লিটারপ্রতি ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। বেঁধে দেয়া এ দাম অবিলম্বে কার্যকর হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে বুধবার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নির্ধারণের জাতীয় কমিটি এ দাম নির্ধারণ করে।
নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিনের মিলগেটে দাম ১০৭ টাকা। পরিবেশক মূল্য ১১০ ও খুচরা মূল্য ১১৫ টাকা।
বোতলজাত প্রতি লিটার তেলের মিলগেট মূল্য ১২৩ টাকা। পরিবেশক মূল্য ১২৭ ও খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা।
এ ছাড়া বোতলজাত প্রতি পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের মিলগেট মূল্য ৫৯০ টাকা। পরিবেশক মূল্য ৬১০ টাকা ও খুচরা মূল্য ৬৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
পামওয়েল সুপারের মিলগেটে দাম ধরা হয়েছে ৯৫ টাকা। পরিবেশক পর্যায়ে ৯৮ ও খুচরা ১০৪ টাকায় বিক্রি করা হবে।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বেঁধে দেয়া নির্ধারিত মূল্যে ভোজ্য তেল বিক্রয় নিশ্চিত করা হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে জাতীয় কমিটি ভোজ্য তেলের এই নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে দামের ওঠানামার ওপর বেঁধে দেয়া মূল্যও সময়ে সময়ে কম-বেশি পরিবর্তন হতে পারে।
বাণিজ্যমন্ত্রী রমজানকে সামনে রেখে কোনো অবস্থাতেই যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট না হয়, সে জন্য সংশ্লিষ্টদের আমদানির মাধ্যমে পর্যাপ্ত মজুত সৃষ্টি করার পরামর্শ দেন। তিনি জানান, এ জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে।
বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলুু কুমার সাহা, বিএফটিআইয়ের পরিচালক মো. ওবায়দুল আজম, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য (বাণিজ্যনীতি) আবু রায়হান আলবেরুনী, এনবিআরের সদস্য (শুল্ক) সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান, ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হাফিজুর রহমান, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, টিকে গ্রুপের পরিচালক মো. সফিউল আফসার তাজলিম, সিটি গ্রুপের উপদেষ্টা অমিতাভ চক্রবর্তী, এস আলম গ্রুপের সিনিয়র মকহাব্যবস্থাপক কাজী সালাহ উদ্দিন আহমেদসহ অনেকেই।
এ ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা ডিজিএফআই এবং এনএসআইয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ‘অপো’ রবিবার বাংলাদেশে যুগান্তকারী স্মার্টফোন সিরিজ ‘অপো রেনো১৩ সিরিজ’ উন্মোচন করেছে।
সিরিজটি বাংলাদেশের বাজারে প্রথমবারের মতো আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফির সুযোগ উন্মুক্ত করেছে।
অপোর ভাষ্য, স্মার্টফোনটি শুধু প্রযুক্তির প্রতীক নয়, বরং এটি ব্যবহারকারীদের জীবনকে আরও আনন্দময় ও সৃজনশীল করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি: এক নতুন অভিজ্ঞতা
‘অপো রেনো১৩ সিরিজ’ হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম স্মার্টফোন যা আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফির সুযোগ দিচ্ছে। এটি আইপি৬৯-রেটেড ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেজিস্ট্যান্স সুবিধার মাধ্যমে পানির ২ মিটার গভীরতায় ৩০ মিনিট পর্যন্ত ফটো ও ভিডিও ধারণের সুযোগ দেয়। এ ছাড়াও পানির অন্ধকার ও রঙের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এআই কালার ক্যালিব্রেশন অ্যালগরিদম ব্যবহার করে ফোকাস, রঙ ও কনট্রাস্টের সমন্বয় করে।
ফিচারটি ব্যবহারকারীদের পানির তলদেশে অসাধারণ ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে সাহায্য করবে।
মডেল
‘অপো রেনো১৩ সিরিজ’-এর দুটি মডেল হলো ‘অপো রেনো১৩ ৫জি’ ও ‘অপো রেনো১৩ এফ’ ।
রেনো১৩ ৫জি: ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের ৬.৫৯ ইঞ্চি ডিসপ্লে, ৫৬০০ এমএএইচ ব্যাটারি, ৮০ ওয়াট সুপারভোগ চার্জিং, ১২ জিবি র্যাম (১২জিবি এক্সটেন্ডেড) এবং ২৫৬ জিবি রম। এটি পাম হোয়াইট ও লুমিনাস ব্লু রঙে পাওয়া যাবে ৬৯ হাজার ৯৯০ টাকায়।
রেনো১৩ এফ: ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের ৬.৬৭ ইঞ্চি ওলেড ডিসপ্লে, ৫৮০০ এমএএইচ ব্যাটারি, ৪৫ ওয়াট সুপারভোগ চার্জিং, ৮ জিবি র্যাম (৮জিবি এক্সটেন্ডেড) এবং ২৫৬ জিবি রম। এটি পাম পার্পল ও গ্রাফাইট গ্রে রঙে পাওয়া যাবে ৩৪ হাজার ৯৯০ টাকায়।
এআই প্রযুক্তির বিস্ময়
‘অপো রেনো১৩ সিরিজ’-এর মূল আকর্ষণ হচ্ছে এর অত্যাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংবলিত ফিচারগুলো।
এআই লাইভফটো: শাটার প্রেস করার আগে ও পরে ১.৫ সেকেন্ডের টাইম ক্যাপসুল রেকর্ড করে নেয়। এআই ডি-ব্লারিং, ইআইএস ও ভিজ্যুয়াল রিকগনিশন অ্যালগরিদম ব্যবহার করে শটগুলো স্থিতিশীল করে।
এআই এডিটর স্যুট: ঝাপসা ছবিকে হাই-কোয়ালিটি ভিজ্যুয়ালে রূপান্তর করে। এ ছাড়াও এআই আনব্লার, এআই রিফ্লেকশন রিমুভার এবং এআই ইরেজার ২.০-এর মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় বিষয় সরিয়ে দেওয়া যায়।
গেমিং ও নেটওয়ার্ক অভিজ্ঞতা
গেমার্স ও স্ট্রিমারদের জন্য ‘এআই লিংকবুস্ট ২.০’ ফিচার উল্লেখযোগ্য। এটি লো-সিগনাল অথবা ক্রাউডেড এরিয়াতে নেটওয়ার্ক শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে।
৯টি ৩৬০° ডিগ্রি অ্যান্টেনা, ডুয়েল-চ্যানেল ওয়াই-ফাই এবং ব্লুটুথ অ্যাসিলারেশন ব্যবহার করে নির্বিঘ্ন গেমিং ও স্ট্রিমিং অভিজ্ঞতা দেয়।
ডকুমেন্টেশন ও মাল্টি-টাস্কিং
দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারের জন্য এ স্মার্টফোনে রয়েছে এআই সংবলিত ডকুমেন্টেশন টুলস। নিচে সেগুলো তুলে ধরা হলো।
ডকুমেন্টস অ্যাপ: লেখা সামারাইজেশন ও এডিটিং করতে সাহায্য করে।
এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট নোটস: ফরম্যাটিং ও কনটেন্ট এক্সপ্যানশন সক্ষমতা দেয়।
প্রি-অর্ডার অফার
অপো-ভক্তরা ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ‘রেনো১৩ সিরিজ’ প্রি-অর্ডার করতে পারবেন। প্রি-অর্ডারের সঙ্গেই বিশেষ উপহারসহ ড্রিম ট্রিপ জেতার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও অপো ট্রাভেল ব্যাগ এবং ১০০ শতাংশ শিওর শট অপো সুপার শিল্ড কার্ডসহ নানা আয়োজন রয়েছে।
সিরিজের বিষয়ে অপো সাউথ এশিয়ার মার্কেটিং ডিরেক্টর ইয়াং গু বলেন, “‘মেক ইউর মোমেন্ট’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আমরা বর্তমান সময়কে ধারণ ও ভালো লাগার মুহূর্তকে গ্রহণের জন্য একটি নতুন প্রজন্মকে ক্ষমতায়িত করছি।”
অপো বাংলাদেশ অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, ‘এই অনন্য ফিচারটি স্মার্টফোনপ্রেমীদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। এ অর্জন প্রতিযোগিতামূলক বাজারে মানসম্পন্ন পণ্য পৌঁছে দিতে আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।”
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রবিবার লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ৪ পয়েন্ট।
বাকি শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস ও ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ দুটি সূচকেরই উত্থান দশমিকের নিচে।
লেনদেনের শুরুতেই দাম বাড়ে ১৬৪ কোম্পানির, কমে ১৪৩ এবং অপরিবর্তিত ছিল ৭৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১০০ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
লেনদেনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বাড়ে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৬৬ কোম্পানির মধ্যে দাম বাড়ে ৩২, কমে ২২ এবং অপরিবর্তিত ছিল ১২ কোম্পানির শেয়ারের দাম। শুরুতেই মোট শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন ছাড়ায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:টার্ফের সবুজ গালিচায় মৃদু আলোর অপরূপ দৃশ্য। চারপাশে সারিবদ্ধ দর্শকের ভিড়। থেমে থেমে উল্লাসের সুর বেজে উঠছে দর্শক ও খেলোয়াড়দের মাঝে।
রেফারি বাঁশিতে ফুঁ দিতেই শুরু হয়ে যায় যুদ্ধ। তবে এ যুদ্ধ সংঘাতের নয়, সৌহার্দ্যের ফুটবল যুদ্ধ।
প্রথম দিন প্রতিটি ম্যাচে ফুটবল শৈলীতে শেষমেশ জয়ের হাসি হাসে ছয়টি দল। তবে গোলে স্বপ্নভঙ্গ হলেও দারুণ খেলে সবার মন কেড়েছে প্রতিটি ফুটবল দল।
টানটান উত্তেজনার মধ্যে টুর্নামেন্টের প্রথম দিন অনুষ্ঠিত হয় ছয়টি ম্যাচ। হালিশহর কেএসআরএম টুর্নামেন্টের গতকালের চিত্র এটি।
নগরের হালিশহরের কেএসআরএম টার্ফে শুক্রবার টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন কেএসআরএমের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নবাব সিরাজুদ্দৌলা, সেলিম উদ্দিন, করিম উদ্দিন ও সরওয়ার জাহান।
ওই সময় উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (করপোরেট) শামসুল হক ও পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন) জসিম উদ্দিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে কেএসআরএম গ্রুপের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে ২৮টি দল। প্রথম দিনে ১২টি দলই তাদের নৈপুণ্য দেখাতে সক্ষম হয়।
৫২ ম্যাচের প্রতিযোগিতামূলক এ টুর্নামেন্টের খেলা চলবে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
আরও পড়ুন:ভালোবাসা দিবসে সুন্দোরা বিউটি গ্রাহকদের জন্য আনছে তাদের নতুন বিশেষ ক্যাম্পেইন ‘গিফটস অব লাভ’।
ক্যাম্পেইনের বিশেষত্ব
এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে গ্রাহকরা স্কিন কেয়ার, আইকনিক পারফিউম, বিশ্বখ্যাত মেকআপ ব্র্যান্ডের প্রসাধনী এবং সেন্টেড ক্যান্ডেলসহ প্রিমিয়াম সৌন্দর্য পণ্যের সমন্বয়ে একটি ব্যক্তিগত উপহার বাক্স তৈরি করতে পারবেন। প্রতিটি বাক্স সাজানো যাবে গ্রাহকের নিজস্ব স্বাদ ও পছন্দ অনুযায়ী, যা উপহারটিকে আরও অর্থবহ ও স্মরণীয় করে তুলবে।
নতুন ব্র্যান্ডের অন্তর্ভুক্তি
বাংলাদেশের অনুমোদিত সৌন্দর্য পণ্য রিটেইলার হিসেবে নিজেদের অবস্থান আরও মজবুত করতে সুন্দোরা বিউটি এবার নতুন কিছু বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড বাংলাদেশে এনেছে। এ ব্র্যান্ডগুলো হলো Montblanc, Jimmy Choo, Maison Margiela, TonyMoly, Moncler ও Yves Saint Laurent।
ব্র্যান্ডগুলোর এক্সক্লুসিভ কালেকশন শুধু সুন্দোরা বিউটির স্টোরেই পাওয়া যাবে।
সুন্দোরা বিউটির পরিসর
সুন্দোরা বিউটি বর্তমানে ১২০টিরও বেশি বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের অনুমোদিত রিটেইলার। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহসজ্জার পণ্য।
গ্রাহকরা sundora.com.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে কেনাকাটা করতে পারেন অথবা ঢাকার বনানী, গুলশান এবং ধানমন্ডিতে অবস্থিত সুন্দোরা বিউটির স্টোরগুলোতে সরাসরি গিয়ে তাদের পছন্দের পণ্য কিনতে পারেন।
ভালোবাসার বিশেষ উপহার
ভালোবাসা দিবসে সুন্দোরা বিউটির ‘গিফটস অব লাভ’ ক্যাম্পেইন নিয়ে আসছে এক অনন্য সুযোগ, যেখানে প্রতিটি উপহার বাক্স গ্রাহকের ভালোবাসার প্রতীক হয়ে দাঁড়াবে।
ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সুন্দোরা বিউটি আশা করছে, তাদের গ্রাহকরা নিজেদের প্রিয়জনের জন্য সবচেয়ে বিশেষ উপহার তৈরি করতে পারবেন।
আরও পড়ুন:ডিজিটাল ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম ফার্স্টট্রিপ, ইউএস-বাংলা ঢাকা ট্র্যাভেল মার্ট-২০২৫-এ তার বিজনেস-টু-কনজিউমার (বিটুসি) পরিষেবা চালু করার মাধ্যমে ভ্রমণ বুকিংয়ের অভিজ্ঞতায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত।
প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে তিন দিনব্যাপী মেলা চলবে।
বাংলাদেশের ভ্রমণকারীদের আকর্ষণীয় সেবার নতুনত্ব, নির্বিঘ্ন, সাশ্রয়ী এবং ঝামেলামুক্ত ভ্রমণ পরিকল্পনা প্রদান করতে চায় ফার্স্টট্রিপ।
বিটুসি প্ল্যাটফর্মের প্রবর্তনের মাধ্যমে ফার্স্টট্রিপ ব্যবহারকারীদের তাৎক্ষণিক ফ্লাইট বুকিং, হোটেল রিজার্ভেশন, ভিসা প্রসেসিং, হলিডে প্যাকেজ এবং আকর্ষণীয় ভ্রমণ পরিকল্পনা চূড়ান্তকরণসহ সবকিছুই একটি সহজ ও সময়োপযোগী ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া যাবে।
ঢাকা ট্র্যাভেল মার্ট-২০২৫-এ ফার্স্টট্রিপ ট্রাভেল পোর্টালটি বিটুবির সফলতার পর বিটুসি উদ্বোধনের মাধ্যমে সব শ্রেণির গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।
ফার্স্টট্রিপের চিফ অপারেটিং অফিসার হাসনাইন রফিক বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় ইভেন্ট ইউএস-বাংলা ঢাকা ট্রাভেল মার্ট-২০২৫-এ আমাদের বিটুসি পরিষেবা চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিত।
‘এ ছাড়া আমাদের প্ল্যাটফর্মটি ভ্রমণ পরিকল্পনাকে সহজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি প্রত্যেকের জন্য আরও ব্যবহারযোগ্য এবং সুবিধাজনক করে তুলবে।’
ফার্স্টট্রিপের বিটুসি পরিষেবা উদ্বোধন উপলক্ষে একটি অভ্যন্তরীণ টিকেট কিনলে বিনা মূল্যে আরেকটি ফ্রি টিকেট উপভোগ করতে পারবেন। টিকেট অফারটি ইউএস-বাংলা এবং এয়ার অ্যাস্ট্রার মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারবেন।
মেলা চলাকালীন ৬ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি বুকিং করে ভ্রমণ করতে পারবেন ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ জুনের মধ্যে। মূল্যছাড়ের অফারটি শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রযোজ্য।
মেলায় ফ্লাইট ও হোটেল বুকিংয়ের ওপর আকর্ষণীয় মূল্যছাড়ের অফারও থাকছে। এ ছাড়া ফার্স্টট্রিপের প্যাভিলিয়নে প্ল্যাটফর্মের একটি লাইভ ডেমো উপভোগ করতে পারবেন।
এ বিষয়ে আরও তথ্যের জন্য ফার্স্টট্রিপের ওয়েবসাইট (www.firsttrip.com) ভিজিট অথবা সর্বশেষ আপডেটের জন্য সোশ্যাল মিডিয়াতে ফার্স্টট্রিপ অনুসরণ করতে পারেন।
আরও পড়ুন:ট্রাস্ট ইনফিনিটি ফার্মস বাংলাদেশের আয়োজনে স্বাদ ও সেভরি ব্র্যান্ডের বার্ষিক বিক্রয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের বাংলার তাজমহলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানটি ছিল একটি বিশেষ সম্মানী আয়োজন, যেখানে বিক্রয় প্রতিনিধিদের ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও উপহার বিতরণ করা হয়।
এ অনুষ্ঠানে ট্রাস্ট ইনফিনিটি ফার্মস বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিটন আকন্দ, চেয়ারম্যান মহসিনা আক্তার লুবনা, সহকারী মহাব্যবস্থাপক সুমন চন্দ্র হালদার এবং এইচআর ম্যানেজার মাকসুদ আহমেদ সজিবসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বার্ষিক বিক্রয় সম্মেলনটি স্বাদ ও সেভরি ব্রান্ডের অর্জন ও সাফল্যের প্রতি আস্থার প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বিক্রয় প্রতিনিধিদের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং তাদের অনুপ্রাণিত করার জন্য বিশেষ পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন বা বাণিজ্য সুবিধার রোডম্যাপ বাস্তবায়ন জরুরি বলে অভিমত দিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দীন।
ঢাকার বিয়াম ফাউন্ডেশনের মাল্টিপারপাস হলে মঙ্গলবার দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ন্যাশনাল ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন কমিটির (এনটিএফসি) সভায় তিনি এ অভিমত দেন।
ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন এগ্রিমেন্টের মূল উদ্দেশ্য হলো বাণিজ্য উদারীকরণের স্বার্থে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্পর্কিত বিধি-বিধান ও কর্মপদ্ধতি পর্যালোচনা করে আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের প্রসার ও চলাচল ত্বরান্বিত করা।
সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।
বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দীন বলেন, ‘আমরা ২০২৬ সালের নভেম্বরে এলডিসি গ্র্যাজুয়েট হতে যাচ্ছি। এই গ্রাজুয়েশনের কারণে সামনে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের ওপর বিভিন্ন নিয়ম আসবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের কারণে আমাদের অর্থনীতিতে যে ধাক্কাটা আসবে, তা থেকে পরিত্রাণের নিয়ামক হচ্ছে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘দক্ষতার মাধ্যমে প্রতিযোগিতা বাড়াতে হবে। এ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। ২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের সময় আছে। আমি মনে করি, এটি দীর্ঘ সময়।
‘যদি ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে আমরা গ্র্যাজুয়েট করি, আমি মনে করি আমাদের ওয়ার্কিং গ্রুপগুলো একসাথে কাজ করলে একটা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ সম্ভব।’
একই সভায় লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের একটি সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি ব্যবসা সহজীকরণ করতে হবে। আমরা সমন্বয় ও সহযোগিতা বাড়াতে চাই।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য