× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অর্থ-বাণিজ্য
অর্থনীতির প্রতিটি সূচকই উড়ন্ত মন্ত্রী
google_news print-icon

অর্থনীতির প্রতিটি সূচকই উড়ন্ত: মন্ত্রী

অর্থনীতির-প্রতিটি-সূচকই-উড়ন্ত-মন্ত্রী
অর্থনৈতিতে বাংলাদেশের ক্রমশ এগিয়ে যাওয়ার ধারা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘২০০৮ সালে আমাদের জিডিপির আকার ছিল ৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। স্বাধীনতার পর ৩৮ বছর লেগেছিল বাংলাদেশের ১০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হতে। আর মাত্র গত ১২ বছরে তা তিন গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।’

দেশের অর্থনীতির প্রতিটি সূচকই উড়ন্ত এবং খুব ভালো অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তার দাবি, গত এক যুগে দেশের অর্থনীতি অভাবনীয় অগ্রগতি হয়েছে, রূপকথার গল্পকেও হার মানায়।

সোমবার একাদশ জাতীয় সংসদের ১১তম অধিবেশনে দেওয়া রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ বক্তব্যে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার’ হিসেবে অভিহিত করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তার দূরদর্শী নেতৃত্বে দুর্নিবার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’।

২০২১ সালকে একটি বিশেষ বছর হিসেবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসেই বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণের চূড়ান্ত যোগ্যতা অর্জন করবে।’

অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্যে কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবে অভ্যন্তরীণ ও বিশ্ব অর্থনীতি বিরূপ প্রভাবও তুলে ধরেন। এ ছাড়া জিডিপির প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়, রেমিট্যান্স রপ্তানিসহ দেশের অর্থনীতির অগ্রতির নানা সূচক নিয়ে কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘করোনার মতো এমন সর্বজনীন মন্দা বিশ্ব আর কখনো প্রত্যক্ষ করেনি। এটাকে ত্রিশ দশকের মহামন্দার পরে সবচেয়ে বড় সংকট।’

অর্থমন্ত্রী জানান, অপ্রত্যাশিত কোভিড-১৯-এর সংকট পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার এ পর্যন্ত ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকার মোট ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, যার বাস্তবায়ন দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।

করোনা মহামারি বড় ধাক্কা হয়েছে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের জন্য। বেশির ভাগ দেশের জিডিপি সংকুচিত হয়েছে। কর্মহীন হয়েছেন কোটি কোটি মানুষ।

কিন্তু অর্থমন্ত্রী বলছেন, প্রাথমিক অভিঘাত পার করে বাংলাদেশ দ্রুত অর্থনৈতিক উত্তরণের পথে এগিয়ে চলছে। দুর্গতির মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আশার কথাই শুনিয়েছে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ অন্যান্য দাতা সংস্থা।

‘সারা বিশ্বে পুঁজিবাজারের পতন ঘটলেও আমাদের সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে পুজিবাজারের মূল্যসূচক বেড়েছে ২৭ শতাংশ। অর্থনীতির আরেকটি চালিকা শক্তি আমাদের প্রবাসী আয়। করোনা-সময়ে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৩ শতাংশ।’

বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্রমশ এগিয়ে যাওয়ার চিত্র তুলে ধরে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘২০০৮ সালে আমাদের জিডিপির আকার ছিল ৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। স্বাধীনতার পর ৩৮ বছর লেগেছিল বাংলাদেশের ১০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হতে। আর মাত্র গত ১২ বছরে তা তিন গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।’

অর্থনীতির প্রতিটি সূচকই উড়ন্ত: মন্ত্রী
জাতীয় সংসদে বক্তব্য দেয়ার সময় দেশের অর্থনেতিক উন্নয়নের নানা দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিইবিআরের প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। বাংলাদেশ বর্তমানে ৪১তম অর্থনীতির দেশ থেকে ২০৩০ সালে ২৮তম এবং ২০৩৫ সালে ২৫তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। আমাদের জিডিপির আকার হবে তখন ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার।’

ইউরোপের প্রখ্যাত অর্থনৈতিক বিশ্লেষক স্পেকটেটরের তথ্যও তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ থেকে ২০১৯ সময়ে বাংলাদেশ জিডিপিতে মোট ১৮৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে সারা বিশ্বে সবার ওপরে ছিল। একইভাবে মাথা পিছু জাতীয় আয় ৬৮৬ ডলার বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ৬৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ভারত ও চীনের সঙ্গে প্রথম স্থানে।’

বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির অগ্রগতি তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী জানান, এক যুগে রপ্তানি আয় ছিল ১৪ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ বিলিয়ন ডলার। প্রবাসী আয় ৮ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ১৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৬ বিলিয়ন ডলার থেকে ৭ গুণ বেড়ে ৪৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘পুঁজি বাজারে মূলধন এক লাখ চার হাজার কোটি টাকা থেকে চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে চার লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। চাল উৎপাদন দুই কোটি ৮৯ লাখ মেট্রিক টন থেকে ২৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ৬৫ লাখ মেট্রিক টন।

‘বাংলাদেশ এখন চাল উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। সরকারের সবচেয়ে বড় অর্জন কৃষিপণ্যের বহুমুখীকরণ এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন।’

আরও পড়ুন:
রপ্তানিতে ভারতের ‘শিক্ষণীয়’ বাংলাদেশ
এলডিসির সুবিধা আরও দুই বছর
সংকটের মধ্যেও স্বস্তির অর্থনীতি
আয়ের বিকল্প উৎস নিয়ে কিছু কথা
‘অনিশ্চয়তা কাটলে ঋণের চাহিদা বাড়বে’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অর্থ-বাণিজ্য
The main church of Eid at Jamiatul Falah Mosque in Chittagong is at 730 pm

চট্টগ্রামে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত সাড়ে ৭টায়

চট্টগ্রামে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত সাড়ে ৭টায়

চট্টগ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। একই স্থানে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।
বুধবার সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) শিক্ষা বিভাগ।

প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের খতিব সৈয়দ আলাউদ্দিন আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দিন আল কাদেরী। দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন মসজিদটির পেশ ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ আহমদুল হক।

চসিকের শিক্ষা বিভাগের সমাজকল্যাণ ও সংস্কৃতি কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ জানান, সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগরের বিভিন্ন প্রান্তে আরো ৯টি ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৭টায় এসব মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

ঈদুল আজহার অন্যান্য জামাতগুলো হলো- লালদীঘির পাড় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শাহী জামে মসজিদ, হযরত শেখ ফরিদ (র.) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার সিটি করপোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুবাজার জামে মসজিদ এবং সাগরিকা এলাকার মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদ।

এছাড়া নগরীর বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় মসজিদ ও ঈদগাহে স্থানীয়রা ঈদের জামাত আয়োজন করবেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Inauguration of Janata Bank PLC Town Hall Branch in Mymensingh

ময়মনসিংহে জনতা ব্যাংক পিএলসি. টাউন হল মোড় শাখার উদ্বোধন

ময়মনসিংহে জনতা ব্যাংক পিএলসি. টাউন হল মোড় শাখার উদ্বোধন

৪ জুন’২৫ রোজ বুধবার ময়মনসিংহ শহরে জনতা ব্যাংক পিএলসি. টাউন হল মোড় শাখা (পূর্ব নাম মহিলা শাখা) নতুন ভবনে স্থানান্তর উপলক্ষে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মজিবর রহমান। ময়মনসিংহ এরিয়া অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক মোঃ জাহিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ময়মনসিংহ বিভাগীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক ফারজানা খালেক ও স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান খান। এ সময় ব্যাংকের অন্যান্য নির্বাহী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্থানীয় গ্রাহক ও শুভানুধ্যায়ীগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Sylhet rains have dropped but the river water is increasing

সিলেটে বৃষ্টি কমেছে, তবুও বাড়ছে নদ-নদীর পানি

সিলেটে বৃষ্টি কমেছে, তবুও বাড়ছে নদ-নদীর পানি সিলেটে নদীর পানি বৃদ্ধিতে প্লাবিত হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ছবি: নিউজবাংলা

সিলেটে বৃষ্টি কমলেও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সুরমা-কুশিয়ারাসহ সিলেটের প্রধান কয়েকটি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উজান থেকে ঢল নামা অব্যাহত থাকায় নদীগুলোর পানি বাড়ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সিলেটে গত সোমবার সকাল থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৬ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এরপর দিনে আর তেমন বৃষ্টি হয়নি।

নদীর পানি বাড়লেও গতকাল মঙ্গলবার নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত হয়নি। তবে জকিগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের অনেক গ্রাম ও রাস্তা এখনো পানির নিচে তলিয়ে আছে। তবে জকিগঞ্জ বাজার থেকে পানি নেমে গেছে। এর আগে গত সোমবার কুশিয়ারা নদীর ডাইক ভেঙে জকিগঞ্জ বাজার প্লাবিত হয়েছিল।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যানুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সিলেটের সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে এবং কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ, শেওলা ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। কানাইঘাট পয়েন্টে পানি ১৩ দশমিক ৬৯ মিটারে অবস্থান করছিল, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৯৪ মিটার ওপরে। অমলশিদ পয়েন্টে ১৭ দশমিক ৩৬ মিটারে অবস্থান করছিল, যা বিপৎসীমার ১ দশমিক ৯৬ মিটারের ওপরে। শেওলা পয়েন্টে ১৩ দশমিক ৫২ মিটারে অবস্থান করছিল, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৪৭ মিটার ওপরে। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৯ দশমিক ৯৮ মিটারে অবস্থান করছিল, যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৫৩ মিটার ওপরে। এ চারটি পয়েন্টেই আগের দিনের চেয়ে পানি বেড়েছে।

সুরমা ও কুশিয়ারা নদী ছাড়াও জেলার ধলাই, লোভা, সারি ও ডাউকি নদ-নদীর পানি বেড়েছে। শুধু সারি-গোয়াইন নদীর পানি কিছুটা কমেছে।

স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকার বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, জেলার গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর ও ওসমানীনগর উপজেলার নদ-নদীর পানি বাড়ছেই। জকিগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর একাধিক স্থানে বাঁধ ভেঙে বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অনেক ঘরবাড়িতে পানি ঢুকেছে। এছাড়া বেশ কিছু গ্রামীণ রাস্তা তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় অনেকেই পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এতে বন্যাকবলিত মানুষজন দুর্ভোগে পড়েছেন।

জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান বল্বন, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে দুটি পরিবারের মোট ৯ জন ঠাঁই নিয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, সিলেটে বৃষ্টি ধীরে ধীরে কমে এলেও ভারত থেকে সীমান্তবর্তী নদ-নদী দিয়ে পাহাড়ি ঢল আসা অব্যাহত আছে। এতে বৃষ্টি কমলেও পানি বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, ভারতেও বৃষ্টি কমে আসছে। এছাড়া ভাটিতেও পানি দ্রুত গতিতে চলে যাচ্ছে। তাই নতুন করে বৃষ্টি না হলে দু-এক দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আমরা ধারণা করছি।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
BNP called the budget a one sided void

বাজেটকে 'একতরফা, অকার্যকর' অভিহিত করল বিএনপি

বাজেটকে 'একতরফা, অকার্যকর' অভিহিত করল বিএনপি

নতুন অর্থবছরের (২০২৫-২৬) প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটকে অকার্যকর ও গতানুগতিক এবং একতরফা বলে সমালোচনা করেছে বিএনপি। দলটি বলেছে, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও দরিদ্রতার মতো অর্থনৈতিক দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাগুলো সমাধানে এবারের বাজেট সুর্নিদিষ্ট কৌশল দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

বুধবার (৪ জুন) বাজেট নিয়ে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিএনপি সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে অন্তর্বতী সরকারকে। আমরা আশা করেছিলাম যে অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে জড়িত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে বাজেট তৈরি করবে, যাতে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার ন্যূনতম স্তর তৈরি হয়।’

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতা ও যুব প্রতিনিধিদের নিকট থেকে মতামত নিতে পারত।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যদি এমনটি হতো, তাহলে বাজেট একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতীক হত। এটি দেশের বিভিন্ন অংশের কণ্ঠস্বর প্রতিফলিত করত। কিন্তু সেই সুযোগটি ব্যবহার করা হয়নি। ফলে, বাজেটটি একপেশে, অংশগ্রহণমূলক নয় এবং গতানুগতিক হয়ে গেছে। এতে নতুন চিন্তা-ভাবনার প্রতিফলন নেই।’

বর্তমান বিশেষ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বাজেট চূড়ান্ত করার আগে এই ধরনের আলোচনা আরও জরুরি ছিল, যেহেতু ২০২৫-২৬ অর্থবছরে একটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে।

প্রস্তাবিত বাজেটের উপর তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে তাদের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এই প্রেস কনফারেন্স আয়োজন করে বিএনপি।

সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। এটি জুলাই মাস থেকে কার্যকর হবে।

বাজেট সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানকে মাথায় রেখে তৈরি করা উচিত উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট সেই বৈষম্যমুক্ত সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়নি, যার জন্য আন্দোলন করা হয়েছিল।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাজেটে চলমান অর্থনৈতিক সমস্যাগুলোর যেমন উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, দরিদ্রতা বৃদ্ধি, কম বেসরকারি বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের কম সুযোগের স্পষ্ট সমাধান দেওয়া হয়নি।

বিএনপির এই নেতা বাজেটের সমালোচনা করে বলেন, বাজেটটি অপ্রয়োজনীয় এবং দুর্নীতিপ্রবণ প্রকল্পগুলোতে বেশি মনোযোগ দিয়েছে, অথচ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Nine Six for the advanced varieties of grass farming projects at Daulatpur Livestock Department

দৌলতপুরে প্রাণিসম্পদ দপ্তরে উন্নত জাতের ঘাস চাষ প্রকল্পের অর্থ প্রদানে নয় ছয়

দৌলতপুরে প্রাণিসম্পদ দপ্তরে উন্নত জাতের ঘাস চাষ প্রকল্পের অর্থ প্রদানে নয় ছয়

কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারী হাসপাতালে উন্নত জাতের ঘাস চাষ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় খামারীকে সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থের কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে প্রাণিপুষ্টির উন্নয়নে উন্নত জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ ও লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তর ‘‘শীর্ষক” প্রকল্পেরে আওতায় দৌলতপুর উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়ন থেকে প্রতি ইউনিয়নে ২জন করে নির্বাচিত ২৮ জন খামারীকে উচ্চ উৎপাদনশীল জাতের ঘাস চাষ প্রর্দশনী প্লট স্থাপন বাবদ জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু সরকারি এ বরাদ্দকৃত অর্থ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা খামারীদের প্রদান করেন জনপ্রতি ৪৪০০ টাকা। এতে খামারিদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

রামকৃঞ্চপুর ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামের খামারী ময়না খাতুনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কত টাকা বরাদ্দ সেটা ঠিক জানিনা, তবে গত বছর ও এবছর ৪৪০০ টাকা করে মোট ৮৮০০ টাকা আমাকে দিয়েছে।

মরিচা ইউনিয়নের মাজদিয়াড় গ্রামের খামারী জোয়াদুর রহমানসহ একাধিক খামারীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমাদের বরাদ্দ ৫০০০ টাকা থাকলেও বিভিন্ন খাত দেখিয়ে গত বছর ও এবছর ৪৪০০ টাকা করে ৮৮০০ টাকা সকলকে দিয়েছে। কেন কম দিলো সেটা আমরা জানিনা।

এবিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কমিউনিটি এক্সট্রেনশন এজেন্ট শাহারুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কিছু জানিনা স্যার যা বলেছে আমি তাই করেছি, আপনি স্যারের সাথে কথা বলেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ মাহমুদুল ইসলাম খামারীদের প্রাপ্য অর্থ কম দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, অডিট ও মাঠ পর্যায়ে যাতায়াতের জন্য টাকা কম দেয়া হয়েছে। এসকল খরচ তো আমি পকেট থেকে দেবনা। তাই খামারীদের ৬০০ টাকা করে কম দেয়া হয়েছে। আপনি অফিসে আসেন কথা বলি।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
Freedom of rain in seven districts

সাত জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস, নদীবন্দরে ১ নম্বর সংকেত

সাত জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস, নদীবন্দরে ১ নম্বর সংকেত

গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা ধীরে ধীরে কমছে। তবে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারি অবস্থায় থাকায় এখনই বৃষ্টি থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছে না দেশবাসী।

দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য বুধবার (৪ জুন) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ (বুধবার) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে অস্থায়ীভাবে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।

বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস

আজ সকাল ৯টা থেকে ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনাও রয়েছে।

বৃষ্টিপাতের এই ধারা আগামীকালও (বৃহস্পতিবার) অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে বৃষ্টি ঝরার প্রবণতা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে তাদের পূর্বাভাস, খুলনা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

পরের দিন (শুক্রবার) বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমলেও বৃহস্পতিবারের মতোই থাকবে জানিয়ে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি বলেছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

তবে ঈদের দিন (শনিবার) সকাল থেকে দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি হলেও সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঈদের পরের দিনও সারা দেশের আবহাওয়া একই রকম থাকবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ওই দুদিন চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপমাত্রা

গতকালের মতো আজও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তবে আজ এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে দুটি জেলা—রাজশাহী ও পাবনা। এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

অবশ্য অন্যত্র দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমলেও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এই ধারা পরের দিনও অব্যাহত থাকতে পারে।

তবে ঈদের আগের দিন সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, যা পরের দিন, অর্থাৎ ঈদের দিনও অব্যাহত থাকতে পারে।

ঢাকার কী অবস্থা

ভোরের দিকে বৃষ্টি হওয়ার পর সকাল থেকে মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে ঢাকার আকাশ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিও আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে বলে জানিয়েছে।

আজ (বুধবার) দুপুর ১২টায় ঢাকা ও আশপাশের এলাকার তাপমাত্রা ছিল ২৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৭৫ শতাংশ।

সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত না হলেও দুপুর ১২টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এই সময়ে এই অঞ্চলের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

মন্তব্য

অর্থ-বাণিজ্য
National Environmental Medal is nominated for 2122 and 3 institutions for paying 2021

জাতীয় পরিবেশ পদক, ২০২৪ প্রদানের জন্য ৩ ব্যক্তি এবং ৩ প্রতিষ্ঠান মনোনীত

জাতীয় পরিবেশ পদক, ২০২৪ প্রদানের জন্য ৩ ব্যক্তি এবং ৩ প্রতিষ্ঠান মনোনীত

পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষা ও প্রচার এবং এবং পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২৪’ প্রদানের জন্য তিনজন ব্যক্তি ও তিনটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করেছে সরকার।

সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিবেশ পদক, ২০২৪ প্রদানের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় কমিটির সভায় এই মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়েছে।

পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিভাগে অবদানের জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার আজিজনগর গ্রামের বাসিন্দা মো: মাহমুদুল ইসলামকে এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ঢাকার ধামরাইয়ের ‘স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড’ পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।

পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষা ও প্রচার ক্যাটাগরিতে ব্যক্তি পর্যায়ে মনোনয়ন পেয়েছেন চট্টগ্রামের সিডিএ আবাসিক এলাকার মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী। একই ক্যাটাগরিতে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে মনোনীত হয়েছে পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন ‘ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট’।

এ ছাড়া, পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে অবদানের জন্য ব্যক্তি পর্যায়ে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন প্রফেসর ড. এম. ফিরোজ আহমেদ। এ ক্যাটেগরিতে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে মনোনীত হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)।

প্রত্যেক বিজয়ীকে জাতীয় পরিবেশ দিবসের অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা দেওয়া হবে। এ সময় তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে ২২ ক্যারেট মানের দুই তোলা ওজনের স্বর্ণের বাজারমূল্য, ও আরও ৫০ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র।

মন্তব্য

p
উপরে