ টাকা ৮০ পয়সা।
বিনিয়োগকারী আসলাম ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পাঁচ দিনের সূচক ও লেনদেনের পতনের সিংহভাগ বিনিয়োগকারী আতঙ্কিত হয়ে হয়ে শেয়ার বিক্রি করেছেন কিংবা নতুন বিনিয়োগ করেনি। ফলে যারাই বিনিয়োগ করেছে বা শেয়ার ধরে রেখেন তার খুব কোম্পানিতে মুনাফা পেয়েছেন।’
কেমন ছিল ব্ল চিপ কোম্পানির লেনদেন
পুঁজিবাজারে বাছাই করা ৩০টি সবচেয়ে ভালো কোম্পানির মধ্যে দুটির দর কমেছে, চারটির দর পাল্টায়নি। বাকি ২৪টি শেয়ারের দর বেড়েছে।
দিন শেষে ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩৮ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৬ পয়েন্টে।
এই সূচকে অন্তর্ভূক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে বিকন ফার্মার, ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। কোম্পানিটির ১৮ লাখ ৪০ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ২৭ লাখ টাকায়।
বিএসআরএম লিমিটেডের শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এদিন কোম্পানিটির এক লাখ ১৭ হাজার ১৮৩টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৫ লাখ টাকায়।
লংকাবাংলা ফিন্যান্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ। এদিন কোম্পানির শেয়ার ৩৪ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৬ টাকা ৪০ পয়সা।
জিএসপি ইস্পাতের শেয়ার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ দর বেড়েছে। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
তিন কোম্পানির লেনদেনে অবদান ৩৮ শতাংশ
লেনদেনে গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে এগিয়ে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেড বুধবারও ছিল শীর্ষে। লেনদেন এককভাবে এই কোম্পানির ২৩ শতাংশ অবদান ছিল। বাকি দুটি কোম্পানির মধ্যে রবি ও বেট বাংলাদেশ-বিএটিবিসির অবদান ছিল ১৫ শতাংশ।
বুধবার বেক্সিমকো লিমিটেডের এক কোটি ৪৬ লাখ ৪৬ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২৪ কোটি ১২ লাখ টাকায়।
রবির এক কোটি ১৭ লাখ ৫৭ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি টাকায়।
বেট বাংলাদেশ-বিএটিবিসি’র ২ লাখ ২৬ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকায়।
বেক্সিমকোফার্মার ১৩ লাখ ৬৫ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি টাকায়।
লংকাবাংলা ফিন্যান্সের ৬২ লাখ ৪৭ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৫১ লাখ টাকায়।
খাতভিত্তিক লেনদেন
বুধবার লেনদেনে প্রায় সব খাতের কোম্পানির শেয়ারের দর তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে বিমা খাতের শেয়ারের দর বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।
ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত ৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ১২টির। আর দর কমেছে পাঁচটির। পাল্টায়নি ১৩টির।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৫টির, দর কমেছে দুটির। দর পাল্টায়নি চারটির।
প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর পাল্টায়নি ১৮টির, দর বেড়েছে ২২টির। বাকি দুটির দর কমেছে।
ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির। পাল্টায়নি চারটির। দর কমেছে তিনটির।
বিমা খাতে তালিকাভুক্ত ৪৯টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৪৬টির। দর পাল্টায়নি দুটির, কমেছে একটির।
সূচক ও লেনদেন
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের-ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৭ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৮৫ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১৩ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২২০ পয়েন্টে।
লেনদেন হওয়া ৩৪৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৯০টির, কমেছে ৩৫ টির ও পাল্টায়নি ১১৮টির দর।
লেনদেন হয়েছে ৫৩০ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৯১ কোটি টাকা। এ হিসেবে একদিনের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৬১ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে- সিএসই প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২০৭ দশমিক ০২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৫৯০ পয়েন্টে।
লেনদনে হওয়া ২১৬টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১২টির, কমেছে ৪৮টির ও পাল্টায়নি ৫৬টির। লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি টাকা।
আগ্রহ ও অনাগ্রহের কোম্পানি
দর বৃদ্ধির দিক দিয়ে বুধবার শীর্ষে ছিল দ্বিতীয় দিনের লেনদেনে থাকা ই জেনারেশন লিমিটেড। দ্বিতীয় দিনেও কোম্পানিটির দিনের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ দর বেড়েছে ১৫ টাকা শেয়ার হয়েছে সাড়ে ২২ টাকা। বৃহস্পতিবার থেকে কোম্পানিটির স্বাভাবিক ১০ শতাংশ করে শেয়ার দর বাড়তে বা কমতে পারবে।
দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিকনফার্মা, যার শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯২ শতাংশ। রবির শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। জেএমআই সিরিঞ্জের শেয়ার দর বেড়েছে ৭.৮২ শতাংশ।
অপরদিকে এদিন দর পতনের দিক দিয়ে শীর্ষে ছিল এনসিসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, যার দর কমেছে ৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
জিলবাংলা সুগারের দাম কমেছে ৪.২৮ শতাংশ। ইউনিলিভারের ৩.২৮ শতাংশ, ফার্স্ট ফিন্যান্স ইনভেস্টমেন্টের দর কমেছে ২.৫৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন:অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস এক্সপো ২০২৫-এ যোগদানের জন্য ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) ৯ সদস্যের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছে।
এই এক্সপো ১ ও ২ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি মেসোনিক সেন্টারে (এসএমসি) অনুষ্ঠিত হবে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ডিসিসিআই বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সফরকালে অস্ট্রেলিয়ান ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক সহযোগিতার সুযোগ অনুসন্ধান করবেন। পাশাপাশি অনুষ্ঠানে পণ্য প্রদর্শনী, নেটওয়ার্কিং সেশন, বিটুবি মিটিং এবং বিষয়ভিত্তিক সেমিনারে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে। যেখানে বাংলাদেশের পণ্য ও সেবার প্রসার, আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব শক্তিশালী করা এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ পাবে।
এক্সপোতে তৈরি পোশাক, জুতা, পাটজাত পণ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস, মেডিকেল ডিভাইস, তথ্যপ্রযুক্তি, শিক্ষা, খাদ্য ও ফলমূল, পর্যটন, কৃষি, ফার্নিচার, হস্তশিল্প এবং রিয়েল এস্টেট প্রভৃতি বিষয়র ওপর প্রাধান্য দেওয়া হবে।
ডিসিসিআই থেকে অংশগ্রহণকারী ৯টি প্রতিষ্ঠান হলো: টেক্সট্রেড করপোরেশন, ফিঙ্গারটাচ সার্ভিসেস, ফারইস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড, পেন্টাগন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, চৌধুরী শাজ্জাদ মনোয়ার চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস, নায়িশা এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, টোরি ক্রেডিট রিপোর্টস অ্যান্ড কালেকশনস লিমিটেড, টেকফিনা বিপিও অ্যান্ড করপোরেট অ্যাডভাইজারি লিমিটেড এবং আল-আরাফাহ পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানি এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক সম্প্রসারণ সংক্রান্ত প্রস্তাবসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদনের সুপারিশ করেছে।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয় ও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করা হয়।
কমিটি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মাধ্যমে দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষে ডিএপি ও টিএসপি সার আমদানির পাঁচটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদনের সুপারিশ করে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চীনের ব্যানিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং লিমিটেড থেকে ৩৭৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার (৩য় লট) আমদানি করা হবে। যার প্রতি মেট্রিক টনের দাম ধরা হয়েছে ৭৭২ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার।
এছাড়া, মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে ২১৫ কোটি ২৮ লাখ টাকায় (প্রতি টন ৫৮৫.৩৩ ডলার) ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার (৬ষ্ঠ লট), ২১৫ কোটি ২৮ লাখ টাকায় (প্রতি টন ৫৮৫.৩৩ ডলার) ৩০ হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার (৭ম লট), ৩৭২ কোটি ৮৬ লাখ টাকায় (প্রতি টন ৭৬০.৩৩ ডলার) ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার (৫ম লট) এবং ৩৭২ কোটি ২৫ লাখ টাকায় (প্রতি টন ৭৬০.৩৩ ডলার) ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার (৬ষ্ঠ-ঐচ্ছিক ১ম লট) আমদানি করা হবে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কৃষকদের জন্য সারের সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে চীন ও মরক্কোর সঙ্গে সরকারের নিয়মিত রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির অংশ হিসেবে এই আমদানি করা হবে।
এছাড়াও আজকের ক্রয় কমিটি সভা সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘আশুগঞ্জ নদীবন্দর-সরাইল-ধরখার-আখাউড়া স্থলবন্দর মহাসড়ককে ৪-লেন জাতীয় মহাসড়কে উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের প্যাকেজ নং ডব্লিউপি-০১ (পার্র্ট-১) এর আওতায় আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বর থেকে সরাইল গোলচত্ত্বর পর্যন্ত (১১.৫৬ কিলোমিটার) সড়ক নির্মাণ কাজের ভেরিয়েশন অর্ডার-১ (ভিও-১) এর প্রস্তাব অনুমোদনের সুপারিশ করেছে।
মূল চুক্তিমূল্য ছিল ৫৫৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা যেখানে ভেরিয়েশন অর্ডারে ১৬৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা যোগ করা হয়েছে এবং সংশোধিত মোট চুক্তি মূল্য দাঁড়িয়েছে ৭১৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
কাজটি ভারতের মুম্বাই-ভিত্তিক আফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড কর্তৃক সম্পন্ন হবে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নকশা ও কাজের পরিধি পরিবর্তনের কারণে অতিরিক্ত ব্যয় যোগ হয়েছে, যা প্রকল্পের মান উন্নয়ন ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করার জন্য জরুরি।
এর পাশাপাশি, আজ অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ এর ধারা ৬৮ (১) ও পিপিআর, ২০০৮ এর বিধি ৭৬(২) অনুসারে জিটুজি ভিত্তিতে চাল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়।
বিশ্ব রেটিনা দিবস ২০২৫ উপলক্ষে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (এনআইওএইচ) এবং রোশ বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে ‘ব্রিজিং পলিসি, টাস্ক শিফটিং অ্যান্ড ইনোভেশন: ট্যাকলিং ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করেছে। খাত সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের অংশগ্রহণে এ আলোচনা অনুষ্ঠান সম্প্রতি (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।
অংশীজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নীতি-নির্ধারক, স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞ, আন্তর্জাতিক এনজিও ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিগণ। এ সময় তারা বাংলাদেশে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি (ডিআর) মোকাবিলায় কার্যকর উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
ডায়াবেটিস রোগের সাথে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি রোগটি বাংলাদেশের মানুষের অন্ধত্বের অন্যতম প্রধান কারণ। রোগটি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে এটি বর্তমান সময়ে একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যায় রূপ নিয়েছে। এ রোগ নিয়ে জনসচেতনতা, রোগ নির্ণয় কর্মসূচি, স্বাস্থ্যখাতের প্রস্তুতি ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে রোগ শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা সেবার পরিসর সীমিত রয়ে গেছে। এ প্রেক্ষাপটে, গোলটেবিল বৈঠকে স্ক্রিনিং, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিদ্যমান যে দূর্বলতাগুলো রয়েছে, তা চিহ্নিত করা এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে একটি সমন্বিত জাতীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও নীতিনির্ধারকগণ; স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) সদস্যবৃন্দ, এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক, জ্যেষ্ঠ চক্ষু বিশেষজ্ঞবৃন্দ, রেটিনা বিশেষজ্ঞ, অপথালমোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ভিট্রিও-রেটিনা সোসাইটি, বারডেম ও বিএডিএস -এর প্রতিনিধিগণ এ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. জানে আলম মৃধা তার উপস্থাপনায় বলেন, “ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির সফল ও কার্যকর স্ক্রিনিং প্রোগ্রামের জন্য বিভিন্ন খাতের অংশগ্রহণে একটি কার্যকর ওয়ার্কিং কমিটি গঠন অত্যন্ত জরুরি।”
বেসরকারি খাত, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা এবং এনজিও: অর্বিস ইন্টারন্যাশনাল, হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল, দ্য ফ্রেড হলোস ফাউন্ডেশন, সাইটসেভার্স বাংলাদেশ, গুড পিপল ইন্টারন্যাশনাল এবং রোশ বাংলাদেশের নিজস্ব বাণিজ্যিক, মার্কেট অ্যাকসেস ও নীতিনির্ধারণী দলও আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দেশের বাজারে নিজেদের নতুন স্মার্টফোন অনার এক্স৭ডি উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছে গ্লোবাল এআই ডিভাইস ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠান অনার। জনপ্রিয় এক্স সিরিজের সর্বশেষ সংযোজন এ ফোনটি শক্তিশালী বাজেট স্মার্টফোন হিসেবে স্মার্টফোন বাজারে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে। আগামী অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে বাজারে আসবে নতুন এ স্মার্টফোন।
আগ্রহী ক্রেতারা আগামী ৪ অক্টোবর থেকে অনারের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে স্মার্টফোনটি অগ্রিম বুকিং দিতে পারবেন। অগ্রিম বুকিং দেয়া যাবে আগামী ১১ অক্টোবর পর্যন্ত। যারা শুরুতেই অগ্রিম বুকিং করবেন, তারা উপহার হিসেবে পাবেন অনারের ইয়ারবাডস।
দামের ক্যাটাগরিতে প্রথমবারের মত অনার এক্স৭ডি -তে বিশেষ ‘ইনস্ট্যান্ট এআই বাটন।’ ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে তৈরি এই বাটন দু’টি মোডে কাজ করবে। এ বাটনে একবার ক্লিক করেই নির্দিষ্ট অ্যাপ চালু করা যাবে কিংবা ব্যাকগ্রাউন্ড ক্লিনিং মত কাজও সহজে করা যাবে। আবার একটু বেশিক্ষণ ধরে এ বাটনে ক্লিক করে রিয়েল-টাইম অনুবাদ ও কনটেন্ট তৈরির মত অত্যাধুনিক এআই ফিচার ব্যবহার করা যাবে।
দীর্ঘস্থায়িত্ব বিবেচনায় নিয়ে ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশাল ৬৫০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার আওয়ার ব্যাটারি। টানা পাঁচ বছর পর্যন্ত সুপার-ডিউরেবল পারফরমেন্স নিশ্চিত করবে এ স্মার্টফোন। ডাবল-সেল ব্যাটারি কাঠামো থাকায় ব্যবহারকারীরা স্মার্টফোনটি দ্রুত চার্জ করতে পারবেন; পাশাপাশি, উপভোগ করবেন ফোন ব্যবহারে অধিক সুরক্ষা ও দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব।
এছাড়া, স্মার্টফোনটিতে আইপি৬৫ রেটিং পাওয়া, অর্থাৎ পানি ও ধুলো প্রতিরোধী। পাশাপাশি, এসজিএস প্রিমিয়াম পারফরমেন্সও সার্টিফিকেশনও রয়েছে ফোনটির। ফলে, হাত থেকেও পরে গেলেও স্মার্টফোনটি অনার এক্স৯সি -এর মত সুরক্ষিত থাকবে।
উদ্ভাবনের মাধ্যমে ক্রেতাদের স্মার্টফোনে দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য এআই প্রযুক্তির অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অনার। ক্রেতারা এই ফোনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে আরও বিশেষায়িত ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা উপভোগ করবেন।
নতুন অনার এক্স৭ডি -এর বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২২,৯৯৯ টাকা। ফোনটিতে রয়েছে ৮+৮ জিবি র্যাম ও ২৫৬ জিবি রম।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা সিয়াম আহমেদ এখন থেকে ইউনাইটেড আইগ্যাস এলপিজি লিমিটেড-এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তুরস্কের শীর্ষস্থানীয় এলপিজি ব্র্যান্ড আইগ্যাস, যার রয়েছে ৬৫ বছরের বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা, এবং বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী ইউনাইটেড গ্রুপ-এর যৌথ উদ্যোগেই গঠিত ইউনাইটেড আইগ্যাস এলপিজি লিমিটেড।
সম্প্রতি রাজধানীর ইউনাইটেড গ্রুপ হেড অফিসে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড গ্রুপের পরিচালক জনাব খন্দকার জায়েদ আহসান, ইউনাইটেড আইগ্যাস এলপিজি লিমিটেড-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জনাব হারুন ওর্তাজসহ কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এই চুক্তির অধীনে সিয়াম আহমেদ আইগ্যাস ইউনাইটেড-এর ব্র্যান্ড প্রচারণায় অংশ নেবেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সিয়াম আহমেদ বলেন:
“প্রতিটি পরিবারের জন্য নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা সবসময়ই অগ্রাধিকার পায়, আমার পরিবারও এর ব্যতিক্রম নয়। আইগ্যাস ইউনাইটেড মানে কোয়ালিটিসম্পন্ন একটি এলপিজি কোম্পানি যাদের আছে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশের লাখো পরিবারের জন্য নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য জ্বালানির সমাধান নিশ্চিত করতে কাজ করছে এমন একটি ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি গর্বিত।”
অনুষ্ঠানে ইউনাইটেড আইগ্যাস এলপিজি লিমিটেডের সিইও জনাব হারুন ওর্তাজ বলেন:
“আমরা আনন্দিত যে সিয়াম আহমেদকে আইগ্যাস ইউনাইটেড ব্র্যান্ডের সাথে যুক্ত করতে পেরে। তরুণ প্রজন্ম ও পরিবারগুলোর কাছে তার জনপ্রিয়তা ও ইতিবাচক প্রভাব আমাদের ব্র্যান্ডের সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। সিয়াম আহমেদ-এর সঙ্গে আমাদের ব্র্যান্ডের এই অংশীদারিত্ব ভোক্তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে।”
সারাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)-এর সহযোগিতায় নরসিংদীর নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ডিজিটাল সক্ষমতা উন্নয়ন কর্মশালার আয়োজন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
গত ৯ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ নরসিংদীর কো-অপারেটিভ জোনাল ইনস্টিটিউটে তিন দিনব্যাপী আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেন ৩০ জন সম্ভাবনাময় নারী উদ্যোক্তা। এই আয়োজনে নারী উদ্যোক্তাদের নিবিড় প্রশিক্ষণ, পরামর্শদান ও নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে তাঁদের ব্যবসা সম্প্রসারণ ও বাজারে প্রবেশের সুযোগ দানের পাশাপাশি দেশের অন্যান্য নারীদের ‘উদ্যোক্তা স্বপ্ন’ পূরণেও উদ্বুদ্ধ করা হয়।
গেটস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় পরিচালিত ব্র্যাক ব্যাংকের সিগনেচার উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচি ‘আমরাই তারা’-এর অংশ হিসেবে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এই ডিজিটাল সক্ষমতা উন্নয়ন কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো নারীদের জন্য অর্থায়ন, পরামর্শ ও দক্ষতা উন্নয়ন সুবিধা সহজলভ্য করার মাধ্যমে তাঁদের ব্যবসায়িক জ্ঞান বৃদ্ধি ও ব্যবস্থাপনা সক্ষমতা শক্তিশালী করা।
আয়োজনে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক টিমের অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকরা অংশগ্রহণকারী নারী উদ্যোক্তাদের ই-কমার্স ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভিত্তিক ব্যবসায়ে সফল হওয়ার অন্যতম কৌশল হিসেবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের কার্যকর ব্যবহারের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিডিওএসএন-এর সভাপতি মুনীর হাসান এবং ব্র্যাক ব্যাংকের এসএমই ব্যাংকিংয়ের হেড অব কটেজ অ্যান্ড মাইক্রো বিজনেস কাজী দিলরুবা আক্তার।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগ নিয়ে ব্যাংকটির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন বলেন, “নারী উদ্যোক্তারা দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। ‘আমরাই তারা’ উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা তাঁদের অর্থায়ন সুবিধা প্রদানের পাশাপাশি ডিজিটাল জ্ঞানও সমৃদ্ধ করছি, যাতে তাঁরা এই দ্রুত পরিবর্তনশীল সেক্টরে সফল হতে পারেন। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, নারী উদ্যোক্তারা সফল হলে সমাজ সমৃদ্ধ হয় এবং জাতীয় অর্থনীতিও শক্তিশালী হয়।”
এ পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংক দেশের ২০টি জেলায় ৩,০০০-এরও বেশি নারী উদ্যোক্তাদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে। ভবিষ্যতে এ কর্মসূচি দেশের প্রতিটি জেলায় সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে ব্যাংকটির।
দেশের এসএমই এবং নারী উদ্যোক্তাদের পূর্ণাঙ্গ আর্থিক অংশীদার হিসেবে তাঁদের জন্য সহজ অর্থায়ন, সক্ষমতা উন্নয়ন এবং ডিজিটাল টুলসের ব্যবহার শেখানোর মাধ্যমে তাঁদের সফল ব্যবসায় গড়ে তুলতে সহায়তা করছে ব্র্যাক ব্যাংক। এভাবে ব্র্যাক ব্যাংক জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৯১টি শাখা, ৯৭টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. এর পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী কমিটির ২৫তম সভা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়, গুলশান-১, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি. এর নির্বাহী কমিটির সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব মুঃ ফরীদ উদ্দীন আহমদ। সভায় নির্বাহী কমিটির সদস্য ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান জনাব মোঃ হুমায়ুন কবীর ও ড. শহিদুল ইসলাম জাহীদ এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব মোঃ হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মোহাম্মদ ইকবাল এবং জনাব মিজানুর রহমান কার্যপোলক্ষ্যে সভায় যোগদান করেন।
মন্তব্য