× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
বুকবিল্ডিংয়ের নামে প্রাতিষ্ঠানিক কারসাজি
google_news print-icon

বুকবিল্ডিংয়ের নামে ‘প্রাতিষ্ঠানিক কারসাজি’

বুকবিল্ডিংয়ের-নামে-প্রাতিষ্ঠানিক-কারসাজি
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিলামে রানার অটোর আইপিও মূল্য নির্ধারণ হয় ৬৭ টাকায়, বাজার দর ৫০ এর নিচে; বসুন্ধরা পেপারের আইপিও দাম নির্ধারণ ৭২ টাকা, বাজার মূল্য ৪০ টাকা, আমান কটনের আইপিও দর ৩৬ টাকা, পুঁজিবাজারে দর ২৯ টাকা ৮০ পয়সা, এসকোয়ার নিট আইপিও দাম ছিল ৪০ টাকা, পুঁজিবাজারে দর ২৩ টাকা ৬০ পয়সা।

বুকবিল্ডিং প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রানার অটোমোবাইলের দর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা ঠিক করেন ৭৫ টাকায়। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ১০ শতাংশ ছাড়ে এই শেয়ারটি পেয়েছেন ৬৭ টাকায়।

দুই বছর যেতে না যেতেই পুঁজিবাজারে শেয়ারের দর কমে হয়েছে ৪৯ টাকা ৩০ পয়সা।

প্রশ্ন উঠেছে, বাজারে দর ৫০ টাকার নিচে হলেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কোন হিসাবে এর দর ৭৫ টাকা যৌক্তিক মনে করেছেন।

২০১৯ সালে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর প্রথম বছরে ১০ শতাংশ নগদ (শেয়ার প্রতি এক টাকা) আর ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। পরের বছর আবার শেয়ার প্রতি এক টাকা করে পেয়েছেন তারা।

কেবল এই শেয়ারটি নয়, গত কয়েক বছরে বুকবিল্ডিং প্রক্রিয়ায় তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার দর নির্ধারণে কারসাজির অভিযোগ উঠেছে সিংহভাগ ক্ষেত্রেই।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা যে দর ঠিক করে, তালিকাভুক্ত হওয়ার পর দাম তার চেয়ে নিচে নেমে যাচ্ছে।

দর নির্ধারণ হওয়ার পর প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ১০ শতাংশ কমে শেয়ার পান। কিন্তু উচ্চমূল্যে দাম নির্ধারণ হওয়ায় আইপিওধারীদের মধ্যে যারা শেয়ার ধরে রেখেছেন, তারা আর লেনদেন শুরুর পর যারা কিনেছেন, তারা সবাই লোকসানে আছেন।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি সম্প্রতি কারসাজি ঠেকাতে বুকবিল্ডিং এ দর নির্ধারণে নিলাম প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন এনেছে এ কারণেই। কিন্তু এতদিন যেসব কোম্পানির শেয়ার কিনে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন, তাদের কী হবে, সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিমের কথাতেই স্পষ্ট যে, এই পদ্ধতিতে বেশি দামে শেয়ার দর নির্ধারণ হয়েছে।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে দর নির্ধারনে কিছু নীতিমালা পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে অতিরিক্ত দর নির্ধারণের যে প্রবণতা কমবে।’

অর্ধেক দামে বসুন্ধরা পেপার

বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড একই পন্থায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে ২০১৮ সালে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা নিলামে কোম্পানির শেয়ারের দর নির্ধারণ করেন ৮০ টাকা। আর তা থেকে বিএসইসির নির্ধারিত ছাড়কৃত দরে বিনিয়োগকারীরা আইপিওতে এই কোম্পানির শেয়ার কিনেছেন ৭২ টাকায়।

যারা এই কোম্পানির শেয়ারের দর নির্ধারণ করে দিয়েছেন তারাই শেয়ার ধরে রাখছেন না।

সেই শেয়ারের দর এখন কমতে কমতে প্রায় অর্ধেক হয়ে ৪০ টাকা ১০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।

এই কোম্পানির শেয়ার পর ৩৫ টাকাতেও নেমেছিল। তবে বিএসইসির নীতিমালার কারণে এখন ৩৯ টাকা ৯০ পয়সার নিচে নামতে পারবে না। এর ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ হয়েছে এই দামে।

আইপিওতে ৭২ টাকায় শেয়ার কিনে লভ্যাংশ হিসাবে বিনিয়োগকারীরা ২০১৮ সালে ২০ শতাংশ (শেয়ারপ্রতি দুই টাকা), ২০১৯ সালে ১৫ শতাংশ (শেয়ার প্রতি দেড় টাকা) আর ২০২০ সালে ১০ শতাংশ (শেয়ার প্রতি এক টাকা) নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের।

বুকবিল্ডিংয়ের নামে ‘প্রাতিষ্ঠানিক কারসাজি’
এসকোয়ার নিট কম্পোজিটের কারখানা

আমান-এসকোয়ারেও লোকসান

আমান কটনের শেয়ার দর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা নির্ধারণ করে দিয়েছিলে ৪০ টাকা। তা থেকে ছাড়কৃত দর ৩৬ টাকায় আইপিওতে শেয়ার পেয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

পুঁজিবাজারে এখন কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হচ্ছে ২৯ টাকা ৮০ পয়সায়।

২০১৮ ও ২০১৯ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ করে অর্থাৎ এক টাকা করে নগদ লভ্যাংশ পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে এসকোয়ার নিট কম্পোজিটের শেয়ার বিনিয়োগকারীরা পেয়েছেন ৪০ টাকায়, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা পেয়েছেন ৪৫ টাকায়।

দেড় বছরের মাথায় শেয়ার প্রতি ৫৯ শতাংশ দর হারিয়ে লেনদেন হচ্ছে ২৩ টাকা ৬০ পয়সায়।

এই কোম্পানিটি দুই বছরে দেড় টাকা করে মোট তিন টাকা নগদ মুনাফা দিয়েছে।

দুটির শেয়ারে বিনিয়োগ করে বিপুল পরিমাণে লোকসানে বিনিয়োগকারীরা

গত এক বছরের মধ্যে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির শেয়ার দর অবশ্য কাট অফ প্রাইসের চেয়ে বেশি আছে। তবে এর মধ্যে দুটি তালিকাভুক্ত হয়েছে একেবারে সম্প্রতি। দাম উঠানামার মধ্যে আছে। এখনও স্থিতিশীল হয়নি দাম।

তবে তালিকাভুক্তির পর দুটি কোম্পানির শেয়ার উচ্চমূল্যে কিনে এখন লোকসানে আছেন বিনিয়োগকারীরা।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের ৩১ টাকায় আইপিও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ৪৯ টাকা ২০ পয়সায়।

তবে লেনদেন শুরুর পর কোম্পানিটির শেয়ার পর বাড়তে বাড়তে ১০১ টাকায়ও চলে গিয়েছিল। আর বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনে বিনিয়োগকারীদের পাঁচশ কোটি টাকারও বেশি আটকে গেছে বা তারা এই পরিমাণ লোকসানে আছেন।

আরেক কোম্পানি মীর আকতার হোসেনের শেয়ার পর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা নির্ধারণ করেছে ৬০ টাকায়। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তা পেয়েছেন ৫৪ টাকায়। বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ৮১ টাকা ৭০ পয়সায়।

তবে লেনদেন শুরুর দ্বিতীয় দিনে এই কোম্পানির শেয়ার দরও ১১৭ টাকায় উঠে গিয়েছিল। পরে কমতে কমতে এই পর্যায়ে এসে নেমেছে। দাম এখনও স্থিতিশীল না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা বলার সময় আসেনি।

তবে এখন পর্যন্ত এই দুটি কোম্পানির কাট অফ প্রাইস নিয়ে প্রশ্ন উঠেনি।

কোম্পানির শেয়ার সেকেন্ডারি মার্কেট থেকে কিনে দেড়শ কোটি টাকারও বেশি লোকসানে আছেন বিনিয়োগকারীরা।

বুকবিল্ডিংয়ের নামে ‘প্রাতিষ্ঠানিক কারসাজি’
বুকবিল্ডিং প্রক্রিয়ায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পেরেছেন বিনিয়োগকারীরা।

ভালো মুনাফা দিয়েছে ওয়ালটন

বুকবিল্ডিং প্রক্রিয়ায় তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ করে সবচেয়ে লাভবান হওয়া গেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেডে। কোম্পানিটি ২৫২ টাকায় আইপিও আবেদনের বিপরীতে বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে এক হাজার ১৭৮ টাকায়।

এডিএন টেলিকমের ২৭ টাকায় আইপিও আবেদন করা হলেও বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ৪৪ টাকা ৬০ পয়সায়।

কী বলেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা

বিনিয়োগকারী আজমল হোসেন স্বপন বলেন, ‘এখানে প্রধান কাজ করেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে কোম্পানির শেয়ারের দর নির্ধারণ করে। এটি অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে।’

তিনি বলেন, ‘নিলামে যে কোম্পানির শেয়ারের দর ৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয় সে কোম্পানির বছর শেষে ১০ শতাংশের বেশি লভ্যাংশ দিতে পারে না। আবার অনেক ক্ষেত্রে লভ্যাংশও দিতে পারে না। ফলে সহজেই বোঝা যায় কোম্পানির শেয়ার দর নির্ধারণে কারসাজি হয়েছে।’

বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত জাতীয় ঐক্যের সভাপতি আনম আতাউল্লাহ নাঈম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খায়রুল কমিশনের সময়ও বুক বিল্ডিং নিয়ে সমালোচনা হওয়ায় এ পদ্ধতিতে নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত বন্ধ ছিল। বেশি দামে আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনার পর কয়েকদিন দর বাড়লেও বেশিরভাগ সময় কমছে।’

তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের এই লোকসানের দায় সম্পূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের, যারা কোম্পানির শেয়ার দর নির্ধারণ করেছেন। তাদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত। কমিশন সম্প্রতি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য কিছু নীতিমালা করেছে। এখন দেখার বিষয় সেটি কতটা কার্যকর হয়।’

বুকবিল্ডিংয়ের নামে ‘প্রাতিষ্ঠানিক কারসাজি’
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানির অস্বাভাবিক দাম নির্ধারণকারীদের শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান বিনিয়োগকারীদের। ছবি: নিউজবাংলা

যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘যে পদ্ধতিতে বুকবিল্ডিং এ কোম্পানির দর নির্ধারণ করা হচ্ছে সেটিতে ওভার প্রাইসিং হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘দর নির্ধারণের পর বিএসইসিকে সেটি যাচাই করা উচিত। পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদেরও পুঁজিবাজারের স্বার্থে সচেতন হওয়া উচিত।’

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ বলেন, ‘বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে অতিমূল্যায়িত করে নির্ধারণ করা হয়। ফলে পুঁজিবাজারে আসার পর যে দর ধরে রাখতে পারে না।

‘প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সংঘবদ্ধভাবে এ দর নির্ধারণ করে। এর পেছনে নিশ্চয় কোনো কারণ আছে।’

সমাধান হিসেবে তিনি বলেন, ‘কোনো কোম্পানিকে বিডিংয়ে দেয়ার আগেই সে কোম্পানির শেয়ারের সর্বোচ্চ দর কত হবে সেটি নির্ধারণ করতে হবে। তারপর বিডিংয়ে যে দরটি আসবে সেটা যাচাই করা সম্ভব হবে বেশি হয়েছে, না কম হয়েছে।’

বুকবিল্ডিংয়ের নামে ‘প্রাতিষ্ঠানিক কারসাজি’
বুকবিল্ডিংয়ে কোম্পানির দর ওভার প্রাইসিং হচ্ছে বলে অভিযোগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলামের

বুক বিল্ডিং পদ্ধতি কী

পুঁজিবাজারে নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে দুটি পদ্ধতি চালু আছে। এর মধ্যে একটি ফিক্সড প্রাইস বা স্থির মূল্য, অপরটি বুক বিল্ডিং পদ্ধতি।

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা দরপ্রস্তাবের মাধ্যমে শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করে থাকেন। এই দরেই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি কোম্পানিকে শেয়ার ছাড়ার অনুমতি প্রদান করেন।

তবে তার আগে কোম্পানির পক্ষ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রোড শো বা কোম্পানির আর্থিক অবস্থা, অগ্রগতি তুলে ধরা হয়।

এসবের ভিত্তিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে শেয়ারের প্রস্তাবিত দর সংগ্রহ করা হয়। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের দরের ভিত্তিতেই নির্ধারণ করা হয় শেয়ারের মূল্য।

এরপর নিয়ন্ত্রক সংস্থা আনুষ্ঠানিক দরপ্রস্তাবের আয়োজন করেন। যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা শেয়ারের নির্ধারীত দরে শেয়ার কেনার পরিমাণ ও দর প্রস্তাব করেন।

সেখানে নির্ধারিত দরে কাট-অফ বা ছাড়কৃত দরেই নির্ধারণ করা হয় আইপিও বা সাধারণ বিনিয়োগাকারীরা কী দরে শেয়ার পাবেন।

শাস্তির আওতায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, নীতিমালায় পরিবর্তন

গত দুই বছরে তালিকাভুক্ত হওয়া ওয়ালটন, এনার্জিপ্যাক, মীর আকতার, লুব-রেফ (বাংলাদেশ) ও ইনডেক্স এগ্রোর বিডিংয়ে কাট অফ প্রাইসের তুলনায় দ্বিগুণ দর প্রস্তাব করার ঘটনাও আছে।

এ জন্য বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকি শাস্তির আওতায় এনেছে বিএসইসি।

এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে বেশ কিছু পরিবতর্ন এসেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

গত ১ ফেব্রুয়ারি বিএসইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিলামে অংশ নিতে আগ্রহী প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান একটি কমিটি গঠন করবে। এদের মধ্যে দুইজনের নিলাম সম্পর্কে জ্ঞান, দক্ষতা, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। একই সঙ্গে ঐ কমিটির সংশ্লিষ্ট কোম্পানি সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে।

গঠিত কমিটির সুপারিশ করবে কারা নিলামে অংশগ্রহণ করবে। তাদের যোগ্যতা যাচাইয়ের ক্ষমতা থাকবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের প্রস্তাবিত কমিটির কোম্পানির সম্পদ মূল্যায়ন, ইল্ড বিশ্লেষণ করে যথাযথ শেয়ারের দর নির্ধারণ করতে হবে।

নির্বাচিত প্রতিনিধিরা স্বচ্ছ ও স্বাধীনভাবে মূল্য নির্ধারণ করবেন। কোম্পানির আর্থিক অবস্থা, কারিগরি, পারিচালকদের অবস্থা, বাণিজ্যিক, মালিকানাসহ সমস্ত বিষয় পর্যালোচনা করেই এই মূল্য ঠিক করবেন তারা।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বা প্রভাব মুক্তভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তারা কোম্পানির ইস্যুকারী, ইস্যু ম্যানেজারসহ অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বা অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে মূল্যায়ন সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করতে পারবে না। নিলাম শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের বিশ্লেষণ, সুপারিশ ও সিদ্ধান্ত গোপন রাখতে হবে।

নিলাম শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে যথাযথভাবে স্বাক্ষর করে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। তবে সাত দিনের মধ্যে তা কমিশনে জমা দেবেন, যাতে রিপোর্টে কোনো অসঙ্গতি আছে কি না তা যাচাই করা সম্ভব হয়। প্রতিবেদনে কোনো ধরনের অসঙ্গতি পাওয়া গেলে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিনেন্স ১৯৬৯ (অডিনেন্স নং ১৭) অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে উচ্ছ্বাস থেকে হতাশা
পুঁজিবাজার: ডিএসইর প্রযুক্তি দুর্বলতায় ভোগান্তি
ভালো খবরের প্রভাবও নেই পুঁজিবাজারে
এক দিনেই থেমে গেল বিমার উত্থান
করোনায়ও মুনাফা বেড়েছে বিডি ফাইন্যান্সের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
The price of gold has decreased this time but nominally

স্বর্ণের দাম এবার কমেছে, তবে নামমাত্র

স্বর্ণের দাম এবার কমেছে, তবে নামমাত্র
চলতি মাসে তিন দফায় রেকর্ড দাম বাড়ানোর পর কিছুটা কমা‌নোর ঘোষণা দিয়েছে বাজুস। ভালো মানের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা। শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

দেশের স্বর্ণের বাজারে চলতি এপ্রিল মাসেই ২২ ক্যারেটের ভরিতে তিন দফায় ৪ হাজার ৫৬০ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে। এবার প্রতি ভরিতে দাম কমা‌নো হ‌য়ে‌ছে ৮৪০ টাকা। নামমাত্র এই কমানোর পর ভালো মানের (২২ ক্যারেট) এক ভরি স্বর্ণের দাম দাড়িয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) শনিবার এই দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। সংগঠনটির মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কিছুটা কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। শনিবার বিকেল সা‌ড়ে ৩টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।

বাজুস এর চলতি মাসে তিন দফা স্বর্ণের দা‌ম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়ানো হয়।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণ ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৭ হাজার ১৯৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা ভরি বিক্রি হবে।

এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়নো হ‌লেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। বর্তমানে ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা ১ হাজার ২৮৩ টাকা ভরি বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
শাহজালালে ৪০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার, নভোএয়ারের গাড়িচালকসহ আটক ২
কোমরে লুকানো ছিল কোটি টাকার স্বর্ণের বার
দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১,১২,৯০৮ টাকা
ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্লেন্ডিং মেশিনে প্রায় আড়াই কেজি স্বর্ণ
শাহজালালে ২ কেজি ১০৪ গ্রাম স্বর্ণসহ চার যাত্রী আটক

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Cucumbers started selling in dreams at lower prices than the open market

স্বপ্নতে ১২ টাকা কেজিতে শসা

স্বপ্নতে ১২ টাকা কেজিতে শসা শসাচাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে শসা কেনে ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। কোলাজ: স্বপ্ন
স্বপ্নর নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, ‘আমরা শসাচাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্য মূল্যে।’

রমজানের মধ্যে শসার বাজার চড়া দাম থাকলেও বর্তমানে শসাচাষিরা দাম পাওয়া নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন।

এমন দুঃসময়ে শসাচাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের অন্যতম রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শসাচাষিরা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে চার টাকায়। ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা।

এমন সময় সেই শসাচাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ন্যায্যমূল্যে কৃষিপণ্যটি কেনে ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। সেই শসা এখন খোলাবাজারের চেয়ে কম দামে স্বপ্ন আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে।

খোলা বাজারে বৃহস্পতিবার ৪০ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করতে দেখা গেলেও স্বপ্ন আউটলেটে তা ১২ টাকা কেজিতে গ্রাহকরা কিনতে পেরেছেন। এরই মধ্যে দিনাজপুরের খানসামার ওই এলাকা থেকে দুই টন এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকা থেকে ছয় টন শসা কিনেছে স্বপ্ন প্রতিনিধি।

বর্তমানে তাদের উৎপাদিত শসা পৌঁছে গেছে স্বপ্নর আউটলেটে। স্টক থাকা অবধি এ অফার গ্রাহকরা পাবেন।

স্বপ্নর নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, ‘আমরা শসাচাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্য মূল্যে।

‘অন্যান্য ব্যবসায়ীদেরও কৃষকদের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান থাকবে। মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভবান না করে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি সেতুবন্ধের চেষ্টা করে আসছে স্বপ্ন। এ চেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে।’

এ প্রসঙ্গে স্বপ্নর হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, “বিভিন্ন গণমাধ্যমে শসাচাষিদের সংকটের খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিই যে, কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াব। দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এরই মধ্যে ৮ টন শসা আমরা কিনেছি।

“দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।”

দিনাজপুরের খানসামা এলাকার কৃষক সাকিব হোসেন বলেন, ‘প্রায় এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছিলাম এবার। শসার বীজ, সারসহ নানা কাজে লাখ টাকা খরচ হয় আমার, কিন্তু ১০ রমজান অবধি কিছু শসা বিক্রি করার পর বাজারে শসার দাম কমে যায়। প্রতি কেজি ১০ টাকা, এরপর পাঁচ টাকা এবং সবশেষে আরও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অনেক শসা নষ্ট হয়ে যায়। অনেক লোকসান হচ্ছিল।’

তিনি আরও বলেন, “আমার এলাকার এক সাংবাদিক নিউজ করার পর এসিআই কোম্পানির ‘স্বপ্ন’ থেকে যোগাযোগ করে আমার অনেকগুলো শসা কিনে নিয়েছেন উনারা। এতে করে লোকসানের অনেক ঘাটতি পূরণ হয়েছে আমার। তাদের অশেষ ধন্যবাদ।”

আরও পড়ুন:
লাউয়াছড়ায় গাড়িচাপায় প্রাণ গেল ১২ ফুট অজগরের
এক ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে ফিরিঙ্গি বাজার বস্তির আগুন
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে কমলগঞ্জে দুই দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা
দুর্বৃত্তের হামলায় পা বিচ্ছিন্ন হওয়া যুবকের মৃত্যু
মাছ-মাংসের দাম বেড়েছে, সামান্য স্বস্তি সবজিতে

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The new record price of gold in the countrys market is Tk 119638

দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১১৯৬৩৮ টাকা

দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১১৯৬৩৮ টাকা
বাজুস নির্ধারিত দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে গহনা বিক্রি করা হয়। সে সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে গুনতে হবে ১ লাখ ২৯ হাজার ১১৯ টাকা।

দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে রেকর্ড ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের সাড়ে তিন মাসে অষ্টমবারের মতো স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৃহস্পতিবার বৈঠক করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। নতুন নির্ধারিত এই দাম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী- ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বেড়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বেড়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৬৫৬ টাকা বেড়ে ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৩৮৮ টাকা কমে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সবশেষ দশ দিন আগে ৮ এপ্রিল বাজুস ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৪৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা নির্ধারণ করে। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। ১০ দিনের ব্যবধানে আবারও দাম বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দেশের স্বর্ণের বাজারে উচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হলো।

অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের আরও বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে ১ লাখ ২৯ হাজার ১১৯ টাকা।

এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা আছে।

আরও পড়ুন:
স্বর্ণের দাম দু’দিনের ব্যবধানে ভরিতে বেড়েছে ৩,৪৯৯ টাকা
বাড়া-কমার খেলায় স্বর্ণের ভরি রেকর্ড ১,১৪,০৭৪ টাকা
কমলো স্বর্ণের দাম
দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১,১২,৯০৮ টাকা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The price of bottled soybean oil increased by Tk 4 per liter

লিটারে ৪ টাকা বাড়ল বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম

লিটারে ৪ টাকা বাড়ল বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম দোকানে সাজিয়ে রাখা সয়াবিন তেলের বোতল। ফাইল ছবি
সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘…১৪৯ টাকা যেটা খোলাবাজারে ছিল, সেটাকে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা সর্বোচ্চ খোলাবাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হবে। আর আমাদের সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার, বোতল যেটা, পেট বোতলে যেটা, যেটার মধ্যে সিল করা থাকে, সেইটা আমাদের নির্ধারিত ছিল ১৬৩ টাকা। সেইখান থেকে বৃদ্ধি করে ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’

বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।

সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘…১৪৯ টাকা যেটা খোলাবাজারে ছিল, সেটাকে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা সর্বোচ্চ খোলাবাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হবে।

‘আর আমাদের সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার, বোতল যেটা, পেট বোতলে যেটা, যেটার মধ্যে সিল করা থাকে, সেইটা আমাদের নির্ধারিত ছিল ১৬৩ টাকা। সেইখান থেকে বৃদ্ধি করে ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’

খোলা সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতলের দামের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আর খোলাবাজারে সয়াবিন তেল পাঁচ লিটারের বোতল ৮০০ টাকা ছিল। সেটাকে ৮১৮ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’

পাম অয়েলের দাম নিয়ে টিটু বলেন, ‘সুপার পাম অয়েল তেল প্রতি লিটার, এটা আগে নির্ধারণ করা ছিল না। এবার আমরা নির্ধারণ করে দিচ্ছি। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা লিটার।

‘তো এই চারটা পণ্যের দাম, এইটা কিন্তু আমরা নির্ধারণ করলাম না। আমাদের যারা অ্যাসোসিয়েশনের, তাদের রিকমেন্ডেশনে এবং আমাদের ট্যারিফ কমিশনের অনুমোদনক্রমে উনারা উনাদের অ্যাসোসিয়েশন থেকে চিঠি দিয়ে আগামীকাল থেকে এই মূল্য উনাদের মিল গেট থেকে উনারা কার্যকরী করবে।’

আরও পড়ুন:
চলতি মাসেই জ্বালানি তেলের দাম কমছে: প্রতিমন্ত্রী
সয়াবিন তেলের নতুন দাম কার্যকর হচ্ছে শুক্রবার
বিশ্ববাজারের সঙ্গে ওঠানামা করবে জ্বালানি তেলের দাম: প্রতিমন্ত্রী
দুর্ঘটনার ১০ দিন না যেতে সড়কেই প্রাণ গেল তেলেঙ্গানার বিধায়কের
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে কমল ১০ টাকা, ১ মার্চ থেকে কার্যকর

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Bank Asia to acquire foreign bank Alfalah

বিদেশি ব্যাংক আলফালাহ অধিগ্রহণ করবে ব্যাংক এশিয়া

বিদেশি ব্যাংক আলফালাহ অধিগ্রহণ করবে ব্যাংক এশিয়া
পাকিস্তানের করাচিভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের বাংলাদেশ পরিচালনা, সম্পদ ও দায় অধিগ্রহণের জন্য প্রাপ্ত বাধ্যবাধকতামুক্ত ইঙ্গিতমূলক প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি জানিয়েছিল যে আর কোনো ব্যাংককে একীভূতকরণের সুযোগ দেয়া হবে না। তবে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের জন্য ব্যাংক এশিয়াকে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নতুন মাত্রার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক এশিয়া বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করছে। সূত্র: ইউএনবি

করাচিভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ বুধবার (১৭ এপ্রিল) পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জকে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের বাংলাদেশ পরিচালনা, সম্পদ ও দায় অধিগ্রহণের জন্য প্রাপ্ত বাধ্যবাধকতামুক্ত ইঙ্গিতমূলক প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

এতে বলা হয়, ব্যাংক আলফালাহ বাংলাদেশের ব্যাংক এশিয়ার জন্য যথাযথ কার্যক্রম শুরুর জন্য স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তানের অনুমোদন চাইছে।

ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আর কে হুসেইন বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি একীভূতকরণ নিয়ে খুব বেশি আলোচনার অংশ নয়।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে দুই ব্যাংকের নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে অধিগ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত রূপ পাবে বলে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Legal notice and cancellation of contracts to advertising companies promoting dramas contrary to Waltons ideals and principles

‘রূপান্তর’ নাটক ইস্যুতে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে ওয়ালটনের নোটিশ, চুক্তি বাতিল

‘রূপান্তর’ নাটক ইস্যুতে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে ওয়ালটনের নোটিশ, চুক্তি বাতিল ওয়ালটনের লোগো। ছবি: সংগৃহীত
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটনের ভাষ্য, দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও তারা সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

বিষয়বস্তু অবহিত না করে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে ‘রূপান্তর’ শিরোনামের একটি নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ওয়ালটন।

পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সব ধরনের বিজ্ঞাপনী চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

ওয়ালটনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’ এর স্বত্বাধিকারী মোহন আহমেদকে মঙ্গলবার ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।

ওয়ালটনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট রাইসুল ইসলাম রিয়াদ স্বাক্ষরিত আইনি নোটিশে উল্লেখ করে যা বলা হয়, ‘আপনি লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান এর স্বত্বাধিকারী। আপনার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আপনার নির্মিত ছয়টি নাটকে ওয়ালটন ফ্রিজ ব্র্যান্ডিং করতে সম্মত হয়। শর্ত থাকে যে, উক্ত নাটকসমূহে দেশের আইন, নীতি, নৈতিকতা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয় এরকম কোনো বিষয় অর্ন্তভুক্ত হবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, উক্ত নাটকসমূহের মধ্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটিতে এমন কিছু বিষয় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে, যাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ও মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।’

নোটিশে আরও বলা হয়, ‘ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে নাটকটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্বে অবহিত না করে রূপান্তর নাটক প্রচার করায় আপনার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হলো এবং সেই সঙ্গে কেন আপনার বিরুদ্ধে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে নাটক প্রচারের জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে জানানোর জন্য বলা হলো।’

এর আগে ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে ‘রূপান্তর’ নাটকটি প্রত্যাহারের জন্য বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে নির্দেশ দেয় ওয়ালটন। তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক-ইউটিউবসহ সব মাধ্যম থেকে নাটকটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

এরপর বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ওয়ালটন গ্রুপের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থি নাটকে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে লিগাল নোটিশ দেয় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটনের ভাষ্য, দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও তারা সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

আরও পড়ুন:
ঈদ উৎসবে ওয়ালটন ফ্রিজ কেনার হিড়িক
ওয়ালটন টিভি কিনে এয়ার টিকিটের সুযোগ চাঁদরাত পর্যন্ত
ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ৩৩তম মিলিয়নিয়ার হলেন রাজশাহীর মাদ্রাসাশিক্ষক আমিনুল
সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ হিরো বাংলাদেশের
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম নিয়ে এলো কল্লোল গ্রুপ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The DMD of the state owned bank is Faiz Alam

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ডিএমডি হলেন ফয়েজ আলম

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ডিএমডি হলেন ফয়েজ আলম রূপালী ব্যাংক পিএলসির মহাব্যবস্থাপক মো. ফয়েজ আলম। ছবি: সংগৃহীত
ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি হওয়ার আগে তিনি রূপালী ব্যাংক পিএলসিতে মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন রূপালী ব্যাংক পিএলসির মহাব্যবস্থাপক মো. ফয়েজ আলম। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে তিনিসহ রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন ব্যাংকের আট জন মহাব্যবস্থাপককে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়।

ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি হওয়ার আগে তিনি রূপালী ব্যাংক পিএলসিতে মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

মো. ফয়েজ আলম ১৯৯৮ সালে বিআরসির মাধ্যমে সিনিয়র অফিসার পদে রূপালী ব্যাংকে যোগদান করেন। কর্মজীবনে ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখার শাখা ব্যবস্থাপক, জোনাল অফিস এবং প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পেশাগত প্রয়োজনে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও আরব অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণসহ দেশ-বিদেশে ব্যাংকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।

ফয়েজ আলমের জন্ম ১৯৬৮ সালে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার যোগীরনগুয়া গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে বিএ অনার্সসহ এমএ পাশ করার পর এমফিল ডিগ্রিও অর্জন করেন খ্যাতিমান এই ব্যাংকার।

পেশাগত জীবনের বাইরে ফয়েজ আলম একজন সফল লেখকও। বাংলাদেশে তিনি অগ্রণী উত্তর উপনিবেশী তাত্ত্বিক, প্রাবন্ধিক ও কবি হিসেবে বিশেষ খ্যাতিমান। এডওয়ার্ড সাঈদের বিখ্যাত গ্রন্থ অরিয়েন্টালিজম-এর অনুবাদক হিসেবেও তার আলাদা খ্যাতি আছে। তার পনেরটির বেশি গ্রন্থ এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে