দুই বছর আগে মুন্নু সিরামিকের শেয়ার কারসাজি করে ১১ গুণ বাড়ানোর প্রমাণ মিলেছে বিএসইসির তদন্তে। পরে এই বর্ধিত দামে কোম্পানির ১৩১ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করে মুন্নু ওয়েলয়েফার ফাউন্ডেশন।
মোট ৩৫ লাখ শেয়ার বিক্রি করা হয় সে সময় অভিহিত মূল্যে যার দাম সাড়ে তিন কোটি টাকা। অর্থাৎ কোম্পানিটির লাভ হয়েছে ১২৮ টাকার মতো।
দাম বাড়ানোর আগে যদিও প্রতিটি শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ৪০ টাকার মতো। এই হিসাব করা হলে কোম্পানির লাভ হয়েছে ১০০ কোটি টাকার কিছু বেশি।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির তদন্তে বের হয়ে এসেছে মূল্য সংবেদনশীল তথ্য গোপনে ফাঁস করে, হিসাব বাড়িয়ে দেখিয়ে কারসাজি করে মুন্নুর দুটি কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বাড়ানো হয় সে সময়।
ওই বছরে ৪০ টাকার মুন্নু সিরামিকের দাম কারণ ছাড়াই বেড়ে হয় ৪৪১ টাকা। সেই দাম এখন কমে হয়েছে ১২৬ টাকা। সেটি আরও কম হতে পারত। মূল্য পতন ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি যে প্রতিটি শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বেধে দিয়েছে, সেই দামই এটি।
সে সময় যারা এ কোম্পানির শেয়ারের কিনেছিলেন তাদের শেয়ার প্রতি লোকসান এখন তিনশ টাকার বেশি।
দুই বছরের তদন্ত শেষে ফাউন্ডেশনকে ১০ কোটি টাকা আর মুন্নু সিরামিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সমস্ত পরিচালককে (স্বতন্ত্র পরিচালক বাদে) ১ কোটি টাকা করে জরিমানা করেছে বিএসইসি। অর্থাৎ মোট জরিমানা ১৫ কোটি টাকা।
বিএনপি নেত্রী আফরোজা খান রিতা এই কোম্পানিটির মালিক। তিনি বিএনপির সাবেক মন্ত্রী হারুনার রশীদ খান মুন্নুর মেয়ে।
কারসাজি করে লাভ করেছে শত কোটি টাকা, আর জরিমানা ১৫ কোটি- এভাবে শাস্তি দিলে কোনো লাভ হবে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মুন্নু সিরামিকের যে কারসাজি সেটা আরও আগেই শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা উচিত ছিল। তারা যেভাবে শেয়ার বিক্রি করেছে সেটা অন্যায়। এখন বর্তমান কমিশন যেহেতু বিষয়টি আমলে নিয়ে তাদের শাস্তির আওতায় এসেছে, সেটাও একটা ভালো দিক।’
আবু আহমেদের পরামর্শ, যে কোম্পানির কিছুই নেই, বছরে ভালো লভ্যাংশ দিতে পারে না, সেই কোম্পানির শেয়ার কেন চারশ টাকায় কিনবে। এ ধরনের কোম্পানির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদেরও সচেতন হওয়া উচিত।
বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এক কথায় তাদের শূলে চড়ানো উচিত। পুঁজিবাজারকে তারা তাদের নিজেদের সম্পত্তি মনে করে। এসব কোম্পানির উদ্দেশ্যই হচ্ছে লুটপাট করা। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা লুট করতে যে সময় লাগে পুঁজিবাজারে তার চেয়ে সহজে লুট করা যায়।
তিনি বলেন, ‘তাদের কারসাজির দুই বছর পর শাস্তি দেয়া হলেও আমি মনে করি এতে অন্যান্য কোম্পানির জন্যও শিক্ষণীয় হবে।’
বিএসইসি থেকে বলা হয়েছে, আইন অনুযায়ী যতটুকু করা যায়, ততটুকুই শাস্তি দেয়া হয়েছে।
সে সময় একই কোম্পানির মালিকানাধীন আরেক কোম্পানি মুন্নু স্টাফলারের দাম ৩৫০ টাকা থেকে বেড়ে সে সময় হয় পাঁচ হাজার ৮০০ টাকায়।
এই কোম্পানিটি পড়ে প্রতি দুটি শেয়ারের বিপরীতে তিনটি বোনাস শেয়ার দেয়। কিন্তু দর ধরে রাখতে পারেনি।
এখন শেয়ারটির দাম ৭৯৪ টাকা। এটিও বেঁধে দেয়া সর্বনিম্ন ফ্লোর প্রাইসে আছে।
যেভাবে শেয়ার বিক্রি
দাম সর্বোচ্চ পরিমাণে বাড়ার পর মুন্নু সিরামিকের বিপুল পরিমাণ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেয় মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন।
২০১৯ সালের ৪ মার্চ ঘোষণা আসে মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজের করপোরেট ডিরেক্টর মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন তাদের কাছে থাকা মুন্নু সিরামিকের এক কোটি ৪২ লাখ ৪০ হাজার ৩৩০টি শেয়ার থেকে সাত লাখ শেয়ার পাবলিক মার্কেটে বাজার দরে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে বিক্রি করা হবে।
তার ৫ কার্যদিবসে বিক্রি হয়ে যায় ৭ লাখ শেয়ার।
এই সময়ে অর্থাৎ ৪ মার্চ কোম্পানির শেয়ারে সর্বোচ্চ দর ছিল ৪৪১ টাকা। এটাই মুন্নু সিরামিকের গত দুই বছরের সর্বোচ্চ দর। তার একদিন পর ৫ মার্চ শেয়ার প্রতি দর ছিল ৪৩০ টাকা। ৬ তারিখে দর হয়ে ৪১৭ টাকা। আর ৭ মার্চ দর কমে হয় ৩৮৮ টাকা।
৮ ও ৯ মার্চ সরকারি ছুটি থাকায় লেনদেন হয়ে ১০ মার্চ। সেদিন ৪১০ টাকা ২০ পয়সা।
এ সময় কোম্পানিটির গড় দর ছিল ৪১৭ টাকা। এই হিসাবে সাত লাখ শেয়ার বিক্রি করা হয় ২৯ কোটি ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকায়।
১১ মার্চ আবারও ঘোষণা করা হয় মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন ২৮ লাখ শেয়ার বিক্রি করবে হাতে থাকা এক কোটি ৩৫ লাখ ৪০ হাজার ৩৩০টি শেয়ারের মধ্যে।
সেদিন সর্বোচ্চ দর ছিল ৩৬৯ টাকা ১০ পয়সা। এভাবে ২৮ লাখ শেয়ারের দাম আসে ১০৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
অর্থাৎ মুন্নু সিরামিকের ৩৫ লাখ শেয়ার বিক্রি করে ১৩১ কোটি টাকার মতো আয় করে মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন।
লেনদেনের হিসাবেও দেখা গেছে, ৪ মার্চ মুন্নু সিরামিকের মোট লেনদেন হয়েছে সবচেয়ে বেশি ২১ লাখ ৮৮ হাজার ৩৫৯ টি।
আর ৫ মার্চ লেনদেন হয়েছে নয় লাখ ৪৪ হাজার ৭৯১টি। ছয় মার্চ লেনদেন হয়েছে সাত লাখ ৯২ হাজার ৬১৭টি।
এই কোম্পানির আহামরি কোনো লভ্যাংশ দেয়ার ইতিহাস নেই। কোম্পানিটি ২০১৭ সালে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০১৮ সালে ৩০ শতাংশ বোনাস আর ২০১৯ সালে ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ প্রদান করে।
কী বলছেন কোম্পানি সচিব
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কোম্পানির সচিব নাসির উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের মূল উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন, যেখানে মুন্নুর সিংহভাগ শেয়ার রয়েছে। সাত লাখ শেয়ার পাবলিক মার্কেটে বিক্রি করা হয়েছে। তবে পরবর্তীতে যে ২৮ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেয়া হয়েছিল তার পুরোটি বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা যা করেছি বিএসইসিকে জানিয়ে করেছি।’
বিএসইসি জরিমানার সিদ্ধান্ত নিলেও সেখানে কোনো অনিয়ম হয়নি বলে মনে করেন মুন্নুর কোম্পানি সচিব। বলেন, ‘২৮ লাখ শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করা হয়েছে। ফলে এখানে কারসাজি বা অন্যায়ের কী হয়েছে তা বোধগম্য নয়।’
অনিয়মের প্রমাণ বিএসইসির তদন্তে
কোম্পানিটি শেয়ার লেনদেনে কারসাজিসহ করপোরেট ডিক্লারেশনের অনিয়ম করেছে তার প্রমাণ পায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি।
এজন্য কোম্পানির করপোরেট উদ্যোক্তা মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন শেয়ার বিক্রির তথ্য পর্যালোচনা করে মুন্নু সিরামিক, ফাউন্ডেশন ও সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হয়।
তারই অংশ হিসাবে প্রাথমিকভাবে কোম্পানিটিকে পাবলিক মার্কেট থেকে সরিয়ে স্পট মার্কেটে-নগদ বা ক্রয়যোগ্য টাকায় লেনদেনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। যা ২০২০ সালের ২০ মার্চ স্পট মার্কেট থেকে মূল মার্কেটে নিয়ে আসা হয়।
জরিমানার বিষয়ে বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোম্পানিটি মূলত ২০১৯ সালে শেয়ার বিক্রি করে অনিময় করেছে। যার সঙ্গে কোম্পানির পরিচালকরা সম্পৃক্ত ছিল। তারই প্রেক্ষিতে কোম্পাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সহ প্রত্যেক পরিচালককে–স্বতন্ত্র পরিচালক বাদে এক কোটি টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।’
মুন্নু সিরামিকসের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান। উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালক রশিদ মায়মুনুল ইসলাম ও হুরুন নাহার রশিদ।
বাকি দুজন মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মনোনীত পরিচালক রশিদ সামিউল ইসলাম ও রশিদ রাফিউল ইসলাম।
আরও পড়ুন:মধুপুর বনাঞ্চলের কুল ঘেঁষা ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার সন্তোষপুর বনাঞ্চল। ৩ হাজার ৬৩৯ একর আয়তনের সংরক্ষিত এ বনে সামাজিক বানর, শাল,গজারী, রাবার,আগর বাগান ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর।
ঈদকে ঘিরে যান্ত্রিক জীবনের কর্মব্যস্ততার ফাঁকে কুরবানি ঈদের তৃতীয় দিনেও আনন্দ উপভোগ করতে সন্তোষপুর বনাঞ্চলে দেখা গেছে হাজারো মানুষের উচ্ছ্বাস। ভ্যাপসা গরম কিংবা তপ্ত রোদের তীব্রতাও যেনো থামাতে পারেনি তাদের এই আনন্দযাত্রা।
মঙ্গলবার (১০ জুন) সরেজমিনে সন্তোষপুর শাল, গজারি, রাবার ও আগর বাগানে দেখা গেছে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। আগত পর্যটকরা খাবার ছিটিয়ে বানরকে কাছে ভিড়ানোর চেষ্টা করছেন। পরে তা আবার ক্যামেরায় বন্দি করে নিচ্ছেন। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেশের নানা প্রান্তের বিনোদন প্রেমী লোকজন পরিবার-
পরিজন ও প্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আনন্দে মেতে উঠছেন। দর্শনার্থীদের এ সমাগমকে কেন্দ্র করে ফরেস্ট বিট অফিস সংলগ্ন মাঠে ভ্রাম্যমান খাবার ও বাচ্চাদের খেলাধূলার দোকানের পসরা বসিয়েছে দোকানিরা। একই অবস্থা উপজেলার পদ্মবিল খ্যাত বড়বিলা ও আলাদিনস পার্কের।
স্থানীয় হেলাল মিয়া ও আইনুদ্দিন বলেন, সন্তোষপুর রীতিমতো ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। ঈদের ছুটিতে প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঈদের দিন থেকে এখন পর্যন্ত দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে । এতে করে বনে থাকা বানরের খাদ্য ঘাটতিও পূর্ণ হচ্ছে।
রাজধানীর উত্তরা ও শেরপুরের ঝিনাইগাতী থেকে ঘুরতে আসা রাহিম, শফিকুল ইসলামসহ একাধিক দর্শনার্থীদের দাবি সন্তোষপুর বনে প্রবেশের কাচা রাস্তাঘাটগুলো সংস্কার ও স্পটটিতে পর্যটকদের বসার ব্যবস্থা করা হলে এ পর্যটন স্পটটি আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
উর্মি রানী জানান, প্রথমবারের মতো সন্তোষপুরে ঘুরতে এসেছি। এখানকার সামাজিক বানরের দল ও বনের সবুজায়ন দেখে আমি মুগ্ধ। এখানে গণশৌচাগার ও বসার নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা থাকলে আরও অনেক সুন্দর হতো।
শিল্পী আক্তার জানান, ঈদের মধ্যে বাচ্চাদের নিয়ে এমন প্রাকৃতিক জায়গাগুলোতে ঘুরতে ফিরতে পেরে বেশ ভালোই লেগেছে। এখানে না আসলে এ সৌন্দর্য উপভোগ করার শান্তি উপলব্ধি করতে পারতাম না। রাস্তার অবস্থা ভালো হলে লোকজনের উপস্থিতি আরও বাড়বে। এতে করে এখানকার পরিবেশও উন্নত হবে। তাই সরকারের নিকট রাস্তা সংস্কার ও বসার ছাউনী তৈরীর দাবি জানান তিনি।
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সোমবার (৯ জুন) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। এ সময়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৮ জন।
মঙ্গলবার (১০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভর্তি হয়েছেন ৩৮ জন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৩ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৫ জন।
বিজ্ঞপ্তি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশ নারী।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ মে পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫ হাজার ১৫ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
মেহেরপুর মুজিবনগরে আবারো নারী পুরুষ শিশুসহ ১২ জনকে পুশ ইন করলো ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
আজ মঙ্গলবার ভোররাতে মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস সীমান্ত পিলার ১০১ কাগমারী মাঠ দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেয় বিএসএফ।
তারা সীমান্ত পার হয়ে আসলে আনন্দবাস বিওপি ক্যাম্পের টহলরত বিজিবি সদস্যরা আনন্দবাস মাঠ থেকে তাদের আটক করে।
পরে তাদের মুজিবনগর থানায় হস্তান্তর করা হলে পুলিশ তাদের থানা হেফাজতে নেই।
আটকৃত হল
১। মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৪২), পিতা- মৃত রহমত আলী, সাং- ফুলমতি, ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রাম।
২। মোছাঃ শাহাজাদী খাতুন (৩০), পিতাঃ মৃত শাফেলা ব্যাপারী, সাং- চৌধুরীটারি, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।
৩। মোঃ মিরাজ আলী (১৫), পিতা- মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সাং- ফুলমতি, ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রাম।
৪। মোঃ হাছেন আলী(২০), পিতা- আব্দুল মজিদ, সাং- কবুরমাবুদ, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।
৫। মোহাঃ জান্নাতী (১৮), পিতা- মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সাং- ফুলমতি, ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রাম।
৬। মোছাঃ হাসিনা খাতুন (১০ দিন), পিতা- মোঃ হাছেন আলী, সাং- কবুরমাবুদ, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।
৭। মোছাঃ লাভলী খাতুন (৪২), স্বামী- আব্দুল মজিদ, সাং- কবুরমাবুদ, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।
৮। মোঃ বাবুল হোসেন (২৪), পিতা- আব্দুল মজিদ, সাং- কবুরমাবুদ, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।
৯। মোছাঃ জেসমিন খাতুন (২০), স্বামী- মোঃ বাবুল হোসেন, সাং- কবুরমাবুদ, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।
১০। মোঃ জাহিদ হোসেন (০৩), পিতা- মোঃ বাবুল হোসেন, সাং- কবুরমাবুদ, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।
১১। মোঃ জাকের হোসেন (০১), পিতা- মোঃ বাবুল হোসেন, সাং- কবুরমাবুদ, ফুলবাড়ি, কুড়িগ্রাম।
১২। মোঃ ইয়াছিন হোসেন (২৫), পিতা- মৃত আজিজুল, সাং- আর্ডিয়েন্স, কুড়িগ্রাম সদর, কুড়িগ্রাম।
অভ্যন্তরে ঠেলে দেওয়া মানুষদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা বাংলাদেশের নাগরিক দীর্ঘ ১২/১৪ বছর আগে দালালের মাধ্যমে কাশিয়াবাড়ি সীমান্ত দিয়ে কাজের সন্ধানে তারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে।
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে পরিবার নিয়ে বসবাস করত এবং সেখানে বিভিন্ন ইট ভাটায় কাজ করে জীবন জাপন করে আসছিলো।
হঠাৎ গত ছয়-সাত দিন আগে তাদেরকে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের পুলিশ বিভিন্ন এলাকার ইটভাটা থেকে আটক করে গাড়ি করে নিয়ে এসে সোমবার ভোরবেলায় সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেওয়া হয়।
পুলিশ হেফাজতে নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মুজিবনগর থানার তদন্ত অফিসার জাকির হোসেন জানান, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিএফএস তাদেরকে সীমান্তের কাঁটাতার পার করে দেয় পরে বিজিবি তাদের আটক করে মুজিবনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
তারা এখন থানা হেফাজতে আছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঈদের ছুটিকে ঘিরে রাঙামাটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। পাহাড়, হ্রদ আর ঝরনার টানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। ঈদের ছুটির চতুর্থ দিনেও পর্যটন শহর হিসেবে খ্যাত রাঙামাটি ও কাপ্তাইয়ের জনপ্রিয় বিনোদন স্পটগুলোতে শত শত পর্যটকের সমাগম ঘটেছে।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাঙামাটির পলওয়েল পার্ক, ডিসি বাংলো, কাপ্তাই হ্রদ, পর্যটন ঝুলন্ত সেতু, আসামবস্তি কাপ্তাই সড়ক এবং শুভলং ঝরনায় পর্যটকদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
কাপ্তাই হ্রদ, ঝুলন্ত সেতু, শুভলং ঝরনা ও নিসর্গ রিভার ভ্যালিসহ পর্যটন স্পটগুলোতে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। হোটেল-মোটেলেও ৭০-৮০% বুকিং আছে।
রাঙামাটি হোটেল কসমস ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে আমাদের হোটেলে আগামী শনিবার পর্যন্ত রুম পুরোপুরি বুকিং আছে।
হেটেল হিল অ্যাম্বাসেডর এর রায়হান বলেন, আমাদের হোটেলে প্রায় শতকরা ৮০ ভাগ রুম বুকিং আছে আগামী কয়েকদিন।
রাঙামাটি পলওয়েল পার্কে সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো বল পার্ক এলাকারজুড়ে শতশত পর্যটকদের ভীড় লক্ষ্য করা যায়। পলওয়েল পার্কের টুরিস্টরা ঝুলন্ত সেতু, কাপ্তাই লেকে ভ্রমণ ও পলওয়েল পার্কের বিভিন্ন স্পটগুলোতে পরিদর্শন করতে দেখা গেছে।
পলওয়েল পার্কে ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা নিখিল দাশ দম্পতি বলেন, এখানকার কাপ্তাই লেক ও পলওয়েল পার্ক খুবই সুন্দর। আমরা এখানকার প্রাকৃতিক রুপ দেখে খুবই বিমোহিত।
এদিকে, কাপ্তাই শিলছড়ি নিসর্গ রিভার ভ্যালি এন্ড পড হাউসে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে অসংখ্য পর্যটকের উপস্থিতি। চট্টগ্রামের সিটি গেইট এলাকা থেকে আসা পর্যটক আলাউদ্দিন ও টিপু বলেন, ‘কাপ্তাইয়ে আমরা বন্ধুরা ঘুরতে এসেছি। এসে খুব ভালো লাগছে। আমরা বোট রাইডিং করেছি, অসাধারণ প্রকৃতি।’
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা এলাকা থেকে আসা জাহাঙ্গীর, নাছির, ফারুক সিকদার ও তৌহিদ জানান, ‘কাপ্তাই আমাদের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা। পরিবেশ দারুণ। পর্যটন শিল্পে কাপ্তাইয়ে প্রচুর উন্নতি হয়েছে।’
নিসর্গ রিভার ভ্যালি এন্ড পড হাউসের পরিচালক মো. আফসার উদ্দিন জানান, ‘ঈদের টানা ছুটিতে আমাদের বিনোদন কেন্দ্রে প্রচুর পর্যটক এসেছে। আমাদের ১৭টি কটেজ ঈদের দিন থেকে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত পুরোপুরি বুকিং। পাশাপাশি, আমাদের নিসর্গ রেস্টুরেন্টে একসঙ্গে দেড় থেকে দুই শতাধিক মানুষ খাবার উপভোগ করছেন।’
এদিকে, কাপ্তাই নৌবাহিনীর শহীদ মোয়াজ্জেম ঘাঁটি পরিচালিত লেক প্যারাডাইসে গিয়েও দেখা গেছে পর্যটকের ভিড়। কাপ্তাই লেকের এক বোট চালক মো. জাহাঙ্গীর জানান, ‘এখানে প্রচুর পর্যটক এসেছে। অনেকে বোট নিয়ে কাপ্তাই লেক ঘুরছেন।’
এছাড়া কাপ্তাই ৪১ বিজিবি পরিচালিত ওয়াগ্গা প্যানোরোমা জুম রেস্তোরাঁ, কাপ্তাই রিভার ভিউ পার্ক, সেনাবাহিনী পরিচালিত জীবতলি লেকশোর ও লেকভিউ আইল্যান্ড, ফ্লোটিং প্যারাডাইস, বনশ্রী পর্যটন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে পরিবার-পরিজন এবং বন্ধু-বান্ধব নিয়ে অসংখ্য পর্যটক ঈদের ছুটি উপভোগ করছেন।
চট্টগ্রামের পর্যটক সাবরিনা সুলতানা জানান, শিলছড়ি নিসর্গ রিভার ভ্যালি আর কাপ্তাই লেকের সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। এখানকার পরিবেশও বেশ পরিচ্ছন্ন। খুব ভালো সময় কাটাচ্ছি।’
রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, আজকে রাঙামাটি পর্যটনের ঝুলন্ত সেতুতে প্রচুর পর্যটক ভ্রমণ করছেন। মোটেলেও আাগামী ১৩ জুন পর্যন্ত রুম বুকিং আছে। এই ঈদের ছুটিতে রাঙামাটিতে প্রচুর টুরিস্ট ভ্রমণ করছেন।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) এ কে এম মেহেদী হাসান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- সেলিম (৪৫), রফিক (৪০), সাদ্দাম (৩০), উজ্জ্বল (৩২) ও শামীম (২৫)।
গতকাল সোমবার (৯জুন) মোহাম্মদপুর থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদের মধ্যে রয়েছে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ১জন, মাদক মামলায় ১জন, দূস্যতার মামলায় ১জন এবং অন্যান্য মামলায় ২জন।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদের (২৪) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ জামশা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ করে পুলিশ।
নিহত শাকিল ঢাবির চারুকলা অনুষদের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি দক্ষিণ জামশা গ্রামের নাসিরুদ্দিন আহমেদের ছেলে।
সিঙ্গাইর পুলিশ জানায়, প্রায় সাত থেকে আট মাস আগে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে অন্যের পোস্টে ধর্ম নিয়ে কটূক্তিকর মন্তব্য করেন। পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে তিনি কমেন্ট মুছে ফেলেন। এরপর গত সোমবার ওই কমেন্টের স্ক্রিনশট ফেসবুকে নতুন করে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে ফেসবুকে শাকিলকে অনেকে হুমকি দেন। সোমবার রাতে নিজ এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষজন বাড়িতে গিয়ে শাকিলকে ও তার পরিবারকে হুমকি দেন। এরপর মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিক আজম বলেন, মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
এপ্রিল মাসকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময় নয় উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারকে সময়সূচি পুনঃবিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘অন্তবর্তী সরকার বাস্তবতার ভিত্তিতে এই বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করবে।’
আজ মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এখনো (এপ্রিলের প্রথম দিকে নির্বাচন) নিয়ে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। আমরা আশা করি, সরকার এই বিষয়টি বাস্তবতার আলোকে বিবেচনা করবে।’
অন্তবর্তী সরকার যে সময়ে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছে, তা সঠিক নয় বলেও দাবি এই বিএনপি নেতার।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা প্রথম দিনই বলেছি যে, এই সময় নির্বাচনের জন্য ভালো নয়। রমজান মাস শেষ হবে, ঈদ হয়ে যাবে, তারপর কয়েকদিন পর নির্বাচন হবে। একটু ভাবুন, রমজান মাস জুড়ে প্রার্থী এবং রাজনৈতিক কর্মীরা কী ধরনের পরিস্থিতিতে পড়বেন।’
ফখরুল আরও বলেন, তিনি এখন থেকেই চিন্তিত যে প্রতিদিন ইফতার পার্টি আয়োজন করতে হবে, যা নির্বাচনী ব্যয় বাড়িয়ে দ্বিগুণ করবে।
তিনি রমজান মাসে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অসুবিধাগুলো তুলে ধরে বলেন, বিশেষত তীব্র গরম এবং বৃষ্টিপাত বা ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন, তীব্র গরমের কারণে নির্বাচনী সমাবেশের জন্য লোকজন জড়ো করা সম্ভব হবে না। ‘কর্মসূচিগুলো রাতের দিকে নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, অতীতে দুটি বিতর্কিত নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশে প্রায় সব জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দল বলেছে যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব, এবং আমরা দৃঢ় বিশ্বাস করি যে এটি একটি বাস্তবসম্মত বিকল্প।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিএনপি যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, কারণ এটি নির্বাচনমুখী দল। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিপ্লবী দল না, আমরা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে চাই।’
ফখরুল বিএনপির সংস্কার না করার যে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে, তা খণ্ডন করে বলেন, ‘এটা মিথ্যা প্রচারণা।’
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, বিএনপি প্রথম দল হিসেবে ভিশন-২০৩০ কর্মসূচি তুলে ধরে এবং গণঅভ্যুত্থানের আগেই ৩১ দফা সংস্কারের খসড়া উপস্থাপন করেছিল।
ফখরুল সকল রাজনৈতিক দল, সংগঠন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্মীদের জাতিকে বিভক্ত না করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশ একটি বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ: আমরা গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা চাই এবং আমরা চাই দেশটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিচালিত হোক। আমরা ভোট দিতে চাই, আমাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচন করতে চাই এবং সংস্কার দেখতে চাই। সুতরাং, অযথা বিভেদ সৃষ্টি করবেন না।’
ফখরুল সতর্ক করে বলেন, দেশে কোনো ধরনের বিভেদ সৃষ্টি হলে তা বিদেশি শক্তি এবং ষড়যন্ত্রকারীদের দেশের ক্ষতি করার সুযোগ করে দেবে।
মন্তব্য