বিমা খাতের পরিশোধিত মূলধন আর পরিচালকদের শেয়ার ধারণ সংক্রান্ত চিঠি নিয়ে পুঁজিবাজারে এই খাতের শেয়ার নিয়ে হুলস্থুল হলো।
একটি অনলাইনে এই চিঠির খবর প্রকাশের পর মঙ্গলবার এই খাতের ৪৯টি কোম্পানির বহুগুলোর দাম বাড়ে সর্বোচ্চ পরিমাণে। তবে বুধবার দাম কমে যায় ৩০টির মতো।
বেশিদামে শেয়ার কিনে ক্ষতির মুখে পড়ার পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ এই খাত নিয়ে বিস্তারিত জেনে বিনিয়োগ করতে বলেছে।
সাত বছরের বেশি সময় নিয়েও আইনের বিধান মোতাবেক পরিশোধিত মূলধন সংরক্ষণ করতে পারেনি অধিকাংশ বিমা কোম্পানি।
আইন পরিপালনে বাধ্য করতে সম্প্রতি বিমা কোম্পানিগুলোকে এক মাস সময় বেধে দিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।
বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ-আইডিআরএ পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২০১০ সালের আইন অনুযায়ী বিমা কোম্পানির উদ্যোক্তা শেয়ার ৬০ শতাংশে উন্নীত করার কথা বলা হয়। তিন বছরের মধ্যে এই নির্দেশনা পরিপালনের কথা ছিল। এত দীর্ঘ সময়েও তারা আইনের নির্দেশনা পরিপালন করতে পারেনি।’
তিন বছরে যা হয়নি, তা এক মাসের মধ্যে পূরণ করতে বলা হয়েছে। এটা নিয়েই বাজারে অস্থিরতা। এটা কি সম্ভব?
এমন প্রশ্নে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘যে এক মাস সময় দেয়া হয়েছে, আমরা আশা করব বিমা কোম্পানিগুলো সে সময়ের মধ্যে উদ্যোক্তা শেয়ার ৬০ শতাংশ এবং জনসাধারণের শেয়ার ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে পারবে। যদি তারা আবারও ব্যর্থ হয়, তাহলে আইডিআরএ এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।’
আইনের বিধান অনুযায়ী পরিশোধিত মূলধন সংরক্ষণ ব্যর্থ হওয়া বিমা কোম্পানিগুলোকে এক মাস সময় গত ১২ জানুয়ারি ১২টি জীবন বিমা ও ১৭ জানুয়ারি ৩০টি সাধারণ বিমা কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) এ সংক্রান্ত দুটি চিঠি দেয় আইডিআরএ।
সাধারণ বিমা কোম্পানিকে দেয়া চিঠিতে সই করেন পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।
জীবন বিমা কোম্পানিকে দেওয়া চিঠিতে স্বাক্ষর করেন আইডিআরএর আরেক পরিচালক শাহ আলম।
বিমা আইন ২০১০-এর ২১(৩) ধারার তফসিল-১-এ বলা হয়েছে, দেশে নিবন্ধিত জীবন বিমা কোম্পানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন হবে ৩০ কোটি টাকা, যার ৬০ শতাংশ আসবে উদ্যোক্তাদের কাছ থাকে। বাকি ৪০ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে।
সাধারণ বিমা কোম্পানির ক্ষেত্রে পরিশোধিত মূলধন হবে ৪০ কোটি টাকা, যার ৬০ শতাংশ উদ্যোক্তারা দেবেন। বাকি ৪০ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, পুঁজিবাজারে বর্তমানে ৪৯টি বিমা কোম্পানি তালিকাভুক্ত। এর মধ্যে সাধারণ বিমা ৩৭টি এবং জীবন বিমা ১২টি।
সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকার নিচে রয়েছে চারটির। এগুলোর মধ্যে প্রভাতী ইনস্যুরেন্সের ২৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা, প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্সের ৩৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, অগ্রণী ইনস্যুরেন্সের ৩০ কোটি ২৪ লাখ টাকা এবং ইসলামিক ইনস্যুরেন্সের ৩৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধন রয়েছে।
জীবন বিমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার কম রয়েছে দুটির। এর মধ্যে রূপালী লাইফ ইনস্যুরেন্সের ২৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এবং প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনস্যুরেন্সের ১৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
তালিকাভুক্ত ৪৯ বিমা কোম্পানির মধ্যে মাত্র পাঁচটির উদ্যোক্তাদের শেয়ার রয়েছে ৬০ শতাংশ বা তার বেশি।
এগুলো হচ্ছে পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্স, এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইনস্যুরেন্স, ঢাকা ইনস্যুরেন্স ও রিলায়েন্স ইনস্যুরেন্স।
৬০ শতাংশের নিচে রয়েছে ৪৪টি কোম্পানির উদ্যোক্তাদের শেয়ার। সাধারণ বিমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে অগ্রণী ইনস্যুরেন্স, এশিয়া ইনস্যুরেন্স, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইনস্যুরেন্স, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইনস্যুরেন্স, বিজিআইসি, কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স, সেন্ট্রাল ইনস্যুরেন্স, গ্রিন ডেল্টা ইনস্যুরেন্স, গ্লোবাল ইনস্যুরেন্স, ইসলামী ইনস্যুরেন্স বাংলাদেশ, জনতা ইনস্যুরেন্স, কর্ণফুলী ইনস্যুরেন্স কোম্পানি।
এ ছাড়া রয়েছে মেঘনা, মার্কেন্টাইল, নিটল, নর্দান ইসলামী, প্যারামাউন্ট, পিপলস, ফিনিক্স, পাইওনিয়ার, প্রগতি, প্রভাতী, পূরবী, রিপাবলিক, সোনার বাংলা, স্ট্যান্ডার্ড, সাউথ এশিয়া, তাকাফুল ইসলামী, ইউনিয়ন এবং ইউনাইটেড ইনস্যুরেন্স কোম্পানি।
জীবনবিমা প্রতিষ্ঠানের যে কোম্পানিগুলো চিঠি পেয়েছে, সেগুলো হচ্ছে ফারইস্ট লাইফ, পদ্মা ইসলামী লাইফ, পপুলার লাইফ, রূপালী লাইফ, সন্ধানী লাইফ, বায়রা লাইফ, মেঘনা লাইফ, গোল্ডেন লাইফ, হোমল্যান্ড লাইফ, প্রাইম ইসলামী লাইফ, প্রগতি লাইফ, প্রগ্রেসিভ লাইফ, সানফ্লাওয়ার লাইফ ও সানলাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি।
আরও পড়ুন:
অনলাইন জুয়া ও হুন্ডির কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে ২১ হাজার ৭২৫টি মোবাইল হিসাব (মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস-এমএফএস) বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বন্ধ করে দেয়া হিসাবগুলোর বেশিরভাগই বিকাশ, নগদ ও রকেটের। ভবিষ্যতে এ ধরনের লেনদেনে জড়িত না হতে এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্কও করা হয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে।
বিএফআইইউ’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি বছরের ৯ মাসে ৩৭১টি অনলাইন গেমিং ও বেটিং লেনদেন, অনলাইন ফরেক্স ট্রেডিং সম্পর্কিত ৯১টি লেনদেন ও ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত ৪১৩টি লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এ সব তথ্য বিশ্লেষণ করে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে পাঠানো হচ্ছে।
এ ছাড়া বিএফআইইউ অবৈধ হুন্ডি, গেমিং, বেটিং ও ক্রিপ্টোসংক্রান্ত ৮১৪টি ওয়েবসাইট, ১৫৯টি অ্যাপ ও ৪৪২টি সোশ্যাল মিডিয়া পেজ ও লিংকের তালিকা আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে পাঠিয়েছে। বিএফআইইউ ২১টি মানি চেঞ্জার এবং তাদের ৩৯টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে পাঠিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মানিলন্ডারিং বিরোধী কমপ্লায়েন্স কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বিএফআইইউ এসব তথ্য তুলে ধরে।
বিএফআইইউ-এর প্রধান কর্মকর্তা মো. মাসুদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত সভায় বিএফআইইউ-এর উপপ্রধান কর্মকর্তা এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম, বিএফআইইউ পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. আরিফুজ্জামান, সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান ও উপপ্রধান মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ পরিপালন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণগ্রহণ করে বা নন-ফান্ডেড সুবিধাকে ফান্ডেড সুবিধায় রূপান্তর ও ফোর্সড লোন সৃষ্টি করে বিদেশে অর্থ পাচারসহ বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে অর্থ পাচার, অনলাইন ফরেক্স ট্রেডিং, গেমিং, বেটিং, ডিজিটাল হুন্ডি, ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ভার্চুয়াল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগসহ সমসাময়িক নানা ঝুঁকি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ ছাড়া ওয়েজ আর্নাররা যাতে ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠান সে বিষয়ে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দেয়া হয়।
সভায় বিএফআইইউ-এর প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, ‘দুষ্কৃতকারী ও অর্থ পাচারকারীরা যাতে ব্যাংকিং ব্যবস্থা ব্যবহার করে কোনো অপরাধ সংঘটিত করতে না পারে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। ‘বিএফআইইউ আর্থিক অপরাধের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেবে। যাদের পরিপালন ব্যবস্থায় দুর্বলতা পরিলক্ষিত হবে, তাদের বিষয়েই কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:স্মার্ট ব্লকচেইন নিবেদিত ও লুমিনাস গ্রুপ প্রযোজিত ‘থিংক আউট সাইড অব দ্য বক্স’-এর সপ্তম সিজন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর টিসিবি অডিটোরিয়ামে ফিউচারাইজার্স বাংলাদেশের সৌজন্যে এই অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ফিউচারাইজার্স বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সিইও সাখাওয়াত উল্লাহ শান্ত। প্রধান অতিথি ছিলেন নাগরিক ঢাকার সভাপতি এম নাঈম হোসেন।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা) এম এ আখের। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফরাজী হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. আনোয়ার ফরাজী ইমন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট রাসিদা চৌধুরী নীলু, লুমিনাস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রাকিব হোসেন, দৈনিক কালবেলা অনলাইনের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজার ও ডিজিটাল মিডিয়া ফোরামের প্রেসিডেন্ট মো. দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার মো. এরশাদ খান, নেক্সট প্রোডাক্ট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।
কি-নোট স্পিকার ছিলেন নগদের হেড অব করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড পিআর সোলায়মান সুখন। স্পিকার ছিলেন দ্য মার্কেটিং ফ্যাক্টরি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী দৌলত মোহাম্মদ জাফরি, ফিউচার আইকন এর সিইও ইউসুফ ইফতি, প্রফেশনাল পাবলিক স্পিকার ফোরামের জেনারেল সেক্রেটারি মো. রফিকুল ইসলাম খান, অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ার্স কমিউনিটি লিডার আল মামুন রাসেল, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ার্স কমিউনিটি লিডার হাসান মাহমুদ, নারী উদ্যোক্তা ও মোটিভেশনাল স্পিকার ঈশিতা আক্তার, মার্কেটিং কনসালটেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল মিডিয়া থট লিডার প্রলয় হাসান।
এ পর্যন্ত ১২০ বার রক্তদানের জন্য রক্তযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলামকে অনুষ্ঠানে বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়।
ডিএমএফ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভবিষ্যতে কালবেলা ও ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম (ডিএমএফ) যৌথভাবে ফিউচারাইজার্স বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে। যেখানেই সুন্দর চিন্তা, সেখানেই আমরা আছি।’
সোলায়মান সুখন বলেন, ‘আমরা দেয়াল বানাব না, ব্রিজ বানাব; কানেক্ট হব, বলা এবং শোনার মাঝে আন্তঃযোগাযোগ করতে হবে। ভাষার দক্ষতা এবং কমিউনিকেশন সবার সঙ্গে রাখতে হবে। উদ্যোক্তাদের ওপর নির্ভর করে এখন বাংলাদেশ। আগে অভিজ্ঞতা না থাকলে ঠকার সম্ভাবনা বেশি। সময় না দিলে সফল বিজনেসম্যান হওয়া সম্ভব না। জীবনে শান্তি খুঁজতে হবে। ভালো হতে হবে, তাহলে ব্যবসা আপনাকে খুঁজে নেবে।’
ইউসুফ ইফতি বলেন, ‘সেলস মার্কেটিংয়ে কাজ করার সময় আমাদেরকে ২১টি সাইকোলজিকাল ট্রিগার মাথায় রাখতে হবে সবমসময়। যখন যা করবেন পুরো মনোযোগ দিয়ে করবেন। একসঙ্গে একাধিক না। যে সেক্টরে কাজ করবেন, সে সেক্টরে অলরাউন্ডার হন; সব সেক্টরে নয়।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এম নাঈম হোসেন বলেন, ‘থিংক আউট অব দ্য বক্স একটি সুন্দর চিন্তার সম্মেলন। চিন্তা অনুযায়ী কাজ করলে আমাদের এই সমাজ আরও দক্ষ ও সুন্দর হয়ে উঠবে।’
সভাপতি সাখাওয়াত উল্লাহ শান্ত বলেন, ‘একটু বক্সের বাইরে চিন্তা করলেই দেখবেন অন্যকে জিতিয়ে বা কাউকে না ঠকিয়েও বিজয়ী হওয়ার সুযোগ রয়েছে। ছাত্রজীবন থেকে ব্যক্তিগত জীবন এবং পেশাগত ও উদ্যোক্তা জীবনেও আমরা বক্সের বাইরে গিয়ে চিন্তা কম করি। তাই আমাদের জীবনটা বক্সের ভেতরেই রয়ে যাচ্ছে। যেই যে ইন্ড্রাস্ট্রিতে আছি, সে তার বাইরের ইন্ড্রাস্ট্রিতে কী হচ্ছে, সেটা নিয়েও চিন্তা করতে হবে। তাহলেই সফলতা আসবে।’
সবশেষে অংশগ্রহণকারী সবাইকে সার্টিফিকেট, গিফট ও সম্মাননা স্মারক প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের ৪৪ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজধানীর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে বুধবার এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) ও কমিউনিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান জনাব চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
সভায় কয়েকটি বিনিয়োগ প্রস্তাব ও ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নীতিনর্ধারণী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজি (অ্যাডমিন) মো. কামরুল আহসান, অ্যাডিশনাল আইজি (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) মো. মনিরুল ইসলাম, অ্যাডিশনাল আইজি (এন্টি-টেরোরিজম ইউনিট) এস এম রুহুল আমিন, অ্যাডিশনাল আইজি (এলএন্ডএএ) মাজহারুল ইসলাম, অ্যাডিশনাল আইজি (ক্রাইম এন্ড অপারেশন্স) আতিকুল ইসলাম, অ্যাডিশনাল আইজি (ফাইন্যান্স) আবু হাসান মুহম্মদ তারিক, অ্যাডিশনাল আইজি (ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ)।
সভায় আরও উপস্থিত মাহাবুবর রহমান, অ্যাডিশনাল আইজি (টুরিস্ট পুলিশ) হাবিবুর রহমান, ডিআইজি (প্রশাসন) আমিনুল ইসলাম, ডিআইজি (এইচআরএম) কাজী জিয়া উদ্দিন, অ্যাডিশনাল ডিআইজি (ডেভেলপমেন্ট রেভিনিউ-১) ড. শোয়েব রিয়াজ আলম, অ্যাডিশনাল ডিআইজি, (বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট) মুনতাসিরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার ও পরিচালক (পুলিশ স্টাফ কলেজ) সুফিয়ান আহমেদ, বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইন্সপেক্টর বি এম ফরমান আলী, এফসিএ ও এফসিএমএর স্বতন্ত্র পরিচালক মাসুদ খান, স্বতন্ত্র পরিচালক কাজী মসিহুর রহমান এবং ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মসিউল হক চৌধুরী।
সোনালী ব্যাংক পিএলসির উদ্যোগে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে অংশীজনের অংশগ্রহণে চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর কোয়ার্টারের সভা ও গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজধানীতে মঙ্গলবার ঢাকা ওয়েস্টের প্রিন্সিপাল অফিসের সভাকক্ষে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সভা ও গণশুনানিতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ওয়েস্টের প্রিন্সিপাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল কুদ্দুস, জেনারেল ম্যানেজার ও শুদ্ধাচার ফোকাল পয়েন্ট সাফায়েত হোসেন পাটওয়ারী, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ও বিকল্প শুদ্ধাচার ফোকাল পয়েন্ট বীথি আক্তার, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মজিবুর রহমান, প্রিন্সিপাল অফিস, ঢাকা ওয়েস্টের আওতাধীন সকল শাখা প্রধান এবং এসব শাখার সর্বমোট ২০ জন ঋণ সুবিধাভোগী, আমানতকারী ও অন্যান্য সুবিধাভোগী।
রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস ২০২৩ পালন করা হয়েছে।
রাজধানীর দিলকুশায় বুধবার রূপালী ব্যাংকের মূল ভবনের থেকে তথ্য অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়।
তথ্যের অবাধ প্রবাহে ইন্টারনেটের গুরুত্ব দিয়ে এবারের তথ্য অধিকার দিবসের শ্লোগান রাখা হয় ‘ইন্টারনেটে তথ্য পেলে জনমনে শান্তি মেলে’।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে এই র্যালিতে ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান তানভীর ও তাহমিনা আখতার এবং মহাব্যবস্থাপক মো. হারুনুর রশীদ, মোহাম্মদ শাহেদুর রহমান, মো. ইসমাইল হোসেন শেখ, মো. নোমান মিয়া, সালামুন নেছা ও তানভীর হাছনাইন মইন অংশ নেন।
এছাড়াও ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক, সহকারী মহাব্যবস্থাপকসহ সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এ র্যালীতে অংশগ্রহণ করেন।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি বরিশাল জোনের উদ্যোগে ‘ব্যাংকিং কার্যক্রমে শরিয়াহ পরিপালন’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ইসলামী ব্যাংকের বরিশাল শাখা প্রাঙ্গণে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য ড. রুহুল আমিন রব্বানী প্রধান অতিথি এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আলতাফ হুসাইন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে মূল বিষয়ের ওপর আলোচনা উপস্থাপন করেন শরিয়াহ সেক্রেটারিয়েটের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শামসুদ্দোহা।
ব্যাংকের বরিশাল জোন প্রধান আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন বরিশাল শাখা প্রধান মো. নূরুজ্জামান। কর্মশালায় জোনের নির্বাহী, কর্মকর্তা ও গ্রাহকগণ অংশগ্রহণ করেন।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও ইউনাইটেড হেলথকেয়ার সার্ভিসেস লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান মেডিক্সের মধ্যে একটি কর্পোরেট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (চলতি দায়িত্ব) মুহাম্মদ কায়সার আলী ও ইউনাইটেড হাসপাতালের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান এ সংক্রান্ত চুক্তি হস্তান্তর করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার আবুল ফয়েজ মুহাম্মাদ কামালউদ্দিন, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মিজানুর রহমান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মানজুরুল হক ও সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এ এম শহীদুল এমরান, ইউনাইটেড হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার ডা. ফজলে রাব্বি খান, মেডিক্সের হেড অব সেন্টার অপারেশন ও কর্পোরেট মার্কেটিং তারেক সামি রহমান এবং কর্পোরেট অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার শরীফুল ইসলাম খান ইউসুফজাইসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ চুক্তির আওতায় বিভিন্ন টেস্টের ওপর ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কার্ড গ্রাহকরা মেডিক্স-এ বিশেষ ডিসকাউন্ট সুবিধা পাবেন।
মন্তব্য