টানা উত্থানের পর দুই দিন দরপতন। তবে আবারও দাপটে ফিরল রবি, বেক্সিমকো আর লংকাবাংলা ফিনান্স।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার লেনদেন শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে শেয়ার বিক্রিতে আগ্রহ হারায় রবির শেয়ারধারীরা।
তবে বেক্সিমকো আর লংকাবাংলার শেয়ারের ক্রয় বিক্রয় ছিল স্বাভাবিক অবস্থা। ফলে টাকা আর লেনদেনে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে কোম্পানিগুলো।
বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ লাইফ ও নন-লাইফ পরিচালকদের ৬০ শতাংশ শেয়ার সংরক্ষণের নির্দেশনা জারি সংক্রান্ত একটি খবরকে ঘিরে মঙ্গলবার এই খাতের যে উত্থান দেখা যায়, সিটি আর ধরে রাখা যায়নি।
এক দিনের ব্যবধানে বিমা কোম্পানি থেকে আগ্রহ হারিয়েছে বিনিয়োগকারীরা। আগের দিন বিক্রেতা না থাকা বহু কোম্পানির শেয়ারধারী আগের দিনের চেয়ে কম দামে শেয়ার ছেড়ে দিয়েছেন।
বুধবার এক মতবিনিময় সভায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান বলেন, ’বিমার নির্দেশনা ভালোভাবে পড়ে বিনিয়োগ করা উচিত।’
বুধবার টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয় বেক্সিমকো লিমিটেডের ১৪৩ কোটি টাকা।
শেয়ার লেনদেনের দিক দিয়ে তৃতীয় স্থানে ছিল কোম্পানিটি, এদিন মোট এক কোটি ৭১ লাখ ৫ হাজার ৮৫৭ টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
টাকার অংকে লেনদেন হওয়া দ্বিতীয় স্থানে ছিল রবি, যার লেনদেন হয়েছে ১৩২ কোটি টাকা। আর শেয়ার লেনদেনের দিক দিয়ে ছিল শীর্ষে।
কোম্পানির মোট দুই কোটি ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ৪৯৬টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
টাকার অংকে লেনদেনে তৃতীয় স্থানে ছিল লংকাবাংলা ফিন্যান্স, যার লেনদেন হয়েছে ৯২ কোটি টাকা। এই কোম্পানির মোট দুই কোটি ৪ লাখ ৪৮ হাজার ২৮২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
বিনিয়োগকারীরা বলছেন, রবির অর্থবছর শেষ হয়েছে ডিসেম্বরে। ফলে আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে কোম্পানিট তাদের লভ্যাংশ ঘোষণা করবে। এটা রবির শেয়ার নিয়ে আগ্রহের একটি কারণ।
দেশের করোনা ভ্যাকসিনের একমাত্র পরিবেশক হওয়ায় বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ারে ব্যাপক আগ্রহ বিনিয়োগকারীদের। তবে মাদার কোম্পানি বেক্সিকো লিমিডেটের শেয়ারদর বেড়েছে আরও বেশি।
এই কোম্পানিটি করোনাকালে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা রপ্তানি করেছে। আবার বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে কোম্পানি।
এছাড়া লংকাবাংলা ফিনান্সের ক্ষেত্রে ভালো লভ্যাংশ দেয়ার আশাবাদ আর সেরা সিকিউরিটজ হাউজ হওয়ার খবর প্রভাব ফেলছে পুঁজিবাজারে।
লংকাবাংলার সচিব মোস্তফা কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের শেয়ারের দর কেন বাড়ছে তার সুনির্দিষ্ট কোরো তথ্য নেই। এছাড়া কোম্পানির পক্ষ থেকে কোন নিউজ থাকলে, যা পুঁজিবাজারেক প্রভাবিক করে তা ডিএসই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।’
পুঁজিবাজারের লেনদেন
বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৮২৭ পয়েন্টে।
শরিয়াহ ভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস সূচক এক দশমিক ৭৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৯০ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৪ দশমিক ১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২০৭ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৬৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২১টির, কমেছে ১৫৯টির ও পাল্টায়নি ৭৫টির।
মোট লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৪১৬ কোটি টাকা, যা আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ২৯০ কোটি টাকা।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বুধবার প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৮৪ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৯৮৭ পয়েন্টে।
লেনদেন হওয়া ২৭৮টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২১টির, কমেছে ৯৭টি ও পাল্টায়নি ৬০টির। এদিন মোট লেনদেন হয়েছে ৫৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
দর বেড়েছে কমেছে
বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দর বৃদ্ধির শীর্ষে ছিল সদ্য লেনদেন শুরু হওয়া এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের ৪৯.৮৯ শতাংশ।
কোম্পানিটির বুধবার পুঁজিবাজারে দ্বিতীয় দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে কোম্পানির স্বাভাবিক ১০ শতাংশ করে দর বাড়তে পারবে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, যার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
তারপরের অবস্থানে ছিল রবি, যার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
এছাড়া ছিল গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, এসএস স্ট্রিল, আইডিএলসি।
বুধবার দর পতনের দিক দিয়ে শীর্ষে ছিল ঢাকা ডাইং, যার দর কমেছে ৯ দশমিক ২১ শতাংশ।
দ্বিতীয় স্থানে ছিল মিথুন নিটিংয়ের দর কমেছে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ, এশিয়া প্যাসিফিকের দর কমেছে ৮.২০ শতাংশ।
আরও পড়ুন:জেলা, উপজেলা এবং গ্রাম অঞ্চলে যেসব ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত আয় করেন কিন্তু ট্যাক্স দেন না, সেসব ব্যবসায়ী ও চিকিৎসকদের ট্যাক্সের আওতায় আনতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসকদের।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সোমবারের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
একই সঙ্গে চিকিৎসক এবং আইনজীবীরা যে ফি নেন, সেটাও রসিদ বা ডিজিটাল পেমেন্ট মেথডে এনে তাদেরও করের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন,‘আপনারা জানেন, সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত আমরা বাস্তবায়ন করি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দিয়ে। মাঠ পর্যায়ের অফিসাররা যদি দক্ষ এবং সেবক হন, তাহলে জনগণ যে সেবাটা পান, সেটা কার্যকর হয়।
‘চিকিৎসক, আইনজীবীরা সরাসরি ক্যাশ ট্রানজেকশন করেন। এর কারণে কিন্তু তাদের করের আওতায় আনা যায় না। চিকিৎসকরা যে ফি নেন, তার রিসিট তো আপনারা নেন না। এই ফি যদি ডিজিটাল মাধ্যমে দেওয়া হয়, তাহলে কিন্তু তার একটা রেকর্ড থাকে। বিদেশে কিন্তু এগুলো সব রেকর্ডেড।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এম্পলয়মেন্টটা বাড়াতে হবে। লোকাল লেভেলে এম্পলয়মেন্ট বাড়ানো সহজ। চায়নাতে গ্রাম্য শিল্পের সাথে গভীর যোগাযোগ।
‘চায়নার প্রত্যন্ত একটি গ্রামে তৈরি হওয়া পণ্য আমেরিকার ওয়ালমার্টেও পাবেন। অথচ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই জিনিসগুলো যোগাযোগের অভাবে উঠে আসে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিসিরাই উত্থাপন করেছে গ্রামাঞ্চলে ব্যবসায়ীরা অনেক আয় করেন। তখন এনবিআর এ বিষয়টি নিয়ে ড্রাইভ দিতে বলেছে। আমাদের ট্যাক্সের আওতা না বাড়ালে তো হবে না। এমনিতেই তো দাবি থাকে ভ্যাট কমান-ট্যাক্স কমান। সুতরাং ভ্যাট-ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে রেখে ট্যাক্স গ্রহণের পরিধিটা বাড়ানোর বিষয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
‘প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে এই ট্যাক্স নেটটা বাড়িয়ে রাজস্ব আরও বিস্তৃত করতে পারি। মোটকথা জোর করে করের পরিমাণ না বাড়িয়ে ট্যাক্সের নেট বাড়ানো হবে। আমাদের শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে ৫০ থেকে ৬০ লাখ, কিন্তু কর দেয় মাত্র পাঁচ লাখ।’
চিকিৎসকদের করের আওতায় আনতে কী উদ্যোগ নেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাদের যেসব সহকারী বসে থাকেন, তারা টাকা নেন, কিন্তু রিসিট দেওয়া হয় না। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের ইনসিস্ট করা যে আপনারা রিসিট দেন। আমি তো কোনো চিকিৎসককে দেখি না তারা রিসিট দেন।’
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:ঢাকার পুঁজিবাজারে গত এক সপ্তাহের লেনদেনে বেড়েছে সূচক ও মূলধন। তবে পুঁজিবাজার ইতিবাচক দিকে মোড় নিলেও কমেনি মন্দ কোম্পানির শেয়ারের দৌরাত্ম্য।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত পাঁচ কার্যদিবসে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় থাকা দশ কোম্পানির মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি মাত্র দুটি।
বাকি আট কোম্পানির মধ্যে মধ্যম মানের ‘বি’ ক্যাটাগরির সংখ্যা তিন এবং লভ্যাংশ না দেওয়া এমন মন্দ কোম্পানির সংখ্যা পাঁচ।
সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে শীর্ষে উঠে এসেছে নিউ লাইন ক্লোথিংস লিমিটেড। কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের সর্বশেষ লভ্যাংশ দিয়েছে ২০২১ সালে।
কোম্পানিটির সর্বশেষ বার্ষিক সভা হয়েছে ২০২২ সালে। এরপর থেকে বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ না দিয়ে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে আছে কোম্পানিটি।
লেনদেনে শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে থাকা অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেড কোম্পানিটিও ‘জেড’ ক্যাটাগরির। কোম্পানিটি ২০১৬ সালের পর আর কোনো লভ্যাংশ না দিয়েও হয়ে উঠেছে বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ‘তারল্য সংকটের মধ্যে সূচকের উত্থান হওয়ায় দ্রুত মুনাফা পাওয়ার আশায় অনেক বিনিয়োগকারী খারাপ শেয়ারে অর্থলগ্নি করছেন। এতে করে মন্দ কোম্পানির শেয়ার ফুলেফেঁপে উঠলেও ঝুঁকি বাড়ছে পুঁজিবাজারে।’
তিনি বলেন, ‘বাজারে ভুল তথ্য ছড়িয়ে সুবিধাভোগী কিছু কোম্পানি এসব মন্দ কোম্পানিকে টার্গেট করেই অর্থ লোপাটের পরিকল্পনা করছে। শুধু কোম্পানিই নয়, বাজার অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে অনেক ব্রোকারেজ হাউসও জড়াচ্ছে কারসাজিতে।’
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি প্রতারণামূলক সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীদের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে চার ব্রোকারেজ হাউসের বিরুদ্ধে।
সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে পিছিয়ে আছে ব্যাংক খাত। পাঁচ কর্মদিবসে এ খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ২৩ দশমিক ৭২ শতাংশ। গত সপ্তাহে এ খাতের সূচক ৬৪৮ পয়েন্ট থেকে কমে ৪৯৪ পয়েন্টে নেমে এসেছে।
ব্যাংকের পাশাপাশি দাম কমেছে বিমা খাতেও। পাঁচ কার্যদিবসে বিমা খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ।
ব্যাংক-বিমা পিছিয়ে পড়লেও ভালো অবস্থানে রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। এ খাতে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এ ছাড়া জ্বালানি খাতে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩৫ শতাংশের ওপরে।
সর্বোপরি পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২২ পয়েন্ট, ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ বেড়েছে ৬ এবং শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ৭ পয়েন্ট।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ১৮৩ কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ১৬৬টির দাম এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে সপ্তাহের ব্যবধানে গড় লেনদেন ১ শতাংশের মতো কমলেও মোট বাজার মূলধন বেড়েছে ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
প্রথাগত লেনদেনের বাইরেও সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে ১০৬ কোটি টাকার শেয়ার বেচাকেনা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার বিক্রি করে এসিআই লিমিটেড। কোম্পানিটি পাঁচ দিনে ব্লক মার্কেটে ২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করে।
সপ্তাহব্যাপী লেনদেনে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন আসে সিরামিক খাত থেকে। রিটার্নের হিসাবে তলানিতে আছে আর্থিক খাত, জীবনবিমা ও সাধারণ বিমা। সর্বোপরি মার্কেট রিটার্ন বেড়েছে দশমিক ৫০ শতাংশ।
গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো পুঁজিবাজার সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্স বিএসইসির কাছে নিজেদের প্রাথমিক দুটি সুপারিশ জমা দেয়।
মার্জিন ঋণ ও মিউচুয়াল ফান্ড সংক্রান্ত এসব সুপারিশ আমলে নেওয়া হলে শেয়ারবাজারের অস্থিরতা অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন:ভালোবাসার মুহূর্তগুলোকে আরও স্মরণীয় করে তুলতে ইনফিনিক্স ঘোষণা করেছে এক বিশেষ ক্যাম্পেইন।
আসন্ন ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনের সঙ্গে সেরা মুহূর্তগুলো ভাগ করে নিতে শুরু হয়েছে ‘সারপ্রাইজ লাভ উইথ ইনফিনিক্স’ ক্যাম্পেইন।
প্রিয়জনকে চমকে দিতে এ ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে জিতে নেওয়া যাবে ইনফিনিক্স হট ৫০ প্রো প্লাস স্মার্টফোন।
ক্যাম্পেইনটি চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
ভালোবাসার উদযাপন
ভালোবাসার প্রকৃত অর্থ হলো প্রিয়জনের সঙ্গে ছোট ছোট অনুভূতি ভাগ করে নেওয়া, সুখ-দুঃখের অংশীদার হওয়া, যা মানুষকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসে। ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনকে দিতে পারেন ছোট্ট কিন্তু অর্থবহ উপহার; অংশ নিতে পারেন ‘সারপ্রাইজ লাভ উইথ ইনফিনিক্স’ ক্যাম্পেইনে।
ইনফিনিক্স বিশ্বাস করে, প্রযুক্তি বিশেষ এ মুহূর্তগুলোকে আরও স্মরণীয় করে তুলতে পারে।
এ ক্যাম্পেইন আপনার বিশেষ দিনকে অবিস্মরণীয় করে তুলতে পারে। সঙ্গী, বন্ধু বা পরিবারের সদস্য—যে কারোর জন্যই এটি ভালোবাসার মুহূর্তগুলোকে আরও বিশেষ করে তুলতে পারে।
ভালোবাসা, হাসি ও একটি ছোট্ট চমক
ভালোবাসার আবেশ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এ বছর ইনফিনিক্সের ক্যাম্পেইন চলবে অনলাইন ও অফলাইনে। ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয়েছে একটি আকর্ষণীয় সোশ্যাল মিডিয়া কনটেস্ট, যেখানে অংশগ্রহণকারীদের বিশেষ কোনো স্মরণীয়, আবেগঘন বা মজার ছবি বা ভিডিও শেয়ার করতে হবে। এটি শুধু সঙ্গীর সঙ্গে হতে হবে—এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
এটি হতে পারে বাবা-মা, ভাই-বোন, পরিবারের সদস্য বা বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো কোনো বিশেষ মুহূর্তও। শেয়ার করার সময় #SurpriseLovewithInfinix হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে হবে এবং একই সঙ্গে তিনজন বন্ধুকে ট্যাগ করে কনটেস্টে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানাতে হবে।
অফলাইন ইভেন্ট
অন্যদিকে ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে অফলাইন ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়, যেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য ইনফিনিক্স ভ্যালেন্টাইনস ডে ফটো বুথ ও প্রোডাক্ট এক্সপেরিয়েন্স কর্নার স্থাপন করা হয়।
পাশাপাশি ইনফিনিক্স সার্ভিস সেন্টার কার্লকেয়ার একটি বিশেষ বুথ স্থাপন করা হয়, যেখানে প্রিমিয়াম বিক্রয়োত্তর সেবা দেওয়া হয়। এ ছাড়া ওয়ারেন্টির বাইরে থাকা ডিভাইস সার্ভিসে ২১ শতাংশ ছাড়, বিনা মূল্যে সার্ভিস চার্জ, সফটওয়্যার আপডেট ও ফোন ক্লিনিং সার্ভিসসেরও ব্যবস্থা করা হয়।
শিক্ষার্থীদের জন্য ইনফিনিক্স স্মার্টফোন কেনা আরও সহজ করতে পাম পে ইভেন্টে কার্ডলেস ইএমআই সুবিধা প্রদান করা হয়, যার মাধ্যমে তারা কোনো আর্থিক চাপ ছাড়াই ইনফিনিক্স স্মার্টফোন কিনতে পারবেন।
ক্যাম্পেইনের শেষে তিনজন ভাগ্যবান বিজয়ীর হাতে তুলে দেওয়া হয় ইনফিনিক্স হট ৫০ প্লাস স্মার্টফোন।
ইনফিনিক্স বিশ্বাস করে, পুরস্কারটি ব্যবহারকারীদের প্রিয় মুহূর্তগুলো আরও সুন্দরভাবে ধারণ করতে এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার আনন্দ আরও দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ১০ পয়েন্ট।
শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস ৩ এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বাড়ে ৪ পয়েন্ট।
লেনদেনের শুরুতেই দাম বাড়ে ১৭৭ কোম্পানির, কমে ১৩৩টির এবং অপরিবর্তিত থাকে ৭৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৭০ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
লেনদেনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বাড়ে ২৮ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ১১০ কোম্পানির মধ্যে দাম বাড়ে ৭০, কমে ২২ এবং অপরিবর্তিত থাকে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম। মোট শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন ছাড়ায় ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় হওয়া মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার জন্য আগামী ১৭ এপ্রিল দিন ঠিক করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ঠিক ছিল মঙ্গলবার। তবে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান নতুন এ দিন ঠিক করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়।
দেশের অভ্যন্তরের কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করে বলে ধারণা করেন সংশ্লিষ্টরা।
ওই ঘটনায় একই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪ এবং তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬- এর ৫৪ ধারা ও ৩৭৯ ধারায় একটি মামলা করেন।
মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন:চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাকি সময়ের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ থেকে ৮ শতাংশ নির্ধারণ করে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ ছাড়াও জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ থেকে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে নতুন মুদ্রানীতি উপস্থাপন করেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
বিনিময় হার, মুদ্রাস্ফীতি ও সুদের হারসহ তিনটি মূল আর্থিক সূচক স্থিতিশীল করতে নজর দেওয়া হয়েছে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে।
এর লক্ষ্য বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহে উল্লেখযোগ্য হ্রাস সত্ত্বেও কিছুটা আর্থিক সরবরাহ বাড়ানো। কারণ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা ও দেশের অভ্যন্তরীণ আর্থিক কেলেঙ্কারির প্রভাবের পাশাপাশি বাংলাদেশের জিডিপি ও ঋণ প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে পড়েছে।
তবে নীতিগত সুদের হার অপরিবর্তিত থাকায় ঋণের সুদের হার আর বাড়বে না। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সুপারিশ সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জানুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আর ডিসেম্বরে ছিল ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য