× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
প্রধান সমস্যা শেয়ার কেনে ‍গুজবে আবু আহমেদ
google_news print-icon

প্রধান সমস্যা শেয়ার কেনে ‍গুজবে: আবু আহমেদ

প্রধান-সমস্যা-শেয়ার-কেনে-‍গুজবে-আবু-আহমেদ
‘সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ডে ট্রেডিংয়ে বিশ্বাসী। যখনই মুনাফা হয় তখনই তারা শেয়ার বিক্রি করে বের হয়ে যান, কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এ ধরনের আচরণ করলে বাজার ধরে রাখা কঠিন। অনেক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এখন রিটেইল ইনভেস্টর বা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতো আচরণ করেন।’

পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত অর্থনীতিবিদ আবু আহমেদের মতে বাজারের মূল সমস্যা বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ শিক্ষার অভাব। তার মতে বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির মৌলভিত্তি, ভবিষ্যৎ লভ্যাংশের সম্ভাবনার বিষয়টি বিবেচনায় না নিয়ে লেনদেন করে গুজবের ভিত্তিতে।

পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ক্ষুদ্র বিনিয়োগাকারীদের মতো ডে ট্রেডারের ভূমিকা, ব্যাংকগুলোর বাজারবিমুখতার পাশাপাশি শেয়ার দর কমলে অযথাই আতঙ্কিত হয়ে যাওয়াও পুঁজিবাজারের বিকাশের বড় অন্তরায়।

তার মতে, বাজারে ভালো কোম্পানির ঘাটতি রয়েছে। বলেছেন, বাজার চাঙা করতে হলে আরও প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও বাড়াতে হবে।

মূলধন কাঠামোর ভিত্তিতে লভ্যাংশ ঘোষণার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত পুঁজিবাজারের জন্য সমস্যার হবে না বলেও মনে করেন আবু আহমেদ। তার মতে, দামের ওঠানামা স্বাভাবিক ঘটনা, এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি, সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে নিউজবাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন আবু আহমেদ

বর্তমান পুঁজিবাজার সম্পর্কে আপনার পর্যবেক্ষণ কী?

পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক পতন প্রত্যাশিত নয়। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। কারণ, বিগত সময়ে যেভাবে পুঁজিবাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, সেখানে হঠাৎ করে এমন পতন অনাকাঙ্ক্ষিত।

মনে করা হয়েছিল, সূচক ৫ হাজার ৯০০ এর মধ্যে থাকবে। কিন্তু সূচক এখন ৫ হাজার পাঁচশতে নেমেছে। ফলে অনেক বিনিয়োগকারী হতাশ। এর কিছু কারণও আছে। আগে শেয়ার দর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট ট্রেডিং কিংবা সিরিয়াল ট্রেডিং কাজ করেছে, ফলে পরে স্থায়ী হয়নি দাম।

অনেকগুলো কোম্পানি আইপিওতে আসার পর শেয়ারের দর সাতগুণ পর্যন্ত বেড়েছে। এ ছাড়া আইপিওর শেয়ার নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে। যে কারণে বিনিয়োগকারীরা আশ্বস্ত হয়ে শেয়ার কিনেছে। এখন সেই দাম নেই, অনেক কমে গেছে। জোয়ারের সময় কয়েকটি শেয়ারের দর বেড়েছে। আর যখন ভাটা হয়েছে তখন সেগুলোর দাম বাড়েনি। আতঙ্কে বিক্রি করে দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

প্রধান সমস্যা শেয়ার কেনে ‍গুজবে: আবু আহমেদ
সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ডে ট্রেডিংয়ে বিশ্বাসী বলে মনে করেন আবু আহমেদ। ছবি: নিউজবাংলা

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত?

সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ডে (প্রতিদিনের) ট্রেডিংয়ে বিশ্বাসী। যখনই মুনাফা হয় তখনই তারা শেয়ার বিক্রি করে বের হয়ে যান, কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এ ধরনের আচরণ করলে বাজার ধরে রাখা কঠিন। অনেক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এখন রিটেইল ইনভেস্টর বা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতো আচরণ করেন।

পুঁজিবাজারে দামের ওঠানামা থাকবে। এটা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বাজার নিচে নেমে এলে সস্তায় শেয়ার পাওয়া যাবে, এর বাড়তি সুবিধা আছে।

এ বিষয়টি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বোঝালে তারা বুঝবেন না। বিষয়টি বোঝাবে আইসিবি, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা, কিন্তু দেখা যায়, যখন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করেন তখন সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও একই পথে হাঁটেন। ফলে শেয়ারের দর কমে আসে। কেউ কেনে না। এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

বর্তমান বাজারের সমস্যা আসলে কী?

সাধারণ বিনিয়োগকারীরা দ্রুত ধনী হতে চান। তাদের মার্কেট সম্পর্কে ভালো ধারণা নেই। কোম্পানি সম্পর্কে জানাশোনা নেই। গুজবের ভিত্তিতে লেনদেন করে। কিছুদিন আগে তারা বিমা খাতের পেছনে ছুটেছে। এ খাতের শেয়ারের দর তিন চারগুণ বেড়েছে।

বিমার শেয়ার দর সে জায়গায় এখন আর নেই। তারপর তারা ছুটেছেন মিউচ্যুয়াল ফান্ডে। সেটার দর বাড়ার পর শেষ পর্যন্ত টেকেনি। সব বিনিয়োগকারী মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিক্রি করে বের হয়ে গেছেন। তারপর যান আইপিওতে, তখন প্রায় সবগুলোর দর তিন চারগুণ বাড়লেও শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হয়নি। রবির শেয়ার বেড়ে হয়েছিল সাতগুণ।

বাজারে ভালো কোম্পানির শেয়ারের অভাব আছে। বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসতে হবে।

প্রধান সমস্যা শেয়ার কেনে ‍গুজবে: আবু আহমেদ
অনেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন করে গুজবের ভিত্তিতে। ছবি: নিউজবাংলা

ব্যাংকগুলো তাদের শেয়ারধারীদের কত লভ্যাংশ দিতে পারবে, তা নির্ধারণ করে সম্প্রতি নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সিদ্ধান্ত কতটা পুঁজিবাজারবান্ধব?

এ পদক্ষেপ পুঁজিবাজারের জন্য খুব বেশি সমস্যা তৈরি করবে না। এটা ব্যাংকের কু-ঋণ ও রিজার্ভ রক্ষায় করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাচ্ছে না, ব্যাংকগুলো এখন বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করে পরে বিপদে পড়ুক। কারণ, করোনার সময় ব্যাংকগুলোর ঋণ কার্যক্রম প্রায় বন্ধ ছিল। তার পরেও বেশির ভাগ ব্যাংকের ২০২০ সালের শেষে মুনাফা বেড়েছে। তারা চাইলে বেশি হারে লভ্যাংশ দিতে পারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে পারবে। গত কয়েক বছরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খুব কম সংখ্যক ব্যাংকই এ হারে লভ্যাংশ দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক চায়, গ্রাহকদের সুরক্ষায় ব্যাংকের নিরাপত্তা। লভ্যাংশ প্রদানের মাধ্যমে ব্যাংকের মূলধন যাতে দুর্বল হয়ে না যায়, সেজন্যই তাদের একটি গাইডলাইন দেয়া হয়েছে।

প্রধান সমস্যা শেয়ার কেনে ‍গুজবে: আবু আহমেদ
শিক্ষার অভাবও পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের অন্যতম সমস্যা। ছবি: নিউজবাংলা

বিমার শেয়ার নিয়ে আসলে হচ্ছেটা কী?

বিমা খাত চলে গুজবের উপর। বিমার এত উত্থান হওয়ার কারণ নেই। কিছু দিন আগে বিমা খাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরের পুরানো এক নির্দেশনা নিয়ে পুঁজিবাজারে বিমা খাতের দর বাড়ানো হয়েছে। এখন এজেন্ট সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এজেন্ট না থাকলে বিমা কোম্পানির আয় কত বাড়বে, তা আমার বোধগম্য নয়। এজন্য বিমার শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের বুঝেশুনে কেনা উচিত।

বিমা সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের স্পষ্ট ধারণা নেই। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমার শৃঙ্খলা ফেরাতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে বোঝা যাবে বিমা খাতের প্রকৃত অবস্থাটা কী।

অনেক নতুন কোম্পানির আইপিও আসছে পুঁজিবাজারের জন্য এটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

পুঁজিবাজার বিকাশের জন্য আইপিওর আরও প্রয়োজন আছে, কিন্তু মানসম্পন্ন আইপিও আসছে না। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছেন, ভালো কোম্পানির আইপিও আসতে হলে তাদের সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। আমি চেয়ারম্যানের কথায় একমত। এ ব্যবস্থা নিতে পারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও অর্থ মন্ত্রণালয়।

ভালো কোম্পানিগুলোর পুঁজিবাজার থেকে টাকা নেয়ার প্রয়োজন নেই, বরং তাদের প্রয়োজন কর সুবিধা। এ সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে নতুন আইপিও-এর সঙ্গে ভালো কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হবে। এ সব বিষয়ে প্রতি বছর প্রাক-বাজেট আলোচনায় বলা হলেও নীতি নির্ধারকদের ভাবনায় ঘাটতি রয়েছে।

বুকবিল্ডিং সম্পর্কে আপনার অভিমত কী?

এ পদ্ধতিতে বেশ কিছু কোম্পানির আইপিও এসেছে। সেগুলোর দর অস্বাভাবিক ছিল। এখানে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শেয়ারের দর নির্ধারণ করা হয়।

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে কোম্পানির শেয়ারের দর নির্ধারণ করেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। এই নিয়মে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা যে পরিমাণ শেয়ার পান তা একটা সময় পর্যন্ত লক-ইন থাকার কথা থাকলেও এখন তা নেই।

এটা উঠিয়ে দেয়া ঠিক হয়নি। ফলে বুক বিল্ডিং ব্যবস্থায় যখন কোনো কোম্পানি শেয়ার লেনদেন করে, তখন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগাকারীরা কারসাজি করে শেয়ার বিক্রি করেন। এই অনিয়ম ঠেকাতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ারে অবশ্যই অন্তত তিন থেকে ছয় মাসের লক-ইন রাখতে হবে।

বিএসইসি সম্প্রতি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে দর নির্ধারণের একটি গাইডলাইন দিয়েছে। এটি ভালো উদ্যোগ।

প্রধান সমস্যা শেয়ার কেনে ‍গুজবে: আবু আহমেদ
অনেক সময় টানা পতনে মুষড়ে পড়েন শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা। ছবি: নিউজবাংলা

লটারির বদলে আনুপাতিকহারে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হবে এ সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর হবে বলে আপনি মনে করেন?

ভালো পদক্ষেপ, তবে লটারিতে শেয়ার না দিয়ে আনুপাতিক হারে বরাদ্দের যে বিধান রাখা হচ্ছে তাতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করা উচিত। মার্চেন্ট ব্যাংক, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য আলাদা কোটা রাখার প্রয়োজন নেই। যেহেতু আনুপাতিকহারে শেয়ার বরাদ্দ রাখা হচ্ছে, তাই সবার জন্য সমান সুবিধা রাখা উচিত।

ডিজিটাল বুথ ব্রোকার হাউজের শাখা খোলার সিদ্ধান্ত কতটা পুঁজিবাজার বান্ধব?

২০১০ সালের পর থেকে ব্রোকার হাউজের শাখা খোলা বন্ধ ছিল। এখন আবার দেয়া হচ্ছে। উপজেলা পর্যন্ত ব্রোকার হাউজের শাখা, ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমতি দেয়া ঠিক হয়নি।

উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে যখন শাখা চলে যাবে তখন পুঁজিবাজার সম্পর্কে জানেন না এমন লোকজনও এখানে এসে বিনিয়োগ করবেন। না জেনে, না বুঝে শেয়ার কিনবে, ফলে বিশৃঙ্খলা আরও বাড়বে। বিদেশে বুথ করা হচ্ছে, সেটা ঠিক আছে। তবে উপজেলাতে যাওয়া ঠিক হবে না।

প্রধান সমস্যা শেয়ার কেনে ‍গুজবে: আবু আহমেদ
ব্যাংকে টাকা রাখার চেয়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকে বিনিয়োগ লাভজনক হলেও এসব শেয়ারে আগ্রহ নেই বিনিয়োগকারীদের।

ব্যাংকের শেয়ারের দর তলানিতে এর কারণ কী?

ব্যাংকের শেয়ার শুরু থেকেই মন্দায়। কু-ঋণের কারণেই মূলত এ খাতের উন্নয়ন হচ্ছে না। ব্যাংকের অনেক ভালো খবর আছে, কিন্তু সেগুলোতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ নেই।

অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংকে টাকা রাখার চেয়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকে বিনিয়োগ লাভজনক। অবশ্যই এখানে বিনিয়োগ করা উচিত। ব্যাংকগুলোকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, কিন্তু তারা অনেকটাই অকার্যকর।

বিএসইসির সাম্প্রতিক কার্যক্রম সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিএসইসি ভালো করছে। তাদের অনেক উদ্যোগ ইতিবাচক। বিশেষ করে কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা খুবই ভালো। এছাড়া বন্ড আনার চেষ্টা করছে। তারপর আইপিওতে লটারি পদ্ধতির পরিবর্তন করছে। তবে বিএসইসি একার পক্ষে সব কিছু করা সম্ভব নয়। অর্থ মন্ত্রণালয় ও এনবিআরকে যুক্ত হতে হবে।

আরও পড়ুন:
এ পতন স্বাভাবিক নয়: আবু আহমেদ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
Cucumbers started selling in dreams at lower prices than the open market

স্বপ্নতে ১২ টাকা কেজিতে শসা

স্বপ্নতে ১২ টাকা কেজিতে শসা শসাচাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে শসা কেনে ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। কোলাজ: স্বপ্ন
স্বপ্নর নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, ‘আমরা শসাচাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্য মূল্যে।’

রমজানের মধ্যে শসার বাজার চড়া দাম থাকলেও বর্তমানে শসাচাষিরা দাম পাওয়া নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন।

এমন দুঃসময়ে শসাচাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের অন্যতম রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়, ন্যায্য দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার শসাচাষিরা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে চার টাকায়। ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না চাষিরা।

এমন সময় সেই শসাচাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ন্যায্যমূল্যে কৃষিপণ্যটি কেনে ‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ। সেই শসা এখন খোলাবাজারের চেয়ে কম দামে স্বপ্ন আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে।

খোলা বাজারে বৃহস্পতিবার ৪০ টাকা কেজিতে শসা বিক্রি করতে দেখা গেলেও স্বপ্ন আউটলেটে তা ১২ টাকা কেজিতে গ্রাহকরা কিনতে পেরেছেন। এরই মধ্যে দিনাজপুরের খানসামার ওই এলাকা থেকে দুই টন এবং ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকা থেকে ছয় টন শসা কিনেছে স্বপ্ন প্রতিনিধি।

বর্তমানে তাদের উৎপাদিত শসা পৌঁছে গেছে স্বপ্নর আউটলেটে। স্টক থাকা অবধি এ অফার গ্রাহকরা পাবেন।

স্বপ্নর নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, ‘আমরা শসাচাষিদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরেছি নিউজের মাধ্যমে। আমরা দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কিছু এলাকার কৃষকের দুর্ভোগের কথা জানার পর তাদের কাছ থেকে শসা কিনেছি ন্যায্য মূল্যে।

‘অন্যান্য ব্যবসায়ীদেরও কৃষকদের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান থাকবে। মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভবান না করে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি সেতুবন্ধের চেষ্টা করে আসছে স্বপ্ন। এ চেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকবে।’

এ প্রসঙ্গে স্বপ্নর হেড অফ পার্চেজ সাজ্জাদুল হক বলেন, “বিভিন্ন গণমাধ্যমে শসাচাষিদের সংকটের খবর দেখার পর আমরা সিদ্ধান্ত নিই যে, কৃষকদের পাশে আমরা দাঁড়াব। দিনাজপুর, ময়মনসিংহসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে এরই মধ্যে ৮ টন শসা আমরা কিনেছি।

“দুঃসময়ে কষ্টে থাকা অনেক কৃষকদের পাশে ‘স্বপ্ন’ এর আগেও দাঁড়িয়েছে। সামনেও পাশে থাকবে।”

দিনাজপুরের খানসামা এলাকার কৃষক সাকিব হোসেন বলেন, ‘প্রায় এক বিঘা জমিতে শসা চাষ করেছিলাম এবার। শসার বীজ, সারসহ নানা কাজে লাখ টাকা খরচ হয় আমার, কিন্তু ১০ রমজান অবধি কিছু শসা বিক্রি করার পর বাজারে শসার দাম কমে যায়। প্রতি কেজি ১০ টাকা, এরপর পাঁচ টাকা এবং সবশেষে আরও কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অনেক শসা নষ্ট হয়ে যায়। অনেক লোকসান হচ্ছিল।’

তিনি আরও বলেন, “আমার এলাকার এক সাংবাদিক নিউজ করার পর এসিআই কোম্পানির ‘স্বপ্ন’ থেকে যোগাযোগ করে আমার অনেকগুলো শসা কিনে নিয়েছেন উনারা। এতে করে লোকসানের অনেক ঘাটতি পূরণ হয়েছে আমার। তাদের অশেষ ধন্যবাদ।”

আরও পড়ুন:
লাউয়াছড়ায় গাড়িচাপায় প্রাণ গেল ১২ ফুট অজগরের
এক ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে ফিরিঙ্গি বাজার বস্তির আগুন
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে কমলগঞ্জে দুই দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা
দুর্বৃত্তের হামলায় পা বিচ্ছিন্ন হওয়া যুবকের মৃত্যু
মাছ-মাংসের দাম বেড়েছে, সামান্য স্বস্তি সবজিতে

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The new record price of gold in the countrys market is Tk 119638

দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১১৯৬৩৮ টাকা

দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১১৯৬৩৮ টাকা
বাজুস নির্ধারিত দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে গহনা বিক্রি করা হয়। সে সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে গুনতে হবে ১ লাখ ২৯ হাজার ১১৯ টাকা।

দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়িয়ে রেকর্ড ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের সাড়ে তিন মাসে অষ্টমবারের মতো স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৃহস্পতিবার বৈঠক করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। নতুন নির্ধারিত এই দাম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী- ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৬৫ টাকা বেড়ে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বেড়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ২০২ টাকা, ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৬৫৬ টাকা বেড়ে ৯৭ হাজার ৮৮৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ হাজার ৩৮৮ টাকা কমে ৭৮ হাজার ৮০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সবশেষ দশ দিন আগে ৮ এপ্রিল বাজুস ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৪৯ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা নির্ধারণ করে। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। ১০ দিনের ব্যবধানে আবারও দাম বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দেশের স্বর্ণের বাজারে উচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হলো।

অবশ্য স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের আরও বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সেসঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে ১ লাখ ২৯ হাজার ১১৯ টাকা।

এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা আছে।

আরও পড়ুন:
স্বর্ণের দাম দু’দিনের ব্যবধানে ভরিতে বেড়েছে ৩,৪৯৯ টাকা
বাড়া-কমার খেলায় স্বর্ণের ভরি রেকর্ড ১,১৪,০৭৪ টাকা
কমলো স্বর্ণের দাম
দেশে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১,১২,৯০৮ টাকা

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The price of bottled soybean oil increased by Tk 4 per liter

লিটারে ৪ টাকা বাড়ল বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম

লিটারে ৪ টাকা বাড়ল বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম দোকানে সাজিয়ে রাখা সয়াবিন তেলের বোতল। ফাইল ছবি
সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘…১৪৯ টাকা যেটা খোলাবাজারে ছিল, সেটাকে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা সর্বোচ্চ খোলাবাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হবে। আর আমাদের সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার, বোতল যেটা, পেট বোতলে যেটা, যেটার মধ্যে সিল করা থাকে, সেইটা আমাদের নির্ধারিত ছিল ১৬৩ টাকা। সেইখান থেকে বৃদ্ধি করে ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’

বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।

সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘…১৪৯ টাকা যেটা খোলাবাজারে ছিল, সেটাকে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা সর্বোচ্চ খোলাবাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হবে।

‘আর আমাদের সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার, বোতল যেটা, পেট বোতলে যেটা, যেটার মধ্যে সিল করা থাকে, সেইটা আমাদের নির্ধারিত ছিল ১৬৩ টাকা। সেইখান থেকে বৃদ্ধি করে ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’

খোলা সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতলের দামের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আর খোলাবাজারে সয়াবিন তেল পাঁচ লিটারের বোতল ৮০০ টাকা ছিল। সেটাকে ৮১৮ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’

পাম অয়েলের দাম নিয়ে টিটু বলেন, ‘সুপার পাম অয়েল তেল প্রতি লিটার, এটা আগে নির্ধারণ করা ছিল না। এবার আমরা নির্ধারণ করে দিচ্ছি। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা লিটার।

‘তো এই চারটা পণ্যের দাম, এইটা কিন্তু আমরা নির্ধারণ করলাম না। আমাদের যারা অ্যাসোসিয়েশনের, তাদের রিকমেন্ডেশনে এবং আমাদের ট্যারিফ কমিশনের অনুমোদনক্রমে উনারা উনাদের অ্যাসোসিয়েশন থেকে চিঠি দিয়ে আগামীকাল থেকে এই মূল্য উনাদের মিল গেট থেকে উনারা কার্যকরী করবে।’

আরও পড়ুন:
চলতি মাসেই জ্বালানি তেলের দাম কমছে: প্রতিমন্ত্রী
সয়াবিন তেলের নতুন দাম কার্যকর হচ্ছে শুক্রবার
বিশ্ববাজারের সঙ্গে ওঠানামা করবে জ্বালানি তেলের দাম: প্রতিমন্ত্রী
দুর্ঘটনার ১০ দিন না যেতে সড়কেই প্রাণ গেল তেলেঙ্গানার বিধায়কের
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে কমল ১০ টাকা, ১ মার্চ থেকে কার্যকর

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Bank Asia to acquire foreign bank Alfalah

বিদেশি ব্যাংক আলফালাহ অধিগ্রহণ করবে ব্যাংক এশিয়া

বিদেশি ব্যাংক আলফালাহ অধিগ্রহণ করবে ব্যাংক এশিয়া
পাকিস্তানের করাচিভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের বাংলাদেশ পরিচালনা, সম্পদ ও দায় অধিগ্রহণের জন্য প্রাপ্ত বাধ্যবাধকতামুক্ত ইঙ্গিতমূলক প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি জানিয়েছিল যে আর কোনো ব্যাংককে একীভূতকরণের সুযোগ দেয়া হবে না। তবে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের জন্য ব্যাংক এশিয়াকে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নতুন মাত্রার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক এশিয়া বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করছে। সূত্র: ইউএনবি

করাচিভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ বুধবার (১৭ এপ্রিল) পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জকে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের বাংলাদেশ পরিচালনা, সম্পদ ও দায় অধিগ্রহণের জন্য প্রাপ্ত বাধ্যবাধকতামুক্ত ইঙ্গিতমূলক প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

এতে বলা হয়, ব্যাংক আলফালাহ বাংলাদেশের ব্যাংক এশিয়ার জন্য যথাযথ কার্যক্রম শুরুর জন্য স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তানের অনুমোদন চাইছে।

ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আর কে হুসেইন বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি একীভূতকরণ নিয়ে খুব বেশি আলোচনার অংশ নয়।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে দুই ব্যাংকের নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে অধিগ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত রূপ পাবে বলে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Legal notice and cancellation of contracts to advertising companies promoting dramas contrary to Waltons ideals and principles

‘রূপান্তর’ নাটক ইস্যুতে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে ওয়ালটনের নোটিশ, চুক্তি বাতিল

‘রূপান্তর’ নাটক ইস্যুতে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে ওয়ালটনের নোটিশ, চুক্তি বাতিল ওয়ালটনের লোগো। ছবি: সংগৃহীত
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটনের ভাষ্য, দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও তারা সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

বিষয়বস্তু অবহিত না করে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে ‘রূপান্তর’ শিরোনামের একটি নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ওয়ালটন।

পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সব ধরনের বিজ্ঞাপনী চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

ওয়ালটনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’ এর স্বত্বাধিকারী মোহন আহমেদকে মঙ্গলবার ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।

ওয়ালটনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট রাইসুল ইসলাম রিয়াদ স্বাক্ষরিত আইনি নোটিশে উল্লেখ করে যা বলা হয়, ‘আপনি লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান এর স্বত্বাধিকারী। আপনার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আপনার নির্মিত ছয়টি নাটকে ওয়ালটন ফ্রিজ ব্র্যান্ডিং করতে সম্মত হয়। শর্ত থাকে যে, উক্ত নাটকসমূহে দেশের আইন, নীতি, নৈতিকতা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয় এরকম কোনো বিষয় অর্ন্তভুক্ত হবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, উক্ত নাটকসমূহের মধ্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটিতে এমন কিছু বিষয় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে, যাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ও মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।’

নোটিশে আরও বলা হয়, ‘ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে নাটকটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্বে অবহিত না করে রূপান্তর নাটক প্রচার করায় আপনার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হলো এবং সেই সঙ্গে কেন আপনার বিরুদ্ধে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে নাটক প্রচারের জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে জানানোর জন্য বলা হলো।’

এর আগে ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে ‘রূপান্তর’ নাটকটি প্রত্যাহারের জন্য বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে নির্দেশ দেয় ওয়ালটন। তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক-ইউটিউবসহ সব মাধ্যম থেকে নাটকটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

এরপর বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ওয়ালটন গ্রুপের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থি নাটকে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে লিগাল নোটিশ দেয় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটনের ভাষ্য, দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও তারা সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

আরও পড়ুন:
ঈদ উৎসবে ওয়ালটন ফ্রিজ কেনার হিড়িক
ওয়ালটন টিভি কিনে এয়ার টিকিটের সুযোগ চাঁদরাত পর্যন্ত
ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ৩৩তম মিলিয়নিয়ার হলেন রাজশাহীর মাদ্রাসাশিক্ষক আমিনুল
সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ হিরো বাংলাদেশের
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম নিয়ে এলো কল্লোল গ্রুপ

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
The DMD of the state owned bank is Faiz Alam

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ডিএমডি হলেন ফয়েজ আলম

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ডিএমডি হলেন ফয়েজ আলম রূপালী ব্যাংক পিএলসির মহাব্যবস্থাপক মো. ফয়েজ আলম। ছবি: সংগৃহীত
ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি হওয়ার আগে তিনি রূপালী ব্যাংক পিএলসিতে মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন রূপালী ব্যাংক পিএলসির মহাব্যবস্থাপক মো. ফয়েজ আলম। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে তিনিসহ রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন ব্যাংকের আট জন মহাব্যবস্থাপককে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়।

ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি হওয়ার আগে তিনি রূপালী ব্যাংক পিএলসিতে মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

মো. ফয়েজ আলম ১৯৯৮ সালে বিআরসির মাধ্যমে সিনিয়র অফিসার পদে রূপালী ব্যাংকে যোগদান করেন। কর্মজীবনে ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখার শাখা ব্যবস্থাপক, জোনাল অফিস এবং প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পেশাগত প্রয়োজনে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও আরব অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণসহ দেশ-বিদেশে ব্যাংকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।

ফয়েজ আলমের জন্ম ১৯৬৮ সালে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার যোগীরনগুয়া গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে বিএ অনার্সসহ এমএ পাশ করার পর এমফিল ডিগ্রিও অর্জন করেন খ্যাতিমান এই ব্যাংকার।

পেশাগত জীবনের বাইরে ফয়েজ আলম একজন সফল লেখকও। বাংলাদেশে তিনি অগ্রণী উত্তর উপনিবেশী তাত্ত্বিক, প্রাবন্ধিক ও কবি হিসেবে বিশেষ খ্যাতিমান। এডওয়ার্ড সাঈদের বিখ্যাত গ্রন্থ অরিয়েন্টালিজম-এর অনুবাদক হিসেবেও তার আলাদা খ্যাতি আছে। তার পনেরটির বেশি গ্রন্থ এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Traders want to increase the price of edible oil by 10 taka per liter not the state minister

ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা, প্রতিমন্ত্রীর ‘না’

ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা, প্রতিমন্ত্রীর ‘না’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। দাম আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করা যেতে পারে, তবে সময় লাগবে। ভোজ্যতেলের নতুন চালান আমদানির ক্ষেত্রে দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’

ভোজ্যতেলের ওপর শুল্ক অব্যাহতির সময়সীমা শেষ হয়েছে সোমবার (১৫ এপ্রিল)। এ অবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরভিএমএফএ) সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।

বিভিওআরভিএমএফএ’র নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মোল্লার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কাঁচামাল আমদানি ও ভোজ্যপণ্য উৎপাদনে কর অব্যাহতির মেয়াদ ১৫ এপ্রিল শেষ হচ্ছে বিধায় পরদিন ১৬ এপ্রিল থেকে ভ্যাট অব্যাহতির আগের নির্ধারিত মূল্যে পণ্য সরবরাহ করা হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ১৭৩ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৮৪৫ টাকা ও এক লিটার পাম তেল ১৩২ টাকায় বিক্রি করা হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত ফেব্রুয়ারিতে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত (অপরিশোধিত) সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করে।

এদিকে মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করা যেতে পারে, তবে সময় লাগবে।

‘ভোজ্যতেলের নতুন চালান আমদানির ক্ষেত্রে দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’

আরও পড়ুন:
ভোজ্যতেলের আমদানিনির্ভরতা কমবে: খাদ্যমন্ত্রী
ভোজ্যতেলে ভ্যাটমুক্ত সুবিধা তিন মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
ভোজ্যতেলের দাম বাড়াতে সেই পুরোনো কৌশল

মন্তব্য

p
উপরে