টানা পাঁচ কার্যদিবস পর উত্থানে ফিরল পুঁজিবাজার। লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমলেও লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে।
এমন উত্থানে পতনের হারিয়ে যাওয়া দর কিছুটা ফিরে পেলেও এখনও বহু শেয়ারে বড় অংকের লোকসানে বিনিয়োগকারীরা।
সোমবার লেনদেনের শুরুর দিন সূচক কমেছিল ৯০ দশমিক ৭৭ পয়ন্টে। মঙ্গলবারও সূচক কমেছে ৬৭ দশমিক ৫ পয়েন্ট। এটা শুধু চলতি সপ্তাহের হিসাবে। আগের সপ্তাহের শেষের তিন কার্যদিবস টানা সূচক ও লেনদেন কমেছে পুঁজিবাজারে।
বুধবার ডিএসইর সূচক বেড়েছে ৬৭ দশমিক ৯২ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে ৫৩০ কোটি টাকা।
টানা পতনের মুখে প্রশ্ন উঠে পুঁজিবাজারে মার্চেন্ট ব্যাংকসহ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগাকারীদের অবস্থান নিয়ে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলেছেন, পতনের পুঁজিবাজারে উত্থানে দায়িত্ব থাকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের উপর। অথচ তারাই পুঁজিবাজারে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।
এ বিষয়ে বাজারবিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পতনের পর এমন উত্থান স্বাভাবিক। তবে তা কতদিন স্থায়ী হয় সেটাই দেখার বিষয়।’
তিনি বলেন, ‘এ উত্থান স্থায়ী হওয়া নিয়ে সংশয়ের কারণ হচ্ছে, পুঁজিবাজারে যেসব প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কার্যকর থাকার কথা তারা সেভাবে নেই। ফলে পুঁজিবাজারের উত্থান স্থায়ী হচ্ছে না।’
ডিএসই ব্রোকার হাউজগুলোর সংগঠন ডিএসই ব্রোকারেজ এসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারের পতনের সময়ে সাধারণ বিনিয়োগাকারীদের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। কিন্ত এখানে একপক্ষ কিনবে, আরেক পক্ষ বিক্রি করবে, এভাবে লেনদেন চলে। কিন্ত একপক্ষ বিক্রি করে আরেক পক্ষ যদি না কেনে তাহলে লেনদেন হবে না।’
তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারের দর পতনের মধ্যেই মুনাফা থাকে। আর আমরা দর কমে গেলে শেয়ার কেনা বন্ধ করে দেই।’
উত্থানেও বড় লোকসান বহু শেয়ারে
১৫ ফেব্রুয়ারি রবির শেয়ার প্রতি দর ছিল ৪৬ টাকা। পাঁচ কার্যদিবস টানা দর পতনে নেমেছে ৩৬ টাকা ৮০ পয়সায়। বুধবার সেই শেয়ারের দর বেড়ে হয়েছে ৩৮ টাকা ২০ পয়সা। একদিন আগে যারা রবির শেয়ার কিনেছে তারা ৩৯ টাকা ৩০ পয়সায় শেয়ার পেয়েছে। ফলে পুঁজিবাজারের এমন উত্থানেও রবিতে শেয়ার প্রতি লোকসান এখন এক টাকা ১০ পয়সা।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বেট বাংলাদেশ-বিএটিবিসি শেয়ার প্রতি দর ছিল ১ হাজার ৬২৫ টাকা। বুধবার শেয়ার প্রতি দর কিছুটা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৫২২ টাকা। এক সপ্তাহের আগের তুলনায় এখনও এই শেয়ারে লোকসান ১০৩ টাকা।
বেক্সিমকোফার্মার শেয়ার দরও টানা পাঁচ কার্যদিবস ধরে কমেছে। ১৫ ফেব্রুয়ারি শেয়ার প্রতি দর ছল ১৯৪ টাকা ৫০ পয়সা। বুধবার দর বেড়ে হয়েছে ১৮০ টাকা ২০ পয়সা। মানে এখনও লোকসানে ১৪ টাকা ৩০ পয়সা।
১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্রমাগত কমছে লংকাবাংলা ফিন্যান্সের শেয়ার দর। সেদিন শেয়ার প্রতি দর ছিল ৩৯ টাকা ১০ পয়সা। বুধবার শেয়ার দর বেড়ে হয়েছে ৩৪ টাকা ৪০ পয়সা। ফলে সূচকের উত্থান হলেও বিনিয়োগকারীরা লোকসানে ৪ টাকা ৭০ পয়সা।
স্কয়ার ফার্মার শেয়ার দরও ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কমছে। ২২৬ টাকা ৬০ পয়সা। বুধবার দর বেড়ে হয়েছে ২১৪ টাকা ১০ পয়সা। ফলে এমন উত্থানেও বিনিয়োগকারীদের শেয়ার প্রতি লোকসান ১২ টাকা ৫০ পয়সা।
মীর আকতার হোসেন লিমিটেডের শেয়ার দর ১৭ ফেব্রুয়ারি ৮৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে ক্রমাগতভাবে কমে হয় ৭৪ টাকা ৩০ পয়সা। বুধবার দর বেড়েছে হয়েছে ৭৮ টাকা। এ সময় পর্যন্ত যেসব বিনিয়োগকারী শেয়ার ধরে রেখেছেন তার শেয়ার প্রতি লোকসান এখনও ৯ টাকা ৮০ পয়সা।
বিনিয়োগকারী আসলাম ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পাঁচ দিনের সূচক ও লেনদেনের পতনের সিংহভাগ বিনিয়োগকারী আতঙ্কিত হয়ে হয়ে শেয়ার বিক্রি করেছেন কিংবা নতুন বিনিয়োগ করেনি। ফলে যারাই বিনিয়োগ করেছে বা শেয়ার ধরে রেখেন তার খুব কোম্পানিতে মুনাফা পেয়েছেন।’
কেমন ছিল ব্ল চিপ কোম্পানির লেনদেন
পুঁজিবাজারে বাছাই করা ৩০টি সবচেয়ে ভালো কোম্পানির মধ্যে দুটির দর কমেছে, চারটির দর পাল্টায়নি। বাকি ২৪টি শেয়ারের দর বেড়েছে।
দিন শেষে ডিএস-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩৮ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৬ পয়েন্টে।
এই সূচকে অন্তর্ভূক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে বিকন ফার্মার, ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ। কোম্পানিটির ১৮ লাখ ৪০ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ২৭ লাখ টাকায়।
বিএসআরএম লিমিটেডের শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এদিন কোম্পানিটির এক লাখ ১৭ হাজার ১৮৩টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৭৫ লাখ টাকায়।
লংকাবাংলা ফিন্যান্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ। এদিন কোম্পানির শেয়ার ৩৪ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৬ টাকা ৪০ পয়সা।
জিএসপি ইস্পাতের শেয়ার ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ দর বেড়েছে। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
তিন কোম্পানির লেনদেনে অবদান ৩৮ শতাংশ
লেনদেনে গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে এগিয়ে থাকা বেক্সিমকো লিমিটেড বুধবারও ছিল শীর্ষে। লেনদেন এককভাবে এই কোম্পানির ২৩ শতাংশ অবদান ছিল। বাকি দুটি কোম্পানির মধ্যে রবি ও বেট বাংলাদেশ-বিএটিবিসির অবদান ছিল ১৫ শতাংশ।
বুধবার বেক্সিমকো লিমিটেডের এক কোটি ৪৬ লাখ ৪৬ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২৪ কোটি ১২ লাখ টাকায়।
রবির এক কোটি ১৭ লাখ ৫৭ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি টাকায়।
বেট বাংলাদেশ-বিএটিবিসি’র ২ লাখ ২৬ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকায়।
বেক্সিমকোফার্মার ১৩ লাখ ৬৫ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি টাকায়।
লংকাবাংলা ফিন্যান্সের ৬২ লাখ ৪৭ হাজার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৫১ লাখ টাকায়।
খাতভিত্তিক লেনদেন
বুধবার লেনদেনে প্রায় সব খাতের কোম্পানির শেয়ারের দর তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে বিমা খাতের শেয়ারের দর বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।
ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত ৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ১২টির। আর দর কমেছে পাঁচটির। পাল্টায়নি ১৩টির।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৫টির, দর কমেছে দুটির। দর পাল্টায়নি চারটির।
প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর পাল্টায়নি ১৮টির, দর বেড়েছে ২২টির। বাকি দুটির দর কমেছে।
ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির। পাল্টায়নি চারটির। দর কমেছে তিনটির।
বিমা খাতে তালিকাভুক্ত ৪৯টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৪৬টির। দর পাল্টায়নি দুটির, কমেছে একটির।
সূচক ও লেনদেন
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের-ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৭ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৮৫ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১৩ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২২০ পয়েন্টে।
লেনদেন হওয়া ৩৪৩টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৯০টির, কমেছে ৩৫ টির ও পাল্টায়নি ১১৮টির দর।
লেনদেন হয়েছে ৫৩০ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৯১ কোটি টাকা। এ হিসেবে একদিনের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৬১ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে- সিএসই প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২০৭ দশমিক ০২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৫৯০ পয়েন্টে।
লেনদনে হওয়া ২১৬টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১২টির, কমেছে ৪৮টির ও পাল্টায়নি ৫৬টির। লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি টাকা।
আগ্রহ ও অনাগ্রহের কোম্পানি
দর বৃদ্ধির দিক দিয়ে বুধবার শীর্ষে ছিল দ্বিতীয় দিনের লেনদেনে থাকা ই জেনারেশন লিমিটেড। দ্বিতীয় দিনেও কোম্পানিটির দিনের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ দর বেড়েছে ১৫ টাকা শেয়ার হয়েছে সাড়ে ২২ টাকা। বৃহস্পতিবার থেকে কোম্পানিটির স্বাভাবিক ১০ শতাংশ করে শেয়ার দর বাড়তে বা কমতে পারবে।
দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিকনফার্মা, যার শেয়ার দর বেড়েছে ৯.৯২ শতাংশ। রবির শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। জেএমআই সিরিঞ্জের শেয়ার দর বেড়েছে ৭.৮২ শতাংশ।
অপরদিকে এদিন দর পতনের দিক দিয়ে শীর্ষে ছিল এনসিসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, যার দর কমেছে ৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
জিলবাংলা সুগারের দাম কমেছে ৪.২৮ শতাংশ। ইউনিলিভারের ৩.২৮ শতাংশ, ফার্স্ট ফিন্যান্স ইনভেস্টমেন্টের দর কমেছে ২.৫৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন:শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে গত ০২ জুন, সোমবার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জনতা ব্যাংক জাতীয়তাবাদী অফিসার কল্যাণ সমিতি।
জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহঃ ফজলুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গোলাম মরতুজা, মোঃ ফয়েজ আলম ও মোঃ আশরাফুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সংগঠনের সভাপতি সাইফুল আবেদিন তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভা সঞ্চালনায় ছিলেন কার্যকরী সভাপতি শাহ জাহান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি এস. এফ. এম. মুনির হোসেন, সহসভাপতি মজিবুর রাহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ছানোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনায় আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। আবার ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার সময় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। ট্রেড লাইসেন্স নিতেও রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র লাগবে না। বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দাখিলের বাধ্যবাধকতায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্রের বাধ্যবাধকতায় এসব পরিবর্তন আনা হয়েছে। এত দিন ৪৬টি সেবায় রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখানোর বাধ্যবাধকতা ছিল।
এখন ১১ ধরনের সেবা নিতে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে না। শুধু কর শনাক্তকরণ নম্বরধারীদের (টিআইএন) সিস্টেম জেনারেটেড প্রত্যয়নপত্র দাখিল করলেই হবে। ওই ১১টি সেবা হলো সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় নতুন ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণে; সমবায় সমিতির নিবন্ধন প্রাপ্তিতে; সাধারণ বিমার তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ারের নতুন লাইসেন্স গ্রহণে; ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ ও নবায়নে; চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, চার্টার্ড সেক্রেটারি, আইনজীবী ও কর আইনজীবী, অ্যাকচুয়ারি, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার হিসেবে কোনো স্বীকৃত পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদ গ্রহণে; পাঁচ লাখ টাকার অধিক পোস্ট অফিস সঞ্চয়ী হিসাব খোলায়; এমপিওভুক্তির মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে দশম গ্রেড বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মচারীর কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের ক্ষেত্রে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা মোবাইল ব্যাংকিং বা ইলেকট্রনিক উপায়ে টাকা স্থানান্তরের মাধ্যমে এবং মোবাইল ফোনের হিসাব রিচার্জের মাধ্যমে কমিশন, ফি বা অন্য কোনো অর্থ প্রাপ্তিতে; স্ট্যাম্প, কোর্ট ও কার্টিজ পেপারের ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসেবে লাইসেন্স নিবন্ধন ও তালিকাভুক্তিতে; ত্রি-চক্র মোটরযানের নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়নে; ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে লাইসেন্সিং অথরিটির কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ টেলিভিশনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও দেশের ইতিহাসে ৫৪তম বাজেট।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার সময় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মোট ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করছি, যা জিডিপির ১২.৭ শতাংশ। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।
তিনি বলেন, এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই যে, ২০১৫ সালের পর এখন পর্যন্ত বেতন কাঠামো প্রণীত না হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার পরিমাণ বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি।
ঘরে বসে যেসব ক্রেতারা কেনাকাটা করতে চান, তাদের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনাকাটা আগামী অর্থবছর থেকে খানিকটা ব্যয়বহুল হতে পারে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ই-প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় থেকে কমিশনের ওপর ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করতে চাইছে। সেক্ষেত্রে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পণ্যের দাম বেশি হতে পারে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই ভ্যাটের হার ছিল ৫ শতাংশ।
জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে ভিন্ন বাস্তবতায় এবার সংসদের বাইরে ভিন্ন আঙ্গিকে পেশ হলো বাজেট। এবার সংসদ না থাকায় সংসদের আলোচনা বা বিতর্কের কোনো সুযোগ থাকছে না। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বাজেট উপস্থাপন করার পর ৩০ জুন তা রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে কার্যকর করা হবে।
তবে অতীতের রেওয়াজ মেনে বাজেট ঘোষণার পরদিন সংবাদ সম্মেলনে এসে বাজেট নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া পুরো জুন মাসজুড়ে অংশীজনদের মতামত নেওয়ার কথাও তিনি বলেছেন।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে সরকারের ধারাবাহিক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করায় এবং সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পাওয়ায় মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নেমে আসবে।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ সোমবার ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় এ কথা বলেন। তার এ বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে আমাদের সরকার যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করে তখন আমাদের সামনে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরে মানুষকে স্বস্তি দেয়া।
তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে আমরা ধারাবাহিকভাবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করেছি। এর ফলে নীতি সুদের হার ১৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে এখন ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মুদ্রানীতির আওতায় গৃহীত কার্যক্রমকে সহায়তা করতে সংকোচনমূলক রাজস্বনীতি অনুসরণ করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে আনায় সার্বিকভাবে সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠতে শুরু করেছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের ১০.৮৯ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশে নেমে এসেছে। আশার কথা হলো এবারের রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্মরণকালের মধ্যে সবচাইতে স্থিতিশীল ছিল। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এই জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের কোঠায় নেমে আসবে। মূল্যস্ফীতির সাথে এ লড়াইয়ের ফলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে।’
মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকা জরুরি উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল থাকা অত্যাবশ্যক। প্রবাস আয়ের প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক হওয়ায় এবং রপ্তানি স্থিতিশীল থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এপ্রিল মাসে বৃদ্ধি পেয়ে ২৭.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সে কারণে আমরা বিগত ১৪ মে তারিখে বাজারভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় হার চালু করেছি।
১৯৪৪ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী আর্থিক অস্থিরতা সামাল দিতে গঠিত হয় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ। এর মূল লক্ষ্য ছিল বৈশ্বিক মুদ্রানীতি সমন্বয় সাধন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে উৎসাহ দেওয়া এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করা। বহু দেশ সংকটে পড়ে এই সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছে- কেউ সাময়িকভাবে রক্ষা পেয়েছে, কেউ আবার দীর্ঘমেয়াদি ঋণনির্ভরতার ফাঁদে পড়ে গেছে।
আজ, যখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ভারসাম্য ক্রমশ পশ্চিমকেন্দ্রীকতা থেকে সরে পূর্ব ও দক্ষিণে ছড়িয়ে পড়ছে, তখন আইএমএফ তার প্রাসঙ্গিকতা ও নৈতিক অবস্থান নিয়ে এক নতুন প্রশ্নের সম্মুখীন।
ঋণ সহায়তা, নাকি ঋণের ফাঁদ?
আইএমএফ সাধারণত এমন শর্তে ঋণ দেয়, যার মধ্যে থাকে কঠোর ব্যয়সংযম, ভর্তুকি হ্রাস, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং বাজারমুখী সংস্কার; কিন্তু এই শর্তগুলো অনেক সময় জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। স্থানীয় শিল্প ধসে পড়ে, বৈষম্য বেড়ে যায় এবং সাধারণ মানুষের জীবন আরও কঠিন হয়ে ওঠে। আর্জেন্টিনার অভিজ্ঞতা এর এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। ২০১৮ সালে আইএমএফ ইতিহাসের বৃহত্তম ঋণ প্যাকেজ ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করে। ফল ছিল বিপরীত- মুদ্রাস্ফীতি ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, দারিদ্র্য আরও বেড়ে যায় এবং দেশটি আবার মন্দার মুখে পড়ে।
এই অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে শুধু অর্থনৈতিক সমীকরণ দিয়ে কোনো দেশের সামাজিক বাস্তবতা নির্ধারণ চলে না।
আইএমএফের নীতিনির্ধারণ কাঠামো এখনো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী শক্তির ভারসাম্যের প্রতিচ্ছবি। উন্নত দেশগুলো (বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন) সংগঠনের ভোটের অধিকাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর অংশগ্রহণ প্রায় অনুপস্থিত। এই গণতান্ত্রিক ঘাটতি আজ দক্ষিণের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে গভীর অসন্তোষ ও অবিশ্বাসের জন্ম দিচ্ছে।
বিকল্প প্রতিষ্ঠানের উত্থান
এই প্রেক্ষাপটে বিকল্প আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন- নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (NDB), এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (AIIB) এবং ল্যাটিন আমেরিকান রিজার্ভ ফান্ড (FLAR) নতুন করে আশার আলো দেখাচ্ছে। (NDB) এর সহায়তা তুলনামূলকভাবে শর্তমুক্ত এবং অংশগ্রহণমূলক। এখানে প্রতিটি দেশের ভোটের ও প্রতিনিধিত্বের সমান সুযোগ আছে, যা উন্নয়নশীল দেশগুলো আরও আগ্রহী করে তুলেছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলো এখন শুধু আর্থিক বিকল্প নয়- এরা এক নতুন উন্নয়ন দর্শনের বাহক। সেই দর্শনে উন্নয়ন নির্ধারিত হয় স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনকে কেন্দ্র করে, বাইরের চাপ বা রূঢ় শর্ত নয়।
বিশ্ব আজ বহুমেরু। অর্থনৈতিক শক্তি ছড়িয়ে পড়ছে নানা অঞ্চলে। এই বাস্তবতায় টিকে থাকতে হলে আইএমএফকে নিজস্ব কাঠামো ও দর্শনে রূপান্তর আনতে হবে। প্রয়োজন গভর্ন্যান্সের সংস্কার, নীতিনির্ধারণে সমান অংশগ্রহণ, এবং সর্বোপরি সহানুভূতিশীল ঋণ নীতিমালা।
আইএমএফ যদি সত্যিই বৈশ্বিক আর্থিক স্থিতিশীলতার অভিভাবক হতে চায়, তাহলে তাকে হতে হবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক, এবং আঞ্চলিক বাস্তবতাসম্মত এটি শুধু আইএমএফের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার প্রশ্ন নয়; এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার ও সার্বিক উন্নয়নের প্রশ্ন।
জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচার হওয়া অর্থ জব্দ কর তা বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার পরমর্শ দিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এ সময়ে এবারের বাজেট গতানুগতিক হতে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর এফডিসিতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচারকৃত অর্থ জব্দের মাধ্যমে বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করলে তা হতে পারে এবারের বাজেটের একটি অভিনব উৎস।’
‘গত সরকারের রেখে যাওয়া বিদেশি ঋণের চাপ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। এই সরকারের এই সময়ে অন্যতম সাফল্য ৫০০ কোটি (৫ বিলিয়ন) ডলার পরিশোধ করে বিদেশি ঋণের চাপ কমিয়ে আনা,’ যোগ করেন তিনি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই ঋণ বিলিয়ন ডলার করে বছর বছর বাড়ছিল। সামগ্রিকভাবে এই সরকারের সাফল্যের জায়গাটা হলো বহির্খাত, রেমিট্যান্স, রপ্তানি, দায়-দেনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, মজুদ বাড়ানো ও টাকার মূল্যমান স্থিতিশীল রাখা।’
তবে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট গতানুগতিক হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, ‘খেলাপি ঋণ আদায়, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত এবং করের আওতা বাড়ানোর মতো নতুন কোনো কিছু না থাকায় এবারের বাজেটে কোনো চমক থাকছে না।’
‘যে প্রকল্পগুলো সরকারের কাছে আছে, তা অতিমূল্যায়িত ও তার ৪০ শতাংশ ব্যয়ই ভুয়া। আগের যে প্রকল্পগুলো থেকে রক্তক্ষরণ হতো, সেগুলো অব্যাহত আছে,’ বলেন তিনি।
সিপিডির এই সম্মানীয় ফেলো বলেন, ‘রাজস্ব ব্যয় সঠিকভাবে না করলে করদাতাদের উৎসাহ থাকে না। আমাদের কর কাঠামো বৈষম্যনির্ভর। আমাদের বৈদেশিক খাতে কিছুটা স্থিতিশীলতা অর্জিত হলেও ব্যক্তি খাতে স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগ এখনো আশানুরূপ অর্জিত হয়নি।’
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি নামের একটি বিতর্ক সংগঠন এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
‘রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করা আসন্ন বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত’ শীর্ষক ছায়া সংসদে ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজকে পরাজিত করে ঢাকার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।
মন্তব্য