× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
৮০০ শতাংশ লভ্যাংশেরও পরও বিএটিবিসির এমন পতন
google_news print-icon

৮০০ শতাংশ লভ্যাংশেও বিএটিবিসির এমন পতন!

৮০০-শতাংশ-লভ্যাংশেও-বিএটিবিসির-এমন-পতন
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির কার্যালয়ের ছবি।
লভ্যাংশ ঘোষণার পরদিন বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৯২ টাকা বেড়ে ১ হাজার ৭০০ টাকা ৩০ পয়সায় দাঁড়ায়। দ্বিতীয় কার্যদিবসে এই কোম্পানির শেয়ারে যে সার্কিট ব্রেকার ছিল, তাতে দাম সবচেয়ে কমে বিক্রি হতে পারত ১ হাজার ৫৯৪ টাকা ১০ পয়সায়। এই দামেও বিক্রি হয়েছে শেয়ার।

এক বছরে ৮০০ শতাংশ মুনাফা। যার মধ্যে ৬০০ শতাংশ বা ৬০ টাকা নগদে আর ২০০ শতাংশ, অর্থাৎ একটি শেয়ারে দুটি বোনাস শেয়ার।

এর মধ্যে ৩০০ শতাংশ বা ৩০ টাকা অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ হিসেবে পেয়েছেন ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বা বিএটিবিসির বিনিয়োগকারীরা। ১০ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হয়েছে বাকি ৫০০ শতাংশ লভ্যাংশ।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস-সংক্রান্ত বিধি না পাল্টালে এই কোম্পানির শেয়ারধারীরা বিপুল পরিমাণ মুনাফা পেয়ে যাবেন।

কারণ, বর্তমান নীতি অনুযায়ী কোম্পানির শেয়ারদর কোনোভাবেই ৯০৭ টাকা ৬০ পয়সার নিচে নামতে পারবে না।

এই ফ্লোর প্রাইস ঘোষণার পর বিভিন্ন কোম্পানি বোনাস শেয়ার ও রাইট ঘোষণার পর যে দর সংশোধন হয়েছে, সেখানেও এই ফ্লোর প্রাইস বজায় ছিল।

গত ২২ মার্চ মুন্নু এগ্রো অ্যান্ড জেনারেল মেশিনারিজের ফ্লোর প্রাইস ঠিক করা হয় ৭৯৪ টাকা। এরপর কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করে। কিন্তু বোসান শেয়ার যোগ হওয়ার পরও ফ্লোর প্রাইস ৭৯৪ টাকাতেই স্থির থাকে।

প্রকৌশল খাতের ন্যাশনাল পলিমারের ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা গেছে।

এই কোম্পানির প্রতি একটি শেয়ারের বিপরীতে একটি করে রাইট শেয়ার পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। গত ৬ জানুয়ারি রাইট শেয়ারের জন্য ক্লোজিং ডেতে এর দাম ছিল ৭১ টাকা ৬০ পয়সা। প্রতি ১০ শেয়ারে পাঁচ টাকা প্রিমিয়াম নেয়া হয়েছে। ফলে রাইট শেয়ার যোগ হওয়ার পর মূল্য সমন্বয় হওয়ার কথা ছিল ৪৩ টাকা ৩০ পয়সা।

কিন্তু এই শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস ঠিক করা আছে ৫৬ টাকা ৬০ পয়সা। আর এর নিচে দাম নামতে পারছে না।

এই নিয়ম অক্ষুণ্ন থাকলে ৩ মার্চের পর বিএটিবিসির শেয়ারধারীরা একটির বিপরীতে যে দুটি বোনাস শেয়ার পাবেন, তখন প্রতিটি শেয়ারের দর হবে কমপক্ষে ৯০৭ টাকা ৬০ পয়সা। অর্থাৎ তিনটি শেয়ারের দর হবে ২ হাজার ৭২২ টাকা ৬০ পয়সা।

এই অবস্থায় লভ্যাংশ ঘোষণার পরদিন বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৯২ টাকা বেড়ে ১ হাজার ৭০০ টাকা ৩০ পয়সায় দাঁড়ায়।

এরপর ফ্লোর প্রাইস নিয়ে আলোচনা হয়। ২০০ শতাংশ বোসান শেয়ার পাওয়ার পরও এই দর কত হয়, তা নিয়ে তৈরি হয় আলোচনা।

দিনের শুরুতে দাম এক টাকার মতো বাড়লেও পরে দাম ক্রমেই কমতে থাকে।

কোনো কোম্পানির শেয়ারদর সর্বোচ্চ সংখ্যক বাড়া বা কমার যে সীমা বেঁধে দেয়া আছে, সেই সার্কিট ব্রেকার অনুযায়ী এই কোম্পানির শেয়ারদর সবচেয়ে বেশি কমে বিক্রি হতে পারত ১ হাজার ৫৯৪ টাকা ১০ পয়সায়।

৮০০ শতাংশ লভ্যাংশেও বিএটিবিসির এমন পতন!
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির লভ্যাংশের ঘোষণা

সেই সীমাও একপর্যায়ে স্পর্শ করে দাম। পরে কিছুটা বেড়ে দিন শেষে দর দাঁড়ায় ১ হাজার ৫৯৯ টাকায়।

বিনিয়োগকারী রেজাউল করিম এ বিষয়ে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কোম্পানিটির ফ্লোর প্রাইস যদি পরিবর্তন করা না হয়, তাহলে শেয়ারধারীদের বড় অঙ্কের মুনাফা হবে। তবে যদি ফ্লোর প্রাইস বোনাস লভ্যাংশের হিসাবে কমে আসে, তাহলে আবার লাভ হবে না। মূলত এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা না থাকায় এ কোম্পানির শেয়ারধানীরা বিভ্রান্তিতে আছেন।’

তবে ১০০ টাকা দর হারালেও কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ যে ব্যাপক তা লেনদেনের চিত্রই বলে দেয়।

বাজারে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়ার তালিকায় দুই নম্বরেই আছে বিএটিবিসি।

কোম্পানিটির শেয়ার হাতবদল হয়েছে ৬ লাখ ২৫ হাজার ১৭৫টি। টাকার অঙ্কে যা ১০২ কোটি ৭৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

এর চেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে কেবল বেক্সিমকো লিমিটেডের। টাকার অঙ্কে হাতবদল হয়েছে ২১৭ কোটি ৬৩ লাখ ১৫০ টাকার শেয়ার।

এই দুটি কোম্পানি বাদ দিলে লেনদেনের চিত্র খুবই হতাশাজনক। তৃতীয় অবস্থানে থাকা রবির শেয়ার হাতবদল হয়েছে কেবল ৪৪ কোটি ৯৬ লাখ ২৮ হাজার টাকার।

১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টিএটিবিসির মোট শেয়ারের ৭২ দশমিক ৯১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। সরকারের কাছে আছে দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ার।

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকরীদের কাছে আছে ১২ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ অর্থাৎ ৭২ লাখ ২৪ হাজার শেয়ার।

বিদেশিদের কাছে ১১ দশমিক ১৪ শতাংশ অর্থাৎ ৬৬ লাখ ৮৪ হাজার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৩ দশমিক ২৭ শতাংশ শেয়ার, অর্থাৎ ১৯ লাখ ৬২ হাজার শেয়ার।

উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি করতে হলে ঘোষণা দিতে হয়। কিন্তু কোম্পানির মালিকপক্ষের কেউ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দেয়নি।

ফলে ৬০ কোটি টাকা পরিশোধিত কোম্পানির ছয় কোটি শেয়ারের মধ্যে হাতবদল করা সম্ভব ১ কোটি ৬২ লাখ ৫৪ হাজার শেয়ার। এর মধ্যে গত তিন কার্যদিবসেই হাতবদল হয়েছে যথাক্রমে ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৭২৭, ১৫ লাখ ৬৮ হাজার ৭২৭ এবং ৬ লাখ ২৫ হাজার ১৭৫টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।

অর্থাৎ লভ্যাংশ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে ২৫ লাখ ৭৩ হাজার ৬২৯টি শেয়ার বিক্রি হয়েছে।

আরও পড়ুন:
দীর্ঘায়িত হচ্ছে হতাশা, ভরসা এখন ফ্লোর প্রাইস
দেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্সের আইপিও আবেদন শুরু
তিন নতুন শেয়ারেই হাওয়া ১৪০০ কোটি টাকা
বিএটিবিসির শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস কত হবে
প্রধান সমস্যা শেয়ার কেনে ‍গুজবে: আবু আহমেদ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
12 types of income for government officials

সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ৪২ ধরনের আয় করমুক্ত

সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ৪২ ধরনের আয় করমুক্ত

২০২৫-২৬ অর্থবছরের আয়কর নির্দেশিকায় সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ৪২টি ভাতা বা আয়ের উৎস করমুক্ত ঘোষণা করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে মূল বেতন, উৎসব ভাতা ও বোনাস করযোগ্য আয়ের আওতায় থাকবে।
এনবিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক হলেও, নির্দিষ্ট কিছু আয়ের ওপর তাদের কর দিতে হবে না। এসব করমুক্ত আয় মূলত কর্ম-সম্পর্কিত বিভিন্ন ভাতা ও ভ্রমণ সুবিধা।
করমুক্ত ঘোষিত ৪২টি আয়ের ধরন হলো- চিকিৎসা ভাতা, নববর্ষ ভাতা, বাড়িভাড়া ভাতা, শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতা, শিক্ষাসহায়ক ভাতা, কার্যভার ভাতা, পাহাড়ি ভাতা, ভ্রমণ ভাতা, যাতায়াত ভাতা, টিফিন ভাতা, পোশাক ভাতা, আপ্যায়ন ভাতা, ধোলাই ভাতা, বিশেষ ভাতা, প্রেষণ ভাতা, প্রশিক্ষণ প্রেষণ ভাতা, জুডিশিয়াল ভাতা, চৌকি ভাতা, ডোমেস্টিক এইড অ্যালাউয়েন্স, ঝুঁকি ভাতা, অ্যাকটিং অ্যালাউয়েন্স, মোটরসাইকেল ভাতা, আর্মরার অ্যালাউয়েন্স, নিঃশর্ত যাতায়াত ভাতা, টেলিকম অ্যালাউয়েন্স, ক্লিনার ও ড্রাইভার অ্যালাউয়েন্স, মাউন্টেড পুলিশ, পিবিএক্স, সশস্ত্র শাখা, বিউগলার ও নার্সিং ভাতা, দৈনিক/খোরাকি ভাতা, ট্রাফিক অ্যালাউয়েন্স, রেশন মানি, সীমান্ত ভাতা, ব্যাটম্যান ভাতা, ইন্সট্রাকশনাল অ্যালাউয়েন্স, নিযুক্তি ও আউটফিট ভাতা এবং গার্ড পুলিশ ভাতা।
করযোগ্য আয়, মূল বেতন, উৎসব ভাতা, বোনাস এসব আয়ের ওপর আয়কর আইন অনুযায়ী নির্ধারিত হারে কর দিতে হবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The target of export of goods and services in the current fiscal year is and 1 billion

চলতি অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রফতানির লক্ষ্য ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলার

চলতি অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রফতানির লক্ষ্য ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলার

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষে ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা রফতানি হবে বাংলাদেশ থেকে।

মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে এ ঘোষণা দেয়া হয়। বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান এ ঘোষণা দেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের লিখিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সমাপ্ত অর্থবছর ২০২৪-২৫ এ বাংলাদেশ পণ্য খাতে ৫০.০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৪৮.২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে, যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৭% এবং পূর্ববর্তী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ৮.৫৮% বেশী।

সেবা খাতের লক্ষ্যমাত্রা ৭.৫০ বিলিয়নের বিপরীতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ৫.৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.১৩% বেশী।

অর্থবছরে রপ্তানি খাতে অর্জিত প্রবৃদ্ধির গতিধারা, পণ্য ও বাজার সম্প্রসারণ ও বহুমুখীকরণ, বিশ্ব বাণিজ্যের সাম্প্রতিক গতিধারা, ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব, দেশীয় ও বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মধ্যপ্রাচ্য সংকট, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, অংশীজনদের মতামত, বিগত অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা এবং লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জনের হার ও পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধির হার ইত্যাদি পর্যালোচনাপূর্বক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Nonprising land ports will be shut down shipping adviser

অলাভজনক স্থলবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হবে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

অলাভজনক স্থলবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হবে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শনে গিয়ে বস্ত্র ও নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘সরকার বিভিন্ন স্থলবন্দর প্রাইভেট সেক্টরের কাছে হস্তান্তর করার পরিকল্পনা করছে। একই সঙ্গে, যেসব স্থলবন্দর থেকে সরকার কোনো রাজস্ব আহরণ করতে পারছে না, সেগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

শনিবার দুপুরে হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে ২৪টি স্থলবন্দর রয়েছে, যার মধ্যে ইতোমধ্যে চারটি স্থলবন্দর বন্ধ করা হয়েছে। আরো চারটি অলাভজনক স্থলবন্দর বন্ধের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘উন্নয়নশীল স্থলবন্দরগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নের পরিকল্পনাও প্রণয়ন করা হচ্ছে এবং ধাপে ধাপে এসব বন্দরের সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

হিলি স্থলবন্দর সভাকক্ষে কাস্টমস, বন্দরের কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ব্যবসায়ীরা রাস্তা-ঘাট সংস্কার, ওয়্যারহাউজ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে দ্রুত সেসব সমাধানের অনুরোধ করেন।

উপদেষ্টা হিলি স্থলবন্দর ও কাস্টমস বিভাগের বিভিন্ন অবকাঠামো ঘুরে দেখেন এবং সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।

এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, রংপুর কাস্টমসের বিভাগীয় কমিশনার অরুন কুমার বিশ্বাস, হিলি কাস্টমসের সহকারী কমিশনার এ এস এম আকরামসহ আরো অনেকেই।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
TCB products start selling goods from today

আজ থেকে ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

আজ থেকে ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্যাদি (ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল) বিক্রয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি ঢাকা মহানগরীতে ৬০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে আজ (১০ আগস্ট) হতে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।

শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে টিসিবি।

টিসিবির উপপরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১০ আগস্ট থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০ দিন (শুক্রবার ছাড়া) এবং চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৫টি, গাজীপুর মহানগরীতে ছয়টি, কুমিল্লা মহানগরীতে তিনটি এবং ঢাকা জেলায় আটটি, কুমিল্লা জেলায় ১২টি, ফরিদপুর জেলায় চারটি, পটুয়াখালী জেলায় পাঁচটি ও বাগেরহাট জেলায় পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ১০ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ দিন (শুক্রবার ছাড়া) টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে। দৈনিক ট্রাক প্রতি ৫০০ জন সাধারণ মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পণ্যাদি (ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল) বিক্রয় কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। যে কোনো ভোক্তা ট্রাক থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।

ভোক্তা প্রতি ভোজ্যতেল দুই লিটার ২৩০ টাকা, চিনি এক কেজি ৮০ টাকা এবং মসর ডাল দুই কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হবে। স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীর কাছে বিক্রয় মূল্য আগের ন্যায় বহাল থাকবে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
20 of the US counter tariff effective tide in export at Chittagong port

যুক্তরাষ্ট্রের ২০% পাল্টা শুল্ক কার্যকর : চট্টগ্রাম বন্দরে রফতানিতে জোয়ার

যুক্তরাষ্ট্রের ২০% পাল্টা শুল্ক কার্যকর : চট্টগ্রাম বন্দরে রফতানিতে জোয়ার

যুক্তরাষ্ট্রে রফতানিকৃত বাংলাদেশি পণ্যে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পর থেকে কার্যকর হয়েছে। ফলে এই সময়ের আগে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জাহাজে তোলা পণ্য নতুন শুল্ক এড়াতে সক্ষম হয়েছে। এ সুবিধা কাজে লাগাতে আগাম পণ্য পাঠিয়ে রফতানিকারকরা জোর প্রস্তুতি নিয়েছিলেন, এই রফতানিতে জোয়ারের প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, রফতানিকারকদের বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়ায় প্রতিদিন অতিরিক্ত ৮০০ কনটেইনার রফতানি হচ্ছে। গতকাল বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বন্দরের ১৯টি ডিপোতে জমা হয়েছে ১৫ হাজার ৪০০টি ২০ ফুট এককের রফতানি কনটেইনার। যার বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্রমুখী।

এ বিষয়ে বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ৭ আগস্ট সময়সীমার মধ্যে পণ্য পাঠাতে অনেকেই চেষ্টা করেছেন। তবে যারা আগাম উৎপাদন সম্পন্ন করেছিলেন, তারা ১ আগস্টের আগেই রফতানি নিশ্চিত করেছেন। ফলে জুলাই মাসে রফতানিতে ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে।

চট্টগ্রামের এশিয়ান-ডাফ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সালাম জানান, জুলাই মাসে বাংলাদেশ থেকে ৩৯৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে, যার মধ্যে ৮২ কোটি ডলারের পোশাক গেছে যুক্তরাষ্ট্রে। এর ৬০ শতাংশ রফতানি হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ৩৫ শতাংশে নামিয়ে আনেন। পরবর্তীতে ৩১ জুলাই বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের তৃতীয় দফা আলোচনার পর চুক্তির ভিত্তিতে পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশে নামানো হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রে আগে থেকেই গড়ে ১৫ শতাংশের বেশি শুল্ক কার্যকর ছিল, ফলে মোট শুল্ক দাঁড়াচ্ছে ৩৫ শতাংশের বেশি। তৈরি পোশাকে আগে শুল্ক ছিল প্রায় ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশ্লেষক এবং বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য মোস্তফা আবিদ খান বলেন, শুল্ক কার্যকরের ক্ষেত্রে বন্দর থেকে পণ্য ছাড়কাল থেকেই সময় গণনা করা হয়। এপ্রিলেও একই পদ্ধতিতে ১০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক কার্যকর হয়।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাঁচামাল ব্যবহারে পাল্টা শুল্ক ছাড় থাকায় বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। কারণ পোশাক খাত তুলানির্ভর এবং বাংলাদেশের আমদানিকৃত তুলার বড় অংশই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।

কনটেইনার ডিপো সমিতির মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক এড়াতে রফতানিকারকরা আগেভাগেই কনটেইনার পাঠিয়েছেন ডিপোতে। এর প্রভাবে আগস্টেও ডিপো থেকে আমেরিকামুখী রফতানি বেশি হবে।

তিনি জানান, প্রতি মাসে গড়ে ৬০-৬৫ হাজার কনটেইনার রফতানি হলেও জুলাই মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৯ হাজারে; যার মধ্যে ৮১ হাজার কনটেইনার ইতোমধ্যে রফতানি হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Bangladeshs major success in foreign investment after political change

রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বিদেশি বিনিয়োগে বাংলাদেশের বড় সাফল্য

রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বিদেশি বিনিয়োগে বাংলাদেশের বড় সাফল্য

গত বছরের রাজনৈতিক ক্ষমতা পরিবর্তনের পর অভ্যন্তরীণ নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) প্রবাহে বড় ধরনের বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে এই ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) বাংলাদেশে নিট এফডিআই প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৮৬৪.৬৩ মিলিয়ন ডলার। যা ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় ১১৪.৩১ শতাংশ বেশি। ওই সময়ে বিনিয়োগ ছিল ৪০৩.৪৪ মিলিয়ন ডলার।

এই বিনিয়োগ প্রবাহ ২০২৪ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকের তুলনায়ও ৭৬.৩১ শতাংশ বেশি। তখন নিট এফডিআই ছিল ৪৯০.৪০ মিলিয়ন ডলার।

ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট বা মূলধনী বিনিয়োগেও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা গেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে এটি দাঁড়ায় ৩০৪.৩৮ মিলিয়ন ডলার। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১৮৮.৪৩ মিলিয়ন ডলার।

অর্থনীতিবিদ এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিসংখ্যান বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনার প্রতি আন্তর্জাতিক মহলের ‘আস্থার প্রতীক’। যদিও দেশ এখনো মুদ্রা অস্থিরতা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং বৈদেশিক ঋণের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।

বর্তমান বিনিয়োগ পরিস্থিতি সম্পর্কে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বাসসকে বলেন, সরকারি ও বেসরকারি খাতে কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ এখনো প্রত্যাশার তুলনায় কম। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো, এই সমস্যা দ্রুত সমাধান খুবই কঠিন।

বাসসর সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, উচ্চ-প্রভাবসম্পন্ন বিনিয়োগ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন, ওয়ান-স্টপ সার্ভিস সম্প্রসারণ ও মানোন্নয়ন, বিনিয়োগকারীদের সমস্যার সমাধান এবং বড় বিনিয়োগের একটি শক্তিশালী পাইপলাইন তৈরি করা এই চারটি প্রধান অগ্রাধিকারের ওপর জোর দিচ্ছে বিডা ও বেজা।

বিডা প্রধান সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট -২০২৫’ এর সাফল্য তুলে ধরে বলেন, ৭ থেকে ১০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ৫০টি দেশের ৪১৫ জন বিদেশি প্রতিনিধি অংশ নেন এবং এতে প্রায় ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে।

তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা যাতে প্রয়োজনীয় সহায়তা পান এবং বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ সুরক্ষিত এবং লাভজনক হয় তা নিশ্চিত করতে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, বেজা নিয়মিতভাবে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, যাতে বিনিয়োগ প্রক্রিয়াগুলোর বাস্তব অগ্রগতি নিশ্চিত করা যায়।

ভারসাম্যপূর্ণ শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি টেকসই অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) একটি ‘জাতীয় মাস্টার প্ল্যান’ প্রণয়ন করছে। এই পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশজুড়ে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো তিন ধাপে বাস্তবায়নের রূপরেখা তৈরি করা হচ্ছে।

জাতীয় মাস্টার প্ল্যানের অংশ হিসেবে ২০৪৬ সালের মধ্যে ২০টি নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে । যা সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে কৌশলগতভাবে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রস্তুত হওয়া এই মাস্টার প্ল্যানটি ভূমি অধিগ্রহণ, অবকাঠামো প্রস্তুতি এবং বিনিয়োগকারীর আস্থার মতো বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রথম পর্যায়ে, অর্থবছর ২৫ থেকে অর্থবছর ৩০ পর্যন্ত যেগুলোর উন্নয়ন কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে বা পরিকল্পনার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এমন অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

এদিকে, দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) তাদের নতুনভাবে ডিজাইন করা ওয়েবসাইট চালু করেছে। যা বিনিয়োগ অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

নতুন এই প্ল্যাটফর্মে বিডার এফডিআই হিটম্যাপ অনুযায়ী সম্ভাবনাময় খাতগুলোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, নীতিমালা, এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ফোকাল পয়েন্ট সম্পর্কিত হালনাগাদ তথ্য এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিডার লোগোও নতুনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।

বিডা তাদের ওয়ান-স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) পোর্টালেরও হালনাগাদ সংস্করণ চালু করেছে, যার উদ্দেশ্য হলো দেশি ও বিদেশি উভয় বিনিয়োগকারীদের জন্য সেবার গুণগতমান বৃদ্ধি।

এই ওএসএস পোর্টালটি ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি চালু করা হয় এবং বর্তমানে ৩৫টি সরকারি সংস্থা, ১২টি ব্যাংক ও ৫টি চেম্বার সংস্থার ১৩৩টি সেবা একত্রে প্রদান করে।

পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য ড. মনজুর হোসেন বলেন, ‘আগামী মাসগুলোতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অনুকূল অর্থনৈতিক পরিবেশ বজায় থাকলে বিনিয়োগ প্রবাহ আরও বাড়বে।’

এফবিসিসিআইর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, বিনিয়োগ ও ব্যবসা সম্প্রসারণের পথে বাধাগুলি মোকাবেলা করতে বিডা এবং বেজা কয়েক মাস ধরে আরও বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য কিছু সফল ইভেন্টের আয়োজন করেছে। এছাড়াও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর ব্যবস্থা আরও সহজ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।

বেপজার নির্বাহী পরিচালক আবু সাইয়েদ মো. আনোয়ার পারভেজ বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বেপজার ইপিজেড এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিচালিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো মেশিনারি, নির্মাণ সামগ্রী এবং অন্যান্য মূলধনী খাতে (ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ছাড়া) ২৯২.৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে।

আনোয়ার পারভেজ বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩৩টি নতুন বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা বেপজার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

তিনি বলেন, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস, সিঙ্গাপুর, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশ থেকে আগত বিনিয়োগকারীরা শিল্প কারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে এসব চুক্তিতে সই করেছেন।

পারভেজ বলেন, ‘এই চুক্তির আওতায় মোট প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ৪৯৭.৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সম্ভাব্য ৫৯ হাজার ৪০৮ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।’

এই শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদন করবে, যার মধ্যে রয়েছে: তৈরি পোশাক, ইলেকট্রনিক্স, কৃষিভিত্তিক পণ্য, জুতা ও চামড়াজাত পণ্য, প্যাকেজিং সামগ্রী, তাঁবু, কৃত্রিম চুল, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, খেলনা এবং কম্পোজিট আইটেম।

তিনি আরও বলেন, এই বিনিয়োগগুলো চালু হলে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রকৃত বিনিয়োগ প্রবাহ আরও গতি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Bangladeshs foreign exchange market is now in a tight position

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজার এখন শক্ত অবস্থানে

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজার এখন শক্ত অবস্থানে

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার পতনের পর দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্ণ করল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সময়ে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি, রপ্তানি আয়ের উন্নতি এবং অর্থপাচার রোধে দৃশ্যমান উদ্যোগের ফলে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে শক্তিশালী অবস্থা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার মান ডলারের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে, কারণ নিয়মিতভাবে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসছে, যার ফলে ডলারের বিনিময় হার কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৯ জুলাই থেকে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে পাঁচ দিনে আন্তঃব্যাংকে ডলারের বিক্রয়মূল্য ২ টাকা ২০ পয়সা কমে ১২২.৩ টাকা থেকে ১২০.১ টাকায় দাঁড়ায়। ওই দিন ডলারের ক্রয়মূল্য ছিল ১১৯.৫ টাকা।

বিনিময় হার বেশি ওঠানামা না করে স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে হস্তক্ষেপ করেছে এবং এখন পর্যন্ত বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ৪৯৬ মিলিয়ন ডলার কিনেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টাকার মান বেড়ে গেলে দেশে মূল্যস্ফীতি কমানো সহজ হয়, তবে ডলারের মান খুব দ্রুত পড়ে গেলে রপ্তানিকারক ও প্রবাসী আয়কারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপের ফলে ৩ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত ডলারের আন্তঃব্যাংক বিক্রয়মূল্য ১২২.৮৯ টাকায় দাঁড়ায়।

২০২২ সালে কোভিড-পরবর্তী বৈশ্বিক ও স্থানীয় অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে টাকার মান পড়তে শুরু করে। ওই বছরের জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত টাকার মান ৩০ শতাংশ কমেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টাকার মান সাম্প্রতিক সময়ে যেভাবে বেড়েছে, তা সম্ভব হয়েছে কয়েকটি কারণে: প্রবাসী আয় বেড়ে ৩০.৩৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, অবৈধ অর্থ লেনদেন ও মানি লন্ডারিং কমেছে, বহুপাক্ষিক দাতা সংস্থাগুলোর ঋণ সহায়তা এসেছে।

২০২৫ সালের মে মাসে আইএমএফ-এর শর্ত পূরণে বাংলাদেশ ব্যাংক বিনিময় হারকে আরও নমনীয় করে। ব্যাংকারদের মধ্যে ভয় ছিল এতে ডলারের দর আরও বাড়বে, তবে বাস্তবে বাজারে স্থিতিশীলতা এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩০ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত ৩০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। যদিও আইএমএফের হিসাব অনুযায়ী, নেট রিজার্ভ ২৪.৯৯ বিলিয়ন ডলার।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, প্রবাসী আয় বাড়ছে, অর্থপ্রবাহে ভারসাম্য এসেছে এবং ডলার বিনিময় হার স্থিতিশীল রয়েছে।

তিনি বলেন, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালু করার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। এটি উদ্বেগের কারণ হয়নি, বরং টাকার ওপর আস্থা বেড়েছে।

ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আরও বলেন, এখন প্রবাসীরা বৈধ পথে বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন, কারণ ডলারের দামের আকস্মিক পরিবর্তনের গুজব আর নেই।

পরিকল্পনা কমিশনের জিইডি সদস্য ড. মনজুর হোসেন বলেন, জুনের মাঝামাঝি থেকে জুলাইয়ের শুরু পর্যন্ত ডলারের বিনিময় হার ১২২.৪৫ থেকে ১২২.৭০ টাকার মধ্যে স্থির ছিল। এই স্থিতিশীলতা ব্যবসা ও বাণিজ্য পরিকল্পনায় সহায়ক।

তিনি বলেন, দেশের বহিঃবাণিজ্য খাত এখন ভালো করছে, নীতিগতভাবে ভালো ব্যবস্থাপনা হচ্ছে এবং রপ্তানি বৈচিত্র্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, ডলারের দাম অতিরিক্ত পড়ে যাওয়াও ভালো নয়, এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক হস্তক্ষেপ করেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল থাকুক। বেশি বাড়া বা কমা- দুটোই খারাপ।’

২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের রপ্তানি আয় ৮.৫৮ শতাংশ বেড়ে ৪৮.২৮ বিলিয়ন ডলার হয়েছে, যা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দেয় এবং টাকার মানকে শক্তিশালী করেছে।

শুধু ২০২৫ সালের জুলাই মাসে, বাংলাদেশ ৪.৭৭ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করে, যা গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাত থেকেই এসেছে ৩.৯৬ বিলিয়ন ডলার, যা এ খাতে ধারাবাহিক ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখায়।

আরিফ হোসেন খান বলেন, এক বছর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসে এবং অর্থনীতি, প্রশাসন ও নীতিগত সংস্কারে বড় পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দেয়।

এফবিসিসিআই’র প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, আগের সময়ের মতো এলসি খোলার জটিলতা এখন নেই। ডলার ও বিনিময় হার নিয়ে এখন আর কোনো সংকট নেই, যা আমদানিকারকদের জন্য ভালো সংবাদ।

প্রিমিয়ার ব্যাংকের ডিএমডি আব্দুল কাইউম চৌধুরী বলেন, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে প্রবাসী আয়ের ধারা অব্যাহতভাবে বেড়েছে, যা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বিশাল অর্থনৈতিক স্বস্তি এনেছে।

মন্তব্য

p
উপরে